ক্যারিয়ার পর্ব ২+৩

গল্পঃ ক্যারিয়ার। ( দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্ব )

সকালে শুভর ঘুম ভাঙতেই তুলির ঠোঁটে চুমু খেয়ে ঘুমন্ত তুলিকে পাজাকোলা করে কোলে তুলে বারান্দায় এসে দাড়ালো, তুলির চোখে রোদ পড়তেই ঘুম ভাঙলো। কোলে বসেই তুলি বললো,– প্রতিদিন বউকে রোদে দিতে হবে! বজ্জাত স্বামী একটা।

শুভ মুচকি হেসে বললো,– রোদে দিয়ে তরতাজা রাখি আরকি, সকালের মিষ্টি রোদ আমার মিষ্টি বউটা মিস কেন করবে। বউ রেখে সার্থপরের মতো আমি একলা কেন উপভোগ করবো বলো।

তুলি মিষ্টি হেসে শুভর বুকে একটা চুমু খেয়ে বললো,– ভাই এমন একটা সুইট জামাই পাওয়া ভাগ্যের ব্যপার, আমি সত্যিই ভাগ্যবতী।

শুভ তুলিকে কোল থেকে নামিয়ে বললো,– ভাই সেটা এতবছর পরে অনুভব করলা?

তুলি শুভর গালে চুমু খেয়ে বললো,– বুঝছি প্রথম থেকেই বস, মুখে না বলে ভালোবাসা দিয়ে প্রকাশ করে গেছি।

এই যে শুভ তুলির এতএত ভালোবাসা, এই ভালোবাসা নষ্ট হবার একটা মারাত্মক বিষয় হলো তুলির বাচ্চা ধারণের ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া। বিয়ের পরে শুভ বারবার বাচ্চা নিতে চাইলেও তুলি চায়নি। ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে বিয়ের পর অনেক বছর পেরিয়ে গেল। আসলে বিয়ের পরপর একটা মেয়ের গর্ভধারনের ক্ষমতা যতটা বেশি থাকে, বিয়ের পরে দীর্ঘদিন জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি গ্রহনের কারণে ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা হারায়। বেশি দেরি করলে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তুলির ক্ষেত্রে এটাই সমস্যা।

যা-ই হোক। শুভ তুলিকে বললো,– যাও ফ্রেশ হয়ে আসো, আমি নাস্তা রেডি করছি, আপনার অফিস যেতে হবে তো ম্যাম।

তুলি মিষ্টি হেসে বললো,– এর জন্যই এখন আর আমার নিজেকে নিয়ে ভাবতে হয়না, তুমি আছো বলে, ভাবতে হবেনা তুমি থাকবে বলে কিউট জামাই আমার।

ফ্রেশ হয়ে দুজনে সকালের নাস্তা করে রেডি হলো, যে যার অফিস যাবে।

প্রতিদিনের নিয়মে অফিসে যাবার পূর্বে দুজন দুজনকে চুমু খেলো।

হঠাৎ শুভর ফোনে কল আসলো, রিসিভ করতেই শুভর মা বললো,– শুভ মিলির ছেলে সন্তান হয়েছে, তুই মামা হয়েছিস, ওরা হাসপাতালেই আছে, তুই তাড়াতাড়ি বউমাকে নিয়ে আয়।

মিলি হচ্ছে শুভর ছোট বোন।

বোনের সন্তানের খবর শুনে শুভ যতটা আনন্দিত হয়েছে, আবার নিজে আজও একটা সন্তানের বাবা হতে না পারার হতাশায় ঠিক ততটাই ভেঙে পড়েছে।

নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে শুভ তুলিকে বলেই ফেললো,– ক্যারিয়ার ক্যারিয়ার করে সবকিছু বরবাদ করে দিলে, সবকিছুর যোগ্যতা আছে কিন্তু ক্যারিয়ারের পেছনে ছুটে নিজে মা হবার যোগ্যতা হারালে, সাথে আমাকেও বাবা হওয়া থেকে বঞ্চিত করলে, ক্যারিয়ার নিয়ে হ্যাপি তো এবার।

তুলি ভ্রু কুঁচকে বললো,– শুভ তোমার কথামতো তখন বাচ্চা নিলে আজ হয়তো আমি এতদূর পর্যন্ত আসতে পারতাম না, আর এই যে এত এত ভালোবাসা দেখাচ্ছো এটা আমার ক্যারিয়ার দেখেই, সুতরাং কথা বাড়ানোর চেষ্টা করোনা।

তুলির কথায় মনে ভীষণ আঘাত পেলো শুভ, অনিচ্ছাকৃত হেসে শুভ বললো,– বাহ! সত্যটা তাহলে প্রকাশ পেলো। তোমার মনে হয় তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা তোমার জব দেখে, ভালো বেতন দেখে, বাহ! তুলি বাহ! তাহলে তোমার চাকরি হবার আগে যেটা ছিল সেটা কি ভালোবাসা মনে হয়নি? নাকি তুমি একদিন অনেক বড়ো চাকরি করবে সেটা ভেবে তখনও তোমাকে ভালোবাসার অভিনয় করেছি। আরে বাচ্চা হবার পরেও তো কতশত মেয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়েছে, অসংখ্য প্রমান আছে তার, শুধু তোমার ক্ষেত্রেই বাচ্চা তোমার ক্যারিয়ারে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতো তাই না? যত্তসব ফালতু লজিক। যে মেয়ের মনে হয় তার স্বামী তাকে তার ক্যারিয়ার দেখে ভালোবাসে, সেই অহংকারী মেয়েকে জীবনসঙ্গী করাটাই জীবনের বড়ো ভুল।

তুলি মেজাজ গরম করে বলে ফেললো,– আর তোর মতো ছোটখাটো অফিসার ফাইলপত্র নিয়ে সিরিয়াল ধরে আমার অফিসের সামনে রোজ। তোকে ভালোবেসে আগলে রেখেছি এটাই তোর ভাগ্য, কথাটা মনে রাখিস, আমি অহংকারী মেয়ে তাই না!

শুভ ভীষণ অবাক হয়ে বললো,– বাহ! তোমার ক্যারিয়ার আমাকে তুমি থেকে টেনে তুইতে নামিয়ে আনলো কত সহজে! তোমার অহংকার আর ক্যারিয়ার নিয়ে সংসার করো। আমি আমার রাস্তা দেখে নেবো।

কথা শেষে শুভ হনহন করে হেটে চলে গেল। তুলিও চলে গেল তার অফিসে।

তুলি বাসায় ফেরেনি, সোজা বাপের বাড়ি, ফোন বন্ধ। শুভও আর খোজ নেয় নি। যে যার মতো।

পরদিন–

অফিসে বসে আছে শুভ, দরজা ঠেলে মারাত্মক সুন্দরী এক যুবতী ঢুকলো। শুভ মাথা তুলে একনজর দেখে আবার মাথা নুইয়ে রইল। মেয়েটি এগিয়ে এসে শুভকে বললো,– স্যার আমি মুন, আপনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

শুভ বিড়বিড় করে বললো,– ওকে, ওয়েলকাম মুন।

তারপর শুভ আবার চুপচাপ। মুন চেয়ার টেনে বসে বললো,– স্যার আপনি যতটা মানসিক চাপে আছেন, অফিসে না আসলেই পারতেন। বাসায় বিশ্রাম নিতেন অথবা প্রিয় কোনো স্থানে ঘুরতে যেতেন।

শুভ ভীষণ অবাক হয়ে বললো,– মানসিক চাপে আছি তুমি কিকরে বুঝলে? এটাই তো আমাদের প্রথম দেখা, আগেপিছে কখনও কথাও তো হয়নি আমাদের।

মুন মিষ্টি হেসে বললো,– স্যার এতবড় একটা কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার অফিসে আসবে ঘড়ি উল্টো করে হাতে দিয়ে! এটা অসম্ভব, কিন্তু আপনি সেটাই করেছেন, অফিসে আসার আগে মাথার চুল আঁচড়াননি, তারমানে আপনার মনের এই অস্থিরতা অশান্তির উৎপত্তিস্থল আপনার বাসা। যত দ্রুত সম্ভব বাসা থেকে বেরিয়ে আসতে গিয়ে এমনটা হয়েছে।

শুভ খেয়াল করলো আসলেই ঘড়ি উল্টো করে পরেছে! মুনের বিচক্ষণতায় শুভ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো মুনের দিকে।

এক কাপ চা করে এনে শুভর সামনে রেখে মুন বললো,– স্যার মানুষ চা খেলে টেনশন ফ্রী কেন ফিল করে জানেন। কারণ চা গরম, খেয়াল করে খেতে হয়, নয়তো ঠোঁট পুড়ে যাবার ভয়, মন এই খেয়াল রাখতে গিয়ে অন্য সব নিয়ে ভাবার সময় পায়না। ঠোঁট পোড়ার ভয়ে মন পুরোপুরি চায়ে মনোনিবেশ করে। তো এর থেকে আমরা শিক্ষা পাই যে, মন খারাপ হলে মনকে মন খারাপের কারণ নিয়ে ভাবার সুযোগ না দিয়ে, মনকে কিছু একটায় ব্যস্ত রাখা উচিৎ। তাহলে মন খারাপের হাত থেকে বাচা সম্ভব।

শুভ চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে মুনের দিকে তাকিয়ে বললো,– তাহলে আপাতত আজ সারাদিন চা খেতে খেতে মনকে শহিদ করে ফেলি কি বলো!

মুন মিষ্টি হেসে বললো,– স্যার শুধু যে চায়ে ডুবতে হবে এমন কথা নেই, মনকে বিজি রাখুন যেভাবে পারেন।

শুভ বললো,– এবার মনে হচ্ছে মন খারাপ হবার অতটা সুযোগ আর পাবেনা, মনের ডাক্তার সয়ং আমার ব্যক্তিগত সহকারী হয়ে এসে উপস্থিত যে।

মুন আবারও মিষ্টি হেসে বললো,– থ্যাঙ্কিউ স্যার।

অফিসের দরজা ঠেলে কোয়ালিটি ইনচার্জ মজনু ঢুকলো ভেতরে।

মুনকে দেখিয়ে শুভ মজনুকে বললো,– মজনু এ হচ্ছে আমার ব্যক্তিগত সহকারী মুন।

মুনকে দেখে মজনু মনে মনে বললো,– সবই কপাল, কেউ ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে এত সুন্দর মাইয়া পায়, আর মোর কপালে একটা প্রেমিকা জোটেনা। এ জীবন বেদনার।

মজনুকে চুপ দেখে শুভ বললো,– কি মজনু, এ জীবন বেদনার তাই তো, বস এবার।

শুভর কথায় হকচকিয়ে উঠে মজনু বললো,– কথা সত্য।

মজনু চেয়ার টেনে বসলো।

মুন মজনুকে বললো,– চা খাবেন?

মজনু মনে মনে বললো,– এত সুন্দর মাইয়া চা কেন, মিষ্টি হেসে বিষ দিলেও হাসিমুখে খাওয়া যায়।

শুভ মুচকি হেসে মজনুকে বললো,– মজনু মনে মনে বললে মুন কিকরে বুঝবে!

সবাই হেসে উঠলো।

“আচ্ছা তোমরা কথা বলো, আমি একটু বাইরে থেকে আসছি,” বলে শুভ বেরিয়ে গেল।

মুন মুচকি হেসে মজনুকে বললো,– তা আপনার লায়লার খবর কি?

মজনু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,– আর লায়লা! ভীষণ ব্যাথা দিল মে, সুন্দরীরা সবাই গেছে ফিল্মে।

: হা হা হা, মানে কী মজনু ভাই?

: আরে সুন্দরীরা সবাই নিজেদের সেলিব্রিটি মনে করে, তাই আমার মতো অসহায় মজনুরা পাত্তা না পেয়ে হতাশায় মরে।

: হা হা হা, আপনি অনেক মজার মানুষ তো!

: ধন্যবাদ।

: আচ্ছা মজনু ভাই, শুভ স্যারের মন খারাপের কারণ কি বলবেন একটু।

মজনু সবকিছু খুলে বললো মুনকে।

সবকিছু শুনে শুভর জন্য খুব খারাপ লাগে মুনের, শুভর জন্য মায়া হয়।

শুভ অফিসে ফিরে এসে মন খারাপ করে চেয়ারে বসে রইলো।

মুন বললো,– স্যার মনটা কি বেশি খারাপ?

শুভ বললো,– মুন এই স্যার শব্দ আমার অপছন্দ, এটা দুজনের মধ্যে কেমন দূরত্ব তৈরি করে, কেউ সামনে থাকলে তখন নাহয় স্যার বলবে। তাছাড়া শুভ ডাকলে আমি খুশী হবো।

মুন বললো,– আচ্ছা শুভ, আমি যতদুর জানলাম আপনার মন খারাপ সম্পর্কে, আপনার মন খারাপের কারণ আপনার স্ত্রী তুলি তাইতো।

শুভ কিছুই বললো না।

মুন আবার বললো,– শুনেছি আপনার স্ত্রী অনেক বড়ো সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, অনেক শিক্ষিত হয়েও আপনাকে কষ্ট দেবার মত এমন একটা কাজ সে কীভাবে করলো?

শুভ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,– আচ্ছা মুন, একদিকে তোমার স্বামী সংসার, একদিকে ক্যারিয়ার, বলো তোমার কাছে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

: অবশ্যই স্বামী সংসার আগে, একদিন চাকরি থেকে অবসর নিতে হবে, জৌলুশপূর্ণ ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটবে, কিন্তু জীবন সঙ্গীর হাত ধরেই তো জীবনের বাকিটা পথ পাড়ি দিতে হবে। জীবনে সবচেয়ে যেটা প্রয়োজন বেশি হবে সেটা স্বামীর ভালোবাসা ও বিশ্বাস, দিন শেষে যার বুকে মুখ লুকিয়ে শান্তির ঘুম ঘুমাবো, যাঁর স্পর্শে চরম সুখ অনুভব করবো, যার কাছে নিঃসঙ্কোচে নিজেকে উজার করে দিবো, তারচেয়ে বেশি আর কিছুই হতে পারেনা।

: আচ্ছা যদি কিছু মনে না করো তাহলে বলো, তোমার কাছে মাতৃত্বের স্বাদ বড়ো নাকি ক্যারিয়ার বড়ো মনে হয়।

: দেখুন প্রতিটি মেয়ের স্বপ্ন সে একদিন মা হবে, সুতরাং এর চেয়ে বড়ো আর কি হতে পারে!

: তোমার স্বামী যদি তোমার সকল আবদার রাখে, নিজের চেয়ে তোমায় বেশি ভালোবাসে, তার প্রতি তোমার কি কর্তব্য হবে বলে মনে হয় তোমার।

: আসলে ওরকম স্বামী কপালে জোটা ভাগ্যের ব্যপার, যার ভাগ্যে জোটে সে ভাগ্যবতী। এরকম কাউকে জীবন সঙ্গী করে পেলে হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা উজাড় করে দিতাম, সর্বস্ব দিয়ে আগলে রাখতাম।

মুনের কথা যতই শুভ শোনে ততই মুগ্ধ হয়। আর রূপে গুনে মুনও কম নয়।

এভাবে দিন যায়, দুজনের বন্ধুত্বতা বাড়ে।

মুন ধীরে ধীরে শুভর প্রেমে পড়ে যায়, কিন্তু শুভকে বুঝতে দেয়না।

ছোটবেলায় মা বাবাকে হারিয়ে বাস্তবতার কাছ থেকে শিক্ষা নিতে নিতে বড়ো হয়েছে মুন, জীবনের মানে তার কাছে স্বচ্ছ, তাই জীবন তার কাছে অনেকটা সহজ এখন। মেয়েদের ওপর সমাজের চাপিয়ে দেয়া কিছু রুলস ব্রেক করে জীবনের সাথে, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা মেয়ে মুন। যেমন মেধাবী, তেমন চঞ্চল, তেমনই মনটা ভালো। আবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী। পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে চালিয়ে নেবার ক্ষমতা তার আছে।

মুন ভালো বিরিয়ানি রান্না করতে পারে শুনে শুভ বায়না ধরলো বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়াতে হবে, সাথে মজনুও বললো। সিদ্ধান্ত হলো ডিউটি শেষে শুভর বাসায় বসে বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়া হবে।

প্ল্যান মাফিক বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়া হলো। খাওয়াদাওয়া শেষে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে মজনু চলে গেল। শুভ মুনকে বললো,– চলো তোমাকে পৌঁছে দিয়ে আসি।

মুন ভেংচি কেটে বললো,– কেন আপনার এত বড় বাসায় ঘুমানোর যায়গা নেই বুঝি।

: না, আসলে লোকে কি বলবে!

: লোকে তো কতকিছুই বলে, বলবে, তাদের কথায় কান দিলে চলবে?

: তবুও!

: তবুও কি? আমি একটা মেয়ে হয়ে ভাবছি না, আপনি কেন এত ভয় পাচ্ছেন কেন।

তারপর দুজনের গল্প, হাসিঠাট্টা। পাশাপাশি বসে টিভি দেখা অনেক রাত পর্যন্ত। শরীরের স্পর্শে দুজনেই ধীরে ধীরে অন্যরকম এক অনুভূতির শিকার। প্রাপ্ত বয়স্ক বিপরীত লিঙ্গের দুজন দুজনের স্পর্শে তাদের মনে জৈবিক চাহিদা জাগবেই। ধীরে ধীরে দুজনের খেয়াল দুজনের দিকে, আকর্ষণ বাড়ছে, শরীরের কাছে বিবেক বুদ্ধি হেরে গিয়ে চুপসে গেছে। দুজন দুজনের মুখোমুখি, দুজনের নিশ্বাসে মাতালতা, নেশা নেশা। ঠোঁটে ঠোঁট স্পর্শ করবে এমন সময় শুভর ফোনে তুলির কল আসলো…

চলবে…

লেখাঃ ইমতিয়াজ আহমেদ চৌধুরী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here