অজানা অনুভূতি পর্ব -৩২+৩৩

#অজানা_অনুভূতি
#পর্বঃ ৩২
#লেখিকাঃ আদ্রিতা খান অদ্রি

সামিরার সাথে কি সাজ্জাদের বিয়ে হয়ে যাবে? আদ্রিতা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথাটি ভাবছিলো।

আরে মা এসেছিছ। ( আদ্রিতার মা)

হুম মাএই আসলাম। কি নিয়ে কথা বলছিলে? (আদ্রিতা)

সামিরার বিয়ের ত মাএ এক সপ্তাহ বাকি। সেগুলো নিয়েই কথা বলছিলাম৷ ( আদ্রিতার মা)

ও, দি কোথায়? ( আদ্রিতা)

রুমে আছে। ( আদ্রিতার মা)

আচ্ছা কথাটি বলে আদ্রিতা সামিরার রুমে যাওয়ার জন্য উপরে উঠে গেলো।

*****সাজ্জাদের বাসায় ******

ছেলেটার ১ সপ্তাহ পর বিয়ে কিন্তু ছেলের যেনো কোনো হুস নেই। কতো কাজ পড়ে আছে। ( সাজ্জাদের মা)

ছেলেকে বলে দেও কি কি কাজ করতে হবে। ( সাজ্জাদের বাবা)

হ্যাঁ ঠিক বলেছো, এই সাজ্জাদ একটু নিচে নাম ( সাজ্জাদের মা)

সাজ্জাদ তখন বাসায় ছিলো। হ্যাঁ, মা ডেকেছো?বলো কি বলবে? ( সাজ্জাদ)

বিয়ের তারিখ ত ঘনিয়ে এসেছে। কনের শপিং করা ও বাকি। ( সাজ্জাদের মা)

আমি ফ্রি আছি এখন শপিংয়ে কে কে যাবে?( সাজ্জাদ)

তুই, স্বাধীন, আদ্রিতা আর সামিরা তোরা ৪ জন যা (সাজ্জাদের মা)

আচ্ছা মা। কবে যেতে হবে? ( সাজ্জাদ)

কালকে যা। ( সাজ্জাদের মা)

তুমি একটু ওদের জানিয়ে রেখো কালকে বিকালে তাহলে যাবো। ( সাজ্জাদ)

বিকেলে কেনো? সকালে বের হ সারাদিন শপিং কর ভালো করে যা যা প্রয়োজন হয় কিনে ফেল। ( সাজ্জাদের মা)

আচ্ছা মা। ( সাজ্জাদ)

কথাটি বলে সাজ্জাদ আবার রুমে চলে গেলো।

সাজ্জাদের মা আদ্রিতার মাকে ফোন করলো,

বেয়াইন কেমন আছেন? ( সাজ্জাদের মা)

আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপনি? ( আদ্রিতার মা)

জ্বি ভালো, বিয়ের সময় এগিয়ে আসছে। আমরা চাচ্ছি কালকে বিয়ের শপিং সেরে ফেলতে। আপনি কি বলেন? ( সাজ্জাদের মা)

জ্বি অবশ্যই কাজ যত তাড়াতাড়ি সেরে ফেলা হবে ততই মঙ্গল। ( আদ্রিতার মা)

তাহলে কালকে সকালে সামিরা আর আদ্রিতাকে রেডি থাকতে বলবেন সাজ্জাদ এসে ওদের নিয়ে যাবে। ( সাজ্জাদের মা)

আদ্রিতা ত যাবে না সামিরা যাক। ( আদ্রিতার মা)

আদ্রিতা যাবে না কেনো? (সাজ্জাদের মা)

আদ্রিতা ওর বান্ধবী আলোর সাথে নাকি শপিংয়ে যাবে। ( আদ্রিতার মা)

ও আচ্ছা এই ব্যাপার তাহলে কালকে আদ্রিতার বান্ধবী কেও আসতে বলবেন। সবাই একসাথে বিয়ের শপিং করলে তখনই আসল মজা পাওয়া যায়। আর সাজ্জাদের সাথে ও স্বাধীন আর সাজ্জাদের একজন কাজিন আসতে পারে। ( সাজ্জাদের মা)

আচ্ছা বেয়াইন। ( আদ্রিতার মা)

আরো কতক্ষণ সাজ্জাদের মা আর আদ্রিতার মা কথাবার্তা বলে ফোন কেটে দিলো।

********

দি,রুমে আসবো? ( আদ্রিতা)

তুই আবার কবে থেকে অনুমতি নিয়ে রুমে আসিস? ( সামিরা)

না দি এমনিই (আদ্রিতা)

কিছু বলবি? বললে বল ( সামিরা)

তোর বিয়ের মাএ ১ সপ্তাহ বাকি। ( আদ্রিতা)

হুম জানি। কিন্তু সাজ্জাদের তোর প্রতি কেয়ার দেখলে মনে হয় সাজ্জাদ তোকে ভালোভাসে। ( সামিরা)

আদ্রিতা নিশ্চুপ।

সাজ্জাদ বলেছিলো যেভাবে হচ্ছে সেভাবে চলতে দিতে। সবার ভালোবাসার নাকি পূর্ণতা পাবে। ( সামিরা)

হুম। ( আদ্রিতা)

এমন সময় আদ্রিতার মা রুমে আসলো। কালকে বিয়ের শপিং এ যেতে হবে তোরা সকালে রেডি থাকিস। সাজ্জাদ নিতে আসবে। আর আদ্রিতা তোর বন্ধুদের ও বলে দিস যেনো বিয়েতে আসে। আর কালকের শপিংয়ে আলোকে নিয়ে যাস। এক সাথেই সব শপিং সেরে ফেল আলোর সাথে আলাদা যাওয়ার দরকার নেই। কালকেই আলোকে সাথে নিয়ে যা।( আদ্রিতার মা)

এতো তাড়াতাড়ি বিয়ের শপিং? ( সামিরা)

তাড়াতাড়ি কই মাএ ১ সপ্তাহ বাকি। ( আদ্রিতার মা)

আচ্ছা কালকে সকালে যাবো। ( সামিরা)

আলোকে নিয়ে গেলে ওরা কি ভাববে না ভাবতে পারে। (আদ্রিতা)

না ওরা কিছু ভাববে না। সাজ্জাদের মার সাথে আমার কথা হয়েছে। তুই আলোকে ফোন করে বলে দিস। ( আদ্রিতার মা)

আচ্ছা আমি বলে দিবো আলোকে। ( আদ্রিতা)

আচ্ছা কথাটি বলে আদ্রিতার মা চলে গেলো।

দি আমি ও গেলাম কথাটি বলে আদ্রিতা ও চলে গেলো। সামিরা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। সব কিছু কেমন জানি হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

আদ্রিতা রুমে আসলো অস্থির অস্থির লাগছে। আদ্রিতা আলোকে ফোন দিলো,

কিরে কেমন আছিছ? ( আলো)

হ্যাঁ, আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুই? ( আদ্রিতা)

হ্যাঁ ভালো আছি। ( আলো)

শোন এক সপ্তাহ পর দির বিয়ে কালাে শপিংয়ে যাবো। তুই আসিস। ( আদ্রিতা)

কিকিকি??? আপুর বিয়ে মাএ এক সপ্তাহ পর। আর তুই আমাকে আজকে জানালি। কাজটা ঠিক করলি না৷ আচ্ছা দুলাভাইয়ের নাম কি? ( আলো)

সাজ্জাদ। ( আদ্রিতা)

কি মানে? সাজ্জাদ ভাইয়ার সাথে আপুর বিয়ে ঠিক হয়েছে? ( আলো)

হুম সাজ্জাদের সাথে আপুর বিয়ে ঠিক হয়েছে। ( আদ্রিতা)

কিন্তু তুই না সাজ্জাদকে ভালোবাসিস….? ( আলো)

এইসব কথা আর তুলিস না। কালকে সকালে সময় মতো চলে আসিস বাসার সামনে। তোর জন্য অপেক্ষা করবো। কথাটি বলে আলোর উওরের অপেক্ষা না করে আদ্রিতা ফোন কেটে দিলো। আলো স্তব্ধ হয়ে গেলো। আদ্রিতা কি সাজ্জাদের বিয়ে অন্য কারোর সাথে মেনে নিতে পারবে?

আদ্রিতা ফোনটি রেখে দিতে নিলো এমন সময় খেয়াল করলো, ২য় নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে,

মায়াপরী তুমি চিন্তা করো না। আমি সব ঠিক করে দিবো। আর ১ সপ্তাহ বাকি। তারপর তুমি শুধুই আমার।

মেসেজটি পরে আদ্রিতার বুকটা ধক করে উঠলো। কে এই মেসেজ দিচ্ছে? ১ সপ্তাহ পর কি হবে? আদ্রিতা আর কিছু চিন্তা করতে চাচ্ছে না। আদ্রিতা ফ্রেশ হয়ে নিলো। দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।

******রাতে******

সাজ্জাদ ঘরে বসে কাজ করছিলো। এমন সময় সাজ্জাদের বাবা রুমে আসলো।

বাবা কিছু বলবে? ( সাজ্জাদ)

হুম বিয়ের সময় কিন্তু এগিয়ে এসেছে। তুই যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিছ তা আদো কি সঠিক? (সাজ্জাদের বাবা)

হ্যাঁ বাবা আমি সব দিক বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ( সাজ্জাদ)

আচ্ছা ঠিক আছে। তোর সিদ্ধান্তের উপর আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে।

কথাটি বলে সাজ্জাদের বাবা যেতে নিলো যাওয়ার সময় বললো,

শোন একটি কথা বলতে ভুলে গেছিলাম আদ্র আসছে। রওনা দিয়েছে কতক্ষণ পর বাসায় আসবে। কথাটি বলে সাজ্জাদের বাবা রুম থেকে চলে গেলো।
সাজ্জাদ চিন্তা করছে আদ্র কেনো আসবে এখন?
#অজানা_অনুভূতি
#পর্বঃ ৩৩
#লেখিকাঃ আদ্রিতা খান অদ্রি

সকাল সকাল আদ্রিতা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে ঘুম ঘুম চোখে। মন থেকে কোনো ভাবেই সামিরার বিয়ের বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না। আবার মুখ ফোঁটে কিছু বলতে ও পারছে না৷। সারা রাত কান্না করে ভোরে ঘুমিয়েছিলো কিন্তু সকাল সকাল আদ্রিতার মা ঘুম থেকে তুলে দিয়েছে শপিং এ যাওয়ার জন্য। আদ্রিতা কোনোমতে ফ্রেশ হয়ে এসে দাঁড়িয়ে আছে সাথে সামিরা ও আছে। আলো বা সাজ্জাদ ওরা কেউ এখনো আসে নি।

উফফ দি আমি বাসায় গেলাম আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবো। ( আদ্রিতা)

চুপ কর আমার নিজের ও দাঁড়িয়ে থাকতে ভালো লাগছে না। কিন্তু কি করবো? ( সামিরা)

আমার ঘুম পাচ্ছে একটু ঘুমিয়ে আসি? ( আদ্রিতা)

চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক। সারারাত কি করেছিছ? ঘুমাস নি কেনো? ( সামিরা)

আর্জেন্টিনার খেলা দেখেছি 😎 ( আদ্রিতা)

হায়রে 🤦‍♀️ ( সামিরা)

এন সময় আলো আসলো,

সরি সরি দেরি করে ফেলেছি। ( আলো)

আরে আলো দেরি হয় নি যাদের সাথে যাবো তারাই এখনো আসে নি। ( সামিরা)

আচ্ছা। আপু তোমাকে অনেক অনেক শুভকামনা নতুন জীবনে অনেক সুখের হবে। ( আলো)

ধন্যবাদ। ( সামিরা)

আদ্রিতা আগে থেকেই আলোকে বলে রেখেছিলো। সাজ্জাদের সাথে আদ্রিতার কোনো ব্যাপার নিয়ে যেনো সামিরাকে না বলে। হঠাৎ খুব দ্রত গতিতে একটি গাড়ি এসে থামলো আদ্রিতাদের সামনে। এতো দ্রুত এসেছে সব জায়গায় ধোঁয়া উঠে গেছে। আদ্রিতা চিল্লিয়ে উঠলো,

এই গাড়ি কিভাবে চালাতে হয় শিখেন নাই নাকি?(আদ্রিতা)

আদ্রিতা চুপ কর এইটা সাজ্জাদের গাড়ি। ( সামিরা)

আদ্রিতা খেয়াল করে দেখলো আসলেই এইটা সাজ্জাদের গাড়ি। কিন্তু সাজ্জাদ ত এইভাবে গাড়ি চালায় না। তখনই গাড়ি থেকে একজন নেমে এসে বললো,

হেই কেমন আছো সবাই?

কে আপনি? ( আদ্রিতা)

তুমি চিল্লিয়ে উঠেছিলে না? রাস্তায় অজানা একটি ছেলের সাথে চিল্লাতে ভয় করে না?

আদ্রিতা কিছু বলতে নিবে এর আগে সামিরা বলে উঠলো, আদুরি চুপ কর। তারপর ঔইলোকটির উদ্দেশ্য বললো,

আপনার নাম কি? ( সামিরা)

হেই আমার নাম আদ্র। আর আপনার নাম? ( আদ্র)

সামিরা আপনি কি….. ( সামিরা)

সামিরা আর কিছু বলার আগেই সাজ্জাদ আর স্বাধীন গাড়ি থেকে নেমে আসলো,

ও আদ্র আমার ছোট খালার ছেলে। ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা সাজ্জাদকে দেখে মুখ ঘুরিয়ে নিলো। সাজ্জাদ তা বুঝতে পেরে ও পাওা দিলো না। আদ্র সামিরার উদ্দেশ্য বলে উঠলো,

যেই মেয়ে রাস্তায় এইভাবে অজানা ছেলের উপর চিল্লাতে পারে তার নাম আদুরি কিভাবে হয়? ওর নাম ত মিস বকবক রাখা দরকার। ( আদ্র)

আদ্রর কথা শুনে সামিরা আর আলো হেঁসে উঠলো। আদ্রিতা রাগে ফুঁসতে থাকলো। সাজ্জাদ পছন্দ করলো না আদ্রর কথা।

সরি একটু লেইট হয়ে গিয়েছে ( স্বাধীন)

না ভাইয়া সমস্যা নেই। ( আদ্রিতা)

গাড়িতে উঠো সবাই। ( সাজ্জাদ)

সবাই গাড়িতে উঠার জন্য এগিয়ে গেলো। স্বাধীন ড্রাইভিং সিটে বসলো। কারণ স্বাধীন গাড়ি চালাবে। স্বাধীনের পাশে সাজ্জাদ বসলো, পিছনে প্রথমে সামিরা ভিতরে বসলো তারপর আলো তারপর আদ্রিতা বসলো।

আমার কি এখন এই বকবক মেয়েটার পাশে বসতে হবে? ( আদ্র)

এতো সমস্যা হলে আপনার যাওয়া লাগবে না। স্বাধীন ভাইয়া আপনি গাড়ি চালানো শুরু করেন। (আদ্রিতা)

মেয়ে মানুষের এতো রাগ ভালো না। কথাটি বলে আদ্র আদ্রিতার পাশে বসে পড়লো। ৪ জন বসাতে সবার সাথেই সবার ধাক্কা লাগছে। সাজ্জাদ সামনে থেকে তা দেখতে পারছে। আদ্রিতার পাশে আদ্রর বসাটা মোটে ও ভালো লাগছে না সাজ্জাদের কাছে। গাড়ি চলতে শুরু করলো সামিরা আর আলো গল্প করছে। আদ্র ফোনে গেমস খেলছে। আদ্রতা কখন ঘুমিয়ে পড়েছে তার খেয়াল নেই। ঘুমের মধ্যেই ভুলে আদ্রর কাঁধে মাথা রেখে ফেলে। সাজ্জাদ তখনই গাড়ির আয়নায় তা দেখে চিল্লিয়ে বলে উঠে,

স্টপপপপপ (সাজ্জাদ)

আদ্র ততোক্ষণ আদ্রিতাকে আলোর দিকে ঠেলে দেই।

কি হলো স্টপ করতে বললি কেনো? ( স্বাধীন)

আমি পিছনে বসবো। আদ্র তুই সামনে গিয়ে বস ( সাজ্জাদ)

কেনো ভাইয়া আমি এখানেই ঠিক আছি। ( আদ্র)

যা বলছি কর সামনে এসে বস কথাটি বলে সাজ্জাদ গাড়ি থেকে নেমে গেলো। এতোক্ষণ চিল্লাচিল্লিতে আদ্রিতার ঘুম ও ভেঙে গেছে। আদ্র বাধ্য হয়ে সামনে গিয়ে বসলো।

সাজ্জাদ এসে আদ্রিতার সাথে বসলো।

দি তুই একটা কাজ কর তুই সাজ্জাদ ভাইয়ার পাশে বস। আমি তোর জায়গায় বসি। ( আদ্রিতা)

না তুই বস ওইখানে আমি এখানেই ঠিক আছি। ( সামিরা)

শালিকার মনে হয় আমার সাথে বসতে ভালো লাগছে না। ( সাজ্জাদ)

সাজ্জাদের মুখে শালিকা কথাটি শুনে আদ্রিতার রাগ আর ও বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু বলার উপায় ও নেই। স্বাধীন আবার গাড়ি চালাতে শুরু করলো। আদ্রিতা আলোর কাঁধে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। সাজ্জাদ আদ্রিতার চেহারার দিকে তাকালো সাজ্জাদ মের বুকটা ধক করে উঠলো সাজ্জাদ বুঝতেই পারছে কালকে নিশ্চয়ই সারারাত কান্না করেছে তাই আজকে এই অবস্থা। সাজ্জাদ দীর্ঘশ্বাস ফেললো। সাজ্জাদ একটু আড়ালেই বার বার নিজের হাত আদ্রিতার হাতের উপর রাখছে। হঠাৎ আদ্রিতা ঘুম থেকে উঠলো কিন্তু একটু পরেই আবার ঘুমিয়ে পড়লো। ঘুমের ঘোরে সাজ্জাদের কাঁধে মাথা রাখলো। সাজ্জাদ মনে মনে খুশি হলো এতোক্ষণ ধরে এইটাই চাচ্ছিলো সাজ্জাদ।

***** কিছুক্ষণ পর *****

বসুন্ধরা মার্কেটের সামনে এসে স্বাধীন গাড়ে থামালো।

আদ্রিতা উঠ এসে পড়েছি ( আলো)

আদ্রিতা কোনোমতে চোখ খুললো গাড়ি থেকে নেমে পড়লো। বাকিরা ও নামলো স্বাধীন পার্কে গাড়িটি রেখে আসলো। সবাই মার্কেটের ভিতর গেলো। প্রথমেই গেলো বিয়ের কনের জন্য লেহেঙ্গা কিনতে। সাজ্জাদ দোকানের কর্মচারীকে বললো যত নিউ কালেকশন আছে সব যেনো নামিয়ে দেখায়। আদ্রিতা আর আলো ও ড্রেস কিনবে। এতো ড্রেস এর মধ্যে সামিরা কনফিউজড হয়ে যাচ্ছে, পরে অনেকক্ষণ চিন্তা ভাবনা করে একটা লাল লেহেঙ্গা পছন্দ করলো।

স্বাধীন আদ্রিতা আর আলোর উদ্দেশ্য বলে উঠলো,

তোমরা ও পছন্দ করে নেও। ( স্বাধীন)

আদ্রিতা ও একটি লাল লেহেঙ্গা পছন্দ করলো, সামিরার লেহেঙ্গা থেকে এই লেহেঙ্গাটি বেশি গরজিয়াছ। দোকানের কর্মচারী আদ্রিতার উদ্দেশ্য বললো,

মেডাম এইটা বউদের জন্য। ( দোকানের কর্মচারী)

আদ্রিতা কথাটি শুনে অন্য একটি লেহেঙ্গা দেখতে নিলে। সাজ্জাদ বলে উঠলো যেহেতু এইটা পছন্দ হয়েছে তাই এইটাই নেও। ( সাজ্জাদ)

সামিরা ও বললো এইটাই নে। আদ্রিতা আর কিছু বললো না। এই লেহেঙ্গাটা ফাইনাল করলো। আলো একটি বেগুনি কালারের লেহেঙ্গা পছন্দ করলো। বলতে হবে ৩টি লেহেঙ্গাই অনেক গরজিয়াছ। লেহেঙ্গা কিনা শেষে সবাই বেরিয়ে আসলো ওই দোকান থেকে।

মিস বকবক এর চয়েস আছে বলতে হবে। ( আদ্র)

আলো হেঁসে উঠলো। সাজ্জাদের পছন্দ না আদ্রকে কারণ আদ্র বরাবরই একটু বেশি কথা বলে। এ জন্য সাজ্জাদ আদ্রকে পছন্দ করে না। আদ্র হচ্ছে সাজ্জাদের ছোট খালামুনির ছেলে। আদ্র আর সাজ্জাদ এক বয়সেরই। কিন্তু সাজ্জাদ নিজের কাজ ব্যবসা সবকিছু নিয়ে ব্যস্ত। আর আদ্র নিজের ঘুরাঘুরিতে ব্যস্ত।

আমাকে মিস বকবক বলবেন না। আমার নাম আদ্রিতা আদ্রিতা বলবেন আমাকে। ( আদ্রিতা)

আদ্র আদ্রিতার কথা পাওা না দিয়ে নিজের মতো হাটঁতে থাকলো। বাকিরা আগে আগে হাটঁছে আর আদ্রিতা পিছনে। হঠাৎ পিছন থেকে কেউ আদ্রতার হাত ধরে টান দিলো………

#চলবে

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here