গুমোট অনুভুতি পর্ব ৬

#গুমোট_অনুভুতি
#লিখাঃ Liza Bhuiyan
#পর্ব_৬

গুলশান লেকের পানিগুলো লাইটের আলোতে চিকচিক করছে, আশেপাশে জনমানবের কোন চিহ্ন নেই।কিন্তু দূর থেকে গানের মৃদু আওয়াজ আসছে, গুলশান লেকের পাশেই “নরডিক নাইট ক্লাব”।খুব সুন্দর পরিবেশ তাতে, ডান্স ফ্লোর, পুল পার্টি, স্পোর্ট চেলেঞ্জ, লাইব্রেরি সবমিলিয়ে পরিদর্শকদের জন্য আনন্দের জায়গা।

ক্লাবের সেকেন্ড ফ্লোরে বসে সায়ান, কিছুক্ষণ পুর্বেই এখানে এসেছে বলতে এক প্রকার পালিয়ে এসেছে। কতক্ষণ পুর্বে যখন চন্দ্রিকা প্রশ্ন করেছিলো বিয়ে সম্পর্কে তখন ও কি বলবে খুজে পাচ্ছিলো, কোনরকম আমতা আমতা করে বললো

“সাহিলের জন্য মেয়ে দেখতে যাচ্ছি, যদি পছন্দ হয় তবে বিয়ে করিয়ে নিয়ে আসবো”

সম্পুর্ণ কথা নিচের দিকে তাকিয়ে বলেছে সায়ান, আর যাইহোক চোখে চোখ রেখে মিথ্যে বলার সাহস ওর হয়ে উঠেনি আর না সত্য বলার সাহস।সবমিলিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মাঝে সাহিলের নাম বলে দিলো।কথাটা শেষ করে চন্দ্রিকার দিকে তাকালো, সায়ানের কথা বিশ্বাস হয়েছে কিনা চেহারা দেখে ঠিক বোধগম্য হলো না। আচমকাই চন্দ্রিকা সায়ানকে জড়িয়ে ধরলো যাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে সায়ান, আর যাইহোক চন্দ্রিকে কখনো জড়িয়ে ধরেনি ও। সবসময় একটা দুরত্ব বজায় ছিলো দুজনার মাঝে, সায়ান চন্দ্রিকে খুব রেসপেক্ট করে তাই চন্দ্রি বেপরোয়া ভাবে ওর কাছাকাছি থাকলেও কখনো চোখ তুলে তাকানো হয়নি। এমনকি এই বাড়িতে তার জন্য আলাদা একটা কামরাও বিদ্যমান রয়েছে। একদিন চন্দ্রি প্রশ্নও করেছিলো

“আমি নিজ থেকে তোমার কাছে আসতে চাই তবে দূরে সরিয়ে দাও কেনো আমায়?তবে কি আমায় ভালোবাসো না!”

চন্দ্রির কথায় সায়ান কিছুটা হচকিয়ে গিয়েছিলো তারপর শান্ত স্বরে বললো

“আমার জীবন বাঁচানোর জন্য আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ আর তোমাকে সারাজীবন ভালোবাসার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ভালোবাসার সংজ্ঞা আমার জানা নেই তবে এতোটুকু জানি তোমায় ছেড়ে যাবো না কোনদিন”

কিন্তু তার জবাবে চন্দ্রি খুব একটা খুশি হয়নি কারণ তার যে ভালোবাসার মানুষ চাই, সারাজীবন সাথে থাকার চুক্তি নয়। তার পর থেকে মন থেকে বলেছে না শুনানোর জন্য তা জানা নেই তবে নিয়ম করে একবার বলেছে “ভালোবাসি”
তাতেই চন্দ্রি বড্ড খুশি ছিলো আর এই মেয়েটির খুশির জন্য সায়ান সবকিছু করতে পারে সব!

চন্দ্রিকা সায়ানকে জড়িয়ে ধরে থাকা অবস্থায় ফোন ফোন বেজে উঠে সায়ানের, সেই সুযোগে ও আলতো করে চন্দ্রিকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে ফোন রিসিভ করলো। ওর বেস্টফ্রেন্ড ইনান ফোন করেছে, ওদের নির্ধারিত ক্লাবে যেতে বলেছে। তাই সায়ান ‘আসছি’ বলে বেরিয়ে যেতে নিলেই চন্দ্রি ওর হাত চেপে ধরে আর বলে

“আমি তোমাকে খুব ভরসা করি সায়ান, আশা করি ভবিষ্যতেও করতে পারবো। তুমি সারাজীবন ভালোবাসবে বলে ওয়াদা করেছো, মনে রেখো তোমার জীবনে আমার স্থান আমি কাউকে দিবো না, তুমি চাইলেও না”

কথাগুলো বলার সময় চন্দ্রির চোখগুলো টলমল করেছিলো যাতে সায়ানের অপরাধবোধ দ্বিগুণ হয়ে যায়, এক মাত্র এই মেয়েটার চোখের জল ওর কখনো সহ্য হয়না কারণ ও এই পৃথিবীতে আছে শুধুমাত্র তার ছোট্ট পরির জন্য, তাকে কি করে কাঁদাবে ও!এই মুহুর্তে মনে হচ্ছে ওর সিদ্ধান্তই ঠিক, ও ভালো করেছে রুশানির কথা না জানিয়ে নাহয় চন্দ্রি কি করতো! আর যাইহোক চন্দ্রি ওকে পাগলের মতো ভালোবাসে, ওর কষ্ট সহ্য করার মতো শক্তি সায়ানের নেই। তাই ওকে সুখে রাখার জন্য ও সবকিছু করবে তাতে যদি অন্যের প্রতি অন্যায় হয় তবে জঘন্য কাজটিও ও করবে!

চন্দ্রিকার কথায় মাথা নাড়িয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এলো,ওর চারপাশ কেমন যেনো ধোঁয়াশা। কিছুই দেখতে পারছেনা!ক্লাবে এসে এতোক্ষন পর্যন্ত বসে ছিলো তবে এলকোহল ধরার সাহস হয়নি। এই এলকোহলের জন্যই ও দুটো মানুষের জীবন নষ্ট হতে চলেছে! ওর সবচেয়ে বড় ভয় হচ্ছে সেই সময়ের জন্য, যদি চন্দ্রি ভুল করে সব জেনে যায় আর ওকে দায়িত্ব আর ভালোবাসার মধ্যে যেকনো একটা বেছে নিতে হয়, কাকে বেছে নিবে ও??
মস্তিষ্ক বারবার চন্দ্রির কথা বললেও মনের কোন এক কোনে কেউ একজন যেনো চিৎকার করে বলছে “তবে কি রুশানি নামের মেয়েটির প্রতি অন্যায় করা হবে না?”

মাথা চেপে ধরে বসে আছে সায়ান, তখনি কাধে একজন হাত রাখলো কেউ একজন। পাশে তাকিয়ে ইনানকে দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো তারপর মলিন হাসি দিয়ে বললো

“কিছু বলবি?”

“বাইরে চল কথা আছে”

সায়ান আর ইনান বাইরে বেরিয়ে এলো, ইনান ড্রাইভ করছে আর সায়ান পাশে বসে সিগারেট টানছে। এমনিতে তেমন একটা সিগারেট টানা হয়না তবে ডিপ্রেসড থাকলে কতোগুলো শেষ করে জানা নেই। ইনান সায়ানের অবস্থা দেখে শান্ত কন্ঠে বললো

“কি সিদ্ধান্ত নিয়েছিস?কি করবি এখন?”

“কালকে গিয়ে ওই মেয়েটিকে নিয়ে আসবো, দরকার হলে তাদের সামনে নাহয় বিয়ে পড়ানো হবে”

“তাহলে মাত্র তিনবছরের জন্যই বিয়ে করছিস?”

“এছাড়া কি করার আছে আমার? সারাজীবনের জন্য তো আর করা সম্ভব নয় কিন্তু আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাবো”

“দায়িত্ব! একটা মেয়ের কাছে সবচেয়ে গৌরভের বিষয় হচ্ছে তার স্বামী, তোর মনে হয়না মেয়েটির প্রতি খুব বেশি অন্যায় হয়ে যাচ্ছে। সব মেয়ে টাকা পয়সা চায়না,অনেক মেয়েই সুখের একটা সংসার চায় যেখানে দিনশেষে একটা মানুষকে সম্পুর্ণ নিজের বলে দাবি করতে পারবে। আচ্ছা মেয়েটির কথা নাহয় বাদই দিলাম, চন্দ্রিকা! তাকে কি ঠকাচ্ছিস না?তুই তাকে কিছুই বলছিস না কেনো?”

“আমি বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু ও কতোটা নরম মনের সেটাতো তুই জানিস। যদি উল্টো পাল্টা কিছু করে বসে?আমি বেচে থাকতে ওর কিছু হতে দিবো না সেটা তুই খুব ভালো করেই জানিস”

“তুই ওকে নিজ থেকে বললে ও যতোটা না কষ্ট পাবে তার অনেকগুন বেশি পাবে অন্যের থেকে শুনে।”

“আমি কোনদিন শুনতে দিবো না ওকে,ও কোনদিন এই ব্যাপারে জানবে না।”

সায়ানের কঠোর প্রতিজ্ঞা দেখে ইনান হাসলো, ঠিক হাসা নয় কিছুটা উপহাস করলো বলা চলে।মনে মনে বলে উঠলো

“মিথ্যের শক্তি যতোই বেশি থাকুক না তা লুকিয়ে রাখা যায় না। সত্য তার নিজ সময়ে ঠিক বেরিয়ে আসবে সেটা আজ হোক,কাল হোক অথবা পরশু!”

ইনান ড্রাইভিংয়ে মনোযোগ দিলো, আজকাল হাসতে ভুলে গেছে ও। প্রাণবন্ত যে ছেলেটি পুরো ফ্রেন্ডসার্কেল মাতিয়ে রাখতো, প্রতিদিন নতুন নতুন জোকস শুনিয়ে সবাইকে হাসাতো! সে আজ বড় নিশ্চুপ, নির্দয়, স্বার্থপর তাইতো নিজের কথাই শুধু ভাবে অন্যের কষ্ট চোখে পড়ে না তার।

সায়ান নিজের সকল চিন্তা কিছুক্ষনের জন্য ভুলে গেলো, নিজের প্রাণপ্রিয় বন্ধুর মলিন মুখের দিকে তাকালো। সায়ান বরাবরই খুব গম্ভীর ছিলো, কম কথা বলতো আর ইনান ছিলো তার সম্পুর্ণ বিপরীত। তবে আজ অনেকদিন হলো সেই রুপটা দেখতে পায়না,ইনান কেমন যেনো মিইয়ে গিয়েছে। আজকাল বড্ড অচেনা লাগে ওকে, শেষকবে প্রানখুলে হাসতে দেখেছে ওর মনে পড়েনা তবে সবসময় মুখে মলিন হাসি ঝুলে থাকে। নিজের কোম্পানি আর ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত যে ইনানের এই মলিন চেহারা নজরে আসেনি। সায়ান শান্তস্বরে বললো

“আজকাল নাকি খান বাড়িতে যাওয়া হয়না তোর?মিসেস খানের সাথে তোর তো ভালই জমতো!”

ইনান হাসলো তারপর বললো

“আজকাল সেই বাড়িতে তোর পদাচরণও তো নেই!আর সাবিনা আন্টির সাথে শেষ কবে কথা বলেছিস মনে আছে?”

“মিসেস খানের সাথে আমার কোন কথা বলার নেই, উনি ওনার মতো ভালো আছেন আর আমি আমার মতো। আমি ওই বাড়িতে থাকা না থাকাতে কারো কিছু যায় আসে না বরং না থাকলেই সবাই খুশি। আর রইলো সামায়রার কথা! ওর সাথে আমার বাইরে দেখা হয় তাই ওই বাড়ি যাওয়ার কারণ নেই”

সামায়রা! নামটা শুনতেই ইনানের চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেলো, ঠিক অনুভুতিহীন! সম্পর্কে মেয়েটি সায়ানের বোন অনেকটা ওর বোনের মতো কিন্তু…

ইনানকে কিছু না বলতে দেখে সায়ান চুপ হয়ে গেলো, হয়তো কিছু কিছু সময় চুপ থাকাই শ্রেয়। সায়ান গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির দিকে এগুতে গিয়েও ফিরে আসে তারপর ইনানকে উদ্দেশ্য করে বলে

“যদি মনের কোন কথা জমিয়ে না রেখে শেয়ার করা উচিৎ তবে আমাকে শুধু একটা ফোন করিস। যত ব্যাস্তই থাকি না কেনো তোর কথা মনোযোগ সহকারে সবটা শুনবো! তোর ফোনের অপেক্ষায় রইলাম”

ইনান মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো, বিনিময়ে সায়ান মুচকি হেসে ভেতরে চলে গেলো। ইনান বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিলো,কিছু কিছু কথা থাকে যা মানুষ নিজের সাথে শেয়ার করতেই ভয় পায়, অন্যকে বলার ইচ্ছে থাকলেও বলা যায়না। হয়তো ইনানও বলতে পারছেনা! মোবাইলের নোটিফিকেশনের সাউন্ড যেনো তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে সাথে ওর বিরক্তির মাত্রাও। কিছুটা বিরক্তি নিয়েই ফোনটা তুলে কানে দিলো আর ঝাঁঝালো কন্ঠে বলে উঠলো

“কি সমস্যা? কতোবার বলেছি আমাকে ফোন করবে না তবুও কেনো ফোন করো?তোমার ফেমিলিকে জানাতে বাধ্য করবে না আমায়”

অপরপাশ থেকে কোন শব্দ না আসাতে রেখে দিতে নিবে তার পুর্বেই একজন নারীর মিষ্টি কন্ঠ ভেসে উঠলো

“ইনান ভাই!আমি অনেক অসুস্থ,তুমি কি আমায় দেখতে আসবে?”

ইনান আর চড়া কন্ঠে কথা বলতে পারলো না আর যাইহোক সামুর দুর্বল কন্ঠ উপেক্ষা করতে পারেনা ও কিন্তু তাই বলে ওর সব অন্যায় আবদার গুলো মেনে নেয়া সম্ভব নয়! ইনান কিছুটা শিথিল স্বরে বললো

“পারবো না”

বলেই কট করে ফোন কেটে দিলো, আর কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো দুর্বল হয়ে যেতো কিন্তু ওর দুর্বল হওয়া চলবে না। ওর একটা সিদ্ধান্তের সাথে অনেকগুলো সম্পর্ক জড়িত!

ইনানের ফোন কেটে যাওয়ার পরও এখনো ফোন কানে ধরে আছে ওপাশের ব্যাক্তিটি, চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়লো দুফোটা মুক্তোদানা। এতো কষ্ট কেনো ভালোবাসায়? যেখানে তাকে ছাড়া একমুহুর্তও কল্পনা করা দুষ্কর সেখানে সেই ব্যাক্তির প্রতিনিয়ত অবহেলা যে এই হৃদয়ে যে দহন হয় তা কি দেখে না?
সামুর চিৎকার করে তার কলার চেপে বলতে ইচ্ছে করছে

“আমার ভালোবাসা তুমি কেনো বুঝোনা ইনান ভাই, কেনো?তুমি কি বুঝোনা এই বিচ্ছেদ বেদনা আমায় শেষ করে দিচ্ছে, জালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে!আমি তৃষ্ণার্ত পাখির ন্যায় তোমার ভালোবাসা পাবো বলে তোমার পানে চেয়ে আছি। তোমার প্রেম প্রেম অসুখে আমি বড্ড আক্রান্ত, তুমি নামক ঔষুধের বড্ড প্রয়োজন আমার!”

আজ আরো একটা রাত হয়তো নির্ঘুম কাটবে সামায়রার, তাকে ভেবে এমন কতো রাত জেগে পার করেছে তার হিসাব নেই। প্রতিদিন রাতে সামু প্রতিজ্ঞা করে কাল থেকে আর মানুষটিকে বিরক্ত করবে না কিন্তু ঠিক সকালে উঠে ভুলে যায়, ঠিকই বেহায়ার মতো “গুড মর্নিং” মেসেজটা পাঠাতে ভুলে না।আজ রাতের অবহেলার পর কাল সকালে হয়তো আবারও পাঠাবে!

ভালোবাসা শব্দটির সাথে যবে থেকে পরিচয় ঘটেছে তবে থেকেই জেনেছে এই মানুষটিকে ও ভালোবাসে। যে ওর ছোটবেলার ক্রাশ, কৈশরের আবেগ আর যৌবনের প্রেম! কিন্তু মানুষটা বড্ড অবুঝ কিছুতেই বুঝে না তাকে, হয়তো বুঝতেই চায়না। আচ্ছা! কোন একদিন যদি হারিয়ে যায় ও তবে কি মানুষটি তাকে খুঁজবে?নাকি তার কিছুই যায় আসবে না?হয়তো তার জন্য ভালোই হবে, বিরক্ত করার কেউ থাকবে না।

____________________

বসার ঘরের সোফায় রুশি চুপচাপ বসে আছে, পরনে কালো রঙের শাড়ি, হাত ভর্তি চুড়ি আর টানা চোখে মোটা করে দেয়া কাজল। এইটুকু সাজেই যেনো অপরুপ লাগছে,গোলাপি ঠোঁট জোড়া থেকে কেঁপে উঠছে। সামনে বসে থাকা মাঝবয়সী লোকটি চোখ দিয়ে যেনো গিলে খাচ্ছে ওকে, হয়তো এই জন্মে মেয়ে দেখা হয়ে উঠেনি তার।। লোকটি নিজের বয়স পঁয়ত্রিশ বললেও তার থেকে আরো বেশি বয়স্ক লাগে, নো ওন্ডার ওর পালক মা নিজের মেয়ে বিয়ে দিতে চায়নি। কথা ছিলো পছন্দ হলে একেবারে বিয়ে করিয়ে নিয়ে যাবে রুশিকে তবে রুশি শংকিত নয়।
ও অপেক্ষায় আছে ওই সময়ের জন্য যখন বলা হবে পাত্র পাত্রী আলাদা কথা বলুক।

আর যাইহোক কোন লোক বাচ্চাসহ কোন মেয়েকে বিয়ে করবে না। রুশি প্রথমে চেয়েছিলো সায়ানকে ফোন দিতে কিন্তু সায়ানের নাম্বার ওর কাছে নেই। আর কাল থেকে বাড়ির বাইরে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। ওর এখন একটাই পথ খোলা আছে, পাত্রকে সরাসরি বলে দিবে ও অন্যের বাচ্চার মা হতে চলেছে। এতে বড় জোর ওর পালক মা ওকে বের করে দিবে, তারপর নাহয় ও সায়ানের কাছে চলে যাবে। কালকের পর থেকে এই ভরসাটুকু হয়েছে যে এই বাড়ি ছাড়াও অন্যত্র যাওয়ার জায়গা আছে ওর তাই আর যাইহোক এদের আর ভয় পাবেনা ও।

রুশি এসব ভেবেই বসে আছে ঠিক তখনি সদর দরজা খুলে গেলো, রুশি সেদিকে হা করে তাকিয়ে আছে।

#চলবে

(দিনে সময় পায়নি তাই দেয়া সম্ভব হয়নি)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here