ভালোবাস কি আমায় পর্ব ১২+১৩

#ভালোবাস কি আমায়🍁
#Part-12
#Writer #Saima Islam Mariam❤️
.
🍁
.

রাত ৩টায় রেহানের ঘুম ভেঙে যায়। বিছানা থেকে উঠে পানি খেতে গিয়ে দেখে রুমে পানি নেই।রেহানের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, কোনো রকম বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়…. মাথা এখনো ভার হয়ে আছে… আস্তে আস্তে হেটে নিচে গিয়ে পানি নিয়ে আসার সময় মায়ার রুমে দিকে চোখ যায়….মায়ার রুমে এখনো লাইট জ্বলছে… রেহান খুব সাবধানের সাথে মায়ার এগিয়ে যায়…. রুমে গিয়ে দেখে মায়া নে,বেলকণিতে গিয়ে দেখে মায়া সেখানেও নেয়..রেহান রেগে যায়
—- এতো রাতবিরেত মায়া গেলো কোথায়? এর কি কোনো বুদ্ধি সুদ্ধি হবে। রেহানের হঠাৎ ছাদে কথা আসতে…রেহান ছাদে চলে যায়।

মায়া এখনো ছাদের রিলিং ধরে আকাশের দিকে তাকি আছে।রেহান দ্রুত পায়ে এগিয়ে মায়া পিছনে দাঁড়ায়….মায়ার কাঁধে হাত দিতেই মায়া চমকে উঠে পিছন দিকে তাকায়

— একি আপনি এই সময় ছাদে কেনো এসেছেন?
— তুই এতো রাতে ছাদে কেনো আসছিস?
মায়ার রেহানের কথায় আকাশের দিকে তাকায়। রেহান মায়ার দিকে তাকিয়ে দেখে মায়া আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে
— মায়া ছেলেটা কে?
মায়া অবাক হয়ে রেহানের দিকে তাকায়।
— কোন ছেলে?
— ন্যাকামো করছিস? রাস্তায় দাঁড়িয়ে যে ছেলের সাথে কথা বলছিলি ওই ছেলে টা কে,, তোর কে হয়?
— আমার যে হোক না কেনো তাতে আপনার কি? আমি কার সাথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বললাম না বসে কথা বললাম তাতে আপনার কি এসে যায়? আপনি আমাকে নিয়ে এতো মাথা ঘামাচ্ছে কেনো?
রেহান এইবার রেগে যায়….. চোখ দুইটা অসম্ভব রকম লাল হয়ে গেছে..মায়ার দু হাতের বাহু খুব শক্ত করে চেপে ধরে
— আমার অনেক কিছু এসে যায়!
—ছাড়ুন আমার হাতে লাগছে! আপনার কি এসে যায় হ্যাঁ? আমার ব্যাপারে ইন্টারফেয়ার করা অফ করুন মিস্টার খান!
— হাজার বার তোর ব্যাপারে ইন্টারফেয়ার করবো! বিকজ আমি তোকে….

রেহান আর পরের শব্দটা মুখ থেকে বের করেনি.! মায়া অবাক হয়ে রেহানের দিকে আছে
— আপনি আমাকে কি মিস্টার
খান?
— কিছু না। তুই কি ভেবেছিস হ্যাঁ তুই আমার ফ্রেন্ড রাফি কে ঠকাবি আর আমি সেটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবো। একটা কথা কান খুলে শুনে রাখ মায়া তুই আর ওই ছেলেটার সাথে মিশবি না কথাও বলবি না
— ক্যারেক্টারলেস মেয়ে একটা

মায়া এতোক্ষণ চুপ করে ছিলো রেহানে ক্যারেক্টারলেস কথাটা শুনে এইবার রেগে যায়… রেহানের মুখে ঠাস করে থাপ্পড় বসিয়ে দেয়
— আমার ক্যারেক্টার নিয়ে কথা বলার রাইট আপনাকে কে দিয়েছে মিস্টার খান? আমার ক্যারেক্টার নিয়ে কথা বলার আপনি কে? চলে যান আমার চোখের সামনে থেকে আর কখনো আমার সামনে আসবেন না।আপনার মতো লোকের মুখ আমি দেখতে চাই না..(রেগে)

রেহান মায়ার হাত ছেড়ে দিয়ে ছাদ থেকে চলে যায়। মায়া ধব করে নিচে বসে যায়। চিৎকার করে কান্না করতে থাকে।
!
হঠাৎ নিচ থেকে এক অদ্ভুত হাসি শুনতে পাই মায়া। মায়া উঠে দাঁড়ায়. নিচের দিকে তাকাতে একটা ছায়াকে সড়ে যেতে দেখে
— কে ওখানে?
ছায়াটা ওখন থেকে সড়ে যায়

🍁

মুখশের পিছনে, অট্টহাসিতে মেতে উঠে এক জন। হাসতে হাসতে বলে মায়া তোমাদের জীবনে একটু একটু করে সর্বনাশের ঝড় ধেয়ে আসছে। তোমার আর রেহানের মাঝে আর দূরত্ব বাড়বে আর সেটা করবো আমি! আমার সাথে যা করেছো তার জন্য তোমাদের কে পানিশমেন্ট পেতেই হবে ( শয়তানি হেসে)

# কেটে যায় ২টা মাস

এই দুই মাসে মায়া রেহানের সামনে একটা বারের জন্য আসেনি।ভুল করে যদি ও চলে আসে রেহান কে এড়িয়ে যেতো।দুই জনে একই ছাদের নিচে তবুও দুজনের মাঝে একটা দেয়াল দাঁড়িয়ে আছে।

— অন্য দিকে মুখশের পিছনে থাকা লোকটা… মায়া আর
নিলয়ের সাথে অনেক রকমের ছবি রেহান কে প্রতিনিয়ত রেহানকে পাঠায়….রেহান এইসব দেখেও চুপ করে থাকে

.
মায়া কলেজের ক্লাস শেষ করে বাসায় আসার সময় রাস্তায় নিলয় মায়ার রাস্তা আটকে দাঁড়ায়।

— মায়া বেবী আর কতো আমাকে ইগনোর করবে বলো তো! তোমার ভালোবাসা পেতে আমাকে আর কতো ওয়েট করতে হবে?

— আমি আপনাকে আগেই বলেছি। আমি আপনাকে কখনো ভালোবাসতে পারবো না

— কেনো মায়া বেবী? আমি কি দেখতে এতোটাই খারাপ যে আমাকে ভালোবাসা যায় না?(মুখ গুমড়া করে)

—বিকজ আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি।আর আমার মনে শুধু তার জন্য ভালোবাসা বরাদ্দ

— কে সে হতভাগা যে আমার ভালোবাসার মধ্যে ভাগ বসাচ্ছে? তুমি শুধু তার নামটা বলো তাকে
আমি মেরে পুঁতে ফেলবো!

— সেটা জেনে আপনার কাজ নেই। আমার সামনে থেকে সড়ে যান আমাকে বাসায় যেতে হবে অনেক লেট হয়ে গেছে!

— আগে সে ছেলেটার নাম বলো দেন যেতে দিবো

— লিসেন আপনি খুব বাড়াবাড়ি করছেন।সরুন আমার সামনে থেকে

— বাড়াবাড়ি দেখলে কি মায়া বেবী? তুমি যদি এখন এই মুহূর্তে ছেলেটার নাম না বলো তাহলে আরো বাড়াবাড়ি শুরু করবো!!
.
.
কেউ রাস্তার অপরপ্রান্ত থেকে জোরে মায়া বলে ডেকে ওঠে মায়া তাকাতে দেখে। আনিতা আর রাফি

নিলয় রাফি কে দেখে তাড়াতাড়ি চলে যায়।মায়া আনিতার কাছে যায়।

— আনু শাঁকচুন্নি কেমন আছিস?(মুচকি হেসে)

—- মায়ার তুই আমাকে শাঁকচুন্নি বলা কখন বন্ধ করবি বলতো!(ঠোঁট উল্টে)

— যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন তোকে শাঁকচুন্নি বলে ডাকবো( দাঁত কেলিয়ে)

— মায়া রাফির দিকে তাকিয়ে রাফি কে আস্ক করে

— কেমন আছো রাফি জিজু

—- বেশ ভালো। তুমি কেমন আছো?

— আমি ও বেশ ভালোয় আছি। তা তোমরা কোথায় যাচ্ছো?

— ডক্টর এর কাছে যাচ্ছি(রাফি)

—- ডক্টর এর কাছে কেনো যাচ্ছো?আনু তুই ঠিক আছিস তো,(আনিতার গাঁয়ে হাত দিয়ে)

— আরে আরে আমার কিছু হয়নি।

— তাহলে ডক্টর এর কাছে কেনো যাচ্ছিস

— রাফি মুচকি হেসে বলে আনিতা প্রেগন্যান্ট তাই তাকে ডক্টর এর কাছে চেক আপ করতে যাচ্ছে!!

মায়া রাফির কথা শুনে লাফিয়ে উঠে

—- কি!!!! আমি মিমি হবো?
—হুম তুই মিমি হবি!

মায়া আর দাঁড়িয়ে না থেকে আনিতা আর রাফিকে নিয়ে ডক্টর এর কাছে চলে যায়

#৪০ মিনিট পর

আনিতা চেক আপ রুমে। মায়া আর রাফি বাহিরে এককটা বেঞ্চে বসে আছে।

কেউ একজন দূর থেকে তাদের ছবি তুলে। মায়া সে দিকে তাকাতে দেখে কেউ তাদের ছবি তুলছে মায়া বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়।ছেলেটি দৌড়ে চলে যায় দূর ভাগ্যবশত ছেলেটি মুখশ পড়া ছিলো তাই মায়া ছেলেটিকে দেখিতে পাইনি….
#ভালোবাস কি আমায়🍁
#Part-13
#Writer #Saima Islam Mariam❤️
.
🍁🍁
.

– আনিতা চেক আপ রুম থেকে বেরিয়ে আসে। মায়া, রাফি, আনিতা ৩জনে ডক্টর এর চেম্বারে যায়।

— ডক্টর কেমন দেখলেন?(রাফি)

—টেনশন করার কিছু নেই বেবি এন্ড মা দুইজনে সুস্থ আছে।শুধু একটু সাবধানে রাখবেন, আর খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করবেন তাহলে বেবি সুস্থ থাকে

— ওকে ডক্টর! থ্যাংকইউ সো মাচ (রাফি)

— মাই প্লেজার

দেন ৩জনে চেম্বার থেকে বেরিয়ে যায়। রাফি মায়া আর আনিতাকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্ট যায়

—মায়া ছেলেটা কে ছিলো? আর আমাদের ছবি বা কেনো তুলেছিলো?

— আমি কিছু জানি না রাফি!

তারপর মায়া ২মাস আগে রাতের কথা সব খুলে রাফি,

— ব্যাপারটা কেমন জানি সন্দেহ জনক মায়া।আমার মনে হচ্ছে এতে ফাহাদের কোন হাত আছে(রাফি)
— বাট সেটা কি করে পসিবল? ফাহাদ ভাইয়া তো পুলিশ কাস্টারিতে!

— সবি পসিবল মায়া!(রাফি)

— কিভাবে

— মায়া তোমাকে একটা কথা বলা হয়নি।ফাহাদের একটা ভাই আছে। আমাদের কলেজে পড়ে!(রাফি)

—ওয়াট? কি বলছো এটা।

— হুম ঠিকি বলছি। মেবি তুমি তাকে চিনো!(রাফি)

— কি বলছো টা কি,,, আমি ফাহাদ ভাইয়ার ভাই কি চিনি, আমি তো জানতামি না ফাহাদ ভাইয়া একটা ভাই আছে এন্ড সে আমাদেরি কলেজে পড়ে!! হাউ ইজ পসিবল

— ফাহাদের ভাইয়ের নাম নিলয় আহমেদ

মায়া নিলয়ের নাম টা শুনে শকড খাই।

রাফি আবার ও বলে… আনিতা যখন তোমাকে ডাকছিলো তখন আমি তোমাকে নিলয়ের ভাইয়ার সাথে দেখেছিলাম, নিলয় ভাইয়া হয়তো ভেবেছে আমি তাকে দেখিনি তাই তাড়াতাড়ি মুখ লুকিয়ে চলে গেছে।বাট সে তো জানে না আমি তাকে দেখে নিয়েছি!

মায়া এইবার দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে ফেলে। রেহানের লন্ডন চলে যাওয়ার পর ফাহাদকে পুলিশে দিয়ে দাওয়া হঠাৎ করে নিলয়ের আগমন। মায়াকে ডিস্টার্ব করা তাকে ভালোবাসি বলা,,,, সবি ফাহাদ আর নিলয়ের প্লান ছিলো।

তারপর থেকে মায়া নিলয়ের সাথে আরো বাজে বিহেভ শুরু
করে

#কেটে যায় আরো ১টা মাস

রেহানের সাথে একটা শপিং মলে রাফির দেখা হয় সাথে আনিতাও ছিলো। রাফি, আনিতা তাদের বেবির জন্য কিছু খেলনা কিনতে এসেছিলো

— কিরে রাফি মায়া কে ছেড়ে দিয়ে বোঝি এইবার এই মেয়েটা কে ধরেছিস(আনিতার দিকে তাকিয়ে)

রাফি রেহানের কথা শুনে অবাক হয়ে যায়।
— তোকে মায়া কিছু বলেনি(রাফি)
—- না,,,, মায়া আমাকে আর কি বলবে
এটা বলে রেহান চলে যেতে নিলে

— রেহান তোর সাথে আমার কিছু কথা(রাফি)

—- বাট তোর সাথে আমারমার কোনো কথা নেয়(রেহান)

—- ভাইয়া আপনার সাথে আমার আর রাফি অনেক কথা আছে(আনিতা)

— বাট আমার তো তোমাদের দুই জনের সাথে কোনো কথা নেই

— রেহান প্লিজ আমার কথা গুলো শুন আমাদের মাঝে অনেক ভুল বোঝা বুঝি হয়েছে

অনেক কষ্টে রাফি রেহান কে নিয়ে শপিং মলের একটা কফি শফে গিয় বসে

—- কি বলবি তাড়াতাড়ি বল। আমার হাতে টাইম নেই(রেহান)

রাফি প্রথম থেকে রেহান কে সব কিছু খুলে বলে। আনিতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এন্ড এই সবের পিছনে কে আছে সেটাও বলে

রেহান সব কিছু শুনে স্তব্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে

— তাহলে আমাকে এইসব আগে কিছু জানাই নি কেনো?

— কি করে জানাবে ভাইয়া? ও যতবারি আপনাকে সব কিছু জানানোর জন্য কল করেছে ততবারি আপনার ফোন সুইচ অফ পেয়েছে(আনিতা)

রেহান এইবার একে একে সব বোঝে যায়

রেহান দৌড়ে ছুটে যায় মায়ার কাছে বাট রেহানের বেড লাক

আজকেই নিলয় মায়াকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায়। মায়া কলেজ শেষ করে বাসায় আসার সময় নিলয় মায়াকে তুলে নিয়ে যায়
.
.
.
একটা গোডাউনে মায়াকে চেয়ারের সাথে বেঁধে রেখেছে।

— কি আর করবো মায়া বেবী তুমি তো সব জেনে গেছো তাই এইভাবে তোমাকে কিডন্যাপ করতে হলো অবশ্য এটা ছাড়া আর কোনো অপশন ও ছিলো না (বাঁকা হেসে)

—- আপনি সব কিছু কি করে জানলেন?(জিজ্ঞাসু হয়ে)

— মায়া আই এম নট ফাহাদ আহমেদ আই এম নিলয় আহমেদ! আমার চোখ অল টাইম তোমার উপরে ছিলো!
তুমি কখন কোথায় যাচ্ছো।কার সাথে কথা বলছো।কা কে কি বলছো। অল.. অল নিউজ আমার কাছে থাকতো

— ছিঃ আপনার লজ্জা করছে না।আপনার ভাই এমন জগ্নো কাজ করার পরেও আপনি তাকে সাপোর্ট করতেছেন?

— জাস্ট সাট আপ মায়া বেবী আমার ভাই কে নিয়ে একটা কথাও বলবে না। আমার ভাই কোন অন্যায় না করা শর্তে ও তোমারা সবাই মিলে তাকে পুলিশে দিয়েছো!

— ওয়াট?? আপনার ভাই কোনো অন্যায় করেনি মানে কি? আপনার ভাই আমাদের সাথে এতো বড় গেম খেলার পরেও আপনি বলছেন কোনো অন্যায় করেনি?

— কি করেছে কি আমার ভাই।

—তার মানে আপনি কিছুই জানেন না

মায়া ফাহাদের সব কুকর্মের কথা নিলয় কে জানায়। সব শুনে নিলয় মায়ার সামনে মাথা নিচু করে বসে আছে

আসলে ফাহাদ এতোদিন নিলয় কে ভুল বুঝিয়েছে।বলেছে মায়া,লিজা,মিথিলা,রাফি এরা সবাই প্লান করে ও-কে ফাঁসিয়েছে।বিশেষ করে মায়ার কথা বেশি বলেছে। যেহেতু মায়া ফাহাদ কে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে।

#অন্য দিকে রেহান, আর রাফি মায়া কে বাসায় খুঁজে না পেয়ে, মায়ার মোবাইল ট্রেক করে গোডাউনে চলে আসে।
রেহান মায়াকে বন্ধি অবস্থায় দেখে দৌড়ে এসে নিলয় কে মারতে শুরু করে রাফি এসে মায়ার হাতের বাঁধন খুলে দেয়

মায়া রেহান কে থামতে বলে
— কি করছেন কি রেহান।নিলয়কে ছাড়ুন

— না ছাড়বো না…ওর সাহস কি করে হয় ও তোমাকে কিডন্যাপ করে এনে বেঁধে রাখে।(নিলয় কে মারতে মারতে)

— অনার কোনো দোষ নেই রেহান।অনাকে ভুল বোঝানো হয়েছে এতো দিন ধরে

রেহান নিলয় কে ছেড়ে দেই।

—তোরা যখন সব কিছু জেনে গেছিস তাহলে তোদের আর বেঁচে থাকার কোনো চান্স নেই।মায়া রেহান মরার জন্য তোরা প্রস্তুত তো।(শয়তানি হেসে)

সবাই পিছন দিকে তাকাতে দেখে ফাহাদ মায়ার দিকে পিস্তল তাক করে আছে।

ফাহান আর কিছু না বলে মায়ার দিকে তাক করে সুট করে দেই।

রেহান মায়া বলে চিৎকার করে দৌড়ে মায়ার দিকে যায়।

রেহান আসার আগে নিলয় মায়ার সামনে এসে দাঁড়ায়।নিলয়ের বুকের মাঝ বরাবর গুলি লাগে নিলয় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে…

চলবে….
(লেখায় ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখিবেন🙏)
.
.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here