প্রাপ্তি পর্ব ২

#প্রাপ্তি💔
#পর্ব_২
#সেলিনা_আক্তার_শাহারা।
___________________________

প্রতিদিন নিত্যনতুন গল্প পড়তে গল্পের ঠিকানা ইন্সট্রাগ্রাম একাউন্টে ফলো দিয়ে রাখুন
একাউন্ট https://www.instagram.com/p/CWQQ7v4PH6g/?utm_medium=copy_linkলিংক—-)
প্লিজ ফলো দিয়ে রাখুন যাতে এখানে নতুন গল্প শেয়ার দিলে সরাসরি আপনাদের কাছে পৌঁছাতে পারে)

“–হিয়া!! এই হিয়া!!
দুইতিনটে ডাক পরতেই হিয়ার মন চিন্তা থেকে ফিরেছে।
“কি ভাবছো কখন থেকে ডাকছি।

হিয়ার এবার হুস হল এত ক্ষন সপ্ন দেখছিলাম।আল্লাহ তুমি আমায় বাঁচালে।

দিলের ডাকে সারা দিতে না দিতেই সত্যি সত্যি সেই মেয়েটা হাজির।একেবারে দিলের পাশে এসে ঘেসে দাড়িয়েছে।
তবে দিল এত ভদ্রতার সাথে ওর কাছ থেকে সরে এলো জেনো অচেনা কেও হবে।
-হ্যালো ম্যাম।
” হিয়া অপলক ঐ মেয়েটার দিকে তাকিয়ে।কি মায়াবতী মেয়েরে তুই।তর কত রুপ। তর মধ্যে এমন কি আছে যার জন্যে আমার স্বামী আমার রইলো না।
এক মনে ভাবছে আর দেখছে।

–পরিচয় করিয়ে দিই।
ও তৃপ্তি আমার পি এ। মাস ছয় হলো কাজে জয়েন্ড হয়েছে।
“হিয়া কিছুটা মন কে শক্ত করেছে।
সপ্নে পরিচয় করিয়েছে এক রকম আর বাস্তবে এক রকম।তবে যাই বলুক সম্পর্ক টা তো নোংরামুরই।
” দিল কখনো তো কোন স্টাফকে বাড়িতে আনতে দেখিনি।আজ হঠাৎ সামান্য কর্মচারিকে বাড়িতে এনে তুললে???
“হিয়া কাটা বিধানো কথা বলেছে।এতে ঐ তৃপ্তি নামক অতৃপ্ত আত্বা ডায়নি ভূত টা বেশ অপমান বুধ করছে।দিলের মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে এক পলকে।ভেবেছে দিল কিছু বলবে।
বেচারা দিল চুরের মত এদিক ওদিক তাকিয়ে মরছে।

–দিল! এই দিল।
” হ্যা শুনছি বলো।
-কি বলবো বললো না তো একটা অফিসের সামান্য কর্মচারিকে বাড়িতে এনে এভাবে বৌ এর সাথে ঘটা করে পরিচয় দেয়ার কি আছে??

“আসলে হল কি ঐ আমার একটা ফাইল অফিসে রয়ে গেছিলো, আর ওটা বেশ জরুরি ছিলো তাই ও ওটা নিয়ে এসেছে আর কি।
” ওহহ আচ্ছা ফাইল দেয়া হয়ে গেছে??
-হ্যা!!!হ্যা হ্যা হয়েছে।দিল ভয়ে কুকরিয়ে আছে।এর মানে হিয়াকে হারানোর ভয় মনে বহু।ভয়টা ভিতরে থাক সামনে এনে লাভ হবে না।বেশি টাইট করতে গিয়ে রশিটাই না ছিরে যায়।
“হুম। মিস.এসেছো যখন খেয়ে দেয়ে যেও কেমন।

-দুকথা শুনিয়ে হিয়া চোখের কোনে জমা লোকানো পানিটা নিয়ে দিলের আর তৃপ্তির কাছ থেকে সরে এসেছে।

-পার্টি শেষ।আজ তৃপ্তি কি জাবেনা নাকি?
“দিল!!
-হ্যা হিয়া?
সবাইতো চলে গেছে তোমার পি এ রয়ে গেলো যে?
” আসলে দিলই তো তৃপ্তিকে আটকেছে।তবে এখন ঝামেলা হিয়াটা। কত পশ্ন করে।আগে তো এত পশ্ন করত না।
–আসলে ওর বাড়ি অনেকটা দূরে।আর রাত ও বহু হয়েছে।তাই আমিই বলেছি রাত টা এখানে থাকতে।অবশ্য তুমি যদি চাও আর কি।
” হা হা করে হিয়া হেসে উঠেছে।হাসালে দিল বড্ড হাসালে।থাকতে বলেছোই যখন এখন আর আমার মতামত কিসের?
-দিল কিছুটা বিভ্রস্ত। ফেসে গেলো নাকি?
“বাদ দাও তোমার যা ভালো লাগে দিল তাই করো।
একটা ভারি পাথর মনে রেখে কথাটা বলে হিয়া তার রুমে চলে গেছে।
-আয়াত আজ বড্ড হাপিয়ে গেছে.কত মানুষ যে ওকে নিয়ে টানা টানি করেছে। মেয়েটা ভয়ও পেয়েছে।৷ তাই এত কিছুর দিকে নজর না দিয়ে মেয়েটাকে আকরে ধরে থাকতে চাই।
আর দেখতে চাই এই দিল কত টা দূর এগুতে পারে।

—মধ্য রাত প্রায়।আয়াত কে ঘুম পারিয়ে হিয়া দিলের পাশ ঘেসে শুয়েছে।
“-দিল এখনো ঘুমায় নি ও তো হিয়ার ঘুমানোর অপেক্ষায় আছে।
” তবে হিয়া কে জাগতে দেখে দিল বহু হতাস।

-ঘুমাও নি তুমি?
“নাহ দিল তুমি জেগে যে?
” না ঐ অফিসের ঐ ফাইল টা দেখার বাকি রয়েছে। সকাল সকাল তো ওটা নিয়ে বের হতে হবে।
–ওহহ তাহলে শুয়ে না থেকে দেখে নাও।
“হ্যা তবে তৃপ্তির কাছে সব ডিটেল্স, ও কে সাথে না নিয়ে কি করে বুঝবো?
-এতে এত ভাবনার কি দিল।তুমি যেমন চিন্তায় ঘুমাতে পারছ না।তেমন তৃপ্তিও হয়তো সেই চিন্তায় মগ্ন।
দিল এক রাশি পশ্ন সূচক হয়ে হিয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
–মানে ফাইলের চিন্তায়। বলতে চাইছি।তা যাও তৃপ্তির রুমেই কাজ টা করে এসো।এখানে করতে পারবে না কারন আমি আয়াত তোমাদের ডিস্টার্ব করতে পারি।
” কথাট কি ভাবে হিয়া বলেছে।কেন বলেছে তা আর দিলের কানে ঢুকলো না, এখন তো ওর অন্য রকম মর্জি মনে চলছে আর তাই এত সব ভেবে মোড টা নস্ট করে লাভ কি।

—–
৩ টার উপরে হতে চললো দিল রুমে আসেনি।আর হিয়া গিয়ে দরজায় নক করবে ঐ সাহস আর হয়নি।
চাপা কাঁন্না করে বালিশ ভিজিয়ে একাকার।কি করবে হিয়া।না পারছে বলতে না সইতে।
দিল দিল করে ওর ক্লান্ত মুখ। দিল আর কত কষ্ট দিবে।কেন নিজ হাতে আমার এই সংসারটা মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছো। একটি বার নিজের মেয়ের মুখ টা সামনে ভাসলো না।

——
আজানের দিকে দরজা খুলার আওয়াজ।দিল মাএ রুমে এসেছে।হিয়া জেগেই ছিলো দেখতে চেয়েছে দিল কখন ঘরে ফিরে।তবে দিল রুমে ঢুকতেই ঘুমের ভান ধরে শুয়ে রয়েছে।
—-
আস্তে করে দিল হিয়ার পাশে এসে চেক করে নিলো হিয়া জেগে কিনা।নাহ ঘুমিয়ে গেছে নিশ্বচিন্তায় দিল তার বালিশে মাথা গুজেছে।

^^^^^—–

—সেদিনের পর থেকে মাঝে মধ্যেই দিলের দূরে প্রজেক্ট দেখতে যেতে হয়। দুই তিন রাত বাহিরে কাটাতে হয়।নয়তো তৃপ্তির সাথে ফাইল নিয়ে আলোচনা চলে রাত ভর তাও হিয়ারই বাড়িতে।ওর নাকের নিচে দিয়ে।

আয়াত বড় হচ্ছে সব বুঝতে শিখেছে।
কোন দিন দিলের সত্যটা না জেনে যায় এই ভয় হিয়াকে গিলে খায়।

★৫ বছরের হিয়া।
সবই বুঝার কথা।
কাল তো একটা পশ্ন করে বসেছে।আম্মু আব্বু ঐ আন্টির রুমে কেন? উনি এলে আমাদের পাশে আব্বু ঘুমায় না কেন?
–দিল যাই করো মেয়ের চোখে ছোট হইয়ো না প্লিজ।
দিল হিয়ার কাছে মুটেও আসে না।না হিয়া ওর কাছে জেতে চায়।বড্ড ঘেন্না করে।তবে দিলের জন্য ভালোই আর ভালো জিনিস নিয়ে এত ভাবতে হয় না।
সে মনের আনন্দে সে ফুর্তিতে মগ্ন থাকে।
—–তবে অফিসের সব খবর হিয়ার কানে আসছে। তবে এত গুরুত্ব দিচ্ছে না হিয়া।আরেক টা জিনিস হিয়ার সামনে এসেছে।আর তা হল ঐ তৃপ্তিকে বিয়ের আগে থেকেই চিনতো দিল।
পা থেকে মাথা অবদি হোটেলে তার দেখাই হয়েছিলো।
তবে কেন দিল আমাকে জীবনে জরালো কোন কেন? আমি তো জোর করেনি..

—আর আয়াত কে এসব থেকে দূরে রাখার একটাই উপায়।আর তা তার শাশুরির কাছে আগে বলা দরকার।

“হাতের ব্যাগটা রেখে দিল ক্লান্ত। হিয়া পানির গ্লাস টা দিলের দিকে বারিয়ে দিয়ে আরেকটা পাশে বসেছে।

দিল?
” হুম।
“তোমার বোন নিলা কানাডায় আছে কত দিন যাওয়া হয় না। না ওদের আসা হয়।আর সেখানে পড়াশুনার জন্য বেশ ভালো স্কুল।খেলা ধুলা আরো কিছুরই সুবিধা আছে জানলাম।

-ফরেন কান্ট্রি যখন দেশ থেকে তো ভালো হবেই।
তা হঠাৎ নিলার পিছু নিলে যে??
” নাহ আসলে দিল। নিলার কাছে যদি আয়াতকে রেখে আসি!!
-কেন? দেশে কি হয়েছে?
“কিছু হয় নি দিল। আসলে এদেশ আর ঐ দেশে তো বহু তফাত।আর আজ কাল পড়াশুনার জন্য তো বেশির ভাগ বাবা মা তাদের বাচ্চাদের বিদেশ পাঠায়।
” দিলও বুঝতে পারছে কথাটা মন্দ বলেনি হিয়া।যুগ পাল্টাচ্ছে আর তালে তাল তো মিলাতেই হবে।
–হুম সব তো বুঝলাম।তবে তোমার মেয়ে তোমায় ছারা থাকবে???আর তুমিই থাকতে পারবে নাকি,?
– ভেবে নাও নয়তো দেখা যাবে দুদিন পর ওকে আমার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছো।
” না দিল আমি পারব আর পারতে তো হবেই।
আর আয়াতকেও মানিয়ে নেব।

___আয়াত কি ওর ফুপ্পির কাছে রইল না এখানে এ নিয়ে দিল কে মাথা ঘামাতে দেখলো না হিয়া।একবার বলাতেই রাজি। এক বার বারন করে বললো না। না হিয়া মেয়ে আমার কাছে থাকবে…..তাহলে মেয়ে কি ওর জন্য মাথা ব্যাথা।
আর হয়তো আমিও।
_____________

–ভেবে দেখো বৌ মা।তুমি বললে আদিলের সাথে কথা বলি আমি!!
– হিয়ার শাশুরি নামাজি এক জন মানুষ।বেশ আল্লাহর ধ্যানেই রয়।তবে তাই বলে বাড়িতে কি হচ্ছে চোখ তো সেদিকেও যায়।
“হিয়া এই বাড়িতে আসার পর নিলার কমতিটা পূরন হয়েছিলো।তবে আদিল যা করছে এতে মনে হয় না সংসার টা টিকবে।
ওর বাবার গরা মান সন্মান সব কি ধুলোয় মিশিয়ে খান্ত হবে সে।

–হিয়া তার শাশুরির পাশে বসে চুপ হয়ে রইলো কিছুক্ষন। ওর শাশুরিকে সব না জানিয়ে পারা গেলো না। বছর দুই আগে হিয়া উনাকে সব জানায়।
উনি বড্ড ভেঙে পরেছিলো।
ছেলের কু কর্ম শুনে।আর হাতে কয়েকটা প্রমান ও ছিলো। ঐ মেয়েকে ঘরে উঠানো টা তো উনিও ভালো চোখে দেখনি।

—দির্ঘ শ্বাস নিয়ে হিয়া উঠে দাড়িয়েছে।মা আমার সিন্ধান্ত হয়তো ঠিক না।তবে আয়াতের জন্যে এই ভালো।
ও বড় হচ্ছে কিছুদিন পর সব বুঝতে পারবে।মুখে না বললেও ওর বাবার প্রতি কোন ঘিন্না না জন্মে যায়।এর চেয়ে দূরে ভালোবাসা মেখে থাকুক।
আমি চাই না আমার স্বামী কারো কাছে ছোট হক।
–জানিনা বৌ মা কি হবে,তবে আমার এই সংসার জেনো ঠিক থাকে।তাই দোআা করব।
——

-নিলা এসেছে আয়াত কে নিতে।
নিলারও একটি মেয়ে আছে দুই বছরের।
ওকে আনেনি।কারন ওর বাবার কাছেই নাকি থাকে সারাক্ষন।মা এলো না গেলো এতে মাথা ব্যাথা নেই।ওর বাবাই ওর দুনিয়া।তাই তো দুই বছরের মেয়েকে রেখে নিলা আসতে পেরেছে নিশ্চিন্তায়।
“”আর এক দিল– মেয়েকে একবার কাছেও ডাকে না।

“”-আয়াত কেঁদে কেঁদে একাকার ওর আম্মুকে ছারা যাবেই না কিছুতেই না।
হিয়া আয়াত কে কত রকম বাহানায় মন ভুলাতে ব্যাস্ত।হিয়ার কাছে ঠাই না পেয়ে এবার বাবা নামক মানুষটার পাশে হাত ধরে দাড়িয়েছে।
আব্বু আমি যাবো না, আম্মুকে বলো না আমায় ফুপ্পির সাথে না পাঠাতে….
” আদিলের এক হাত হিয়া ধরে আর আকুল নিবেদন।আর অন্য হাত টা এখনও ফোনে।হয়তো কোথাও বের হবে। জলদি তে আছে মনে হয়।
আয়াতের ডাকে মেয়ের দিকে একবার তাকিয়ে বললো -তোমার আম্মু তোমার ভালোর জন্যেই বলছে মামনি।
মায়েরা কখনো সন্তানের খারাপ চায় না।

আয়াত ছোট্ট হলেও বাবার কথাটা বুঝতে পেরেছে।বাবাও দূরে পাঠাতে চায়।এখানে কেও আমার আপন নয়। না দাদী মা -না আম্মু আর না আব্বু।
চলেই যাবো থাকব না এখানে।
এক রাশি অভিমান নিয়ে আয়াত তার ফুপ্পির সাথে জেতে প্রস্তুত।

–নিলাকে সব জানিয়েছে আদিলের মা।মেয়ের কাছে লোকাতে পারল না।তবে হিয়া চায় নি ওর স্বামীর ব্যাপারে অন্য কেও জানুক।যেমনই আছে ওকে তো আর অন্য স্বামীর মত জ্বালাচ্ছে না।
রাত জাগিয়ে ভালোবাসায় মাখতে ডাকছে না। কাজ করতে গেলে কাছে ডেকে আদর করতে চাইছে না। এত ভালো স্বামী কারো হয় নাকি?

+—-আদিল কত বলদে গেছে কতটা বদলাতে পারে তাই দেখার পালা।

এয়ারপোর্টে আয়াত কে বিদায় দিলো হিয়া আর ওর শাশুরি।আদিলের এত মিটিং থাকে মনে হয় না অন্য ব্যাবসায়িরা বছরে এত মিটিং এটেন্ড করে।

তবে ৪/৫ মাস ধরে তৃপ্তি নামক মেয়েটাকে বাড়িতে আনছে না।হয়তো অন্য কোথায় রাত জাগার জায়াগ করেছে।কত রাতই তো বাড়িতে ফিরে না।জিজ্ঞাসা করলে শত বাহানা থাকে।এখন তো জিজ্ঞাসা ও করা হয় না।
অর্ধেক রাস্তা আসার পর একটা ফোন আসে হিয়ার মোবাইলে।

-নাম্বার টা পরিচিত।তাই চট করে ফোনটা তুলা হয়।
—হ্যালো!
“হ্যালো ম্যাম প্লিজ -আমার কথার তো এবার গুরুত্ব্য দিন।
সব শেষ হতে চলছে।
প্লিজ স্যার কে আটকান।
আমার সামনে এসব হচ্ছে চুপ থাকতে পারছি না।
কারন আপনায় আমি আমার বোনের মত দেখি।

—- ও কর্ন- আদিলের অফিসের ম্যানেজার পোষ্টে আছে।
হিয়াকে বোনের মত স্নেহ করে।বেশ বুদ্ধিমান ও সতৎ ছেলে।

অফিসের সব খবরা খবর হিয়াকে জানাচ্ছে।
আদিল কিভাবে মেয়েদের পিছনে টাকা নষ্ট করছে।
ব্যাবসা লাটে উঠছে।মার্কেটে বহু দেনাও হয়ে গেছে।
হিয়া এসবে কান দেয়নি।কারন এগুলো আদিলের ওর যা খুশি করুক না।

–তবে এখন যে খবর টা শুনালো কর্ন এতে হিয়ার রুহু কেঁপে উঠেছে।

-কর্ন বলতে গিয়ে চোখের পানি ছেরে দিয়েছে।

-নাহ হিয়া আর ছার দেয়া চলবে না।আদিলকে এবার থামাতে হবে।আর নয় বহুত হয়েছে আর নয়।
-চোখের পানিটা মুখে এবার কর্ন কে বলে উঠলো।
তৃপ্তি এখন কোথায়???
” জামিনা ম্যাম। আর প্লিজ জলদিতে কাজ নয়।ভেবে চিন্তে নিন।
আর হ্যা অফিসে আসার ব্যাপার টা একটু ভেবে দেখবেন।আপনি এলে হয়তো ব্যাবসাটা টিকতে পারে।আপনার জন্য না হক।আপনার মেয়ের ভবিসতৎ বলে কথা।

–হ্যা হিয়া মন স্থির করেছে।কাল থেকেই আদিলের অফিসে সে যাবে। ওকে জেতেই হবে। ওর অধিকার আছে অফিসে। ওর স্বামীর অফিস।আর এই অধিকার এবার ঘাটাতেই হবে।
আর এর আগে তৃপ্তির সাথে দেখা করতে হবে।
প্রথম তো ভেবেছিলাম এক নারী।এখন দেখছি না বহু নারী নিয়ে এক ভয়ংকর খেলায় মেতেছে আদিল।
আমি অন্য কারো জীবন নিয়ে ওকে খেলতে দেবো না কিছুতেই না।
ওকে থামানোর জন্য যা যা দরকার সব করব সব।

(চলবে)

[ঘুমাইলে হইব? 🤐সারা দিয়ে পাশে থাকবেন আশা করি.]😁

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here