ক্যাসিনো পর্ব -২২

#ক্যাসিনো ©লেখিকা_(মায়া)
#পর্ব_২২

মেহমেতের ডাকে নিশান আর শাহানা পিছন ফিরে তাকায় ।গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,
নিশান আর শাহানা ওদের কাছে যায়। গাড়িতে ৬জনের সিট। নিশান আর শাহানা ছাড়া তারা আরামে চলে যেতে পারবে। শাহানা মেহমেতের মুখ দেখে বুঝতে পারলো যে এখন কিভাবে কি করবে। তাদের রেখে যাওয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না।

মেহমেত কাচুমাচু করে বলে। তোরা এখানেই কি একটু অপেক্ষা করতে পারবি আমি ২০মিনিটের ভিতর চলে আসবো। শাহানা আশ্বস্ত গলায় জবাব দেয়,আরে দরকার নেই আমরা কোন রিক্সা নিয়ে চলে যেতে পারবো।
মেহমেত ঝাড়ি দিয়ে বলে মাথা ঠিক আছে নাকি তোকে একা যেতে দিচ্ছি আমি এই রাতে। আরে একা কোথায় আমি?? নিশান তো আছেই। নিশানের কথা শুনে গাড়ি থেকে সবার হাসির শব্দ ভেসে আসলো। নিশান চোখ বন্ধ করে নিলো। বার বার হাসির খোরাক হচ্ছে সে। মেহমেত আমতা আমতা করে বলল, কিন্তু নিশান তো রাস্তা ঘাট তেমন কিছু চিনে না। নিশান চিনে না তো কি হয়েছে আমি কি চিনি না নাকি। রাত ১০টার আগে মেসে যেতে হবে নিশান আর অন্য সবাইকে তাই তোরা ২০মিনিট অপেক্ষা কর আমি চলে আসবো। কিন্তু মেহমেত!! শাহানা হয়েছে চুপ এখন থাক আমি তারাতারি চলে আসবো । শাহানা হাল ছেড়ে দিয়ে হুমম বলে।

নিশান আর শাহানা পাশাপাশি বসে আছে একটা টংয়ের দোকানে,হাতে গরম গরম রং চা । নিশান আকাশের দিকে চেয়ে আছে,হালকা বাতাসে মন ছুঁয়ে যাচ্ছে, শহরের কোলাহলের মাঝে এই রাস্তা টা কিছু টা মুক্ত।
শাহানা রং চায়ে এক চুমুক দিয়ে বলে,,আহ কি স্বাদ,দোকানির সাথে গল্প জুড়ে দেয়। মামা এতো এতো চা খেয়েছি তোমার চায়ের মত স্বাদ এর আগে পাইনি। কি দিয়ে চা বানিয়েছেন জাদু আছে আপনার চায়ে, ইচ্ছে করছে আপনার হাতে একটা চুমু দেয়?? কি যে কন ম্যাম সাহেব আপনেগো লাহান বড় ঘরের মাইয়া আমগো চায়ে এতো খুশি হয়ছেন এই মেলা। এবার থেকে সুযোগ পেলেই আপনার হাতের চা খেতে আসবো মামা । ঠিক আছে ম্যাম সাহেব।

নিশান শাহানাকে দেখে হাসছে আনমনে ভাবছে এই মেয়ে টা ও তো ধনী পরিবারের। তবুও তো কখনো হিংসে অহংকার দেখা গেল না আর মেহমেতের ভিতরে ও তেমন কোন বিদ্বেষ দেখা যায়নি। কিন্তু বাকিরা এমন কেন?? অবশ্য সব মানুষ তো আর এক হয় না,সবার মন মানসিকতা যদি এক রকম হতো তাহলে পৃথিবী হয় ধ্বংস হতো নয় ফুলের মত মানুষ বসবাস করতো। নিশান গোপনে এক দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। শাহানা হাতের বেলির মালা টা দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এতো এতো দামী উপহারের মাঝে সাধারণ এক বেলীর প্রেমে মাতোয়ারা হচ্ছে।
শাহানার নিজের আনমনে কথাটাতে কেমন থমকে গেল। প্রেমে পড়েছে মানে?? মাত্র কয়েক মাসের ভিতর সে এক অজানা এক সরল মানুষের প্রেমে পড়েছে?? নিশানের চোখে যে মায়া আছে তা অন্য কোন পুরুষের মাঝে কখনো দেখেনি, নিশানের সাথে থাকলে তার ঠোঁটের কোণে যে হাসি ফুটে উঠে এক প্রশান্তি অনুভব করে তা কি অন্য কোন পুরুষের মাঝে খুঁজে পেয়েছে?? নাহ পায়নি তো সে নিশানের মধ্যে এসব পেয়েছে এসব কে কি প্রেম বলে,ওর সরল ভাষার কথা, ভীতু নজর সব যেন তার ভালো লাগে। সে কি সত্যিই প্রেমে পড়েছে, নিশানের দিকে তাকালো সে,হালকা বাতাসে শাহানার চোখের সামনের চুল গুলো মুখে পড়ছে, চুল গুলো শাহানা নিজের আঙ্গুল দিয়ে কানের পিছনে গুঁজে দিয়ে মুচকি হাসলো।

হঠাৎ শাহানার মোবাইল টা বেজে উঠে,, শাহানা ফোন টা রিসিভ করেই হাসি মুখে একটু দূরে চলে যায়। অপর পাশ থেকে মধ্যবয়স্ক পুরুষালী মোটা কন্ঠস্বর ভেসে এলো। হ্যাপি বার্থডে মাই ডিয়ার প্রিন্সেস !!
ইউ আর সো লেট আব্বু, তুমি খুব পঁচা, আমি ভেবেছিলাম তুমি আমাকে সবার আগে উইশ করবে কিন্তু তুমি করোনি। বাবা সরি রাগ করো না, আমার এক মাত্র কন্যা তো জানেই যে আমি কত টা ব্যস্ত ।
শিরীন উইশ করছে ,,,??? শিরীন নাম টা বলতেই শাহানার মুখের ভাব পরিবর্তন হয়ে গেল হাস্যোজ্জল মুখ খানি তে নিমিষেই আষাঢ়ে মেঘে ঢেকে গেল, মলিন স্বরে উত্তর দিল শাহানা আম্মুর সময় কোথায় এসবে । আজকের দিনেও তোমাকে উইশ টুকুও করেনি!; আচ্ছা তুমি শিরীন কে গিয়ে এখনি ফোন টা দাও তো! আব্বু আমি ফ্রেন্ডদের সাথে বাইরে আছি। আর আমি খুব ভালো আছি আম্মু কে কিছু বলার প্রয়োজন নেই তুমি আম্মুকে ফোন ও দিবে না এই ব্যাপারে।
আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে, আমি ফিরবার সময় প্রিন্সেসের জন্য কি নিয়ে আসবো এটা বল!! আমার কিছু লাগবে না আব্বু তুমি তারাতারি ফিরে আসো তাহলেই হবে। আচ্ছা,

আব্বু এখন ফোন রাখি বাসায় যেতে হবে। । আচ্ছা ভালো থাকবে নিজের খেয়াল রাখবে।শাহানা বাবার কথায় সায় দিয়ে ফোন কেটে দিল। তার পর নিশানের কাছে গিয়ে বসল। নিশান শরসায় প্রশ্ন করলেন,কে ফোন দিয়েছিল?? শাহানা নিজের ঠোটের হাসি বজায় রেখেই জবাব দেয় আমার আব্বু ফোন দিয়েছেন!! ওহহ বাসায় যেতে দেরী হচ্ছে বলে?? নাহ আব্বু দেশের বাইরে আছে। কাজের সুবাদে মাসের ২০ দিন সে বাইরে থাকে। আর বাকি ১০দিন বাসায়। তোমার বাবার ব্যাবসা টা কিসের??? exporter of import … শাহানার কথার মাঝে মেহমেত চলে এসেছে।

একটু পর মেহমেত গাড়ি থেকেই বলে উঠে তারাতারি আয় তোরা। ওরা চলে যায় নিজের গন্তব্যে। কিন্তু এতো ক্ষন যে শাহানা কারো সুচের মত চোখের বন্দি তে ছিল তা কারোর দৃষ্টি গোচর হলো না। গাছের আড়াল থেকেই সে শুধু শাহানা কে দেখে গেল তার পর তারা চলে যাওয়ার পর যেই চোক্ষ মানব নিজের মোবাইল বের করে কাউকে ফোন দিলো।

অপর পাশের কোন কথা শুনা গেল না কিন্তু সেই মানবের কথা বুঝা গেল, শরিফুল আলমের মেয়ের খোঁজ পাওয়া গেছে। কালকের মধ্যে খেল ক্ষতম হবে বস।

শাহানা বাসায় পৌঁছে কলিং বেল চাপলো, এই জন মেইড এসে দরজা খুলে দিল। শাহানা ঘরে প্রবেশ করতেই মেইড কে জিজ্ঞেস করল,হালিমা খালা আম্মু কি বাসায় আছে??
হালিমা কাচুমাচু করে উত্তর দেয়,নাহ আপা মুনি হেতি তো এক বেডার লগে বাইর হয়ছে। যাওয়ার পথে বইলা গেছে ফিরতে রাইত হইবো। শাহানার মন টা ভিষন খারাপ হয়ে গেল। আপা মুনি খাবার বেড়ে দেয় আপনে হাত মুখ ধুয়ে আহেন। নাহ খালা আমি খাবো না বাইরে খেয়ে এসেছি। তুমি খাওয়া দাওয়া করে ঘুমে যাও। আম্মু আসলে আমি দরজা খুলে দিবো।

শাহানা নিজের ঘরে চলে গেল,
এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ভাবলো নিজের মা কিনা আজ তার মেয়ের জন্মদিনের কথাও ভুলে গেছেন। তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলল কোন দিন সে মায়ের কর্তব্য পালন করেছেন সে । যেদিন থেকে বুদ্ধি হয়েছে কখনো মা তাকে আদর করেছে বলে তার মনে পড়ছে না। সব থেকেও যেন অনাদরে মানুষ হওয়া । কেন আম্মু এমন তাকে ভালোবাসে না তা তার জানা নেই। সব সময় দেখে এসেছে আয়া তার সকল ছেলে মানুষী দেখতো। বাবা ব্যাবসার কাজে থাকে না বাসায় । যখন আসে ডজন খানেক খেলনা দিয়ে দেয় তার পর আবার ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বাবা মানে জেনেছে টাকা দিয়ে মন ভুলানো আর মা মানে শুধু এক জন নারী যার কোন অবদান নেই তার জিবনে।

শাহানা বিছানায় গা এলিয়ে দিলো। চোখের কোণ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। বাইরের সকল মানুষ জানে সে সবসময় সুখি মানুষ। কিন্তু এক মাত্র তার ঘর আর রাতের নিস্তব্ধতা জানে সে সুখি নয়। বড্ড কমতি তার ভালোবাসার। একটু ভালোবাসার তৃষ্ণার্ত সে।

হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখের পানি মুছতে যেয়ে দেখে তার হাতের বেলির মালা টা। কষ্টের মাঝে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠে।

শাহানার হাজার ভাবনায় কখন চোখ লেগে আসে বুঝতে পারে না। কলিং বেলের আওয়াজে ঘুম আলগা হয়ে আসে । ধরফরিয়ে উঠে দরজার দিকে যায়। দরজা খুলতেই এক বিদঘুটে গন্ধে শাহানার গা গুলিয়ে আসে। সামনে এক সুন্দরী মহিলা দাঁড়িয়ে আছে,পরনে সিল্কের শাড়ি,যে শাড়িতে তার শরীরের প্রতি টা ভাঁজ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। নেশাক্ত শরীর ঢুলু ঢুলু করছে। এক জন পুরুষের বলিষ্ঠ হাত তার মায়ের কোমর জড়িয়ে রেখেছে যেন সে পড়ে না যায়। শাহানার রাগ শিরা উপশিরায় বয়ে যেতে লাগলো। অন্য কোন পুরুষ তার মাকে নিত্যদিন স্পর্ষ করে যায়। তা তার কাছে সহ্য হয় না। নিজের রাগ সংবরন করতে না পেরে নিজের মাকে টেনে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে, লোক টার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে উঠে, আপনার জন্য আমাদের সংসারের এতো অবনতি। আমার আম্মুর সাথে আপনাকে যেন আর না দেখি চলে যান এখান থেকে। আর যদি কখনো দেখি তাহলে মেরে ফেলবো আপনাকে। শাহানার এমন ঝাঁঝালো কন্ঠে শিরীন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গর্জে ওঠে এসে মেয়েকে থাপ্পর মেরে বসে।শাহানা ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে মায়ের দিকে এক জন পরপুরুষের জন্য তার মা। তাকে মারলো। শিরীন এলোমেলো পায়ে বলে তোমার সাহস কি করে হয় ওকে অপমান করার ?? আমি বলেছি আমার কোন কাজে নাক গলাবে না কেউ তোমরা!! শাহানা চোখ মুখ শক্ত করে লোক টার দিকে আবার দৃষ্টিগোচর করে বলে উঠে চলে যেতে বলেছি আপনাকে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?? চলে যান আর কখনো যেন না দেখি এই কথা টা মাথায় রাখবেন। শাহানা লোকটার মুখের উপর দরজা এঁটে দেয়। শিরীন রাগে গজগজ করতে করতে শাহানা কে আর একটা থাপ্পর দেওয়ার জন্য উদ্ধৃত হলে শাহানা হাত ধরে নেয়। তার পর নিজের চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলে তুমি কেমন মা বলো তো আম্মু!? মেয়ে বড় হয়েছে তবুও প্রতি রাত প্রেমিকের সাথে ক্লাবে গিয়ে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে বাসায় ফিরো। আমার আব্বুকে ঠোকাচ্ছো??
বাবা বাসায় ফিরলেই সাধু হয়ে যাও। আমার আব্বুর মত মানুষ পেয়েও তুমি কি করে অন্যের উপর আকর্ষিত হও???

শেষের কথায় শিরীন তাচ্ছিল্য ভরা কন্ঠে হাসতে লাগলো, ক্ষনে ক্ষনে হাসির মাত্রা বেড়ে গেল। এক সময় ঘর ফাটিয়ে হাসতে আরম্ভ করলো। শাহানা বিরক্ততে কপাল কুঁচকে নিল। শিরীনের হাসি দেখে মনে হচ্ছে সে খুব মজার কোন কথা বলেছে। এর থেকে মজার কোন কথা বুঝি হতেই পারে না। শাহানা রাগমিশ্রত কন্ঠে বলে হাসছো কেন তুমি???
শিরীন হাসির বেগ কমিয়ে দিয়ে বলল তোমার আব্বু ভালো মানুষ?? শয়তান উনি , ভালো মানুষ নয়। আমার জীবন টা নরকে পরিণত করেছে । ঘৃনা করি তোমার আব্বু কে তার রক্ত তুমি। তাই সহ্য হয় না তোমায় ও। আমি কি শুধু আব্বুর রক্ত?? তোমার রক্ত নয় আম্মু?? শিরীন কোন জবাব দিলো না এলোমেলো পায়ে চলে গেল নিজের ঘরে। শাহানা বুঝে উঠতে পারলো না আম্মু আব্বু কে কেন এতো ঘৃনা করে???

পরের দিন ভার্সিটি শেষে যে যার মত নিজের নীড়ে ফিরে যাচ্ছে। শাহানা থম মেরে ক্যাম্পাসে বসে পড়ে। মেহমেত নিশান আরো ফ্রেন্ডস সার্কেল যারা আছে তারা শাহানা কে এমন থম মেরে বসে থাকতে দেখে তার কাছে গেল। সব সময় হৈচৈ করা মেয়েটি হঠাৎ এমন চুপচাপ হয়ে গেল কেন পুরো ক্লাস টাইম চুপচাপ ছিল। মেহমেত শাহানাকে প্রশ্ন করে এই কি হয়েছে তোর??

চুপচাপ কেন?? কিছু হয়েছে?? শাহানা শুকনো হেসে বলে কিছু নাহ। মন খারাপ?? আরে নাহ। বাসায় যাবি না ?? নাহ পরে যাবো। মেহমেত মিনাল নিশান আর শাহানা বাদে সবাই চলে গেল তারা চার জন ক্যান্টিনে বসে আছে বেশ কিছু ক্ষন থাকার পর তারা বেরিয়ে যায়। রাস্তার পাশে দিয়ে হাঁটছে তারা। শাহানা আইসক্রিম খাবে বলে নিশান কে টাকা দেয় আইস ক্রিম নিয়ে আসতে, মেহমেত একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে,মিনাল দূরে তাকিয়ে কি যেন দেখছে। শাহানা আনমনে নিশান যে দিকে আছে রাস্তা দিয়ে হেটে চলেছে তার মাথায় শুধু ঘুরপাক মা বাবাকে শয়তান কেন বলল?? তাদের মধ্যে কি এমন হয়েছে তার জন্য মা বাবাকে এতো ঘৃনা করে।

হঠাৎ এক ট্রাক ধেয়ে আসতে শুরু করে শাহানার দিকে, গাড়ি টা ফুটপাতের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। শাহানার সেদিকে খেয়াল নেই। নিশান আইসক্রিম নিয়ে সামনে তাকাতেই আতংকে উঠে গাড়ি টা এখনি শাহানা কে পিষে দিয়ে যাবে। হাতের আইসক্রিম ফেলে দিয়ে শাহানা কে ডাকতে ডাকতে প্রানপনে দৌড়ে যায় শাহানার দিকে। নিশানের আওয়াজে পিছনে তাকায় সে গাড়ি আসতে দেখে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ে সে চোখ দুটো বড় বড় করে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। মেহমেত মিনাল নিজেও দৌড়ে যেতে যেতে শাহানা কে সরে যেতে বলে। নিশান গাড়ি টা আসার আগেই শাহানা কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় কিন্তু নিশানের সাথে গাড়িটা বাড়ি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। গলগলিয়ে রক্ত পড়ছে মাথা থেকে। মূহুর্তেই সব যেন নিস্তব্ধ হয়ে যায় চার পাশ। শাহানা পড়ে যায় ,চোখ মুখ খিঁচিয়ে সামনে তাকাতেই নিশান বলে চিৎকার করে উঠে।

গাড়ি টা তারাতারি চালিয়ে নিয়ে যায় ড্রাইভার টা। কাউকে ফোন দিয়ে বলে সরি বস আজ বেঁচে গেছে।অপর প্রান্তের ব্যাক্তি ক্ষোভে ফেটে পড়ে বলে একটা সামান্য কাজ ও কি তোদের দ্বারা হয় না??

চলবে____????

সবাই পেজটা ফলো করবেন। গল্পটা কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেন না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here