চাঁদ হয়ে রবো পর্ব ৪

“চাঁদ হয়ে রবো”
পর্ব-৪/অন্তিম পর্ব
~খাদিজা বিনতে হক
,
বৃষ্টি এলো,
বারান্দাতে পাথরকুচির পাতা,
কাঁপছে যেনো জলের ফোঁটায়,
শেষ চিঠীটাও কান্না লেখার খাতা,
কেউ কি লোখে আর?
শব্দজুরে হাওয়ার মতন,জমায় হাহাকার?
ওপারে তার,শহর আলো,হৃদয় অন্ধকার।
–সাদাত হোসাইন
,
পিছন থেকে বিথী বলল।
“তোমার কতো গুন।তারপরও।এতো অবহেলা।অত্যাচার সহ্য করে থাকো কীভাবে”
পৌষী তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে বলল
“তাহলে কি করবো”
“প্রতিবাদ করো”
এবার কিছুটা হেসে বলল
“কিরকম।প্রতিবাদ।নারী নির্যাতন অফিসে গিয়ে মামলা করবো।না।হরতাল।মানব বন্ধন।মিছিল।নাকি।১৪৪ ধারা জারী করে কার্ফিউ দিবো।”
“মজা করছো”
“সিরিয়াসলি কিছু করার আছে।আমাদের নারীদের।অনেক কিছু সহ্য করতে হয় আগেও তাই করে এসেছে সবাই।সবার কি ধারণা জনো।এটাই জীবন মানিয়ে নীতে হবে।গুছিয়ে নিতে হবে।হাড়ি পাতিল এক সাথে থাকলে টুকটাক শব্দ তো হবেই।তা যদি ক্রিস্টাল হয় ভেঙেও যেতে পারে।”
“তোমার সাথে কথায় পারব না”
“জানোতো আমি একটা কথা শুনেছি।”
“কি কথা”
“ছেলেদের মায়া দেখাতে নেই।
তহলে মেয়েরা তাদের মায়ায় বাধে না।
ওদের রাগি ড্যম কেয়ার ভাব নিয়ে চলতে হয়।
নাহলে বউ তাকে ভয় পাবে না।
ওদের সিগারেট।নেশা করতে হয় তাহলে নাকি ছেলে ছেলে হয়।
রাগ দেখিয়ে বউকে দমিয়ে রাখতে হয় নাহলে বউ অন্য ছেলের সাথে বউ ভেগে যায়।
বউ অসুস্থ থাকলে পাশ ফিরে একবার জানতেও চাওয়া উচিৎ না।তাহলে নাকি বউ এর অসুখ বেরে যায়।
,
বিথী তাকিয়ে ভাবছে মেয়েটাকি ছেলেদের উপর পিএইচডি করেছে না কি।না।সত্যি সব ছেলেরা এমন।
তনয় রুমে এসে বলল
“আর আমার ব্যপারে কি মন্তব্য”
“আপনি তো আপনি”
বিথীর কাধে হাত রেখে বলল
“কখনও বিয়ে করলে।ছেলেকে দেখে নিবে।তুমি ছেলেকে ভালবাস কি না।”
বিথী হসলো।হাসির মাঝে অনেক কথা।
পৌষী তো মনোবিজ্ঞানী না।তাই হাসির মানে বুজলো না।
,
তনয় চলে গেলো।পৌষী বিথীর কানে কাছে মুখ নিয়ে বলল।
“তুমি আমার দেবরটাকে বিয়ে করতে পারো।
সরাসরি বলছি লজ্জা পেওনা।”
“তোমার দেবর।ওর মতো বাউণ্ডুলে ছেলেকে কে বিয়ে করবো।সারাদিন গান বাজনা আর থিয়েটার নিয়ে থাকে।”
“রোমান্টিক হবে মেনে নিও”
তনয় পিছন থেকে শুনে বলল।
“আমি বাউণ্ডুলে।আর তুই।”
“আমি বিথী”
“তুই ভুতি”
“কামর দিবো কিন্তু”
“কি!!আমি জানতাম তুই ভুতি।এখন নাম চেঞ্জ।তুই কুত্তী”
“ভালো হবে না কিন্তু”
“ভুতি।।কুত্তী”
,
পৌষী পেট চেপে হাসছে।দুটোতে জমে বেস।
সাপে নেউলে।
,
কারো কথার শব্দে ঘুমটা ভেঙে গেলো।
কখনও মনে হচ্ছে।মাথার কাছে।
কখনও দরজার বাহিরে।
অস্পষ্ট সব কথা।
কান পেতে শোনার চেষ্টা করলাম।
বরাবরের মতো ব্যর্থ।
কিছুদিন জাবত একই সমস্যা।
কেউ কথা বলছে।না একজন না।
দুজন হয়তো বা ততাধীক।
মাঝে মাঝে মনে হয় এগুলো আমাদের ভাষা নয়।
অন্য কোনো ভাষা।যা আমি বুঝতে পারছি না।
,
বুকের ভিতর হাতুরি দিয়ে পিটছে কেউ।
নিঃশ্বাস আটকে আসছে।মনে হয়।
কেউ গলা দেবে দিচ্ছে।
লাফ দিয়ে উঠে বসলো।পৌষী।
পাশে তাকিয়ে থমকে গেলো।
পাশের মানিষটাকে দেখে মনটা শিতল হয়ে গেলো।কি অদভুত।মানিষটা জাদু জানে নাকি
ঘুমের মাঝেও আমায় মায়া ছড়ায়
কালো বডি বিল্ডার বুকটা দেখলে নেশা ধরে যায়।
তার ও ছোটো ছোটো চোখ দুটো বেস রহস্যজনক দেখলে মনে হয় এর গভিরতায় হারিয়ে যাওয়া যায়।
,
তুষার।আমার পাশেই শুয়ে।
বেঘোরে ঘুমচ্ছে।লোকটা কি আমার কথা একটু ভাবে না।আমি যে সারা রাত নির্ঘুম কাটাই।
ভয়ে থাকি।পৌষী ছোট্টো একটা দির্ঘস্বাস ফেলল।
“হুমহহহ”
ছেলেদের হয়তো পাশে থাকা মানুষটি কতটা কষ্টে থাকে সেটা দেখলোও তার পুরুষত্ব হরন হবে।
,
দরজার কাছ ঘেসে।নুপুরের শব্দ।
এই শব্দটা তখন শুনে ও যখন নামাজে।থাকে।
নামাজ শেষ নুপুরের শব্দও শেষ।
কিন্তু আজ এই রাতের মাঝ প্রহরে।
কিছুই বুজতে পারছে তুষার কে কি ডেকে তুলবো
।না।বিরক্ত হবে।সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম ওর শরীর তেনিয়ে থাকে থাক।
,
পৌষী গায়ের চাদর সরিয়ে।বিছানা থেকে নেমে।দরজা খুলে অবাক হলো কেউ নেই।দরজা খোলার শব্দে নুপুরের শব্দ মিলিয়ে গেছে হাওয়া।দরজা দিয়ে বেরিয়ে অন্য সকলের রুমের দরজা চেক করবো ভাবতে সামনে এগিয়ে এসে থমকে দাড়ালো।পিছনেই নুপুরের শব্দ।পিছনে ঘুরে দাড়াতে মাধা ঘুরে নিচে পরে গলো,,,,,,,,
,
,
চলবে,,,,,
,,,,,,সমাপ্ত,,,,,,
,
( প্রিয় পাঠক।আপনাদের ভাস্য মতে। কপি করা থিম।সন্দেহ গল্পের নাম পালটে।লেখা।এটাতো সন্দেহ গল্পের সিজন ২ লিখলে পারতাম।যারা বলছেন।তাদের জন্য।সরি।এই গল্পটা আমি আর লিখব না।
,
এই গল্পটা একদম অন্য রকম।থিম ছিলো।মুন আপুর।সন্দেহ গল্পের আসে পাসের ও না।
যাক ও সব কথা বলে লাভ কি।গল্পটা তো আর লিখবো না।
,
আমি থিম চুরি করছি।সব থেকে বড় একটা কথা।আমার ব্রেনের ভিরত ঘুরপাক খায়।কখনও এমন কথা শুনতে হবে ভাবিনি।
এতো কিছুর পর গল্পটা লিখলে।বাস্তবিক পৌষীদের ,তুষার আর থিমটাকে ছোটো করা হবে।
পৌষীর মতো হার মানা মেয়েগুলোকে আর হারাবো না আমি।
,
যারা কষ্ট করে পরছেন তাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here