অন্তরালের কথা পর্ব ৩৩

#রিপোস্ট
#অন্তরালের_কথা
লেখা – জান্নাতুল ফেরদৌস মাটি
পর্ব – ৩৩
.
.

” মারে তুইতো মাশাল্লাহ অনেক বড় হয়েছিস সবকিছুই বুঝিস। মানে আশেপাশের পরিবেশ পরিস্থিতির কথা বলছি। তুই যদি কোনো ভুল পথে পা দিয়ে ফেলিস কিংবা তোর কোন ক্ষতি হয়ে যায় আমাদের কী হবে ভেবেছিস? আমরা যে মরেই যাবো। তুই ছাড়া কী আমাদের কেউ আছে বল? ”
” কিন্তু বাবা….”
” আমার কথাগুলো শেষ হোক তারপর না-হয় তোর কথা শুনবো? ”
” হুম। ”
” আমার চোখের দেখা না-হয় মিথ্যে কিন্তু তুই নিজের চোখ ঘুরিয়ে দেখতো তোর পরিচিত অর্থাৎ এলাকার ছেলেদের, তোর কলেজের ছেলেদের মাঝে ঠিক ক’টা ছেলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে? বেশিরভাগই তো নেশা করে আর তা নাহলে সিগারেট খায়। সেই সাথে একাধিক মেয়ের পেছনে ঘুরাতো আছেই তাই না? ”
” হুম। ”
” সবকিছু জেনে শুনে বাবা-মা হয়ে কি করে তোকে আগুনের মুখে ঠেলে দিই বলতে পারবি? ”
” আচ্ছা বাবা, তুমি যেসকল সমস্যার জন্য আমায় বিয়ে দিতে চাইছ, সে সমস্যা গুলোতো আমার ফ্রেন্ডদের সাথেও হতে পারে। কিন্তু কই ওদের বাবা-মা তো সেসব নিয়ে তোমার মতো এতো গভীর ভাবে ভাবছে না! ”
” তুই যদি মা সবার মতো হতি তাহলে কি আর আজ আমি এই চিন্তায় চিন্তায় হাই প্রেসারের রোগী হয়ে যেতাম?”
” হুম৷ ”
” এদিকে তিহান একটি ভালো বংশের ছেলে। স্বভাব চরিত্র শুনেছি বেশ ভালো।জবও করে ভালো একটি কোম্পানিতে। দেখাশোনাতেও মাশাল্লাহ। নেশা, সিগারেট তো দূরের কথা চা খাওয়ারও নেশাটুকু নেই। এরকম ছেলে তো এই যুগে পাওয়া ভীষণ কঠিন। আর যারা পায় তাদের ভাগ্যের জোরে পায়। যেমনটা তোর ভাগ্যের জোরে এসেছে। এখন তুই বল মা আমি কী করবো? তাদের কী বলে দেব তুই-ই বলে দেয়। ”
বাবা ফিরোজ আলমের কথা শুনে মেঝের দিকে চোখের দৃষ্টি রেখে কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো নিদ্রা। তারপর মনের দ্বিধা দ্বন্দ্ব দূর করে বলল,
” আমার ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি দেখার জন্য তোমরা দু’জন অনেক কিছু করেছ। আমি তোমাদের জন্য এইটুকুনি করতে পারব না এটা কী হয় বলো বাবা? আর মেয়ে হয়ে যখন জন্মেছি বিয়েতো একদিন না একদিন করতেই হবে তাই না? তাহলে এখন করতে দোষ কোথায়! আমি রাজি বাবা। তোমরা যখন, যেভাবে করবে তাতেই আমি রাজি। এবার তোমরা খুশিতো? ”
” সাধেই কী তোকে পাকা বুড়ি বলি? আমার মা-ও তো এতো সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে পারবে না। ”
” হি.. হি..”
এতক্ষণ যাবৎ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাবা মেয়ের কথা শুনে আইরিন বেগম মেয়ে নিদ্রার পাশে বসতে বসতে কাঁপা গলায় বললেন,
” তুই জানিস না মা, আজ আমাদের তুই কী সুখটাই না দিলি। আজ আমাদের সার্থক তোকে বড় করা। বুক ফুলিয়ে তোর বাবা বলতে পারবে আমরা মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করেছি। এ বিয়ে হোক বা না হোক তুই যে আমাদের কথা ফেলিস নিই বরং হাসি মুখে মেনে নিয়েছিস এটাই যে আমাদের জন্য অনেক। ”
আইরিন বেগমের কথা শেষ না হতেই ফিরোজ আলম বললেন,
” হ্যাঁ রে মা! তুই আমাদের মুখ রেখেছিস আমাদের নিরাশ করিস নিই। আর এটাই যে প্রতিটি বাবা-মায়ের চাওয়া থাকে তাদের সন্তানের থেকে। ”
এ পর্যায়ে নিদ্রা চোখমুখ ঘোরাতে ঘোরাতে বলল,
” তোমাদের কথা শুনে নিজেকে নিয়ে নিজের মাঝে এতটা গর্ববোধ হচ্ছে যার ফলে আমি কিন্তু ইমোশনাল হয়ে পড়ছি। এই দেখো চোখের কোণে জল ঝিলমিল ঝিলমিল করছে! এখন যদি তোমরা আরও কিছু বলো আমি কিন্তু বিয়েতে দেয়া মত ফিরিয়ে নিয়ে অমত করব আর তোমাদের জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কেঁদে বলব, ” আমি এ বিয়ে করবো না। আমি আরও কিছুদিন তোমাদের সাথে থাকব। আমি কারো ঘরে যাবো না। ভ্যা ভ্যা… ” এখন তোমরা কি চাও আমি এরকম কিছু করি? ”
নিদ্রার কথা শুনে ফিরোজ আলম হো হো করে হেসে উঠলো আর বলল,
” এই পাগলী মেয়েটাকে নিয়ে যে আমি কি করবো! ”
” বাবা! তোমাকে কিচ্ছু করতে হবে না। মে হু না! তুমি শুধু আমায় ২১০ টাকা দিয়ে দাও তাহলেই হবে। আমি একটা আইসক্রিমের বক্স কিনে নিয়ে আসি। ”
” তাই? কিন্তু আইসক্রিমের দাম তো ১৯০ টাকা বাকি ২০ টাকা দিয়ে কি হবে শুনি?”
নিদ্রা বসা থেকে হুট করে দাঁড়িয়ে চোখগুলো বড় বড় করে বলল,
এ্যা মা..! তুমি এতো কিপটে কেন বাবা? এই মাদার কেন সিং থুক্কু মা , তুমি এতোগুলো দিন কি করে বাবার সাথে থেকেছ বলতো? আমি এতো কষ্ট করে এই নরম নরম পা গুলো দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামবো আর সেই নামার ভাড়া গুলোর জন্যও আজ আমাকে কৈফিয়ত দিতে হবে? তাও আবার মাত্র ২০ টাকার জন্যে!”
“উফ! আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম তোর পায়ের যে আবার ভাড়া লাগে! ”
” হুম, এখন যেহেতু মনে পড়েছে টাকা দিয়ে দাও আমি দৌঁড়ে গিয়ে আইসক্রিম নিয়ে আসি। যে গরম পড়েছে আইসক্রিম খেলেই হয়তো ভেতরটা ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল হবে। ”
নিদ্রার বাচ্চাপনা কথা শুনে ফিরোজ আলম হাসতে হাসতে পকেট থেকে টাকা বের করে দিয়ে বলল,
” এই নেয় মা, তোর আইসক্রিমের দাম ও তোর পায়ের ভাড়া মিলিয়ে ২১০ টাকা। ”
” হি..হি.. থ্যাংকস বাবা! তুমি এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো বাবা, আমার লক্ষী বাবা।”
মা আইরিন বেগমের দিকে ছটফট দৃষ্টিতে তাকিয়ে নিদ্রা বলল,
” মা! দ্রুত দরজা লাগাও আমি দোকানে গেলাম। আর শোন, দরজা লাগিয়ে আবার রান্নাঘরে চলে যেও না যেন, আমি কিন্তু এক্ষুনি আইসক্রিম নিয়ে চলে আসবো। ”
বলেই নিদ্রা ছুটে চলে গেল। এদিকে ফিরোজ আলমের দিকে আইরিন বেগম তাকিয়ে হেসে বললেন,
” এই মেয়ে সারাজীবন বাচ্চাই রয়ে যাবে। বড় হয়েও যেন বড় হবার খাতায় নাম লিখবে না। ”
কথাটি বলেই দরজার কাছে চলে যায় আইরিন বেগম।

.
মুক্ত আকাশের বুকে বালুকণার ন্যায় টিপটিপ করে জ্বলে উঠা তারাগুলো দেখতে বরাবরই খুব পছন্দ অতলের। যেদিনই অন্ধকার আকাশে তারা তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে জ্বলে উঠে সেদিনই যেন অতল সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে তারাবিলাসে মগ্ন হয়ে উঠে। যেমনটা আজ হয়ে উঠেছে। অতলের মগ্নতা দেখলে কেউ বলবে না তার পাশে সুন্দরী এক নারী আছে। যে কেউ বলবে অতল হয়তো একা তাই এতো নির্জনতায় সময় পার করছে।
এদিকে অতলের এই নীরবতা দেখে তানহা শান্ত গলায় বলল,
” খুব উপভোগ করো এই আঁধার আলো রাতটিকে তাই না? ”
” তুমি করো না বুঝি? ”
” সেতো করি নাহলে যে মুহূর্তটি বৃথা যাবে। ”
” হুম তবে আমায় দেখায়। আমি সব জানি বুঝলে! ”
তানহা ভ্রু কুচকে অতলকে বলল,
” কী জানো? ”
অতল আকাশের থেকে মুখ ঘুরিয়ে তানহার চোখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
” এখনো বলে দিতে হবে কী জানি আমি? আচ্ছা বেশ, আমি বলছি। আমি যখনি এই তারায় পরিপূর্ণ আকাশটি উপভোগ করতে ব্যস্ত থাকি, তখন তুমিও কি আমায় দেখায় ব্যস্ত থাকো না? তুমি স্বীকার করো কিংবা না করো তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কেননা আমি যা বুঝার, যা অনুভূতি করার সবই করেছি। তাই তোমার স্বীকারোক্তির কোনো প্রয়োজন নেই আমার। ”
” তোমার এতো দিকে খেয়াল থাকে কি করে বলতে পারো? আমিতো ভাবতাম তুমি হয়তো তারা দেখায় গভীর মগ্ন থাকতে! আশেপাশে কী হচ্ছে না হচ্ছে কিছুতেই তোমার হুশ নেই। কিন্তু আজ বুঝতে….”
” কিন্তু আজ বুঝতে পারলে তো তোমার বরের সবদিকে খেয়াল থাকে? ”
” না বুঝে কি উপায় আছে? বুঝতে যে হতোই আমায়। ”
” মানে? ”
” কিচ্ছু না। ”
বলেই অতলের একহাত উঁচু করে নিজের কাঁধে রেখে নিজেকে অতলের আষ্ঠেপৃষ্ঠে বন্দি করে অতলের কোমড় জড়িয়ে বুকে মাথা রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল,
” রাতের পর রাত এ মিটমিট তারাগুলো দেখে কী পরিমাণ চোখের পানি ফেলেছি জানো? কতশত দীর্ঘশ্বাস এ পৃথিবীর বুকে ছেড়েছি জানো? জানো না কিংবা ক্ষানিকটা হলেও হয়তো আন্দাজ করতে পারো। তবে পুরোটা পারবে না। ”
” কারো অনুভূতি, কারো কষ্ট যে কেউ বুঝতে পারে না কিংবা ভাগ করে নিতে পারে না। যার যার অনুভূতি বলো আর কষ্টই বলো নিজের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে”
” হুম। ”
” হুম, এবার আগের কথা বাদ দিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু বলোতো। আর তোমাকে একটা কথা বলে রাখি, আমাদের মাঝকার এই দূরত্বটার কথা অর্থাৎ গত দেড়বছরের ঘটনাগুলো যতদ্রুত সম্ভব তুমি ভুলে যাবার চেষ্টা করো। এতে তোমার জন্যও মঙ্গল আর আমাদের দাম্পত্য জীবনের জন্যও। বুঝেছ? ”
” চাইলেই কি সহজেই কিছু বোঝা যায়? যে বোঝার পেছনে লুকিয়ে আছে হাজারো রহস্য। ”
” মানুষের কাছে অসাধ্য বলতে কোন কথা নেই। আল্লাহ সবকিছুই মানুষের দ্বারা সাধ্য করে দিয়েছে। তা নাহলে মানুষ পৃথিবী থেকে বের হওয়ারও উপায় খুঁজে পেতো না আর চাঁদেও যেতো না। ”
” তবে সবাই কিন্তু চাঁদে যেতে পারে না। উপায় জানা নেই বলে। সেই মানুষগুলো কিন্তু গ্রামে জঙ্গলের ঝোঁপঝাড়েই জীবন পার করে দেয়। ”
” শুধু কথা বাড়িয়ে লাভ নেই যে কথাটি বললাম চেষ্টা করে দেখো। ”
” ইনশাআল্লাহ। ”
দু’জনের মাঝে সৃষ্ট গম্ভীরতা কাটানোর জন্য দুষ্টু করে তানহার খোঁপা বাঁধা চুলগুলো প্রকৃতির মাঝে মেলে দিয়ে তাতে নাক ডুবিয়ে গন্ধ নিতে নিতে অতল বলল,
” এবার সাবজেক্ট চেঞ্জ করা যাক?”
” করতেই পারো আমি তো বসেই আছি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করার জন্য। ”
” তাই নাকি? ”
” হ্যাঁ, দেখে বোঝ না বুঝি? ”
” কী বুঝবো? ”
” ঢং করছ আমার সাথে? বয়স কি দিন দিন কমছে নাকি বাড়ছে? সবকিছু বুঝেও বলছ যে, ” কী বুঝবো? ” ঢং যত্তসব! ”
” হো… হো…আমি ঢং? হ্যাঁ, ঢং? দাঁড়াও দেখাচ্ছি তোমায় ঢং কাহাকে বলে? উহা কতপ্রকার ও কি কি! ”
” না না, সরি ভুল হয়ে গিয়েছে। এবারের মতো ক্ষমা করে দাও! আর কক্ষনো বলব না এসব কথা। এই দেখো আমি নিজেই আমার কান মুলে দিচ্ছি। তাও প্লিজ ছাদের মাঝে কিছু করো না। ”
” তুমি না আসলেই পাগল সরি পাগলী। ছাদে আমি আবার কী করবো? আমি কী এতটাই পাগল যে বউয়ের মান সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলবো? আমি একা হলে আলাদা কথা ছিল। ”
” তুমি একা হলে আলাদা কথা ছিল মানে!”
” আরে ছেলেদের আবার লজ্জা আছে নাকি তোমাদের মতো? ছেলেরা কাপড় না পড়ে ঘুরলেও সম্মান যাবে না। মানুষ তো ফিরেই তাকাবে না। আর তোমরা মেয়েরা… ”
” ইসস! হয়েছে হয়েছে, আর কিছু বলতে হবে না তোমায়। অনেক বলেছ। আজকাল দেখি তোমার মুখে কোন কথাই আটকায় না। দিন দিন কী লজ্জার মাথা খেয়ে বসছ নাকি? ”
” তুমি পাশে থাকলে লজ্জার মাথা খাবো কী তোমায় কাছে পাবার ইচ্ছায় লজ্জা যে লজ্জাকেও ভুলে যায়। ”
” কথার কী ছিড়িরে বাবা! এই ঘরে চলতো তোমার বিশ্বাস নেই কখন কী করে ফেলো পরে না আমার সম্মান নিয়েই টানাটানি লাগে। তারচেয়ে ভালো আগেভাগেই ঘরে চলে যাই। ”
” বউ দেখি আমার ভয় পেয়েছে। ”
” যেসব কথা বলছ ভয় পাবো না তো কি করবো? ”
” হুম তাও কথা। তোমার বরটা খুব পাজি তাই না? ”
” উমম…পাজি তবে বেশি একটা না। আমায় যে বড্ড ভালোবাসে। ”
” আর তুমি? তুমি বুঝি বাসো না ভালো? ”
” বাসি তো! অনেকটা ভালোবাসি। আমার জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসি। ”
” তাই? ”
বলেই অতল নিজের মুখখানা তানহার কাছে নিতে লাগলো। কিন্তু তানহা অতল আর নিজের মুখের মাঝে দেয়াল হিসেবে গায়ের ওড়না ধরে মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
” এই গভীর রাতে খোলা আকাশের নিচে ভালোবাসার খেলা মাতিও না। প্রকৃতিও যে লজ্জা পাবে। ”
অতল ওড়নাটি সরিয়ে তানহাকে বুকে টেনে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল,
” খোলা আকাশের নিচে না-হয় না-ই ভালোবাসায় মেতে উঠলাম তবে… ঘরে তো মাতোয়ারা হতে পারি! ”
বলেই তানহাকে পাজ কোলে নিয়ে নেশা লাগানো ঘোরে ঘরের দিকে যেতে লাগলো অতল। এদিকে তানহা লজ্জায় দু-হাত দিয়ে মুখ লুকিয়ে চুপসে রয়েছে অতলের বুকের মাঝে।
.
” বেলা তো কম হয়নি! দুপুর পেরিয়ে বিকেল হলো বলে।কখন যে সবকাজ শেষ হবে আল্লাহই ভালো জানে। ধ্যাৎ! আমার কিছুই ভালো লাগছে না। মেহমান চলে আসলে কেমন হবে ব্যাপারটা! তাও আবার নতুন কুটুম বলে কথা! ভাবতেই লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে আমার।
মেহমানদের আসার আগ মুহূর্তে মায়ের এতো অস্থিরতা দেখে অতল হেসে ফেলল। আর মায়ের কাঁধ জড়িয়ে ধরে বলল,
” মা! তোমাকে হয়তো আল্লাহ ভুল করে ছেলের মা করেছে। তোমার হাব ভাব দেখে মনে হচ্ছে তুমি ছেলের মায়ের জন্য না, মেয়ের মায়ের জন্য একেবারে পারফেক্ট। হো..হো…”
” আমাকে দেখে তোর হাসি পাচ্ছে বুঝি?তুই কী বুঝবি মায়ের টেনশন? ভেতরটা যে কিরকম করছে সেতো কেবল আমিই জানি। ”
” আরে মা, এতো টেনশনের কি আছে বলোতো? সব কিছুতো ঠিক ভাবেই এগুচ্ছে আর যদি বলো ঘরের কাজের কথা, সেটাও তো তানহা বেশ ভালো ভাবেই করে ফেলছে। তাহলে টেনশনটা কেন তোমার? ”
পাশ থেকে ঘর গুছানোর ফাঁকে তানহাও বলল,
.
.
চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here