#আমার_জান_তুমি
#আইদা_ইসলাম_কনিকা
#পর্বঃ০৪
আইদাঃনাহহ কিছু নাহ…….
আদিলঃ সত্যি করে বলো?? কি ভাবছো…..
আইদাঃ ভাবছি ঐদিন যদি ভাইয়া ফোনটা পিক করতো আজ এমনটা হতোনা……(মাথা৷ নিচু করে)
আদিলঃ এই…..তোর সমস্যাটা কি হ্যা…….আমার মধ্যে কিসের কমতি আছে(আইদার ঘার ধরে)
আইদাঃকি করছেন ছাড়ুন আমার লাগছে….
আদিলঃ লাগলে লাগুক…. তখনই দরজায় কেউ নক করে…আর আদিল আইদাকে ছেড়ে দেয় ….নাছির এসেছে….
নিছরঃস্যার ক্লাইন্টরা চলে এসেছে…… আপনার অপেক্ষায় আছে সবাই…..আদিল বলে আপনি যান আমি আসছি……
আদিলঃএসে জেনো কেবিনেই পাই…কেবিনের বাইরে বেরোবে না….. (চোখ রাঙিয়ে চলে গেলো আদিল) প্রায় ২ ঘন্টা হয়েগেছে আদিলের খবর নেই…..তাই আইদা কেবিন থেকে বেড়িয়ে তার বন্ধুদের সাথে দেখা করতে গেলো……
আইদাঃকিরে আয়শা কি খবর….আর নীলিমা কোথায়…
আয়শাঃহারামি কুত্তি বিয়ে করে ফেললি আর কাউকে বললিওনা…..আর তোর হিজাবের এই অবস্থা কেনো…(আদিল যাখন আইদার ঘাড়ে ধরেছিল হিজাবের বারোটা বেজে যায়)….
আকাশঃআইদু তুই কাজটা ঠিক করলিনা……
আইদাঃসরিরে তোদের কাউকে বলা হয়নি ইভেন আমিও জানতাম না আমার বিয়ে…… বলেই সবাই হাসতে শুরু করলো……..তখন মিটিং রুম থেকে বেড়িয়ে আসে আদিল আর সাথে আরেক হেন্ডসাম বয়…..নাম কাব্য চৌধুরী……. কায়েশ চৌধুরীর ছেলে….কাব্য একটা পেলে বয়……আর এর জন্যই আদিল আইদাকে কেবিন থেকে বেরোতে বারণ…করে..
কাব্যঃওয়াও……কি ফিগার আই ওয়ানট হার ওনলি ফর এ নাইট…….আদিল কথাটা শুনা মাত্র রেগে যায়…কাব্যের করলার ধরে বলে…..
আদিলঃ মি.কাব্য ও আমার স্ত্রী ওর থেকে দূরে থাকুন এটা আপনার জন্যই ভালো!!!!
কাব্যঃ তো কি…….আদিল আর কিছু বলতে না দিয়ে কাব্যকে বলে সে আসতে পারেন আর ডিলটাও কেন্সিল করে দেয়……কাব্যও মনে মনে অনেক রেগে যায়……এই অপমানের বদলাতো নিবেই…….
আদিলঃআইদা…… কেবিনে আসো….আইদাও পিছন পিছন যায় কেবিন যাওয়া মাত্র আদিল পানির গ্লাসটা ফ্লোর ছুড়ে মরে গ্লাসটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়…. আর আইদার দুইবাহু চেপে ধরে বলতে থাকে..
আদিলঃএই তোকে বেরোতে বারণ করেছিলাম নাহ….হ্যা নিজেকে কি মনে করিস তুই……আমার কথা কেনো শুনিসনা?? জানিস তোকে নিয়ে ঐ কাব্য কতো বাজে কথা বলেছে জানিস তুই…..বলেই আইদার ঠোঁটে রুডলি কিস করতে থাকে
কিছুখন পর আদিল আইদাকে ছেড়ে দিয়ে ধাক্কা মারে আর আইদার হাত যেয়ে পরে ফ্লোরের কাচে অনেক গুলি কাচ আইদার হাতে ঢুকে যায়….কিন্তু আইদা টু শব্দও করছেনা….আইদার দুইগাল বেয়ে পানি পরছে যে মেয়েটা একটু ব্যথা পেলে পুরো বাড়ি মাথায় করে নিত আর আজ সে চুপচাপ হয়ে সব শুনছে যেখানে কেউ কিছু বললে তাকে ছেরেদিত না আর আজ সে কিনা চুপ
আদিলঃ ……..চোখ দিয়ে একফোঁটা পানি পোরলে জানে মেরে ফেলবো…..বলেই কেবিন থেকে বেড়িয়ে গেলো…..আদিল উদ্দেশ্য নাছিরের কেবিন…..কাব্যের ব্যাপারে খুঁজে নেয়া…….
আইদা ও অনেক কষ্টে ওঠে দাড়ালো ওয়াশ রুমে যায় ওয়াশরুম গিয়ে আইদা মুখ চেপে কাঁদছে আর হাতের হাতের কাচগুলো তুলছে…প্রায় ৩০মিনিট পর…আইদা নিজের হিজাব ঠিক করে মুখ ধুয়ে বিড়িয়ে এলো…… বেরিয়ে দেখে কাচগুলো নেই হয়তো পিউন এসে পরিষ্কার করে গেছে……আদিল চুপচাপ লেপটপে কাজ করছে……আইদা গিয়ে সোফায় বসে নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে আছে হাতটা নিজের ওড়না দিয়ে বেধেঁ রেখেছে…….
অফিস টাইম শেষ হয়ে যায় আদিল আর আইদা বাসায় চলে আসে……..বাসায় আসার পর আদিল খেয়ে দেয়ে কোথায় জেনো বেরিয়েছে……আর আইদা হিজাবটা খুলে ছাদে গিয়ে দোলনায় বসে আর ঐখানে ঘুমিয়ে পরে…..
আদিল রাত ৯ টায় বাসায় আসে এসে রুমে যায় রুমে গিয়ে দেখে আইদা নেই…..তখনই আদিলের আইদার সাথে মিসবিহেভ করারা কথা মনে করে আর ভাবে এখানেতো আইদার কোনো দোষ নেই আর কাব্যের কথা ভেবে একটা বাঁকা হাসি দিয়ে আইদাকে খুঁজতে লাগলো…….ছাদে গিয়ে দেখে আইদা ঘুমিয়ে আছে…চাঁদের আলোতে অনেক কিউট লাগছে আইদাকে…….আদিল গিয়ে আইদার মুখে পরা চুলগুলো হাতদিয়ে সরিয়ে দেয়….তখনই আইদা জেগে যায়……আইদা আদিলকে দেখে পাশকাটিয়ে চলে যায়….আদিলও আইদার পিছন পিছন আসে
আইদা রুমে গিয়ে হাত থেকে ওড়নাটা খুলে দেখে এখোনো হালকা হালকা রক্ত বেরোচ্ছে……. তখনই আদিল এসে আইদার হাত দেখে…..চমকে যায় দৌরে আইদার কাছে যায়……আইদা একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে নিজের হাতটা সরিয়ে নেয়…..আদিল আবার ধরে আইদা এবারও ঠিক একই কাজ করে……আদিল এবার আইদাকে বিছানার সাথে চেপে ধরে কিস করতে লাগলো কিছুখন পর ছেড়েদিল আর বললো এখন যদি হাতে বেন্ডেজ করতে না দেয় তাহলে সে তার বাকি কাজ কমপ্লিট করবে…..আইদাও কিছু বলেনা বেন্ডেজ করার পর
আদিলঃ এখন যদি বাকি কাজটা না করি তাহলে আমার হার্ট বেচারা কষ্ট পাবে……. বলেই আইদাকে নিয়ে ভালোবাসার খেলায় মেতো উঠলো আদিল……আইদার পুরোটা জুরে শুধু আদিলের রাজত্ব…….সকাল বেলা আইদা ওঠে শাওয়ার নিয়ে নিচে যায় ব্রেকফাস্ট বানাতে যদিও হাতে হালকা ব্যথা তারপরেও আদিল যেনো কিছুনা বলে তাই আইদা…..নিজের কাজ করছে…..আদিল আইদাকে না পেয়ে……. নিচে আসে এসে দেখে আইদা নাশতা বানচ্ছে তাই….আদিলও রেডি হতে চলে যায়…..আদিল রেডি হয়ে নিচে নামছে…..আর আইদা টেবিলে খাবার দিচ্ছে……… আদিল কফি খেতে খেতে বললো….
আদিলঃকফিতে মিষ্টি কম হয়েছে…… আইদা বলো সে কিচেন থেকে চিনি নিয়ে আসছে তখনই….. আদিল আইদার হাত ধরে নিজের কোলে বসালো আর সব সার্ভেন্টদের বলো ভুলে যেনো কেউ এইদিকে না তাকায় আর তাই করলো সবাই আর আদিল আইদার ঠোঁট আকারে ধরে……. প্রায় ৫ মিনিট পর…..
আদিলঃসরি….. জানপাখি কালকের জন্য তুমিই বলো তোমাকে নিয়ে কেউ খারাপ কিছু বললে ভালোলাগবে…সব বাদে #আমার_জান_তুমি….. আর ঐ কাব্য কোনোদিন আর কোনো মেয়ের দিকে তাকাতে পারবেনা এমন হাল করেছি
আইদাঃ কি করেছেন……আপনি?
চলবে…….
