অভিযোগ গুলা কি অযৌক্তিক পর্ব -০৪

গল্প:-#অভিযোগ_গুলা_কি_অযৌক্তিক?
পর্ব:-০৪
লেখা:- AL Mohammad Sourav

বিয়ের এক বছরের মাথায় রুপা আমাকে ডির্ভোস দিতে চাচ্ছে। সত্যি বলতে এখানে রুপার কোনো দোষ নেই। সব দোষ আমার কারণ আমি সবসময় রুপার অভিযোগ গুলি শুনে আমার পরিবারের কাওকে কিছু বলিনি। আর কি বা বলবো? সংসারে এক সাথে থাকলে তো এমন একটু আট্টু ঝগড়া হবে তাই বলে রাগ করে বাপের বাড়ীতে চলে যেতে হবে। এসব ভাবতে ভাবতে বাড়ীতে এসেছি আমাকে দেখে আম্মা বলে,,,
আম্মা:- কিরে সৌরভ কোথায় গেছিলি?
সৌরভ:- রুপাদের বাড়ীতে।
আম্মা:- কেনো রুপাদের বাড়ীত গেছিস কেনো?
সৌরভ:- রুপাকে আনতে।
আম্মা:- তো মহারানী আসেনি বুঝি?
সৌরভ:- নাহ রুপা আর আসবে না। রুপা আমাকে বলেছে কিছুদিনের মধ্যে ডির্ভোসের কাগজ পাঠিয়ে দিবে।
আম্মা:- ডির্ভোস কাগজ রুপা পাঠাবে? দেখছিস রুপা কেমন মেয়ে? আমি আগেই বলেছি এই মেয়ে ভালো না। আমাদের সংসারে ঝগড়া লাগিয়ে এখন নিজেই চলে যাচ্ছে। সৌরভ তুই চিন্তা করিস না আমি তোর জন্য রুপার থেকে ভালো আর সুন্দরী মেয়ে বউ করে আনবো।
সৌরভ:- তাতে কি হবে আম্মা? আবার আপনাদের সাথে ঝগড়া হবে তখন আবার চলে যাবে। আচ্ছা আম্মা আপনি রুপার এত দোষ ত্রুটি ধরেন কেনো?
আম্মা:- আমি রুপার দোষ ত্রুটি ধরি? রুপা যে ভূল করে সবকিছু তো আমি বলি না তোদের কাছে।
সৌরভ:- যা বলেন তা শুনে রুপা আজ চলে গেছে। আর বাকী কি রাখছেন বলার?
আম্মা:- যেহেতু তুই আমাকে জিজ্ঞেস করতেছিস তাহলে বলি শোন। তোর বউ রুপা আর আমি দুজনে তো বেশী সময় বাড়ীতে থাকি। রুপা কোনো দিন বা কোনো সময় আমাকে এসে জিজ্ঞেস করেছে। মা আপনার কি লাগবে? কি খাবেন? আপনি ঔষধ খেয়েছেন কিনা? তাও আমি তোকে কিছু বলি না। তখনি আব্বা এসে বলে,,,
আব্বা:- আরে সৌরভ এসেছিস? তা রুপা আসেনি?
সৌরভ:- নাহ রুপা আসেনি কথাটা বলে আমি রুমে চলে এসেছি। আব্বাকে কিছু বলিনি কারণ আব্বার শরীর খারাপ আছে। রুপার ব্যপারে কিছু বললে যদি শরীর আরো খারাপ হয়ে যায়। তাই কিছু না বলেই রুমে এসে শাওয়ার নিতে গেলাম। আর ঐদিকে রুপার মা বোন রুপাকে বুঝাচ্ছে।
রুপার মা:- শোন রুপা একবার যেহেতু চলে আয়ছিস। আর সেই বাড়ীতে যাওয়ার নাম ভুল করেও মুখে আনবি না।
রুপার বোন:- তোর দুলাভাই আমার কথা উঠবস করে আর তোর জামাই তোর কোনো কথা শুনে না। আমি মনে করি সৌরভকে ডির্ভোস দিলেই ভালো হবে।
রুপার মা:- হ্যা তোর বড় দুলাভাই দিকে আর তোর জামাইয়ের দিকে তাকা তাহলে বুঝতে পারবি। আর শোন তোর আব্বু এসে যদি তোকে বলে যেতে তাহলে কিন্ত তুই রাজি হবি না।
রুপা:- ঠিক আছে। এখন আমাকে একটু একা থাকতে দাও বলে রুপা রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখে সৌরভ পঞ্চাশটা মিসকল আর বিশটা মেসেজ শুধু সরি আরেকবার সুযোগ দাও এই কথাটা লিখা। রুপা মনে মনে ভাবছে একটা ফোন করবো? নাহ কোনো দরকার নেই। আমি নিজেকে আরো শক্ত করতে হবে বলে রুপা মোবাইলটা বন্ধ করে দিয়ে শুয়ে পড়েছে। আর ঐদিকে সৌরভ বারে বারে রুপার নাম্বারে ফোন করছে আর বলছে এই মুহুর্তে নাম্বারটিতে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সৌরভ সারাদিনে ক্লান্ত শরীর নিয়ে খাটের উপর শুয়ে পড়েছে। এপাশ ওপাশ করছে কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসতেছে না। আর ঐদিকে রুপা এপাশ ওপাশ করে ঘুমিয়ে গেছে। এদিকে শেষ রাত্রে সৌরভ ঘুমিয়ে গেছে আজ সৌরভ অনেক দেরী করে ঘুম থেকে উঠেছে তাই তাড়াহুড়া করে সৌরভ বেড়িয়ে যাচ্ছে তখনি সৌরভের মা বলে,,,
আম্মা:- সৌরভ তুই এখনো বাড়ীতে?
সৌরভ:- হ্যা তাতে কোনো সমস্যা আপনারদের?
আম্মা:- এমন ভাবে বলতেছিস কেনো? সমস্যা হতে যাবে কেনো? তুই তো এত বেলা করে বাড়ীতে থাকিস না!
সৌরভ:- ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়ে গেছে আর কিছু বলবেন?
আম্মা:- নাহ কিছু বলবো না। আয় নাস্তা করে যা নাস্তা তৈরি আছে।
সৌরভ:- না আমার দেরী হয়ে গেছে। আমি বাহিরে কিছু খেয়ে নেবো বলেই বেড়িয়ে এসেছি। রুপার নাম্বারটা এখনো বন্ধ সৌরভ ফোন করছে বার বার বন্ধ বলছে। এবার বাধ্য হয়ে আবার রুপাদের বাড়ীতে গেছে। সৌরভকে রুপার বোন দেখেই বলে,,,
রুপার বোন:- তুমি আবার আসছো আমাদের বাড়ীতে?
সৌরভ:- হ্যা আমার রুপার সাথে কিছু কথা আছে আপা আপনি প্লিজ রুপাকে একটু ডেকে দিবেন! তখনি রুপার মা বলে,,,
রুপার মা:- রুজি কে এসেছে রে? (কথাটা বলে বাহিরে এসে দেখে আমাকে আর তখনি বলে) তুমি আবার এসেছো? তোমাকে বারণ করেছি তাও আবার বেহায়ার মত এসেছো? আচ্ছা তোমার কি সরম লাজ লজ্জা বলতে কিছু নেই?
সৌরভ:- আম্মা এমন ভাবে বলছেন কেনো? আমার রুপার সাথে কিছু কথা আছে। আর সেই কথা গুলি বলা শেষ হলেই চলে যাবো।
রুপার বোন:- রুপা তোমার সাথে দেখা করবে না আর রুপা বাসায় নেই। তুমি এখন এই মুহুর্তে আমাদের বাড়ী থেকে বেড়িয়ে যাও।
সৌরভ:- আপনি মিথ্যা বলছেন রুপা বাড়ীতে আছে। রুপা রুপা বলে জোড়ে জোড়ে ডাক দিলাম তখনি রুপা মা বলে।
রুপার মা:- এই রুজি দারোয়ানকে ডাক দে তো ওকে এবার দারোয়ানকে দিয়ে বের করে দিবো তাহলে ওর জন্য ঠিক হবে।
রুপার বোন:- হ্যা আম্মু ডাক দিতেছি বলে ওনি চলে গেলেন।( আমি দাড়িয়ে আছি কিছুক্ষণ পর দারোয়ানকে সাথে করে রুপার বোন এসে বলে।) ওকে ঘার ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে গেইটের বাহিরে ফেলে আসো। দারোয়ান আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তখনি রুপার মা বলে,,
রুপার মা:- কি হলো দাড়িয়ে কি দেখছো ঘার ধরে নিয়ে বাহিরে বের করে দাও। ঠিক তখনি রুপা এসেছে আমাকে দেখেই বলে,,
রুপা:- আপনি আবার এসেছেন?
সৌরভ:- রুপা তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
রুপা:- দেখুন আমি আগেও বলেছি আজকেও বলি আপনি দয়া করে আর আমাকে ঝালাতন করবেন না। আমি সব ভূলে নতুন করে শুরু করতে চাচ্ছি। প্লিজ আপনি চলে যান আপনাকে দেখে আমার খারাপ লাগে।
সৌরভ:- রুপা চাইলে কি সব কিছু ভূলে নতুন করে শুরু করা যায়?
রুপা:- হ্যা যায়। আপনি দয়া করে যান আর আমি এখন উকিলের সাথে কথা বলে এসেছি ওনি বলেছে খোব তাড়াতাড়ি ডির্ভোসের কাগজ আপনার বাড়ীতে পাঠিয়ে দিবে।
সৌরভ:- তার মানে সত্যি আমাকে তুমি ডির্ভোস দিতেছো?
রুপার বোন:- এই তুমি এত বেহায়া কেনো? তোমাকে সবাই এত অপমান করছে তাও তুমি এখানে দাড়িয়ে ফালতু কথা বলেই যাচ্ছো?
রুপা:- দেখুন আপনি যান আমার আর অতীত নিয়ে ভাবার সময় নেই। আমি আমার জীবন থেকে একটা বছর ভূলে যেতে চায়। আপনিও ভূলে যান আমি আপনার স্ত্রী ছিলাম। আপনি এমন কাওকে বিয়ে করেন যে আপনার মায়ের কথা মত চলবে। আপনার কাছে আপনার মামা বাবা ভাই বোনের কারো বিরুদ্বে কোনো অভিযোগ করবে না।
সৌরভ:- রুপা একটা বারের মত শেষ সুযোগ দেওয়া যায় না? (রুপা কিছুটা চুপ থেকে বলে)
রুপা:- আপনি চলে যান। আমার মনে হয়না আমি আপনাকে আগের মত করে ভালোবাসতে পারবো। আর যেখানে একবার ফাটল ধরে গেছে সেখানে যতই জোড়া তালি করেন না কেনো সেই আগের মত হবে না।
সৌরভ:- আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে?
রুপা:- বোকার মত এক কথা বার বার কেনো বলেন? আপনি এই মুহুর্তে আমার চোখের সামনে থেকে চলে যান। আমি আর আপনার মুখ দেখতে চায় না।
সৌরভ:- আমি মানছি তোমার সাথে যা হয়ছে সেইটা অনেক খারাপ হয়ছে। তাই বলে এমনটা কখনো ভাবিনি যে তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে। যেহেতু তুমি আমার মুখ দেখতে চাওনা সেহেতু আমি আর তোমার সামনে আসবো না। ভালো থেকো রুপা আর আম্মা আপা আপনারা যা করেছেন আমার সাথে সত্যি কি আমি এই ব্যবহার গুলি পাওনা ছিলাম? আমার মনে হয় আমি এই গুলি একদম পাওনা কিন্তু আপনারা যা করছেন তা কি সত্যি ঠিক হয়ছে? রুপা ভালো থেকো আল্লাহ হাফেজ কথাটা বলেই বেড়িয়ে এসেছি। আজ মনে হচ্ছে আমি আমার কাছে হেরে গেছি। আমি তো চেয়েছি সবাইকে নিয়ে এক সাথে থাকতে এসব ভাবতে ভাবতে অফিসে এসেছি।
সবুজ:- ভাইয়া কোথায় ছিলেন?
সৌরভ:- একটু কাজ ছিলো। তা বল সব মাল কি রেডী হয়ছে?
সবুজ:- হ্যা হয়ছে।
সৌরভ:- ঠিক আছে তাহলে আমি ফোন করে বলে দেয় ওনারা আগামীকাল মাল নিতে পারবে। সবুজ আচ্ছা বলে চলে গেছে। সৌরভ কাজ করতেছে কিন্তু কাজে একদম মন বসে না। শুধু রুপার কথা মনে পড়ে এর মাঝে আবার রুপার নাম্বারে ফোন করেছে এবার ব্যস্ত বলে। তিন চার বার ফোন করার পর একিই কথা বলে। সৌরভ তার টেলিফোন থেকে ফোন করছে সেইটা রিং হচ্ছে দুবার রিং হতেই ফোন কেটে দিছে। এরপর আবার দিছে তখন ব্যস্ত বলে তার মানে রুপা আমার নাম্বার ব্লক করে দিছে। সৌরভ বড় একটা নিশ্বাস নিয়ে কাজে মন দিলো। আর রুপা সবার সাথে হাসি ভাবে কথা বলছে ঠিকই কিন্তু ভিতরে ভিতরে সৌরভের কথা চিন্তা করে অনেকটা কষ্ট পাচ্ছে। এবাবে এক সাপ্তাহ চলে গেছে সৌরভ প্রতিদিন রুপার বাড়ীর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। মাঝে মাঝে রুপা বারান্দায় এসে দেখে যায় আর দারোয়ানকে দিয়ে বলে দেয় চলে যেতে। সৌরভ দারোয়ানকে দিয়ে নানা রকম লিখে কাগজ পাঠায় রুপার কাছে কিন্তু রুপা নাকী সেই কাগজ খুলে না দেখে ফেলে দেয় ডাজবিনে সেইটা দারোয়ান এসে বলে। প্রতিদিনের মত ক্লান্ত শরীর আর মন নিয়ে সৌরভ রাতে বাড়ীতে গেছে তখন ওর মা বলে,,,
আম্মা:- সৌরভ আগামী কাল সাহেদকে দেখতে পাত্রী পক্ষ আসবে তুই বাড়ীতে থাকিস।
সৌরভ:- একটু মুচকি হেসে বলি সাহেদকে দেখতে আসবে এখানে আমি থেকে কি করবো? আমার কাজ আছে আমি থাকতে পারবো না বলেই রুমে চলে এসেছি। আম্মা কিছুটা আন্তাজ করতে পারছে রুপার অভাব আমাকে অনেক কষ্ট দিচ্ছে তাই এখন আমার সাথে বেশী একটা কথা বলে না। রুপাকে ফোন করেছি কিন্তু একিই কথা ব্যস্ত একটা দৃঘ্য শাস ফেলে খাটের উপর শুয়ে পড়েছি। আর কখন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে বসেছি তখন আব্বা বলে,,
আব্বা:- সৌরভ বউমা কেমন আছে?

সৌরভ:- হ্যা ভালো আছে। আরেকটা কথা রুপা আর আসবে না।
আব্বা:- বউমা কি সত্যি আসবে না?
সৌরভ:- মনে হচ্ছে ও আর আসবে না। ওর মা বোন চায় না আমার সাথে সংসার করুক। ওরা রুপাকে অন্য জায়গা বিয়ে দিবে নাকী।
আব্বা:- কি বলিস অন্য জায়গা বিয়ে দিবে? আমি কি একবার যাবো রুপাদের বাড়ীতে?
সৌরভ:- নাহ থাক আপনি গেলে রুপার মা বোন খারাপ ব্যবহার করবে। আর রুপার বাবা চট্রগ্রাম গেছে এখনো আসেনি দেখি ওনি আসলে কি বলে। ওনি এক মাত্র শেষ ভরসা আমার।
আম্মা:- তার মানে তুই রুপাকে ফিরিয়ে আনতে চাস? ঠিক তখনি সৌরভ রেগে বলে উঠে,,,
সৌরভ:- আচ্ছা আম্মা আপনি কি সত্যি আমার মা? নাকী আমাকে আপনি রাস্থায় কুড়িয়ে পেয়েছেন? যদি আমার আপন মা হতেন তাহলে অন্তত এইটুকু তো বুঝতেন আমি কিসে শান্তি পায়? আর কার সাথে থাকলে সুখে থাকবে?
আম্মা:- সৌরভ তুই এমন কথা বলতে পারলি? কথাটা বলেই আম্মা কান্না করে খানা রেখেই চলে গেছে।
আব্বা:- সৌরভ কি বলেছিস তোর মাকে যেই মা তোর জন্য এত কিছু করছে! আর তুই কি সব ভুলে গেছিস?
সৌরভ:- আব্বা আমি কি করবো বলেন? আম্মা কেনো বুঝতে চায় না। আমি রুপাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। আর কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে পারবো না কথা গুলি বলে সৌরভ বেড়িয়ে গেছে। আজ অনেকদিন পর বাইক নিয়ে বেরুলাম রুপাকে নিয়ে বাইকে করে কত গুরতে গেছি মনে পড়ছে ভিষন রুপার স্মৃতি গুলি। এর মাঝে রাস্থায় একটা মেয়ে হাত বাড়িয়ে ইশারা করছে বাইক থামাতে। আমি চলে যেতে চায়ছি কিন্তু মেয়েটা এক প্রকার আমার বাইকের সামনে এসে দাড়িয়ে পড়ছে। বাইক থামাতেই বলে।
মেয়ে:- ভাইয়া প্লিজ আমার বোন কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি কিছুক্ষণের মধ্যে অপারেশন। আমার বোনকে জুরুরী রক্ত দিতে হবে প্লিজ আমাকে একটু নিয়ে চলেন।
সৌরভ:- ঠিক আছে বসেন।
মেয়ে:- ধন্যবাদ। ভাইয়া কিছু মনে না করলে আমি আপনার কাদে হাত রেখে ধরে বসি আমার বাইকে বসার অব্যাশ নেই যদি পড়ে যায়!
সৌরভ:- ঠিক আছে বসেন। মেয়েটা বসেছে। কিছুটা পথ যাবার পর সিগনালে পড়েছি পচন্ড গরম লাগতেছে। মাথার মধ্যে কি যেনো একটা লাগছে তাই মাথার হ্যামলেটটা খুলেছি তখন দেখি রুপা অন্য সি এন জি ভিতরে বসে আমার দিকে চোখ গুলো বড় করে ডেব ডেব করে তাকিয়ে আছে। আমি রুপাকে কিছু বলবো ঠিক তখনি সিগনাল ছেড়ে দিছে।

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here