অন্তঃসন্তা_মেয়েকে_বিয়ে পর্বঃ ০৬

0
1542

অন্তঃসন্তা_মেয়েকে_বিয়ে
পর্বঃ ০৬
লেখকঃ #রাইসার_আব্বু
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .

.- পিকটাতে দেখা যাচ্ছে তোবার কাপড় সম্পূর্ণ খোলা আমি তোবার বুকের ওপর শুয়ে আছি।তোবা কাঁদছে ফটো টা দেখে বুঝতে বাকি হলো না তোবা শরবত খাইয়ে এসব করেছে।কথা প্লিজ বিশ্বাস করো আমি এসবের কিছুই করিনি। তোবা আমাকে শরবত খাইয়ে এসব করেছে।

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

.
ঠাস- ঠাস, ছিঃ তোর লজ্জা করেনা মিথ্যা বলতে, তুমি জানতে আমি মার্কেট এ যাবো। এ সুযোগ এ আমার বোনটাকে ভাবতে পারছিনা কিছু। মনে হচ্ছে হচ্ছে সুসাইড করি তোর কাছ থেকে মুক্তি পায়।আমার জীবনটাকে তো নষ্ট করেছিস এখন আমার বোনের সর্বনাশ করার জন্য পিছনে লেগে আছিস।খুব ইচ্ছা ছিল গর্ভের সন্তানটাকে পৃথিবীর আলো দেখাবো কিন্তু না তোকে মুক্তি দিয়ে যাচ্ছি, কথাটা বলে ফল কাঁটা ছুড়ি পেঁটের মাঝে চোখ বন্ধ করে চালিয়ে দিলো,.. ফিঁড়কি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে! কথা চোখ বন্ধ করে ফেললো! কিন্তু না কথা কিছু ফিল করছে না!
.
— চোখ খুলতেই দেখে রাজ ছুড়িটা ধরে রেখেছে। ফিঁড়কি দিয়ে রক্ত পরছে।
.
আমাকে তুমি কি মরতেও দিবে না। আমার মরার পর যা ইচ্ছা করো।(কথা)
.
কথা বিশ্বাস করো, তোবা যা বলছে সব মিথ্যা কথা। প্লিজ একটা বার বিশ্বাস করো!
.
— আপু, তুমি আঙ্কেল, আন্টি মার্কেটে চলে গেলে রাজ ভাইয়া বাসায় আসে। ভাইয়া বলে যে তুমি আমার ছোট বোনের মতো, তোমার সাথে যা হয়েছে তার জন্য ক্ষমা করে দাও। তোমার ভাই যদি এমন ভুল করতো ক্ষমা করতে না?
.
–আপু আমি রাজ ভাইয়ার এমন কথা শুনে আর রাগ করে থাকতে পারিনি। ভাইয়াকে বলেছি, তুমি তো আমার আপুর স্বামী, আমার ভাইয়ের মতোই, তোমার প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই! তবে ভাইয়া আমার একটা কথা রাখবে?
.
— কী এমন কথা বলবে? (রাজ)
.
— আগে বলো আমার কথা রাখবে?
.
— আচ্ছা কি কথা বলবে? আমি রাখব বল তুমি? (রাজ)
.
— ভাইয়া আমার বোনটাকে কখনো কষ্ট দিয়োনা! আমার বোনটা তোমাকে সত্যি অনেক ভালবাসে। সেই জন্যই বিয়ের আগে তোমার হাতে তার সতিত্ব তুলে দিয়েছে। আমাকে প্রমিজ করো আমার বোনটাকে কখনো দূরে সরিয়ে দিয়ো না।
.
— ওহ্ এই কথা, আচ্ছা পাগলী আমি কখাকে কখনো কষ্ট দিবো না। এই কথাটা বলে গান টেলে দিয়ে বললো; আচ্ছা তোবা বোন আমার, তোমার শর্ত রাখলাম। এখন আমার একটা ছোট্ট শর্ত রাখবে? (রাজ)
.
— ভাইয়া কী এমন শর্ত বলো আমি রাখবো!
.
— তার পর সুকেজ থেকে কালো পাড়ের জামদানিটা বের করে দিয়ে বলে, তোমার জন্য কিনেছি। এট যদি পড় তাহলে বুঝবো আমায় ক্ষমা করেছো। আমি ভাইয়ার কথা ফেলতে পারিনি। আমি শাড়ি পড়ে আসলে, ভাইয়া সেভেন – আপ খেতে দেয়।কিন্তু ভাইয়া সেভেন আপের সাথে ঘুমের বড়ি মিশিয়ে দিয়ে আপু আমার সব শেষ করে দিয়েছে! আপু আমি এ মুখ এখন কাউকে দেখাবো। কে বিয়ে করবে আমায়? আপু আমার জীবনটা এভাবে নষ্ট হয়ে যাবে, । আপু আমি জন্ম- নিয়ন্ত্রণ পিল খেয়েছি। তোমার মতো আমারো হলে বাবা সুই- সাইড করবে। কথা গুলো বলে কথাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো!
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
– মনে মনে বলছি, এ পরম করুণাময় আল্লাহ্ তুমি তো অন্তযামী সব জানো।, আমি জানি, সজিবের সাথে অন্যায় হয়েছে। সেই জন্য এতো বড় অপবাদ শুনতে হবে আমার। আল্লাহ্ এতো বড় অপবাদ শুনার আগে তোমার গোনাহ্- গার বান্দাকে তোমার কাছে উঠিয়ে নাও।
.
— রাজ, তোবা যা বললো তা কি সত্য? তুমি এতটা নিঁচ। বোন বলার পরেও? ছিঃ, ছিঃ আমার ঘৃর্ণা লাগছে তোমার মতো একটা জানুয়ারের সংসার করছি। ( কথা)
.
— কথা প্লিজ একটিবার বিশ্বাস করো! আমার বোন রিওের কসম করে বলছি। তোবা যা বলছে সব মিথ্যা কথা!
.
— চুপ আর একটা কথা বলবে না, জানুয়ার। তোর আবার বোনের কসম, যে বোনের কথা বলে তোবাকে, ছিঃ তুই কোনদিন কারো ভালোবাসা পাওয়া যোগ্য নাহ্! ( কথা)
.
— কথা, তুমি আমাকে, জানুয়ার! খারাপন,বদমাইশ, শয়তান যা ইচ্ছা তাই বলো তবুও প্লিজ এতো বড় মিথ্যা অপবাদ দিয়ো না! আমি আমার সন্তানের কসম করে বলছি। তোমার গর্ভের সন্তানের কসম করে বলছি, তোবা যা বলছে সব মিথ্যা!
.
.আপু, আমি জানতাম এমন কিছু বলবে, আমাকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য ফটো তুলেছে।। যেন আবার ওইসব করতে পারে! কথাগুলো বলে জোরে, জোরে কাঁদতে লাগলো তোবা।
.
— তোবা লজ্জা করে না কারো ভালোবাসা পাওয়ার জন্য এমন মিথ্যা কথা বলতে? ( আমি)
— ঠাস- ঠাস-ঠাস লজ্জা করেনা তোর মতো পাপী মুখে আমার সন্তানের নাম নিতে! আমার গর্ভের সন্তান তোর মতো পাপীকে কখনো বাবা ডাকবেনা। বাবা ডাকার আগে দরকার পড়ে গলা টিপে মেরে ফেলবো! আমি তোর মতো জানুয়ারের ঘর করতে চায় না। আমি তোর কাছ থেকে ডির্ভোস চাচ্ছি। যদি ডির্ভোস না দিস তাহলে, এই সন্তান নষ্ট করা পিল খেয়ে গর্ভের সন্তানকে মেরে ফেলবো তার পর নিজে মরে যাবো। ( কথা)
.
— কথার মুখে, তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার কথা শুনে বুকটা ফেঁটে যাচ্ছে। কথা তো বেশি কিছু চায়নি ডির্ভোস চেয়েছে। ওকে যদি ভালবাসার জন্য অন্তঃসন্তা অবস্হায় বিয়ে করতে পারি। তাহলে ওর ভালোই জন্য না হয় ডির্ভোস টা দিয়েই দিবো।
.
— তুমি চিন্তা করো না পাপিষ্ঠ- টা আপনাকে মুক্ত করে দিবে চিন্তা করোনা। বাবা মা, ভাগ্যিস রিও কে নিয়ে নানু বাড়ি গেছে তা না হলে আজ বাবা হয়তো স্টোক করতো। এতো কিছুর পরও আল্লাহ্ তুমি যা করো মঙ্গলের জন্য করো।
.

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
— আমার ডির্ভোসটা যতো তাড়াতাড়ি পার দিয়ে মুক্তি করো আমায়। আমি এ নরকে তোর সাথে থাকতে পারবো না। এই কথা বলে তোবাকে নিয়ে চলে গেলো।
.
-এখনো রক্ত বের হচ্ছে কাঁটা স্হান থেকে। হয়তো এ ক্ষত একসময় রক্ত পড়ে ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু হৃদয় থেকে যে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে তা কিভাবে ভালো হবে।
.
— আমি তোমাকে না চ্যালেন্জ করেছিলাম, তোমাকে আমি না পেলে কেউ পাবেনা।এখনো সময় আছে আমাকে ভালোবাসো। আর শুনো আপুর সাথে ডির্ভোস হলে, আমাদের দু’জনের আর কোন সমস্যা থাকবেনা। তখন তো কোন অযুহাত দিতে পারবে না! ( তোবা)
.
— ঠাস- ঠাস- ঠাস, তোর লজ্জা করেনা নিজের বোনের সংসার ভাঙ্গতে।অন্তঃসন
্তা একটা মেয়ের সংসারে আগুন লাগাতে। একটা বারো তোর অন্তর কেঁপে ওঠে না তোর বোনের গর্ভের নিঃশ্বাপ সন্তানের কথা মনে করে!
.
— নাহ্ আমি তোমাকে ভালবাসি। যে কোন মূল্যে আমি তোমাকে চাই’রি চাই। পারলে আরো দু’টো থাপ্পর দাও। জানো তোমার হাতের স্পর্শটা আমার পরম পাওয়া। আর হ্যাঁ সব গুলো পিক আছে আমার কাছে, এখন যতো তাড়া-তাড়ি পারো আপুকে ডির্ভোস দাও। কথাটা বলে চলে গেলো তুবা।
.
— রুমের লাইট অফ করে শুয়ে আছি, চোখ দিয়ে অনবরত পানি আসছে। আর মনে মনে ভাবছি যাকে এতটা ভালবাসতাম, যে অন্তঃসন্তা হওয়ার পরও তাকে বিয়ে করলাম। যাকে এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিন ভার্সিটিতে যেতাম,
.
-আমি সজিব, নাজমুল,রমজান, ভার্সিটির সজিব ঘাসের ওপর বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। রমজান ভার্সিটির মেয়েদের সাথে রেগিং করছে, হঠাৎ একটা পরীর আগমন, কালো পাড়ের নীল শাড়ি পড়ে শিশির ভেজা ঘাস গুলোর ওপর দিয়ে হেঁটে আসছে। ভার্সিটির সবাই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে।
.
— হঠাৎ, রমজান মেয়েটাকে ডাক দিলো; এইযে মিস বড় ভাইদের দেখলে যে সালাম দিতে হয় তা কি জানো না?
.
— ওহ! সরি আঙ্কেল, আসসালামু আলাইকুম!
.
— আমাকে আঙ্কেল মনে হয় কি?
.
— আপনার মাথায় একটু চুলও নেই, বলতে গেলে মিনি টুনামেন্ট। ভাবছিলাম আপনাকে জেঠু ডাকবো। কিন্তু বিবেকে কেন যেন বাধঁলো! তাই আঙ্কেল।
.
— ওহ! তাই বুঝি, আচ্ছা এই গোলাপটা ওই যে বসে আছে নাহিদ কাক্কু তাঁকে দিয়ে বলবে তাকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেছো। ( রমজান)
.
— ঠাস- ঠাস- আজ দু’ইটা দিলাম এর পরে যদি কাউকে রেগিং করতে দেখি। তাহলে কলেজ থেকে রাজটিকিট করবো! .
— রমজান গাল ধরে বসে আছে!
.
— কলেজের সবাই বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
.
— কথা মামনি! তোমার বাসা থেকে আসতে কোন সমস্যা হয়নি ( অধ্যক্ষ)

#_____________চলবে________________


#কোনো গল্পের পর্ব খুজে না পেলে সর্বশেষ পোস্ট কমেন্ট করে জানাবেন।



#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here