“অবুঝ_ছাত্রী part_19

#অবুঝ_ছাত্রী

#লেখক_IR_Iman_Islam

#part_19

(18পর্বের পর থেকে )

আজকে কেনো আমার চোখে ঘুম ধরতেছে না।আমার বুক কেনো ধক ধক করতেছে মনে হচ্ছে রাফিজার কিছু হয়েছে।আর ঘড়ির কাটা মনে হচ্ছে যাচ্ছেই না।

ঘড়ির কাটা ঠিকেই যাচ্ছে কিন্তু ঈমানের মনে হচ্ছে না।কারন তার চিন্তা কখন সকাল হবে ওই বাড়িতে যাইতে পারবে।কখন যে ঘুমাই গেছি জানি না।সকালে মায়ের ডাকে ঘুম থেকে উঠলাম।ঘড়িতে দেখি 8:00 টা বাজতেছে।এ আল্লাহ্ এতো দেরি হয়ে গেছে।আংকেল আমাকে তারাতারি যাইতে বলেছে তাদের বাড়ীতে।আমি খুব দূরত ফ্রেস হয়ে রূম থেকে বাহির হতেই
এই ঈমান কই যাচ্ছিস নাস্তা করে যা বাবা।
খাবো না মা এখন।
আরে খেয়ে যা বাবা।না খেয়ে থাকলে শরীল খারাপ করবে।
মার কথা শুনে মনে হলো মা তো কখনো আমাকে ছেড়ে খাইবে না।আর মা তো অসুস্হ তাই মার কথা শুনে নাস্তার করতে গেলাম।তারপর মা নাস্তার দিলো আমি আর মা খাইলাম।

মা আমি তাহলে গেলাম।
আচ্ছা বাবা যা কিন্তু দেখে শুনে যাস ওকে।
ঠীক আছে মা।মার থেকে বিদায় নিয়ে রাস্তাস আসলাম রিকশার জন‍্য।কিছুক্ষন দারিয়ে থাকতেই রিকশা পেলাম।রিকশা তার আপন গতিতে চলতেছে কিন্তু আমার মন শুধু একটাই কথা বলতেছে হঠাৎ আংকেল কেনো আমাকে ডেকেছে।
মামা এসেছি নামেন।
হঠাৎ রিকশাওলার ডাকে আমার ধ‍্যান ভাঙ্গলো।
ওকে মামা দার করার রিকসা।
ওকে।
তারপর রিকশা দার করালো আমি রিকশা থেকে নেমে গেলাম এবং তার ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে রাফিজাদের বাসায় যাওয়ার জন‍্য প্রস্তুতী নিচ্ছি।ভয়ে আমার বুকে ধুক ধুক শব্দ হচ্ছে।ভাবতেছি যাবো কি না এতোদূর এসে আবার ঘুড়ে যাবো।ভয়ও লাগতেছে, ভয় ভয় করে দরজার সামনে গিয়ে কলিং বেলে একবার চাপ দিলাম।কিন্তু কেউ দরজা খুললো না তাই আর একবার কলিংবেল চাপ দিতেই দরজা খুলে দিলো।
আর ভাইজান যে দুইদিন ধরে বাসায় আসেন না যে রাফিজাকে আপাকে পড়াতে।
আমি অবাক হলাম আজকে প্রথম রাফিজা বাদে অন‍্য কেউ দরজা খেলেছে।আজকে ওদের কাজের মেয়ে নদী দরজা খুলেছে।আমি প্রতিদিন পড়াতে আসলে রাফিজা দরজা খুলে তাই।
কি হলো ভাই জান কি ভাবেন।আর ছোট আপা মনি নাই তো।
কিছু না।আর তোমার ছোট আপা মনি কই গেছে।
কেনো আপনি জানেন না।কাল রাতে,,,,,

কার সাথে কথা বলতেছিস রে নদী।(মমিন সাহেব ঘর থেকে বলতেছে )
বড় সাহেব রাফিজাকে প্রায়ভেট পড়ায় না সে আসছে।ওকে তাহলে ওকে ভিতরে আসতে বললো।
আংকেলের কথা শুনে ভয়ে ভয়ে ভিতরে ঢুকলাম।দেখতেছি আংকেল সোফায় বসে চা খাচ্ছে।আর খবরের কাগজে কি যেনো দেখতেছে।

আরে ঈমান যে আসো আসো এখানে বসো।
আমি গিয়ে আংকেলের পাশের সোফায় বসলাম।
নদী ঈমানকে এক কাপ চা দিয়ে যা তো।
ঠিক আছে বড় সাহেব।
নদী এসে আমাকে এক কাপ চা দিয়ে গেলো।কি বেপার রাফিজা কি বাসায় নাই না কি।নিচে আসছে না কেনো।নাকি কালকে বিয়ে হয়ে গেছে।

তো বাবা কেমন আছো বাবা তুমি।
জ্বি আংকেল ভালো আছি আপনি?
ভালো আর কই রাখলে।
(এই কথা শুনে আমি তো ভয়ে হাত পা অলরেডি কাপা কাপি শুরু করে দিয়েছে।)
কেনো আংকেল কি হয়েছে।
শুনলাম তুমি নাকি রাফিজাকে ভালো বাসো।আর তুমি আমার একমাত্র মেয়ে দেখে তাকে প্রেমের জালে ফাসিয়েছো।তুমি নাকি রাফিজাকে বিয়ে করে আমার সব সম্পত্তী তুমি নিতে চাও।এটা তো আমি কখনো হতে দিতে পারি না।আমি তো তোমাকে জেলে দিবো।

জেলের কথা শুনে আমার তো সেই অবস্হা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।মনে হচ্ছে এক দৌড়িয়ে পালিয়ে যাই এখান থেকে।কিন্তু আমি পালিয়ে গেলে হবে না।আমি তো কখনো রাফিজাকে বলি নাই তোমার বাবার টাকা আছে দেখে তোমাকে ভালো বেসেছি।
তাহলে এখন বলো কতো টাকা হলে তুমি আমার মেয়ের পেছনে বেড়ানো ছেড়ে দিবে।আর আমি কখনো তো চাইবো না আমার মেয়ে কোন এক গরিব ঘরে বিয়ে দিতে।
আংকেল আপনার আজকে টাকা আছে দেখে ভালোবাসা কিন্তে চাচ্ছেন।হাসালেন ভালোবাসা কখনো টাকা দিয়ে কেনো যায় না।ভালোবাসা হয় তো একটা সুন্দর মন থেকে টাকা দেখে না।আপনার মেয়েকে আমি টাকা দেখে ভালো বাসি নাই।আমি আমার মন থেকে ভালো বেশেছি।
এগুলো কথা আমি অনেক শুনেছি।টাকা ছাড়া পৃথিবী অচল।তাই বলতেছি কতো টাকা নিবা বলো।তুমি যতো চাইবে ততো দিবো।।
আংকেল আমরা গরীব হতে পারি কিন্তু টাকার লুভী না।আপনার টাকা আপনার কাছে রেখে দেন।আচ্ছা ঠিক আছে আপনার মেয়ের সামনে কখনো আর ভালোবাসার দাবি নিয়ে আসবো না।আর একটা কথা মনে রাখবেন টাকা কখনো প্রকৃত সুখ দিতে পারবে না।আর কখনো কারো ভালোবাসা টাকা দিয়ে কিন্তে আসবেন না।
এই কথা বলে আমি চলে যাচ্ছি তাতে আংকেল বলতেছে।

কই যাও।
বাসায় যাচ্ছি আংকেল।
রাফিজার সাথে দেখা করবে না।তোমার হবু বউ এর সাথে।
হবু বউ মানে বুঝলাম না
আরে রাফিজা তোমার হবু বউ।আমি তোমাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছি।
তাহলে আপনি যে এতোক্ষন ওগুলো কথা বললেন।
আর কথা গুলো বলেছি তোমাকে পরিক্ষা করার জন‍্য।আমি চেয়েছিলাম আমার হবু জামাই আমার মেয়েকে ভালোবাসে নাকি আমার টাকাকে।পরিক্ষা করে দেখলাম তুমি আমার টাকা কে নয় আমার মেয়েকে সত‍্যি ভালো বাসো।
আংকেলের কথা শুনে আমার এখন হাসি পাচ্ছে।কারন সত‍্যি কারের ভালোবাসা কখনো হেরে যায় না।
ঈমান রাফিজার খবর জানো কালকে ওকে আমরা জোর করে বিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।কিন্তু আমরা বিয়ে দিতে পারি নাই।তার আগে রাফিজা সুসাইট করে।এই কথা বলে আংকের থেমে যায়।
সুসাইট মানে ও এখন কই আছে আংকেল।আমাকে ওর কাছে নিয়ে চলুন আংকেল।আমার রাফিজার কিছূ হতে পারে না।
শান্ত হও এখন রাফিজা ঠিক আছে।ও এখন বিপদ মুক্ত।হাসতালে আছে এখন।
কোন হাসপাতালে আছে রাফিজা।আমাকে নিয়ে চলুন
তার কাছে।আমি রাফিজার সুসাইট করার কথা শুনে প‍্রায় পাগল হয়ে যাওয়ার মতো হয়ে গেছি।আমার পাগলীটা সুসাইট করছে।এই কথা শুনার আগে কেনো আমার মৃত্যু হলো না।কতো কষ্ট না পেয়েছে আমার পাগলী টা।
ঠিক আছে চলো তাহলে রাফিজার কাছে যাই।

( জানি আজকের পার্ট টা ছোট্ট হয়েছে তার জন‍্য আমি দুঃখীত।সকালে ঘুম থেকে উঠে যেটুকু পেরছি লিখে ছি।তাই কেউ কষ্ট পাইয়েন না।আর সবাই বলেছিলো ঈমানকে একটা চাকরি দিতে ঠিক আছে এটা দিবো আর Next পর্বে নতুন মোর আসবে।গল্পটা আরো পড় করবো।)

#চলবে,,,,,,?

(ভূল হলে ক্ষমা করবেন। কেমন হয়েছে জানাবেন প্লিজ।কেউ next না বলে গঠন মূলোক মন্তব‍্য করবে।আর যাদের গল্পটা ভালো লাগতেছে না তারা পড়বেন না বাজে কমেন্ট করবেন না।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here