ক্যাসিনো পর্ব -২৩

#ক্যাসিনো ©লেখিকা_(মায়া)
#পর্ব_২৩

হসপিটাল করিডরে বসে আছে মেহমেত মিনাল,শাহানা,।

শাহানার হাত পা থরথর করে কাপছে। বুকের ভেতর চিন চিন ব্যাথা করছে। কিছু হারিয়ে ফেলার ভয়ে কুকড়ে যাচ্ছে ক্ষনে ক্ষনে। ফ্লোরের দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে। ভিষন কষ্ট হচ্ছে, ঠোঁট কামড়ে কান্না থামানোর বৃথা চেষ্টা করছে। মেহমেত বার বার শাহানা কে শান্তনা দিচ্ছে,

শাহানা কিছু হবে না ওর। আল্লাহর রহমতে
ট্রাকের কোণ মাথায় লেগেছে শুধু। ট্রাকের সামনে পড়ে গেলে কি হতো বুঝতে পারছিস। মিনাল ভাব সাব দেখে মনে হচ্ছে না সে নিশানের এক্সিডেন্ট হওয়াতে সে ব্যাথিত বোধ করছে নিজের মনে বসে পা দোলাচ্ছে সে।

কিছু ক্ষনের মধ্যেই ডাক্তার বের হয়ে আসলো। শাহানা কান্না মাখা গলায় জিজ্ঞেস করে নিশানের কি অবস্থা ডাক্তার?? মেহমেত উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞেস করলো নিশানের জ্ঞান ফিরেছে ডাক্তার?? ও ঠিক আছে তো??

চিন্তা করার কোন কারন নেই। উনি এখন ঠিক আছে। কিছু ক্ষনের মধ্যেই জ্ঞান ফিরবে। আর আগামী ৭দিনের মধ্যে এক দম ঠিক হয়ে যাবে,আমরা কি ওকে বাসায় নিয়ে যেতে পারি তাহলে?? (মেহমেত)

হুমম তা নিয়ে যেতে পারেন তবে আজ নয় আগামী কাল কিন্তু এক্সট্রা কেয়ার নিতে হবে এই বিষয় টা মাথায় রাখবেন। সময় মত ঔষধ পত্র এবং পুষ্টিকর খাবারের প্রতি নজর রাখবেন। রক্ত ক্ষরণ টা ভালোই হয়েছে। আচ্ছা ডাক্তার সাহেব। (শাহানা)

নিশানের জ্ঞান ফিরেছে , নিভু নিভু চোখে তাকালো, মাথায় প্রচন্ড রকম যন্ত্রনা করছে। নিশানের জ্ঞান ফিরতেই শাহানা উদ্বিগ্নতার সাথে নিশানের কাছে আসে। নিশানের একটা হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে অঝোরে কান্না করতে থাকে। মনে হচ্ছে আষাঢ়ে বৃষ্টি হচ্ছে ঢল নামিয়ে। নিশান শাহানার কান্না দেখে ব্যাথার মাঝেও শুকনো মুখে মুচকি হাঁসি টেনে বলে,এই কাঁদছো কেন?? আমি ঠিক আছি, তোমার কোথাও লাগেনি তো?? শাহানা চোখ ভরা অশ্রু নিয়ে বলে সব আমার দোষ তোমার এখন এই অবস্থা শুধু আমার জন্য হয়েছে, তুমি আমায় বারন করেছিলে রাস্তায় ঐ ভাবে না চলতে, প্লিজ সরি নিশান। আরে কি বলছো এসব?? তোমার কোন দোষ নেই ,ঐ ট্রাক নিজেই ফুটপাত দিয়ে গাড়ি উঠিয়ে দিয়েছিল ,এতে মাফ চাওয়ার কিছু নেই। বন্ধুর বিপদে বন্ধু যদি কাজে না আসে তাহলে বন্ধুত্ব কেমন?? শাহানা নিজের নাক টেনে বলল হুম ঐ জন্য জান দিয়ে দিতে হবে?? নিশান শাহানার বাম হাত টা উঁচিয়ে কুনুই টার দিকে দৃষ্টি গোচর করে বলল, কোথাও ব্যাথা পাওনি নাকি?? দেখো দেখি কত খানি ছুলে গেছে?? নার্সের কাছে গিয়ে এখনি এন্টিসেপ্টিক লাগিয়ে আসো যাও।

মেহমেত হাতে ঔষধ নিয়ে কেবিনে প্রবেশ করেই বলতে আরম্ভ করে হুমম বুঝা একটু ওকে। সেই কখন থেকে নাকের পানি চোখের পানি এক করে ফেলছে। হাজার মানা করা শর্তেও নিজের নাকের পানি গুলো বের করছে শুধু। শাহানা কান্নার মাঝেই হেসে দেয়,মেহমেত কাছে আসতেই পিঠে থাপ্পর মারে। উফ পিঠ জ্বলে ফেলল রে আমার শাকচুন্নি একটা।

নিশান কে রিলিজ দেওয়া হলো পরের দিন সন্ধ্যার দিকে। মুসকিল হলো নিশান তো মেসে থাকে তবুও আবার একা ছোট রুম বলে কোন রুমমেট ও নেই। এই অবস্থায় ওকে একা ছাড়ার কোন প্রশ্নই আসে না।
তাহলে কি করা হবে এ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেল শাহানা আর মেহমেত। শেষে মেহমেত বলল যে সে তার বাড়িতে থাকতে পারে এ কটা দিন। কিন্তু নিশান কে রাজি করানো গেল না । তার এক কথা সে কোথাও যাবে না। নিজেকে সামলে নিতে পারবে মেসেই থাকবে। শাহানা নিজের বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বললে নিশান এমন মুখ করে তাকিয়ে রইল যেন কোন অকট্য ভাষায় তাকে গালি দেওয়া হয়েছে। শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো মেহমেত নিজে থাকবে নিশানের সাথে। রুমমেট হয়ে।

মেহমেতের জন্য নিশান এর সেই ছোট রুম টা বদলে বড় একটা রুমে তাদের জিনিস পত্র ঠিক করা হলো। মেহমেত এই কয় দিন নিশানের অনেক খেয়াল রেখেছে। সময় মত ক্লাস করেছে এবং সমস্ত নোট করতে হয়েছে তাকে শুধু মাত্র নিশানের জন্য। মাথায় চোট পাওয়ার পরো সে পড়া শুনার কথা যেন ভুলেনি তার এক কথা ৭দিন ক্লাস মিস যাওয়া মানে অনেক বড় ক্ষতি আর সে ক্ষতি সে কিছুতেই করবে না দরকার পড়লে ঐ শরীর নিয়েই সে ক্লাসে যাবে। অগত্যা মেহমেত কে নিয়মিত এবং মনোযোগ সহকারে ক্লাস করতে হয়েছে সাথে নিশান কেউ প্রত্যেক পড়া স্যারের মত করে বুঝিয়ে দিতে হয়েছে।

এসবের মাঝে শাহানা এক দুঃসাহসীময় কাজ করেছে সে প্রতি রাতে পাঁচিল টপকে মেসে এসেছে নিশানের জন্য পুষ্টিকর খাবার নিয়ে। প্রথম দিন তো নিশানের মরিমরি অবস্থা শাহানা কে দেখে ভয়ে বেচারা ঘেমে একাকার হয়ে গেছিল। যদি কোন ওয়াচম্যান দেখে নেই তাহলে মেস থেকে বের করে দিবে । না না শুধু মেস নয় ভার্সিটি থেকেই তাকে বের করে দেওয়া হবে। মান সম্মান সব শেষ হয়ে যাবে। বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা যাবে। মা কে সবাই কটু কথা শুনাবে,বোন কে কেউ বিয়ে করতে চাইবে। কাউকে তারা মুখ দেখাতে পারবে না।

এমন হাজার প্যাচাল জুরে দিয়েছিল সে। শাহানা তখন নিজে চোখ মুখ শক্ত করে মেহমেতের থেকে কসটেপ নিয়ে নিশানের মুখে মেরে দেয়। মেহমেত আর শাহানা দুজনেই নিশান কে চেয়ারে বেঁধে ফেলে। হাবলা কান্তের মত চেয়ে ছিল সে । শাহানা টিফিন ক্যারিয়ার থেকে খাবার বের করে মেহমেত কে খেতে দেয়। তার পর নিশানের সামনে আর একটা চেয়ার টেনে বসে নিশানের মুখের টেপ খোলার আগে শাষিত কন্ঠে বলে,আর একটাও যেন আওয়াজ মুখ থেকে না বের হয়। আমি ওয়াচম্যান কে ঘুষ দিয়ে এখানে এসেছি। তাই তোমার ট্রেনের সমান লম্বা ভাবনার মত কিছুই হবে না । আর যদি একটা কথা বলো মাথার ফেটে যাওয়া জায়গায় আর একটা বাড়ি দিয়ে একেবারে উপরে পাঠিয়ে দিবো। আমি এখন তোমায় তুলে খাওয়াবো বাচ্চা সোনার মত চুপচাপ খাবার শেষ করবে got it??

নিশান কে শাহানা তুলে খাওয়াচ্ছে,ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে শাহানার মুখশ্রীর দিকে। মায়ের কথা মনে পড়ে যায় তার । অপলক দৃষ্টিতে ধ্যানে মগ্ন হয়ে পড়ে নিশান। শাহানা কে যেন এর আগে এর চেয়ে বেশি সুন্দর লাগেনি এখন যেমন তাকে সুন্দর লাগছে। ফ্যানের বাতাসে শাহানার খোলা চুল গুলো অবাধ্যের মত মৃদু মৃদু উড়ছে, সামনের ছোট ছোট চুল গুলো বার বার চোখের সামনে আসছে তার। আর সে খাওয়াতে খাওয়াতেই বাম হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চুল গুলো কে শরিয়ে দিচ্ছে।

মেহমেত নিজের মত খাচ্ছে আর ভাবছে ডাল মে কুছ কালা হে… এদের দুজনের ভাব সাব বন্ধুত্ব থেকে আর একটু গভীরে যাচ্ছে ।
এই প্রথম কোন মেয়ের জন্য অদ্ভুত এক শিহরণ খেলে যাচ্ছে নিশানের মনের ভিতর। সে বুঝতে পারছে এই অনুভূতি আকাশের চাঁদের আলোর মত ক্ষনস্থায়ী । চাঁদের আলো যেমন সব সময় থাকে না তা এক সময় অন্ধকার গ্রাস করে নেয়। ঠিক তেমনি তার এই অনুভূতি এক সময় গ্রাস হয়ে যাবে ধনী গরীবের মিল অমিলে। তবুও না চাইতেও কেন জানি অনুভূতি গুলো মাথা চারা দিচ্ছে।

এই সাত দিনের মাঝে কিছু অবিশ্বাস্য ঘটনা ও ঘটে গেছে। যে ট্রাক তাদের এক্সিডেন্ট করিয়েছিল সেই ট্রাক নাকি সেই দিনই চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে খাদে পড়ে যায়। এবং ট্রাকের ভিতরের ড্রাইভার ও খাদে পড়ে কিন্তু তার লাশ ও এখনো উদ্ধার করা হয়নি।

৮ম দিনের মাথায় নিশান‌ একে বারে সুস্থ বোধ না করলেও ক্লাসে যাওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। শেষে মেহমেতের সাথে ক্লাসে উপস্থিত হয় তারা। এবং বরাবরের মতো প্রথম ক্লাসে আবার প্রফেসরের অপমান থেকে রেহাই হয়না তার। এবং এবারে তাকে ৭দিন অনুপস্থিতে থাকাই তাকে ক্লাস থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়। আর নিশান ও মাথা নিচু করে ক্লাস থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য উদ্ধৃত হলে শাহানা হাত ধরে আটকিয়ে দেয়। এবং কঠিন গলায় বলে। স্যার নিশানের এক্সিডেন্ট হয়েছিল,ডাক্তার তাকে ৭দিন বেড রেস্টে থাকতে বলে ছিল। তার জন্য সে আসেনি। ।
প্রফেসর তখন শাহানার দিকে তীক্ষ্ণ নজর করে বলে সেটা আমার সমস্যা নয় সামনে ফাস্ট সেমিস্টারের পরীক্ষা। আমার বিষয়ে এক জনের ও ফেইল আসলে এমন শাস্তি দেওয়া হবে যা তোমরা ভাবতেও পারবে না।

মেহমেত তখন দাঁড়িয়ে বলে। এই সাত দিনে আপনি যে যে অধ্যায় থেকে পড়িয়েছেন সেখান থেকে নিশান কে প্রশ্ন করতে পারেন। যদি সে উত্তর সঠিক দিতে পারে তাহলে আপনি তাকে ক্লাস থেকে বের করতে পারবেন না। প্রফেসর বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে বলে উঠে ঠিক আছে,তবে সে যদি সঠিক উত্তর না দিতে পারে তাহলে তোমাদের তিন জন কে ক্যাম্পাসের মাঝখানে রোদে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।

নিশান প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য রেডি হয়।
প্রফেসর প্রশ্ন করেন , নিরিক্ষা কি???

নিশান মুখস্থ বলে আর্থিক কাজকর্মে ও ঘটনাবলী সম্পর্কে নিয়মানুগ পন্থায় নিরক্ষেপ মূল্যায়ন যার লক্ষ্য হচ্ছে বিদ্যমান নীতিমালা ও সম্পাদিত কাজকর্মের মধ্যে কতটুকু সঙ্গতি রয়েছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া।

ল্যাগিং ও ল্যাডিং কি??

ল্যাগিং ও ল্যাডিং হলো পাওয়ার ফ্যাক্টরের মানের অবস্থা।

ভাউচিং বলতে কি বুঝো??

ভাউচিং হচ্ছে লেনদেন সম্পর্কিত প্রি পেমেন্ট ও পোষ্ট পেমেন্ট।

প্রফেসর তখন এলোমেলো ভাবে মোট ২৯ কি প্রশ্ন করেন এবং প্রতি টা প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয় নিশান। শাহানা আর মেহমেত গর্বের হাসি দেয়। প্রফেসর সহ ক্লাসের প্রতি টা স্টুডেন্ট অবাক চোখে তাকিয়ে ছিল নিশানের দিকে। প্রশ্ন উত্তর শেষ হওয়ার পর সবার করতালিতে মুখরিত হয় পুরো ক্লাস রুম। সবার হাত তালি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রফেসর নিজে তালি দিতে থাকে। এবং নিশানের কাছে গিয়ে তাকে জরিয়ে ধরে। ব্রিলিয়ান্ট।আই এম রিয়ালি সরি এতো দিন তোমাকে বিনা দোষে বহু বার কটু কথা বলেছি। তুমি সত্যি প্রমান করে দিয়েছো। বাহ্যিক সৌন্দর্য কখনো ভিতরের সৌন্দর্য হতে পারে না। দোয়া করি এক একদিন অনেক বড় হবে তুমি। ধন্যবাদ স্যার। সেদিন নিশানের মুখে ছিল আত্মতৃপ্তির হাসি। তার চুপ থাকা আজ সফল হয়েছে। শাহানা মনোমুগ্ধকর দৃষ্টিতে নিশানের দিকে তাকিয়ে ছিল। ইশ্ রে আমাদের বিদ্যা সাগর আজ সেই কাঁপিয়ে দিয়েছে কথা টা শাহানা বলেই হাসিতে লুটুপুটি খায় সবাই।

এভাবেই দিন যেতে লাগে। প্রথম সেমিস্টারে নিশানের রেজাল্ট এতো পরিমাণ ভালো হয়। যে ভিসি নিজে এসে নিশান কে নিজের কলম উপহার দিয়ে যায়। এবং দোয়া করে যেন নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।

নিশানের এমন পড়াশোনার দক্ষতা জানার পর যাকে সবাই অপছন্দ করেছিল এক সময়। এখন সেই তারাই নিশানের সাথে যে চেয়ে পরিচিত হতে আসে। এখন নিশানের বন্ধু বান্ধবের অভাব নেই। শাহানার সাথে তেমন কথা হয় না তার। ক্লাস রুমে পড়া শুনা নিয়ে ব্যস্ত ,আর ফ্রি টাইমে অন্যান্য স্টুডেন্টের পড়া যারা বুঝেনি তাদের বুঝিয়ে দিতে ব্যস্ত।
নিশানের সবচেয়ে কাছের বন্ধু এখন মেহমেত। মেহমেত কে পড়াশোনাই উৎসাহ করেছে বলে সে এখন মেসেই থাকে তার সাথে।

শাহানার সহ্য হচ্ছে না নিশানের এমন আচারন। রাগে দুঃখে তিন দিন থেকে ভার্সিটিতে যায়নি সে। মেহমেত বেশ অনেক বার ফোন দিয়েছে কিন্তু ফোন ধরেনি সে।
সারা দিন রুম থেকে বের হয়নি সে। খাওয়া দাওয়াও কিছু করেনি। মাথা টা খুব ব্যাথা করছে। শাহানার মনে হলো গোসল দিলে হয়তো ভালো লাগবে।

শাহানা গোসল দিয়ে,তোয়ালা দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বের হয়ে আসে। খাটের উপর কাউকে বসে থাকতে দেখে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠে শাহানা।

চলবে ____?????

সবাই পেজটা ফলো করুন।
বি:দ্র__ কেউ কেউ বলেছে যে অতীত টা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। এসব বাদ দিয়ে মূল টপিকে নিয়ে যেতে। কিন্তু আপনাদের এখন আমি বলি যে। এই গল্পের মূল চরিত্র হলো নিশান। আর নিশানের অতীত যদি বিশ্লেষণ আমি না করি তাহলে ক্যাসিনো গল্পের নাম টা অহেতুক হয়ে যাবে। তাই দয়া করে ধৈর্য ধরুন একটু আস্তে আস্তে সব খোলাসা হবে। এতো অধৈর্য হলে তো হবে না😊

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here