#কোনো_এক_পূর্ণিমায় (৬ষ্ঠ পর্ব)
#লেখনীতে_ওয়াসেকা_তাবাসসুম
~খালামনি রান্নাঘর থেকে ছুটে এলো কি হয়েছে সেটা জানতে। খালামনি ছুটে এসেই আমাকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো,
–“এই অনু চেঁচাচ্ছিস কেন? কি হয়েছে?”
এখনো মাথা নিচু করেই বসে আছি। মান সম্মানের একদম বারোটা বাজিয়ে দিয়েছি নিজের হাতেই এখন কি বলবো সেটাই মাথায় আসছে না। তারপরেও মাথা উঁচু করে খালামনির দিকে তাকালাম।
–“কোথায়? কিছু হয়নি তো।”
–“তাহলে চেঁচালি কেন?”
–“এমনি ওসব কিছু না।”
–“এমনি? মানুষ এমনি চিল্লায়?”
–“আরেহ বাদ দাও তো।”
–“ঠিক আছে। ওহ্ আবিদ এই নাও বাবা খেয়ে নাও।
–“এই সবের কি দরকার ছিল আন্টি?”
–“আহা কথা বাদ দিয়ে চুপচাপ খেয়ে নাও। আর তুমি চা খাবে না কি কফি?”
–“হুম খেলে চা খাবো কফি না।”
–“বাহ্ খুব ভালো। আমাদের অনামিকা অনেক সুন্দর চা বানায়।”
খাবারটা মুখে নিয়েও গিলতে পরলাম না। তার আগেই হেঁচকি উঠা শুরু করলো। আমি এখন ওর জন্য চা বানাতে যাবো কোন সুখে? খালামনি যে কোথায় কি বলে! এখন কি করবো?
–“পানি পানি!”
–“এই নে খা।”
কলি আপু পানির গ্লাস এগিয়ে দিতে তাড়াতাড়ি নিয়ে তা পুরোটাই শেষ করলাম। উফ্ খাবারটা গলায় আটকে গিয়েছিল একদম। এখন ঠিকঠাক লাগছে।
–“কি রে ঠিক আছিস?”
–“হ্যা আপু।”
–“তোর আবার খাবার গলায় ঠেকলো কেন রে? খেয়ে দেয়ে একটু আবিদ কে চা বানিয়ে দে।”
–“আমি!!?”
খালামনি সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকাতেই বুঝে গেলাম কিছু বলে লাভ নেই। ওইদিকে আবিদ ঠোঁট চেপে হাঁসি আটকানোর চেষ্টায় ব্যস্ত। অদ্ভুত মানুষ তো! কলি আপু আবার নাচতে নাচতে তার জন্যও এক কাপ চা বানাতে বললো। আমি খালি জোরপূর্বক হাঁসি দিয়ে খাবার শেষ করে উঠে গেলাম।
রান্নাঘরে গিয়ে চা বানানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। সব উপকরণ নিয়ে পাতিলে পরিমাণ মতো দিয়ে চা বানিয়ে নিলাম। নিজের জন্যও এককাপ বানিয়ে নিলাম, কষ্ট করলাম তার ফল তো লাগবে তাই না। নিজের আর কলি আপুর চায়ে প্রয়োজন মতো চিনি দিলাম। কিন্তু ওই মহাশয়ের চায়ে চিনি দিতে গিয়ে পড়লাম বিপদে। কতটুকু কি খায় কিছুই তো জানি না। ডাইনিং রুমের দিকে হাঁটা ধরলাম। উদ্দেশ্য তাকে চিনির পরিমাণ জিজ্ঞেস করতে হবে।
ডাইনিং রুমে গিয়ে দেখি মহাশয় বসে বসে খাচ্ছেন আর কলি আপু আড়চোখে তাকে পর্যবেক্ষণ করছে। ওদেরকে দেখে হাসি পেলেও তা দমিয়ে দিয়ে এগিয়ে গেলাম আরেকটু সামনে।
–“আপনি কতটুকু চিনি খান?”
আমার কথায় আমার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন আবিদ। নিজের দিয়ে আঙ্গুল তাক করে ইশারায় জানতে চাইলেন তাকেই জিজ্ঞেস করছি না কি। আমিও হ্যা সূচক মাথা নাড়লাম।
–“ইচ্ছা মতো দিতে পারেন।”
–“ওভাবে দেয়া যায় না কী? কম বা বেশি পড়ে গেলে? আপনার কতটুকু লাগবে আপনি বলুন।”
–“দুই চামুচ।”
–“আচ্ছা।”
ফেরত আসতে আসতে ভাবলাম উনিও দেখি আমার মতোই এতো চিনি খান। ভালোই তো নাহলে এতোদিন সবার হাবভাবে মনে হতো আমি একাই পাহাড় সমান মিষ্টি খাই। তিনজনের কাপ নিয়ে আবার টেবিলে চলে গেলাম। সবার হাতে কাপ দিয়ে নিজেও বসে পড়লাম। পিচ্চি গুলো ড্রয়িংরুমে, বড়রা সবাই খালামনির ঘরে আবার বাড়ির পুরুষগণ সম্ভব বাইরে গেছেন।
–“আপনি আসলেই ভালো চা বানান।”
কারো আওয়াজে চিন্তার জগৎ থেকে বর্তমানে ফিরলাম। আবিদ আমার দিকে তাকিয়ে আছেন, একটু আগেই উনি বললেন কথাটা।
–“ধন্যবাদ।”
–“আমিও কিন্তু খারাপ রান্না করি না। আপনি চাইলে রান্না করে খাওয়াতে পারি।”
কলি আপুর কথায় দুজনেই তার দিকে তাকালাম। আপু আবিদের দিকে তাকিয়ে এখনো। আমার প্রচন্ড পরিমানে হাসি পাচ্ছে কিন্তু এখানে হাসলে পরিস্থিতি উল্টা পাল্টা হবে।
–“তোমরা কথা বলো আমি ছাদে গেলাম।”
বলেই উঠে হাঁটা দিলাম ছাদের উদ্দেশ্যে।
•••••••••••••••••
প্রায় ৯টা বেজে গেছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে দৃশ্য উপভোগ করছি। বরাবর আকাশ দেখতে ভালোই লাগে, সারাদিন তাকিয়ে থাকলেও যেন মন ভরে না। এতো মনোরম কেন এই আকাশ? চোখ বুজে শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে বাতাসের মিষ্টি গন্ধ নিতে লাগলাম। হঠাৎ পাশে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে সেদিকে তাকালাম।
–“আপনি?”
–“হ্যা আন্টি বললো ছাদ থেকে ঘুরে আসতে আর উপর আপনিও এসেছেন জানতে পেরে আমাকেও আসতে বললো।”
সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে আবিদের দিকে চেয়ে রইলাম। খালামনি বলেছে দেখেই চলে আসতে হবে না কি?
–“কলি আপু এলো না?”
–“উনি আসতে চেয়েছিলেন কিন্তু ওনার আম্মু ডাক দেওয়ায় সেদিক গেলেন আর আমি যেহেতু আগেও এসেছি তাই একাই চলে এলাম।”
–“ওহ্ আচ্ছা।”
–“আপনার নাম অনামিকা?”
–“জ্বি।”
–“আমি আবি…..
–“আবিদ? জানি আমি। বাকিদের মুখে শুনেছি আপনার নাম।”
–“ভাবির ছোট বোন আপনি? তবে আপনাকে আগে কখনো দেখিনি যে?”
–“কারণ আমি আপুর আপন বোন না। খালাতো বোন এইজন্যই আমাকে আগে দেখেননি।”
–“এইবার বুঝলাম। এইজন্য হিসাব মিলাতে পারছিলাম না।”
–“এই হিসাব মিলিয়ে লাভ নেই বুঝেছেন?”
–“তাহলে কোন হিসাব মিলাবো আপনিই বলে দিন।”
আবিদের কথায় ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলাম আমি। আসলেই ছেলেটা অদ্ভুত!
–“ছাদ দেখা শেষ? নিচে যাবেন? আমি তো যাচ্ছি।”
বলেই দরজার দিকে হাঁটা ধরলাম। আবিদও আমার পিছনে হাঁটা ধরলেন।
•••••••••••••••••••••
আরেকটা দিন পেরিয়ে গেছে। কালকে বিয়ে আর আজকে সব আয়োজন করা হচ্ছে। ছাদেই সব আয়োজন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাত হয়ে এসেছে, সবাই উপরে লাইটিং করে সেখানেই আছে। আমিও যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখনই ড্রয়িংরুম থেকে কথার আওয়াজ শুনতে পেলাম। সেদিকে গিয়ে দেখি অনিক ভাইয়ার আম্মু এসেছেন। আমি যেতেই আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলেন।
–“আসসালামুয়ালাইকুম আন্টি।”
–“ওয়ালাইকুমুস সালাম মা। কেমন আছো তুমি?”
–“আলহামদুলিল্লাহ। আপনি কেমন আছেন?”
–“এই তো আলহামদুলিল্লাহ আছি।”
–“তুই কি উপরে যাচ্ছিস অনু?”
–“হ্যা খালামনি।”
–“আচ্ছা বেয়াইন আপনার বোন আসেনি?”
–“বোন?”
–“অনামিকার মা?”
আন্টির কথায় একে অপরের দিকে তাকালাম আমি খর খালামনি। অজান্তেই মনের মধ্যে ব্যাথা অনুভব করলাম। খালামনি আমতা আমতা করে বলল,
–“আসলে ওর মা এই পৃথিবীতে….
–“বুঝতে পেরেছি। বিষয়টা বুঝতে পেরেছি আমি। ক্ষমা করো মা আমি আসলে না বুঝেই প্রশ্নটা করেছি।”
–“ব্যাপার না আন্টি। আপনি জানতে না তো এইটা স্বাভাবিক।”
–“জানো তো তোমাকে কেন জানি না আমার খুব চেনা চেনা লাগে। মনে হয় আগেও কোথাও দেখেছি তোমাকে।”
–“আমাকে?”
চলবে………………..^_^#কোনো_এক_পূর্ণিমায় (৭ম পর্ব)
#লেখনীতে_ওয়াসেকা_তাবাসসুম
~আন্টির কথায় কিছুটা বিস্মিত হলেও স্বাভাবিক হাসি নিয়েই উত্তর দিলাম,
–“চেনা চেনা লাগতে পারে হয়তো বা আপনার পরিচিত কারো সাথে আমার চেহারার কিছুটা মিল আছে। তবে আমরা পূর্ব পরিচিত বলে আমার মনে হয় না।”
–“হুম তাই হবে বুঝলে। আসলে আমিও যে কখন কি বলি আমার ঠিক নেই।”
–“সেসব কথা বাদ দিন বেয়াইন। আপনি কি খাবেন বলুন।”
–“না না আমি তো খালি খোঁজ খবর নিতে এসেছি। অনামিকা মা তুমি তো উপরে যাচ্ছিলে তোমায় আটকে দিলাম।”
–“সমস্যা নেই। আপনারা কথা বলেন আমি উপরে যাই।”
–“সাবধানে যাবি অনু আর ঠান্ডা লাগিয়ে আসিস না আবার।”
–“আচ্ছা খালামনি।”
দরজার দিকে হাঁটা ধরলাম। যেতে কানে এলো আন্টি মনে হয় খালামনিকে আমার ব্যাপারেই কিছু জিজ্ঞেস করছে,
–“বেয়াইন অনামিকার মায়ের নাম কি?”
•••••••••••••••••
ছাদে গিয়ে কাজিন দের সাথে বসে পড়লাম। ঋতু আপু আর কলি আপুর মাঝের চেয়ার খালি থাকায় সেখানেই বসে গেলাম চুপচাপ। সবাই গল্পে মশগুল রয়েছে, ভাই বোন সকলের উপস্থিতি রয়েছে আর বেশিরভাগই নানুর বাড়ির মানুষ। ঋতু আপুর দাদি বাড়ির মানুষরা বেশিরভাগ বিদেশে থাকে। বিয়ের কথা শুনে তারা বললো এখন আসাটা সম্ভব হবে না হয়তো তাই অনুষ্ঠান করলে সবাই আসবে। কিন্তু আপুর এক চাচা বাংলাদেশেই থাকেন উনি পরিবারসহ আজকে এসেছেন।
–“অনু…. এই অনু….
কলি আপু সুর ধরে আমাকে ডাকতেই পাশে মুখ ঘুরিয়ে তাকালাম। আপু দাঁত কেলিয়ে একটা হাসি দিল। মুখের হাসি স্থির রেখেই আমাকে প্রশ্ন করলো,
–“আচ্ছা ওই যে আবিদ আছে না? কিসে পড়ে কিছু জানিস?”
–“আমি কিভাবে জানবো বলো। আমি তো ওনাকে ভালো মতো চিনি না পর্যন্ত।”
–“একটু খোঁজ খবর নে না।”
–“তুমি কি শুরু করলে বলো তো। ঋতু আপুর বিয়ে বাদ দিয়ে নিজেরটা করার চিন্তায় আছো না কি?”
–“হে হে আরেহ তেমন কিছু না। একটু খবর নিলে কি হবে রে? নে না।”
–“আচ্ছা ওয়েট।”
পাশেই ঋতু আপু বসে ছিল, আপুকে মৃদু ধাক্কা দিয়ে মনোযোগ নিজের দিকে আনলাম। আমার দিকে তাকাতেই কানের কাছে গিয়ে ফিসফিসিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
–“আপু তোমার ছোট ভাসুর কিসে পড়ে?”
–“আবিদের কথা জিজ্ঞেস করছিস?”
–“হ্যা হ্যা।”
–“আবিদ তো….. ৪র্থ বর্ষ।”
–“অ্যা? আমার সাথেই পড়ে?”
–“হ্যা আবিদ তো তোর সাথেই পড়ে।”
কথাটা শুনে কলি আপুর দিকে তাকালাম। সেও আমার দিকে আগ্ৰহ নিয়ে তাকিয়ে আছে। এদিকে আমার যে বড্ড হাঁসি পাচ্ছে। দাঁতে দাঁত চেপে নিজেকে শান্ত করে বললাম,
–“ভার্সিটি স্টুডেন্ট ৪র্থ বর্ষের।”
–“কিহহহহহ!!!”
কলি আপুর চেঁচিয়ে উঠায় সবাই আমাদের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলো। আমি অস্বস্তিকর হাসি দিয়ে সবাইকে বললাম কিছু হয়নি, কিছুক্ষণ বাদে যে যার কাজে মনোনিবেশ করলো।
–“চেঁচাচ্ছো কেন?”
–“ছেলে তো দেখি জুনিয়র।”
–“হ্যা।”
–“তাহলে দেখলে এতো বড় মনে হয় কেন? আমার তো মনটাই ভেঙ্গে গেল রে। কতো আশা করলাম যে সিনিয়র ভাইয়া হবে কিন্তু এ তো দেখি জুনিয়র ধ্যাত।”
–“থাক কষ্ট পেও না।”
আপু মুখ ভার করে বসে রইলো। আমি দাঁতে দাঁত চেপে হেসে যাচ্ছি। জুনিয়র শুনেই যে মুখ ভার হয়ে যাবে আগেই জানতাম। মনের মধ্যে সিনিয়র থাকলে জুনিয়র চলবে কি করে? তবে এতোক্ষণে খেয়াল হলো আবিদ আসলে আমার সাথেই পড়েন। কিন্তু ওনাকে দেখে তো একদমই মনে হয় না।
–“নিরব এদিকে আয়।”
ঋতু আপুর গলায় সেদিকে দৃষ্টি তাক করলাম। কাঁধে গিটার, দুই চোখে চশমা আমাদের দিকেই আসছে। দেখে বুঝলাম উনি নিরব ভাইয়া। আপুর সেই চাচার ছেলে অর্থাৎ চাচাতো ভাই। ওনার সাথে তেমন একটা পরিচয় নেই তবে মাঝেমধ্যে এখানে আসলে ওনার সাথে দেখা হয়েছে। বরাবর শান্তশিষ্ট এবং চুপচাপ স্বভাবের মানুষ, কথাবার্তাও খুব কম বলেন। নামের মতোই মানুষ একদম নিরব।
–“এই নিরব ভালো করেছিস একেবারে গিটার নিয়ে এসে। আমাদের একটা গান শোনা তো তাড়াতাড়ি।”
–“এখন? এই মুহূর্তে থাক ঋতু পড়ে হবে।”
–“এমন করবি না। কালকে তো চলেই যাবো আজকে আবদারটা রাখ।”
–“হুম আচ্ছা ঠিক আছে। ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করতে হবে না।”
হঠাৎ নিরব ভাইয়া আমার দিকে তাকালেন। উনার চাহনিতে থমকে গেলাম। শান্তশিষ্ট মানুষগুলোর চোখের চাহনি বড় অদ্ভুত। উনি কিছু মূহূর্ত আমার দিকে তাকিয়ে তারপর গিটার ঠিক করতে লাগলেন। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজেকে প্রস্তুত করে নিলেন।
“”ভোর না হতে হতে তোমাকেই দেখার আশায়
শেষ ছবিটা দেখি বারে বারে আহা; দেখি
আমি গোপনে ভালোবেসেছি
বাড়ি ফেরা পিছিয়েছি
তোমায় নিয়ে যাব বলে
একবার এসে দেখ
এসে বুকে মাথা রেখ
বুলে দিব চুলে রেখে হাত
দূরের আকাশ নীল থেকে লাল
গল্পটা পুরনো
ডুবে ডুবে ভালোবাসি
তুমি না বাসলেও আমি বাসি
ডুবে ডুবে ভালোবাসি
তুমি না বাসলেও আমি বাসি””
গান শেষ হতেই সকলে তালি বাজানো শুরু করলো। আমিও সবার সাথে তালি বাজালাম। নিরব ভাইয়া মৃদু হাসলেন। সেটাও আমার দিকে তাকিয়ে, কি অদ্ভুত মানুষ রে বাবা।
–“আচ্ছা নিরব তুই তো গানের প্রথম লাইন থেকেই শুরু করতে পারতি তা না করে এই লাইন থেকে শুরু করলি যে?”
–“কারণ আছে তোরা বুঝবি না বাদ দে।”
•••••••••••••••
শেষমেষ আজ সেদিন। ঋতু আপু আর অনিক ভাইয়ার বিয়ের দিন। ছাদে সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে গেছে আগেই। পাত্রপক্ষ আসছে কিছুক্ষণের মধ্যেই। মুল অনুষ্ঠান দুপুরে শুরু হবে এমনটাই ভেবে রেখেছে সকলে।
প্রায় আধা ঘন্টা পর অনিক ভাইয়ারা এলেন। আমরাও তাদের ওয়েল কাম করলাম ভালো মতো। অনিক ভাইয়াকে তার কাঙ্ক্ষিত আসনে বসানো হলো। ভাইয়ার পাশে আরো দুজন গিয়ে দাঁড়ালো একজন আবিদ তবে আরেকজনকে চিনতে পারলাম না। এটাই কি তবে অর্থি? হয়তো বা। অনিক ভাইয়ার ছোট বোন অর্থি তবে এটাই।
–“এই যে ম্যাডাম সাইডে গিয়ে দাঁড়ালে খুশি হতাম।”
কারো কঠিন পুরুষালি কন্ঠে পিছনে ঘুরে তাকালাম। পিছনে ঘুরতেই মেজাজ গেল খারাপ হয়ে।
–“আবার আপনি?”
চলবে………………^_^