অভিযোগ গুলা কি অযৌক্তিক পর্ব -০২

গল্প:-#অভিযোগ_গুলা_কি_অযৌক্তিক?
পর্ব:- ০২
লেখা:- AL Mohammad Sourav

সংসারে আমার বউ তো একা তাই ওর দোষ ত্রুটি বেশী আপনার তো আরো দুইটা ছেলে আছে তাদের মধ্যে একজন ছেলেকে বিয়ে করিয়ে আরেকটা বউ যখন সংসারে আনবেন তখন বুঝতে পারবেন আসলে কোন বউটা ভালো আর কোন বউটা খারাপ। এখন আমার বউ রুপা তো একা ও যে কাজ করবে সেটা যত ভালো কাজ হোক না কেনো সেইটা আপনার কাছে খারাপ মনে হবে। শুধু মাত্র এই কথাটা আপনি আপনার আম্মাকে বলবেন তাহলে আমি মুখ বুঝে সব সহ্য করে আপনার সাথে সংসার করে যাবো। রুপার এমন কথা শুনে আমি রুপার হাতটা ছেড়ে দিয়েছি আর রুপা হাটা দিছে আর যেতে যেতে বলছে,,
রুপা:- ভালো থাকবেন আপনার পরিবার নিয়ে আর ভুল করেও কখনো আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন না।
আমি:- হ্যা আমি ভালো থাকবো কিন্তু তুমি এখন চলে যেতে চাইলে অনেক সমস্যা হবে। আম্মা সহ সবাই ভাববে তুমি আম্মার সাথে ঝগড়া করে অভিমান করে চলে যাচ্ছো। আর তাছাড়া তুমি বাড়ী থেকে বেরুলেই আম্মা ফোন করে তোমার বাবাকে সব ভুলবাল বলবে।
রুপা:- আমি অভিমান করে যাচ্ছি না। আমি আপনার জীবন থেকে আর এই বাড়ী থেকে সারাজীবনের জন্য চলে যাচ্ছি। আব্বুকে যা বলুক তাতে আমার কিছু যাই আসে না। আমি আমার আব্বু আম্মুকে সব বুঝিয়ে বলবো।
আমি:- তুমি যদি আমার কাছ থেকে চলে গিয়ে সুখে থাকো তাহলে চলে যেতে দিবো। আমি তোমাকে জোর করে আটকিয়ে রাখতে পারবো না। তবে তোমার কাছে আমার অনুরুদ দয়া করে এখন তুমি যাবে না।
রুপা:- সরি আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি আপনার আর কোনো অনুরুদ রাখতে পারবো না। আমি যদি এখন এই মুহুর্তে এই বাড়ী থেকে আর আপনার জীবন থেকে না যাই। তাহলে আর সারাজীবনেও যেতে পারবো না।
আমি:- তুমি যদি থাকতে না চাও তাহলে জোর করে আটকিয়ে রাখার অধীকার আমার নেই। তবে তোমাকে কথা দিচ্ছি তোমাকে আমি নিজে তোমাদের বাড়ীতে গিয়ে দিয়ে আসবো। প্লিজ এখন তুমি যেয়েও না।
রুপা:- আপনি সত্যি অনেক স্বার্থপর একজন মানুষ। নিজের স্বার্থের জন্য সব করতে পারেন কিন্তু আমি যে আপনার স্ত্রী একবারও কি চিন্তা করে দেখছেন আমি সত্যি এই সংসারে কতটা ভালো আছি?
আমি:- হ্যা আমি স্বার্থপর! এখন দাও ব্যাগটা আর বোরকাটা খুলে একটু রিলেক্স করো। আমি বেরুলাম রাতে এসে বাকী কথা হবে। আর হ্যা তোমার সব অভিযোগ গুলার উত্তর একদিন পাবে।
রুপা:- সেই একদিনটা কবে হবে?
আমি:- হবে তবে তোমাকে ধৈর্যবান হতে হবে।
রুপা:- ধৈর্যবান হতে বলছেন? হাসালেন তবে সেই ধৈর্যটা যেনো শিমানা অতিক্রম না করে ফেলে। এমন যেন না হয় যে আপনি বলতে চায়বেন। কিন্তু শুনার জন্য আমি রইলাম না আপনার জীবনে।
আমি:- সময় বলে দিবে কে কোথায় থাকবে। এখন তুমি থাকো আমার একটা জুরুরী কাজ আছে আমি বেরুলাম কথাটা বলেই রুপার কপালে ছোট্ট করে চুমো দিয়ে বেরিয়ে গেলাম। রুপা মনে মনে ভাবছে সত্যি ওনার মত ক্রিমিনাল বর আমার জীবনে কম দেখেছি। রুপা তার বোরকা খুলেছে তখনি ওর মা ফোন করেছে। রুপা ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বলে,,,
কিরে রুপা তোকে যা যা বলতে বলেছি তুই কি জামাইকে সেই ভাবে কথা গুলা গুচিয়ে বলেছিস? (রুপার মা)

রুপা:- আম্মু তুমি যা বলেছো আমি সব বলেছি কোনো কাজ হয়নি। বরং আমাকে বুঝিয়ে এখন বলে গেছে আমি যাতে আজকে বাড়ীতে না যাই।
রুপার মা:- বুঝতে পারছি এই ছেলে জীবনেও তোর কষ্টটা বুঝতে পারবে না। ও সবমসময় ওর মা বাবার কথা মত চলবে। এর থেকে ভালো এখনো যেহেতু কোনো বাচ্চাকাচ্চা হয়নি তাই সময় থাকতে তুই চলে আয়। তোকে আমরা অন্য কোথাও ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দিবো। ওকে ডির্ভোসের কাগজ পাঠিয়ে দিবি আর সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দিবি।
রুপা:- আম্মু ভালো ছেলে ছেলে না বলে বলো ভালো শ্বাশুরী দেখে বিয়ে দিবে! তোমাদের জামাইয়ের থেকে ভালো ছেলে আর কে হতে পারে? না কোনো বাজে নেশা আছে না কোনো দিন আমার সাথে খারাপ আচরোন করেছে। ভালো একটা ছেলের যা যা গুন দরকার সবগুলা গুন তোমাদের জামাইয়ের মধ্যে আছে। শুধু মাত্র আমার একটা ভালো স্বামী হয়ে উঠতে পারেনি কোনো দিন।
রুপার মা:- শ্বাশুরীরা এমন একটু আট্টু করবে তাই বলে জামাই সবসময় মায়ের পক্ষ নিয়ে কথা বলবে? আমি মনে করি সৌরভ সে নিজেই ভালো না তাই আমি তোকে এখন বলি তুই আজকেই চলে আয়।
রুপা:- কিন্তু আম্মু
রুপার মা:- কোনো কিন্তু নেই তুই আজকে চলে আসবি।
আমি তোর বাবাকে বলে ডির্ভোসের কাগজ রেডি করে রাখবো।
রুপা:- ঠিক আছে মা কথাটা বলে ফোনটা কেটে দিলো। আর মনে মনে ভাবছে ওনার থেকে ভালো ছেলে পৃথিবীতে সত্যি আছে তো? ওনার মধ্যে সব গুন আছে শুধু মাত্র একটা গুন ছাড়া আর সেইটা হলো আমার পক্ষ নিয়ে পরিবারের কাওকে কিছু বলবে না। বরঞ্চ উল্ট আমাকে বুঝাতে থাকবে। যাই গিয়ে দেখি খাবার আছে কি না নাকী সব খেয়ে শেষ করে রাখছে। রুপা খাবার টেবিলে গিয়ে দেখে সবকিছু খালি ভাত তরকারি সব শেষ। তখনি রুপার শ্বাশুরী এসে বলে।
রুপা এখানে দাড়িয়ে আছো কেনো বেলা এগারোটা বাজতে যাচ্ছে এখনো দুপুরবেলার রান্নার ব্যবস্থা করছো না কেনো?

রুপা:- দুপুরবেলার খাবার তৈরি করবো আমি তো সকালের খাবার খায়নি!
শ্বাশুরী:- সকাল বেলার খানা খেতে তোমাকে কি কেও বারন করেছে? যাও খাবার খেয়ে তৈয় তরকারি কুটে রান্নার জন্য রেডি করে নাও। কিছুটা মুচকি হেসে কথাটা বলেই চলে যাচ্ছে ঠিক তখনি রুপা বলে।
রুপা:- খাবারের জন্য কিছু থাকলে তো খাবো? সব খাবার শেষ ভাত তরকারি কোনো কিছুই তো নেই?
শ্বাশুরী:- শেষ মানে এখানে তো সব ছিলো! নিজে খেয়ে এখন বলছো খাবার শেষ দেখো আমি জানি তুমি কেনো এমনটা করছো! তুমি আমার নামে মিথ্যা অপবাদ না দিয়ে সৌরভকে বলো তোমাকে নিয়ে আলাদা জায়গাতে গিয়ে থাকতে।
রুপা:- মিথ্যা অপবাদ কেনো দিবো আমি তো এসে দেখি খাবারের জন্য কোনো কিছু নেই।
শ্বাশুরী:- আমি নিজের হাতে সব কিছু রেখে গেছি আর তুমি বলছো নেই? দেখো রুপা আমি বুঝতে পারছি কেনো তুমি এমন কথা বলছো? তবে তুমি যা করো তাতে কোনো লাভ হবে না! আমি আমার ছেলেকে যা বলবো আমার ছেলে সব শুনবে। এখন তর্ক না করে যাও গিয়ে দুপুরবেলার খানা তৈরি করো।

রুপা:- হ্যা এখন আমি কিছু বললে সেটা তর্ক হয়ে যাবে। আপনি যদি খাবার রেখে যেতেন তাহলে খাবারটা গেছে কোথায়?
শ্বাশুরী:- খাবারটা তুমি খেয়ে যদি বলো খাবার নেই তাহলে আমি প্রমান করবো কি করে খাবার রেখে গেছি। তখনি রুপার শ্বশুর এসেছে আর বলে,,

শ্বশুর:- তোমরা আবার দুজনে ঝগড়া শুরু করে দিছো?
রুপা:- ঝগড়া করি কি সাদে আমার জন্য কোনো খাবার রাখেনি আমি খেতে এসে দেখি টেবিলে কোনো ভাত তরকারি কিছু নেই।
শ্বাশুরী:- ঝগড়া করা তো ওর জন্মগত অব্যাস বলেই ওনি একটু এগিয়ে গিয়ে একটা পাত্র হাতে নিয়ে বলে এই তো খাবার তুমি না খুঁজে সারা বাড়ী মাথায় তুলে নিছো আমি খাবার খায়নি আমি খাবার খায়নি!
শ্বশুর:- কি হলো বউমা ঐ তো খাবার তাহলে তুমি কেনো বলছো খাবার রাখেনি? রুপা কিছু বলছে না আর মনে মনে ভাবছে এখানে খাবারটা আসলো কোথা থেকে তখনি ওর শ্বাশুরী বলে,,,
শ্বাশুরী:- সৌরভ এই প্রথম সকালে তোমার জন্য না খেয়ে আজকে চলে গেছে। সত্যি বলতে তোমাকে বিয়ে করে আমার ছেলের জীবনটা শেষ। সৌরভ বিয়ে আগে কত হাসি খুশি ছিলো! আর এখন সবমসময় মন খারাপ করে থাকে।
রুপা:- বিয়ের আগে যেহেতু আপনার ছেলে হাসি খুশি ছিলো আর এখন বিয়ের পরে যেহেতু মন খারাপ করে থাকে তাহলে বিয়েটা করিয়েছেন কেনো? বিয়ে না করিয়ে আপনার ছেলেকে সারাজীবন চিরো কুমার করে রাখতেন। আর আপনার কথা মত চালাতেন।
শ্বশুর:- বউমা কি বলো এসব? তোমার তো দেখছি কোনো কথা শরীরে সহ্য হয়না? তোমাকে বলি শ্বাশুরীরা কিছু বললে সেটা মুখ বুঝে সহ্য করে নিলেই সংসারে শান্তি বঝায় থাকবে।
রুপা:- শুধু বউরা মুখ বুঝে থাকবে আর শ্বাশুরীরা বউদের অত্যাচার করবে এতে করে সংসারে শান্তি থাকবে? এই কথা বলেই রুপা চলে গেছে।
ওনারা দুজনে একিই সাথে বলে উঠে মেয়েটা তো খুব বেয়াদব আগে জানলে এমন মেয়েকে ঘরের বউ করে আনতাম না কথাটাটা বলে ওনারে যার যার মত করে চলে গেছে। রুপা দুপুরবেলার খাবার রেডি করছে এর মাঝে সৌরভ ফোন করেছে রুপা ফোনটা রিসিভ করেই বলে। আপনি খেয়েছেন?
সৌরভ:- হ্যা, তুমি খেয়েছো?
রুপা:- হ্যা। (কিন্তু সত্যি বলতে রুপা খায়নি আর) ঐদিকে সৌরভ খায়নি) তারপর সৌরভ রুপার সাথে কিছু রোমান্টিক কথাবার্তা বলছে। রুপা সৌরভের কথা শুনে মনটা কিছুটা ভালো হয়ে গেছে এরিই মাঝে রুপার শ্বাশুরী এসে দেখে রুপা কাজ রেখে ফোনে কথা বলছে। কিছু না বলে চলে গেছে এর মাঝে কথা শেষ করেছে তখন এসে বলে,,,
শ্বাশুরী:- তোমাকে কতবার বলেছি সৌরভ কাজে থাকলে ফোন না করতে? সৌরভ নতুন ব্যবসা দিয়েছে ও নানা কাজে ব্যস্ত থাকে ওকে অজথা ফোন করে বিরক্ত করার কি দরকার?
রুপা:- মা ফোন কিন্তু আমি করিনি আপনার ছেলে ফোন করেছে। আর তাছাড়া আমাকে এসব না বলে আপনার ছেলেকে বললেই তো পারেন?
শ্বাশুরী:- তোমাকে বলেছি তুমি সৌরভকে বলবে তোমার হাতে কাজ থাকে তুমি ঘুমাবে এসব বাহানা দিয়ে ওকে বুঝিয়ে দিবে যাতে করে ও তোমাকে ফোন না করে। আর তাছাড়া আমি সৌরভকে বললে সৌরভ জীবনেও তোমাকে ফোন করবে না। তাই আমি তোমাকে বলেছি যাতে করে তুমি নিজেই কথাটা বলো। আর এখন তর্ক কম করে রান্না তাড়াতাড়ি করো সাহেদর অফিস থেকে খাবার নিতে লোক চলে আসবে।

রুপা আর কথা না বাড়িয়ে রান্না করতে আরম্ভ করেছে। রুপা মনে মনে ভাবছে এত খারাপ মানুষ হয় কি করে? শুধু ছেলে ভালো, ছেলের এই আছে, সেই আছে, একবার যদি ছেলের মা কেমন সেটা জানতে পারতাম তাহলে এই ছেলেকে জীবনেও বিয়ে করতাম না। আর এমন বদজ্জাত শ্বাশুরী আমার কপালে এসে পড়লো। হায় আল্লাহ হয় আমার শ্বাশুরীকে ভালো করে দেন আর না হয় আমাকে সৌরভের মিছে মায়া থেকে মুক্ত করে দেন। বিয়ের আগে শ্বাশুরীর মুখ থেকে মুক্ত ঝড়ছে আর কত সুন্দর করে বলছে আমার মেয়েদের তো বিয়ে দিয়ে দিছি। এখন রুপা আমার মেয়ে হয়ে থাকবে। আমি বউ না আমার বাড়ীর বড় মেয়ে নিতেছি। সাথে শ্বশুর তাল মিলিয়ে কত মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেছে। আর এখন যত পূরুনো হচ্ছি আস্তে আস্তে তাদের আসল রুপটা বের হচ্ছে। ছেলের মা বাবা যতই বলুক আমি বউ না মেয়ে নিচ্ছি সেটা কখনো কাজের খেত্রে হয় না। প্রতিটা মেয়ে তার বাবা মায়ের কাছেই রাজকন্যা হয়ে থাকে। কিন্তু কখনো শ্বশুর বাড়ীতে মেয়ে হতে পারে না। সে যতই ভালো কাজ করবে সেইটাকে দোষ বের করবে সেটা শ্বাশুরী কিনবা ননদ অথবা অন্য কেউ। তবে খুব কম মেয়েরা ভাগ্যক্রমে শ্বশুর বাড়ীতে মেয়ে হতে পারে। এসব ভাবতে ভাবতে রুপার রান্না করা শেষ হয়ে গেছে। রুপা শ্বাশুরী এসে সাহেদের জন্য নিজের হাতে টিফিন রেডি করে দিয়ে গেছে। রুপা সব কিছু গুচিয়ে বেরুবে এমন সময় সৌরভ ফোন করছে। কিন্তু রুপা রিসিভ করেনি পর পর তিনবার ফোন করার পর রুপা রিসিভ করেতেই সৌরভ বলে,,,

কি গো কখন থেকে ফোন করতেছি ফোন রিসিভ করছো না কেনো?
রুপা:- কাজে ছিলাম। বলেন কেনো ফোন করেছেন? আমার হাতে কাজ আছে এখন সময় নেয় কথা বলার।
সৌরভ:- তোমার রান্না হয়ে গেছে?
রুপা:- হঠাত এই কথা বলছেন কেনো? আর আপনি তো দুপুরবেলা খাবার বাসায় আসেন না। তাছাড়া আবার কাওকে দিয়ে খাবার নিয়েও যান না?
সৌরভ:- মানে বাসার কিছুটা কাছেই একটা মিটিং আছে। মিটিং শুরু হতে কিছুটা দেরি হবে যদি তোমার রান্না শেষ হয় তাহলে বাড়ীতে এসে খাবারটা খেয়ে যেতাম!
রুপা:- ও আচ্ছা এই কথা হ্যা আমার রান্না শেষ আপনি আসেন আমি খাবার রেডি করে রাখছি।
সৌরভ:- আমি বিশ মিনিটের মধ্যে আসতেছি আজ দুজনে এক সাথে বসে খাবো তুমি ফ্রেশ হয়ে সবকিছু রেডি করে রাখো।
রুপা:- হ্যা রাখতেছি বলে ফোনটা কেটে ঠোঁটের নিচে একটা মুচকি হাসি রেখে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে খাবার টেবিলে খাবার গুলা সাজাচ্ছে। এর মাঝে সৌরভ এসে রুপাকে একা দেখে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ঘারে ছোট করে চুমো দিয়েছে। রুপা আচমকা ভয় পেয়ে ঘুরে দেখে সৌরভ। আপনি চলে এসেছেন? আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম। যান গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসেন আমি সব রেডি করে রাখতেছি।
সৌরভ:- একটু আদর করি তোমাকে। বলেই রুপাকে জড়িয়ে ধরেছে। রুপা নিজেকে ছাড়াতে চাচ্ছে কারণ তার শ্বাশুরী যদি দেখে তাহলে কেলেঙ্কার হয়ে যাবে। কিন্তু সৌরভ নাছুর বান্দা সে রুপাকে ইচ্ছে করেই শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখছে তখনি রুপা জোর করে নিজেকে ছাড়িয়ে বলে।
রুপা:- কি হচ্ছে কেউ দেখে ফেলবে এখন যান রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসেন তাড়াতাড়ি।
সৌরভ:- কেনো তাড়াতাড়ি কেনো? এই আবার মাথায় ভুত চাপছে নাকী আমাকে ছেড়ে যাবার জন্য?
রুপা:- সেটা পড়ে দেখা যাবে এখন আমার খিদা লাগছে।
সৌরভ:- খিদা তো লাগবেই সকালে কিছু না খেলে!
রুপা:- আপনি জানলেন কি করে আমি সকালে কিছু খায়নি?
সৌরভ:- কারণ সকালে তো আমিও কিছু খায়নি। আমার পচন্ড খিদা লাগছে প্লিজ তাড়াতাড়ি খাবার দাও।
রুপা:- আগে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসেন আমি খাবার রেডি করে রাখতেছি।
সৌরভ:- ঠিক আছে যাচ্ছি বলেই রুপার কপালে আর গালে চুমো দিয়ে সোজা রুমের দিকে গেছে আর রুপা মনে মনে খুশি হয়ে গেছে। এর মাঝেই রুপার শ্বশুর আর শ্বাশুরী এসেছে।

শ্বাশুরী:- বউ মা সাহেদের খাবার নিতে এসেছিলো?
রুপা:- হ্যা আসছিলো। আমি টিফিন দিয়ে দিছি।
শ্বশুর:- টেবিলে এত খাবারেের প্লেট কেনো? বাড়ীতে কি কেউ এসেছে?
রুপা:- হ্যা বাবা আপনার ছেলে এসেছে।
শ্বাশুরী:- কি সবুজ চলে এসেছে?
রুপা:- না সবুজ আসেনি।
শ্বাশুরী:- তাহলে কার কথা তুমি বলতেছো?
রুপা:- আপনাদের বড় ছেলে এসেছে। ঠিক তখনি ওনি রেগে মেগে আগুন হয়ে বলে উঠে,,,
শ্বাশুরী:- তুমি আবার সেই আগের মত শুরু করে দিয়েছো? তোমার জন্য সৌরভের চাকরিটা চলে গেছে মনে নেই তোমার?
রুপা:- আপনার ছেলের চাকরি আমার জন্য গেছে? নাকী আপনার ছেলের চাকরি করতে ভালো লাগে না তাই নিজে চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা দিছে।
শ্বাশুরী:- সৌরভ তোমাকে এইটা বলে শান্তা দিয়ে ছিলো। আমি সৌরভের বসের সাথে কথা বলেছিলাম ওনি সব বলেছে।
রুপা:- মা কেনো আমার নামে মিথ্যা অপবাদ গুলা দেন?
শ্বাশুরী:- মিথ্যা অপবাদ দিতে যাবো কেনো? তোমার বিয়ে পরে তুমি বেশী বেশী সৌরভকে ফোন করতে। আর যখন তখন তোমাকে ঘুরতে নিয়ে যেতে বলতে। এসব কারণে সৌরভের চাকরিটা চলে গেছে।
শ্বশুর:- তোমরা এসব কি শুরু করেছো বলো তো? সৌরভ বাসায় আসছে ওকে জিজ্ঞেস করো? তাহলে তো সবকিছু সমাধান হয়ে যাবে।
রুপা:- বাবা ঠিকই বলেছেন জিজ্ঞেস করেন কেনো আপনাদের ছেলে বাসায় এসেছে?
শ্বাশুরী:- আমি জানি নিশ্চয় তুমি সৌরভকে ফোন করে ডেকেছো? সৌরভ সবে মাত্র ব্যবসাটা দিয়েছো আর তুমি ওকে যখন তখন ফোন করছো! বাসায় ডেকে নিয়ে আসছো! তুমি কি চাও সৌরভ সারাক্ষণ তোমার আচল ধরে বসে থাকুক? আচ্ছা তুমি সত্যি করে বলবে আসলে তুমি কি চাও?
রুপা:- মা আপনি অজথা কেনো আমার উপর দোষ দিচ্ছেন? আপনার ছেলে নিজেই তো ঠিক তখনি সৌরভ এসে রুপাকে থামিয়ে বলে,,,
!!
চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here