অচিনপুর পর্ব -২৯

#অচিনপুর – ২৯

“তবু তারে ডাকি, ভিজে বুকে থাকি,
অজানায় হারায় যে!
মুছে যাওয়া কাজল,
যে ভালোবেসে চুমে, থাকি তার খোঁজে!”

অদ্ভুত নীরবতা নেমে এসেছে অচিনপুরের সমস্ত আকাশ জুড়ে! এত চুপচাপ চারপাশটা যে আমার মনে হচ্ছে, আমার কেউ কোথাও নেই! সারা মেখলি আমার কানের কাছে এসে চুপচুপ করে সমানে চেঁচিয়ে বেড়াচ্ছে, ‘নেই নেই নেই! পাহাড়ের রাজা নেই!’ আমাকে কিছু না বলেই সে চলে গেছে! ওই বিয়েটাকে সে মানে না, সেই কথাটা তো স্পষ্টই বলেছিল, তবুও কেন জানি একটা শেষ কথা শোনার জন্য আমার সমস্ত প্রাণ অধীর আগ্রহে হাহাকার করে রয়েছে!
আমার জীবনের সব সমস্যার সমাধান এক মুহূর্তেই হয়ে গিয়েছে। আর তারপর আমার সমস্ত জীবনটাও কেমন করে হঠাৎ করেই যেন বদলে গিয়েছে। আমার মেখলির বাড়ি আর এর সমস্ত সিদ্ধান্ত এখন আমি নিচ্ছি। জুমের জমিগুলো কৃষকদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছি। কাগজে কলমে মালিকানা আমার থাকলেও, ফসলের কোনো অংশ আর আমাকে দিতে হবে না। এই হেমন্তের শেষে নতুন ওঠা ধান থেকে আমার অংশটা আমি নগদ টাকা দিয়ে কিনে রাখব। ওতেই সারা বছরের খোরাকি হয়ে যাবে আমাদের। আমার দাদা আমার জন্য যে টাকাটা মাসিক বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন, তাই আমাদের সব খরচের জন্য যথেষ্ট হবে! কৃষকদের সাথে কথা বলে ঘরে ফিরে দখিনের জানালাটা খুলতে চাইলাম। জানালার পাল্লাগুলো জ্যাম হয়ে আছে। একটু জোর দিতেই ঝুরঝুর করে খুলে এলো খানিকটা পচা কাঠ। এই বর্ষার পানিতে বাড়িটা একদম পচে গেছে। ছাদের টালিও অনেকগুলো ভেঙে গেছে, অনেক বেশি সংখ্যায় টালি ফেটে আছে। সামনে শীতকাল, তার আগেই মেরামত করে ফেলতে হবে। নতুন করে চুনকাম করাতে হবে। বড়োচাচা বলেছেন, তার আগে যেন আমরা সাদা বাড়িটাতে উঠে যাই, ওখানেই থাকতে শুরু করি। সৌমিকের সাথে বিয়েতে আমাকে তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে মানা করেছেন তিনি। সামনে আমার এইচএসসি পরীক্ষা। সবার আগে এখন পরীক্ষার চিন্তা। মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। কোচিং-এ যেতে হবে। আরও দুটো টিউশন পড়তে হবে। পরীক্ষা শেষ হলে আমাকে রাজধানীতে যেতে হবে। ভার্সিটি এডমিশন টেস্টের পড়া পড়তে। বড়োচাচা বলেছেন, তখন যেন আমি আমার নিজের বাড়ি, মানে আমার দাদার বানানো বাড়িতে গিয়ে থাকি। ওখানে নাকি আমার অধিকার আছে। আমার মন চাইছে না সেটা করতে। যেখানে আমার মায়ের প্রবেশের অধিকার ছিল না, মায়ের জন্য বাবাকেও যে বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল, মায়ের মেয়ে হয়ে আমি কীভাবে সেখানে অধিকার খাটাই?
আমার মাকে আমি পাইনি, কিন্তু যখন ওই চিঠিগুলোতে হাত বুলিয়ে দিই, মনে হয় এই তো, এই আমার মা! অন্যের কাছ থেকে মাকে জানার তীব্র বিতৃষ্ণা আমার, সে যেন মা জেনেই গিয়েছিল! তাই অক্ষরের পরে অক্ষর সাজিয়ে রেখে গিয়েছে আমার জন্য! এখন আমি আমার মাকে জানি। আমি জানি ছোট্ট কালো একটা টিপে সাজতে পছন্দ করত সে। কৎবেলের আচারে মুখ ডুবিয়ে রাখতে ভালোবাসত। টমেটোকুঁচি আর বোম্বাই মরিচ দিয়ে মুড়ি মেখে মুঠো মুঠো খেয়ে ফেলতে পারত। চট করে শাড়ি পরতে পারত। ভুল সুরে আর বানোয়াট লিরিকে গান গেয়ে আমার বাবাকে বিরক্ত করত। টেনিসন পড়তে পছন্দ করত। উত্তম কুমারের ক্রেজি ফ্যান ছিল। বই পড়তে গিয়ে রান্না পুড়িয়ে ফেলে কাঁদত বসে। তখন আমার বাবা আইসক্রিম কিনে দিয়ে তার মন ভালো করাত! আমাকে নিয়ে এটা সেটা নানানরকম স্বপ্ন বুনত দুজনে। শেষের দিকের চিঠিগুলোতে মায়ের মানসিক অস্থিতিশীলতা টের পাওয়া যায় স্পষ্ট, অনেক এলোমেলো কথা, কিন্তু সৌমিকের সাথে আমার বিয়ে নিয়ে খুবই উচ্চভিলাষ! সেইসব স্বপ্নের কথাগুলো আমাকেও এলোমেলো করে দেয়। আমি বুঝতে পারি না কী করব! সৌমিককে মানাও তো করতে পারি না! পাহাড়ের রাজা আমাকে নিয়ে আদৌ কিছু ভাবছে কি না তাও তো জানি না আমি! যদি এমনটা হয়, ও আমাকে এড়াতেই অচিনপুর ছেড়ে চলে গিয়েছে, তবে?
সৌমিককে কী বলব আমি ভেবে পাই না! ওকে ফিরিয়ে দিতে গেলেও তো ডুলেপাড়ার সত্যিটা জানাতে হবে ওকে। কিন্তু পাহাড়ের রাজা যদি সেই ঘটনাটা অস্বীকার করে, তখন?
বারবার সৌমিককে সত্যি জানাতে গিয়েও আমি চুপ করে ফিরে আসি। পাহাড়ের রাজার সাথে বোঝাপড়াটা না করে আমি ওর কথা কীভাবে কাকে বলি? আর সব খুলে না বললে, সৌমিকের সাথে বিয়েটাতে কীভাবে না করি? না আমি সৌমিককে কিছু বলতে পারি, না আমি পাহাড়ের রাজাকে খুঁজে পাই দুটো কথা ওর মুখ থেকে শোনার জন্য!
আমি কাউকে কিছু বলতে পারি না। প্রহ্লাদ দাদার ফ্যাক্টরিতে গিয়ে এগল্প ওগল্প বলে চলে আসি, জো-মাওয়ের বারান্দা দিয়ে চুপিচুপি নেমে আসি, প্রমিকেও কিছু জানাই না। এরেলা গিয়ে শম্পাকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকি – মুখ ফোটে না আমার। বড়ো আপাকে ফোন করেও কিছু বলি না। ডুলে পাড়ার গল্পটা আমি বুকেই চেপে রাখি!
শাঁখের করাত আমার মন এখন, এদিকেও কাটে, ওদিকেও কাটে! দোদুল্যমান হয়ে মনটা দুলতে থাকে। একবার এদিকে, একবার ওদিকে। পেন্ডুলামে ঝুলতে থাকা ববটাই যেন আমি, একবার সৌমিকে আরেকবার প্রভাতে উপবৃত্তাকার কক্ষপথ তৈরি করে ঘুরতে থাকি। আমি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না!
ছোটো আপা চা বানিয়ে নিয়ে এসেছে। আমার কাছে বসতে বসতে বলল,
— চা খাবি স্বর্ণ?
— নাহ! ইচ্ছে করছে না!
— খা না! তন্দুরি চা করেছি আজ।
— তন্দুরি রুটি হয় শুনেছি, তন্দুরি মুরগি শুনেছি, কিন্তু চাতেও তন্দুরি?
— এমন কিছু না। মাটির যে কাপগুলো ছিল না আমাদের, ওগুলোকে আগুনে পুড়িয়েছি। গরম থাকতেই তাতে গরম চা ঢেলে দিয়েছি। দুই গরমে মিলে তন্দুরি হয়ে গিয়েছে। খেয়ে দেখ, একটা স্মোকি ফ্লেভার এসেছে, ভালো লাগছে!
— না। আমার মাথাব্যথা!
— এইজন্যই তো চা খাবি! মাথাব্যথায় এক নম্বর ওষুধ হচ্ছে চা! নে না? একটা চুমুক দিবি। ভালো না লাগলে ফিরিয়ে দিবি!
— ছোটো আপা, তুমি কি আমাকে অন্য কিছু বলতে চাও? চা দিয়ে ভূমিকা করা লাগবে না। বলো।
ছোটো আপা আমার দিকে শান্ত চোখে তাকালো।
— তুই আমাকে নিয়ে ভাবছিস নাকি? একদম ভাবিস না! সৌমিকের ভূত আমার মাথা থেকে নেমে গিয়েছে! তুই আমার কথা ভাবিস না! বিয়েতে রাজি হয়ে যা! শুধুশুধু ঝুলিয়ে রাখলে দেখবি, অন্য কোনো বিন্নি এসে মাঝখানে ঢুকে যাচ্ছে!
— আমি তোমাকে নিয়ে ভাবছি না, ছোটো আপা!
— তাহলে সারাদিন এত কী ভাবিস? না কথা বলিস, না হাসিস, না আগের মতো ছোটাছুটি করিস! কৃষ্ণা ডাকতে এসেছে। সৌমিককে ফুল দিতে যাবি না?
আমি তাড়াতাড়ি বাইরে তাকালাম। দুপুর মরে বিকেল হতে যাচ্ছে। বড়োচাচা আগেই গেছেন, সৌমিক আজকেই অচিনপুর থেকে চলে যাবে। আমি তাড়াতাড়ি উঠে পড়লাম। কৃষ্ণা দিদিকে বলে দিয়েছিলাম শিউলির মালা গেঁথে দিতে। ওর বাগানের দুটো গাছে এই আশ্বিনেই আগাম ফুল এসেছে।
ফুলগুলো নিয়ে সাদা বাড়িটাতে ঢুকতে ঢুকতে মাথার উপরের সবটুকু রোদ মরে ভূত হয়ে গিয়েছে। আমাকে দেখেই একগাল হাসলো সৌমিক। এত চওড়া হাসিতেও ওর মুখটা উজ্জ্বল হলো না। আমার হাত ধরে বসাতে বসাতে বলল,
— আগে কখনো এতটা কষ্ট হয়নি, অচিনপুর ছেড়ে যেতে। এবার কেন এমন হচ্ছে, বলো তো ফুলপরী? আমার শরীর আগাচ্ছে না, পা নড়ছে না। অচিনপুর যেন আমাকে ছাড়তেই চাইছে না। আমার খুব মন খারাপ করছে এবার।
— কী বলো? কেন?
— একেই হয়তো কবিরা বিরহ বলেন। এমন নয় আগেও তোমাকে ছেড়ে যাইনি আমি। এবারই প্রথম তোমাকে বিদায় জানানোর সময় এগিয়ে আসছে, তা ও তো নয়! কিন্তু আগে কখনো তো তুমি আমার হওনি! আগের মতো লুকোচুরিও তো এখন নেই। এখন তুমি আমার পরিচয়ের সত্যও জানো, আমার মনের আয়নাটাও চেনো! এবার তোমাকে রেখে একা ফিরতে একদম মন চাইছে না! আমি কেমন করে থাকব, ফুলপরী?
হৃদয়জুড়ে চিনচিন দাগে একটা কষ্ট ছুঁয়ে গেল আমাকে। আমি কেঁদে ফেললাম,
— ঠিকই তো, এখন কার জন্য ফুল আনব আমি? ফুলের নামধাম কেন মুখস্থ করব? কোন ঋতুতে কোন ফুল সবচেয়ে বেশি ঘ্রাণ দেয়, কেন খুঁজব সেগুলোকে?
— তা তো তোমাকে করতেই হবে। আমি যে সবচেয়ে ভালোবাসি ফুল! আমার ভালোবাসাকে তো তোমাকেই যত্ন করতে হবে।
মংসিক চলে এসেছে জিপ নিয়ে। হর্ণ বাজিয়ে তাড়া দিচ্ছে। এরপর এরেলা ঘাটের ফেরি বন্ধ হয়ে যাবে।
সৌমিক তৈরি হয়ে নিলো তাড়াতাড়ি,
— আমি চলে যাওয়ার পর, জিপটা তুমিই নিও। আমি মংসিককে বলে দেবো। এরেলাতে যেতে আসতে জিপ নিও।
— গ্যারাজ থেকে বলেছে, আমার জিপটাও চার পাঁচদিনেই ফিট হয়ে যাবে।
— সেই কয়েকদিনই আমারটা রেখো। এখন তো পড়াশোনা বেশি। সময় নষ্ট করার মতো সময় পাবে না। জিপ যখন আছেই, শুধু শুধু টোটোর কষ্ট করার মানে নেই। আর তোমার গাড়িটাও রেডি হলে মংসিককেই রেখে দিও। ও খুব সেইফ ড্রাইভ করে।
— আমিই তো ড্রাইভিং শিখে নেবো। আমার জিপ আমিই চালাব।
— না, না, সে এখন ভাববেও না। এখন শুধু পড়াশোনা। পরীক্ষার একদম সময় নেই। এইজন্য অন্য চিন্তাও আমি তোমার মনে ঢুকাচ্ছি না। কত কত কথা বলার ছিল, কিছু বলিনি। রাজধানীতে এসো, আমিই তোমাকে ড্রাইভিং শেখাব। এখন অন্য কিছুতে সময় দেওয়া যাবে না।
— হুম।
— খুব ভালো করে পরীক্ষা দিও। আর পরীক্ষা শেষ হলেই আমাকে ফোন দেবে। আমি এসে রাজধানীতে নিয়ে যাব তোমাকে।
— হুম!
মাথা নাড়লাম আমি। বললাম,
— ঠিকঠাক এসো কিন্তু।
সৌমিক আমাকে ওর মুখোমুখি বসিয়ে বলল,
— সত্যি বলো, এখনো রাগ করে আছ?
আমি ডানে বায়ে মাথা নাড়লাম।
— তাহলে ,বলো ভালোবাসো? বলো, আমাকে ভালোবাসো?
ওর হাতের মুঠোয় আমার হাতটা তিরতির করে কেঁপে উঠে স্থির হলো। ও আবার বলল,
— তাকাও তো আমার দিকে।
আমি হেসে ফেললাম, চোখ বড়ো করে তাকালাম।
— ইয়োর আইজ…
— কী?
— ইয়োর আইজ আর ওয়ে ঠু লাউড…
আমি দ্বিধান্বিত হলাম,
— মানে?
সৌমিক হাসলো। হেসে হেসে বলল,
— মানে, আমার ফুলপরীর একটু অভিমান হয়েছে! যে একটু রেগে আছে তার বন্ধুর সাথে। কিন্তু এই যে আমি চলে যাচ্ছি, বিদায়ের এই সময়টাতে সেসব অভিমান, রাগ, ক্ষোভের জায়গায় শুধু একটা কথাই চোখচেয়ে বলতে চাইছে…
— কী?
— শি ইজ গন্না মিস মি!
— সত্যি সৌমিক, খুব মিস করব তোমাকে! তোমার মতো বন্ধু আমার কেউ নেই।
— আমারও নেই। কিন্তু ওই শান্ত চোখদুটো যে আরও আরও অনেক কথা বলছে…
— কী?
— কী একটা কথা, খুব করে বলতে চাইছে কিন্তু পারছে না। বারবার বলতে চাইছে, কিন্তু সংকোচে মুখে আনছে না!
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলাম ওর দিকে। আসলেই কি আমার চোখ দিয়ে মনের কথা পড়তে পারছে ও?
ও হেসে দিলো। হেসে হেসে বলল,
— বলতে তো হবেই। আজ না হয় কাল! ভালোবাসি বলতে হবেই। মনের কথা আমি কিছুতেই বুঝব না। চোখের ভাষাও পড়ব না। আমার ফুলপরীর মুখ থেকেই সেটা শুনতে হবে আমাকে। বিশুদ্ধ আবেগ নিয়ে উচ্চকণ্ঠে বলবেই তুমি, ‘ভালোবাসি!’
সৌমিকের দুষ্টু হাসিভরা কথা শুনে আমি লজ্জা পেলাম। লজ্জা এড়াতে বললাম,
— থ্যাঙ্কিউ, সৌমিক।
— কেন?
ওর দেওয়া মাউথ অরগ্যানটা দুই হাতে চেপে ধরে দেখালাম ওকে।
— এটার জন্য। ছোটো আপা এটাকে ফিরিয়ে দিয়েছে আমাকে। থ্যাঙ্কিউ এই উপহারটার জন্য!
— ওটা সবসময়ই তোমার ছিল। আমি শুধুই ক্যারিয়ার। যা কিছু তোমার জন্য সুখের, যা সমস্ত তোমার আনন্দ, যা কিছু ভালো, যা কিছু তোমার জন্য শুভ – সেই সমস্ত কিছুই তোমাকে পৌঁছে দেওয়ার ক্যারিয়ার হতে চাই আমি! বুঝেছ না?
আমাকে আমার বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে সৌমিক আমার গালে হাত ছোঁয়ালো,
— সাবধানে থেকো আর ভালো থেকো। যা কিছুই হোক না কেন, তুমি মনে মনে জানবে আমি আছি। ঠিক তোমার বুকের পাশটাতে আছি!
আমার দেওয়া শিউলি ফুলের মালাটা আমার চুলে গেঁথে দিয়ে বলল,
— ফুলপরী, আমাকে ভালোবেসো, কেমন?
সৌমিককে নিয়ে জিপটা যতক্ষণ মেখলি ছাড়তে দেখা গেল, আমি সেদিকে তাকিয়েই রইলাম। তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখের জলে কত সমুদ্র গড়াল খেয়ালই হলো না!
সত্যি, আই উইল মিস ইউ, সৌমিক!
প্রিয় মানুষগুলো কেন যে আমাকে ছেড়ে দূরে চলে যায়!

চলবে…
আফসানা আশা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here