#প্রেমাসক্তি
#পর্ব__০৬
#অদ্রিতা_জান্নাত
ইশানের এরকম ফিসফিসানো শান্ত আওয়াজে কেঁপে উঠলো ইশিতা ৷ “ভালোবাসি” শব্দটা শুনে ওর সারা শরীর জুড়ে এক শিহরণ বয়ে গেল ৷ ইশানের হাত খামচে ধরলো ও ৷ অসস্থি হচ্ছে ওর ৷ ইশানের এতো কাছে থাকায় শ্বাস আটকে আসছে ওর ৷ ইশিতার থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে ইশান আবার বলতে লাগলো,,,,,,,
ইশান : অনেক ভালোবাসি তোমাকে ইশিতা ৷ কবে, কীভাবে, কখন ভালোবেসেছি সেটা আমি জানি না ৷ শুধু জানি আমার সর্বস্ব দিয়ে তোমায় ভালোবেসেছি ৷ আজ তো চলে যাবো তাই আমার ভালোবাসাটা প্রকাশ করে দিলাম তোমার কাছে ৷
বলেই ও চুপ হয়ে গেল ৷ ইশিতা এখনো চুপ তাই ইশান আবার বললো,,,,,,,
ইশান : কিছু বলবে না?
ইশিতার মাথা ঘুরাচ্ছে এবার ৷ তবুও ও কাঁপাকাঁপা গলায় বললো,,,,,,,,,
ইশিতা : ছাড়ুন আমাকে ৷
এই মূহুর্তে ইশিতার মুখে এই কথাটা হয়তো ইশান আশা করে নি ৷ মনে করেছিল ইশানের জন্য একটু হলেও ফিলিংস রয়েছে ইশিতার মনে ৷ কিন্তু সেটা কি ভুল? ইশান ছেড়ে দিলে ইশিতা দৌঁড়ে চলে গেল রুম থেকে ৷ ইশিতার মুখের অবস্থা ইশান দেখতে পায় নি ৷ দেখলে হয়তো বুঝতো ওর মনে কি চলছে এখন? ইশান কিছুক্ষন ওদিকে তাকিয়ে থেকে একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে রেডি হতে চলে গেল ৷
এক প্রকার দৌঁড়ে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলাম ৷ এতক্ষন কি হলো কিছুই মাথায় ঢুকছে না আমার ৷ শুধু ইশানের “ভালোবাসি” বলা কথাটা মাথায় বাজছে ৷ নিজেকে সামলাতে পারছি না ৷ অসস্থি লাগছে ৷ মাথাটাও ঘুরাচ্ছে ৷ খাটের উপর বসে ব্যাগ থেকে একটা স্লিপিং পিল বের করে খেয়ে নিলাম ৷ মাথা যেমন ঘুরছে তেমন ব্যথাও করছে ৷ আর এসময় এটা না খেলে পাগল হয়ে যাবো আমি ৷ আগে নিজেকে শান্ত করি তারপর ইশানের কথা ভেবে দেখা যাবে ৷ এসব ভাবতে ভাবতেই চোখ জোড়া বুজে এলো ৷
______________
ইশান রেডি হয়ে ইশিতার রুমের কাছে চলে এলো ৷ শেষ বারের মতো একটু দেখে যাবে সেটা ভেবে ৷ রুমের কাছে এসে দরজায় বার কয়েক নক করলো ও ৷ কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো রকম শব্দ আসছে না দেখে ভয় পেয়ে গেল ইশান ৷ আরো কয়েকবার নক করেও দরজা খুলাতে পারলো না ৷ দৌঁড়ে রিসিপশানে গিয়ে ইশিতার রুমের এক্সট্রা চাবি নিয়ে এসে রুমের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো ৷ রুমের ভিতরে গিয়ে ইশিতাকে ঘুমাতে দেখে স্বস্তি পেল ৷ ওর কাছে গিয়ে ওর পাশে বসলো ইশান ৷
হাতে আর বেশি সময় নেই ৷ ২৫ মিনিটের মতো আছে তারপরেই ইশানের ঢাকা যাওয়ার ফ্লাইট ৷ এয়ারপোর্ট যেতেও টাইম লাগবে ৷ এদিকে ইশানের ইশিতাকে ঘুমন্ত অবস্থায় এভাবে একা রেখে যেতে ইচ্ছা করছে না ৷ আবার ওকে জাগাতেও ইচ্ছা করছে না ৷ তাই ও আর জাগালো না ওকে ৷ গায়ে চাদর টেনে দিয়ে উঠে পরলো ৷ দরজা দিয়ে বের হওয়ার সময় আরেকবার পিছন ফিরে ইশিতাকে দেখে বেরিয়ে গেল ৷ হয়তো এটাই ওর শেষ দেখা আবার হয়তো না ৷ ইশান ভেবেছিল এখন ইশিতার থেকে সবটা জেনে নিবে ৷ যে ইশিতা ভালোবাসে কি না ওকে? কিন্তু সেটা আর হলো না ৷
★★★
মাথায় হাত দিয়ে উঠে বসলাম আমি ৷ ঝিমঝিম করছে মাথাটা ৷ তবে মাথা ব্যথাটা নেই আর ৷ চোখ কচলে আশেপাশে তাকালাম ৷ ঘড়ির দিকে চোখ পরতেই অবাক হয়ে গেলাম ৷ ০৪ টা বাজে? ইশানের ফ্লাইট তো ০১ টায় ৷ তাহলে কি উনি আমাকে কিছু না বলেই চলে গেলেন? আমি তো ঘুমিয়ে ছিলাম ৷ একবারও কি আসে নি আমার কাছে? উফ কেন যে ঘুমের ওষুধটা খেতে গেলাম ৷ নিজের উপরেই রাগ হচ্ছে এখন ৷ তাড়াতাড়ি করে পাশের হোটেলে চলে গেলাম ৷ ইশানের রুমের কাছে যেতেই দেখি রুমের দরজায় তালা ঝুলছে ৷ বুঝতে আর বাকি রইল না যে আমি দেরি করে ফেলেছি ৷ কান্না পাচ্ছে এখন ৷ নিজেকে নিজেরই মারতে ইচ্ছা করছে ৷
আবার দৌঁড়ে রিসিপশানে গিয়ে বলতে লাগলাম,,,,,,,
ইশিতা : ২…২০২ ননাম্বার রুমের চচাবি আছে? একটু দিবেন প্লিজ ৷
—- উম…এই রুমের মানুষ তো আজ চলে গেছে ৷ আপনি চাবি নিয়ে কি করবেন ম্যাম?
ইশিতা : আআসলে রুমটাতে একটু খুঁজে দেখতাম কিছু পাই কি না? ওই রুমে যে থাকতো সে আমাকে না বলেই চলে গিয়েছে ৷ তাই একটু দেখতাম চাবিটা দিবেন প্লিজ৷
—- সরি ম্যাম আমাদের এখানে এরকম কোনো নিয়ম নেই ৷
ইশিতা : পাঁচ মিনিটের জন্য শুধু প্লিজ ৷
—- সরি ম্যাম আমি এরকম করলে আমার চাকরি থাকবে না ৷
কিছুক্ষন চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম আমি ৷ কিছু একটা মনে আসতেই আবার বলতে লাগলাম,,,,,,,
ইশিতা : নাম্বার? আআপনাদের এখানে নাম্বার আছে না? আই মিন একটা রুম বুক করতে নিলে তো আপনারা তার ফোন নাম্বার লিখে রাখেন ৷ আআছে না সেটা?
—- ওকে ওয়েট আ মিনিট ৷
বলেই মেয়েটা একটা বড় ডায়রী বের করে পেইজ উল্টিয়ে উল্টিয়ে দেখতে লাগলো ৷ তারপর হঠাৎ করেই বলে উঠলো,,,,,,,,,
—- ওই রুমে কে ছিল? নাম কি?
ইশিতা : ইইশান ৷ ইশান খান ৷
—- হুম এই নিন দেখুন ৷
বলেই ডায়রীটা আমার দিকে ঘুরিয়ে এগিয়ে দিল ৷ একটা ফোন নাম্বার দেওয়া আছে ৷ বাট আমি ফোন আনিনি ৷ পাশে থাকা টেলিফোনটার দিকে ইশারা করে বললাম,,,,,,,,
ইশিতা : can i?
—- yeah sure
নাম্বার ডায়াল করে কল দিলাম ৷ বাট ওপাশ থেকে একটা মহিলা বললো ‘এই মূহুর্তে সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না ৷’ রাগে ঠাস করে টেলিফোনটা রেখে দিলাম ৷ ওই মেয়েটা অবাক হয়ে তাকালো আমার দিকে ৷ আমি ঘুরে চলে যেতে নিলেই মেয়েটা ডেকে বললো,,,,,
—- excuse me ম্যাম আপনি কি ইশিতা চৌধুরি?
পিছনে ঘুরে অবাক হয়ে বললাম,,,,,,,,
ইশিতা : হুম কেন?
মেয়েটা আমার হাতে একটা খাম দিয়ে বললো,,,,,,,,,,
—- আমি চিনতে পারি নি তাই দি নি ৷ এটা আপনার ৷
ইশিতা : মানে? কে দিয়েছে এটা?
—- আপনি যাকে খুজছিলেন সেই ই দিয়ে গিয়েছে আমাকে আর বলেছে আপনি আসলে আপনাকে দিতে ৷ এতক্ষন আমার মনে ছিল না তাই দিতে পারি নি ৷ মাত্র মনে হলো ৷
মেয়েটার হাত থেকে খামটা নিয়ে বললাম,,,,,থ্যাঙ্কিউ ৷ তারপর দৌঁড়ে হোটেলে চলে এলাম ৷ রুমে এসে দরজা বন্ধ করে খামটা নিয়ে খাটে বসলাম ৷ খামটা খুলে ভিতরে হাত দিয়ে দেখি ভেতরে একটা কাগজ ৷ কাগজটা বের করে খুলে দেখি এখানে কিছু লিখা ৷ একদম চিঠির মতো করে ৷ আস্তে আস্তে পড়তে লাগলাম,,,,,,,,,
‘প্রিয়’
নাম বলবো না ৷ কাকে বোঝাতে চেয়েছি হয়তো বুঝেই যাবে ৷ তাই শুধু শুধু আর মেনশান করলাম না ৷ এই চিঠিটা যখন পরবে তখন হয়তো তোমার থেকে দূরে চলে গিয়েছি আমি ৷ জানো তো অনেক কষ্ট হয়েছে তোমাকে একা রেখে চলে যেতে ৷ কিন্তু আমি থাকবো কেন বলতে পারো? তুমি তো ভালোবাসো না আমাকে ৷ সত্যি কি তাই? তাহলে তুমি আমার রুমে ছুটে গেলে কেন? কাঁদছিলে কেন? আমি এটা দিয়েছি বলে হেসেছিলে কেন? ভাবছো এসব আমি বুঝলাম কি করে? ভালো তো আর এমনি এমনি বাসি নি না? ভালোবেসেছি অথচ মনের কথা বুঝবো না এটা কি করে হয় বলো? সত্যি বলতে তোমাকে প্রথম যখন বধূ বেশে দৌঁড়ে আসতে দেখেছি তখনি তোমার উপর চোখ আটকে গিয়েছিল আমার ৷ তারপর তুমি যখন বাসে আমার পাশে বসলে তখন একটা শান্তি লেগেছিল মনে ৷ আমাকে হাত ধরে টেনে বের করলে তখনও এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করেছিল ৷ তারপর আমাকে টেনে বাস থেকে নামানো, টেনে ঝোপের আড়ালে নিয়ে যাওয়া, আমার মুখ ধরতে গিয়ে আমার উপর পরে যাওয়া, আমার সঙ্গে খুটিয়ে খুটিয়ে ঝগড়া করা, যখন তোমাকে ধমক দিয়ে কথা বলেছি তখন তোমার সেই চেহারাটা, একদিনের জন্য ভাড়া করা সেই রিসোর্টে হাত বাড়িয়ে মেঘ ছোয়া, শৈলপ্রপাতে খিলখিল করে হাসা, তারপর আমার চুল এলোমেলো করে দেওয়া, বৃষ্টির মধ্যে আমার হাত ধরে হাঁটা, বৃষ্টি ভেজারত অবস্থায় তোমাকে দেখা প্রত্যেকবার নতুন করে প্রেমে পরেছি আমি তোমার ৷ সবচেয়ে ভালো লেগেছে ভেজা চুলে তোমাকে দেখে ৷ সেটা এখনো ভাসে আমার চোখের সামনে ৷ অনেক ভালোবাসি তোমায় ৷ চলে যাচ্ছি ৷ আর কখনো দেখা হবে কি না জানি না ৷ ভাগ্যে থাকলে হয়তো হবে ৷ ঘুমন্ত অবস্থায় তোমাকে জাগাতে ইচ্ছা করছিল না ৷ তাই জাগাই নি ৷ এতে আবার ভুল বুঝো না ৷ অনেক বলে ফেললাম আর নয় ৷ নিজের খেয়াল রেখো আর সাবধানে থেকো ৷ শেষবারের মতো বলছি ভালোবাসি তোমায় ‘ইশিতা’ ৷
ইতি
‘ইশান’
চিঠিটা হাতে নিয়ে বসে আছি ৷ ওনার কথার উত্তর দিতে দেরি করে ফেললাম আমি ৷ এখন কি করবো আমি? কি করে বলবো আমিও ভালোবাসি তাকে? কিভাবে বুঝবে সে? চিঠিটা বুকে জড়িয়ে নিয়ে কাঁদতে লাগলাম ৷
হঠাৎ চোখ যায় খামের ভিতরের দিকে ৷ কিছু একটা লিখা মনে হচ্ছে খামটার গায়ে কিন্তু দেখতে পাচ্ছি না ৷ খামটা সাবধানে ছিড়ে ওই লিখাটা বের করলাম ৷ একটা নাম্বার লিখা ৷ ইশানের নাম্বার নয়তো? টেবিল থেকে ফোনটা নিয়ে ডায়াল করে সেই নাম্বারে কল দিলাম ৷
________________________
ইশান সোফায় বসে ওর বাবা আর ভাইয়ার সাথে কথা বলছিল ৷ তখনি ওর ফোনটা বেজে উঠলো ৷ ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকাতেই ‘ইশিতা’ নামটা ভেসে উঠলো ৷ ইশান আগে থেকেই ইশিতার নাম্বার ওর ফোনে সেভ করে রেখেছিল ৷ আর ওর ফোন নাম্বার একটা খামে লিখে দিয়ে একটা চিঠি লিখে ওই খামে ভরে রিসিপশানে দিয়ে এসে বলেছিল যে ‘ইশিতা চৌধুরী নামের কেউ ইশানকে খুঁজতে আসলে সে যেন এটা তাকে দিয়ে দেয়’ ৷ ইশিতার ফোন দেখে ইশান খুশি হলো ৷ তারমানে ইশানকে খুঁজেছে ইশিতা ৷
এসব ভাবতে ভাবতেই ফোনটা কেটে গেল ৷ আবার বেজে উঠলো ৷ ইশানের বাবা বলতে লাগলেন,,,,,,,,
—- কে ফোন করেছে ইশান? দেখ ধর ফোনটা ৷
ইশান : হ্যাঁ হ্যাঁ আমি একটু আসছি ৷
বলেই উঠে অন্যদিকে চলে গেল ও ৷ ফোনটা রিসিভ করে কানে ধরতেই ওপাশ থেকে ইশিতার কান্নার আওয়াজ শুনে ওর বুকটা ধুক করে উঠলো ৷ কোনো রকমে বললো,,,,,,,,
ইশান : কি হয়েছে ইশিতা? কাঁদছো কেন তুমি?
ইশানের কথা শুনে ইশিতা আরো কাঁদতে লাগলো ৷ সেটা দেখে ইশান বললো,,,,,,
ইশান : কান্না থামাও ৷ আই সে স্টপ ক্রাইয়িং ৷ কি হয়েছে বলো আমায়?
ইশিতা হেচকি তুলে বলতে লাগলো,,,,,,,,,,
ইশিতা : আপনি আমার কাছে এক্ষুনি আসুন ৷ এখন মানে এখন ৷ যদি না আসেন তো আমি…আমি সুইসাইড করবো ৷
ইশান : হোয়াট?? ইশিতা পাগল হয়ে গিয়েছো তুমি? কি সব বলছো? শান্ত হও তুমি ৷
ইশিতা : আপনি আসবেন নাকি আমি সুইসাইড করবো কোনটা?
ইশান : আরে বাবা আমি মাত্র এলাম আর মাত্রই চলে যাবো?
ইশিতা : হ্যাঁ যাবেন ৷ রাত ১১ টা পর্যন্ত টাইম দিলাম ৷ এর মধ্যেই আপনি আমার কাছে আসবেন নাহলে আমি…
ইশান : বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু এবার ৷
ইশিতা : হ্যাঁ আমি এবার একটু বেশিই করবো ৷ আপনি আসুন ৷ না আসলে আজ সত্যিই আমি নিজের কিছু একটা করে বসবো ৷ সময় রাত ১১ টা পর্যন্ত ৷
বলেই ইশানকে আর কিছু বলতে না দিয়ে ফোনটা রেখে দিল ইশিতা ৷ সঙ্গে বন্ধও করে দিল ৷ ইশান আবার ফোন দিল বাট ফোন অফ ৷ রাগ লাগছে এখন ওর ৷ অলরেডি ৫ টা বাজে যদি ১১ টার মধ্যে পৌঁছাতে না পারে তাহলে? বাড়ির কাউকে কিছু না বলে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেল ৷ যে করেই হোক ওকে ১১ টার আগে পৌঁছাতেই হবে ৷
______
রাত ১০ টা বাজে ৷ খাটে মাথা দিয়ে ফ্লোরে বসে আছি আমি ৷ মূলত অপেক্ষা করছি ইশানের জন্য ৷ যদি সত্যি ভালোবেসে থাকে তবে আজ উনি আসবেন ৷ কিন্তু ১০ টা তো বেজে গেছে আদো কি আসবে? বসে বসে এসব ভাবছি ৷ প্রায় অনেকক্ষন পর দরজা ধাক্কানোর শব্দে চমকে উঠলাম ৷
এতো রাতে দরজা কে ধাক্কাবে? পরক্ষনেই ইশানের কথা মনে পরলো ৷ দৌঁড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেখি সামনে ইশান দাঁড়িয়ে আছে ৷ দৌঁড়ে গিয়ে ইশানকে জড়িয়ে ধরলাম ৷ হঠাৎ এরকম হওয়ায় ইশান দু কদম পিছিয়ে গেল ৷ তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলাম,,,,,,,,,
“অনেক খারাপ ৷ তুমি অনেক খারাপ ৷ আমাকে একা ফেলে রেখেই চলে গেলে ৷ আমাকে না বলেই চলে গেলে ৷ আবার গেলে তো গেলে একটাও খোঁজ নিলে না আমার ৷ আসতেও চাইলে না এখানে ৷ খুব খারাপ তুমি ৷ সব মিথ্যা ৷ একটুও ভালোবাসো না আমায় ৷”
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,