অস্তিত্বে_তুমি পর্ব ২৩

#অস্তিত্বে_তুমি
#পর্ব_২৩
#সুলতানা_পারভীন

ছেলেমানুষি ভালোবাসার চাদরে জড়িয়ে রাতটা কখন কেটে গেছে টেরই পায় নি জিহান আর নীলার। নীলার লাজুক রাঙা মুখটা বারবার যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে জিহানকে নীলার ভালোবাসার সাগরে হারিয়ে যেতে। জিহান এমন ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বুঝতে পেরে নীলা চাদরের মধ্যে মুখ লুকিয়ে ডুব দিলো। নীলার হুট করে এমন পাগলামি দেখে জিহান হেসেই চাদরে জড়ানোর নীলার কোমড় জড়িয়ে নিজের একদম কাছে টেনে নিল। নীল উশখুশ করতে করতে শেষে হাঁফিয়ে উঠে একটু করে চাদরের বাইরে মুখ বের করে উঁকি দিতেই জিহানের সাথে চোখাচোখি হয়ে গেল। জিহান ভ্রু নাচিয়ে নীলার কলিজা কাঁপিয়ে দেয়ার সাথে সাথেই মেয়েটা আরেকবার চাদরে মুখ লুকানোর আগেই জিহান এবারে খপ করে চাদরটা ধরে ফেললো। তবুও মেয়েটা চাদরের তলায় ডুব দেয়ার জন্য ছটফট করছে দেখে জিহান উল্টো ঘুরে নীলাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে নীলার মুখের দিকেই ঝুঁকলো কিছুটা। এতো তাড়াতাড়ি ঘটনাটা ঘটে গেছে যে নীলা বেচারা চোখ বুজে নেয়া ছাড়া আর কোনো সময়ই পেল না। জিহানও নীলার শক্ত করে বুজে রাখা চোখ জোড়া, পিটপিট করে আবেশে জড়ানো চোখের পাতা, কাঁপন ধরা কুচকুচে কালো পাঁপড়ি কিছুক্ষণ দেখে নীলার গলায় মুখ ডুবালো।

-এভাবে হাতছানি দিয়ে এতো কাছে টানছো আবার নিজেই লজ্জায় মুখ ডুবিয়ে আমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছ নীল? তোমার লজ্জারাঙা মুখটা প্রাণভরে দেখার অপেক্ষায় এতোগুলো বছর নিজেকে সামলে রেখেছিলাম, তবুও পালাতেই চাইছ? এসব মানবো ভেবেছ মেয়ে? উঁহু, একদম না। একদমই না। যা কিছু হয়ে যাক না কেন, এই নীল পরীটা শুধু আমার বুঝলে? তার ভাগও আমি কাউকে দিবো না, তাকে দূরেও যেতে দিবো না কখনো। মনে থাকবে?

-তাহলে বাড়িতে আনার সময় কেন ওই কথাগুলো বলেছেন? বাবাকে, ভাইয়াকে কেন বলেছেন ভাইয়া আপনার বোনকে যতটা কষ্ট দিয়েছে তার হাজার গুণ ফিরিয়ে দিবেন? বাবাকে কেন বলেছিলেন আমাকে কষ্ট দিবেন, যাতে বাবা বুঝতে পারে সন্তানের কষ্টটা বাবা মায়ের কেমন লাগে? এসব কেন বলেছিলেন? বাড়িতে সবাই ভাবছে আপনি সত্যিই আমাকে টর্চার করছেন বিয়ে করে।

নীলার প্রশ্নটা শুনে জিহান হেসে নীলার মাথাটা নিজের বুকে এনে রেখে আলতো করে নীলার কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিল।

-শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে টাইট দেয়ার একটা আলাদা মজা আছে বুঝলে? ওদেরকে টেনশনে ফেলেছি তাই তুমিও টেনশনে পড়ে গিয়েছিলে নাকি বউটা?

-টেনশনে পড়বো কেন?

-টর্চার করতেই বউকে তার শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে এসেছি এটা ভেবে ভয় পেয়েছিলে তুমি, রাইট?

-একদমই না। শ্বশুরবাড়িতে টর্চার তো কম হচ্ছিল না, তবে ভয় পাই নি, রাগ হচ্ছিল।

-ভেবেছিলে সবটা আমারই প্ল্যান তাই তো? এতোদিনে এই চিনলে আমাকে?

-আপনার মামি, মুগ্ধা এদের কাজে যতটা না কষ্ট হচ্ছিল, তার চেয়ে বেশি রাগ হচ্ছিল এটা ভেবে যে আপনি এদের অন্ধের মতো বিশ্বাস করেন। আর এরাই আপনার পিঠে ছুরি মারছে।

-ব্যাপারটা তেমন নয় নীল। মামী এতোদিন নিজের মতো করে সংসারটা সামলেছে, তাই হুট করে সব তোমাকে বুঝিয়ে দিতে হবে ভেবে হয়তো এমন করেছে। আর মুগ্ধাকে তো দেখছই। দুটো পরিবারের শত্রুতার রেশটা তোমার ফ্যামেলির মতো ওদের মনেও রয়ে গেছে।

-সবসময় যতটা সিম্পল মনে হয় আসলে ব্যাপারগুলো ততটা সিম্পল থাকে না জিহান। আপনার আড়ালে কত কি যে প্ল্যানিং চলে সেটা আপনি কখনো টেরও পাবেন কিনা সন্দেহ।

-টের পেলাম আর কোথায়? আমার নিজের বিয়ে করা বউ আরেক লোককে বিয়ে করবে বলে বেনারসি পড়ে সেজে বসে আছে। আর কাকে বিশ্বাস করবো বলো এই দুনিয়ায়?

-দুদিন লাগিয়ে দিয়েছে বাড়িতে কি হচ্ছে জানতে, এন্ড মিস্টার আমার যদি বিয়ে করারই হতো তাহলে আগেই নাচতে নাচতে ‘কবুল’ বলে দিতাম। আপনার আসার অপেক্ষায় বসে থাকতাম না।

-বেনারসি পড়ে কাজীসাহেবের সামনে বসে আমার অপেক্ষা করছিলে মেয়ে? এসব আষাঢ়ে গল্প অন্য কাউকে গিয়ে শোনাও বুঝলে? এতো বড় অন্যায় কাজটা করেও একটুও অনুশোচনা নেই তার। এর জন্য হলেও তোমাকে শাস্তি দেয়া উচিত। বুঝলে মেয়ে?

-আচ্ছা? শাস্তি দিয়ে দেখুন দেখি? আমিও একটু দেখি জনাবের শাস্তিটা কেমন হয়।

-বেশি আদরে বাদর হয়েছ বুঝলে? জানো তোমার গায়ে ফুলের আঁচড় দেয়াও সম্ভব নয় আমার পক্ষে, তাই এমন আগ বাড়িয়ে শাস্তি চাইছ না নীলপাখি? আচ্ছা করে একটা পিটুনি দেয়া দরকার তোমাকে বুঝলে? সুযোগের অপেক্ষায় আছি আমিও।

-ইশ! এসেছে আমার বউপেটানো আবুইল্লা রে! সরো তো সরো। আমি তো ওই শিহাবকে বিয়ে করতে সেজেগুজে বসে ছিলাম না? আমি তো আপনার আসার অপেক্ষা করি নি, তাই না? বেশ তো! এতোই যদি জানেন তাহলে তো হয়েছেই। এবার ছাড়ুন। আমি ফ্রেশ হয়ে ঘুমাবো।

-বেশি ভালোবাসলে এমনই হয় আজকাল বুঝলে? রাগ আমার করার কথা, উল্টো তিনি আমাকে রাগ দেখাচ্ছেন? বাহ! ভালো ভালো।

-আপনার রাগ দেখানোর শখ হলে দেখান। মানা করেছি আমি? ছাড়ুন এখন?

নীলা জিহানের বুক থেকে সরে এসে গায়ের চাদরটা শক্ত করে জড়িয়ে পেঁচিয়ে নিয়ে ধুপধাপ পা ফেলে আলমারি থেকে কাপড় যেটা হাতের কাছে পেল সেটাই টেনে নিয়ে ঠাস করে আলমারির দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে ঢুকলো। জিহান এই দুই মিনিটের মতো সময়টা নিজের হাসি চেপে রেখে নীলার কান্ড দেখছিল। মেয়েটা বড্ড রেগে গেছে আজ। তাই নীলাকে আরেকটু রাগিয়ে দেয়ার জন্যই কিনা কে জানে নীলার ওয়াশরুমের দরজাটা বন্ধ করার আগেই নিজেই ওয়াশরুমের দরজা ঠেলে ঢুকে পড়লো। হুট করে এভাবে জিহান ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ায় নীলা তো এবারে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো বলা যায়। জিহান ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ করার ফাঁকেই ঠেলে জিহানকে বের করার ব্যর্থ চেষ্টা করে নিজেই হাঁপিয়ে গেল। নীলা নিজের বিফল চেষ্টা ক্ষান্ত দিতেই জিহান নীলার কোমড় জড়িয়ে নিজের কাছে টেনে নিল।

-এই মেয়ে আর তার নাকের ডগায় রাগ! কি যে হবে আমার আল্লাহ মাবুদ ভালো জানে! এই যে ম্যাডাম? আপনি ডেইলি এতো এতো রাগের ঝাঁপি খুলে বসলে আমার পিচ্চিগুলো আসবে কেমন করে বলুন তো? জীবনটাই তো কেটে যাবে রাগিনীর রাগ ভাঙাতে ভাঙাতে। সংসারটা করবো কখন তাহলে?

-জানি না।

-জানো না যখন জেনে নাও। রাগ করে গাল ফুলিয়েছেন যখন আপনার রাগ ভাঙানো তো তাহলে আপনার হাজবেন্ডের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে, কি বলেন ম্যাডাম? তা বলুন তো দেখি রাগটা ভাঙাতে কি করতে হবে এই অধমকে?

-এই? একদম কাছে আসবে না বলে দিলাম জিহান। বের হও ওয়াশরুম থেকে। বলছি না বের হও?

-আপনি বললেই বের হতে হবে নাকি ম্যাডাম? তাছাড়া ম্যাডামের রাগ না ভাঙা পর্যন্ত এক পাও নড়ছি না বুঝলেন মিসেস চৌধূরী?

জিহান কথাগুলে বলতে বলতেই নীলাকে নিজের সাথে আরো গভীর আবেশে জড়িয়ে নিয়ে আদরের আলতো পরশ বুলিয়ে দিতে লাগলো। নীলাও বেশ কিছুক্ষণ ছোটার জন্য ছটফট করে নিজেও শেষে হার মেনে জিহানের নেশাধরানো ভালোবাসার জগতে হারিয়ে গেল।

সুন্দর নির্ঝঞ্ঝাট একটা রাতের পর সকালে জিহানের ঘুম ভাঙালো মোবাইলে মেসেজের শব্দে। এতো সকালে মেসেজ কে করেছে চেক করতে ঘুমঘুম চোখে স্ক্রিনে তাকাতেই চমকে ধড়ফড় করে বিছানায় উঠে বসলো জিহান। জিহানের এমন চমকে বিছানায় উঠে বসায় নীলারও ঘুমটা ভেঙ্গে গিয়েছিল। জিহান স্তব্ধ হয়ে মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছে দেখো নীলাও উঠে বসে জিহানের হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে দেখার চেষ্টা করলো কি আছে মোবাইলে। আর মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে থাকা মেসেজটা পড়তে পড়তে নীলারও যেন ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেল। বেশ কয়েকটা লাইনের মেসেজ ভেসে আছে জিহানের মোবাইলের স্ক্রিনে।

“তোর চামচা টিকটিকি একটু বেশিই জেনে ফেলেছিল জিহান। তাই ওকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে হলো। সরি ফর ইওর গ্রেট লস। এন্ড বাই দা ওয়ে, এখনই প্রিয় শিষ্যকে হারিয়ে ভেঙ্গে পড়িস না যেন। তোর লস এর খাতায় আরো বেশ কয়েকটা নাম ওঠা বাকি। ওদের সবার হিসাব চুকিয়ে তারপর তোর একাউন্ট ক্লোজ করবো। সেকেন্ড আপডেটের জন্য গেট রেডি মিস্টার জিহান চৌধূরী।”

জিহান একটা টু শব্দও করছে না দেখে নীলা এবারে আলতো করে জিহানের কাঁধে হাত রাখতেই জিহানের যেন সম্ভিত ফিরে এলো।

-এটা কার নাম্বার জিহান? আর কার কথা বলেছে? কেউ ফাইজলামি করেছে না?

-ইট’স নট এ জোক নীল। এটা সাদিকের নাম্বার। আমার জুনিয়ার, আমার আন্ডারে পলিটিক্স করতো। আমি পলিটিক্স ছেড়ে দিয়েছিলাম বলে ছেলেটাও এক মূহুর্তে সব ছেড়ে চলে এসেছে। আমার কোম্পানির সমস্ত টেকনিকাল ইস্যু ও সামলাতো। কারো এড্রেস ট্রাক করা বলো, কারো আইডেন্টিটি কনফার্ম, কারো কল ট্রাপ, সব সাদিক করতো। ওকে নিয়ে বা ও নিজে জোক করবে এমনটা হতেই পারে না। ব্যাপারটা সিরিয়াস। ওয়েট। আমি কল করছি সাদিককে। প্রে করো নীল এটা যেন কোনো জোকস এর বেশি কিছু না হয়।

-দেখুন না কল করে। ভাইয়ার কিছু হয়নি দেখবেন।

-ইয়াপ। ওকে কল করছি।

জিহান ব্যস্ত হাতে মোবাইলের ডায়াল প্যাডে সাদিকের নাম্বারটা ক্লিক করতেই দেখতে পেল সাদিকের নাম্বার থেকে বেশ কয়েকবার কলও এসেছে ভোর রাতের দিকে। জিহান আর এক মূহুর্ত দেরি না করে সাদিকের নাম্বারটায় কল ব্যাক করলো। প্রায় সাথে সাথেই কলটা রিসিভ হতেই অপরপ্রান্ত থেকে একটা ধাতব কণ্ঠস্বর ভেসে এলো। কথাগুলো এতোই রোবোটিক ধাচের যে জিহানেরও কেমন অস্বস্তি হচ্ছে কথাগুলো শুনতে। এটা যে কারো বাস্তবিক কণ্ঠ নয় সেটা বুঝতেও দেরি হলো না জিহানের।

-হ্যাললো মিস্টার জিহান। এতোক্ষণে আপনার মোবাইল দেখার সময় হলো? শাহ! আমি কত আগ্রহ নিয়ে ওয়েট করছিলাম আপনার বিশেষ ভক্তের শেষ যাত্রায় আপনি তার শেষ কথাগুলো শুনবেন। হায় আফসোস! সেটা আর হলো না। সো স্যাড। সাদিক সাহেবের বেদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

-হু দা হেল আর ইউ? সাদিক কোথায়? কি করেছিস তুই ওর সাথে? ওর যদি কিছু হয় তাহলে তোকে আমি—-।

-যা হওয়ার আরো ঘন্টাখানেক আগেই হয়ে গেছে মিস্টার জিহান। আরো কিছুক্ষণ আগে হলেও হয়তো আপনার চামচাকে বাঁচাতে পারতেন। ইওর ব্যাড লাক। কাউন্টডাউন স্টার্ট হয়ে গেছে মিস্টার জিহান। পারলে নিজের বাদ বাকি প্রিয় চেহারাগুলোকে শেষ বারের মতো দেখে নাও। কজ এই মূহুর্তের পর সবার মিসিং হওয়ার খবরই পাবে শুধু।

-নো—ওয়েট। হু দা হেল আর ইউ? কি চাই টা কি তোমার?

-সিম্পল চাওয়া আমার। চৌধূরী এন্ড খন্দকারদের বরবাদি। বেস্ট ওফ লাক মিস্টার জিহান।

-হ্যালো হ্যালো? আহহহহহহহ। সাদিকের কিচ্ছু হতেই পারে না। আই নো। আই নো। সাদাফ সাদাফ সাদাফ।

জিহানের কথা না শুনেই রোবোটিক কণ্ঠটা বিপ বিপ শব্দ তুলে কলটা ডিসকানেক্ট করে দিতেই জিহান ব্যস্ত হাতে আবার কাউকে কল করলো। নীলা হতবুদ্ধি হয়ে জিহানকে এমন ছটফট করতে দেখছে। কে এমন করছে সেটাই ভাবার চেষ্টা করলো নীলা। কিসের এতো ক্ষোভ লোকটার এই দুটো পরিবারের উপরে? কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই জিহানের কথা কানে এসে বাজলো নীলার।

-হ্যালো সাদাফ? সাদিকের নাম্বারটার লোকেশন ট্রেস কর, যত জলদী সম্ভব। লাস্ট ৫/৬ ঘন্টায় ওর মোবাইল যে কয়টা জায়গায় ট্রাভেল করেছে সব কটার এক্সাক্ট লোকেশন আমার চাই এক্ষুণি—–। নো ওয়ে, হাফ এন আওয়ার টাইম নেই আমার হাতে। সাদিক কোনো বিপদে পড়েছে। হি নিড আওয়ার হেল্প। গট ইট? আমাদের পুরো টিমকে এলার্ট করে দাও। যে কোনো মূল্যে সাদিকের খবর পাওয়া চাই আমার।

সাদাফের সাথে কথা শেষ করেই দ্রুত পায়ে বিছানা ছেড়ে উঠে দুই মিনিটে রেডি হয়ে নীলার কাছে বিদায় নিয়ে বাইরের দিকে পা বাড়ালো জিহান। দরজা পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই শব্দ করে জিহানের মোবাইলে রিঙ হতেই জিহানও কলটা রিসিভ করেই যেন মূর্তির মতো জমে গেল। মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে বলা শব্দগুলো কানে এসে বাজছে জিহানের।

-স্যার আপনার পাঠানো দুইজন গার্ড কায়রা ম্যামকে নিয়ে এম্বুলেন্সে করে রওনা হয়েছে। ম্যামের ডক্টর আর নার্সও আছেন সাথে। আশা করি কোনো প্রবলেম হবে না।

চলবে, ইনশাআল্লাহ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here