“অদ্ভুত মুগ্ধতা ” পর্ব ১৬

“অদ্ভুত মুগ্ধতা ”
পর্ব ১৬
মিশু মনি
.
মিশুর ঘুম ভাঙল একটু দেড়িতে।ঘুম থেকে উঠার পর থেকেই ওর খুব উৎফুল্ল লাগছে।মাথায় কোনো যন্ত্রণা নেই,শরীর টাও ফুরফুরে লাগছে! ও খুশিমনে উঠে পড়লো।
পুরো বাড়িতে একটা হৈ হুল্লোর ভাব এসে গেছে।আর মাত্র একদিন আছে বিয়ের।বাড়িটা লোকজনে গিজগিজ করছে।অধিকাংশ আত্মীয় স্বজন চলে এসেছে।মিশু বিছানার উপর শান্ত হয়ে বসে রইলো।কেন যেন খুব আনন্দ হচ্ছে।ইচ্ছে করছে পুরো বাড়ি নেচেনেচে বেড়াতে।আজ কোন জামাটা পড়া যায়? কিভাবে সাজবো?
এমন সময় মৈত্রী এসে ঘরে ঢুকলো।মিশুকে দেখেই বললো,গুড মর্নিং মিশু।
– আসসালামু আলাইকুম।
মৈত্রী হেসে সালামের জবাব দিয়ে বললো,ভালো লাগছে?
– হ্যা,খুব ভালো লাগছে।এত আনন্দ হচ্ছে! ইচ্ছে করছে ধেইধেই করে নাচি।
– তাই নাকি! আনন্দের কারণ?
মিশু হাসল।ও নিজেও জানেনা আজ কেন এত ভালো লাগছে? গত রাতে মনের সব কষ্ট মৈত্রীর কাছে বলতে পেরেই হয়ত এত ভালো লাগছে।এত বছর ধরে বুকে জমিয়ে রাখা পাথর টা হঠাৎ করেই নেমে গেছে! মিশু হাই তুলতে তুলতে বলল,আমি আজ আপনার ঘরে ঘুমিয়েছি? আপনি কোথায় ঘুমিয়েছেন?
– তানিনের রুমে।
– ও আচ্ছা।কয়টা বাজে?
– নয়টা।
মিশু অবাক হয়ে গেলো এত বেলা হয়েছে শুনে।প্রতিদিন ও ভোরবেলা উঠে তানিনের সাথে ব্যায়াম করতে বেড়িয়ে যায়।আজ যাওয়া হয়নি।ও জানালা দিয়ে বাইরে তাকানোর চেষ্টা করলো।মৈত্রী মুগ্ধ হয়ে মিশুকে দেখছে।আজ ওর আনন্দের সীমা নেই।অনেক বড় একটা স্বপ্ন পূর্ণতা পেতে চলেছে।মিশু সারাজীবন এ বাড়িতে থেকে যাবে এটা ভেবেই বেশি আনন্দ হচ্ছে।সবাই ওকে কত্ত ভালোবাসে! ও মিশুর দিকে তাকিয়ে বললো,আজ আমি খুব খুশি।
– ওমা তাই!
– হ্যা।আজ তুমি আমার কাছে যা চাইবে,আমি তোমাকে তাই এনে দিবো।
মিশু তৎক্ষণাৎ জবাব দিলো, আমার একটা আইফোন টুয়েন্টি ফোর চাই।
মৈত্রী ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলল,আইফোন টুয়েন্টি ফোর! কি হবে ওটা দিয়ে?
– আইফোন টুয়েন্টি ফোর দিয়ে আমি টি টুয়েন্টি খেলবো।
মৈত্রী হাসতে হাসতে বলল,তাই নাকি! তাহলে তো ওটা স্পেশালি অর্ডার দিয়ে বানিয়ে নিতে হবে।অনেক সময়ের ব্যাপার।তুমি অন্যকিছু চাও?
– আইফোন হবেনা?
– আইফোন সিক্স সেভেন চাইলেও একটা কথা ছিলো।টুয়েন্টি ফোর আমি নিজেই স্পেশালি বানাবো কেমন?
– ওকে,তাহলে অন্যকিছু চাই?
মৈত্রী হাসছে আর চেয়ে আছে মিশুর দিকে।মিশু গালে হাত দিয়ে ভাবছে।খুবই মায়াবী দেখাচ্ছে ওকে।ঘুম থেকে উঠার পর কাউকে এত সুন্দর দেখায়,সেটা ও জানতো না।মুগ্ধ হয়ে তাকিয়েই রইলো।
মিশু বলল,আমাকে একটা খামার বানিয়ে দেবেন? মশার খামার।
– মৎস্য খামার?
– উহু,মশার খামার।ওখানে আমি মশা পালবো।
মৈত্রী চোখ বড় বড় করে তাকালো।মশা কেউ পালন করে নাকি! আজব কথাবার্তা তো! কিন্তু শুনতে ওর ভালোই লাগলো।মিশুর মনটা খুব ভালো থাকলে ও এমন উদ্ভট উদ্ভট কথা বলে।কি বলে বলুক,কিচ্ছু যায় আসেনা।ও যে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে পারছে,এটাই অনেক।রাত্রের ঘটনাটা মনে হলে এখনো মৈত্রীর কান্না পাচ্ছে।ও হেসে বলল,মশার খামার আবার কেমন?
মিশু উৎফুল্ল হয়ে বললো,ওখানে আমি মশা পালন করবো।আপনি আমাকে এক হাজার দশটা মশা কিনে এনে দেবেন।ওগুলো ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবে,আবার সেগুলোর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবে,এভাবে একদিন এক কোটি মশা হয়ে যাবে আমার।আমি মশাগুলোকে সিন্সিয়ারিটি,রে
সপন্সিবিলিটি,আদব কায়দা সব শেখাবো।ট্রেনিং দিয়ে দিয়ে আদর্শ মশা বানাবো।তারপর সেগুলো সাপ্লাই করবো।
মৈত্রী এতক্ষণ হা করে শুনছিল মিশুর কথা।এবার হেসে জানতে চাইলো,কি হবে এসব মশা দিয়ে?
মিশু আগের চেয়েও বেশি উৎফুল্ল হয়ে বললো,দেখুন মশা আর মিশু খুবই কাছাকাছি একটা নাম।নামের মিলের জন্যই ওদের জন্য আমার অনেক মায়া হয়।ওরা হচ্ছে আমার মিতা।মানুষ যখন মশাকে অকারণে মেরে ফেলে আমার খুব খারাপ লাগে।ওরা তো আমাদের তেমন ক্ষতি করছে না।শুধু সামান্য একটু রক্ত খেয়ে ফেলে।তাছাড়া আর করবেই বা কি? ওরা তো রক্ত খেয়েই বাচে।কিন্তু আমরা ওদের মেরে ফেলি।জীবহত্যা মহাপাপ।আমরা মশা মেরে মেরে এই অন্যায় টা করছি।তাই আমি একটা মশার খামার দিবো। সেখানে ওদের কে শেখাবো কিভাবে আদরের সহিত অন্যকে কামড়াতে হয়।ওরা এমন ভাবে মানুষের শরীর থেকে রক্ত শুষে নেবে,যাতে মানুষ টেরই পাবেনা।আর মানুষ ব্যথা না পেলে মশাদের মারবেও না।এভাবে ওরাও বেচে গেলো, মানুষ কেও জীবহত্যা করতে হলোনা।
মৈত্রী দম বন্ধ করে মিশুর কথা শুনছিলো।এই মেয়ে কি সত্যিই এই গ্রহের প্রাণী? এভাবে যে মানুষ চিন্তা করতে পারে,সেটা ওর কল্পনার বাইরে! কি উদ্ভট!
মিশু বললো,মশাদের জন্য আমার অনেক মায়া হয় গো! মিশু নামের পুরুষ লিঙ্গ হচ্ছে মশা।

“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



মৈত্রী ফিক করে হেসে বললো,বাহ! এত ভালো চিন্তা! আমি শুনতে শুনতে হাফিয়ে গেছি মিশু।তুমি Rj হলে বেশ ভালো হবে।
মিশু হেসে বললো,সে পরে হবো।আগে বলুন আমাকে একটা খামার বানিয়ে দেবেন?
– হ্যা দিবো।এটাও তো তৈরী করতে সময় লাগবে।উদ্যেগ নিয়ে করতে হবে।তুমি রেডিমেড কিছু চাও।যেটা বাস্তবে আছে।
– আচ্ছা চাইছি।আমার মনটা আজ খুবই ভালো।চলুন আজ লং ড্রাইভে যাবো।
– এবারে ঠিক আছে।বলো কোথায় যাবা?
– বঙ্গবন্ধু সেতুতে যাবো।
– কিহ! মানে যমুনা সেতু?
– হ্যা,যমুনা ব্রীজ।ওখানকার পার্কটা আমার দারুণ লাগে।সেতুর আগে রাস্তার দুপাশে এত সুন্দর বাগান,এত বিউটিফুল রাস্তা,উফ জাস্ট থ্রিলিং! আমার শুধু যেতেই ইচ্ছে করে।
মৈত্রী করুণ গলায় বলল,ঢাকার ভিতরে আর কোনো জায়গা পেলে না? কাছাকাছি কোথাও যাই?
– উহু,আমি যমুনা অব্দি যাবো।লং ড্রাইভ বলে কথা।
– আরেকটু কাছাকাছি কিছু পেলে না?
মিশু একটু ভেবে বলল,কাছাকাছি? ওকে তাহলে কুমিল্লার ময়নামতি।
বলেই চোখ মারলো।
মৈত্রী মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো। সাংঘাতিক মেয়েরে বাবাহ! ও ইচ্ছেকরেই এমন দুষ্টুমি করে।রাগ করাও যায়না,না হেসেও পারা যায় না।কিন্তু ওকে এত ভালোলাগে যে,কথাগুলো শুনতেও বিরক্তির বদলে ভালোলাগা কাজ করে।ইচ্ছে করে আরো শুনি।আর কথা বলার সময় হাত নাড়ানোর ভঙ্গীটাও দারুণ লাগে!
মিশু বলল,শহরের পরিবেশ একদম ই ভাল্লাগেনা।আমি চাই একটু খোলা হাওয়ায় প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে।লং ড্রাইভ ও হবে,আর হাইওয়ে ধরে যেতেও ভালো লাগবে।চলুন না যাই?
মৈত্রী হেসে বললো,তাহলে যমুনাতেই চলো।
– পাক্কা?
– হ্যা পাক্কা।তুমি রেডি হয়ে নাও,আমি বাবাকে বলে আসি।

সাফায়েত উল্লাহ সাহেব মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা করছিলেন।মৈত্রী এসে পাশে দাঁড়াতেই উনি জিজ্ঞেস করলেন, কিরে কিছু বলবি?
– আব্বু, মিশু বেড়াতে যেতে চাইছে।
– নুহাশে নিয়ে যা।ওর ভালো লাগবে।
– ও লং ড্রাইভে যেতে চায়।
– নুহাশ পল্লী তো এখান থেকে বেশ দূরে।লং ড্রাইভ তো হলোই।
– ও যমুনা ব্রীজে যাবে।
কথাটা শুনে সাফায়েত উল্লাহ সাহেব ছেলের দিকে তাকালেন।সেটা তো ঢাকার প্রবেশ দ্বার বললেও ভুল হবে।এই ঢাকা শহরে কি জায়গার অভাব পড়েছে নাকি? একেবারে অতদূর যেতে হবে! কিন্তু ছেলেকে এসব কিছুই বললেন না।হেসে জবাব দিলেন, যা।ঘুরে আয়,ভালো লাগবে।
– কিন্তু আব্বু,কাল মাত্রার গায়ে হলুদ।আর আমরা লং ড্রাইভে যাবো? বাসায় অনেক কাজ।
উনি হেসে বললেন,সেগুলো নিয়ে তোদের ভাবতে হবেনা।মিশু যখন যেতে চাইছে,নিয়ে যা।এদিকে ডেকোরেশনের সব কাজ কমপ্লিট।শুধু খাবারের মেনুটা বানিয়ে বাজার করতে হবে।সেটা আমরাই পারবো।তোদের কোনো কাজ নেই।তুই ফিরলে মিশুদের বাসায় যাবো। যা,এখন হবু বউকে নিয়ে ঘুরে আয় গিয়ে।
কথাটা বলেই উনি হাসলেন।মৈত্রী খুব লজ্জা পেয়ে গেলো।বাবাকে জড়িয়ে ধরে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের রুমে চলে যাবার জন্য পা বাড়ালো।সাফায়েত উল্লাহ সাহেব বললেন, মিশু আমার মেয়ে।ও যা করতে বলবে,তাই করবি।ও যদি বলে হনুমানের খাঁচায় ঢুকে হনুমানজির কোলের উপরে বসে থাকো তবে তাই থাকবি।
মৈত্রী হেসে জবাব দিলো, আচ্ছা বাবা।
মিশু খুব সুন্দর করে সাজুগুজু করে গাড়িতে বসে আছে।মৈত্রী পুরো বাড়ি খুঁজে ওকে পেলো না।শেষ অব্দি বাবাকে জিজ্ঞেস করতেই উনি জানালেন, মিশু গাড়িতে চড়ে বসে আছে!
বাবা ছেলে দুজনেই হেসে বাইরে বেড়িয়ে আসলো।সাফায়েত উল্লাহ সাহেবের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ওরা গাড়ি ছেড়ে দিলো।
মিশুকে খুবই আনন্দিত দেখাচ্ছে।মৈত্রী নিজে গাড়ি ড্রাইভ করছে,মিশু বসেছে ওর পাশেই।জানালা খুলে দিয়ে সিটে হেলান দিয়ে বসে আছে ও।বাতাসে চুল উড়ে এসে মুখের উপর পড়ছে।ও খুশিতে আত্মহারা হওয়ার মত অবস্থা।ওর চোখে মুখে উচ্ছলতা! এত আনন্দিত মুখ যে,ইচ্ছে করে সবসময় চেয়েই থাকি।কিন্তু সবসময় চেয়ে থাকলে তো আর গাড়ি চালানো হবেনা,তাই মন দিয়ে গাড়ি চালাতে লাগলো ও।মিশু কিছুই বলছে না।শুধু একটু পর পর যেন লাফিয়ে উঠছে খুশিতে।অনেক দিন এরকম খুশি মুখ দেখেনা মৈত্রী।ও মনে মনে ভাবলো,প্রায়ই ওকে নিয়ে দূরে ভ্রমণে যেতে হবে।তাহলে মেয়েটার হাসিমুখ দেখার সৌভাগ্য হবে!
মিশু বললো,আমি কিন্তু বেশি করে খাইনি।কোথাও গিয়ে আমাকে নাস্তা করাবেন।
– খাওনি কেন?
– বেড়াতে যাওয়ার সময় খেতে ইচ্ছে হয়না।
এরপর আবারো দুজনে চুপচাপ।মিশু শহরের কোলাহল আর মানুষের ব্যস্ত জীবন দেখছে।ধুলাবালি উড়ে এসে সরাসরি নাকে লাগছে তবুও ও জানালা খোলাই রাখলো।
মৈত্রী হঠাৎ বললো,আচ্ছা মিশু আমাদের বিয়ে হলে কেমন হবে?
মিশু কিছু না ভেবেই সাথে সাথে উত্তর দিলো, বাচ্চা হবে।
মৈত্রী ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললো,মানে!
– বিয়ে হলে একটা ফুটফুটে বাচ্চা হবে।সিম্পল।
মৈত্রী হাসতে হাসতে বলল,তুমি নিজেই তো এখনো বাচ্চা!
– সো হোয়াট? আপনার সাথে বিয়ে হলে বিয়ের এক বছরের মাথায় আমাদের একটা মিষ্টি খুকি হবে।,
– তাই! ছোট বাচ্চা বুঝি খুব ভালো লাগে তোমার?
মিশু কি যেন ভাবল আনমনা হয়ে।তারপর বলল,আমি সবকিছুর সৌন্দর্য বুঝি।আপনাদের বাসায় সবাই কেমন বড় হয়ে গেছেন।দুষ্টুমি করার জন্য,পুরো বাড়ি মাতিয়ে রাখার জন্য একটা মিষ্টি খুকি দরকার।একবার ভাবুন তো,আমাদের ছোট্ট ফুটফুটে রাজকন্যার মত একটা মেয়ে,লাল টুকটুকে জামা পড়ে পুরো বাড়ি নেচে নেচে বেড়াচ্ছে।আর খিলখিল করে হাসছে,আমাকে আম্মু ডাকছে,আপনাকে আব্বু ডাকছে।কত ভালো লাগবে ভাবতে পারেন?
মিশুর কথা শুনেই মৈত্রী অন্য এক জগতে চলে গেলো। কল্পনায় দেখতে পেলো, একটা মিষ্টি রাজকন্যা।দুই বছর বয়স,ছোট্টছোট্ট পা ফেলে সিঁড়ি নিয়ে নামছে,উঠছে। একটু পরপর ডাকছে,আম্মু, আব্বু,দাদুমনি।সেকি মিষ্টি তার হাসি,সেকি সুন্দর গলার স্বর! যেন প্রতি কথায় মুক্তো ঝড়ে পড়ছে।কত সুন্দর টুকটুক করে হেটে বেড়াচ্ছে সারা বাড়ি!
মৈত্রী অবাক বিস্ময়ে মিশুকে বলল,তুমি এত সুন্দর করে স্বপ্ন দেখাও কেন?
– কই দেখালাম? ঠিকই বলেছি।তাছাড়া একটা কথা ভাবুন তো,আপনার বয়স এখন অনেক বেশি।যদি আরো পাচ বছর পরে সন্তান হয়,ছেলেমেয়ে মানুষ করবেন কখন? আর বাচ্চাকে স্কুলে রাখতে গেলে ওর বন্ধু বান্ধবীরা ওকে বলবে,কাব্যি এইটা কি তোর দাদু?
মৈত্রী হো হো করে হেসে উঠল।ভারি মজার কথা বলে মেয়েটা।না হেসে পারা যায়না।
মিশু বলল,কাব্যির কত লজ্জা লাগবে তখন!
– কাব্যি কে?
– আমাদের মেয়ের নাম হবে কাব্যি।আর ছেলে হলে নাম হবে কাব্য।
– বাহ! দারুণ তো! সত্যি মিশু তুমি একটা খাটি রত্ন বটে।
মিশু মুখ ভেংচে বলল,নাহ।আমি হচ্ছি মণি।মিশু মণি।মণি কোথায় থাকে জানেন তো? দূর থেকে দেখবেন, মণি জ্বলজ্বল করছে।ছুঁয়ে দেখতে যাবেন,বিষধর ফনা তুলে তাকাবে।আর ধরতে যাবেন,বিষাক্ত ছোবলে মেরে ফেলবে একেবারে।
মৈত্রী শব্দ করে হেসে বললো,সেটা তো সাপের মণি।তুমি হচ্ছ আমাদের চোখের মণি।চোখের তারা তুমি।
– পটাচ্ছেন আমায়?
মৈত্রী আরো জোরে হেসে উঠল।মিশু রেগে বলল,গাড়ি চালানোর সময় এমন করবেন না।এক্সিডেন্ট হয়ে যাবে।সাবধানে গাড়ি চালান।
তবুও মৈত্রির হাসি থামছে না।সবদিক নিয়েই মেয়েটা ভাবে,অদ্ভুত অদ্ভুত সব লজিক! বেশ মজা লাগছে ওর।
চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here