আমারে দিলোনা ভুলিতে পর্ব ৪

#আমারে_দিলোনা_ভুলিতে।

#৪র্থ_পর্ব৷

#লেখা_আরজুমান_তাশা।

“একটা পুরো দিন নিবেদিতাকে শাস্তি দেওয়া হয়। মাঠে একশো রাউন্ড চক্কর কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো৷ তার সাথে একশো মিটার লম্বা কাঁটা তারের নিজ দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে চলা৷উপরে কাঁটা তার আর নিচে দুর্গন্ধ যুক্ত কাঁদা৷ যেখানে নিঃশ্বাস নেওয়াটাও দুষ্কর অনেক। নিবেদিতাকে ওভাবে দেখে ক্যাম্পে প্রত্যেকজনের নিবেদিতার প্রতি মায়া হয়৷ কিন্তু কারো কিছু করার ছিলো। রুলস, রুলস’ই হয়। আর এটাকে সবার ফলো করা লাগবে।শাস্তির ক্ষেত্রে কেউ কারোর জন্য এগিয়ে আসতে পারবেনা৷ নিবেদিতা পুরোটা দিন উল্লাস ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে। পুরোটা সময় একটা টু শব্দ করেনি৷নিঃশব্দে নিজের শাস্তি পালন করে গিয়েছে। তা দেখে উল্লাস বলে,
“এই মেয়ের জেদ ভয়ংকর।

রাতে নিজের রুমে আসতে নিবেদিতার আর শরীরে বিন্দুপরিমানের শক্তি অবশিষ্ট রইলোনা। কাঁটা তারের আঘাতে শরীরের অনেক জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয়।ব্যথায় পুরো শরীর জর্জরিত৷ চন্দ্রা এসে নিবেদিতাকে সাহায্য করার চেষ্টা করে। নিবেদিতাকে ধরে সাবধানে তার বিছানায় বসায়। চন্দ্রা আকুতি গলায় বলে,
“তুই যদি একবার নিজের ভুল স্বীকার করে সরি বলে দিতি তবে এমন শাস্তি পেতে হতোনা।

এতো ব্যথার মাঝেও নিবেদিতার হাসি পেয়ে যায় চন্দ্রার কথা শুনে। হেসে বলে,
“আমি কোন ভুল কিছু করিনি। যে ক্ষমা চাইবো।

নিবেদিতা সেনাবাহিনীর পোশাকটা খুলে কাঁটা স্থানে জীবানু নাশক ওষুধ ঢালে জ্বালাপোড়ার যন্ত্রণাতে নিবেদিতা চোখ বন্ধ করে হজম করে নেয় তার সকল ব্যথা। তখন তাদের মাঝে একজন মহিলা গার্ড এসে হাজির হোন। খ্যাঁক খ্যাঁক করে তিনি নিবেদিতার পাশে বসে নিবেদিতাকে দেখে ক্ষত স্থান ভালো করে পরিষ্কার করে মলম লাগিয়ে দেন। এবং কিছু মেডিসিন দেন। আর যাওয়ার আগে বলে,
“রাতে জ্বর আসতে পারে। সাবধানে থেকো।

গার্ড চলে যেতে নিবেদিতা ঠেস মেরে বলে,
” আমায় ইচ্ছেমতো কাঁটলো আর এখন সে কাঁটা জায়গায় আবার মলম ও লাগালো!

করিডোরে দাঁড়িয়ে কথাগুলো মনে হতে নিবেদিতা মৃদু হেসে ফেলে৷আর দূর থেকে নিবেদিতাকে হাসতে দেখে উল্লাসও হাসে। আনমনে হাসার ফলে নিবেদিতা অপ্রস্তুত হয়ে আশেপাশে তাকায়।এমন অবস্থায় কেউ ওকে দেখে ফেললো কিনা সেটা দেখার জন্য৷আশপাশে চোখ বুলিয়ে দেখে কেউ নেই তখন স্বস্তিতে নিঃশ্বাস ফেলে গলা ঝেড়ে আবার গম্ভীর ভাব ধারণ করে নিজের ডিউটিতে চলে যায়। নিবেদিতার কান্ড দেখে উল্লাস মাথা দুলিয়ে হেসে নিজের কাজে মনোযোগ দেয়।

“নিবেদিতা একটা সাদা টিশার্ট পরেছে আর একটা কালো টাওজার৷ আর চুলগুলো উঁচু করে হাত খোপা করে রেখেছে।দুইহাতে দুটো কফি ধরে ড্রয়িং রুমে এসে হাজির হয়৷চন্দ্রা আগে থেকে বসে আছে৷ নিবেদিতা ঈষৎ হেসে একটা মগ চন্দ্রার দিকে এগিয়ে দেয়। চন্দ্রাও আলতো হেসে মগ হাতে নিয়ে বলে,
“কাহিনি কি বলতো?
চন্দ্রার কথায় নিবেদিতা লম্বা করে শ্বাস টেনে কফিতে চুমুক বসায়। তারপর একটু নড়েচড়ে বসে নিবেদিতা বলে,
” উল্লাস স্যার এখন আমার ক্যাম্পে৷ সে ওখানে জয়েন করেছেন৷

নিবেদিতার কথায় চন্দ্রা অবাক হয়ে হা করে নিবেদিতার মুখপানে চেয়ে তাকে। পরমুহূর্তে নিজেকে ধাতস্থ কিন্তু নিয়ে আনন্দিত গলায় বলে,
“তাহলে এখন থেকে প্রতিনিয়ত তুই তাকে দেখতে পাবি৷

চন্দ্রার কথায় নিবেদিতা ক্ষীপ্ত হয়ে বলে,
” বাজে বকিস না৷ তুই জানিস তাকে আমার চোখের সামনে দেখলে আমার কেমন অনুভূতি হয়? নিজেকে সামলাতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। রাগ হয় বিনাকারণে৷ তার উপর রাগ করা বেমানান৷ তার উপর আমার কোন অধিকার নেই সেটা জানি। সে আমায় কাছে কোন ওয়াদাবদ্ধ ছিলোনা। কিন্তু তবুও তার চলে যাওয়াতে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি।অনেক ডেস্পারেট হয়ে গিয়েছি৷ সবকিছু বেমানান৷ তার প্রতি আমার যে একটা রাগ সেটা একদম বিনা কারণে৷এই রাগটা কেন জানি আমার ভিতর থেকে যাচ্ছেনা৷ এতো বছর পর তাকে দেখে আমার সে আগের অনুভূতিগুলো জেগে উঠছে। যেটার কিনা কোন মানে হয়না। ও’কে দেখলে আমি অনেকটা মোমের পুতুল হয়ে যায়৷ যার গায়ে একটু হাওয়া লাগতে সে গলতে শুরু করবে। কি ভয়ংকর ব্যাপার বুঝতে পারছিস৷

চন্দ্রা কফিতে চুমুক দেওয়া শেষ করে সিরিয়াস গলায় বলে,
“তুই আসলে বেশি চিন্তা করিস৷ আচ্ছা বাদ দে,স্যার বিয়ে করেছে কিনা সেটা জানিস?

কথাটা শুনে নিবেদিতা এক ভারী নিঃশ্বাস ত্যাগ করে বলে,
” জানিনা। হয়তো করেছে। এতোদিনে বিয়ে না করে কি বসে থাকবে?
“তাহলে তুই শিউর না?
” মানে?
“বিয়ে নাও তো করতে পারে। তুই বলেছিস স্যার একটা সিক্রেট মিশনে ছিলো। যদি সিক্রেট মিশনে থেকে থাকে তবে বিয়ে করার সময় কই পাইলো? পুরো পাঁচবছর স্যার আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে ছিলো৷ তার কোন রেকর্ড ছিলোনা৷

চন্দ্রার কথাগুলো নিবেদিতা খুব মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করে দেখে৷ আর চন্দ্রা নিবেদিতার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে সোফায় হেলান দিয়ে পায়ের উপর পা তুলে দিয়ে আরাম করে বসে নিবেদিতাকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে৷

“অন্ধকার সাথে ঘন কোঁয়াশা চারদিক একদম ভুতুড়ে অবস্থা৷এই ভুতুড়ে পরিবেশটা কাটানোর জন্য বৈদ্যুতিক বাতি কিছুটা কার্যকর হয়েছে। রাত প্রায় অনেক হয়েছে৷ চারপাশ শুনশান।এই শুনশানের মাঝে বাস্কেটবল খেলতে মগ্ন উল্লাস আর উশান। কেউ কারো থেকে কম যাচ্ছেনা৷দুজনেই মাহির এই বাস্কেটবল বল খেলাতে। ঘন্টাখানেকও বেশি সময় ধরে দুজন খেলে যাচ্ছে। ঘেমে-নেয়ে একাকার দুজন৷ একটা সময় উশান হাঁপিয়ে উঠে হাত দিয়ে পেটের বাম সাইড চেপে ধরে হাঁপাতে হাঁপাতে বলে,
” আজ এই পর্যন্ত৷

উশানের কথা শুনে উল্লাস বিজয়ের হাসি হেসে বল হাতে নিয়ে উশানের পাশে এসে বসে পড়ে৷ বলটা দুজনের মাঝে রেখে উল্লাস পানি পান করে। উশান দুইহাত তার পিছনে রেখে তাতে৷ ভর দিয়ে বসে উল্লাসের মুখের দিকে চেয়ে বলে ,
“তোর দাঁড়ি গুলো ছোট করা উচিত৷

উল্লাস,তার দাঁড়িতে হাত বুলিয়ে বলে,
” আমার এই লুকটা ভালো লাগে।

উল্লাসের কথায় উশান বাঁকা হাসে। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে হাত ঝেড়ে বলে,
“রাত অনেক হয়েছে।
উল্লাস তার হাতের ঘড়িটাতে চোখ বুলিয়ে নিয়ে বলে,
” হুম।
এরপর জ্যাকেট পরে নিয়ে বলে,
“বাই৷পরের বার কিন্তু স্কোর কমপ্লিট করা লাগবে।

উল্লাসের কথায় উশান হাসে। তারপর দুজন হাত মিলায় একে অপরের সাথে। হাত মিলানোর পর গলায় লেগে উল্লাস সেখান থেকে চলে আসে৷ উশান উল্লাসের যাওয়ার পথে চেয়ে থেকে স্মিথ হেসে মাথা নাড়ে। তারপর নিজেকে পরিপাটি করে নিয়ে সেও স্থান ত্যাগ করে৷ উশান নিজের বাসায় এসে ফ্ল্যাটের চাবি আর গাড়ির চাবি দরজার পাশে থাকা টেবিলের উপর রাখে।অনেকদিন পর বাস্কেটবল খেলাতে শরীর মেজমেজ করছে। ঘরের লাইট জ্বালিয়ে দরজা বন্ধ করতে কেউ একজন উশানকে পিছন থেকে আক্রমণ করে তার হাত মুচড়ে তার পিঠের উপর চেপে দেওয়ালের সাথে উশানকে আটকে ধরে৷আকষ্মিক এমন ঘটনার জন্য উশান মোটেও প্রস্তুত ছিলোনা। নিজের সাথে কি হয়ে গেলো তা বুঝতে উশানের কয়েকসেকেন্ড লেগে গেলো। বুঝতে পেরে উশান ঈষৎ হেসে শান্ত গলায় বলে,
“ট্রেনিং নিয়েছো অনেক আগে। কিন্তু তার রেশ এখনো কাটেনি৷ ভালোই আক্রমণ করতে জানো৷
কথাটা শুনে তার পিছনে থাকা মানুষটা উশানকে ছেড়ে দিয়ে দুইকদম পিছনে গিয়ে দাঁড়ায়৷ উশান ছাড়া পেতে তাকে আক্রমণ করা আগন্তুকের হাত ধরে টেনে দেওয়ালের সাথে লেপ্টে ধরে৷ উশানের হঠাৎ আক্রমণে আগন্তুক চোখমুখ খিঁচে বন্ধ করে ফেলে৷উশান তার কাছাকাছি এসে আগন্তুকের ওষ্টদ্বয় আলতো করে ছুঁয়ে দেয়৷ আগন্তুক আগের মতো চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে৷ উশান তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটাকে আপাদমস্তক দেখে নিয়ে স্মিথ হাসে। তারপর সময় নেয় তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটার চোখ খোলার অপেক্ষায়৷ কিছুটা সময় নিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটা চোখ খুলে। চোখ খুলে উশানের মিটমিট হাসি দেখে রাগে উশানকে দুইহাত দিয়ে ধাক্কা মেরে বলে,
” অসভ্য।
উশান দুই কদম পিছনে চলে গিয়ে হেসে বলে,
“আর তুমি যা করো তা কি সভ্যের কাজ?

চন্দ্রা উশানের কাছাকাছি এসে চোখ রাঙিয়ে প্রশ্ন করে,
” আমি কি করেছি শুনি?
“তুমি বারবার পিছন থেকে আক্রমণ করে আমাকে বেকায়দায় ফেলো। এভাবে আক্রমণ করে তুমি এমন অবস্থায় ফেলো নিজের তোমার থেকে ছাড়ানো মুশকিল হয়ে পরে।

উশানের কথায় চন্দ্রা ঠোঁট বেঁকে হেসে তার পাশ থেকে সরে গিয়ে বলে,
” কোথায় ছিলে এতক্ষণ অবধি?

উশান চন্দ্রার পিছু নিয়ে বলে,
“তার আগে তুমি বলো, তুমি কখন এসেছো?

চন্দ্রা সোফায় বসে বলে,
” তা তো অনেক্ষণ হয়েছে।

চন্দ্রার মুখোমুখি বসে উশান বলে,
“ওহ! ডিনার করেছো?

চন্দ্রা একটা ম্যাগাজিন হাতে তুলে নিয়ে তার দিকে চোখ বুলিয়ে বলে,
” তোমার সাথে করবো ভেবেছিলাম।

কথাটা শুনে উশান চট করে দাঁড়িয়ে গিয়ে, জলদি দিয়ে বলে,
“তুমি পাঁচমিনিট অপেক্ষা করো। আমি এক্ষুনি আসছি৷

উশান আর দেরি না করে তার বেডরুমে চলে আসে। উশানের তাড়াহুড়ো করে চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে চন্দ্রা অল্প হাসে। তারপর কিচেনে গিয়ে খাবার রেডি করতে থাকে৷ উশান পাঁচমিনিটের জায়গায় আধাঘন্টা সময় বাদে ড্রয়িংরুমে হাজির হয়৷ শাওয়ার নিয়েছে তা উশানের ঝলমলে ফ্রেশ মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে৷উশান চেয়ার টেনে বসে চন্দ্রাকে বলে,
” অনেকদিন পর আমার বাসায় এসেছো।
চন্দ্রা প্লেটে খাবার নিতে নিতে ত্যাড়া ভাবে বলে,
“কেনো! এসে কি ভুল করেছি?

চন্দ্রার কথায় উশান অপ্রস্তুত হয়ে আমতা আমতা করে বলে,
” আমি সেটা বলিনি। তোমায় হঠাৎ দেখে আমি অনেক সারপ্রাইজ হয়েছি।

চন্দ্রা উশানকে কিছুক্ষণ পরখ করে নিয়ে বলে,
“কাল কাজের জন্য ঢাকায় যাবো। ভাবলাম যাবার আগে একবার তোমার চাঁদমুখটা দেখে যায়। তুমি তো আর নিজ থেকে তোমার সুন্দর চেহারাটা দেখাওনা,আমায়।

চন্দ্রার ঠেস মেরে মেরে বলা প্রতিটা কথা উশান খাবারের সাথে হজম করে নিচ্ছে। উল্টো একটা বলতে গেলে চন্দ্রা এখানেই এটোম বোমের মতো ফেটে পরবে। চন্দ্রা যে কথাগুলো বলছে সেগুলো অভিমান থেকে বলছে৷ কাজের জন্য উশানের চন্দ্রার সাথে দেখা করাটা হয়ে উঠেনা। ইনফেক্ট কলটা করা অবধি ভুলে বসে থাকে৷খাবার শেষ করে চন্দ্রা এঁটো প্লেট গুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিচ্ছিলো। তখন উশান এসে পিছন থেকে চন্দ্রাকে জড়িয়ে ধরে চন্দ্রার গালে আলতো চুমু খায়৷ তারপর আমুদে গলায় বলে,
” সরি৷
চন্দ্রা কোন শব্দ না করে নিজের কাজ করতে থাকে৷উশান চন্দ্রার কাঁধে থুতনি রেখে আদুরে গলায় বলে,
“কাল কয়টার ফ্লাইটে ঢাকায় যাবে?

চন্দ্রা কাজ না থামিয়ে জবাব দেয়,
“সকাল নয়টার ফ্লাইটে৷

উশান চন্দ্রার হাত দুটো আকড়ে ধরে চন্দ্রাকে পিছন থেকে গভীর ভাবে আকড়ে ধরে৷ চন্দ্রা ধমক দিয়ে বলে,
“তুমি কি আমার হাতে মার খেতে চাও?

উশান আগের মতো করে চন্দ্রাকে ধরে রেখে বলে,
“সরি৷ তুমি তো জানো আমার প্রফেশনালটায় এমন। যেখানে পরিবার প্রিয়জনের কথা ভাবার আগে নিজের দায়িত্বের কথা ভাবা লাগে। এটাও জানো আমি আমার কাজ নিয়ে কতো সিরিয়াস।

চন্দ্রা এবার দমে যায়। সমস্ত রাগ উবে গিয়ে অভিমান জায়গা করে নেয়। অভিমানী গলায় বলে,
” একটা ফোনকল করলে তো তুমি তোমার প্রফেশন আর তোমার দায়িত্ব থেকে সরে যাওনা। তাইনা৷

উশান এবার চন্দ্রাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দুইহাত দিয়ে চন্দ্রার মুখ আকড়ে ধরে অপরাধী গলায় বলে,
“সরি।

উশানের ইনোসেন্ট লুক দেখে চন্দ্রার সব অভিমান হাওয়া হয়ে গিয়েছে নিমিষেই৷কিন্তু সেটা উশানকে বুঝতে না দিয়ে মিছে মিছে রাগ দেখিয়ে বলে,
” হয়েছে হয়েছে আর ঢঙ করতে হবেনা।

চন্দ্রা সরে যেতে চাইলে উশান হেচকা টান মেরে চন্দ্রাকে নিজের খুব কাছে নিয়ে আসে৷চন্দ্রার কানের পাশে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে চন্দ্রার কানে বলে,
“ভালোবাসি খুব।
চন্দ্রার উপর কথাটা মন্ত্রের মতো মুহূর্তে কাজ করে৷ চন্দ্রার মুখে রাগের বদলে লজ্জার চাপ বইছে। লজ্জায় চোখ বন্ধ করে চুপ হয়ে থাকে। উশান চন্দ্রার মুখের দিকে তাকায়। চন্দ্রার অবস্থা বুঝতে পেরে ঈষৎ হেসে চন্দ্রার ঠোঁটের পাশে আলতো করে উশান তার ঠোঁট ছুঁয়ে দেয়৷

(#চলবে……)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here