চাঁদ হয়ে রবো পর্ব ৫

#চাঁদ_হয়ে_রবো
পা মাটিতে ফেলতে পারছে না।
তুষার সিগারেটের আগুন দিয়ে পা পুরে দিয়েছে।
পায়ের পাতায়।নিচে ও উপরে।
গোল গোল পোড়া দাগ পরে ফোসকা পরে গেছে।
মেজেতে পা ফেলছে আর চিৎকার দিয়ে পা উপরে তুলে ফেলছে।
,
সাথে আবার মেরেছেও।পেটে।প্রচুর ব্যথা করছে।
কয়েকটা কিল গুসি গিয়ে পেটের নিচে লেগেছে।
অসহ্য যন্ত্রনায় চোখ দিয়ে টপ টপ করে জল পরছে।
,
তুষারের মনে ভিতর কখন কি চলে সে নিজেই জানে অথবা তাও জানে না।
,
আজকে মারার কারণ।জুতা কিন্তে গিয়ে দোকানের একটা ছেলে ওর পায়ে হাত দিয়ে জুতা পরিয়ে দেখিয়েছে।
একবার না বার বার টাচ করেছে।
দোকানের ছেলেটাকে তো মেরেছে।
বাড়ীতে এনে পৌষীকে মেরেছে।
,
লোকটা যদি ওর পায়ে হাত দেয় তাহলে কি ওর কোনো দোষ ছিলো।
বুজতে পারছে না।
,
সেদিন মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার পর কতো কেয়ার করোছিলো।।
ও ভেবেছে।মাথা ব্যথার জন্য।তাই বামও ডলে দিলো।
সারা রাতে বুকের সাথে চ্যপটা করে জরিয়ে ঘুমালো।
বার বার জেগে জানতে চাইলো কোথাও ব্যথা আছে কি না।
আমি ভয় পেয়েছি কিনা।
লোকটা মনে হয় আমাকে ওভাবে পরে থাকতে দেখে ভয় পেয়েছে না নতুন করে মায়া জেগেছে।
আসলে কি ভয় পেয়েছে।
,
জীবনটা যদি সেদিনের রাতেই থমকে জেতো।
গল্পে সিনেমায় টইম মেশিন থাকে আমার যদি থাকতো।জীবনটা নিজের করে সাজিয়ে নিতাম।
“হায় রে অদিষ্ঠ্য।মানব মন বরই বিচিত্র।সুখের পিছনে ছুটে।বাস্তবতা খুজে না।মানব বড় গাধা চরম গাধা”
,
বিথীর জন্য অপেক্ষা করছে পৌষী।
সে কি শ্বাসরুদ্ধ কর অপেক্ষা
ও যেটা ভাবছে তাহলে কি শেষ মেষ তাই হবে।
ও সব সিমটম থেকে মনে হচ্ছে ও প্রগনেন্ট।
হায়।ধারনা যদি ঠিক হয় তুষার কি খুশি হবে।
হবেই তো।
ওই তো সেদিন বলল।
আমার ছোটো ছোটো দুইটা হাত পা চাই।
নরম তুলতুলে একটা তুষী অথবা পৌষর চাই।
,
পৌষী মিট মিট করে হাসছে।
কি জানি তুষারের রিয়েক্ট কেমন হবে।
মারের ব্যথার থেকে এই অদৃশ্য সুখটা টানছে।
দুই ঠোটে হাসি ফুটিয়ে তুলেছে।
চোখে দু ফোটা রুপালী পাথরের ঝিলিক।
কি সুখ যা পৌষী বুজতে পারছে।
তুষারের দেওয়া ব্যথা থেকে প্রাপ্তি সুখটা
শতাধিক গগনচুম্বী।
,
বিথী হর হর করে রুমে ঢুকে বলল
” নাও তোমার জীনিস”
পৌষী প্রশ্নসূচক বাক্য ছুড়ে দিলো ওর দিকে
“কিহহ?
তুমি আনলে কিভাবে?
তোমার সাহস তো প্রংসাতূল্য?
এতটা রিস্ক নেওয়া ঠিক হলো না?
তুমি অবিবাহিত হয়ে এসব আনলে?
নিশ্চই পারার লোক ফার্মিসির
লোকটা তোমার দিকে কেমন কেমন ভাবে তাকিয়েছে?
আমার জন্য এতো কষ্ট করলে?
কি বলে যে তোমাকে ধন্যবাদ দিবো?
ঋণেজড়িত হয়ে গেলাম আমি?
,
বিথীর চোয়াল ঝুলে পরলো।
মেয়ে বলে কি?কিছু বলতে যাবে তখনি তনয় এসে হাজির।
“কিরে ভুতি তুই মেডিসিন সপে গেলি কেন?”
বিথী চোখ খিচে বলল
“পৌষী ভাবী?”
“পৌষী।।।মানে ছোটে আপু।কি হয়েছে?”
“ছোটো আপিও বললি নাম ও বললই কেন।ভাবী হয় তোর ভাবী বল”
“ও আমার থেকে ছোটো আদর করে ছোটো আপু বলি এটাই এনাফ”
বিথী মুখ ভেঙচি কেটে বলল
“এনাফ।।ঢং।।বয়সে ছোটো হলে।সম্পর্কে বড়।ভাইয়ের বউ”
“থামা তোর লেকচার।বল কি হয়েছে”
প্রসঙ্গ পালটে।সংক্ষেপে তুষার যে পৌষীকে মেরেছে তার কারণ বলল।তবে মেডিসিন সপে কেনো গিয়েছে বলেনি।
তনয়ের চোখে মুখে নিজের ভাইয়ের কাজে লজ্জিত।হয়ে নিজেকে ছোটো মনে হচ্ছ।সেই অপরাধীর ছাপ।
পৌষী কে সরি বলল।
,
“তেমার পা টা একটু দেখাবে ভাবী”
“না না ছোটো ভাই আমি ঠিক আছি”
“খুব কষ্ট হয়”
“ধূর।।ওভাবে অপরাধী মুখ করে তাকাতে হবে না।আমি একদম ফিট।”
,
তনয় অনেক কথা বলতে চায় কিন্তু কিছু বলল না।বলার মতো কিছু রাখেনি তুষার।এটুকু বাচ্চা মেয়েকে আর কতো সহ্য ক্ষমতা দিয়েছে আল্লাহ জানে।মাথা নিচু করে দাড়ীয়ে।শ্বাশুড়ি রুমে এসে বলল
“বেলা তো কম হলো না।রান্না বান্না কি কিছু হবে না বাড়ী সবাই না খেয়ে থাকবে।”
পৌষী অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।
ও কিভাবে রান্না করবে।দাড়াতে তো পারছে না।
তনয় সাফ সাফ বলে দিলো পৌষীর পায়ে ব্যথা ও পারবে না।
বিথী কিছু একটা করবে।
,
ছেলের দিকে তাকিয়ে বলল
“কাল নাগীনি।মায়া করেছে।আমার দুটো ছেলেকে”
থতমত খেয়ে বসে রইলো।পৌষী।
মায়ের মায়া থেকে তো কবেই বঞ্চিত হয়েছে।বিয়ের ওর যে ভাবলো।মা হিসেবে শ্বাশুড়ি সব।
কিন্তু তার মনও যে তুষারের মতো কখন পৌষীকে কাছে টানে কখন দূরে ঠেলে দেয় কিছুই বুজে না।
,
বিথী হাতের প্যকেটটা ওর হাতে গুজে দিয়ে বলল।
“তুমি কি খাবে।ঝাল ঝাল মাংস রান্না করবো না।তোমার ফেবারেট খিচুরি।”
পৌষী দির্ঘস্বাস ফেলে তনয়ের দিকে তাকালো।
তনয় স্মিত হেসে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
,
তুষার তনয় দুটো দু মেরুর মানুষ।
একজন আগুন তো একজন বরফ।
ভাইদের মধ্যে মিল থাকে জানি এদের দুজনে উত্তর।দক্ষিণ।অপরাধ একজনার অপরাধ বোধ করছে অন্য জনে।
,
বিথী পৌষীর চোখের সামনে তুরি মেরে বলল
“বাদ দাও এখন।সু খবরের অপেক্ষা যাও তো”
এতক্ষণ হুস পিরলো।ভাগ্যিস ও মনে করালো হাত থেকে কাগজে মোরানো।প্রেগন্যান্সি টেস্ট কীট বের করে হাতে নিলো।বিথী হাসছে।ওর খুব খুশি লাগছে।ওর ভাই তুষারের ছোট্টো একটা তুষার আসবে।খুশিতে লাফালাফি করতে ইচ্ছা করছে।
মসজিদে আজান যেভাবে দিলে সবাই সুনে।ওর ও অমন মাইক নিয়ে সবাইকে জানতে ইচ্ছা করছে।ও পিসি হবে।ওর ভাই বাবাই হবে।
–হিহিহিহিহি,,
,
,
চলবে,,,,,
পর্ব-৫
“চাঁদ হয়ে রবো”
~খাদিজা বিনতে হক
,
( আপনাদের অনুপ্রেরণা।আমাকে আবার লিখতে সাহস যুগিয়েছ।ধন্যবাদ।জানি না কেমন লিখছি।নিজের সবটা দিয়ে একটা ভালো পা মাটিতে ফেলতে পারছে না।
তুষার সিগারেটের আগুন দিয়ে পা পুরে দিয়েছে।
পায়ের পাতায়।নিচে ও উপরে।
গোল গোল পোড়া দাগ পরে ফোসকা পরে গেছে।
মেজেতে পা ফেলছে আর চিৎকার দিয়ে পা উপরে তুলে ফেলছে।
,
সাথে আবার মেরেছেও।পেটে।প্রচুর ব্যথা করছে।
কয়েকটা কিল গুসি গিয়ে পেটের নিচে লেগেছে।
অসহ্য যন্ত্রনায় চোখ দিয়ে টপ টপ করে জল পরছে।
,
তুষারের মনে ভিতর কখন কি চলে সে নিজেই জানে অথবা তাও জানে না।
,
আজকে মারার কারণ।জুতা কিন্তে গিয়ে দোকানের একটা ছেলে ওর পায়ে হাত দিয়ে জুতা পরিয়ে দেখিয়েছে।
একবার না বার বার টাচ করেছে।
দোকানের ছেলেটাকে তো মেরেছে।
বাড়ীতে এনে পৌষীকে মেরেছে।
,
লোকটা যদি ওর পায়ে হাত দেয় তাহলে কি ওর কোনো দোষ ছিলো।
বুজতে পারছে না।
,
সেদিন মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার পর কতো কেয়ার করোছিলো।।
ও ভেবেছে।মাথা ব্যথার জন্য।তাই বামও ডলে দিলো।
সারা রাতে বুকের সাথে চ্যপটা করে জরিয়ে ঘুমালো।
বার বার জেগে জানতে চাইলো কোথাও ব্যথা আছে কি না।
আমি ভয় পেয়েছি কিনা।
লোকটা মনে হয় আমাকে ওভাবে পরে থাকতে দেখে ভয় পেয়েছে না নতুন করে মায়া জেগেছে।
আসলে কি ভয় পেয়েছে।
,
জীবনটা যদি সেদিনের রাতেই থমকে জেতো।
গল্পে সিনেমায় টইম মেশিন থাকে আমার যদি থাকতো।জীবনটা নিজের করে সাজিয়ে নিতাম।
“হায় রে অদিষ্ঠ্য।মানব মন বরই বিচিত্র।সুখের পিছনে ছুটে।বাস্তবতা খুজে না।মানব বড় গাধা চরম গাধা”
,
বিথীর জন্য অপেক্ষা করছে পৌষী।
সে কি শ্বাসরুদ্ধ কর অপেক্ষা
ও যেটা ভাবছে তাহলে কি শেষ মেষ তাই হবে।
ও সব সিমটম থেকে মনে হচ্ছে ও প্রগনেন্ট।
হায়।ধারনা যদি ঠিক হয় তুষার কি খুশি হবে।
হবেই তো।
ওই তো সেদিন বলল।
আমার ছোটো ছোটো দুইটা হাত পা চাই।
নরম তুলতুলে একটা তুষী অথবা পৌষর চাই।
,
পৌষী মিট মিট করে হাসছে।
কি জানি তুষারের রিয়েক্ট কেমন হবে।
মারের ব্যথার থেকে এই অদৃশ্য সুখটা টানছে।
দুই ঠোটে হাসি ফুটিয়ে তুলেছে।
চোখে দু ফোটা রুপালী পাথরের ঝিলিক।
কি সুখ যা পৌষী বুজতে পারছে।
তুষারের দেওয়া ব্যথা থেকে প্রাপ্তি সুখটা
শতাধিক গগনচুম্বী।
,
বিথী হর হর করে রুমে ঢুকে বলল
” নাও তোমার জীনিস”
পৌষী প্রশ্নসূচক বাক্য ছুড়ে দিলো ওর দিকে
“কিহহ?
তুমি আনলে কিভাবে?
তোমার সাহস তো প্রংসাতূল্য?
এতটা রিস্ক নেওয়া ঠিক হলো না?
তুমি অবিবাহিত হয়ে এসব আনলে?
নিশ্চই পারার লোক ফার্মিসির
লোকটা তোমার দিকে কেমন কেমন ভাবে তাকিয়েছে?
আমার জন্য এতো কষ্ট করলে?
কি বলে যে তোমাকে ধন্যবাদ দিবো?
ঋণেজড়িত হয়ে গেলাম আমি?
,
বিথীর চোয়াল ঝুলে পরলো।
মেয়ে বলে কি?কিছু বলতে যাবে তখনি তনয় এসে হাজির।
“কিরে ভুতি তুই মেডিসিন সপে গেলি কেন?”
বিথী চোখ খিচে বলল
“পৌষী ভাবী?”
“পৌষী।।।মানে ছোটে আপু।কি হয়েছে?”
“ছোটো আপিও বললি নাম ও বললই কেন।ভাবী হয় তোর ভাবী বল”
“ও আমার থেকে ছোটো আদর করে ছোটো আপু বলি এটাই এনাফ”
বিথী মুখ ভেঙচি কেটে বলল
“এনাফ।।ঢং।।বয়সে ছোটো হলে।সম্পর্কে বড়।ভাইয়ের বউ”
“থামা তোর লেকচার।বল কি হয়েছে”
প্রসঙ্গ পালটে।সংক্ষেপে তুষার যে পৌষীকে মেরেছে তার কারণ বলল।তবে মেডিসিন সপে কেনো গিয়েছে বলেনি।
তনয়ের চোখে মুখে নিজের ভাইয়ের কাজে লজ্জিত।হয়ে নিজেকে ছোটো মনে হচ্ছ।সেই অপরাধীর ছাপ।
পৌষী কে সরি বলল।
,
“তেমার পা টা একটু দেখাবে ভাবী”
“না না ছোটো ভাই আমি ঠিক আছি”
“খুব কষ্ট হয়”
“ধূর।।ওভাবে অপরাধী মুখ করে তাকাতে হবে না।আমি একদম ফিট।”
,
তনয় অনেক কথা বলতে চায় কিন্তু কিছু বলল না।বলার মতো কিছু রাখেনি তুষার।এটুকু বাচ্চা মেয়েকে আর কতো সহ্য ক্ষমতা দিয়েছে আল্লাহ জানে।মাথা নিচু করে দাড়ীয়ে।শ্বাশুড়ি রুমে এসে বলল
“বেলা তো কম হলো না।রান্না বান্না কি কিছু হবে না বাড়ী সবাই না খেয়ে থাকবে।”
পৌষী অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।
ও কিভাবে রান্না করবে।দাড়াতে তো পারছে না।
তনয় সাফ সাফ বলে দিলো পৌষীর পায়ে ব্যথা ও পারবে না।
বিথী কিছু একটা করবে।
,
ছেলের দিকে তাকিয়ে বলল
“কাল নাগীনি।মায়া করেছে।আমার দুটো ছেলেকে”
থতমত খেয়ে বসে রইলো।পৌষী।
মায়ের মায়া থেকে তো কবেই বঞ্চিত হয়েছে।বিয়ের ওর যে ভাবলো।মা হিসেবে শ্বাশুড়ি সব।
কিন্তু তার মনও যে তুষারের মতো কখন পৌষীকে কাছে টানে কখন দূরে ঠেলে দেয় কিছুই বুজে না।
,
বিথী হাতের প্যকেটটা ওর হাতে গুজে দিয়ে বলল।
“তুমি কি খাবে।ঝাল ঝাল মাংস রান্না করবো না।তোমার ফেবারেট খিচুরি।”
পৌষী দির্ঘস্বাস ফেলে তনয়ের দিকে তাকালো।
তনয় স্মিত হেসে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
,
তুষার তনয় দুটো দু মেরুর মানুষ।
একজন আগুন তো একজন বরফ।
ভাইদের মধ্যে মিল থাকে জানি এদের দুজনে উত্তর।দক্ষিণ।অপরাধ একজনার অপরাধ বোধ করছে অন্য জনে।
,
বিথী পৌষীর চোখের সামনে তুরি মেরে বলল
“বাদ দাও এখন।সু খবরের অপেক্ষা যাও তো”
এতক্ষণ হুস পিরলো।ভাগ্যিস ও মনে করালো হাত থেকে কাগজে মোরানো।প্রেগন্যান্সি টেস্ট কীট বের করে হাতে নিলো।বিথী হাসছে।ওর খুব খুশি লাগছে।ওর ভাই তুষারের ছোট্টো একটা তুষার আসবে।খুশিতে লাফালাফি করতে ইচ্ছা করছে।
মসজিদে আজান যেভাবে দিলে সবাই সুনে।ওর ও অমন মাইক নিয়ে সবাইকে জানতে ইচ্ছা করছে।ও পিসি হবে।ওর ভাই বাবাই হবে।
–হিহিহিহিহি,,
,
,
চলবে,,,,,
পর্ব-৫
“চাঁদ হয়ে রবো”
~খাদিজা বিনতে হক
,
(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here