শেষ প্রহর, পর্ব:৮

0
390

শেষ_প্রহর
পর্বঃ০৮
জাহান আরা

বাহিরে পা টেনে চলার শব্দ আরো স্পষ্ট হচ্ছে,ওইতো কাশী শোনা যাচ্ছে। চন্দ্র মনে মনে আল্লাহ কে ডাকে,আল্লাহকে বলে এবার যেনো নিষাদ কল রিসিভ করে, আল্লাহর কাছে সাহায্য চায়
বান্দাকে আল্লাহ খালি হাতে ফিরায় না কখনো,বিরক্ত হয়ে যায় নিষাদ কলদাতার উপর তার তন্দ্রা ছুটিয়ে দিয়েছে বলে।
ফোন হাতে নেয় গেমস খেলবে বলে। এই সময় আবার কল আসে।

প্রচন্ড রাগ নিয়ে কল রিসিভ করে নিষাদ,মনে মনে ঠিক করে নেয় কি কি ঝাড়ি দিবে যে কল দিয়েছে তাকে,কিন্তু ওপাশ থেকে ভয়ার্ত কণ্ঠে হ্যালো শোনার পর নিজেই যেনো স্ট্যাচু হয়ে গেছে নিষাদ।

“আপনি কোথায়,প্লিজ বাসায় আসেন এখনই,আমাকে মেরে ফেলবে সে”

“চন্দ্র!কি হয়েছে তোমার কি বলছো তুমি?”

“আমি কিছু বলতে পারবো না আর,আপনি ৫ মিনিটের মধ্যে বাসায় আসেন নয়তো আমি মরে যাবো”

নিষাদের মাথায় কিছু ঢুকছে না,চন্দ্রর কান্না নিষাদের গায়ে তীরের মতো বিঁধছে,নিষাদের কলিজা এফোড় ওফোড় করে দিচ্ছে চন্দ্রর কান্না।

লাফ দিয়ে উঠে যায় নিষাদ,ডাক্তার মাহিম সারোয়ার রোগী দেখে ডিউটি শেষ করে চেম্বারে ফিরছেন,নিষাদ উদভ্রান্তের মতো ছুটে গিয়ে তার কাছে তার গাড়ির চাবি চায়।

নিষাদের উদভ্রান্ত মুখের দিকে তাকিয়ে ডাক্তার দ্বিতীয় কথা বলার সাহস পায় না,পকেট থেকে গাড়ির চাবি বের করে দেয়।
ঝড়ের বেগে নিষাদ লিফটের দিকে ছুটে যায়।

নিষাদের মনে হচ্ছে আজকে লিফট নিচে নামতে ও দেরি করছে,মনে মনে নিজেকে ১০১ গালাগাল দেয় কেনো আরো আগে চন্দ্রর ফোন রিসিভ করে নি,কেনো চন্দ্রর নাম্বার টা রাখে নি। আজ যদি ওর দেরিতে যাওয়ার কারণে চন্দ্রর কিছু হয়ে যায় তবে কিভাবে নিজেকে ক্ষমা করবে নিষাদ!

নিচের গ্যারেজ থেকে ডাক্তারের গাড়ি বের করে নিষাদ বের হয়ে যায়,সর্বোচ্চ স্পিড তুলে দেয় গাড়ির,যেভাবেই হোক তাকে খুব দ্রুত বাসায় যেতে হবে।

কখনো ট্রাফিক আইন নিষাদ ভাঙে নি কিন্তু আজকে রেড সিগনাল ভেঙে চলে আসে,আজকে তাকে কেউ থামাতে পারবে না।

সামনে পুলিশ চেকপোস্ট বসেছে,নিষাদ সেটা ও অমান্য করে গাড়ি ছুটিয়ে যায়। পিছনে সাইরেন বাজিয়ে পুলিশের গাড়ি আসছে।
এখন পুলিশ ধরতে পারলে নিষাদকে আটকে হাজার প্রশ্ন করবে,নিষাদ ১ সেকেন্ড ও নষ্ট করতে চায় না।উল্কার বেগে গাড়ি নিয়ে ছুটে। ১৫ মিনিটের মধ্যে বাসায় চলে আসে।

কলিং বেলের শব্দে মাজেদা বেগমের ঘুম ভেঙে যায়। এই বাড়িতে সবাই জানে তিনি ঘুমিয়ে গেলে তাকে উঠানো যাবে না তবু আজকে কে বেল টিপছে?
মাজেদা ঘাড় ত্যাড়ামি করে শুয়ে থাকে আজকে সে কিছুতেই দরজা খুলবে না।

চন্দ্র শুনতে পাচ্ছে বাহিরে চা খাওয়া শেষ,আমুদে গলায় কেউ ডাকছে তাকে,”চন্দ্র,চন্দ্র…….”

চন্দ্র ভয়ে সিটিয়ে আছে ওয়ারড্রবের সাথে,কোথায় লুকাবে,নিষাদ কেনো আসছে না এখনো,চন্দ্র জানে ও এখন ভিতরে আসবে,এখন চন্দ্রকে ভয় দেখাবে সে।

বাহির থেকে কেউ বলছে,”দরজা খুলবে না চন্দ্র?
তুমি দরজা না খুললে আমি অনিতার কাছে যাবো চন্দ্র,হা হা হা,তুমি ভেবে দেখো নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে বোন কে বিপদে ফেলবে কি-না ”

উফফফ,কি ভয়ংকর,চন্দ্রর আর কিছু করার নেই,চন্দ্রকে ধরা দিতেই হবে আজও সেদিনের মতো। বোনের বিপদ চন্দ্র চায় না,যা ক্ষতি হবার তার হোক,অনিতা ভালো থাকুক চন্দ্র আজীবন সেটা চায়।

“চন্দ্র,আমি ১০ পর্যন্ত গুনছি,দরজা খোলো নয়তো আমি অনিতার কাছে যাচ্ছি।
১…………২…………৩…………”

চন্দ্র আর পারছে না সহ্য করতে,এক পা এক পা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

মাজেদা খালা দরজা খুলবে না নিষাদ বুঝতে পেরেছে,বিয়ের রাতে পালানোর জন্য জানালার গ্রীল খুলেছিলো সেটা খোলা আছে নিষাদ জানে,পানির পাইপ বেয়ে উঠে যায়।
জানালার কাছে যেতেই দেখতে পায় চন্দ্র কান্না করছে আর বলছে,”আমি দরজা খুলে দিচ্ছি,তুমি অনিতার ক্ষতি করো না,যা করার আমাকে করো”

নিষাদ জানালায় গিয়ে ডাক দেয়,”চন্দ্র!”গ্লাস অন্যদিকে সরিয়ে ফ্লোরে নামে নিষাদ।

জানালায় নিষাদকে দেখে মুহুর্তে সব রাগ অভিমান ভুলে যায় চন্দ্র,দৌঁড়ে গিয়ে আছড়ে পড়ে নিষাদের বুকে,হাজারটা কিল দেয় নিষাদকে,কান্নার ছোটে চন্দ্রর মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না।

নিষাদ শক্ত করে ধরে রাখে চন্দ্রকে বুকের সাথে,যেনো বাঁধন একটু আলগা করলেই চন্দ্র হারিয়ে যাবে।
কাঁদতে কাঁদতে চন্দ্র জ্ঞান হারায় নিষাদের বুকে।

চন্দ্রকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে নিষাদ গ্লাসে পানি নেয়,চন্দ্রর মুখে পানির ছিটা দেয়।
একটু পরেই উঠে বসে চন্দ্র।
নিষাদকে দেখে আবার ও জড়িয়ে ধরে। এই মুহূর্তে চন্দ্রর মনে হচ্ছে এই মানুষ টা আজ না আসলে আজও চন্দ্রর সেদিনের অবস্থা হতো,উফফ কি ভয়ংকর সেই দৃশ্য। চন্দ্র আর ভাবতে পারছে না। কান্না শুরু করে।

“আপনি আমাকে কথা দেন,যাই হোক আপনি কখনো রাতে কোথাও থাকবেন না আমাকে একা রেখে এখানে”

“আচ্ছা কথা দিলাম,এবার বলো কি হয়েছে,কে এসেছে বাহিরে?”

চন্দ্র ততক্ষণে নিজেকে সামলে নিয়েছে,নিষাদকে ছেড়ে দেয়। বিছানা থেকে নেমে ফ্লোরে গিয়ে বসে।
নিষাদ ও চন্দ্রর পাশে গিয়ে বসে,চন্দ্রর হাত নিজের হাতের মাঝে নিয়ে মৃদু চাপ দিয়ে বলে,”আমাকে বলো চন্দ্র,কি নিয়ে ভয় পেয়েছো? আমি ভয় দূর করে দিবো চন্দ্র,আমাকে বিশ্বাস করতে পারো।”

“কিছু না,আমি এমনিতেই একা ছিলাম যে তাই ভয় পেয়েছি,আপনি যান শুয়ে পড়ুন”

“তুমি না বললে যে আমার ঘুম আসবে না চন্দ্র,প্লিজ আমাকে বলো চন্দ্র,কি হয়েছে,তুমি কাকে বলেছো,যা ক্ষতি করার তোমার করতে তবু যেনো অনিতাকে কিছু না করে,বলো চন্দ্র?”

চন্দ্র মাথা নিচু করে বসে থাকে,কোনো জবাব দেয় না।নিষাদের মনে কৌতূহল জন্মে যায়,কি এমন কথা যা চন্দ্র তাকে বলতে চায় না?

চন্দ্র কিছু না বলে শুয়ে পড়ে। নিষাদ ও বালিশ নিয়ে এসে চন্দ্রর পাশে শুয়ে পড়ে। নিষাদের মনে জেদ চেপে যায়। তাকে জানতেই হবে চন্দ্রর এই ভয়ের কারণ কি,এই ভয় সে দূর করবেই।

চন্দ্র চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে নিষাদ তার পাশে শুয়ে আছে ফ্লোরে,তাকিয়ে আছে তার দিকে।
চন্দ্র অবাক হয়।
উঠে বসে জিজ্ঞেস করে,”আপনি এখানে কেনো শুয়েছেন?”

“আমার বৌ যেখানে ঘুমাবে আমিও সেখানে ঘুমাবো”

“আপনার বৌ? কে আপনার বৌ?”

“তুমি”

“আপনার বৌ তো সুস্মিতা,আমি কেউ না আপনার”

চন্দ্রর এই কথাতে নিষাদ ভীষণ কষ্ট পায়।আহত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে চন্দ্রর দিকে।

চন্দ্র আর কিছু না বলে শুয়ে পড়ে অন্যদিকে ফিরে।নিষাদের চোখের কোণ বেয়ে দুফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে,চন্দ্র সেটা জানতে পারে না।

বাহিরে আজান হচ্ছে,চন্দ্র জেগে উঠে। তাকিয়ে দেখে নিষাদ গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে তার দিকে ফিরে।চন্দ্র ভালো করে তাকায় নিষাদের দিকে।
কি শান্ত একটা মুখ,দিঘির জলের মতো শান্ত দেখায়। বড় বড় চোখের পাপড়ি,ঘণ,মোটা ভ্রু,লম্বা লম্বা চুল,হালকা দাড়ি,গায়ে একটা আকাশীরং টি-শার্ট।

টি-শার্ট এর গায়ে কেমন ময়লা দেখা যাচ্ছে,এতো ময়লা এলো কিভাবে চন্দ্র বুঝতে পারে না। পরক্ষনেই মনে পড়ে গতরাতে নিষাদ জানালা দিয়ে রুমে এসেছে,চন্দ্র উঠে জানালার কাছে যায়।নিচতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত পানির পাইপ,নিষাদ এই দুটো পাইপ বেয়ে এতো দূর উঠেছে!

চন্দ্র চোখ কপালে উঠে যায়। কি সাংঘাতিক এই ছেলে!

আবার গিয়ে বসে চন্দ্র নিষাদের পাশে।

ভাবতে থাকে রাতের ঘটনাগুলো।নিষাদকে কল করার ২০ মিনিটের মাথায় নিষাদ চলে এসেছে,নিষাদ তো চন্দ্রকে পছন্দ করে না,তবে কেনো হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসেছে?

নিষাদ তো ভালোবাসে সুস্মিতা কে,তবে কেনো চন্দ্রর জন্য পানির পাইপ বেয়ে এতো উপরে উঠে এসেছে এতো কষ্ট করে?

নিষাদ তো চন্দ্রকে মেনে নেয় নি বৌ হিসেবে,তবে কেনো চন্দ্রর জন্য ফ্লোরে চলে এসেছে শুতে?

তবে কি নিষাদ তাকে ভালোবাসে?

না তা হয় না,তার কি সেই রাজকপাল নাকি যে নিষাদের ভালোবাসা পাবে!

নিষাদ চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে চন্দ্র বসে তাকিয়ে আছে তার দিকে।
নিষাদকে তাকাতে দেখে চন্দ্র চোখ সরিয়ে নেয়।

“লুকিয়ে লুকিয়ে দেখার কি দরকার,মুখোমুখি বসে আমি তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি তুমি আমার দিকে তাকিয়ে থাকো তাহলেই তো হয় বনলতা ”

“বনলতা কি আবার?”

“জীবনানন্দের সে বিখ্যাত কবিতা,পড়ো নি তুমি,”থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।”

চন্দ্র বুঝতে পারছে না এই সাতসকালে নিষাদের এরকম কাব্যপ্রেম জেগে উঠলো কেনো!

নিষাদ চন্দ্রকে হতভম্ব অবস্থায় রেখে দিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।

ফজরের নামাজ সেরে একটা সুতি শাড়ি পরে চন্দ্র কিচেনে যায়,কতোদিন কাজ করতে পারে না হাত পা কেমন ঝিম মেরে গেছে,এগুলো সচল করতে হবে।
মাজেদা খালা,লাকি খালা বসে গেছে কাটাকুটি করাতে।নাসিমা বেগম চুলায় চায়ের পানি বসিয়েছেন।চন্দ্র গিয়ে শাশুড়ি কে জড়িয়ে ধরে পিছন থেকে।

“নিষাদ,কি হয়েছে বল,এখনো তোর ছেলেমানুষী গেলো না,এতো বড় হয়েছিস তুই,দুদিন পর বাপ হবি”

“মা,আমি ”

চন্দ্রর কণ্ঠ শুনে নাসিমা বেগমের বুক ভরে যায় খুশিতে।

“মা,আজকে আমি রান্না করি,আজ তো শুক্রবার আছে,অনেকদিন কাজ করি না হাত পা কেমন করছে”

“তুই পারবি না-কি এতো রান্নাবান্না? ”

“আমি সব পারি মা,দিন না আমাকে আজকে সব করতে,আপনি রুমে যান আমি করছি।”

“আচ্ছা ঠিক আছে কর,আমি যাচ্ছি।”

চন্দ্র নাসিমা বেগম কে ছেড়ে দেয়। নাসিমা বেগম নিজের রুমের দিকে যায়।

নিষাদ নামাজ শেষ করে কিচেনে উঁকি দেয়,দেখে চন্দ্র রান্না করছে।
নিষাদের মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি উঁকি দেয়। কিচেনে ঢুকে মাজেদা খালা আর লাকি খালা কে ইশারা দেয় বের হয়ে যেতে।সবাই চলে যেতেই নিষাদ গিয়ে চন্দ্রকে জড়িয়ে ধরে।

চন্দ্র চায়ে চিনি দিচ্ছিলো,পিছন থেকে আকস্মিক এই আক্রমণ তার সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ছিলো।চমকে উঠে চিৎকার দিয়ে উঠে। নিষাদ পিছন থেকে মুখ চেপে ধরে চন্দ্রর।

ঘাড় ফিরিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে নিষাদ দাঁড়িয়ে আছে হাসিহাসি মুখ করে।

“ছাড়ুন,কি করছেন কি আপনি এখানে?”

“কি করছি,আমার বৌকে জড়িয়ে ধরেছি স্রেফ”

“এসব কেমন অসভ্যতা,যান উপরে,আপনার চা পাঠিয়ে দিচ্ছি”

“আমার এখন চা চাই না,বৌ চাই”

“উফফ,ছাড়ুন প্লিজ,কেউ দেখলে? ”

“তাহলে তুমি রুমে আসো কেউ দেখবে না,নয়তো আমি এখানে এভাবে ধরে রাখবো তোমাকে”

চন্দ্র চেষ্টা করছে নিষাদের বাহুবন্ধন থেকে মুক্ত হতে কিন্তু নিষাদের সাথে পারছে না।

নিষাদের হাত শাড়ির নিচ দিয়ে চন্দ্রর নাভির উপর চলে যায়। চন্দ্র হালকা কেঁপে উঠে।
মিনতিপূর্ণ কণ্ঠে বলে,”প্লিজ ছাড়ুন আমাকে,
এরকম করবেন না,আপনার কাছে অনুরোধ করি”

“তুমি আমার বৌ চন্দ্র,অতীতে কি করেছি আমি সেসব হিসেব করে আমি আমার ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চাই না।আমার জীবনে এখন তুমি ছাড়া আর কেউ নেই চন্দ্র,আমি যে তোমাকে হারাতে পারবো না”

নিষাদের এই কাতর ধ্বনি চন্দ্রকে অবাক করে দেয়। চন্দ্রর বিশ্বাস হচ্ছে না নিষাদ চন্দ্রকে ভালোবেসে ফেলেছে যে।চন্দ্রর কি নিষাদকে ভালোবাসার মতো সেই ক্ষমতা আছে!

“চন্দ্র প্লিজ চুপ করে থেকো না,আমি তোমাকে হারাতে চাই না চন্দ্র,তুমি আমাকে অন্তত ছেড়ে যেও না”

“আপনি রুমে যান,আপনার সাথে আমার কথা আছে,সব শুনে তারপর না হয় সিদ্ধান্ত নিবেন আপনি আমাকে ভালোবাসবেন কি-না ”

“ঠিক আছে,যাচ্ছি”

নিষাদ কে কি বলবে সব কিছু?
এতোদিন ধরে নিজের মনে যেসব কষ্ট পাথর চাপা দিয়ে রেখেছিলো,পৃথিবীর কাউকে যা বলতে পারে নি,নিষাদ কে বলা কি উচিৎ হবে?

চন্দ্র ভেবে পাচ্ছে না।

চায়ের কাপ হাতে নিয়ে চন্দ্র সিঁড়ির দিকে এগুচ্ছে,বাহিরে একটা গাড়ি এসে থামে,বাহিরে কথা শুনে চন্দ্র এক দৌঁড় দেয় চায়ের কাপ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে।

চলবে……???

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here