অভিযোগ গুলা কি অযৌক্তিক পর্ব -০১

রুপার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে মাত্র এক বছর এর মাঝে রুপার সাথে আমি কখনো কোনো খারাপ আচরোন করিনি, কখনো ঝগড়া করিনি, এমন কি রাগি চোখে তাকিয়েছি বলে আমার মনে পড়ছে না। কিন্তু রুপা হঠাত করে আজ বলে উঠে আমার ডির্ভোস চাই। আপনার সাথে সংসার করতে আমার ইচ্ছে নেই। আমি আগামীকাল আমাদের বাড়ীতে চলে যাবো। সেখান থেকে আপনাকে ডির্ভোসের কাগজ পাঠিয়ে দিব। এক নিশ্বাসে কথা গুলি বলে রুপা ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। রুপার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে মাত্র এক বছর এর মাঝে আমি রুপাকে সবসময় আমার দিক থেকে সুখে রাখার চেষ্টা করেছি। আর রুপাও সবসময় বলে আসছে আমাকে স্বামী হিসাবে পেয়ে সে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে। কিন্তু রুপা হঠাত করে এমন সিদ্যান্তটা কেনো নিলো? মনে হাজারো প্রশ্ন নিয়ে বসে আছি এর মাঝে রুপা ঘরে এসেছে। রুপাকে কিছু বুঝতে না দিয়ে আমি ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে ঘর থেকে বেরেয়ি যাচ্ছি ঠিক তখনি রুপা বলে।

আমি যা বলেছি তা কিন্তু মন থেকে বলেছি। আমি আপনার সাথে আর সংসার করতে চাইনা। আমি আগামী কাল সকালে আমাদের বাড়ীতে চলে যাবো।

রুপার কথা গুলি আমি চুপচাপ দাড়িয়ে শুনেছি। এখনো কিছু বলিনি ঘর থেকে বেরিয়ে সোজা ছাদের উপরে চলে এসেছি। আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি আজ আকাশটা মেঘলা চাঁদটা নিবো নিবো করছে হাল্কা কিছুটা দেখা যাচ্ছে। মনে হয় বৃষ্টি আসবে এরই মাঝে টুকটাক বৃষ্টি পড়তে আরম্ভ করেছে। আমি দাড়িয়ে ভাবছি রুপা হঠাত করে আজ কেনো এমন কথা বলছে? রুপা কি তাহলে? না না আমি এসব কি ভাবছি এমনটা হতেই পারে না। ধূর এসব খারাপ চিন্তা না করে একবার রুপাকে জিজ্ঞেস করি কেনো এমনটা বলেছে! নাহ থাক এসব জিজ্ঞেস করার দরকার নেই কেউ যদি থাকতে না চাই তাহলে তাকে চলে যেতে দেওয়াটাই সবচেয়ে ভালো এসব ভাবতে ভাবতে নিচে এসেছি তখনি আম্মা বলে।

আরে সৌরভ তুই এখানে? আমি তোকে খুঁজতেছি। কেনো আম্মা কিছু হয়ছে? আগে আয় তারপরে না হয় দেখবি! (আম্মার সাথে যাচ্ছি আর মনে মনে ভাবছি রুপা তাহলে আম্মাকে ডির্ভোসের ব্যাপারে কিছু বলেছে?) আম্মা সোজা ওনার রুমে নিয়ে গিয়ে বলে।
সৌরভ আমি কি তোদের কখনো খারাপ চাইতে পারি বল?
হঠাত এমন কথা বলছেন কেনো? আপনি কেনো আমাদের খারাপ চাইবেন?
তুই তো জানিস আমি তোদের জন্য কি কি করেছি?
হ্যা সব জানি এখন বলেন কেউ আপনাকে কিছু বলেছে?
আমাকে কেউ কিছু বলবে এমন সাহোস আছে এই বাড়ীতে শুধুমাত্র একজন ছাড়া? শুধু মাত্র একজন আছে যে আমার সাথে তর্ক করে মুখে মুখে কথা বলে।
ও আচ্ছ তার মানে আব্বা আপনাকে কিছু বলেছে! আম্মা আপনি তো জানেন আব্বা এমন একটু আট্টু বলে থাকে। তারজন্য মন খারাপ করতে হবে না। আমি আব্বাকে বুঝিয়ে বলবো।
সৌরভ আমি তোর আব্বার কথা কি কখনো তোর কাছে নালিশ করেছি? (ঠিক তখনি আমার বুকের ভিতরে একটা চিন করে ব্যাথা অনুভব করতে পারছি। তারমানে রুপা আম্মার সাথে আজকেও ঝগড়া করেছে। যার কারণে অফিস থেকে আসা মাত্রই রুপা আমাকে ডির্ভোসের কথাটা বলেছে। তখন আম্মা বলে)
একমাত্র তোর বউ আমাকে বলে আমি নাকী সব কাজে তোর বউয়ের দোষ ত্রুটি খুঁজে খুঁজে বের করি। তোর বউ সব কাজেই ভুল করে আর আমি সেইটা বললেই বলে আমি টুক ধরি। আজকে রান্না করতে গিয়ে তরকারিতে বেশী মরিচ দিছে। আবার এক সাপ্তাহ হয়ছে বাজার করেছি এখুনি নাকী সব শেষ। এই সব বললে আমি নাকি খুঁজে খুঁজে দোষ ত্রুটি বের করি। এবার তুই বল এখানে তো আমি ভালোর জন্যই বলি তাইনা?

আম্মা আপনি এসব কিছু নিয়ে মন খারাপ করবেন না। আমি রুপাকে বুঝিয়ে বলবো।

বুঝিয়ে বলবি তা ঠিক আছে কিন্তু আমি এসব একদম সহ্য করবো না। তোর বউকে বলে দিবি এই বাড়ীতে থাকতে হলে আমার সব কথা মেনে চলতে হবে। এমন কি আমি যেভাবে বলবো ঠিক সেই ভাবে কাজ করবে।

ঠিক আছে তাই হবে। আমি আম্মাকে শান্তনা দিয়ে আমার রুমে এসেছি। চেয়ে দেখি রুপা তার সবকিছু গুচিয়ে ব্যাগে ঢুকিয়ে নিচ্ছে। আমাকে দেখে বলে।

কি আম্মা তার রুমে নিয়ে সুন্দর করে গুচিয়ে গুচিয়ে আমার নামে সব অভিযোগ দিয়ে দিছে তাইন? আমি জানি আপনি আপনার মায়ের পক্ষ নিয়ে এখন আমাকে বুঝাবেন।

তারমানে আজকেও তুমি আম্মার সাথে ঝগড়া করেছো? তোমাকে কতবার বলেছি আম্মা কিছু বললে চুপচাপ শুনবে কোনো তর্ক করবে না। তাও কেনো তর্ক করে একটা ঝগড়া তৈরি করো?

আমি জানতাম আপনি সব দোষ আমাকেই দিবেন। তাই আমি সিদ্যান্ত নিয়েছি আপনার সাথে সংসার করবো না। আমি আমাদের বাড়ীতে চলে যাবো আর সেখান থেকে ডির্ভোসের কাগজটা পাঠিয়ে দিবো।

বুঝতে পারছি তুমি এখন রেগে আছো তাই তোমার সাথে আমি কোনো কথা বলতে চাইনা। আমার খিদা লাগছে যাও গিয়ে খাবার রেডি করো আমি ফ্রেশ হয়ে খেতে আসতেছি।

আমি একটুও রেগে নেই আমি সবকিছু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা ভাবনা করে সিদ্যান্ত নিয়েছি। আম্মাকে ফোনে সব বলেছি আম্মা সব শুনে বলেছে এখুনি বাড়ীতে চলে যেতে। আপনি আপনার মা বাবা আর ভাই বোন নিয়ে থাকেন আমি চলে যাচ্ছি আপনার সংসার থেকে অনেক দৌরে।

সেটা সময় বলে দিবে কে কোথায় যাচ্ছে এখন খিদা লাগছে খাবার রেডি করো। আমি কথা গুলা বলে ফ্রেশ হতে গেলাম। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে খাবার টেবিলে গিয়ে দেখি রুপা খাবার রেডি করে রাখছে আমি খাবার খেতে বসেছি তখন আব্বা আমাকে বলে।

আব্বা:- সৌরভ তোর ব্যবসা কেমন চলছে?

হ্যা এখন কিছুটা ভালো চলছে। তখনি আব্বা বলে,,,

যদি ভালো চলে তাহলে সবুজকে তোর সাথে রাখ। ওর পড়া শোনার পাশাপাশি ব্যবসায়ী কার্জক্রম শিখে নিবে। কিরে আমার কথাটা তুই একটু ভেবে দেখিস। আর তোর যদি কোনো আপত্তি থাকে ঠিক তখনি আম্মা বলে,,,
এইটা তো ভালো কথা সৌরভের এতে কোনো রকম আপত্তি নেই। আর তাছাড়া এত ভেবে দেখার কি আছে? সবুজ আগামীকাল থেকেই সৌরভের সাথে যাবে। যতটুকু সময় পাবে ওর কাজে সাহায্য করবে। এতে করে সবুজের ব্যবসা শিখা হয়ে যাবে। আমি কিছু বলিনি শুধু মাথাটা নেরে হ্যা সূচক সম্মতি দিয়েছি। রুপার দিকে তাকিয়ে দেখি রুপার চেহারাটা কালো হয়ে গেছে। সবাই খাবার শেষ করে যার যার রুমে চলে গেছে। রুপা সবকিছু গুচিয়ে রুমে এসেই বলে।

এইটা কি হলো?
মানে কোনটা কি হলো?
মানেটা তো আপনি বুঝবেন না। এখন তো বুঝতে পেরবেন না তাই আমি বুঝিয়ে বলতেছি। আমার বাবার টাকাই ব্যবসাটা দিলেন। আর এখন কি হচ্ছে নিজের ভাইকে সেই ব্যবসার অংশীদার বানাতে চাচ্ছেন?
তোমার বাবার টাকা মানে কি? আমি তো তোমার বাবার সব টাকা দিয়ে দিছি। তোমার বাবা আমাকে হাওলাদ দিয়েছিলো আর বলেছিলো। সময় মত টাকা যেনো ফেরত দিয়ে দেয় সময়ের আগেই টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি।

রুপা:- হ্যা ফেরত দিয়েছেন। কিন্তু তখন তো আপনার মায়ের কাছেও টাকা ছিলো কয় তখন তো এক টাকাও দেয়নি বরঞ্চ বলেছিলো চাকরি ছাড়ার দরকার নেই। ব্যবসার থেকে চাকরি ভালো। আর কি যেনো বলেছিলো মনে আছে?

আমি:- আচ্ছা তোমার কি হয়ছে বলো তো? আগে তো কখনো এমন ভাবে ব্যবহার করতে না! আর আমাদের পরিবারের বিষয় নিয়ে কোনো রকম কথাবার্তা বলতে না?
রুপা:- এখন আমার সব কথা আপনার কাছে খারাপ মনে হবে। আপনার মা আপনাকে কান পড়া দিয়ে দিছে না। যখন চাকরিটা ছেড়েছেন তখন আপনার মা কিন্তু বলেছিলো চাকরিটা যে ছেড়েছিস এখন তোমাদের খাওয়া দাওয়ার খরচ আসবে কোথা থেকে? প্রতি মাসে (১৫)পনের হাজার টাকা সংসারে দিয়ে আসছিলে এখনো দিতে হবে এক মাসও যেনো বন্ধ না হয়। আর যেই মাস থেকে দিতে পারবেনা সেই মাস থেকে বাড়ী ছেড়ে চলে যেতে বলেছিলো মনে নেই আপনার সেই সব কথা?
আমি:- আচ্ছা এখন এসব বলে কি হবে? বরং সংসারে অশান্তি তৈরি হবে। বাবার হাটের ব্যাথা বেরে যাবে মায়ের সাথে আমাদের সম্পর্কের অবনতি হবে। আর মা কান্না আরম্ভ করে খাওয়া দাওয়া সব বন্ধ করে দিবে। তারচাইতে ভালো সবুজ যদি যেতে চাই তাহলে তো আমার জন্য ভালো হবে।
রুপা:- কি ভালো হবে সেটা সময় বলে দিবে। আপনার মা সবুজকে কেনো দিচ্ছে জানেন? কারণ আপনি যেনো একা ব্যবসার ভাগ না নিতে পারেন তাই সবুজকে চালাকি করে আপনার বাবা মা আপনার সাথে পাঠাচ্ছে।
আম:- দেখো তুমি যা ভাবছো তানা আমার কষ্ট বেশী হয় তাই বাবা মা সবুজকে আমার সাথে যেতে বলছে। এখন কথা কম বলে ঘুমাও।

রুপা:- আমার কথা আপনি কখনো শুনেন নাই আর কখনো কিছু বলার প্রয়োজন মনে করবো না। আমি আগামীকাল সকালে চলে যাবো। আপনি থাকেন আপনার কাছের সব মানুষ নিয়ে। তখনি রুপাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরেছি পিছন থেকে। রুপা নিজেকে ছাড়াতে চাইছে আমি শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখছি।
আমি:- দেখো তুমি আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে বলো? আমি জানি তুমি আমার সাথে রাগ করে এসব বলতেছো! চলো তোমার রাগ ভাংগাই বলেই রুপাকে কোলে তোলে নিয়ে সোজা খাটের উপর শুয়ে দিয়েছি। তখনি রুপা নিজে এক জাটকাই ছাড়িয়ে নিয়ে বলে।
রুপা:- বলেছি না আমি আপনার সাথে সংসার করতে চাইনা। আর আজ থেকে আপনি আমাকে স্পর্শ করবেন না। আমি আজ রাতটা আপনার সাথে আপনার রুমে থাকবো। মায়ের সাথে আমার সব কথাবার্তা হয়ে গেছে। কথা গুলি বলেই একটা বালিশ আর চাদর নিয়ে নিচে ফ্লোরে শুয়ে পড়েছে।
আমি:- তাহলে কি তুমি সত্যি সত্যি চলে যাবে আমাকে ছেড়ে?
রুপা:- তা নয় তো কি মিথ্যা মিথ্যা যাবো? একটা কথা কি জানেন আপনি ছেলে ভাই বা আপনার পরিবারের সবার জন্য একদম ঠিক আছেন। কিন্তু স্বামী হিসাবে একজন স্ত্রীর কর্তব্য রক্ষা করতে আপনি কতটুকু পেড়েছেন একবার নিজেকে প্রশ্ন করিয়েন। আমি এতদিন সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করেছি কারণ আমি মনে করেছি একটা সময় আপনি আমাকে সাপুট করবেন কিন্তু না আপনি কখনো আমাকে নয় বরঞ্চ আমার বিরুদ্ধে অবস্থান করেছেন।
আমি:- তোমার অভিযোগ গুলা কি অযৌক্তিক না? তুমি নিজেকে আমার জায়গাতে দাড় করিয়ে দেখো তাহলে সবকিছু বুঝতে পারবে।
রুপা:- আমার অভিযোগ গুলা অযৌক্তিক? ঠিক আছে কথাটা মনে থাকলেই চলে বলেই রুপা ঘুরে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়েছে।
আমি:- রুপা আমার কথা শেষ হয়নি। কি হলো কিছু বলতেছি তো? রুপা কোনো সারা শব্দ না করেই চুপ করে আছে। বুঝতে পারছি রুপা অনেকটা রেগে গেছে। আমি খাটের উপর শুয়ে আছি এপাশ উপাশ করতেছি ঘুম আসতেছে না। প্রায় দুই ঘন্টা পরে আমি নিচে গিয়ে রুপার পাশে শুয়ে রুপাকে জড়িয়ে ধরেছি আর মূহুর্তে ঘুম চলে এসেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি রুপা নেই। তাড়াতাড়ি উঠে দেখি ওর ব্যাগটা আছে কি না। হ্যা ব্যাগ ঠিক জায়গাতেই আছে মনকে শান্ত করে ফ্রেশ হতে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে বেরুলাম ঠিক তখনি শুনি আম্মা জোরে জোরে বলতেছে। তোমার বাবা মা কি এইটুকু কাজ শিখাই দেয়নাই? তোমার মত অলক্ষী মেয়ে আমার সংসারটাকে একদম শেষ করে দিয়েছো আর রুপা বলতেছে। মা আমি ইচ্ছে করে ফালাই নাই হাত থেকে ফসকে পড়ে গেছে। আর সামন্য একটা ব্যপারকে কেনো এত জোরে জোরে বলতেছেন?

আম্মা:- কি তুমি আমার মুখে মুখে আবার তর্ক করছো? তোমার বাবা মা তোমাকে এই শিক্ষা দিয়েছে? এক বোতল তেল ফালাই দিছো আবার আমার শ্বাশুরীর হাতের শেষ স্মৃতি মাটির সড়াটা ভেঙ্গে ফেলছো এইটা তোমার কাছে সামন্য বিষয়?
রুপা:- মা আপনি কি বলছেন এসব? আমার মা বাবা এসব কেনো আমাকে শিক্ষা দিবে? আমি তো আপনাকে খারাপ কিছু বলিনি?
আম্মা:- এই মেয়ে তুমি আবার তর্ক করতেছো? ওহ বুঝতে পেরছি কেনো তর্ক করতেছো? আগামীকাল খাবার টেবিলে সৌরভের সাথে সবুজকে যেতে বলেছি বলেই তুমি এমন করতেছো? আমি সব বুঝি এমনি এমনি আমার মাথার চুল গুলি কালো থেকে সাদা হয়নি। ঠিক তখনি আমার ভাই মেজুটা এসে বলে ভাবি আপনাকে প্রায় দেখি আম্মার সাথে তর্কবিতর্ক করতে থাকেন। আমাদের সাথে যদি আপনার থাকতে সমস্যা হয় তাহলে ভাইকে বলেন আলাদা করে বাসা নিয়ে থাকতে। তাও আম্মার সাথে এমন ব্যবহার করবেন না।

রুপা:- সাহেদ কি বলছো আমি কখন মায়ের সাথে তর্কবিতর্ক করি?
সাহেদ:- দেখুন ভাবি আম্মাকে আমরা খুব ভালো করে জানি আর চিনি। আর তাছাড়া বড় ভাইকে জিজ্ঞেস করেন আম্মা কেমন তাহলে বুঝতে পারবেন। তখনি আমি এসে উপস্থীত আর তখনি আম্মা বলে,,,
আম্মা:- সৌরভ তুই সত্যি করে বলবি আমার দোষ নাকী তোর বউয়ের দোষ? (কিন্তু আম্মা আমি তো কিছু দেখিনি আর জানিনা এই কথাটা বলার সাহোস আমার মধ্যে খুঁজে পাচ্ছিনা তখন বলি)
আমি:- রুপা তুমি আম্মার কাছে ক্ষমা চাও বলো আম্মা আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে ক্ষমা করে দিন। রুপা আমার দিকে চোখ গুলা বড় বড় করে তাকিয়ে আম্মাকে বলে,,,
রুপা:- মা আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে এবারের মত ক্ষমা করে দিন। আর জীবনেও আপনার সাথে এমন তর্ক করবো না। কথা গুলা বলেই রুপা দৌরে রুমের দিকে গেছে।
আম্মা:- সৌরভ তোর বউয়ের কাহিনীটা দেখেছিস বাবা? তোর সামনে কেমন করে আর তুই বাসায় না থাকলে কেমন আচরোন করে সেই সবকিছু তো আমি বলিনা তোর কাছে।
আমি:- আম্মা রুপাকে আমি বুঝিয়ে বলবো কথাটা বলেই আমি রুমে চলে গেছি। রুমে এসে দেখি রুপা বোরকা পড়ে ব্যাগ হাতে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে তখনি আমি রুপার হাতটা ধরে বলি। কি হলো এখন কোথায় যাচ্ছো? রুপা কিছু না বলে আমার হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করছে। আমি জোর করেই রুপার হাত থেকে ব্যাগটা নিতে চেষ্টা করতেছি তখনি রুপা বলে,,,
রুপা:- আমাকে আটকিয়ে রাখার যেই যোগ্যতা দরকার সেইটা আপনার মধ্যে আছে বলে আমি মনে করি না।
আমি:- রুপা তুমি কি বলতে চাচ্ছো?
রুপা:- যা বলতে চাচ্ছি তা আপনি বুঝতে পারছেন। এখন আমার হাতটা ছাড়েন আমি বাড়ীতে যাবো আপনার সাথে আমি এক মুহুর্ত থাকতে চাইনা।
আমি:- দেখো রাগের মাথাই কোনো সিদ্যান্ত নিলে সেইটার পরিনিতি খুব খারাপ হয়। দাও ব্যগটা দাও বোরকাটা খুলে এখানে একটু বসো। আমার কথাটা একটু বুঝার চেষ্টা করো? আচ্ছা বলো কি করলে তোমার রাগ কমবে? আর তুমি আমার জীবন থেকে কোথাও যাবে না?
রুপা:- আপনি সত্যি আমি যা বলবো তাই করবেন?
হ্যা তুমি যা বলবে তাই করবো তখনি রুপা যা বলেছে তা শুনে আমি ওর হাতটা ছেড়ে দিয়েছি আর রুপা ব্যাগ নিয়ে হাটা দিছে,,,
চলবে,,,
গল্প:- #অভিযোগ_গুলা_কি_অযৌক্তিক?
#পর্ব:- ০১
লেখা:-#AL_Mohammad_Sourav

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here