চলো তবে শূন্যতা ধরে হাঁটি পর্ব ১২

#চল তবে শূন্যতা ধরে হাঁটি
Zannatul ferdaous zannat
part:12

বিকালের ঘুমটা ভেঙ্গে যেতেই অন্তি বসার ঘরে ঢুকেই দাড়িয়ে পড়লো।

বিহনের মা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বেশ রসিয়ে রসিয়ে কথা বলছেন।অন্তিকে দেখে যেনো একগাল হেসে অন্তিকে ডেকে নিয়ে পাশে বসালেন।
তারপর অন্তির মাকে উদ্দেশ্য করে বললেন
-বুঝলেন ভাবি আপনার মেয়েটা কিন্তু অনেক লক্ষি।আমার তো ওই এক ছেলে, কোনে মেয়ে নেই।এমন একটা মেয়ে থাকলে আর কি চাই বলুন তো।

অন্তির কাছে বেশ বিরক্ত লাগছে তবুও চুপ চাপ মুখে হাসি ফুটিয়ে বসে আছে।

মিসেস হাসনাত মিষ্টি হেসে বললেন
-আমার মেয়েটা একদম মাটির পুতুল।যেমন রাখি অমনই থাকে।
এটুকু বলেই অন্তির গালে হাত বুলিয়ে দিলেন মিসেস হাসনাত।

তবে এসুযোগটা যেনো মিসেস চৌধুরি অর্থাৎ বিহনের মা কোনো ভাবেই হাত ছাড়া করলেন না।ফট করে বলে ফেললেন
-ভাবি মেয়েটা আমাকে দিয়ে দিন।আমার বেশ পচ্ছন্দ।নিজের মেয়ে করেই রাখবো।

অন্তির মার গলায় যেনো চা আটকে গেলো।অন্তিও হা করে বিহনের মার দিকে তাকালো।এমন কিছু হবে সে কল্পনাও করে নি।

বিহনের মা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বললো
-আমার ঘরে একটা যোগ্য ছেলে আছে আর আপনার মেয়েটাও বড় হচ্ছে।হাতের কাছে এমন ভালো মেয়ে থাকতে কেনো শুধু শুধু হাতছাড়া করবো বলেন তো।আমার ছেলেরও কিন্তু আপনার মেয়েকে বেশ পচ্ছন্দ।

পাশের রুম থেকে অন্তির বাবা পেপার ভাজ করতে করতে বসার রুমে ঢুকে অন্তিকে উদ্দেশ্য করে বললেন
-অন্তি তোমার রুমে যাও।আমরা বড়রা কিছু কথা বলি।

এই একটা কথাই যেনো অন্তির বুকে ভয় সৃষ্টি করলো।কি বলবে ওর বাবা???বিহনকে কি ওদের পচ্ছন্দ????আরশান!!! আরশানকে ছাড়া তো অন্তি আর কাউকে বিয়ে করতে পারবে না।তাহলে এখন কি সবার সামনে এই ব্যাপারে না করে দিবে।এসব ভাবতে ভাবতেই এলো মেলো পায়ে নিজের রুমে ঢুকে পর্দা টেনে দরজা চাপিয়ে রাখলো।পুরো দরজা ব্ন্ধ করলো না অন্তি।বুকের ভেতর কেমন জানি ভয় করছে।

অন্তি কোনোদিনও আড়ি পেতে কারও কথা শুনে নি।তবে আজ এছাড়া উপায়ও নেই।কি হচ্ছে তা জানাটা খুব জরুরি।কান পেতে শুনতে লাগলো।যদিও মিসেস চৌধুরি কি বলছেন তা স্পষ্ট শোনা না গেলেও অন্তির বাবার গলাটা অন্তি স্পষ্টই শুনছে।

অন্তির বাবা খুব ঠান্ডা মাথার মানুষ।কথাও খুব গুছিয়ে বলতে পারেন।মিসেস চৌধুরির উদ্দেশ্যে বললেন
-আপা আপনি একটা প্রস্তাব রেখেছেন।আমরা অবশ্যই তার সম্মান করি।কিন্তু আমার মেয়েটা অনেক ছোট।সবে ইউনিভার্সিটি তে পা রাখলো।একটা বছরও যায়নি।এখনই বিয়ে দিবো না আমরা।

মিসেস চৌধুরি বললেন
-এখনই কেনো বিয়ে দিতে হবে।ওরা এযুগের ছেলে মেয়ে কথা বলুক।ওদের মাঝে আন্ডারস্ট্যান্ডিং আসুক।আমরা তো বিয়েটা পড়েও দিতে পারবো।

অন্তির মা কিছু বলতে গেলে অন্তির বাবা তাকে থামিয়ে আবার বললেন
-আপা আমরা এসব এখনই ভাবছি না
-আপনার মেয়েকে আমাদের সবার বেশ পচ্ছন্দ।আমার ছেলেটাতো অন্তিকে দেখার পর থেকেই আমাকে বলছে।নিজেকে যোগ্য করারও চেষ্টা করছে।

অন্তির বাবা এবার মুখটা আর একটু শক্ত করে বললেন
-ও কি সব বাজে অভ্যাসও ছেড়ে দিয়েছে???আমি জানি আপা আপনার শুনতে খারাপ লাগবে।তবুও এটা আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ জীবনের প্রশ্ন।আমি বলতে চাচ্ছিলাম না এসব তবুও বলতে হচ্ছে,
এ বাড়িতে আমি যখন ভাড়া নিলাম হঠাৎ একদিন ছাদে একজনকে গাঁজা খেতে দেখেছি।ছেলেটা কিন্তু বিহন ছিলো।

মিসেস চৌধুরির যেনো বুকের মাঝে ধক করে উঠলো।কি বলবেন বুঝতে পারছেন না।কিছু বলতে যাবোন তার আগেই অন্তির বাবা আবার বললেন

-আমার সে মুহূর্তে মনে হয়েছিলো ভুল বাসায় ভাড়া নিয়ে ফেলেছি।আমার ছেলেমেয়ে গুলো ছোট ওদের উপর এসব আবার প্রভাব না ফেলে।আবার মনে হলো এতো বড় বাড়িতে এসব কিছু একটু আধটু হয়তো হয়।আমার সন্তান রা এসবে জড়াতে যাবে না।ওদের ছাদে যেতে বারন করে দিলাম।তবুও হয়তো অন্তি দু একবার গেছে।মেয়েটা আমার খোলামেলা যায়গা পচ্ছন্দ করে তাই ওকে সেভাবে বাধা দেই নি।এখন মনে হচ্ছে বাঁধা দেয়া উচিৎ ছিলো।

আর আমি নিজে বিহন সম্পর্কে খোজ নিলাম।
সম্ভবত ওর ইউনিভার্সিটির একটা ঝামেলায় জড়িয়ে ও দু বছরের জন্য বহিস্কৃত হয়েছিল।তারপর থেকে এমন নেশা করে অথবা বলতে গেলে বাজে অভ্যাস গুলো তে জড়িয়ে গেছে।তবে একটা বিষয় আমাকে স্বস্থি দিয়েছিলো যে ওই ছেলের মেয়েদের ব্যাপারে কোনো বাজে রেকর্ড নেই।তাই অন্তিকে নিয়ে আমি এই বিষয়টা নিয়ে বেশি ভাবি নি।কিন্তু আজ যখন প্রস্তাব আসছে এখন এটাও মনে হচ্ছে ভাবা দরকার ছিলো।

মিসেস চৌধুরি লজ্জিত ভঙ্গিতে বললো
-আমার ছেলেটা শুধরে গেছে ভাই।অন্তিকে পেলে ও একদম ভালো হয়ে যাবে।সব ছেড়ে দিবে।আর আমাদের আল্লাহর রহমতে অনেক সম্পতি।ঢাকা শহরে এমন আরও তিনটা বাড়ি আছে।অনেক জমি জমা আছে।আর এই সব কিছুর উত্তরাধিকারী বিহন চৌধুরি।আর বিহনের সব কিছু তো অন্তিরই হবে।অনেক আয়েশে জীবন কাটাতে পারবে।

অন্তির বাবা একটু হেসে বললেন
-আপা আপনার মতো শ্বাশুড়ি আর মিস্টার চৌধুরীর মতো শ্বশুর পাওয়া যে কোনো মেয়ের জন্য ভাগ্যের ব্যাপার।কিন্তু যার সাথে সম্পর্কে জড়াবে তার উপরই আমার ভরসা নেই।বিহনের সম্পত্তি অবশ্যই আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য অত্যন্ত লোভনীয়। কিন্তু আমার মেয়ের জীবনটা আমি লোভে পড়ে অনিশ্চিত করে দিতে পারবো না।আমার হয়তো অঢেল টাকা পয়সা নেই তবে আমার সন্তান দুটো আমার কাছে সব থেকে বড় সম্পদ।ওদের জীবনের নিশ্চয়তা আমার কাছে সব কিছুর উর্ধ্বে।

-ভাই আমি আমার ছেলের সুখটাও তো ভাবছি।আমি জানি আপনার মেয়ে আমার ছেলেটাকে একদম শুধরে দিবে।

-আপনি নিজে তো জানেন আপনার ছেলের ফল্ট গুলো।অন্তি আপনার মেয়ে হলে আপনি কি আপনার মেয়েকে এমন ছেলের হাতে দিতেন????আপা আমার মেয়েটা কখনও নিজের জন্য কিছু চায় নি।খুব সাদামাটা একটা মেয়ে।সবসময় আমাদের ইচ্ছা ওর উপর চাপিয়ে দিয়েছি ও মুখ বুজে সহ্য করেছে।এবার ও মুখ ফুটে বলেছে ও পড়ালেখা করতে চায়।খুব নাম করতে চায়।প্রথম সেমিস্টারেও খুব ভালো রেজাল্ট করেছে।আমি ওর স্বপ্নটা শেষ করতে চাই না।ও ওর জন্য কখনও কিছু চাইতে পারে না।নিজের হয়ে কিছুর প্রতিবাদও করতে পারে না।ওর আবদার অনেক কম।আমি এটা পূরন করতে চাই আপা।

এই কথাটার পড় মিসেস চৌধুরি আর একটাও কথা বললেন না।চুপচাপ উঠে চলে গেলেন।

অন্তির এই মূহুর্তে পুরো পৃথিবী আবার রঙ্গিন লাগছে।খুব নাচতে মন চাচ্ছে ওর।ইশ হুট করেই সব কিছু সুন্দর লাগে কেনো??

ওর বাবাকে ও ঠিক বুঝে না।আচ্ছা অন্তি কি সবসময় ওর বাবা মা কে ভয় পেয়ে ভুল বুঝে দূরে থেকেছে???কখনও কি নিজে থেকে বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করেছে??নাহ অন্তি তো এটা কখনই করে নি।

পিহুকে কোলে নিয়ে মনে মনে ভাবলো
-বাবা মা তো এখনো পর্যন্ত আমার জন্য খারাপ কিছু করে নি।শাসন হয়তো বেশি করে।কিন্তু আমি যেনো ভুল না করি সেই জন্য।আর এই শাসন কে বড় করে দেখেই কি আমি তাদের থেকে দূরে সরে এসেছি????

অন্তির বাবার আর একটা কথা তার খুব ভালো লেগেছে।ও আর রুশ্য ওর বাবার সম্পদ।অন্তি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো ও সত্যিকারের সম্পদ হয়ে দেখাবে।জীবনে অনেক বড় হবে ও।

রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়াটা অন্তির কেমন যেনো লাগে।চারপাশে কত কত মানুষ।এতো মানুষের মাঝে অন্তির খুব নার্ভাস লাগে।অনেক কাজিন বন্ধু বান্ধব অথবা ফ্যামিলির সবাই থাকলেও এতোটা নার্ভাস লাগে না।কিন্তু কাপলদের মতো বসে থাকাটা খুব অস্বস্তিকর। পরিচিত কেউ দেখে ফেললে খুব বড় ঝামেলা হয়ে যাবে।অন্তি দাঁত দিয়ে নখ কাটতে কাটতে বললো
-শান আমার পরিচিত কেউ যদি দেখে ফেলে??

আরশান হেসে দিয়ে বললো
-তুমি তো জিমে করেছো অনেক দিন।নাক বরাবর বসিয়ে দিবে।শক্তি পরিক্ষা করাও হয়ে গেলো।বেচারা ভয়ে বলবেও না।
-সব কিছু নিয়েই মজা করো কেনো??
-ধরা না পড়লে প্রেমে মজা নেই অন্তি।
-খুব মজা তাইনা??ধরা পড়লে কি হয় এখনো শিক্ষা হয়নি???

আরশান অন্তির হাত ধরে বললো
-এবার কিছু হলে তুলে এনে বিয়ে করবো অন্তি।তোমাকে হাড়িয়ে যেতে দিবো না।তবে আমার মনে হয় তোমার এখন একটা ফোন ব্যাবহার করা উচিৎ।প্রিয়ার ফোন তো সবসময় তোমার কাছে থাকে না। কখন কি হয় তা তৎক্ষনাৎ আমাকে জানানোর জন্য।তাছাড়া কখন কোন বিপদে পড়।বাসার যোগাযোগ করার জন্য হলেও।

অন্তি আর কিছু বললো না।

আরাশনের সাথে যতোক্ষন থাকে প্রতিটা মুহূর্ত অনেক সুন্দর হয়ে যায়।আরশান যখন অন্তির চুল গুলো তে হাত বুলায় অন্তির কতোটা খুশি লাগে তা অন্তি বলে বুঝাতে পারবে না কাউকে।যখন আরশান অন্তির গাল টেনে দেয় আর তার পর গাল লাল হয়ে গেলে কানে ধরে সরি বলে এই দৃশ্যটাও অন্তিকে মুগ্ধতা দেয়।
আজ আরশান বলছিলো
-অন্তি তুমি প্রেমিকা টাইপ নও তুমি হলে পাক্কা সংসারী টাইপ মেয়ে।

অন্তি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো
-মানে???
-এই যে,প্রেমিকাদের এতোএতো আবদার থাকবে।এটা চাইবে ওটা চাইবে।রোমান্স থাকবে।গল্প করবে।ঘুরাঘুরির জন্য অস্থির থাকবে।
কিন্তু তুমি?? তোমার সব সময় আমি কি করলাম??খেয়েছি কিনা??সবাই ঠিক আছে তো??ধরা খাবো নাতো??এসব চিন্তা

অন্তি এখন প্রেম করছি প্রেমটাতেই মন দাও। বিয়ের পর কিন্তু এই জীবনটা পাবে না।তখন চাইলেও এই মুহূর্তের মজাটা পাবে না।তখনও আমরা প্রেম করবো তবে এমন টা হবে না।সেসময়ের প্রেমটা আলাদা।
তুমি বরং বাদাম খেয়ে পার্কে বসে প্রেম করাটাই এখন মন ভরে উপভোগ করো।

অন্তি আরশানকে বললো
-আমি কি তোমার শুধুই প্রেমিকা?
-নাহ্।আমার বন্ধু, আমার সপ্ন,আমার ভবিষ্যত আর আমার অর্ধাঙ্গিনী।তবে তোমাকে আমি পাগলি ডাকবো।কেননা তুমি নিজে আমাকে দূরে দূরে থাকতে বলো,দেখা করতে না করো,আমাকে শাসন করো,অথচ এই তুমি আমাকে দেখার জন্য অস্থির হয়ে যাও।এটা কি অনেক বেশি ভালোবাসার পাগলামি????আচ্ছা অন্তি ভালোবাসা কেনো এমন অসহ্যকর সুখের হয়।

ছেলেটা কিসুন্দর করে কবিতা বলছিলো আজ

“”””-পাগলী, তোমার সঙ্গে ভয়াবহ জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে ধুলোবালি কাটাব জীবন
এর চোখে ধাঁধা করব, ওর জল করে দেব কাদা
পাগলী, তোমার সঙ্গে ঢেউ খেলতে যাব দু’কদম।

অশান্তি চরমে তুলব, কাকচিল বসবে না বাড়িতে
তুমি ছুঁড়বে থালা বাটি, আমি ভাঙব কাঁচের বাসন
পাগলী, তোমার সঙ্গে বঙ্গভঙ্গ জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে ৪২ কাটাব জীবন।””””

অন্তি মুখ ভার করে প্রশ্ন করেছিলো
-৪২ কেনো???আর বেশি নয় কেনো???

রিক্সায় বসে এসব ভাবতেও অন্তির বেশ হাসি পাচ্ছে।আরশান এতো সুন্দর করে কথা কেনো বলে???এই একটা জিনিস অন্তিকে মুগ্ধতায় বন্দি করে দেয়।

চলে আসার সময় আরশানকে মন ভরে দেখছিলো অন্তি -গালে ছোট ছোট দাড়ি,রেডিস পিংক ঠোট,কেমন মেয়েলি চোখ আর হাত দিয়ে বার বার একপাশ করে কাটা চুলগুলো ব্যাক ব্রাশ করা প্রতিটা বিষয় অন্তি খেয়াল করেছে।কালো টিশার্টের গলাটা টানতে টানতে বার বার বলছিলো
-সাবধানে যাবে কিন্তু।
রিক্সায় তুলে দিয়েও বলছিলো
-মামা সাবধানে নিও।
ইশ এই ছেলেটা অন্তিকে এক জীবন মুগ্ধ করে রাখতে পারে।

ভাবতে ভাবতেই বাসার গেটে এসে নামলো অন্তি। লিফটে উঠেই বুকটা কেপে উঠলো অন্তির…বিহন চৌধুরী।
খুব যে রেগে আছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।অন্তি লিফট থেকে বেড়িয়ে পড়বে তার আগেই ছেলেটা অন্তির হাত টেনে ভিতরে নিয়ে দরজা বন্ধকরে দিলো
অন্তির ভয়ে কাপা কাপা ঠোঁটের কাছাকাছি মুখ এনে হাতদুটো চেপে ধরে বললো
-বাসা ছেড়ে দেওয়ার কি দরকার। আমি কি জোড় করে বিয়ে করছি????দূর থেকেই তো দেখি।সামনে এসে কি বিরক্ত করি???তোমার বাবাকে বলবে বাসা ছাড়ার চিন্তা ঝেড়ে ফেলতে।আর

অন্তি আর কিছু বলার আগেই কোনমতে হাতটা ছুটিয়ে নাক বরাবর সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে একটা ঘুসি দিতেই ব্যাথায় বিহন হাত ছেড়ে দিলো

অন্তিঝটপট ব্যাগ থেকে কাঁচি বেড় কড়ে চোখালো অংশ টুকু দেখিয়ে বললো
-আর একপা ও এগোবি না।আমার কাছে ঘেসবি না।

বিহন গলা খাকরে বললো
-আরশান কাছে ঘেসলে ভালো লাগে তাইনা??আমার না হলে আমি আরশানেরও হতে দিবো না তোমাকে অন্তি।এতো সহজে আমি হেরে যাবে না।

চলবে….

(বিঃদ্রঃ কবিতার অংশটুকু “জয় গোস্বামী “-র লেখা ” পাগলি,তোমার সঙ্গে” কবিতা থেকে নেয়া)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here