যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। এতো দিন এই কথাটা আমি না মানলেও আজ যেন বাস্তবে তা প্রমান পাইছি। এই তো দুপুরে, বন্ধু মহলে বাজি ধরে অজ্ঞাত যে ব্যক্তি কে চুমু খেয়েছিলাম, সন্ধ্যায় সে ব্যক্তি স্বয়ং আমার ই সামনে আমাদের বাড়িতে সোফায় বসে আছে।
আমি হুমাইরাতুজ রৌজা।সবাই আদর করে রৌজ বলে ডাকে।বাবা মায়ের একমাত্র কন্যা আর একটা বিচ্ছু ভাইয়ের একমাত্র ছোট বোন। আমার পরিচয় তো দিলাম এখন ঘটনাটা জেনে নিন।
যেখানেই বন্ধু মহল, সেখানে ই শয়তানের দখল। নয়ন, হাসান,শিপু, রাহি আর আমি। এই পাঁচ জনের গ্রুপ। ছোট থেকেই একসাথে, স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে, কলেজের গন্ডি ও একসাথে হয়েছি। শিপু হচ্ছে মামাতো ভাই আর রাহি হচ্ছে খালাতো বোন। এবার কলেজের সেকেন্ড ইয়ারে। যদি সব গুলো একসাথে ভার্সিটিতে চান্স পাই তাইলে ই কল্লা ফাতে। ফাস্ট ইয়ারের পরীক্ষা দিয়ে সবাই আমরা ছুটি কাটাচ্ছি।
আজ নয়নের বার্ডে ছিল। নয়ন রেস্টুরেন্টে ট্রিট দিল। একচুয়ালি দিত না, বহুত কিপ্টা , জোর করে আদায় করেছি।আমরা বন্ধু মহল সকলেই সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত। বন্ধুরা একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম আর ট্রুথ ডেয়ার খেলছিলাম। হঠাৎ আমার পালা আসতেই,বন্ধু মহলে উৎসব এর চার চার লেগে গেল।
শিপু বলল – মনে আছে রৌজ, গত ট্রুথ ডেয়ার খেলার কথা। আমাকে কীভাবে ফাঁসিয়ে তোরা বেঁচে গেছিলি? আর ফাঁসানোর মূলে তুই ছিলি। আজকে তোকে ভাগে পেয়েছি। বল কি নিবি?
ইরেএএ। হয়েছে!! গত খেলায় শিপুর মুখ থেকে ওর ভালোবাসার ওপস গফের নাম জেনেই ছাড়ছি। না বাবা না, তাই ট্রুথ এর ভয়ে ডেয়ার ই নিলাম।যদি কোন গোপন কথা বের করে নেয়?
শিপু ভয়ংকর হাসি দিয়ে বলল – আমি তো এটাই চেয়েছি তুই যেন ডেয়ার ই নেস।বাচাদন এবার তোমায় ভাগে পেয়েছি ।হা হা হা।
আমি শিপু আর বাকিদের দিকে কান্না কান্না ফেইসে তাকালাম। বললাম – আমার সাথে এরকম করতে পারলি? তোরা না আমার বন্ধু। এই শিপু ,শিপু রেএএএ, তুই তো আমার মামাতো ভাই রেএএ, আজ নয়নের বার্ডে এই উপলক্ষ হলেও সহজ ডেয়ার দিস।
নয়ন – এই তুই আমার জন্ম দিনটা টানিস না। তারপর দেখা যাবে, আমার জন্ম দিনটাকে কালো রাত্রির বানিয়ে দিয়েছোস। তুই যে পরিমান ড্রামাবাজ আর শয়তান মাইয়া রে বাপু।তোর এই অভিনয় এ অন্য পোলারা ফাঁদে পড়তে পারে আমরা না। হু ।
হাসান – ঠিক বলছিস রে নয়ন।এই মাইয়া যে কি পরিমান ড্রামাবাজ। এই ছেমরি মনে করে দেখ তো তোর জন্য কত পোলারে ঠেটানি আর মাইরা হাসপাতালে পাঠাইছি।
রাহি- ওডি বাদ দে। দাঁড়া আজ এই চুন্নি রে আমি ডেয়ার দিমু। খাড়া। এই রৌজি, তোর ডেয়ার হচ্ছে, এই যে রেস্টুরেন্টের গেইট দেখছোস, এখান দিয়ে ছেলে হোক, মেয়ে হোক আর কুত্তা হোক,যে আসবে তাকে ই তুই চুম্মা দিবি।
আমি চিৎকার দিয়ে বলে উঠলাম -নাআআ।
শিপু- চিল্লানি বন্ধ কর, আর চুপচাপ ডেয়ার পূর্ণ কর ।না হলে তোকে কাল লায়ন পাগলার কাছে দিয়ে আসমু।
ধেৎ ।এই লায়ন পাগলা আবার কেন? লায়ন হচ্ছে আমাদের এলাকার পাগল বুড়ো। এই বেডা আস্ত খবিশ , আমারে দেখলেই কয়, তোরে বিয়ে করবো, তুই দাঁড়া। মাঝে মাঝে তো দৌড়ানি ও দেয়।
বাধ্য হয়ে রাজি হলাম। ভাগ্যিস কোন কুত্তা আসে নাই। একটা কালো প্রাইভেট কার এলো। সেখান থেকে একটা ছেলে বের হলো। ছেলেটি স্টাইল ওয়ালা। হেব্বি ও।ভাব তো মাশাআল্লাহ,যেন সিনেমার নায়কদের ও হার মানাবে। ছেলেটি লম্বা ও সেই। চাপ দাঁড়ি, চেহারায় মানিয়েছে,মুখ ফুটে বলতে হবে নজর কাড়তে সক্ষম। দুহাতে দুটো বক্স নিয়ে গেইট থেকে হেঁটে আসছে।
রাহি – রৌজা তোর ভাগ্য সেই ভালো রে। ইশ্ ক্রাশ খাইছি।
শিপু- এই মাইয়া গো একটা খাইচ্ছোত খারাপ। যেখানে সেখানে,যারে তারে, গাঁজাখুরি,কুত্তার লেজ, দেইখা ও ক্রাশ খাইবো। ঐ রৌজ , যা ডেয়ার কম্পিলিট কর।বইন তুই এই রাসুন এর কোয়ার (রাহি কে ) মতো ক্রাশ ট্রাশ খাইছ না।
ব্যাস কল্লা ফাতে, লেগে গেল দুজনের মধ্যে ঝগড়া।
আল্লাহ আল্লাহ করে সামনে এগিয়ে গেলাম। ঠিক ছেলেটির সামনে এসে দাঁড়ালাম। ছেলেটি অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। হয়তো!!কারন চশমার জন্য কিছু ই দেখা যাচ্ছে না, মশাই যে কালা চশমা পরিধান করছে। উফ্। আর তালগাছ ও বটে।
ছেলেটি কিছু বলতে চাইছিল এর আগেই আমি পা উঁচু করে গাল বরাবর একটা চুমু দিলাম।ভাগ্য ভালো,আজ রেস্টুরেন্টে বেশি মানুষ নেই। আল্লাহ বাচাইলে ই হয়, কারো চোখে যেন না পরি।
চুমু দিয়ে আর কোন কথা নেই, দাঁড়াই ও নাই। গ্রাউন টা উঁচু করে দৌড়ে ছেলেটার চোখের আড়াল হয়ে গেলাম।
বাপরে আমি যে তখন কতটা ভয় আর লজ্জা পাইছি। জীবন এ কাউকে এভাবে, আর কোন ছেলেকে চুমু , নাআআ। আর জীবনেও ট্রুথ ডেয়ার খেলমু না। বন্ধু মহলে রাগ করে চলে এসেছিলাম বাসায়।
শিড়িতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এগুলো ভাবছিলাম, দুপুরে বন্ধু মহলে আড্ডা দিতে গেছিলাম। আর বিপদ মাথায় করে নিয়ে এসেছি।ইরেএএ আজ কি আকাম টা করে ফেলছি।আড়চোখে ছেলেটির দিকে তাকালাম, দেখলাম আমাকে দেখে মুচকি মুচকি হাসতেছে। উফ্ অসহ্যকর।
মা এসে আমাকে ধরলো মায়ের ছোঁয়ায় ধ্যান ভাঙল।
বলল-রৌজা ? কোথায় হারিয়ে গেছস? একটা ছেলে এসেছে, রাত কই?(রাত হচ্ছে আমার ভাই) রাত কে খুঁজছে।তোর বাবা তো বাসায় নেই, আমি তো ছেলেটিকে রেখে একা যেতে ও পারছি না, ভাগ্য ভালো, মহারানী আপনার ঘুম ভেঙ্গেছে, যা রান্না ঘর থেকে ফল টল, কিছু সামনে দে।
মায়ের কথা মতোই, মুখটা নিরামিষ মার্কা করে রান্না ঘর এর দিকে গেলাম।
এর মধ্যেই আমার বিচ্ছু বড় ভাইয়ের আগমন। ওমা ভাইয়া ঘরে ঢুকে ই কাব্য ওওও বলে দৌড় দিল। ছেলেটি উঠে দাঁড়াল, আর আমার ভাই দৌড়ে গলা জড়িয়ে ধরলো।
ছেলেটি – যাক অবশেষে রাত তোর দেখা পাইলাম। না হয় এতোক্ষণ সংকট এ ছিলাম কখন যেন কে যেন চুমু দিয়ে ইজ্জত লুটে নেয়।
কথা টা শুনে দাঁত মারি চেপে বসে আছি। এই বেয়াদব পোলারে, তুই কি সিনেমার সাবানা রেএ আর আমি গার্দার ডিপজল। যে তোর ইজ্জত লুটে নিয়ে যামু।(মনে মনে, জোরে বলার সাহস নাই, প্রথমে ই মাইনকা চিপায় ফেঁসে আছি)
রাত (আমার ভাই) – কি হয়েছে? এটা বললি যে? কিছু কি হয়েছে?
ছেলেটি – চল, পরে একসময় বলবো। তবে এর আগে আমার কিছু জানার আছে।
মা- একি? কিছু না খেয়েই…(চিল্লিয়ে, রৌজ হলো তোর?)আর তোমার সম্পর্কে তো ?
ছেলেটি – জানেন না তো কি হয়েছে .. জানতে কতক্ষন। এখন থেকে সব ই জানবেন। আমি সাদমান হোসাইন কাব্য। সালমান হক এর প্রথম পুত্র।
মা – তুমি এমপি ফারজানা হকের ছেলে।ও আল্লাহ.. তোমার মতো এতো বড় মানুষ আমাদের ঘরে..
কাব্য- আন্টি হাইপার হইয়েন না, রাত কে দরকার ছিল, রাত কে পেয়েছি। আবার আসব, এখন থেকে আসা যাওয়া বাড়বেই,কমবে না।(বলেই একটা মুচকি হাসি দিয়ে রাত ভাইয়া কে নিয়ে চলে গেল)
আমি রান্না ঘর থেকে এগিয়ে এলাম। বললাম – কি সব আল্তু ফাল্তু লোক বাসায় চলে আসে…
মা- এই এগুলো বলতে হয় না? তুই জানিস ছেলেটি কে? এমপি ছেলে। দেখ শিখ রাতের কাছ থেকে, বন্ধু পাতো তো বড় মানুষের সাথে। আর তুই, কি সব মহল টহল…ডেঙ্গী একটা মাইয়া, দুইদিন পর বিয়ে হইয়া যাইবো,আর এখন সে টো টো কইরা পাড়া হাঁটে।তোর জন্য ছেলেটি কে কিছু দিতে ও পারলাম না!!
উফ্ মায়ের কথায় অসহ্যকর লাগছে। সেখান থেকে রুমে চলে গেলাম। ভাইয়া ছেলেটি কে কীভাবে চিনে? ছেলেটির সম্পর্কে জানতে হবে। ভাইয়া কে কী না বলে দেয়। টেনশনে আমার মাথায় চুল ছিঁড়তে ইচ্ছা করতাছে।কিন্তু আমার বিচ্ছু ভাইয়া টা কে কেমনে প্রশ্ন করি একশ এক টা পিন্চ মারবে আমাকে এই কথাটার উপর।
রাতে খাবার টেবিলে ভাইয়ের অপেক্ষায় বসে আছি। কিন্তু মহারাজার আসার নাম ই নেই। বাবা এসে খাবার টেবিলে বসে বলল- ভাইয়ার আসতে লেইট হবে, অনেক দিন পর বন্ধুরা একসাথে হয়েছে।
যা, বাধ্য হয়ে কোনরকম খেয়ে চলে গেলাম।
___
সকালে উঠতে একটু লেইট হয়ে গেছে। হবে না কেন? কালকের চিন্তায় ঘুম ই হয় নি। ফ্রেস হয়ে চোখ ডলতে ডলতে নিচে নামতেই দেখি ভাইয়া সোফায় বসে ফোন টিপছে।
যাক ভাইয়া এসেছে। ভাবছি, কীভাবে জিজ্ঞাসা করবো, ভাইয়া কে।এর মধ্যেই ভাইয়া জোরে গলা ফাটিয়ে বলল-কীরে রৌজা, তুই নাকি ইদানিং যারে তারে চুমু দেস। তুই ও কি এলাকার লায়ন পাগলার মতো হয়ে গেছিস..
আর কিছু বলার আগেই ভাইয়ের মুখ টা চেপে ধরে বললাম – এগুলো কি বলো। আস্তে বলো। আম্মায় শুনলে আমারে চপ্পল পিটাই করবো। তোমার গলা তো নয় যেন মাইক। আমার সময় ই আওয়াজ জোরে বের হয়।
রাত ভাইয়া আমার হাত থেকে মুখটা সরিয়ে ভুরু কুঁচকে বলল- তুই কেমনে করলি?
এর মধ্যেই মা এসে বলল- কী হয়েছে রে বাবুই (রাত ভাইয়া কে বাবুই বলে ডাকে)
এই ডেঙ্গী মাইয়া আবার কিছু করছে, তাই না?
ভাইয়ের কানে ফিসফিস করে বললাম, ভাই এবারের মতো বাঁচিয়ে দে। তুই যা বলবি তাই করব, এক কন্ডিশন ফ্রি।
এক কন্ডিশন ফ্রি মানে, এই কথা লুকানোর জন্য ভাইয়ার একটা কাজ , যতই কঠিন হোক, পারফেক্ট মতো করে দিতে হবে।
রাত ভাইয়া আমার দিকে বাঁকা হাসি দিয়ে মাকে বলল- ও কিছু না মা। আমরা আমরা দুষ্টুমি আমার করতে ছিলাম।
মা কিছু না বলেই চলে গেল।
কন্ডিশন মতে, সারাদিন ভাইয়া তার নোট গুলা আমায় দিয়ে কপি করাল। ভাইয়া এবার অনার্স থার্ড ইয়ারে। কয়েক দিন আগেই বাসায় এসেছে। আমাদের এলাকা টা গ্রাম ও নয় , আবার শহর ও নয়।আর ভাইয়া মেইন শহরে পড়াশোনা করে।
খুব রাগ হচ্ছে, সাথে হাত ব্যাথা ও। বেটার নাম টা কি যেন? হা, মনে পড়েছে, কাব্য। সাদমান হোসাইন কাব্য। দাঁড়া এর শাস্তি যদি তোকে না দিচ্ছি রে, এমপির বেটা, আমার নাম ও হুমাইরাতুজ রৌজা না!!
বিকেলে কলেজের সামনে বট গাছের নিচে আমাদের বন্ধু মহলে উপস্থিত হলাম। মুখ ফুলিয়ে বসে আছি। আমাকে দেখলেই সবাই হেসে দিল। কিন্তু আমি হাসলাম না। আরো বেশি মুখ ফুলিয়ে বসে রইলাম।
নয়ন – এই ড্রামাকুইন। এভাবে বসে না থেকে সত্যি করে বল কী হয়েছে? না বললে কীভাবে হবে?
আমি কাল থেকে আজ সব ঘটনা খুলে বললাম। সাথে এটাও বললাম- ঐ এমপির বেটাকে একটু শিক্ষা দিতে হবে। এই রৌজার সাথে পাঙ্গা নিতে এসেছে।
রাহি – কি বললি, ঐ ছেলেটি এমপি ফারজানা হকের ছেলে। তাই তো এতো ভাব। ইশ্, রৌজা রেএএ, ক্রাশ খাইছি। রাতে ঘুমোতে পারিনি। কি সুন্দর রেএ। বইন, তুই কিছু করিস না, আমার ক্রাশ রে। প্লিজ।
ধেৎ মাইরি। সর এন্তে। ঐ বেটা আমার ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। ওর ইজ্জত আমি পাট খেতে ছিনিয়ে নিমু।
ওমা এমন কি বললাম, শিপু হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে?
শিপু – তুই ছেমরি, মাইয়া হইয়া ঐ পোলার লগে পাট খেতে গেলে, দশ মাস পর তোর বাচ্চা হবে। তুই কেমন ওর ইজ্জত ছিনিয়ে নিবি।
ঐ শিপুর বাচ্চা রেএএ। আমি একলা যামু কেন তোদের মতো গ্যাঙ থাকতে। দূর হ। চোখের সামনে থেকে দূর হ।
এমন সময় ই কলেজ থেকে এমপির বেটাকে বের হতে দেখলাম। সাথে সাথে মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি এলো। সবাই রে বললাম – তোরা যেয়ে কথা বলে কিছু ক্ষন আটকে রাখ। আমি আসছি।(বাঁকা হাসলাম) আমার কথা মতো ওরা ও গেল।
দৌড়ে গিয়ে কলেজের পাশে লাইব্রেরী তে গেলাম। পেপার,কলম আর আঠা কিনে কিছু লিখলাম। তারপর চুপিচুপি এমপির বেটার পিছনে গেলাম।
কিন্তু আমি রৌজা কোথাও শান্তিতে থাকতে পারি না। ইটের উপর উস্টা খেয়ে এমপি বেটার পিছনে পরে গেলাম।
যা শালা, সেই কথাটা আবার ও ফলেই গেল!!
“যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যা হয়” আর যে মাইয়ার নাম রৌজা হয়, প্রত্যেক কাজেই এরা ধরা খায়!!
এইতো আমি আবার ও সন্ধ্যা বেলায় বাঘের মুখে পড়লাম।
তাড়াতাড়ি হাতের কাজ সম্পূর্ণ করে দূরে সরে দাঁড়ালাম। মাথা নিচু করে। এমপির বেটা আমাকে দেখে এমন রিয়েকশন….
চলবে …
#কাব্য_গোলাপ
সূচনা পর্ব
#Neel
(