ঘর ভর্তি মেহমানদের সামনে আদ্রিয়ার চরিএের উপর আঙুল তুলা হলো।
লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে গেল। নিজের চরিএের উপর কটু তিক্ত মিথ্যে কথা কখনো কোনো মেয়েই সহ্য করতে পারবে না।
আয়মান ছেলেপক্ষের দিকে চোয়াল শক্ত করে বলে।
—“কি হলো আপনারা সত্য জানার পরও কি নিজের ছেলের সাথে এই মেয়ের বিয়ে ঠিক করতে চান?
আয়মান এর কথায় ছেলে পক্ষ কথা বলাবলি করতে থাকে। তখন আরফাজ সাহেব আয়মানের কাছে তার কলার চেপে ধরে বলে।
—“জানোয়ার তোর সাহস কি করে হলো আমার মেয়ের উপর এতো বড় মিথ্যে অপবাদ দেওয়ার?
আয়মান তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে নিজের কলার থেকে আরফাজ সাহেব এর হাত শক্ত করে চেপে ধরে সরিয়ে বলে।
—“কেনো আঙ্কেল সত্য কথা সামনে আসছে বলেই এখন মিথ্যে অপবাদ হয়ে গেল? যদি আমার কথায় বিশ্বাস না হয় তাহলে নিজের মেয়ের থেকেই জিগ্গেস করেন।
আপনারা কি বলেন?
ছেলে পক্ষের দিকে তাকিয়ে।
—“হ্যাঁ বাবা আপনি ঠিকই বলছেন। আমরা মেয়ের মুখ থেকেও শুনতে চাই।
ছেলের মা মিসেস কেয়া আয়মান এর দিকে তাকিয়ে বলেন।
সবাই কৌতূহলী আদ্রিয়া-র দিকে তাকায়।
—“এখন কি বলব? আমি তো কিছুই জানি না আয়মান যা বলছে আদৌ কি তা সত্যি নাকি উনার কোনো সাজানো প্লেন!
মনের মাঝে দুই-তিন ভাবছি। তখন আয়মান হু হা করে হাসি দেই। সবাই উনার দিকে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকায়।
উনি হাসতে হাসতে সোফায় বসে পড়লেন। পায়ের উপর পা তুলে দুই হাত চেয়ারের হ্যান্ডেল এ দিয়ে আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখেন।
—“ম্যাম আপনি চুপ কেনো? কিছু তো বলেন!
—“……..(চুপ করে থেকে)
—“আচ্ছা আপনার কাছে উওর নেই তাই তো?
সমস্যা নাই আমিই পুরো ঘটনা সবাইকে বলি।
এমনেই দর্শক পাঠকদের কমতি নেই।
কৌতূহল আগ্রহদীপ্ত হয়ে আছে। ম্যাম আমি এদের মন ভাঙ্গতে পারব না। So, i gonna start.
আয়মান চেয়ার থেকে উঠে পকেটে দুই হাত গুঁজে নিজেকে শক্ত করে নিল। ধীরে ধীরে আদ্রিয়া-র দিকে আগাতে থাকে। আরফাজ সাহেব আয়মান এর সামনে এসে তার মুখ বরবার হাত রেখে বলেন।
—“আমার মেয়ের দিকে আগানোর কারণ?
আয়মান কিছু না বলে চোখ ঘুরিয়ে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিল। যেনো আরফাজ সাহেব এর কথায় তার কোনো মাথা ব্যথা নেই। আয়মান নিজের সিকিউরিটি গার্ড রুবেল এর দিকে তাকিয়ে ইশারায় কি যেনো বলল!
সাথে সাথে তার ছেলেপেলে এসে আরফাজ সাহেব, রোকসানা জাহান, ছোট বোন আহিরাকে ধরে এক সাইডে করে দাঁড়িয়ে রাখে।
ছেলেপক্ষ ঘাবড়ে যায়।
—“আরে আরে আপনারা ভয় পাবেন না। এটা তো জাস্ট ট্রেইলার আরো কত কি হবে!
আয়মান ছেলেপক্ষ থেকে নজর সরিয়ে
আদ্রিয়ার দিকে ডেভিল লুক করে বাঁকা হেসে আগাতে থাকে।
আয়মান এর আগানোতে আমার পা-ও যেনো অটোমেটিক্যালি পিছিয়ে যেতে থাকে।
কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে আরফাজ সাহেব মানে আমার আব্বুকে ডাক দেই।
—“জানোয়ার খবরদার তুই আমার মেয়ের কাছে যাবি না।
—“উহু আঙ্কেল এখন আপনার মেয়ের ব্যাপারেও বলবই বা কি?
উপর থেকে নিচ পর্যন্ত তো মাশা-আল্লাহ। কাছে না গেলে কি হয়? একটু স্বাদ নিলে খারাপ হয় না।
—“আব্বু আব্বু প্লিজ কিছু করো।
কাঁপা গলায় বলে আয়মান এর দিকে তাকায়।
উনি খুব কাছে এসে যায়।
আমি উনার সাইড হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে লাগলে।
আচমকা আমার কোমর চেপে ধরে ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে দিল।
ছেলেপক্ষের সবাই হা করে দৃশ্যটা দেখছে। তাদের তো মাথার উপর দিয়ে যেনো সব ব্যাপার যাচ্ছে।
আমি আয়মান এর থেকে ছাড়া পেতে উনার বুকে কিল-ঘুষি মারতে থাকি।
উনি কিস করে করে চোখজোড়া খুলে আমার চোখের দিকে তাকায়।
আমার চোখে পানি দেখে আয়মান এর ভেতরে তৃপ্তি মনোভাব হতে থাকে। এতোদিন এরকম কষ্টই দিতে চেয়েছিল। সে যতই হোক এতো সহজে আদ্রিয়াকে ছাড়ছে না।
আয়মান কিস করার মাঝেই জোরে কামড় বসিয়ে দে। এতে আদ্রিয়া-র ঠোঁট ফেটে ব্লাড বেরিয়ে আসে।
আয়মান ব্লাডগুলো চুষে নিয়ে জোরে ধাক্কা দিয়ে ছেড়ে দিল।
তার ধাক্কায় আদ্রিয়া মেঝেতে পড়ে যায়। টেবিলের কোণায় মাথা লেগে তার কপাল হালকা ফেটে যায়।
সে মাথা চেপে মুখ টিপে চোখের জল ফেলাতে থাকে।
আয়মান পৈশাচিক হাসি দিয়ে সবার দিকে তাকায়।
আরফাজ সাহেব এতোক্ষণ ধরে চিৎকার দিচ্ছিলেন নিজের মেয়েকে এই জানোয়ার থেকে ছাড়া দিতে। কিন্তু তা হলো না আয়মান নিজের মনের ইচ্ছা পূরণ করেই ফেলল।
আরফাজ সাহেব সেখানেই মেঝের উপর বসে পড়লেন।
ছেলেপক্ষের দিকে এগিয়ে এসে আয়মান নিজের পকেটে বাঁ হাত গুঁজে ডান হাত দিয়ে গাল কুচলিয়ে বলে।
—“আব আপনারা হয়তো বুঝেই গেলেন? মেয়েটার চরিত্র কেমন! এখন সে আমার ইউজ করা জিনিস হয়ে গেল।
যে জিনিসে আয়মান রায়াজ একবার চোখ দিল সেই জিনিসে অন্য কাউকে হাত মারারও সুযোগ দেই না।
আয়মান আদ্রিয়া-র দিকে ঘুরে আসতে গেলে পা থামিয়ে পিছে ঘুরে ছেলেপক্ষের দিকে সরু দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।
—“রুবেল ছেলেপক্ষের মনে হয় বুলেট এর ইনভেটিশন দেওয়া লাগবে?
প্রশ্নের ভঙ্গিস্বরুপ বলে।
মিসেস কেয়া ছেলের মা ভয়ে পেয়ে গেলেন তিনি নিজের স্বামী আর ছেলের দিকে তাকিয়ে বলেন।
—“বাবা আমরা তো এই মেয়ের চরিত্রের সম্পর্কে আগে থেকেই জানতাম। এক নাম্বারের লজ্জাহীন বেহায়া মেয়ে। আকাশ চল তো তোর জন্যে এই মেয়ের চেয়েও সুন্দর মেয়ে লাইনে লাগিয়ে দেবো।
চল এখান থেকে।
আদ্রিয়া-র দিকে থুথু মেরে বেরিয়ে যায় ছেলেপক্ষ।
আরফাজ সাহেব মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকলেন। আয়মান টেবিলের উপর থেকে পানি নিয়ে গ্লাসে ঢেলে নিজে গটগট করে খেয়ে নিল।
সে এসে আরফাজ সাহেব এর সামনে চেয়ার টেনে বসল।
একবার আরফাজের স্ত্রী আর দুইমেয়ের দিকে তাকিয়ে নে।
—“তো আঙ্কেল ফিল্মটা কেমন লাগলো?
না মানে আপনি এত উচ্চ মান সম্মানিত পরিদেষ্টা। সমাজের সবাই আপনার কথায় ভোট লেনদেন কোম্পানির কাজ পরিচালনা করে।
সেই উচ্চ বান্ডরীর পাওয়ারই তো আপনি সবাইকে দেখাতেন।
আজ আপনার পাওয়ার কই গেলো?
আরফাজ সাহেব ঠাঁই সেভাবেই বসে থাকল। উনাকে দেখে আয়মান গালে হাত রেখে চেয়ারে হেলান দিল।
—“আঙ্কেল আপনাকে এই মুহূর্তে স্টাচু বলে ডাকলে বেটার হবে। কারণ এমন নিরব নিশ্চুপ নিচড়া মানুষ কেউ হয় নাকি?
ওওও নাকি হার্ট এ্যার্টাক করলেন। এত সুন্দর দৃশ্য দেখে তো যেকোনো ভদ্র মানুষের হার্ট এ্যার্টাক কি হার্টফিলও আসা বাধ্যতামূলক বলে আমি মনে করি।
কিন্তু যাই হোক দৃশ্য বলেন মুভি বলেন সবগুলোর ক্রেডিট কাকে যায় জানেন?
আয়মানের শেষ কথায় আরফাজ সাহেব চোখ তুলে তার দিকে তাকায়।
—“যাক বাদ দিলাম। এই প্রশ্নের উওর না হয় কোনো একদিন বাচ্চাকাচ্চা সাথে নিয়ে বসে শুনাবো। এখন যাই শ্বশুরমশাই কেমন! আমার হবু বউ কে একটু দেখে রাখিয়েন। ইনার তো আবার বাহিরে নিজের রুপ বেশ্যার মত করে দেখানোর শখ!
আয়মান এর শেষ কথাটা আদ্রিয়ার গায়ে নুনের ছিঁটা দেওয়ার মত ছিল। রুবেলকে সাথে নিয়ে বডিগার্ডসকে ইশারা করে বেরিয়ে যায়।
আদ্রিয়া কপাল চেপে ধরে যাতে রক্ত বেশি বের না হয়। কোনোভাবে উঠে দাঁড়িয়ে যায়।
মিসেস রোকসানা শাড়ির আঁচলে মুখে গুঁজে ফুঁফিয়ে কাঁদছেন ছোট বোন আহিরা তো মাএ ছয় বছরের খুব একটা বোঝার বয়স নি। পরক্ষণেই বাসার মধ্যে কি থেকে কি হয়ে গেলো সব যেনো সে নির্বাক নয়নে তাকিয়ে শুধু দেখছে মুখ ফুটিয়ে কিছু বলে নি।
—“আব্বুকে কোন মুখে শান্ত্বনা দেবো?
সব দোষ তো আমার। গল্পের শুরুটায় কেনো যে অভিনয় করেছিলাম আজ সেজন্যই তার ফলশ্রুতি পাচ্ছি।
চোখের জল বাঁধ মানছে না। কিভাবে পারলো এমন করতে? ঐ মানুষটা এতোটাই নির্দয়।
কখনো ভাবে নি পূর্বের গল্প পুরোনো পাতার স্মৃতি আবারো খুলা হবে।
আব্বুর কাছে গিয়ে মেঝেতে বসে পড়লাম। আব্বু তখনো কোনো রিয়েক্ট করল না। আমতা আমতা করে আব্বু কে ডাক দিলাম।
—“আ…আব্বু আমার কথাটা একটি বার….বলে আমি আব্বুর ঘাড়ে হাত ছুঁইতে গেলাম ওমনি উনি মেঝের উপর ঢলে পড়েন।
মিসেস রোকসানা ছলছল চোখে দাঁড়িয়ে আব্বুর কাছে আছেন। আমার হাত কাঁপতে শুরু করে। আব্বুর হঠাৎ কি হলো?
—“ও গো আহিরার আব্বু কি হয়েছে আপনার উঠেন না! আদ্রু মা দেখ না তোর বাবার কি হয়েছে?
আমি চোখ মুছে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লাম। আব্বুর মাথা নিজের কোলের উপর রেখে নাকের মধ্যে হাত রেখে শ্বাস চলছে কিনা পরীক্ষা করলাম।
আলহামদুলিল্লাহ শ্বাস চলছে এমনকি হাতের পাল্স চেক করে দেখি শরীরের শিরার চলাচল কিছুটা নিম্ন হয়ে গিয়েছে।
।
লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
।
দেরি না করে বাসার টেলিফোন লাইন দিয়ে মেডিক্যাল এ এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসার জন্যে কল করব। তার আগেই দেখলাম বাসার বাহিরে এ্যাম্বুলেন্স চলে আসল। আমি অবাক হলাম এখনো কলই দিলাম না তো এ্যাম্বুলেন্স এর Owner দের কে জানালো।
এ্যাম্বুলেন্স এর ভেতর থেকে ডক্টর দুই তিনজন নার্স বেরিয়ে আছে। দুইজন মেল নার্স আব্বু কে ধরে রুমে নিয়ে বেডের উপর শুয়িয়ে দিল।
আমি দূরে দাঁড়িয়ে অশ্রুশিক্ত নয়ন ফেলে আছি আব্বুর রুমের দিকে। ভেতরে যাওয়ার সাহসটা পাচ্ছি না। আমার কারণে আজ আব্বুর কিছু হলে জীবনেও নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না।
মিসেস রোকসানা বেডের এক সাইডে দাঁড়িয়ে ডক্টর আর নার্স এর কাজ দেখছে। কারো কিছু লাগলেই তারা মিসেস রোকসানাকে জানাচ্ছে।
উনি ঠিকমত তা খুঁজে এনে তাদেরকে দিচ্ছে।
উনাদের কার্যপ্রণালী দেখছি তখন কাপড়ে কারো টান অনুভব করলাম। কেউ আমার কাপড় টানছে। পিছে ঘুরে দেখি আহিরা দাঁড়িয়ে আছে।
আমি হাটু গেড়ে বসে বলি।
—-“কি হয়ছে আমার লক্ষিটির?
—“আদ্রুপি আব্বুর এমন কেনো হলো? কিছু বলছে না কেনো! আর ওই ভাইয়াটা কে ছিল?
খুব পচাঁ তোমার ঠোঁট কেটে দিছে।
আহিরার কথায় নিজের ঠোঁট মুছে ফেলি। কিন্তু মুছতে গিয়ে হালকা ব্যথা লাগল।
আহিরা আর কিছু না বলেই আমাকে জড়িয়ে ধরল।
আমিও তাকে জড়িয়ে ধরি নিশ্চুপভাবে চোখ থেকে পানি ফেলছি।
___
ব্লেজারটা চেয়ারে ছুঁড়ে মেরে নিজের কলারের টাই ঢিলা করল।
রুবেল কিচেন থেকে ওয়াইন এর বোতল নিয়ে আসে। সাথে আনে বরফ, টাটকা তেঁতুল এর প্লাস্টিকের বক্স।
আয়মান আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আদ্রিয়ার বাসায় কি কি হলো সে বিষয়গুলো মনে করতে থাকে।
—“কেন কেন এমন করেছিস আমার সাথে হ্যাঁ?
আমি কি এমনটা ভুল করেছিলাম যার কারণে এমন শাস্তি দিলি।
তোকে কষ্ট দিয়ে নিজেই তো শান্তি পাচ্ছি না। মন তো চাচ্ছে নিজেকেই শেষ করে ফেলি।
না কিন্তু এটা করবো না। তোকে পাওয়ার নেশা যে লাগছে সেটা আমি যেভাবেই হোক হাসিল করেই ছাড়ব।
আয়মান রায়াজ কখনো কোনো কাজ অর্ধেক করে ছাড়ে না যে কাজ একবার ধরে পুরোপুরি না করা পর্যন্ত থামে না।
বিরবিরিয়ে সে বাঁকা হাসি দিয়ে হাত মুঠোবদ্ধ করে জোরে শ্বাস ছাড়ল। সোফার দিকে এসে বসে পড়ল।
রুবেল ভেতরে এসে ট্রি টেবিলের উপর ট্রে রেখে বেরিয়ে যেতে উল্টা পা ঘুরালে আয়মান এর ডাকে সাড়া দে।
আয়মান ওয়াইন এর ক্যানটা দাঁত দিয়ে চেপে ধরে খুলে ফেলে গ্লাসে ঢালছে আর বলে।
—“শ্বশুরমশাই এর কি খবর?
আমার সারপ্রাইজ উনার থেকে এতটাই ভালো লাগছে যার কারণে একদম অজ্ঞান হাহাহাহা।
—“স্যার এখনো ডক্টর কিছু বলে নি। তবে মেল নার্স এর সাথে কথা হয়েছে। সে বলছে চেক আপ হচ্ছে ট্রিটমেন্ট চলছে পরে জানাবে।
রুবেল এর কথায় আয়মান নিজের মাথা নেড়ে তাকে যেতে বলে।
রুবেল নিজের কাজে চলে যায়।
আয়মান এক হাত দিয়ে ড্রিংক করছে তো আরেক হাতে সিগারেট রেখে এতে মুখ দিয়ে ফুঁ দিচ্ছে।
____
আমি রুমের মধ্যে বসে আছি। আব্বুর রুমে আম্মু যেতে বারণ করেছে। আব্বুর এখনো চিকিৎসা চলছে।
বালিশে আস্তে করে মাথা রাখলাম কিছুক্ষণ আগে আমার কপালে ড্রেসিং করে দিল।
আমি আদ্রিয়া মেহজাবিন আরফাজ। যিনার চিকিৎসা চলছে উনি আরফাজ সাহেব আমার বাবা। এলাকার চেয়ারম্যান হলেন তিনি।
চেয়ারম্যান হওয়ায় উনার নাম অনেক। তাই আমাদের শএুও যে নেই তা কিন্তু নয়। হয়তো আনাছে কানাছে খুঁজলে অনেকজন বের হবি। এখন না হয় ওই টপিকে না যায়। ধীরে ধীরে কত কিছুই না হবে।
আমি এবার অনার্স কমপ্লিট করেছি। হাতে উচ্চডিগ্রীর সার্টিফিকেট, ভালো কারিকুলাম নোটিশ সব থাকায় জবের এপ্লিকেশন করি “Chowdhury industry” তে। চাকরীগত ভাবে সেখানে খুব ভালোই চলছিল । বস ও ছিলেন ভালো মনের সবসময় আমার সাথে বন্ধুত্বসলভ আচরণ করতেন।
কিন্তু একদিন……
চলবে…?
#আমার_শুধু_তুই
#লেখিকা_তামান্না (আল রাইয়ান)
#সূচনা_পর্ব
(নতুন গল্পই নিয়ে আসলাম। দেখা যাক জুটি কেমন হয়। প্যারায় রহস্যে ঘেরা আরেকটি গল্প। ভালো রেসপন্স পেলে চলবে ইন-শা-আল্লাহ। গল্প দুইদিকেই দিচ্ছি আপনাদের সুবিধার্থে। পড়ে নিয়েন আর জানাবেন কেমন লাগলো ফাস্ট পার্ট। আপনাদের মন্তব্যের উপর ভিওি করবে নেক্সট পার্ট দেবো কি দেবো না।
হেপ্পি রিডিং)