‘শ্রাবণ রাতের বর্ষণ’- ০৪
ঈশানুর তাসমিয়া মীরা
০৫.__________________
শাবণ মাসের প্রথম সকাল। চারদিকে বৃষ্টিময় আবহাওয়া। শয্যার একদম কোণ ঘেষে উপাধানে(বালিশে) মাথা রেখে আধশোয়া অবস্থায় জানালার বাহিরের বর্ষার বৃষ্টিধারার পানে চেয়ে আছেন রাজকুমারী চন্দ্রপ্রভা। চোখে অশ্রু তার। আজ দু’দিনের মতো হলো, সে নিভৃতরাজ্যে এসে ছদ্মবেশি হয়ে থাকছে। এখানে এসে অত্যন্ত দমাময় বৃদ্ধা-বৃদ্ধ তাকে তাদের ছোট্ট ঘরে আশ্রয় দেয়। তবে তারা জানেন না চন্দ্রা একজন রাজকুমারী। তাদের ধারণা চন্দ্রা তাদের মতোই সাধারণ একজন প্রজা। পরিবারের সরযন্ত্রের শিকার হয়ে নিজ জন্মভূমি ছেড়ে নিভৃতরাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে সে।
আস্তে আস্তে বৃষ্টি কমে গেল। তবে পুরোপুরি ভাবে না। ঝিরঝির বৃষ্টি এখনও আকাশ থেকে বিরতিহীন ভাবে পড়ছে। যার সাথে পাল্লা দিয়ে চন্দ্রার আঁখি থেকেও অশ্রু পড়ছে একটু পরপর। গভীর চিন্তায় মগ্ন সে। নিজ পিতা-মাতাকে কিভাবে রক্ষা করবে সে পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে কঠিন ব্যস্ততায় ঘিরে সে। তবে এত কঠিন ব্যস্ত হয়ে গভীর চিন্তা করার ফলেও কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছেন না চন্দ্রা। কেননা তার রাজ্যের সকল সৈন্য এখন রুদ্রদীপের আয়ত্তে বন্দী। একা চন্দ্রাই তো শুধু রুদ্রদীপের মতো শক্তিশালী সম্রাটকে হাড়াতে পারবে না৷ জীবনেও না। ইহা অসম্ভব চন্দ্রার পক্ষে। অসম্ভব থেকেও অসম্ভব। ভাবনার মাঝেই চন্দ্রার শিবিরে এসে দাঁড়ালেন বৃদ্ধা। সাথে সাথে নিজের অশ্রু দু’হাতে মুছে ফেললেন চন্দ্রপ্রভা। তবে বৃদ্ধার চোখজোড়া ফাঁকি দিতে পারলো না চন্দ্রার অশ্রু। তিনি নিঃশব্দে চন্দ্রার পার্শ্বে বসলেন। চন্দ্রার মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত স্বরে বলে উঠলেন,
— “মা কান্না করছিস কেন? দেখ যা তোর সাথে হয়েছে তা অবশ্যই খারাপ হয়েছে। তবে সেটার জন্য এভাবে কাঁদা তো ঠিক না। দেখবি ঈশ্বর সব ঠিক করে দেবেন। শুধু নিজের ওপর বিশ্বাস রাখ মা। ইচ্ছা থাকলে নিজ কষ্টের সঠিক উপায় অবশ্যই পাবি।”
বৃদ্ধার বাণীগুলো এক নতুন আশার আলো জাগিয়ে দিলো চন্দ্রপ্রভার মনে। মুখে মৃদু হাসির রেখা ফুটালো সে। মাথা নাড়িয়ে বৃদ্ধার কথায় সায় দিলো। বৃদ্ধা আবার বলে উঠলেন,
— “এখন তৈরি হয়ে নেয় মা। আমাদের এখানে সরস্বতী দেবী উপলক্ষ্যে বিরাট বড় পূজা হবে। নিভৃতরাজ্যের সকল রাজা-রাণী, রাজকুমার-রাজকুমারী এবং বিভিন্ন দেশের রাজা, সম্রাট আসবেন নিভৃতরাজ্যে। প্রজাদের রাজপ্রাসাদে ঢোকার অনুমতি না থাকলেও আমরা সবাই মিলে এখানেই নিজেদের মতো পূজার আয়োজন করে থাকি। এবারও করব। বৃষ্টি হওয়ায় এখনও আয়োজন করতে পারি নি। বৃষ্টি কমে গেছে যেহেতু এখন করব। তুই তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নেয়। পূজার এখন আর কয়েক প্রহর বাকি।”
কথাটুকু শুনে চন্দ্রার ভেতর কোনো খুশির আমেজ এলো না। বরং চিন্তায় পড়ল সে। বিভিন্ন রাজ্যের রাজা-সম্রাট আসবেন অর্থাৎ সম্রাট রুদ্রদীপের আসারও সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে কি তিনি আসবেন এখানে? পরক্ষণেই মনে হলো, কূঞ্জনরাজ্যের চেয়েও নিভৃতরাজ্য অতি ছোট। সম্রাট রুদ্রদীপ কি এমন ছোট রাজ্যে আসবেন। আর আসলেও বা-কি! তিনি তো আর প্রজাদের মাঝে আসবেন না। সেহেতু চন্দ্রার খোঁজ তিনি কোনোমতেই পাবেন না। ভেবেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন চন্দ্রা। তবে মস্তিষ্কে রয়ে যাওয়া চিন্তার ভার একাংশও কমে নি তার।
০৬.
আয়োজনের অধিকাংশ কাজ শেষ। এবার যার যার মতো তৈরি হওয়ার পালা। চন্দ্রাও এক ফাঁকে তৈরি হয়ে গেছে সবার আগে। শরীরে লাল রঙের ঘাগড়া জাতীয় পোশাক আর মাথার খোঁপায় গেঁথে থাকা সাদা রঙের বড় আঁচলে ঘেড়া ওড়না। সাধারণত রাজ্যের প্রজারা এ ধরণের পোশাক পরে না। তবে চন্দ্রা এমনভাবে পোশাক পরিধানে অভস্ত হওয়ায় সে রাজকুমারীদের মতোই পোশাক পরিধান করেছেন। তার মস্তষ্কে বিন্দু মাত্র চিন্তাটি এলো না যে সে এখন সাধারণ একজন প্রজা হিসেবে এ রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে। নিভৃতরাজ্যের প্রজাদের অনেকেই চন্দ্রার এমন রুপ দেখে মুগ্ধ হওয়ার পাশাপাশি বিস্ময়ে ঘিরে গেছে। তবে কেউ একটি মাত্র প্রশ্নও করল না চন্দ্রাকে। বলা যায়, বলতে গিয়েও বলতে পারে নি তারা। কেননা চন্দ্রার এমন দেবীর মতো রুপ দেখে কারোই ইচ্ছে হলো না চন্দ্রাকে আবার প্রজাদের মতো পোশাক পরিধান করার কথা বলতে। সুতরাং সবাই নিজেদের মতো করেই পূজার আয়োজন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল এবং চন্দ্রা নিজের মতো আয়োজনগুলো পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো।
ক্ষাণিকবাদ পূজা আরম্ভ করা হলো। প্রজাদের সকলের মাঝে খুশির আমেজ ছড়িয়ে পড়ল। নাচ-গানে মেতে উঠল তারা। তবে চন্দ্রা সেসব খুশির মাঝে অংশ গ্রহণ করলেন না। সরস্বতী দেবীর পদতলে বসে রইলেন। মন থেকে প্রার্থনা করতে লাগলেন, যেন নিজ পিতা-মাতাকে রক্ষা করার পথ তিনি তাকে দেখিয়ে দেন। চন্দ্রা জানে সে একজন ভীতু, সরল রাজকুমারী। তবে তার অস্তীত্বের ভেতরের সত্ত্বায় রয়েছে একজন বুদ্ধীমান, সাহসি ও জেদী রাজকুমারী। চন্দ্রা খুব করে চাইছেন যেন এই বুদ্ধীমত্বা, সাহসিকতা ও জেদ তার পুরো অস্তীত্ব দখল করে নেয়। যেখানে না থাকবে ভীতু ও সরলতা। হঠাৎ উৎসবমূখর পরিবেশের বদলে প্রজাদের কোলাহলের শব্দ প্রবেশ করল চন্দ্রার কর্ণকুহরে। দ্রুত পেছনে ফিরে তাকালেন চন্দ্রা। দেখতে পেলেন কিছু সংখ্যক সৈন্য প্রজাদের মধ্যে সকল কিশোরী এবং যুবতীদের একসারি করে দাঁড় করাচ্ছেন। এহেন কান্ড দেখে ক্ষাণিকটা ভয় পেলেন চন্দ্রা৷ পার্শ্বে থাকা লাল রঙের শুকনো মিশ্রণ(হলি খেলার রঙ) একটু করে হাতে নিয়ে মুখে মেখে নিলেন। যাতে করে কেউ তাকে চিন্তে না পারে। পরপরই চন্দ্রা ধীর পায়ে ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে পড়লেন। এদিকে সৈন্যগণ সকল কিশোরী-যুবতীদের একসারি দাঁড় করানো শেষে সেখানে উপস্থিত হোন সম্রাট রুদ্র। সাথে সাথে শুকনো ঢোক গিললেন চন্দ্রা। রুদ্র তার ঘোড়ায় বসে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের সকল কিশোরী-যুবতীদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন। শেষে সেনাপতিকে ধমকে বলে উঠলেন,
— “এদের মধ্যে কেউ-ই আমার চন্দ্রা নয়। আপনি তো বলেছিলে চন্দ্রা এখানেই এসেছে। তাহলে চন্দ্রা কোথায়?”
সেনাপতি ভয়ে চুপসে গেল। মাথা নুইয়ে অভিবাদন জানিয়ে আমতা আমতা করে বলে উঠল সে,
— “ক্ষমা করবেন সম্রাট। তথ্য মতে রাজকুমারী চন্দ্রা এখানেই আশ্রয় নিয়েছেন। হয়তো কোথাও লুকিয়ে আছেন।”
কথাটুকু বলেই সেনাপতি এবার প্রজাদের উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন,
— “আমরা বিশেষ তথ্যের মাধ্যমে জেনেছি অন্ত্র রাজ্যের একজন যবতী এখানে আশ্রয় নিতে এসেছিলেন দু’দিন আগে। আপনারা কেউ কি তাকে চেনেন? দেখেছিলেন?”
নিভৃতরাজ্যের রাজা চুপ করে রুদ্রের সেনাদের একটু পাশে মাথা নুইয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। মনে মনে পণ করছেন উনি আর কখনও কোনো অন্ত্র রাজ্যের প্রজাদের আশ্রয় দিবেন না৷ অন্তত এ মুহুর্ত থেকে আর না! এদিকে রাজকুমারী চন্দ্রপ্রভাকে আশ্রয় দেওয়া বৃদ্ধা-বৃদ্ধ একপাশে চুপ করে আছেন। ‘টু’ শব্দটিও করছেন না তারা। তবে বাকি প্রজাগণ চেঁচিয়ে উঠছেন,
— “আজ্ঞে হ্যাঁ সম্রাট। দু’দিন আগে এক যুবতী এসেছিলেন আমাদের রাজ্যে। একটু আগেও সে আমাদের মাঝেই উপস্থিত ছিলেন। তবে আপনারা যাকে খুঁজছেন তার নাম চন্দ্রা। এবং আমাদের এখানে যিনি আশ্রয় নিয়েছেন তার নাম পদ্ম।”
দাঁত কিরমির করে উঠলেন রুদ্র। চোখ দিয়ে যেন আগুন পরবে তার। যে এ কথাটি বলেছে তাকে ধমকে বলে উঠেন রুদ্র,
— “মূর্খ প্রজা! অন্ত্র রাজ্যের কোনো গুপ্তচড় যদি এখানে আশ্রয় নিতে আসে তবে সে কি সকলকে তার আসল পরিচয় তুলে ধরবে নাকি নকল?”
এহেন কথায় চুপসে গেল সে। রুদ্র আবারও সেনাপতিকে উদ্দেশ্য করে গর্জে উঠলেন,
— “আমার চন্দ্রাকে এ মুহুর্তে আমি আমার সামনে দেখতে চাই সেনাপতি। নতুবা নিজ তলোয়াড় দিয়ে আপনার গর্দান ক্ষত-বিক্ষত করতে দু’বার ভাববো না আমি।”
আবারও কয়েকটা শুকনো ঢোক গিলে সেনাপতি সকল সৈন্যদের আদেশ দিলেন রাজকুমারী চন্দ্রাকে খুঁজে বের করতে। এতক্ষণ এতসব দেখে ভয়টা আরও তীব্র হলো চন্দ্রার। মনে সাহস জুগিয়ে নিজ স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করার জন্য পা বাড়াতেই কোত্থেকে দু’জন সৈন্য এসে ধরে ফেললেন চন্দ্রাকে। হতভম্ব রাজকুমারী চেঁচাতে লাগলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। তবে তারা শুনলো না। রুদ্রের সামনে দাঁড় করালো তাকে। চন্দ্রা ভয়ে কাঁপতে লাগলেন। মাথা নিচু করে চোখ-মুখ কুঁচকে রাখলেন। রুদ্র ঘোড়া থেকে নেমে চন্দ্রার অগ্য বরাবর দাঁড়ালেন। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন চন্দ্রাকে। প্রথমে চন্দ্রপ্রভার পা থেকে মাথা অব্দী একবার তাকালেন। পরক্ষণেই থুতনি চেপে চন্দ্রার মুখমন্ডল উঁচু করলেন। চন্দ্রা মাথা নিচু করতে চাইলে থুতনি চেপে ধরলেন রুদ্র। চোখ বন্ধ করতে চাইলে থমকে উঠলেন সম্রাট রুদ্র। গভীর মনোযোগে দেখতে লাগলেন চন্দ্রার চোখদুটো। এভাবে ক্ষাণিকবাদ থেকে রুদ্র চেঁচিয়ে উঠলেন,
— “আমার চন্দ্রাকে কে বন্দী করে এনেছিল আমার অগ্যে?”
দু’জন সৈন্য এগিয়ে এলেন সামনে। তারা ভেবেছিলেন হয়তো রুদ্র তাদের ইনাম দিবেন। তাই মুখে খুশির ঝলক এঁটে বলে উঠল তারা,
— “আমরা সম্রাট।”
সাথে সাথে কোমড় থেকে তলোয়াড় নিয়ে তাদের গর্দার উড়য়ে দেন রুদ্র। চন্দ্রা দু’কদম পিছিয়ে চিৎকার করে উঠেন। রুদ্র তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চন্দ্রার দিকে তাকিয়ে তাকে কাঁধে তুলে নিলেন। চন্দ্রা হাত-পা ছোড়াছোড়ি করতে করতে বলে উঠলেন,
— “ছেড়ে দিন আমায় সম্রাট। দয়া করে ছেড়ে দিন।”
চন্দ্রার কথা সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে রুদ্র সবার উদ্দেশ্যে বলে উঠেন,
— “পরেরবার আমার চন্দ্রাকে ধরার কেউ দুঃসাহস করবেন না। নতুবা এর পরিণাম এর চেয়েও করুণ হবে।”
পরপরই নিজ ঘোড়ার অগ্যে গিয়ে চন্দ্রাকে নিয়ে বসে পড়লেন ঘোড়ার পিঠে। সেনাপতিকে উদ্দেশ্য করে জল আনতে বললেন। সেনাপতি পাত্রে করে জল আনতেই সেখানে রুমাল জাতীয় কাপড় ভিজিয়ে চন্দ্রার মুখে লেগে থাকা লাল রঙ ঘেঁষে ঘেঁষে মুছতে লাগলেন রুদ্র। এতে ব্যথায় কুঁকড়ে উঠলেন চন্দ্রা। ক্ষাণিকবাদ লাল রঙের আড়ালে চন্দ্রার আসল মুখশ্রী ভেসে উঠল রুদ্রের আঁখি জোড়ার সামনে। সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে রুদ্র আদেশ দিলেন সবাইকে নিজ রাজ্যের পথে গমন করার জন্য। চন্দ্রা আবারও চেঁচিয়ে উঠলেন,
— “ছেড়ে দিন আমায়। আমি আপনার মতো নির্মম, নিষ্ঠুর সম্রাটের সঙ্গে কখনই যাবো না। ছেড়ে দিন আমায়।”
বৃদ্ধা-বৃদ্ধ এবার এগিয়ে এলেন রুদ্রের অগ্যে। মনে সাহস সঞ্চয় করে বলে উঠলেন,
— “ছেড়ে দিন তাকে সম্রাট। এমন পাপ কাজ করবেন না।”
রুদ্র ক্রুদ্ধ চোখে তাকালেন বৃদ্ধা-বৃদ্ধর দিকে। সেনাপতিকে আদেশ দিলেন বৃদ্ধা-বৃদ্ধর গর্দান উড়িয়ে দিতে। চন্দ্রা চমকে উঠলেন। অনুনয়ের সুরে ভীতু ভাবে রুদ্রকে বলে উঠলেন,
— “ক্ষমা করুণ সম্রাট। ছেড়ে দিন ওদের। ওরা অতি দয়াবান সম্রাট। দয়া করে ছেড়ে দিন ওদের। আপনি যা বলবেন আমি শুনবো। দয়া করুন ওদের ওপর। ক্ষতি করবেন না ওদের।”
রুদ্র ভ্রু কুঁচকে বললেন,
— “আমার সকল কথা শুনবে তুমি?”
মাথা নাড়ালো চন্দ্রা। রুদ্র এবার বাঁকা হাসলেন। সেনাপতিকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
— “ওদের সহযত্নে রাজপ্রাসাদে নিয়ে চলো সেনাপতি। আমার শিকার করার অস্ত্র হবে তারা।”
কথাটির ঠিক অর্থ বুঝতে পারলেন না চন্দ্রা। বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে রইলেন রুদ্রের দিকে। রুদ্র বাঁকা হেসে চন্দ্রার কানে ফিসফিসিয়ে বলে উঠলেন,
— “এভাবে তাকাবে না রাজকুমারী। প্রেমে পরতে ইচ্ছে হয়।”
প্রচন্ড ঘৃণায় মাথা নুইয়ে চোখ বন্ধ করে রইলেন চন্দ্রা। ঘোড়া চলতে শুরু করল এবার। ঘোড়ার চলাচলের শব্দের সাথে পাল্লা দিয়ে চন্দ্রার হৃদপিণ্ডও ‘ধুকধুক’ করছে প্রবল গতিতে। একসময় প্রবল মাথা ব্যথায় চন্দ্রা ঢোলে পরেন সম্রাট রুদ্রদীপের বুকে।
.
.
_______________চলবে_______________