আলো আঁধারের লুকোচুরি পর্ব -০৭

#আলো_আঁধারের_লুকোচুরি
#Part_07
#Writer_NOVA
ক্যাটাগরি: রাজনৈতিক + থ্রিলার

কালচে সবুজ রঙের ছাতা হাতে দাঁড়িয়ে আছে রুহানি। অঝোর ধারায় বৃষ্টি পরছে। বৃষ্টির ঝমঝম শব্দে আশেপাশের কোন শব্দ শোনা যাচ্ছে না। যতদূর চোখ যায় সাদা ঝাপসা দৃষ্টি। এত বৃষ্টির মধ্যেও স্টিল বডির মতো দাঁড়িয়ে আছে সে। তার চোখে একরাশ ক্ষোভ। সেই ক্ষুব্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সাদা কুয়াশার মতো আবরণের দিকে। এক পলক দেখলে মনে হবে বৃষ্টি প্রতি তার যত ক্ষুব্ধতা। কিন্তু ভালো করে লক্ষ্য করলে দৃষ্টিগোচর হবে অন্য কিছু। তার দেড় হাত দূরে ছাউনির নিচে দাঁড়িয়ে আছেন আটাশ বছরের এক পুরুষ। নিঃশব্দে লোকটার সামনে দাঁড়ালো রুহানি। বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে মিষ্টি গলায় বললো,

‘ইশ, কি সুন্দর বৃষ্টি! আজ সারাদিন এমন পরতে থাকুক। থামতে হবে না। প্রকৃতির সকল ময়লা ধুয়ে নিয়ে যাক। আমার যে বৃষ্টি কি ভালো লাগে। আপনার কেমন লাগে?’

আচমকা অচেনা এক মেয়ের মুখে প্রশ্ন শুনে কিছুটা হতবাক হলো হিরন। কিন্তু সেই বিস্ময় বেশি সময় স্থায়ী হলো না। খুশিতে গদগদ হয়ে গেলো। নিজ থেকে একটা মেয়ে তার সাথে কথা বলতে এসেছে এতে যেনো সে খুশিতে প্রায় হার্ট অ্যাটাক করবে। কন্ঠে খুশির রেশ ধরে রেখে বললো,

‘আমার বেশি একটা ভালো লাগে না। তবে পাশে এমন সুন্দরী মেয়ে থাকলে বৃষ্টি বিলাশ মন্দ নয়।’

‘তাই?’

ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসলো রুহানি। ডাগর ডাগর চোখ আর গোলাপি লিপস্টিকের ঠোঁট দেখে হিরনের চোখ দুটো চকচক করে উঠলো। বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠলো। এ যেনো মেঘ না চাইতে জল। মেয়েটাকে কোনভাবে উঠিয়ে নিয়ে চালান করতে পারলে বেশ বড়সড় এমাউন্ট আসবে হাতে। তাতে করে সারা মাসের মাল-পানির টাকা চলে আসবে। পতিতা পল্লীর সর্দারনীর ডান হাত সে। আটাশ বছরের এই পুরুষের কথার মধ্যে অন্য রকম একটা জাদু আছে। সুরেলা কন্ঠের জাদুতে মেয়ে মানুষ কাবু করতে তার বেশি সময় লাগে না। এরপর ধীরে ধীরে প্রেমের অভিনয় করে জালে ফাঁসিয়ে তুলে দেয় সর্দারনীর হাতে। বিনিময়ে পায় মোটা অঙ্কের টাকা।

‘কারো জন্য অপেক্ষা করছিলেন?’

রুহানির চোখে প্রশ্নের উঁকিঝুঁকি। হিরন নিজেকে সামলে লাজুক হেসে বললো,

‘আপনার জন্য।’

‘ইশ!’

রুহানি সলজ্জ হেসে উঠলো। হিরন মনে মনে খুশি হলো। মেয়েটাকে পটাতে তার বেশি বেগ পেতে হবে না। শিকার নিজেই তার জালে ধরা দিচ্ছে। হঠাৎ করে রুহানির চোখ দুটো আরো মোহনীয় হয়ে গেলো। ছাতা বন্ধ করে ধীরে ধীরে হিরনের দিকে এগুলো। রুহানির এগানোর ভঙ্গি দেখে হিরন বুকের বা পাশ ধরে পরে যাওয়ার ভান করলো। রুহানি এগিয়ে এসে নিজের হাতটা হিরনের হাতের ওপর রাখলো। হিরন নিজের হাত সরিয়ে রুহানির হাত ধরে হার্ট বরাবর ধরে চোখ বন্ধ করে ফেললো।

হঠাৎ খচ করে বুকের বা পাশে কিছু বিঁধতেই হিরন চোখ বড় করে রুহানির দিকে তাকালো। রুহানির মুখে কুটিল হাসি। কিছু বুঝে উঠার আগে একের পর এক ছোট নাইফটা রুহানি উঠানামা করতে লাগলো। মুখ থুবড়ে পরে গেলো হিরন। বৃষ্টির পানির সাথে রক্তের ধারা নেমে যাচ্ছে। প্রকৃতির আরেকটা ময়লা ধুয়ে গেলো বৃষ্টির সাথে।

সারা বাড়িতে সাজ সাজ রব। আজ বহু মাস পর ঘরের ছেলে আসবে। এতে যেনো আনন্দ ধরে না। নাসিমা বেগম উৎফুল্লতার সাথে একে একে বাহারি পদ রান্না করছেন। ছেলেটা এতোদিন পর আসবে তার খাতিরযত্নের কোন ত্রুটি রাখতে চান না। বাইরে কি খায় না খায় তাতো জানেন না। কাজের চাপে নিশ্চয়ই ঠিকমতো খাবার খেতে পারে না। নাসিমা বেগমের সাথে হাতে হাতে কাজ করছে গৃহ পরিচারিকা মিতু ও তার বড় মেয়ে তিশা। তিশার বিয়ে হয়েছে চট্টগ্রাম শহরে। স্বামী সেখানকার এশিয়া ব্যাংকের ম্যানেজার। বাচ্চাকাচ্চা এখনো হয়নি। ইয়াসফি আসবে শুনে মেয়েকে খবর দিয়ে এনেছেন। তুষ্টি নিজ হাতে সারা বাসা গুছাচ্ছে। তার সাথে আজ আজিম সারোয়ারও যোগ দিয়েছেন।

গাড়ির শব্দ পেতেই নীল রঙের দালানে হৈহল্লা পরে গেলো। তুষ্টি বুকশেলফ গুছানো রেখে দরজা খুলতে ছুট লাগালো।

‘দাভাই এসেছে।’

দৌড়ে সদর দরজা খুলে দিলো। ইয়াসফি ততক্ষণে গাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে। তুষ্টি গিয়ে দাভাই বলে ঝাঁপিয়ে পরলো। আচানক হামলায় ইয়াসফির টালমাটাল অবস্থা। বুঝতে পেরে বোনকে আগলে নিলো।

‘কেমন আছিস?’

‘এতখন ভালো ছিলাম না। এখন অনেক ভালো আছি।’

আজিম সারোয়ার এগিয়ে এলেন। তুষ্টি ইয়াসফিকে ছাড়তেই মামা ভাগ্নে একে অপরকে জড়িয়ে ধরলো। আজিম সারোয়ার ভাগ্নের পিঠে চাপর মেরে বললো,

‘কি খবর ইয়াং ম্যান?’

‘আর খবর!’

ইয়াসফির গলার স্বর কেমন শুনালো। আজিম সারোয়ার নিজেকে ছাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলেন,

‘কি হয়েছে?’

‘জীবন আমার যায় আসে মামা।’

ইয়াসফির কথা শুনে আজিম সারোয়ার হো হো করে হেসে উঠলো। তুষ্টি ওমরকে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

‘ইনি কে?’

ইয়াসফি এক পলক ওমরের দিকে তাকালো। সে অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে।

‘আমার পি এ।’

‘ওহ আচ্ছা। আগের জনকে বাদ দিয়ে দিয়েছো?’

ইয়াসফি শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছোট করে উত্তর দিলো,
‘হুম।’

আজিম সারোয়ার সবাইকে তাড়া দিলেন ভেতরে যাওয়ার জন্য। ইয়াসফি ভেতরে যেতেই নাসিমা বেগম এসে তাকে জড়িয়ে ধরে মরাকান্না জুড়ে দিলো। হোক তার নিজের সন্তান নয়। তাই বলে ছোটবেলা থেকে কোলেপিঠে মানুষ তো সেই করেছে।

‘মামী কেঁদো না। এমন করলে কিন্তু আর আসবো না।’

নাসিমা বেগম চোখ মুছতে মুছতে ইয়াসফির কান টেনে ধরলো,

‘আমাকে ব্লাকমেইল করা হচ্ছে?’

‘তোমার থেকেই শিখেছি। না খেয়েদেয়ে নিজের ক্ষতি করার ব্লাকমেইল করে আমাকে আনলে।’

নাসিমা বেগম ইয়াসফির কপালে স্নেহময় চুমু খেলো। ইয়াসফি আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো। মামীর শরীর থেকে কেমন মায়ের ঘ্রাণ আসছে। তিশা রান্নাঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে চুপচাপ সব দেখছে৷ একটাবার সামনে এলো না। তুষ্টি ওমরের হাত থেকে বইয়ের স্তুপ নিয়ে খুলতে বসে গেছে। কাগজে মোড়ানো অংশ খুলে বইগুলো উল্টেপাল্টে চেচিয়ে উঠলো,

‘এই তুমি আমার জন্য কি বই আনছো?’

ইয়াসফি বোনের দিকে তাকালো।
‘কেন কি হয়েছে?’

‘আমি সামাজিক, রোমান্টিক বই পড়ি? আমার পছন্দ থ্রিলার।’

ইয়াসফি চোখ বন্ধ করে জিহ্বায় কামড় দিলো।
‘বেমালুম ভুলে গেছি।’

‘হ্যাঁ, আমাদের যে ভুলে যাওনি তাই বেশি।’

আজিম সারোয়ার মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বললো,
‘এবার না হয় এগুলো পরে নে।’

একটু থেমে স্ত্রীকে তাড়া দিয়ে উঠলো
‘তিশার মা ছেলেটাকে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করো। কতদূর থেকে এলো।’

‘হ্যাঁ, যাচ্ছি। তুষ্টি আমার সাথে একটু আয়।’

নাসিমা বেগম তুষ্টিকে নিয়ে রান্নাঘরে চলে গেলেন।ইয়াসফি তিশাকে দেখে ধীর পায়ে হেঁটে ওর সামনে দাঁড়ালো। তিশা তীক্ষ্ণ নজরে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটা দেখলে ইয়াসফির কেন জানি বুক কাপে। মনে হয় এর থেকে লুকিয়ে থাকতে পারলেই ভালো। সৌজন্যতার খাতিরে প্রশ্ন করলো,

‘কেমন আছিস তিশা?’

তিশা চোখ দুটো আরো সরু করে শব্দ করে শ্বাস ফেললো। যাতে ইয়াসফির দুরুদুরু ভাবটা আরো বাড়লো। তিশা ইয়াসফিকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত চোখ বুলিয়ে বললো,

‘ইয়াসফি মাহবুব এতবড় ভুল কি করে করলো? থ্রিলার বইয়ের বদলে সামাজিক, রোমান্টিক বই এনেছে। ইয়াসফি মাহবুব তো এরকম ভুল করে না।’

সিগারেটে টান দিয়ে ধোঁয়াগুলো উপরে ছুঁড়ে দিলো রুহানি। সবসময় সিগারেট খায় না সে। যখন অতিরিক্ত চিন্তা হয় আর সারা পৃথিবী শূন্য শূন্য লাগে তখুনি সিগারেটে টান দেয়। হুট করে কেন যে সে সিগারেটে আসক্ত হয়ে গেলো তা সে নিজেও জানে না। পায়ের কেডস জুতো দিয়ে মাটি খুঁটতে খুঁটতে পুরনো ভাবনায় ডুব দিলো।

মাসুম পাশ ঘেঁষে বসে রুহানির দিকে তাকালো। মেয়েটার জীবন কি থেকে কি হয়ে গেলো! উদাসীন রুহানিকে দেখলে মাসুমের ভেতর অস্থির অস্থির লাগে। মেয়েটার হাসিখুশিভাবে সংসার করার কথা ছিলো। কিন্তু একটা ঝড় এসে সব এলোমেলো করে দিলো। যার কূলকিনারা খুঁজে পায় না। মাসুম রাতের আকাশে তাকিয়ে রুহানিকে উদ্দেশ্য করে বললো,

‘শফিক গাজীকে হুমকি-ধমকি দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। আর সালমানকে অলরেডি হাত-পা ভাঙা শেষ। ভোর সকালে কোন সরকারি হসপিটালের সামনে ফেলে আসবো।’

রুহানি শান্ত দৃষ্টিতে বন্ধুর দিকে তাকালো। কোন উত্তর দিলো না। সিগারেটে শেষ টান দিয়ে বাকি অংশ মাটিতে ফেলে জুতো দিয়ে পিষতে পিষতে বিচলিত গলায় বললো,

‘আমার সাথে থেকে নিজের বিপদ কেন বাড়াচ্ছিস মাসুম? তুই পারিস না সবার মতো আমাকে ছেড়ে চলে যেতে?

‘আমি তোকে ছাড়তে পারবো না রুহানি।’

‘কেন?’

‘ছোটবেলা থেকে একসাথে বড় হয়েছি। বন্ধুর এতবড় বিপদে তাকে ফেলে বেইমানের পরিচয় দিতে পারবো না।’

রুহানির চোখ দুটো ছলছল করে উঠলো। মাসুমের দুই হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে কান্নাভেজা কন্ঠে বললো,

‘জীবনে আমি নিশ্চয়ই অনেক ভালো একটা কাজ করেছিলাম রে, যার জন্য তোকে বন্ধু হিসেবে পেয়েছি।’

মাসুমের চোখ দুটো টলমল করে উঠলো। আড়ালে চোখ মুছে রুহানির মাথায় হাত বুলালো। রুহানি মাসুমের কাঁধে মাথা রেখে নীরবে কাঁদছে। টুকু বড় বড় কদম ফেলে সামনে এগিয়ে এলো।

‘আফা, গতকাল দুফুরে আপনেরে একটা পোলায় খুঁজতে আইছিলো। আমগো বস্তির সবাইরে আপনের ছবি দেহাইয়া জিগাইছে। আমার বন্ধু করিমরেও জিগাইছিলো। করিম তো আপনেরে চিনে। কিন্তু হেই পোলার কাছে পরিচয় দেয় নাই।’

রুহানি কাঁধ থেকে মাথা উঠিয়ে কপাল কুঁচকে মাসুমের মুখের দিকে তাকালো। মাসুমের মুখেও বিস্ময়। মাথা নাড়িয়ে বুঝালো সে কিছু জানে না। রুহানি টুকুকে জিজ্ঞেস করলো,

‘কে?’

‘আমি কইতে পারি না। করিমে কইতে পারবো।’

নিজের দুতলা ডুপ্লেক্স বাসায় ফিরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো ইয়াসফি। সারা দুপুর, বিকেল কেটেছে তার চরম অস্বস্তিতে। এতদিন পর বাসায় গিয়েও তার ভয় কাটেনি। মনে হচ্ছিলো এই বোধহয় কোন অঘটন ঘটে গেলো। তিশা না থাকলে হয়তো এতোটা অস্বস্তি লাগতো না। মেয়েটা কিরকম করে যেনো ওর দিকে তাকায়। সেই নজর উপেক্ষা করা দায়। তিশাকে এড়িয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো ওর জহুরির চোখ। মেয়েটা যেনো সবদিকে লক্ষ্য রাখে। আগে মোটামুটি ভালো একটা বন্ডিং ছিলো ওদের দুজনের। সেই বন্ডিং ফাটল ধরিয়েছেন আজিম সারোয়ার। তার ইচ্ছে ছিলো তিশাকে ইয়াসফির বউ করবে। কিন্তু এতে ইয়াসফি বা তিশা কেউ মত দেয়নি। ভাইবোন ছাড়া তারা একে অপরকে কখনো অন্য নজরে দেখেনি। কিন্তু ইয়াসফি খেয়াল করেছে এরপর তিশা ওর থেকে অদৃশ্য দূরত্ব তৈরি করেছে। ইয়াসফি এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি করার সময় পায়নি। রাজনীতি নিয়ে এতো ব্যস্ত হয়ে পরেছে বাকিদিকে সময় দেওয়ার নজর কই? এতদিন পর তিশার মুখোমুখি হওয়ায় সে হঠাৎ অস্বস্তিতে পরে গিয়েছিলো। আরেকটু সময় থাকলে নিশ্চয়ই দমবন্ধ হয়ে মরে যেতো। এখন সে পরিবার থেকে যতদূরে থাকবে ততই মঙ্গল জনক।

ফ্রেশ হয়ে বেরুতেই খাটের ওপরে থাকা মোবাইলটা ভাইব্রেট করে উঠলো। ইয়াসফি তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে মোবাইল হাতে তুলে নিলো। স্ক্রীনে অপুর নামটা জ্বলজ্বল করছে। রিসিভ করে কানে দিতেই ওমর দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলো। হাতের ট্রে তে ফ্রেশ মালটার জুস।

‘ভাই আপনার জুস।’

ইয়াসফি আঙুলের ইশারায় সামনে রাখতে বললো। গম্ভীর কণ্ঠে মোবাইলে অপরপাশে থাকা অপুকে বললো,

‘হ্যাঁ, অপু বলো।’

অপু কি বললো তা শোনা গেলো না। তবে একটু পর ওমর খেয়াল করলো ইয়াসফির চোখ, মুখে আতংক ছেয়ে গেলো। অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে সামনে তাকিয়ে আছে। কঠিন গলায় চেচিয়ে উঠলো,

‘কি বললে, ও পালিয়ে গেছে! তোমারা কি করছিলে তখন? তোমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ও বের হলো কি করে?’

ইয়াসফির চোখে চাপা ভয়। মুখটা মুহুর্তে পাণ্ডুর বর্ণ ধারণ করেছে। এতোটা ভীতসন্ত্রস্ত ইয়াসফিকে ওমর আগে কখনো দেখেনি। ওমর চিন্তায় পরে গেলো। কে পালিয়ে গেছে? যার জন্য মন্ত্রীর চোখেও স্পষ্ট ভয়ের আভাস। কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কি?

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here