গোধূলি লগ্নে তুমি পর্ব ২+৩

গল্প :- গোধূলী বেলায় তুমি
পর্ব :- ০২ এবং ০৩
লেখিকা :- তাসনিম রাইসা
.
.
.
বিঃদ্রঃ গল্পের সুবিধার্থে নায়িকার নাম, অধরা থেকে জয়া দেওয়া হলো]

– বাসর রাত সবার স্বপ্নের হলেও, জয়ার কাছে বাসর রাতটা জীবনের কাল রাত মনে হচ্ছে! বাসর ঘরটা তার কাছে মনে হচ্ছে নরক । তার সব স্বপ্নগুলো আজ ফ্যাকাশে। ভাবনা গুলো ধূসর বর্ণ ধারণ করেছে। এসব ভাবতে ভাবতে,

হঠাৎ দরজায় কড়া নড়ল! জয়া তাকিয়ে দেখে রাজ রুমের দরজা লাগিয়ে এদিকে আসছে। কিন্তু এখনো বিষে কাজ করছে না কেন? রাজ যদি সত্যি স্বামীত্ব ফলায়? নাহ্ ওর মতো একটা দুশ্চরিত্রের সাথে আর যাই হোক ঘর করা যায় না। এদিকে রাজ অধরার কাছে এসে ঘুমটা সরাতেই জয়া বালিশের নিচে থেকে টান দিয়ে ছুরি বের করে রাজের গলায় ধরলো।

” এই জয়া কি করছো? গলা কেটে যাবে তো।”

”হুম বুঝতে পারছেন! এখন যদি নড়াচাড়া করেন তাহলে একদম গলায় চালিয়ে দিবো। এতোদিন জয়ার কোমল স্বভাবটাই দেখেছেন, এখন থেকে ভয়ংকর রুপটাও দেখবেন।শুনেন যদি আমার সাথে কিছু করতে আসেন না, তাহলে আপনাকে নরকে পাঠিয়ে দিবো। আপনি কি ভেবেছেন? আপনি বিয়ে করলেই আমাকে পেয়ে যাবেন? না আমার দেহে প্রাণ থাকতে আপনি আমাকে পাবেন না।”

– জয়া কি বলছো এসব? আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কালামকে সাক্ষী রেখে আমরা বিয়ে করেছি। আর বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন। যে বন্ধন শত্রুকেও ভালোবাসতে শেখায়। আর তুমি তো আমাকে ভালোবাসতে। ”

” ভালোবাসা? ভালোবাসা আপনার মুখে শোভা পায় না। কি করেছিল আমার বোন আপনাকে? জানেন আপু আপনাকে কতখানি ভালোবাসতো? আর আপনি আমাকে আর আপুকে দুজনকেই নিয়ে নোংরা খেলায় মেতেছিলেন। আমি আপনাকে ঘৃণা করি মিষ্টার রাজ। আপনি আর যাই করেন কাউকে ভালোবাসতে পারেন না।”
” জয়া প্লিজ বিশ্বাস করো, অদ্বিতীয়া আমাকে ভালোবাসতো কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসতাম। তুমি ভুল বুঝবে কারণে তোমাকে ওর কথা কিছু বলিনি। কিন্তু সে যে এমন কাজ করবে না বুঝতে পারিনি।”

” বাহ! ভালো তো তাই বলে আমার আপুটাকেই সুসাইড করতে বাধ্য করলেন? ”

” প্লিজ আজ আমাদের বাসর রাত, আজকে আপাদত আমার কথা বিশ্বাস করো তুমি। আচ্ছা চলো আজ দু’জনের জীবনে একটা মর্যাদাপূর্ণ রাত। এ জন্য দু’রাকাত নফল নামায পড়ে নেয়। ”

” আপনাকে আমি এ জীবনে স্বামী হিসেবে মানতে পারবো না। আর আপনার মন চায়, আপনি নামায পড়ে নেন। আর শোনেন আপনি যদি স্বামীর অধিকার নিতে আসেন তাহলে নিজেকে শেষ করে দিবো। জয়া মনে মনে ভাবছে বিষ এখনো কাজ করছে না কেন? তিন্নি কি বিষ দিলো তাহলে। কাল বাসায় যেয়ে নেয় তারপর দেখবো নকল বিষ দেওয়ার পরিণাম।

-রাজ জয়াকে আর কিছু বললো না। জয়ার পাশ থেকে বালিশ নেওয়ার সময় বললো,’ জানো জয়া আমি তোমাকেই ভালোবাসি। আমি জানি আমি তোমার কাছে ঘৃণার পাত্র ছাড়া আর কেউ নয়। তোমাকে এভাবে বিয়ে করা ছাড়া আমার কোন পথ খোলা ছিল না। যদি পার দিনের ঘটনার জন্য ক্ষমা করে দিয়ো। ‘ আরেকটা অনুরোধ স্বামী হিসেবে নয়, শত্রু হিসেবেই নিয়ো। আমাদের জন্য যেন আমাদের পরিবারের কেউ কষ্ট না পায়। তারা যেন বুঝতে না পারে কোন কিছু। ”

– আচ্ছা ঠিকআছে। ”

” আরেকটা কথা, তুমি যেটা বিষ ভেবে খেয়েছো সেটা বিষ ছিল না। আমি বিষের বোতল পাল্টে দিয়েছিলাম। ”

” আপনাকে তো আমি। আপনার জন্য কি আমি মরতেও পারবো না?”

” না পারবে না, কারণ আমার জীবনটাই যে তুমি। আমার প্রতিটা শ্বাস-প্রশ্বাস জুড়ে শুধু তুমিই রয়েছো। ”

” জয়া কিছু বলছে না, আজকের রাতটা নিয়ে তার কত স্বপ্ন ছিল। আর প্রতিটা স্বপ্ন রাজকে ঘিরেই ছিল। কিন্তু রাজ তার ভালোবাসার সাথে বেইমানী করেছে। যে বোন মায়ের মতো আগলে রাখতো সে বোনকে হারিয়েছে রাজ নামক নরপশুর জন্য! আর যাই হোক এমন মানুষের সাথে সংসার করা যায় না। ”

– এদিকে পরের দিন সকালে রাজ ঘুম থেকে উঠে দেখে জয়া রুমে নেই।’ রাজ তাড়াহুড়া করে বিছানা গুছিয়ে নেয়। কিছুক্ষণ পর রাজের ভাবী আসে।

– কি গো দেবর সাহেব বিড়াল কেমন মারলে?’
” ভাবী তুমিও না?”

” হ্যাঁ তলে তলে এতকিছু আমি বললেই দোষ। বিয়ে করার জন্য এতোকিছু করলো আর বিড়াল মারার কথা শুনে মনে হচ্ছে ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানো না।” যাও ফ্রেশ হয়ে খেতে আসো। ”’

রাজ শাওয়ার নেওয়ার জন্য বার্থরুমের দরজা ধাক্কা দিতে দরজা খুলে যায়। রাজ ভেতরে ঢুকতেই শর্ক খায়! জয়া শাওয়ার নিয়ে শরীরে টাওয়াল প্যাঁচ্চাছে!
– জয়া রাজকে দেখে, চিৎকার দিয়ে উঠে। জয়া খেয়াল করেনি সে তার টাওয়ার গায়ের সাথে ঠিকভাবে জড়াতে পারেনি। তার আগেই রাজ ভেতরে এসে যায়। জয়া আবার যখন চিৎকার দিতে যাবে, ঠিক সে মুহূর্তে জয়ার টাওয়াল খুলে যায়। রাজ জয়াকে জড়িয়ে ধরে মুখটা চেপে ধরে। কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো,’ ওগো টায়ালটা তো জড়াতেই পারো না। কিন্তু বার্থরুমের দরজাটা তো লাগাতে পারো। এটা তোমার বাসা না। এখানে ভাইয়া আছে বাবা আছে। যদি অন্য কেউ এসে যেতো।জয়া নিজেকে রাজের কাছ থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। রাজ একহাতে বার্থরুমের দরজাটা লাগিয়ে দেয় ”

-বাহির থেকে রাজের ভাবী বার্থরুমের দরজা নক করে বলে, ‘জয়া চিৎকার দিলে কেন ভেতরে কি হয়েছে?’

– জয়া নিজেকে রাজের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখে টাওয়াল নিছে পড়ে আছে।শরীরে কোন কাপড় নেই। জয়া নিজের হাতে তার চোখ দু’টি ধরে ফেলে। রাজ ফ্লরে থেকে টাওয়ালটা তুলে জয়ার শরীরে প্যাঁচিয়ে দিয়ে বাথরুম থেকে বের হতেই।

”কি, গো? দেবর জ্বী। রাতে মন ভরেনি এখন বার্থরুমেও এসব চলছে। এই জন্যই তো বলি, ভেতরে চিৎকার শুনি একজনের বাহির হয় আরেকজন। বাড়িতে ভূত-প্রেত ভয় করলো নাকি?”

ভাবী তুমিও না বেশি বলছো কিন্তু?
” হ হ যতো দোষে নন্দ ঘোষ!”

” এমন সময় জয়া বার্থরুম থেকে বেরুতেই ভাবী বললো,’ কি গো একদিনের মধ্যেই এতো ভালোবাসা? বার্থরুমে একা আসা যায় না? এটাই ভালোবাসা। জয়া কিছু বলছে, লজ্জায় তার মুখটা গোধূলী লগ্নে সূর্য যে রুপ ধারণ করেছে। সেরুপ ধারণ করেছে। রাজ পলকহীন নয়নে তাকিয়ে আছে। রাতের জয়া আর এখনকার জয়ার মাঝে আকাশ পাতাল ব্যবধান। জয়া ভাবীকে কিছু না বলে রুমে চলে গেল।

– রাজ কিছুক্ষণ পর রুমে গিয়ে দেখে জয়া শাড়ি না লুঙি পরে আছে। রাজ হাসবে না কাঁদবে কিছু বুঝতে পারছে না। জয়া বার বার শাড়ির কুচি দেওয়ার চেষ্টা করতে পারছে না। রাজ দূরে দাঁড়িয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। জয়া খেয়াল করেনি রাজ রুমে আসছে।

” এখন রীতিমতো জয়ার রাগ হচ্ছে। শাড়িটাও সে পরতে পারে না এভাবে নিচে কিভাবে যাবে!”

” হঠাৎ জয়া খেয়াল করলো কে যেন তার শাড়ির কুঁচি দিচ্ছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই রাজ শাড়ি কুঁচি করে গুঁজে দেয়। তখন হাতটা অনিচ্ছা সত্ত্বেও জয়ার স্পর্শকাতর জায়গায় লাগে। জয়া শরীরটা কেমন যেন শিউরে উঠে! মনে হয় সারা শরীরে বিদ্যৎ বয়ে যাচ্ছে। জয়া রাজেরর গালে চড় বসিয়ে দেয়।
” রাজ অবাক হয়ে জয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।”

” কি এভাবে তাকিয়ে কি দেখছিস? তোর কি করে সাহস হয় রুমে না বলে প্রবেশ করার তার উপর আমাকে শাড়ি পরাতে গিয়ে ওখানে হাত দেওয়ার।
:
:
#Part :- 03
:
:
-: কিছু বুঝে উঠার আগেই রাজ শাড়ি কুঁচি করে গুঁজে দেয়। তখন হাতটা অনিচ্ছা সত্ত্বেও জয়ার স্পর্শকাতর জায়গায় লাগে। জয়া শরীরটা কেমন যেন শিউরে উঠে! মনে হয় সারা শরীরে বিদ্যৎ বয়ে যাচ্ছে। জয়া রাজেরর গালে চড় বসিয়ে দেয়।
” রাজ অবাক হয়ে জয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।”

” কি এভাবে তাকিয়ে কি দেখছিস? তোর কি করে সাহস হয় রুমে না বলে প্রবেশ করার তার উপর আমাকে শাড়ি পরাতে গিয়ে ওখানে হাত দেওয়ার। তোর কি মনে হয় তোর এসবে আমার মন গলে যাবে? মনে রাখিস আমি পৃথিবীতে যদি কাউকে ঘৃণা করি তাহলে সেটা তুই। ”

” জয়া তুমি যতই অবহেলা করো না কেন আমি তোমাকে ভালোবাসবোই। তোমার মন ঠিকই জয় করে নিব। ”

” একটা খুনি আমার মন জয় করে নিবে?’যার কারণে আমার মায়ের মতো বড় বোন আত্মহত্যা করেছে। কি দোষ করেছিল আমার বোন? কি দোষ করেছিলাম আমি? ভালোই তো বাসতাম তোমাকে। নিজের সবটা দিয়ে ভালোবেসেছি। তার প্রতিদান স্বরূপ নিজের কলিজার টুকরো বোনকে হারিয়েছি। আমি তোকে ঘৃণা করি। তোর মুখটাও দেখতে ইচ্ছে হয় না আমার।

”রাজ আর জয়ার তর্কাতর্কির সময় রাজের ভাবী রুমে এসে পড়ে।’
” কি হলো তোমরা এভাবেই থাকবে? নিচে খেতে আসো। রোমান্স করার অনেক সময় পাবে। ”

” সকালে নাস্তা করে রাজ জরুরি কাজে অফিসে চলে যায়। অফিস থেকে আসার সময় জ্যামে যখন আঁকটে পড়ে। হঠাৎ খেয়াল করে দেখতে পায় একটা নয় -দশ বছরের মেয়ে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ির কাচ নামিয়ে দিতেই মেয়েটা বললো,’ স্যার একদম তাজা বেলী ফুলের মালা। ম্যাডামের জন্য নিয়ে যান ম্যাডাম অনেক খুশি হবে। ”

” রাজ মেয়েটার কাছ থেকে একটা ফুলের মালা নিয়ে এক হাজার টাকার একটা নোট বাড়িয়ে দিলো।”

– স্যার সারাদিন পাঁচশো টাকার ফুলও বিক্রি করতে পারি না। এতো টাকা কিভাবে ভাংতি দিবো?”

” তোমাকে এক হাজার টাকাই দিয়েছি রেখে দাও। আর দো’আ করো তোমার ম্যাডাম যেন খুশি হয়।”

– রাজ ফুলের মালাটা ড্রেসিং টেবিলের উপরে রাখততেই দেখতে পেল জয়া বেলকণীতে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে।

– জয়া তুমি এটা করতে পারলে? আমার কথা একবারো তোমার মনে পড়লো না?”

” জয়া জারিফের কথা শুনে ফুঁপিয়ে কান্না করে দিল। ”

” কি হলো কাঁদছো কেন? ”

” জারিফ বিশ্বাস করো আমি ইচ্ছা করে বিয়েটা করিনি। রাজ আমাকে দেখতে গিয়ে অসভ্যতামি করেছে। তুমি যেভাবেই হোক আমাকে নিয়ে যাও। আমি এ নরকে থাকতে পারবো না। ”

” জয়া তুমি চিন্তা করো না আমাদের দু’জনকে কেউ আলাদা করতে পারবে না। আগামী মাসে আমি দেশে আসছি। আর তুমি পারলে রাজকে ডির্ভোস দিয়ে দাও। পরে কোন ঝামেলা হবে না। ”

” ওকে মাই সুইর্ট হার্ট! তুমি চিন্তা করো না। আমি যত তাড়াতাড়ি পারি রাজকে ডির্ভোস দিয়ে দিবো। আর একটা কথা আমি তোমার আমানত খেয়ানত করিনি। রাজকে আমি স্বামীর -অধিকার দেয়নি আর কোনদিন দিবোও না। ”

– জয়া ফোন কেটে দিয়ে পিছনে তাকাতেই দেখে রাজ দাঁড়িয়ে আছে। জয়া রাজকে কিছু না বলে রুমে চলে গেল।”

– জয়া ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে যখন চুল আঁচড়াচ্ছে এমন সময় রাজ বললো,’ জয়া তোমার খোপাতে বেলী ফুলের মালাটা খুব সুন্দর লাগবে। একটু পড়বে মালাটা?”

” জয়া মালাটা হাতে নিয়ে বললো,’ তাই বুঝি? খুব সুন্দর লাগবে তাই না। আচ্ছা তুই কি করে ভাবলি তোর দেওয়া ফুল আমি খোঁপায় জড়াবো?” কথাটা বলে মালাটা পা দিয়ে পিষে ফেলল!

– রাজ কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।

– রাত্রি বেলা রাজ ফ্লরে শুয়ে আছে। জয়া রাজকে শুনিয়ে শুনিয়ে জারিফের সাথে কথা বলছে। কথা বলার এক পর্যায়ে জারিফ বললো,’ বেবী একটা পাপ্পি দাও না?”

” ইশ আমার সরম করে তুমি পাপ্পি দাও। ”

জয়ার প্রতিটা কথা যেন রাজের বুকে তীরের মতো এসে বিঁধছে। জৈষ্ঠের আকাশটা যেন আষাড়ে দখল করে নিয়েছে। এই বুঝি মুষলধারে বৃষ্টি নামবে। জয়ার কথাগুলো রাজ সহ্য করতে পারছে না। তাই জয়াকে বললো,’ আমার বাড়িতে অন্য পুরুষের সাথে কথা বলা চলবে না। আর মনে রেখো তুমি আমার স্ত্রী। তুমি মানো বা না মানো সেটা তোমার বিষয়। ”
” কিসের স্ত্রী? জোর করে বিয়ে করলেই স্ত্রী হয়ে যায়। তিন বার কবুল বললেই কি শরীর ভোগ করাে লাইসেন্স পাওয়া যায়? শোন আমি ডির্ভোস চাই। তুই যদি সত্যিই আমাকে ভালোবাসিস সে ভালোবাসার কসম তুই আমাকে ডির্ভোস দিবি।'”

” জয়া এসব কি বলছো তুমি? ডির্ভোস!”

” হ্যাঁ ডির্ভোস, সামনে মাসে জারিফ আসবে। জারিফ এসেই আমাকে বিয়ে করবে। ”

” রাজ কি বলবে তার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। যে জয়া তাকে কলিজা ছাড়া ডাকতো না সে তার কাছে ডির্ভোস চাচ্ছে। সময় মানুষকে কত ভাবেই না পরির্বতন করে দেয়। ”

– এদিকে দেখতে দেখত প্রায় মাস চলে যায়। এখন রাজ আর জয়া নতুন অফিসের জন্য ঢাকায় থাকে। দুজনে একসাথে থাকলেো এতোদিনে রাজ জয়াকে একটা দিনের জন্যও কাছে পায়নি।

– প্রতিদিনের মতো রাজ অফিস থেকে আসার সময় কিছু না কিছু জয়ার জন্য ঠিকই নিয়ে আসবে। জয়া এ নিয়ে রাজকে নানা-ভাবে অপমান করবে। কিন্তু রাজের কোন অভিযোগ নেই জয়ার প্রতি কারণ রাজ জয়াকে ভালোবাসে। ”

-প্রতিদিনের মতো আজও রাজ অফিসে চলে যায়। রাজ অফিসে চলে যাওয়ার সাথর সাথেই জয়ার নাম্বারে একটা মেসেজ আসলো। দরজাটা খুলো তো।

– জয়া দরজা খুলতেই চমকে গেল। ‘ জারিফ তুমি? ”

– কেমন দিলাম সারপ্রাইজ?”

” আমি বিশ্বাসি করতে পারছি না আমার জারিফ দেশে এসেছে। দু’জনের চোখেই আনন্দ অশ্রু। জয়া আর জারিফের এই প্রথম সামনা সামনি দেখা হলো। জারিফ জয়ার কাছে রাজের বিষরে সবকিছু শুনে বললো,’ তুমি চিন্তা করো না আমরা খুব শ্রীঘ্রই বিয়ে করতে যাচ্ছি। তুমি শুধু রাজের থেকে ডির্ভোসটা নাও। আর আজ আমি আসি।

– জারিফ চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর রাজ বাসায় প্রবেশ করেই বুঝতে পারছে জয়া আজ ভীষণ খুশি। কিন্তু কেন?”

– রাত্রে জয়া জারিফের সাথে বিয়ে নিয়ে কথা বলছে। তখন রাজ বুঝতে পারলো জারিফ দেশে এসেছে। জারিফের আসার কথা শুনে রাজের বুকের ভেতরটা কেমন যেন করছে। মনে হচ্ছে প্রিয় বস্তুটা হারিয়ে ফেলতে যাচ্ছে। ”

– এদিকে জয়া জারিফের সাথে কথা শেষ করেই রাজকে বললো,’ রাজ কালকেই আমি ডির্ভোস চাই।”

– সরি আমি তোমাকে ডির্ভোস দিতে পারবো না। ” তবে একটা শর্তে ডির্ভোস দিতে পারি। ”

” কি শর্ত বলো? ”

” আগামী সাতদিন তুমি আমার স্ত্রীর মতো হয়ে থাকবে। যা বলবো তাই করবে। ” ভয় পেয়ো না স্বামীর অধিকার চাইবো না। আর কোনদিন তোমার সামনে এ মুখ নিয়ে দাঁড়াবো না। আর হ্যাঁ আজ অফিস থেকে আসার সময় ডির্ভোস লেটার নিয়ে এসেছি। সাতদিন পর সই করে দিবো। এখন বলো তুমি শর্তে রাজি কি না?”

”আচ্ছা আমি তোমার শর্তে রাজি।”

” তাহলে কাল সকাল থেকে সাতদিন শুরু।
.
.
চলবে………………♥
.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here