আমার_শুধু_তুই পর্ব শেষ

#আমার_শুধু_তুই
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#অন্তিম_পর্ব

—“মিস্টার আয়মান…
ফিমেইল ডক্টর ওটি থেকে বের হয়ে আয়মানকে ডাকে।
আয়মান মাথায় হাত দিয়ে বসে ছিল। খুব চিন্তিত ছিল।
কিছুক্ষণ আগেই মিসেস রোকসানা আদ্রিয়ার আম্মুর সাথে কথা হলো।
সে জানিয়ে দিল আদ্রিয়া ঠিক আছে। তার সাথেই আছে।
মিসেস রোকসানা ও কিছু বললেন না। কারণ আয়মান বলে সে বিয়ের আগ পর্যন্ত আদ্রিয়ার সাথে কোনো বাজে বিহেভ করবে না।
মিসেস রোকসানা মুচকি হেসে মনের থেকে বিশ্বাস করলেন।

—“জি জি বলেন আমার আদ্রিয়া কেমন আছে?
—“সে এখন ঠিক আছে। উনি কিছু দেখে হয় তো শকড হয়ে ছিলেন তাই অজ্ঞান হলেন।

—“ওহহ তাহলে ঐ ব্লাডগুলো?
—“ওগুলো নরমাল তার মাসিক চলছে তাই।
—“ওহহ। কিন্তু ডক্টর কারো সাথে হঠাৎ করে শকড হওয়ার কারণে কিভাবে অজ্ঞান হয়ে মাসিক হয়?

—“এখন দেখেন পৃথিবীতে অনেক কিছু সম্ভব আবার অসম্ভবও আছে। কিছু জিনিস দেখলে ভয়ে আতঙ্কে সুইসাইড করতে মন চাই বা অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন মাসিক হওয়াটা ব্যাপার না। উনার মনে হচ্ছে মাসিক হওয়ার ডেট ছিল। যা উনি জানতেন না।

—“বুঝতে পেরেছি। সো ডক্টর আমি কি তার সাথে দেখা করতে পারব?

—” হ্যাঁ কেন নয়। তার আগে কেবিনে আসুন বাকি ফর্মালিটিস পূরণ করে ফেলি।

আয়মান হেসে ডক্টর এর কেবিন যায়।
তার যাইতেই একজন ঝড়ের মত দৌড়ে আসতে থাকে আদ্রিয়ার ওয়ার্ড রুমের দিকে।

লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)

ওটিতে ঢুকে সে শয়তানি হাসি দিয়ে ঘুমন্ত আদ্রিয়ার দিকে আগাতে থাকে। যখন আদ্রিয়ার
খুব নিকটে এসে যায়। তখন নিভু নিভু চোখ খুলে তাকায় আদ্রিয়া।
ফাহিমকে কালো মাস্কে দেখে বলে।
—“ফা…ফাহিম তুমি?
কথাটা তার কর্ণপাত হতেই শয়তানের মত হাসতে থাকে।

—“হু আমিই।
কেনো আমাকে এখানে এক্সফেক্ট করো নি তাই তো।
—“তোর আসল কথা আমি সবাইকে জানিয়ে দেবো। তোকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলাব।

—“এইততত……আদ্রিয়ার থুতনী জোরে চেপে ধরে। বেশি পাখছিস দেখতে পারছি। তোকে এখানে আনছে বলে বেঁচে গেলি ভাবলি।
আমার থেকে তোকে কে বাঁচাবে?
তোর ঐ আয়মান? যাকে আমি তোরই নজরে খারাপ বানিয়েছি।

ফাহিম এর কথায় আমার মাথা হেংগ খেল। সে আসলে কি বলতে চাচ্ছে। আয়মানকে সে খারাপ বানিয়েছে। আমি তৎক্ষণাৎ জিগ্গেস করি।
—-“মানে কি বলতে চাস?

—-“হু তোর আয়মান যে নির্দোষ তা কি জানিস?
দুইবছর আগে আমাকে যে মেয়ের রেপ কেসে ফেলা হয় সেই দোষের সামনে তোদের কে দেখিয়ে হিরো হয়ে যায় আয়মান। কিন্তু আমি ঠিক সেটাই চেয়ে ছিলাম। যখন আমায় জেলে নেওয়া হয় তখন নকল জাল ফেলি। যারে রেপ করছি সে নিজে এসে থানায় বলে আয়মান তার পেটের অনাগত শিশুর বাবা। ব্যস আমায় রিহাই দেই আর তাকে এরেস্ট করে ফেলে।
এতেই তোদের নজরে আয়মান খারাপ আর আমি হয়ে যায় হিরো।
কিন্তু জানিস আমি আসলে রিভেঞ্জ কার থেকে নিতে চাইছি?
তোর…. তোর থেকে। তোর এই সৌন্দর্যের দেমাগ যে সেটা ছিঁড়ে কবলে ফেলতে চাইছিলাম।
কিন্তু প্রতিবারই ঐ আয়মান কুওা কোথার থেকে না কোথার থেকে এসে তোকে বাঁচিয়ে ফেলত। বাট আজ……আজ তোকে কে বাঁচাবে?
আমি শুনছি তোর নাকি মাসিক হয়ছে?
মানে ঐ যে লাল লাল নাকি দাগ লাগে।

আদ্রিয়া ফুঁফিয়ে কাঁদছে সে কিনা আদৌ আসল নকল এর তফাৎ করতে পারল না। সে বিশ্বাস করে নি আয়মান এর কথা। একবারও ভাবে নি শুধু স্বার্থপরের মতো তাকে অবিশ্বাস ঘৃণা করে গেল।
আমি সত্যিই খুব বাজে মনের মানুষ।
আয়মান এর মত মহৎ ব্যক্তির জন্যে আমার মত মেয়ে কখনো যোগ্য নয়।
ফাহিম যে তার পিরিয়ড এর কথা বলছে। এই নিয়ে ফাহিম তাকে চেঁতানি দিচ্ছে কৌটা মারছে।
লজ্জায় নিজেকে অসহায় প্রাণী মনে হচ্ছে।

—“জানিস রেপ তোকে তখন কেন করি নি যখন তুই অজ্ঞান হলি। পারলে তখনই করতাম কিন্তু আমি তোর পিরিয়ড হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম।
ঐসময় ধর্ষণ করলে তোর জীবন ফুসসসসস মানে ইনসাইড দ্যা ডেড হয়ে যাবে।
হাহাহাহা শয়তানের মত হাসতে হাসতে দাঁত কেলাতে থাকে।
ওওও আরেকটা কথা আয়মান তোর সাথে খারাপ বিহেভ কেন করছে জানিস?
কারণ সে ভাবে তুই সত্য জানার পরও তাকে ফাঁসিয়েছিস তার নজরে তুই খারাপ আর তোর নজরে আমি।
হাত দেখিয়ে জোকারের মত ফেস এক্সপ্রেশন দিচ্ছে।
তোরে কত বোকাও ভাবতাম লাইক সিরিয়াসলি বলছি। কিন্তু তোর পটরপটর প্রশ্নের বন্যা সেই স্কুলজীবন থেকেই চলে আসছে। তুই গাড়িতে অজ্ঞান হইস নি আমার দ্বারা হয়েছিস। যখন জানালা বেদ করে বাহিরের দৃশ্য দেখছিলি তখনই তোর ঘাড়ে ঠিসসস ইনজেকশন পুশ করে দিলাম। তাও তোর দেমাগী মনের অহংকার শরীরে হাত দেই নি কন্ট্রোল করছিলাম।
কন্ট্রোল হতে চাই ছিল না কিন্তু কি করব বেব পিরিয়ডে করলে তুই মারা যাবি। এর চেয়ে মক্ষম সুযোগ কি আর পেতাম?

এই বলে ফাহিম ধীরে ধীরে উল্টা পা ফেলে দরজার কাছে যায়।
আমি চেঁচিয়ে উঠি। কিন্তু কেবিন থেকে সাউন্ড বাহিরে একটু একটু যাচ্ছে। কিন্তু মানুষের হৈচৈ কথাবার্তায় তার চিৎকার কারো কানে যাচ্ছে না।

আয়মান ডক্টর এর সাথে কথা বলে ফার্মেসীতে যায়।
ওষুধ নিয়ে ভেতরে ঢুকবে তখন আয়নায় একটা গাড়ি তার নজর পড়ে। সে গাড়ির দিকে এসে পুরো গাড়ির চারপাশে চকর দিয়ে ভাবে।

—“এই গাড়ি তো??? ক্লিপের মধ্যে দেখছিলাম।
তখন কল আসে রুবেল এর।
কানে ধরতেই রুবেল বলে।

—” স্যার ম্যাম ড্যাঞ্জাসার সিয়েশনে পড়েছে।
হাঁফাতে হাঁফাতে বলে।
—“ওয়াট কি বলছিস? আর তোর কি হয়ছে হাঁফাছিস কেন?

—” স্যার এখনই আসল কথা জানতে পারছি আপনি ক্লিপে যাকে দেখলেন সে অন্য কেউ না মানে ম্যামের সাথে যার বিয়ে ঠিক হওয়ার কথা ছিল সে না। আসল কালপ্রিট হচ্ছে দুইবছর অাগে ম্যাম এর হবু বর হওয়ার কথা যে ছিল মানে ফাহিম। সেই হলো আসল কালপ্রিট।
সে ম্যামকে নিয়ে যাওয়ার সময় আপনার ইনর্ফমার এক্সিডেন্ট করে ছিল তাদের ফলো করতে গিয়ে।
তখন এক্সিডেন্ট হয়ে ছিল কারণ ফাহিমের এক লোক আপনার ইনর্ফমারকে দেখে ফেলে। সেই নিজের গাড়ির সাথে ইনর্ফমারের গাড়ির সাথে এক্সিডেন্ট করিয়ে দে।

শুনেই আয়মানের রাগে হাত কাঁপতে শুরু করে চোখজোড়া অসম্ভব লাল হয়ে যায়। সে গম্ভীর গলায় বলে।
—“তোকে গাড়ির ছবি পাঠাছি ফাহিম এর গাড়ি কি সেটা কি জানা।

আয়মান ছবি পাঠিয়ে দেই। রুবেল দেখেই হ্যাঁ বলে।
—” ওকে কল রাখ। তাড়াতাড়ি পুলিশ মেডিক্যাল এ আন সে এখানেই আছে।

রুবেল ওকে বলে কল কেটে থানায় কল দেই।

—” গাড়ি এখানে তা……তার মানে আদ্রিয়াআআআআ।
আয়মান ওষুধ এর পেকেটগুলো নার্স এর হাত দিয়ে দ্রুত লিফ্টে ডুকে চারতলায় যাই।

—-“সো বেবি কেমন অনুভব হবে পিরিয়ডে ধষর্ণ করলে হাহাহাহ।
হেসে সে নিজের শার্টের বোতাম খুলে আগাতে থাকে।

—-“চিৎকার করে লাভ নেই আমার মত মেয়ের বেঁচে থাকার কোনো অধিকারই নেই। আয়মান আমাকে এত ভালোবাসলো আর আমিই কিনা তার ভালোবাসায় আঙুল উঠিয়ে চরিএে দোষ দিলাম।
আজ একটু হলেও নিজের অপরাধের দোষে ধর্ষিত হবো। সমস্যা নাই আয়মানের জন্যে না হয় পরপারে অপেক্ষায় থাকব।

ফাহিম খুব কাছে যখনই আদ্রিয়ার উড়নায় হাত দেই তখনই দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে পড়ে আয়মান। দুইজনই শকড হয়ে যায়। আয়মান উঠে এসে ফাহিমের বুক বরাবর লাথি দেই। তার কলার চেপে মুখের উপর পর পর ঘুষি মারতে থাকে। ঘুষি খেয়ে তার নাক ফেটে ব্লাড বেরিয়ে আসে।
আয়মানকে আজ হিংস্র লাগছে যা আদ্রিয়া আন্দাজ করতে পারছে।
এই হিংস্র হলো ভালোবাসার জন্যে।

আয়মান ফাহিমের পেটে ঘুষি দিয়ে বলে।
—-“তোর কি মনে হয় আমি নাকে দুধ খাই? আমার কলিজায় তুই বাজে নজর তো কি স্পর্শ করার সাহসও পাবি নাআআ।
বলে আবারো তার মুখে ঘুষি দেই।
আমার কলিজায় হাত দেওয়ার সাহস কেউ করে নি সেখানে ইঁদুরের মত কিট তুই কি পারবি?
বলেই ট্রুলি থেকে কাঁচি নিয়ে ফাহিমের বাহুডোড়ায় ঢুকিয়ে দেই।
ফাহিম চিৎকার করে উঠে ব্যথায় তার হাত নাড়াতে পারছে না। কারণ তার বাহুডোরা বদ্ধ করে রেখেছে আর্তনাদ ছাড়া তার কিছুই করার নেই।
পরক্ষণেই পুলিশ এসে ফাহিমকে এরেস্ট করে রুবেল আয়মানকে থামিয়ে নে।
আয়মান থামতেই সে এসে আদ্রিয়াকে জড়িয়ে ধরে।
সবার সামনেই আমার পুরো ফেসে চুমু দিতে থাকে। রুবেল মুচকি হেসে সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। আমাকে এলোথেরাপি চুমু দিয়েই যাচ্ছে। কথাও বলতে পারছি না। কারণ আয়মান ঠোঁটে একবার না হয় নাকে চোখে কপারে গালে কিসের উপর কিস দিয়েই যাচ্ছে।

আমি তো লজ্জায় ফ্রিজ হয়ে আছি। কি বলব বুঝছি না। লজ্জাময় কাঁপা গলায় বলি।
—-“আ….আয়…আয়মান থামেন।
আয়মান থেমে যায় আমার চোখ বরাবর চোখ রেখে বলে।
—“এখনই কি থামবো?
—-“না মানে বিয়ে ছাড়া বাকি কিছু করা তো ঠিক না।
আয়মান দুষ্টুমি হেসে বলে।
—” তো কি হয়ছে চলো বাসর করে বিয়ে করি। বিয়ের পর হানিমুন ওয়ালা বাসর করব কি বলো?
—-“এ্যাহ বলেন কি পাগল নাকি আপনি?
লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে কিসব আবুল তাবুল বকে যাচ্ছেন।

আয়মান ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে আমাকে বুকে আবদ্ধ করে বলে।
—-”
তুই আমার একজীবন নয়
সারাজীবনের স্বপ্ন।
গোলাপের রঙে রাঙ্গা লাল
বেনারসি শাড়ি পরিহিত এক পরী তুই।
তোর ছোঁয়ায় পাই
অশেষ শান্তি।
তোর ভালোবাসায় পাই
নিজের প্রাণ।
তোর এক চিলটি হাসি ভরিয়ে দেই
খুশির ঝিলিক।
সারাজীবনে একমুঠো প্রেমের আড়ালে
আমার_শুধু_তুই।

তার কবিতা মুগ্ধ হয়ে শুনলাম। সে আমার পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে।
—” আদ্রুপাখি তিনটা গুড নিউজ আছে শুনবে?
—“হুমম।
—“শ্বশুরমশাই ঠিক হয়ে গিয়েছেন। এখন পুরোপুরি সুস্থ আছে। এটা হলো ফাস্ট। কয়েকদিন নিশ্চুপ থাকলেও উনাকে সিসিফুটেজ এর মাধ্যমে ফাহিমের বলা সব কথা ভিডিও করে পাঠায়। যখন সে তোমাকে কথাগুলো বলছিল তখন রুমে সিসি ক্যামেরা সেট করা ছিল সেখান দিয়ে সব সত্য আমিও জেনে যায়। আঙ্কেল জানতে পেরে আন্টিকে ইশারা করে বলে আমাদের বিয়ের কথা ঠিক করতে। ইশারার মধ্যেই খুশিত্ব প্রকাশ করলেন।
এটা ছিল সেকেন্ড। এখন থার্ড নিউজ হলো
বিয়ে করবি?

এতো খুশির খবর শুনে চোখ বেয়ে পানি পড়ল। সেই সাথে থার্ড প্রশ্নে আমি মুখ তুলে তার দিকে তাকায়। তার চোখে মুখে হ্যাঁ শুনার প্রবল ইচ্ছে। চোখের কোণায় পানিও জমে আছে যদি না বলি তখন না হয় চাপা কষ্ট বেরিয়ে আসবে কান্না হয়ে।
কিন্তু আমি আর কষ্ট দিবো না আমার আয়মানকে।
অনেক কষ্ট দিয়েছি সহ্য করেছি এবার না হয় আল্লাহ তায়ালা আমার কোলে খুশির আহ্বান দিক। আমার আয়মানের সাথে সুন্দর সংসার গড়তে রহমত বরকত দিক আমিন।
মনে মনে দোয়া চেয়ে আমি মুচকি হেসে লজ্জায় মুখ লুকিয়ে ফেলি তার বুকে।

আয়মান লজ্জার কারণটা বুঝতে পেরে আমাকে শক্ত করে চেপে ধরে বলে।
—-“ভালোবাসিইইইই আমার আদ্রুপাখিকে।
—“ভালোবাসি আমার আয়মুকে হিহি।

…….সমাপ্ত…..

(সরি গল্পটা শেষ করে দিলাম। আমি একটু অসুস্থ। প্রচন্ড জ্বর এসেছে শরীরে। সিজন চেঞ্জ হওয়ায় শরীর সহ্য করতে না পেরে একদম জ্বর চলে আসল। তাই রাতে অর্ধেক লিখে দিনে অর্ধেক লিখে বড় পর্ব করে শেষ করলাম। গল্পটা খুব একটা সুন্দর ভাবে লিখতে পারিনি তার জন্যে ক্ষমা করবেন।
ইনশাআল্লাহ জ্বর সেরে উঠলে আবার ফিরব নতুন কোনো গল্প নিয়ে। এর আগ পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। গল্পটা এটুকু হওয়ায় মাইন্ড করবেন না হতাশ হবেন না আসব আবার নতুন ভিলেনি কিছু নিয়ে। অন্তিম পর্ব কেমন লেগেছে জানাবেন। হেপ্পি রিডিং)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here