নয়নতারা পর্ব ১৭

#নয়নতারা_১৭
#জেরিন_আক্তার_নিপা

অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই নয়নের মাথা ব্যথার কথাটা পুরো বিয়ে বাড়ির সব মানুষ জেনে গেল।
নক্ষত্র যে পুরোটা সময় জুড়ে বউয়ের পাশে বসে ওর সেবা করেছে এটাও কারো অজানা রইল না। নক্ষত্র নিচে নেমে এলে বাড়ির বয়স্ক মহিলা গুলো ওকে দেখে মুখ টিপে হাসছে। মনিকার দাদী বললেন,

—-কী ভাই? মাথা ব্যথা কমছে? নাকি ঔষধ লাগব?’

নক্ষত্র চোখ পাকিয়ে মনিকার দিকে তাকাল। সব এই পাঁজি মেয়েটার কাণ্ড।

—-নাতবউ কই এখন? ওরে আমার কাছে নিয়া আয়। মাথায় চুপচুপা কইরা তেল দিয়া দেই।’

মনিকার দাদীকে নক্ষত্র নিজের দাদীই মনে করে। আসলে ছোটবেলাই তার নিজের দাদা দাদী মারা গেছে। যার ফলে কখনও দাদা দাদীর ভালোবাসা পায়নি সে। মাঝে মাঝে এখানে এলেও মনিকার দাদীর সাথে তারও একটা ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে। নক্ষত্র দাদীর পাশে বসতে বসতে বলল,

—-তার আর দরকার নেই দাদী। নাতবউ ঘুমোচ্ছে।’

—-বাবা নাতী! তুই তো তোর দাদাকেও পিছে ফেলে দিলি। তোর দাদাও তোর মত আমার এরমকই খেয়াল রাখত।’

নয়নতারার ঘুম ভাঙলে সে ঘর থেকে বেরিয়ে এলে, দেখা গেল সবাই তার সুস্থতার কথা জিজ্ঞেস করছে। নয়ন প্রথমে কারো কথাই বুঝতে পারেনি। তবুও উত্তরে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়িয়েছে।
নক্ষত্রর খালা ওকে একা ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করল,

—-এখন কেমন লাগছে মা? মাথা ব্যথা কমেছে? পেইন কিলার লাগবে? দেব?’

সবার সাথে মিথ্যা বলতে নয়নের নিজেরই খারাপ লাগছিল। লোকটা ভীষণ বাজে। সবাইকে তার মাথা ব্যথার কথা বলাটা কি এতই জরুরি ছিল! অসভ্য লোক।

—-আন্টি কিছু লাগবে না। আমি ভালো আছি। আপনারা শুধু শুধু দুশ্চিন্তা করবেন না।”

—-দুশ্চিন্তা না করে উপায় আছে! ভালো মেয়ে এসেছ। এখন যদি অসুস্থ হয়ে ফিরে যাও তাহলে তোমার শাশুড়ি আমাকে কথা শোনানো থেকে বাকি রাখবে? এমনিতেই আমাদের দু’বোনের মধ্যে কিছুই ঠিক নেই। তার উপর যদি আমার মেয়ের বিয়েতে এসে ওর ছেলের বউয়ের কিছু হয়। তাহলে সম্পর্ক যেটুকু বাকি আছে তাও শেষ হয়ে যাবে।’

নয়নতারা মনে মনে দীর্ঘশ্বাস ফেলল। ভাবল, শাশুড়ি মা আমাকে দু’চোখে দেখতে পারেন না। আমি সুস্থ থাকলেই কি আর অসুস্থ। আমার জন্য উনার কোন চিন্তা নেই। উনি তো বরং আমার কিছু হলেই খুশি হবেন। যেকোনো মূল্যে ছেলের ঘাড় থেকে নামাতে চান আমাকে। আমি তো তেঁতুল গাছের পেত্নী। উনার ছেলের ঘাড় মটকে খাব। নয়নতারা এই দুই বোনের ব্যাপার কিছুই বুঝতে পারেন না। নক্ষত্রর সাথে খালার এত ভালো সম্পর্ক। অথচ ওর মা বোনের মেয়ের বিয়েতে এলো না! কেন?

—-আপনাদের দুই বোনের মাঝে সম্পর্ক এমন কেন?’

—-আর বলো না মা। তোমার শাশুড়ি টাকার নদীতে পড়ে অন্ধ হয়ে গেছে। আগে আমাদের সম্পর্ক ঠিক না থাকলেও এতটা খারাপ ছিল না। আমার স্বামী যা কামাই করে তা দিয়ে আমাদের দিন সুখে কেটে যায়। তবুও ফ্যামিলি প্রোগ্রামে কখনো একসাথে হলে তোমার শ্বশুর নানাভাবে আমার স্বামীকে কথা শুনাতে ছাড় দিত না। আমারও একদিন রাগ উঠে গেল। সবার সামনেই বড় বোনের স্বামীকে আচ্ছামত ধুইয়ে দিলাম। তারপর থেকেই আমাদের যাওয়া আসা, দেখা করা বন্ধ। তুই যে তোর স্বামীর অপমান সহ্য করতে না পেরে বোনের সাথে সম্পর্ক ভেঙে দিলি। আমি তাহলে কীভাবে আমার স্বামীর অপমান সহ্য করব? আমার স্বামী যে কয় টাকাই উপার্জন করুক আমরা তো তাতেই চলে যাচ্ছি। তোদের কাছে তো হাত পাতছি না। কিন্তু মা তোমার শাশুড়ি এসব কথা বুঝে না।’

নয়নতারা মনে মনে ভাবল, মেয়েদের কাছে তাদের স্বামীর সম্মান কতটা প্রিয়! নিজের স্বামীর অপমানে আপন বোনের সাথেও লড়তে পারে। সম্পর্ক শেষ করে দিতে রাজি অথচ স্বামীর অপমান সহ্য করতে রাজি না কেউ।
সে নিজেকেই ভাবল এবার। ইলা আপু ফিরে এসে যদি কখনও নক্ষত্রকে চায় তাহলে কি সে দিয়ে দিবে? নাকি নক্ষত্রকে বিয়ের দিন ফেলে অন্য কারো সাথে চলে যাওয়ার জন্য আপুকে কথা শুনাবে?

আজ মনিকার বিয়ে। নিজের বিয়ের দিন মনিকা কত খুশি। ওর চোখ মুখে দেখাই বোঝা যাচ্ছে ও নিজের বিয়ে নিয়ে সত্যিই খুশি। নয়নের বারবার নিজের বিয়ের দিনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। অবশ্য সেদিন জানত না ওইদিন যে আপুর জায়গায় তার বিয়ে হবে। সকাল থেকে আনন্দ ফূর্তিতেই দিন কাটিয়েছিল। আপু চলে যাবে ভেবে কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু নিজের বিয়ের দিন মেয়েদের কেমন ফিল হয় সেটা নয়ন কখনো বুঝতে পারেনি। নক্ষত্র কখন নয়নের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তা সে খেয়ালই করল না। নক্ষত্র নয়নতারাকে হালকা ঠেলা দিয়ে জিজ্ঞেস করল,

—-কী অত ভাবছ?’

নয়নতারাও মুখ ফসকে বলে ফেলল,

—-নিজের বিয়ের দিন মেয়েদের কেমন অনুভূতি হয়?’

নক্ষত্র বেচারা প্রশ্নটা করেও বোকা হয়ে গেল। সত্যিই তো, নয়নের সাথে তার বিয়ের কোন আচার-অনুষ্ঠানই করা হয়নি। যার সাথে করা হয়েছিল সে তো পালিয়ে গেল। নয়ন বেচারি এসবের কিছুই জানেনি, বুঝেছি। কোন নিয়ম টিয়মও পালন করেনি। নক্ষত্র পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য হেসে বলল,

—-মনিকার বিয়ে দেখে তোমারও এসব নিয়মনীতি, আচার-অনুষ্ঠান পালন করার ইচ্ছে হচ্ছে নাকি? হলে বলতে পারো। আবার নাহয় সব নিয়ম মেনে বিয়ে করার মতো বিয়ে করব আমরা।’

নয়নতারা ঝট করে একবার নক্ষত্রর দিকে ফিরল। কী ভেবেই যেন কিছু না বলেই চলে গেল। নয়ন চলে গেলে নক্ষত্র ফোঁস করে দম ফেলল।

—-মাঝে মাঝে কী আবোলতাবোল যে বলিস নক্ষত্র! মুখে লাগাম দে। যে মেয়ে চব্বিশ ঘণ্টা বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কোন ছুতো পেলেই হয় তার। তুই ওই মেয়েকে আবার বিয়ের কথা বলছিস! লজ্জা হওয়া উচিত তোর।’

একটা মেয়ে। নয়নতারা মেয়েটাকে চেনে না। সে এসে নয়নের পাশে দাঁড়াল। ওকে কেমন চোখে দেখতে লাগল।

—-দেখে বাচ্চা মনে হলে কী হবে? তুমি তো ভীষণ পাকা মেয়ে। আস্ত চালাক।’

নয়নতারা মেয়েটার কথা কিছুই বুঝল না। কে এই মেয়ে? তাকেই বা এসব কথা কেন বলছে!

—-আমি জানি কাল তুমি মাথা ব্যথার নাটক করে সবটা সময় তোমার স্বামীকে তোমার কাছে আটকে রেখেছ। যেন ও আমাদের কাছে বিশেষ করে আমার কাছে আসতে না পারে। ঠিক বলছি না আমি?’

নয়নতারা এবার বুঝল। কী বজ্জাত মেয়েরে বাবা! নির্লজ্জ একেবারে। অন্যের স্বামীকে নিয়ে কথা বলছে, তবুও কথায় কত তেজ। নয়ন যা জীবনে কারো সাথে করেনি তা আজ এই মেয়েটার সাথে করল। কড়া কয়েকটা কথা শুনিয়ে দিল মেয়েটাকে।

—-উনি আমার স্বামী। নাটক করি আর যাই করি উনাকে আমার কাছে আটকে রাখার অধিকার আমার আছে। আর আমি যদি উনাকে আপনার কাছে যেতেও বলি না, তবুও উনি তা করবেন না। আপনার মত মেয়েদের উনি খুব ভালো করেই চিনে। স্বামী স্ত্রীকে একসাথে দেখে যে মেয়ের জ্বলে সে কখনও ভদ্র ঘরের মেয়ে হতে পারে না।’

—-এই মেয়ে মুখ সামলে কথা বলো। তুমি জানো তুমি কার সাথে কথা বলছো? আমি তোমাকে…

—-আমার অত জানার দরকার নেই। আপনি যে-ই হোননা কেন, নিজের চোখ দু’টো সামলে চলবেন। অন্যের স্বামীকে দেখে গলে পড়বেন না।আমার উনি তো হয়তো আপনার দিকে তাকিয়েও দেখেনি। তাহলে উনাকে নিয়ে আপনার এত আগ্রহ কেন?’

নয়নের কেন এত রাগ উঠল সে নিজেও জানে না। এতগুলো কথাই বা সে কীভাবে বলতে পারল! নক্ষত্রকে নিয়ে অন্য কোন মেয়ে আগ্রহ দেখালে তার রাগ হয় কেন?
নয়নতারা নিজের উপরই বিরক্ত। ঝগড়াঝাটি তার স্বভাবে ছিল না। এখন দেখা যাচ্ছে ওই বদ লোকের সাথে পড়ে কিছু দিনে ঝগড়াটাও বেশ ভালোই শিখে নিয়েছে। নয়নতারা চলে যেতে নিচ্ছিল। ওই মেয়েটা পা দিয়ে ল্যাং মেরে ওকে ফেলে দিতে চাইল। আর ঠিক তখনই মুভির হিরোদের মত নক্ষত্র এসে তাকে ধরে ফেলল। নয়নকে নিজের বাহুতে নিয়ে নক্ষত্র বলল,

—-ঠিক আছো তুমি?’

হায়! সবকিছু এমন কাল্পনিক মনে হচ্ছে কেন? নয়নতারার নিজেকে মুভির হিরোইনদের মত লাগছে। বাস্তবেও যে এমন ঘটতে পারে তা সে ভাবেনি কখনো। ওই মেয়েটাকে এখন, কপালে দুই সিং ওয়ালা চুরায়েলের মতই মনে হচ্ছে। নয়নতারা নিজের অজান্তেই মেয়েটাকে জ্বালানোর জন্য নক্ষত্র হাত আঁকড়ে ধরল।

—-হ্যাঁ ঠিক আছি আমি। পায়ের নিচে কোন তেলাপোকা এসে পড়েছিল বোধহয়।’

—-তেলাপোকা!’

নক্ষত্র ভারী অবাক হলো। এত মানুষের ভীড়ে তেলাপোকা কোত্থেকে আসবে? আর এলেও তো সমস্যা। এক্ষুনি চিৎকার চেঁচামেচি লেগে যাবে। আজকালকার মেয়েগুলো যা ন্যাকা সাজতে পারে।

—-বলো কী? তেলাপোকা কোত্থেকে এলো? তুমি শিওর দেখেছ? এখন কোথায় গেল।’

—-আহ! আপনি না বড্ড বেশি কথা বলেন। চলুন তো আমার সঙ্গে।’

—-কিন্তু…

নয়ন নক্ষত্রর কোন কথা শুনল না। সে ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে যাবার সময় মেয়েটাকে ইচ্ছে করে ধাক্কা দিয়ে চলে গেল। ডাইনী মেয়ে। অন্যের বরের উপর নজর দেয়।

যাকে ঘিরে এই কয়টা দিন সম্ভব আয়োজন ছিল। যার জন্য বাড়িটা আলোয় আলোকিত করা হয়েছে। একটু আগ পর্যন্তও হৈচৈ, মানুষের আনাগোনায় বাড়িটা গমগম করছিল। এখন সবই আছে। শুধু সেই মানুষটাই নেই। একটু আগে মনিকার বিদায় হয়ে গেছে। বরের গাড়িতে ওঠে শ্বশুরবাড়ি যাবার সময় মনিকা কতই না কান্নাকাটি করেছে। মা, বাবা,দাদী, নক্ষত্র এমনকি তাকে জড়িয়ে ধরেও কেঁদেছে। অথচ বিদায়ের মুহূর্তেও আগ পর্যন্তও নয়ন ভেবেছিল মনিকার হয়তো সবাইকে ছেড়ে যেতে কষ্টই হবে না। কত খুশি দেখাচ্ছিল ওকে। বরও তো ওরই পছন্দের। নয়ন আজ বুঝতে পারল, বর নিজের পছন্দের হলেও সব মেয়েদেরই বাবার বাড়ি ছেড়ে আসতে কষ্ট হয়। যেমন তার হয়েছিল। সে তো শুধু শুধু নক্ষত্রকে দোষ দিয়ে যাচ্ছিল। ভেবেছিল হঠাৎ বিয়ে হয়ে গেছে বলেই তার কষ্ট হচ্ছে।
মনিকা যখন নক্ষত্রকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল, তখন নয়ন দেখেছে। নক্ষত্রর চোখও কেমন লাল হয়ে গেছিল। নক্ষত্রের চোখে ওর চোখ পড়লে নক্ষত্র হেসেছিল। সেই হাসিও নয়নের কাছে কান্নার মতই মনে হয়েছে। মনিকার বিদায়ের পর বাড়িটা এখন গুম মেরে গেছে। চারিদিকে আলো জ্বললেও যেন এক মুহূর্তে সবখানে অন্ধকার নেমে এসেছে। নক্ষত্র খালামনিকে দেখে। মনিকা খালামনির একমাত্র মেয়ে। আর কোন সন্তান নেই খালামনির। সেই মেয়েও আজ পরের বাড়ি বউ হয়ে চলে গেল। খালামনির কষ্ট যেন নক্ষত্র উপলব্ধি করতে পারছে। সে মনে মনে বলল,

—-আমি যদি কখনো মেয়ের বাবা হই। আল্লাহ যদি আমাকে মেয়ে সন্তানের বাবা হবার সৌভাগ্য দান করেন। তাহলে কখনো আমি মেয়েকে বিয়ে দেব না। দিলেও ঘরজামাই নিয়ে আসব। খালামনির মত, না পৃথিবীর সব বাবা মায়ের মত এই কষ্ট আমি সহ্য করতে পারব না।’

নক্ষত্রর নয়নতারার বাবার কথা মনে পড়ল। এইজন্যই হয়তো মানুষটা প্রথমে তার উপর রেগে ছিল। সেদিন ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে কত সুন্দর করে কথাগুলো বুঝালো। শ্বশুরের বলা কথাগুলো নক্ষত্রর মনে পড়লে সে বড় অনুতপ্ত হলো।

—-উনার এত আদরের মেয়ের সাথে আমি ঠিক করছি না। নয়নের সাথে আমাকে আরেকটু নরম হতে হবে। ওর সাথে আমি প্রয়োজনের থেকে একটু বেশিই কঠিন ব্যবহার করি। যে মেয়ে কখনো কারো মুখ কালো করে কথা শুনেনি, সে আমার ধমক, বকা খেয়ে নিশ্চয় কষ্ট পায়।’

দীর্ঘশ্বাস ফেলল নক্ষত্র।

—-কিন্তু আমারই বা কী করার আছে? কঠিন না হলে যে এই মেয়েকে সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। সবার আদরে আদরে ঘাড়ত্যাড়া হয়েছে একটা। মিষ্টি কথা শুনতেই চায় না।’

নয়নতারা একা এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে। নক্ষত্রর চোখ তাকে খুঁজে নিল।

—-আজকের পর থেকে আর বকবো না। ধমকও দেব না। ভালোবেসে বুঝালে নিশ্চয় বুঝবে। তোর নিজেরও তো ধৈর্য কম নক্ষত্র। তোকে বুঝতে হবে, তোর বউ এখনও কতটা অবুঝ। ওকে আগে বড় হতে দে। তারপর নাহয় ও তোর কথা মতো চলবে।

চলবে___

সাইলেন্ট রিডার্সরা সাড়া দিবেন। গল্প আপনাদের কাছে পৌঁছুলে ছোট্ট করে হলেও একটা কমেন্ট করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here