“নিজের স্বামীকে অন্য মেয়ের বুকে ঘনিষ্ট মূহুর্তে দেখতে পেলে স্ত্রীর কেমন লাগে? যদি হয় সে মেয়েটা অর্ধ বস্ত্র অবস্থায়!!!
হিয়া তো আজ এসেছিলো দিলের অফিসে ওকে সারপ্রাইজ দেবে বলে।তবে দরজা না নক করে ঢুকায় বড় ধরনের একটা সারপ্রাইজ পেয়েছে।
মেয়েকে কোলে নিয়ে নিশব্দে আবার বাড়ি ফিরে এসেছে হিয়া।আর পারছিলো না ঐ সব দেখতে।ওর দিল অন্যের দিলেও ঠাই পেয়েছে।
কাঁদতে কাঁদতে হিয়ার চোখ জোরা বালিশে পরিনত।
বাড়িতে বৃদ্ধ শাশুরি চোখ ফুলার কারন জানতে চাইলে বাহানা তৈরি করে এরিয়ে গেলো।
হিয়া পারেনি ঐ বৃদ্ধ মহিলার মনে কষ্ট দিতে।
“আজ কয়েক দিন ধরেই আদিল পরকীয়ায় আসক্ত হয়েছে।
তা কয়েকদিন ধরে নাকি আরে আগে থেকে বুঝা দায়।
——
” হিয়া আর আদিল ভালোবেসে মা বাবার বিরুদ্ধে গিয়েই তারা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
আদিল বেশ বড় বাপের বেটা। অর্থ সম্পদের কমতি নেই।হিয়া এক মধ্যবিত্ত বাড়ির মেয়ে।
৪ বছরের বিবাহ জীবনে তাদের এক তিন মাসের মেয়েও রয়েছে। (আয়াত)
“আদিল প্রথম বাচ্চা না নিতে চাইলেও হিয়ার জোরেই সে মানতে রাজী হয়। আর এখন তো আদিলের মা হয়ে উঠেছে ঐ আয়াত।
প্রতিটা- দিন তো বেশ ভালোই গেছে।
তবে সামনে আসা দিনের কথা না কেও জানে না জানতে চায়।
” ৪ বছরের সংসারে আদিল তো কোন অভাব হতে দেয়নি।হিয়ার কিছু মুখ ফুটে বলার আগে তার প্রয়োজনীয় সব তার পদ তলে রেখেছে.
——-আদিলকে ভালোবেসে হিয়া তার মা বাবা ভাই সব হারিয়েছে।এতে তো তার দূঃখ নেই।তবে দূঃখ তো এটাই যার জন্য সব ছারলো
এখন সেই তাকে ছেরে অন্য খাচায় বাসা বেধেছে।।
—–
–খাবার টেবিলে হিয়া আর আদিল বসে খাওয়ার নাটক করছে।কারন হিয়ার মন আজ সকালে আদিলের অফিসে তার কেবিনে যা দেখলো তা নিয়ে
আর আদিলের মন ফোনে কারো সাথে মিষ্টি চ্যাটিং করায়।হিয়া বেশ বুঝতে পারছে।দিলের মুখ দেখেই বুঝা যায়। সারা দিন হিয়া এক ফোটা পানি মুখে তুলেনি।এখনও তুলতে ইচ্ছা করছে না।
-দিল!!!
” হুম হিয়া কিছু বলবে?
-হিয়া এত সুন্দর করে ডাকলো তবুও দিল আজ ওর দিকে তাকালোও না।আগে ডাকার আগেই ওর পাশে বসে আঠার মত লেগে থাকা হত।
বেশ কয়েকদিন ধরেই দিল এমন করছে।প্রথম তো ভেবেছে কাজের টেনশনে হয়তো এমন দূরে থাকা।
তবে ব্যাপার টা একদম অন্য রকম।
কত ভালো বেসে দিল বলে ডাকে হিয়া আর সেই দিলই কিনা।
—
-হিয়া সকালের ঘটনাটা বলেও বলতে পারছে না।লজ্জা আর ঘূন্না দুই তাকে গিলে খাচ্ছে।
তবুও তার প্রানের দিল কে ডেকে বললো -আজ তোমার অফিসে দিন কেমন গেলো?
“ফোনটা সাইডে রেখে আদিল হিয়ার দিকে তাকিয়ে রইল।
-হঠাৎ অফিস নিয়ে পরলে যে???
” নাহ এমনি।
–ওহহ।হ্যা ভালোই গেছে।নতুন একটা প্রোজেক্ট সাইন করেছি।বেশ মুনাফা হবে।আর পুরো টাকাটা আয়াতের নামে রাখবো মেয়েতো বড় হচ্ছে তিন মাসের বুড়ি আমার।
“হিয়া শুধু হুম বলে চুপ নিচের ভাতের দিকে তাকিয়ে আজ ভাতের দানা গুনার চেষ্টা করছে।
-হিয়া শুনো কাল দুদিনের জন্যে শহরের বাহিরে যাবো, চট্রগ্রাম। সেখানেই নতুন প্রজেক্টটা দেখে আসতে হবে।তা তোমার ওই খান থেকে কিছু চাই??
প্রতিদিন নিত্যনতুন গল্প পড়তে গল্পের ঠিকানা ইন্সট্রাগ্রাম একাউন্টে ফলো দিয়ে রাখুন
একাউন্ট https://www.instagram.com/p/CWQQ7v4PH6g/?utm_medium=copy_linkলিংক—-)
প্লিজ ফলো দিয়ে রাখুন যাতে এখানে নতুন গল্প শেয়ার দিলে সরাসরি আপনাদের কাছে পৌঁছাতে পারে)
” অবাক নয়নে হিয়া দিলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।কেও বলবে এই মানুষ টার ভালো মানুষি ছারাও জঘন্ন আরেকটা রূপ আছে?
——ঘরে কি সুন্দর স্বামি/বাবা/ছেলের দায়িত্ব্য তিনই বখুবি ভালো ভাবে পালন করছে…আর ঘরের বাহিরে এক দূশচরিত্রা এক স্বামী।মিথ্যা বাদি ছেলে
“আয়াত কে খাইয়ে ঘুম পারিয়েছো তো।
-হুম মায়ের সাথে আছে।বুকের দুধ খেতে চায় না তাই কেনা দুধ……
“কথা টা শেষও হয়নি. দিল রাগ দেখাচ্ছে। না না হিয়া এক দম না।শুধু বুকের দুধ।
আয়াত কে নিয়ে কোন হেলা নয়। বাড়তি অন্য কোন খাবার সাথে দিবা না ।বাহিরের কেনা দুধ মুটেই নয়।
“কি সুন্দর পিতা হওয়ার দায়িত্ব্য পালনে ব্যাস্ত।স্বামী হিসাবে কেন এত দায়িত্ব্যবান নও দিল!!!
কথাটা হিয়া তার মনের ভিতরেই গেঁথে রেখেছে।
আজ ওর বাবার কথা বার বার মনে হচ্ছে।দিলকে আপন করতে গিয়ে যে সবাইকে পর করে দিলাম।
—–
হিয়া কি করবে বুঝতেই পারছে না। দিন জেনো তার কাটে না। যখনই দিল বাহিরে বের হয় ওর শুধু মনে হয় দিল ঐ মেয়ের কাছেই গেছে।
আজ কাল হিয়া কাছে ডেকেও দিলকে পায় না।তার যে কত কাজ। না কাওকে কথাটা বলতে পারছে।হিয়া তো ভেবেছে দিলের এই বদ অব্যাশ ঠিক হবে।তবে তা যে ধিরে ধিরে ভয়ানক রুপ নিবে সে কে জানত??
_ বাপের বাড়িতে যাওয়ার মুখ নেই।আর আয়াতকে নিয়ে কোথায় যাবে? যাওয়ার কোন যায়গা তো নেই। কি করবে এই ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে কোন পথে যাবে।
—-
আয়াতের এখন ১ বছর।
জন্মদিন টা বেশ ধুমধাম করেই হবে
বেশ লোকজন সাজসজ্জায় বাড়ি হৈরৈ।
আয়াতকে আজ পরী লাগছে।
এই ৭ টা মাস হিয়া যে কি মরন যন্ত্রনা ভুগ করেছে তা কেও জানে না। দিলের অবহেলা দিন দিন বেরেই চলছে।বেলকনিতে মধ্যরাত অবদি তার কথোপকথন সব হিয়ার কানে আসত।ঘুমের ভান ধরে বিছানায় শুলেই দিলের পাখা গজানো শুরু।
—টাকায় মুরিয়ে রেখেছে হিয়াকে দিল।তবে এই টাকায় তো হিয়ার মনে সুখ আসবে না।মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে ছেরে চলে যাই।তবে দিলের জন্য যে ভালোবাসাটা ওটাকে এখনও খুন করতে পারছি না। নিষ্ঠুর দুনিয়ায় বের হয়ে তো কোন হায়েনাদের শিকারই হব।এর চেয়ে এখানো সেফ তো আছি…
—
“—এত মানুষের ভিরে দিলকে কোথাও দেখতে পারছে না হিয়া।
কোথায় ও?
কিছুটা দুর হিয়ার চোখ পরতেই মলিন শুকিয়ে থাকা মুখ টা আরো শুকিয়ে এসেছে।
“এটা তো সেই মেয়েটা যার সাথে দিলের অবৈধ সম্পর্ক চলছে।আজ দিল ওকে বাড়ি অবদি নিয়ে এলো…
এত দিন তো যাই করেছে সকলের আরালে আজ কি তা আর রাখবে না। দিল তোমার কি একটুও আমায় হারানোর ভয় নেই।ভয় করেনা আমি সব জানলে তোমায় ছেরে চলে জাবো কিনা?
কেন দিল কেন? বার বার আমার জখমে তুমি ধারালো ছুরি দিয়ে ঘাটা দাও। বাহিরে মন ভরেনি তাই ঘরে এনে তুললে? আল্লাহ হয় আমায় কোন পথ দেখাও নয়তো শক্তি দাও এত শক্তি দাও যে দিলের সব কু কির্তি আমি সজৎ করতে পারি।
ভাবনার ঢুপ দিতে দিতে দিল মেয়েটাকে নিয়ে হিয়ার সামনে হাজির।
—–হিয়া!!!
দিলের হাসি মাখা চেহারা নিয়ে হিয়াকে ডাকছে.হিয়া এই মূহুর্তে কারো ডাক কানে শুনছে না।
হিয়া ওও হল তৃপ্তি আমার ভালোবাসা এবং সে এ বাড়িতেই থাকবে!!!!!
[ চলবে-হ্যা তবে সারা পেলে কন্টিনিউ করব।নয়তো আর লিখা হবে না……]
#প্রাপ্তি 💔 💔
#পর্থম_অধ্যায়।
#সেলিনা_আক্তার_শাহারা।
_________________________