আমারে দিলোনা ভুলিতে পর্ব ৮

#আমারে_দিলোনা_ভুলিতে।

#পর্ব_৮।

#লেখা_আরজুমান_তাশা।

“আজ ছুটির দিন হওয়ার ফলে নিবেদিতা কিছু কেনাকাটা করার জন্য শপিংমলে এসেছে। পরিবার আর নিজের জন্য কিছু কেনাকাটা করবে। সামনে চন্দ্রা’র জন্মদিনও। তারজন্যেও কিছু কেনাকাটা করবে৷ চন্দ্রার জন্য কি নেওয়া যায় নিবেদিতা সেটায় চিন্তা করতে করতে হাটছিলো। তখন একটা চার বছরের বাচ্চার সাথে নিবেদিতার ধাক্কা লেগে যায়। নিবেদিতা ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি বাচ্চার কাছে গিয়ে অপরাধী গলায় বলে,
” বেবি তোমার কোথাও লাগেনি তো? আ’ম সো সরি৷ তুমি ঠিক আছো? ”

বাচ্চাটা তখন আদুরে গলায় থেমে থেমে বলে, “আই এম স্যরি টু। কারণ আমি না দেখে দৌড় মেরে আপনার সাথে ধাক্কা খেয়েছি৷ আপনি ব্যথা পেলে আমি স্যরি। ”

বাচ্চার এতো ইনোসেন্ট কথাবার্তা শুনে নিবেদিতার বাচ্চাটার প্রতি অনেক মায়া হয়। আদুরে গলায় নিবেদিতা প্রশ্ন করে,
” বাবু তোমার নাম কি আর তোমার আম্মু আব্বু কই?

বাচ্চাটা তখন টেনে টেনে বলে,
” আমার নাম আরহান। আম্মু ওইখানে৷ ”

আরহান হাতের ইশারায় একটা দোকান দেখিয়ে দেয়। নিবেদিতা দাঁড়িয়ে আরহানের হাত ধরে বলে,
” এভাবে একা একা দৌড়াদৌড়ি করা ঠিক না। আম্মুকে না বলে এখানে চলে এসেছো আম্মু তো অনেক চিন্তা করবে তোমার জন্য৷ চল আম্মুর কাছে চল৷

নিবেদিতা আরহানকে নিয়ে আরহানের দেখানো দোকানে আসে। নিবেদিতা পিছন থেকে ডেকে বলে,
“এক্সকিউজ মি ম্যাম…

আরহানের মা পিছন ফিরতে নিবেদিতা বেশ অনেকখানি শকড হয়ে যায়। কারণ তার সামনে বসা নিলীমা। নিলীমায় তবে আরহানের মা! নিলীমাও নিবেদিতাকে দেখে বেশ আশ্চর্য হয়। আশ্চর্যটা কাটিয়ে নিলীমা দাঁড়িয়ে হাসিমুখে বলে,
” নিবেদিতা, রাইট! ”
নিবেদিতা দ্বিধাদ্বন্দ্ব গলায় বলে,
“ইয়েস, ম্যাম। ”

নিলীমা নিবেদিতার কাছে এগিয়ে এসে বলে,
” অনেকদিন পর৷ ”

নিলীমাকে দেখে নিবেদিতার ভিতর অস্থিরতা কাজ করছে৷ বেশ হাফ সাফ লাগছে নিবেদিতার ভিতর। তারপরও মুখে কৃত্রিম হাসির রেখা টেনে বলে,
“জ্বী, ম্যাম। ”

নিলীমা আরহানের দিকে তাকায়৷ তার চাহনিতে নিবেদিতাও আরহানের দিকে তাকায়। নিলীমা আরহানের উদ্দেশ্যে কিঞ্চিৎ রাগী গলায় বলে,
” তুমি আন্টির সাথে দুষ্টামি করেছো?”

আরহান মুখে হাত রেখে ডানে বামে মাথা নাড়ে। যার অর্থ না। নিলীমা নিবেদিতার দিকে তাকিয়ে মুখে হাসি বজায় রেখে বলে,
” আমার ছেলে আরহান। আই হোপ তোমার সাথে কোন রকম দুষ্টামি করেনি। ”
নিলীমাকে বাঁধা দিয়ে নিবেদিতা বলে,
” জ্বী না ম্যাম। আমার সাথে ও কোন দুষ্টামি করেনি। বাইরে একা দৌড়াদৌড়ি করছে দেখে আমি নিয়ে আসলাম।
“যাক ভালোই হলো। তোমার সাথে দেখা হয়ে গেলো। চল কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসি। ”

নিবেদিতা না করতে যেয়েও করতে পারলোনা৷নিলীমা নিবেদিতা হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় তার সঙ্গে করে৷ নিলীমা দুজনের জন্য কফি অর্ডার করে৷ কফিতে চুমুক দিয়ে নিলীমা বলে,
” তোমার আর উল্লাসের সম্পর্ক কেমন চলছে? বিয়েশাদি করেছো? নাকি এখনো দু’জন প্রেম করে বেড়াচ্ছো?”

নিবেদিতা সদ্য ধোঁয়া উঠা গরম কফিতে খুব সাবধানে চুমুক বসাচ্ছিলো। ৷নিলীমার কথা শুনে নিবেদিতা মুখ থুবড়ে পরার মতো অবস্থা৷ গরম কফি মুখে গিয়ে জিহ্বাটায় পুড়ে গেলো বোধহয়। নিবেদিতা অবস্থা দেখে নিলীমা তাড়াতাড়ি নিবেদিতাকে পানির গ্লাস এগিয়ে দেয়৷ নিবেদিতা একনিঃশ্বাসে পানি শেষ করে জোরে নিঃশ্বাস নেয়৷ নিলীমা চিন্তিত গলায় বলে,
“আর ইউ ওকে? ”
নিবেদিতা মাথা দুলিয়ে বলে,
” ইয়েস ম্যাম। ”

নিলীমা কিছুটা সময় নিয়ে নিবেদিতাকে প্রশ্ন করে,
” তোমার আর উল্লাসের মাঝে কি কোন সমস্যা হয়েছে? “”

নিবেদিতা কিছুটা সময় নিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে,
“আপনি যা ভাবছেন তেমন কিছুই আমাদের মাঝে হয়নি ম্যাম৷ ”

নিবেদিতার কথায় নিলীমা আশ্চর্যের চরম পর্যায়ে চলে যায়৷ অবিশ্বাস্য স্বরে বলে,
” আমি তো ভেবেছিলাম তোমরা বিয়ে করে নিয়েছো এতোদিনে। কারণ উল্লাস তোমার ব্যাপারে অনেক সিরিয়াস ছিলো। এবং সে বলেছিলো তোমায় খুব শীঘ্রই তার মনের কথা বলবে। কিন্তু তুমি বলছো তেমন কিছুই হয়নি? আমার তো বিশ্বাস হচ্ছেনা! ”

নিলীমার কথা শুনে নিবেদিতাত হুশ উড়ে গিয়েছে। ওর মনে হচ্ছে সে পাথরের চাপার মধ্যে পরেছে৷ পুরো শরীর মুহূর্তে ব্যথায় ভরে উঠেছে মুহূর্তে৷ নিবেদিতা আসলে বুঝে কূল করতে পারছেনা নিয়তি তার সাথে এটা কোন ধরনের খেলায় মগ্ন হয়েছে! নিবেদিতা তার চিন্তায় এতো মগ্ন হয়ে পরেছিলো নিলীমার এতো ডাক সে শুনতেও পেলোনা। নিলীমার হাল্কা ঝাকুনিতে নিবেদিতার হুশ হয়। ড্যাবড্যাব করে সে নিলীমার মুখের দিকে চেয়ে থাকে। নিবেদিতার অস্বাভাবিক আচরণ দেখে নিলীমা ঘাবড়ে যায়৷ নিলীমা চিন্তিত গলায় প্রশ্ন করে,
“তুমি ঠিক আছো নিবেদিতা? ”

নিলীমার কথা কানে ভেসে আসতে নিবেদিতা মাথা ঝাড়া,দিয়ে স্বাভাবিক গলায় বলে,
” জ্বী ম্যাম, আমি ঠিক আছি। যদি কিছু মনে না করেন তবে আমি উঠি৷ আমার একটা জরুরি কাজ ছিলো৷”
নিলীমা সাই দিয়ে বলে,
“আচ্ছা, ঠিক আছে। ”

নিবেদিতা কৃত্রিম হেসে নিলীমার সামনে থেকে যতদ্রুত সম্ভব চলে আসে। রেস্টুরেন্টের বাইরে এসে বুক ভরে শ্বাস টানে নিবেদিতা। নিবেদিতা রেস্টুরেন্টের ভিতর অক্সিজেনের কমতি অনুভব করছিলো। জোরে জোরে বারকয়েক নিঃশ্বাস টেনে নিবেদিতা চোখ বন্ধ করে রাখে কিছুক্ষণ। আর মনে মনে এক থেকে তিন অবধি গনতে থাকে যাতে নিবেদিতার মাঝে যে অস্থিরতা কাজ করছে তা কেটে যায়৷ ”

” উল্লাস সে স্থানে দাঁড়িয়ে আছে যেখানে পাঁচবছর আগে নিবেদিতার সাথে তার শেষ কথা হয়েছিলো৷ সেদিন চারদিক ঘন অন্ধকার ছিলো। কিন্তু জোনাকিপোকার মিট মিট আলোতে পরিবেশটা রোমাঞ্চকর হয়ে ছিলো৷ উল্লাস ৫০তম ব্যাচের ট্রেনিং শেষ হওয়া আর সেদিনের পার্টির কথা ভাবতে৷উল্লাসের সামনে সবকিছু উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো ঝলঝল করে ভেসে উঠছে। সেদিন টা উল্লাসের জন্য অনেক কঠিন দিন ছিলো। এই জঙ্গলের মাঝে নিবেদিতা তার ভালোবাসার কথা উল্লাসকে বলেছিলো৷ উল্লাস সেও নিবেদিতা তার ভালোবাসার কথা বলেছিলো কিন্তু নিবেদিতার মনে নেই সে কথাগুলো৷ নিবেদিতা মাতাল গলায়,
“আপনি খুব সুন্দর। কথাটা বলে নিবেদিতা কিছুক্ষণের জন্য চুপ মেরে থেকে উল্লাসের শার্ট আকড়ে ধরে উল্লাসের মুখের দিকে নেশাতুর চোখে তাকিয়ে থাকে৷ উল্লাসের হাতে ধরা মোবাইলের ফ্ল্যাশ দুজনের মুখ বরারব পড়ে। নিবেদিতার নিভু নিভু চোখে উল্লাসের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকাটা উল্লাসের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে। হার্টবিটের গতি মুহূর্তে বেড়ে গিয়ে দিগুণ হয়ে যায়। নিবেদিতা উল্লাসের এতো কাছে ছিলো একজন আরেকজনের নিঃশ্বাসের শব্দ উপলব্ধি করতে পারছে৷ নিবেদিতা উল্লাসের আরো একটু কাছে এসে পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে উল্লাসের বরাবর হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে৷উল্লাস কিছুটা নিবেদিতা দিকে ঝুকে যায়। নিবেদিতা কোন কিছু না ভেবে ফাঁকা মস্তিষ্কে উল্লাসের ওষ্টদ্বয়ে তার ওষ্টদ্বয় ছুঁয়ে দেয়৷ নিবেদিতার এমন কান্ডে উল্লাস থঁ হয়ে যায়৷ নিবেদিতা কয়েক সেকেন্ড পর উল্লাসের ওষ্টদ্বয় ছেড়ে উল্লাসের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিছুক্ষণ চেয়ে থাকার পর উল্লাসের চোখে চোখ রেখে স্পষ্ট গলায় নিবেদিতা বলে,
” আপনি আমায় ভালোবাসেন। আপনার চোখে মুখে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। আপনি আমায় চান। তবে সেটা মুখে বলেন না কেন? কথাটা বলে নিবেদিতা রাগে গর্জে উল্লাসকে দু’হাত দিয়ে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয়। নিবেদিতার ধাক্কায় উল্লাস দুই কদম পিছিয়ে যায়।” নিবেদিতা অভিমানের গলায় অভিযোগের সুরে বলে,
” আপনি অনেক খারাপ। আপনি আমায় কষ্ট দেন। আপনি চান না আমি আপনাকে ভালোবাসি৷ আপনি সবসময় আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। আমি আপনাকে চাইনা৷আপনি চলে যান৷ আমার লাগবেনা আপনাকে৷ ”

উল্লাস নিবেদিতার কষ্ট অনুভব করতে পারছে৷ নিবেদিতা বাচ্চামো ভেবে সে নিবেদিতাকে এড়িয়ে এসেছে৷ বয়সের ব্যবধানের দোহাই দিয়ে উল্লাস নিবেদিতার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে৷ উল্লাস নিবেদিতার কাছে আসতে চাইলে নিবেদিতা কাঁন্নারত গলায় বলে,
“আসবেন না আপনি আমার কাছে৷ আমি চাইনা আপনাকে৷”

উল্লাস নিবেদিতাকে অপরাধী গলায় বলে,
” স্যরি। আ’ম সো স্যরি৷ আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। প্লিজ আমায় মাফ করে দাও।
কথাগুলো বলতে বলতে উল্লাস নিবেদিতার কাছাকাছি চলে আসে। নিবেদিতা ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে বলে,
“আমি বিশ্বাস করিনা। ”

উল্লাস নিবেদিতার হাত দুটো ধরে আবারও বলে,
” আ’ম স্যরি।”
নিবেদিতা উল্লাসের হাত থেকে তার হাত ছাড়িয়ে উল্লাসের বুকের উপর দুইহাত দিয়ে এলোপাতাড়ি চড় মারতে থাকে৷উল্লাসের প্রতি জমানো সব রাগ, ক্ষোভ একসাথে বের হয়ে আসছে। উল্লাস কিছুটা সময় পর নিবেদিতার হাত দুটো ধরে শক্ত করে বুকে চেপে ধরে বলে,

“আই লাভ ইউ। আই লাভ ইউ সো মাচ। ”

কিছুক্ষণ এভাবে আগলে রাখার পর নিবেদিতা শান্ত হয়ে যায় একদম৷ উল্লাস নিবেদিতাকে তার বুকে আগলে ধরে চোখ বুজে রাখে৷ উল্লাস এই মুহূর্তে ভবিষ্যৎ ভেবে বর্তমান নষ্ট করতে চাইনা। যা হবে তা পরে দেখা যাবে৷ নিবেদিতা নিথর হয়ে পরে থাকে উল্লাসের বুকে৷ আর উল্লাস পরম ভালোবাসায় নিবেদিতাকে তার বুকে আগলে রাখে৷ কিন্তু উল্লাস ওই মুহূর্তে এক সেকেন্ডের জন্যেও ভাবেনি তার কিছু মুহূর্তের পর সে নিবেদিতার থেকে আলাদা হয়ে যাবে৷তাকে যেতে হবে অনেক দূরে৷ওই মুহূর্তে একটা ফোনকলে উল্লাস সব ছেড়ে চুড়ে সেনানিবাসে এসে উপস্থিত হয়। সে এবং আরও পাঁচজনের উপর গুরুতর দায়িত্ব দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাদেরকে পাঠানো হবে ভারতের সীমান্তে৷সব কিছু একদম হঠাৎ নির্ধারণ করা হয়৷ এবং নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় সব সিক্রেট রাখার। জান যাবে কিন্তু মুখ খোলা যাবেনা। দেশের স্বার্থে জীবন উৎসর্গ করতে হলে তাই করতে হবে। সেদিন রাতের অন্ধকারে তারা রওনা দেয়৷ উল্লাসের ওই মুহূর্তে ইচ্ছে করছিলো নিবেদিতা মুখটা আরেকবার দেখে নিতে৷ কিন্তু সে সুযোগ তার ছিলোনা। সব মায়া, ভালোবাসা পিছনে ফেলে দেশের কাজে পুরো মনোযোগ ঢেলে দেয়। পাঁচ বছরে যতগুলো অপারেশনে উল্লাস গিয়েছিলো সবগুলোতে সে নিবেদিতা স্মরণ করেছে। মনে শুধু একটা আশা জাগিয়ে রেখেছিলো একটাবার নিবেদিতাকে দেখার। একবার তো বুকে গুলি লেগেছিলো। উল্লাস ভেবে নিয়েছিলো ওর জীবনের শেষ মুহূর্তে। তখন নিবেদিতার মুখটা উল্লাসের চোখের সামনে ভেসে উঠে। সে দেখে নিবেদিতা কোন একটা জায়গায় আটকা পড়েছে। কোন ভাবে বের হতে পারছেনা। নিবেদিতা আর্তনাদ করে কেঁদে কেঁদে উল্লাসের নাম ধরে ডাকছে। বলছে তাকে বাঁচাতে। নিবেদিতাকে দেখার সে অদম্য ইচ্ছা আর আকুলতা উল্লাসকে সে যাত্রায় বাঁচিয়ে দেয়৷ উল্লাসের সঙ্গ ছিলো নিবেদিতার স্মৃতি আর নিবেদিতার একটা জিনিস৷ উল্লাস চোখ বন্ধ করে জোরে নিঃশ্বাস টানে। তারপর চোখ খুলে নিবেদিতা হাতের ব্রেসলেটটা চোখের সামনে ধরে উল্লাস। ব্রেসলেটটা কালো আর হাল্কা আকাশী রঙের সংমিশ্রণে তৈরি। উল্লাস সেটা তার ব্রেসলেটের সাথে মিশিয়ে হাতে সবসময় পরিধান করে রাখতো৷ কিন্তু এখন সেটাকে সে সিক্রেটলি রাখে। উল্লাস ব্রেসলেটটার দিকে তাকিয়ে থেকে গভীর গলায় বলে,
“তুমি আমাকে, তোমাকে কখনো ভুলতে দাওনি। সর্বদা আমার সঙ্গে ছাঁয়ার মতো তুমি ছিলে৷ তোমাকে আমার হৃদয়ে ধারণ করে রেখেছি৷ ”

#(চলবে….)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here