কোনো_এক_বসন্তে পর্ব ১২

#কোনো_এক_বসন্তে
#Khadija_Akter
#পর্ব_১২

আলগোছে আমাকে নিজের থেকে আলাদা করে প্রথমে একটা নিরাপদ দূরত্ব সৃষ্টি করলেন আহিল ভাই।তারপর বেশ আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইলেন,

–জ্বী ম্যাম তনয়া!বলুন কি বলছিলেন?

অমনোযোগী এই আহিল ভাইকে বেশ কিছু কথা শুনাবো বলে মনে মনে তৈরি করে রেখেছিলাম কিন্তু যেই না উনি নড়েচড়ে বসলেন এবং বেশ মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শোনার জন্য তাকালেন আমার দিকে,তখন আবারও আমার ভিতরের সব কিছু কেমন গুলিয়ে গেল!

–কই,কিছু না তো।
কিছুই বলছিলাম না!

–না,তুই কিছু একটা তো বলছিলি,আমি শুনতে পাইনি।আবার বল…

–ওহু,কিছু না…

আহিল ভাই আর জোর করলেন না কিছু বলতে।চুপ করে কিছুক্ষণ কিছু একটা ভাবলেন।

–তনু..?

–জ্বী!

কোমল সুরে আমার নাম ধরে ডেকে আহিল ভাই আমার হাতটা আবারও টেনে নিলেন নিজের হাতে মধ্যে। কিছুক্ষণ আমার চোখের দিকে চেয়ে থেকে খুবই মৃদু স্বরে প্রায় শোনা যায় না এমন করে বললেন,

–রাইসাকে আমার সাথে দেখে খুব কষ্ট হয়েছিল তোমার,তাইনা?

আমি চমকে উঠলাম!কি ব্যাপার আহিল ভাই কি করে বুঝলো,আমি এইমাত্র ঠিক এই ব্যাপারটা নিয়েই কথা বলতে চেয়েছি!মাইন্ড রিডিং করতে জানেন না তো আবার!
সে যাক গে,আমার যন্ত্রণাটা তাহলে উনার চোখে এড়ায়নি!আহিল ভাইয়ের পরের কথাটা আমাকে আবারও চমকে দিল।

–তোমার কাছে এটাও মনে হয়েছে,হয়তো গত ১৫ বছরের তোমার প্রতি ভালোবাসা ভুলে গিয়ে আমি রাইসাকে ভালোবেসে ফেলেছি।
হয়তো তোমার সাথে ভালোবাসার অভিনয় করে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছি!তাইনা তনু?

–হু…

নিজের অজান্তেই মুখ দিয়ে একপ্রকার সম্মতিসূচক শব্দ করে আহিল ভাইয়ের কথায় সায় দিলাম।আহিল ভাই যা বলছেন,ঠিকই তো বলছেন।

গাড়িতে আর শপিং মলে রাইসা আপুকে উনার সাথে দেখে আমার খুব কষ্ট হয়েছিল এমনকি মনের মধ্যে এই বিশ্বাসও গড়ে উঠেছিল আহিল ভাই প্রতিশোধ নিচ্ছেন আমার উপর।

আহিল ভাইয়ের প্রশ্নের আর কোনো প্রকার জবাব না দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে আহিল ভাইয়ের দিকে ভরা দৃষ্টিতে চেয়ে রইলাম।কাউকে বলার আগেই যদি সে মনের কথা বুঝে যায়,তাকে নতুন করে বলার কোনো প্রয়োজন পড়ে না।আর আমি মুখ খুলতে চাইছিও না।আমি জানি মুখ খুললেই আবারও আমার কন্ঠ আদ্র হয়ে উঠবে।

আমার নীরবতা আহিলকে আরও অস্থির করে তুলে।আমার হাতে শক্ত করে একটা চাপ দিয়ে ব্যকুল হয়ে জানতে চায়,

–আমার প্রতি কি খুব রাগ তোমার তনু?
ঐ স্টুপিড ছেলেটা তোমাকে হেনস্থা করছিল তবুও তুমি ঐটা সহ্য করতে রাজী হয়েছো কিন্তু আমার কাছে সাহায্য চাওনি!
চোখ ফিরিয়ে নিয়েছো আমার উপর থেকে!
আমি যদি না আসতাম তখন বা আকাশকে বাঁধা না দিতাম,তবে তুমি কি ঐভাবেই আকাশকে আশকারা দিতে তনু!

–উনি আমায় খুব বাজেভাবে স্পর্শ করছিল আহিল ভাই!
আপনার উপর রাগ করে আমি কোনো প্রতিবাদ করিনি।কিন্তু আমার তখন মরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিল! সেই স্পর্শ খুব অপবিত্র ছিল আহিল ভাই খুব!একদমই আপনার স্পর্শের মতো ছিল না,সেটা খুব নোংরা ছিল…..!

বলতে বলতে দুহাতে মুখ ঢেকে আবারও ঝরঝর করে কেঁদে ফেললাম।
আহিল ভাই আমাকে সস্নেহে টেনে নিজের খুব কাছাকাছি নিয়ে আসলেন।একসময় আমাকে শান্ত করলেন।
চোখের পানি মুছে দিয়ে বললেন,

–“ঝেড়ে ফেলো সমস্ত ব্যাথা।
আজ থেকে আর কাঁদতে দিব না তোমায়!চলো হেঁটে আসি!”

———————————–
খোলা আকাশের নিচে পিচঢালা রাস্তায় আমি আর আহিল ভাই পাশাপাশি হাঁটছি।হাঁটার তালে তালে মাঝে মাঝে দুজনের গায়ের সাথে গা লেগে যাচ্ছে।কথা খুবই কম হচ্ছে আমাদের,তবে এই নীরবতার ভাবের গভীরতা অনেক বেশি।

এই রাস্তায় আমি আগে কখনো আসিনি,তবে আহিল ভাইয়ের প্রতিটি দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়া দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুপরিচিত কোনো রাস্তা এটা উনার!

গাড়িটা পিছনে ফেলে অনেকটা পথ হেঁটে এসেছি আমরা।শহরের কোলাহল খুব একটা নেই এদিকটায়,ঘুটঘুটে অন্ধকার রাস্তা।
একটুও ভয় লাগছে না আমার,একটুও শঙ্কা জাগছে না,লাগছে না সামান্যতম ক্লান্তি!
ভালোবাসার মানুষটির সাথে এভাবেই বুঝি ক্লান্তিহীনভাবে পথ পাড়ি দেওয়া যায় ক্রোশের পর ক্রোশ।

আমার ভিতরের জমে থাকা কষ্টগুলো আস্তে আস্তে দূর হয়ে গেল আহিল ভাইয়ের সঙ্গ পেয়ে।তবে মনের অস্থিরতা দমিয়ে রাখতে না পেরে কথায় কথায় একসময় বলেই ফেলি,

–আর যে বেশি সময় বাকী নেই বিয়ের আহিল ভাই!
কিন্তু আপনি রাইসা আপুকে বিয়ে করবেন না জানলে বাসায় তো তুলকালাম কান্ড ঘটে যাবে!কি হবে তারপর!
আমার অনেক ভয় হচ্ছে আহিল ভাই…

–……..

–আহিল ভাই!

–নাহ্,ফিলিংস টাই নষ্ট করে দিলি তুই।চল ফিরে যাই..

–ফিলিংস নষ্ট করে দিলাম মানে কি?আমি আবার কি করলাম!আর আমি বলছি কি আর আপনি বলেন কি…!

–তোর সব কথাই শুনছিলাম আমি,আর উত্তরও দিতাম।কিন্তু ঐ যে আহিলের সাথে “ভাই” নামক যে লেজটা লাগাস না,ঐটা শুনেই মেজাজ বিগড়ে যায়!

–ওহ্!
তো কি বলবো?আপনি তো আমার বড়,ভাই ডাকবো না তাহলে?

–তুই না বলিস তুই খুব রোমান্টিক?তো জীবনে দেখছিস রোমান্টিক একজন প্রেমিকা তার প্রেমিককে ভাই বলে ডাকে?

–অত কিছু বুঝি না ভাই!আপনি আমার বড় আর আমার খালামনির ছেলে তাই ভাই-ই ডাকবো আমি!নাম ধরে ডাকলে আল্লাহ গুনাহ্ দিবে।

–হু,ডাক তোর যা ইচ্ছা।

বিরসমুখে আহিল ভাই মুখ ঘুরিয়ে নিল।
খুব সিরিয়াস হয়ে মুখে বাচ্চাসুলভ কথা বললেও অন্ধকারে মুখ টিপে হাসলাম আমি।বাহ্,ভাই বললে তো বেশ ক্ষেপে যায় দেখি রোবটটা!তাহলে ভাই ডাক তো এবার ফিক্সড!ভাই-ই ডাকবো তাকে।
আরেকটু ক্ষেপানোর জন্যই খুব জোর গলায় আবার ডাকলাম,

–আহিল ভাই,এই আহিল ভাই!

কিন্তু এবারে হিতেবিপরীত হয়ে গেল!আহিল ভাই-ই উল্টো আমাকে আ্যটাক করলেন।
উনি একটু দ্রুত হেঁটে আমার সামনে গিয়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দুই হাতে আমার দুইবাহু চেপে ধরে মুখটা কানের কাছে নিয়ে ফিসফিস করে বললেন,

–খুব শখ ভাই ডাকার তাইনা!তাহলে বিয়ে করে নেই রাইসাকে?তখন নাহয় ভাইয়ের আগে আরও মশলা যোগ করে দুলাভাই ডেকো?

–ইশশ!বললেই হলো!রাইসা আপুকে বিয়ে!
আর একবার শুনে নেই এই মুখে রাইসা আপুর কথা!

আহিল ভাইকে ছোট্ট একটা ধাক্কা দিয়ে হনহন করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম কপট রাগ দেখিয়ে।
ইশ কত্ত সাহস,রাইসা আপুর নাম নিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করা!কথাই বলবো না এই বেটার সাথে।

উত্তপ্ত মস্তিষ্কে হেঁটে হেঁটে অনেকটা দূর চলে আসার পর খেয়াল হলো,চারদিকে যেনো অত্যাধিক নীরবতা নেমে এসেছে!আহিল ভাইয়ের পদশব্দও পাওয়া যাচ্ছে না!আমি কি খুব বেশি দ্রুত হেঁটে উনাকে অনেক পিছনে ফেলে এসেছি!কতই বা জোরে হেঁটেছি!উনার লম্বা লম্বা পা ফেলে আমাকে ধরে ফেলার কথা তো!
কিন্তু পিছনে তাকিয়ে যতটা চোখ গেল সোজা রাস্তায় কোনো মানুষের অবয়ব দেখা গেল না।দূরের ল্যাম্পপোস্টটা তো অনেক আগেই ক্রস করে এসেছি,সেটার আবছা ছায়ায় চারদিকে তাকিয়েও আহিল ভাইকে কোথাও দেখতে পেলাম না।

রাস্তার দুপাশে বড় বড় গাছ,রাস্তার সামনে পিছনে যতদূর চোখ যায়, না কোনো মানুষ না কোনো গাড়ি!এতো রাতে নির্জন রাস্তায় একা দাঁড়িয়ে আমি!ভয়ে গা ছমছম করে উঠলো,শরীরের লোমগুলো কাটা দিয়ে উঠলো।
আহিল ভাই-ই বা কোথায় গেল!কোনো বিপদ হলো না তো!

কাঁপা কাঁপা কন্ঠে যেটুকু আওয়াজে বের হলো তা খুবই সামান্য। তবুও ডাকতে লাগলাম

–আ আহিল ভাই…!আ আহিল ভাই!
……আহিল!আহিল!আপনি কোথায়?

আমার দুচোখকে ধাঁধিয়ে দিয়ে চারপাশ থেকে উজ্জ্বল আলোর বাতি জ্বলে উঠলো। মুহুর্তেই চারপাশটা দিনের আলোর মতো আলোকিত হয়ে গেল!
রাস্তার একপাশের জঙ্গল থেকে একে একে হাসিমুখে বের হয়ে এলো সাইকা,সাইফা,রাইসা আপু,রনি ভাইয়া,শুভ,রাহি,রাফি,তিন্নি আপু,সাগর ভাইয়া আর আমাদের আরও কিছু ফ্যামিলি ফ্রেন্ডস।
রাস্তার অন্যপাশ থেকে বেরিয়ে এলো অনেকগুলো ছোট ছোট বাচ্চা!প্রত্যেকের মুখে ভুবন ভোলানো হাসি।এরা কারা।

সবশেষে একটা মোটা গাছের আড়াল থেকে মুখে মুচকি হাসি নিয়ে এগিয়ে আসলেন আহিল ভাই!

কি হচ্ছে এসব!সবাই এখানে কি করে এলো?শুধু আমি আর আহিল ভাইইতো এখানে ছিলাম।আর এটা কোন জায়গা!আর এতো আয়োজন কিসের….!

ভালো করে চারপাশ খেয়াল করে দেখলাম,অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে এই নির্জন জায়গাটাকে সুসজ্জিত করা হয়েছে,যা আমি অন্ধকারে খেয়াল করে উঠতে পারিনি! মাথার উপরে তাকিয়ে দেখলাম,রাস্তার দুই পাশের এগাছ থেকে ঐগাছে মরিচাবাতি নেওয়া হয়েছে,সেগুলো ইতিমধ্যে টিমটিম করে জ্বলতে শুরু করেছে।

লাল গোলাপের পাপড়ি দিয়ে পিচের উপর বড় করে একটা লাভ শেইপ করা যার মাঝখানে শিউলি ফুল দিয়ে ইংরেজী বর্ণ A এবং T এর শেইপ দেওয়া হয়েছে।লাভ শেইপটার ঠিক পাশেই বড় একটা বক্স গিফট পেপারে মোড়ানো!
আরও লক্ষ্য করলাম যারা এখানে উপস্থির আছে সকলের হাতেই ফুলের তোড়া!

আমি হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম,আমার ছোট্ট মাথায় কিছুই ঢুকছে না! হচ্ছে কি এসব…

হতবাক তনয়াকে আরও বেশি হতবাক করতেই বুঝি আচমকা সামনে এসে হাঁটু মুড়ে চিরাচরিত নিয়মে আহিল একটা আংটি এগিয়ে দিয়ে বললো,

–“I love you Tanaya!I want to spend the rest of my life with you. Will you be my partner?

এটা কোনো স্বপ্ন নয়তো!খুশিতে আমার চোখ দিয়ে পানি ঝরতে শুরু করেছে।হোক স্বপ্ন বা বাস্তব,এই মুহুর্তটা যে প্রতিটা মেয়ের জীবনে খুব প্রত্যাশিত একটা মুহুর্ত!
পাছে এটা স্বপ্ন হয় আর একটু পরেই ঘুম ভেঙে যাবে আর দেখবো এতক্ষণ আমি স্বপ্নের দেশে ছিলাম; সেই ভয়েতেই হয়তো উচ্ছ্বসিত হয়ে তাড়াতাড়ি জবাবটা দিয়ে দিলাম

–“Yes”

সাথে সাথেই করতালিতে রাতের নিস্তব্ধতাকে ভেঙে দিয়ে মুখরিত হয়ে উঠলো চারদিক!
আহিল ভাই উঠে আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন!যদিও সবার সামনে খুব লজ্জা লাগছিল তবুও আমিও আঁকড়ে ধরলাম আহিল ভাইয়ের পিঠ।

ইলেক্ট্রিক বড় বাতিগুলো নিভে গেল একটা একটা করে।মরিচাবাতিগুলো তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে রাতের আঁধার দূর করে আমাদের সবাইকে আলোকিত করার জন্য!

মৃদুমন্দ শব্দে গানের আওয়াজ ভেসে আসলো কানে।বাহ্! সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থাও করা হয়েছে এখানে,আগে খেয়াল করিনি।
আহিলের বাহুডোরে আবদ্ধ থেকে ওর শরীরের মাদকময় সেই ঘ্রাণ নাকে আসতেই আস্তে আস্তে বিশ্বাস হলো নাহ্,এটা স্বপ্ন নয়!এটা বাস্তব!

———————————
রাত প্রায় ৩টা!
অনাথ আশ্রমের শিশুদের ওদের আশ্রমে নামিয়ে দিয়ে আমরা যে যার বাসার পথ ধরেছি।

আমাদের জীবনের স্পেশাল এই দিনটাকে সেলিব্রেট করতে আহিল ওর খরচে পরিচালিত অনাথ আশ্রমের সব শিশুদের জন্য আজ স্পেশাল ডিনার রেখেছিল।
বাসা থেকে অনেকটা দূর প্রায় অপরিচিত একটা জায়গায়, রাস্তার মধ্যখানে বসে ছোট বড় আমরা সবাই রাতের ডিনারটা সেরেছি আজ।ডিনার শেষে মাঝ রাস্তায় বসেছিল গানের আসর।
সেই রাস্তার গোটাকয়েক পথচারীও থেমেছিল আমাদের ভীড়ে,সারাদিনের কর্মব্যস্ততাকে জীবন থেকে সরিয়ে দিয়ে তারাও এক হয়ে গিয়েছিল আমাদের আনন্দ উৎসবে।অসাধারণ একটা রাত গেল আমাদের জীবনে,এই স্মৃতি ভুলার নয়।রাত পোহালেই বাসায় হলুদের অনুষ্ঠান,তাই অনিচ্ছাসত্ত্বেও আসর ভেঙে উঠতে হয়েছে অবশেষে আমাদের।

তবে অনেক কিছুই আমার মাথায় জট পেকে আছে এখনো!বিশেষ করে রাইসা আপুর ব্যাপারটা!রাইসা আপুও আজ উপস্থিত ছিল এখানে।কিন্তু আহিল আমাকে প্রোপজ করায় উনি একদমই রিয়েক্ট করেননি!তবে কি আগের থেকেই জানতেন?
আর আহিল ভাই একদিনের মধ্যে সবাইকে ম্যানেজ করে এতো এরেঞ্জমেন্ট করলেনই বা কিভাবে!আর আজ বিকালেই তো হলুদের শপিং পর্যন্ত করলো সবাই মিলে!তাহলে……?

বাসায় ফেরার পথে গাড়িতে বসে আমার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেলাম।সব শুনে মনে হলো,জীবনটা আসলেই নাটকের চেয়েও নাটকীয়!

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here