চেনা রোদে বসন্ত পর্ব -০৭

#চেনা_রোদে_বসন্ত
#পর্ব_৭
#নিশাত_জাহান_নিশি

“কেন সময় দেন নি আপনারা তরুনকে এক বছর হ্যাঁ? কেন সময় দেন নি? কেন এসবের মাঝে আপনারা আমাকে টেনে আনলেন? একটু একটু করে তরুনের স্মৃতিশক্তি ফিরে আসতে শুরু করছে। এখন আপনারা তরুনকে যাই বুঝাচ্ছেন তরুন হয়তো তাই বুঝে নিতে বাধ্য হচ্ছে। তবে কিছুদিন পর যখন তার স্মৃতি শক্তি পুরোপুরি ফিরতে শুরু করবে তখন কী হবে আমার? শুধু রিয়াশা নামের মিল থাকলেই তো চলবে না, চেহারার মিলও তো থাকতে হবে! তখন কী জবাব দিবেন আপনারা তরুনকে হ্যাঁ? আমিই বা কী জবাব দিব তরুনকে?”

বুক ফাঁটা আর্তনাদে বিভৎস হয়ে উঠছি আমি! আল্লাহ্ যেনো পৃথিবীর কোনো বিবাহিত নারীকে এমন দুঃসহ পরিস্থিতিতে দাঁড় না করায়! জীবনে বেঁচে থাকার কূল-কিনারা হারিয়ে ফেলছি আমি! মনে হচ্ছে যেনো শত সতস্র ফুট উঁচুতে থাকা বিশাল আকাশটি এক ঝটকায় আমার মাথার উপর ভেঙে পড়েছে! মাটির সাথে পুরোপুরি পিষে দিয়েছে আমায়। ধরণী রক্তস্নান করছে আমার লোহিত গরম রক্ত দ্বারা! সঙ্গে সঙ্গেই রাফায়াত ভাই পাশের সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। দ্রুত পায়ে হেঁটে তিনি আমার পাশে এসে দাঁড়ালেন। উদ্বেগী গলায় বললেন,,

“শান্ত হ রিয়াশা। প্লিজ শান্ত হ। আন্টিকে পুরো কথা শেষ করতে দে! এতো সহজে ভেঙে পড়লে চলবে? কিছু কিছু মুহূর্ত এমন আছে যে মুহূর্ত গুলোতে নিজের আবেগ এবং ইমোশনকে ধরে রাখতে হয়। স্বাভাবিক থেকে পরিস্থিতি সামলে নিতে হয়।”

মাথা নুঁইয়ে সোফার কভার খামচে ধরে বিরামহীন ভাবে কেঁদে চলছি আমি! কিছুতেই নিজের আবেগকে ধরে রাখতে পারছি না আমি। এতো জ্বালা আর সইছে না প্রাণে! হঠাৎ করেই জীবনে ভালো থাকার মোড় এতো নিকৃষ্টভাবে পাল্টে যাবে দুঃস্বপ্নেও ভাবি নি আমি! কেনো জানি না ছোট বেলা থেকেই আমি যা ভাবি না বা ভাবতে চাই না সেই ভাবনা গুলোই আমার জীবনে একের পর এক ঘটে আসছে! নিষ্পত্তি পাচ্ছি না এর থেকে। এর মধ্যেই হঠাৎ অপ্রত্যাশিতভাবে আমার শ্বাশুড়ী-মা আমার পায়ের কাছে এসে বসলেন! তিনিও ডুকরে কেঁদে আমার হাত দু’খানা চেপে ধরে বলতে আরম্ভ করলেন,,

“মাফ করে দে মা আমায়। প্লিজ মাফ করে দে! বাধ্য হয়েই তোকে তরুনের জীবনে আনতে হলো! মোটামুটি সুস্থ হওয়ার পর থেকেই তরুন সারাক্ষণ রিয়াশা রিয়াশা করে বুলি আওরাতে লাগল! তাকে দেখতে চাইত, ছুঁতে চাইত, কথা বলতে চাইত! তবে রিয়াশার সাথে তখন কোনো ভাবেই আমরা যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। কোনো পথই খোলা ছিল না তখন তার সাথে যোগাযোগ করার! এই দিকে তরুন রিয়াশার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। বন্ধু হিসেবেই রিয়াশাকে পাশে চাইতে লাগল। এর মধ্যেই হঠাৎ প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস পর একদিন তোর সাথে একজন আত্নীয়ের বাড়িতে আমার অপ্রত্যাশিত ভাবেই দেখা হয়ে যায়! তখন কথায় কথায় জানতে পারলাম তোর নামও রিয়াশা! প্রথম দেখাতেই তোকে আমার ভীষণ পছন্দ হয়ে গিয়েছিল! তাই আগ পাছ না ভেবেই আমরা তরুনের জন্য তোদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। রিয়াশার নামের সাথে তোর নামের হুবহু মিল পেয়ে তরুন তোকে তার সেই প্রেমিকা রিয়াশা ভাবতে শুরু করে! যদিও তখন সে রিয়াশাকে বন্ধু বলে জানত। তবে মেন্টাল ট্রমার মধ্যে থাকার কারনে সে রিয়াশার চেহারার গঠনের সাথে তোর চেহারার গঠনও আংশিক গুলিয়ে ফেলেছিল! তাই খুব সহজেই তোর সাথে তরুনের বিয়ে পড়ানো আমাদের জন্য সম্ভব হয়ে উঠেছিল! বিশ্বাস কর, আমি ঐ মুহূর্তে চাই নি তরুন তার অতীতের সেই প্রেমিকা রিয়াশাকে মনে রাখুক, তার জন্য কষ্ট পাক, তার জন্য আরও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ুক। আমরা আদৌতে এটাও জানতাম না, রিয়াশা আজও অবিবাহিত আছে কিনা! কিংবা রিয়াশা আর কখনও তরুনের টানে এই দেশে ফিরে আসবে কিনা! তরুনের ভবিষ্যৎ দিন দিন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছিল। মা হয়ে ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চাই নি আমি! তাই বাধ্য হয়ে তোকে তরুনের জীবনে জুড়ে দিতে হলো! আশ্চর্যের বিষয় কী জানিস? তুই তরুনের জীবনে আসার পর থেকেই তরুন আস্তে ধীরে ঠিক হতে লাগল! ভুলে যাওয়ার স্বভাবটি একটু একটু করে কমতে লাগল! মনে হচ্ছিল যেনো জীবনে সে নতুন দিশা খুঁজে পেতে শুরু করল! তোকে প্রথম দেখেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম তুই-ই পারবি আমার ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে, তোর ভালোবাসা দিয়ে তরুনের অতীতে থাকা সেই রিয়াশাকে ভুলিয়ে দিতে! যে রিয়াশা এখন তরুনের জীবন থেকে অনেকটাই দূরে সরে গেছে। তরুনকে ছাড়াই হয়তো সে খুব এখন সুখে আছে, ভালো আছে। বর্তমানকে মেনে নিয়েছে!”

কান্না থামিয়ে অশ্রুভারী দৃষ্টিতে আমি মাথা উঁচিয়ে মায়ের দিকে তাকালাম! দীর্ঘ কয়েকটি শ্বাস ছেড়ে শুধালাম,,

“তরুন পারবে তার অতীতের সেই ভালোবাসার মানুষটির জায়গায় আমায় মেনে নিতে? পারবে এতো সহজে আমাকে গ্রহণ করে নিতে? পারবে সে আমাকে, আপনাকে, বাবাকে ক্ষমা করে দিতে? তার অতীত জীবন ভুলিয়ে দেওয়া কী এতোই সহজ মা?”

পাশ থেকে রাফায়াত ভাই ভগ্ন দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন! ব্যথিত মুখমন্ডলেও তিনি ম্লান হেসে শুধালেন,,

“তরুন কেন তোকে রিয়াশার জায়গায় মেনে নিতে পারবে না হুম? কেন তোকে মন থেকে গ্রহণ করতে পারবে না? কেন তোর ভালোবাসায় রিয়াশাকে ভুলে যেতে পারবে না? বল কেন? তুই কী না পারিস বল? তুই তো সব পারিস! একজন মানুষকে যেমন তিলে তিলে মারতে পারিস! তেমনি অন্যজনকে বাঁচিয়েও তুলতে পারিস মনের দিক থেকে! তুই পারবি! অবশ্যই পারবি। আমি থাকব তোর পাশে! তোর ছায়া হয়ে তোর শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে!”

আমি দেখেছি হাসির আড়ালে লুকিয়ে রাখা রাফায়াত ভাইয়ার সেই কান্না মুখ! কান্নার ভেতরেও কোথাও না কোথাও সুখ লিখা আছে মানুষটির মুখে। খুব মহান এই লোক। ত্যাগের মহীমায় সিক্ত! আমি জানি রাফায়াত ভাই জীবনে খুব ভালো একজন সহধর্মিনী পাবেন! যিনি রাফায়াত ভাইকে পৃথিবীর সমস্ত সুখ হাতের মুঠোয় এনে দিতে পারবেন। অতীতের সব আক্ষেপও ঘুচিয়ে দিতে পারবেন এক নিমিষে! সেই দিনটি দেখার অপেক্ষাতেই থাকব আমি!

পলকের মধ্যেই অশ্রুজল মুছে নিলাম আমি! পাশে থাকা সাইড ব্যাগ থেকে রাফায়াত ভাইয়ার সেলফোনটি বের করলাম! তাৎক্ষণিক ফোনটি উনার হাতে তুলে দিয়ে আমি শক্ত গলায় বললাম,,

“বাড়ি ফিরে যাও রাফায়াত ভাই! আমি তরুনের সাথে এই বাড়িতেই থাকব! তরুনকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা না অবধি আমি কোথাও যাব না। যদি প্রয়োজন পড়ে তখন আমি তোমাকেও ডেকে নিব। আমি জানি তুমি আমার ডাককে কখনও অগ্রাহ্য করতে পারবে না! আর একটি কথা? সম্ভব হলে ওয়াল পেপারটি চেঞ্জ করে নিও! অন্যের জিনিসে নজর দিতে নেই! নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি একরত্তি মায়াও প্রকাশ করতে নেই! এতে দেহ-মন অশুদ্ধ হয়ে ওঠে। অন্তর তাঁর পরিত্রতা হারিয়ে ফেলে।”

নির্বিকার নির্লিপ্ত চাহনিতে তাকিয়ে থাকা রাফায়াত ভাইয়ার থেকে তাৎক্ষণিক দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলাম আমি! দু’হাতে চোখের শুকনো জলকণা মুছে শ্বাশুড়ী-মা এবং রাফায়াত ভাইকে উপেক্ষা করে সিঁড়ির দিকে পা বাড়ালাম। দ্রুত গতিতে সিঁড়ি টপকে আমাদের বেড রুমে সশব্দে করাঘাত করলাম। ভেতর থেকে দরজার খিল আটকানো। হয়তো তরুন এই কাজটি করেছেন! প্রায় অনেকক্ষণ যাবত দরজায় করাঘাত করার পরও যখন তরুন দরজা খুলে বের হয় আসছিল না তখন আমি উচ্চ আওয়াজে তরুনের নাম ধরে ডাকতে আরম্ভ করলাম! প্রায় ছয় থেকে সাতটি ডাক দেওয়ার পর তরুনের ব্যতিব্যস্ত কন্ঠস্বর অতি দ্রুত বেগে আমার কর্ণকুহরে ভেসে এলো! তড়িঘড়ি করে তিনি বিছানা ছেড়ে নামছেন আর ঘুম জড়ানো গলায় আমায় বলছেন,,

“ওয়েট রিয়াশা আমি আসছি! এতোক্ষণ তোমার অপেক্ষাতেই ছিলাম আমি! তবে কখন যেনো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতেই পারি নি!”

স্বস্তির শ্বাস ছাড়লাম আমি! বুকের পাঁজরে হাত রেখে আশ্বস্ত দৃষ্টিতে পিছু ফিরে নিচ তলার দিকে তাকাতেই দেখলাম রাফায়াত ভাই এখনও স্তব্ধ চিত্তে আমার শ্বাশুড়ী-মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। সেই একই নির্লিপ্ত, নির্বিকার, নিস্তব্ধ চাহনি উনার! মনে হচ্ছে যেনো গভীর শোকের মাঝে তলিয়ে আছেন তিনি। সম্বতি উনার কিছুতেই ফিরে আসছে না। পাশ থেকে আমার শ্বাশুড়ি-মা কান্নাজড়িত মুখমন্ডলেও আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছেন। হয়তো তিনি ভীষণ সন্তুষ্ট আমার কাজে! এর মধ্যেই তরুন কপাট খুলে প্রবল উচ্ছ্বাসিত ভঙ্গিতে আমার মুখোমুখি এসে দাঁড়ালেন। সঙ্গে সঙ্গেই রাফায়াত ভাইয়ার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে আমি আনন্দে প্রফুল্লিত তরুনের মুখপানে তাকালাম! চোখের কোণে নোনাজল ভাসছে লোকটির। ঠোঁটের কোণে ঝুলছে এক যুদ্ধ জয়ের হাসি! বেশিক্ষণ দৃষ্টি বুলিয়ে রাখতে পারলাম না লোকটির দিকে। অতি আবেগে উদ্বেলিত হয়ে তিনি কিঞ্চিৎ মুহূর্তের মধ্যেই আমাকে জাপটে ধরলেন! বুকের মধ্যিখানে বিস্তর জায়গা জুড়ে আমার সর্বাঙ্গ চেপে ধরে তিনি পরম সুখদায়ক গলায় বললেন,,

“আমি জানতাম তুমি ফিরে আসবে রিয়াশা! আমার পাতাল সমান ভালোবাসার টানে তোমাকে ফিরে আসতেই হবে! তুমিই হলে আমার একমাত্র নিয়তি রিয়াশা। যা উপর ওয়ালা জন্মের পর থেকেই আমার ললাটে খোদাই করে দিয়েছেন! পৃথিবীর ছোট-বড় কোনো ভুল বুঝাবুঝিই আমাদের সম্পর্কের মধ্যখানে অদৃশ্য দেয়াল তৈরী করতে পারবে না রিয়াশা! কখনও না!”

লোকটির অপ্রতুল আশ্বাস, ভরসা, শান্তনা পেয়ে যেনো মুহূর্তের মধ্যেই আমার মনে বিরাজ করা পাথর সমান কষ্টের বোঝা হালকা হয়ে গেল! সেই কষ্ট গুলো গলে চক্ষু জোড়া অশ্রু রূপ ধারণ করল! মনে পুষে থাকা অভিমান গুলো না চাইতেও বেরিয়ে আসতে লাগল! অশ্রুসিক্ত গলায় তাঁরা মনে মনে আওড়াতে করল,,

“কেন উপর ওয়ালা কেন? কেন লোকটিকে আপনি এতো বড় শাস্তি দিলেন? কেন লোকটিকে তাঁর ফেলে আসা অতীত জীবনকে এভাবে ভুলিয়ে দিলেন? দিয়েছেন তো দিয়েছেন। এখন আবার সেই অতীত জীবন একটু একটু করে মনে করিয়ে দিচ্ছেন! কপাল থেকে আমার সুখ কেড়ে নিচ্ছেন! কী অপরাধ করেছিলাম আমি আপনার কাছে হ্যাঁ? কোন সে অপরাধের শাস্তি আপনি আমাকে দিচ্ছেন? আমি জানি না ভবিষ্যতে ঠিক কী কী অপেক্ষা করছে আমার জন্য! কতোখানি ত্যাগ, তিতিক্ষা, যন্ত্রণা অপেক্ষা করছে আমার জন্য! আমার বাচ্চার ভবিষ্যৎ ঠিক কী হতে চলেছে আমি তাও জানি না! তবে আপনার কাছে আমি আর কিছুই চাই না মাবুদ, শুধু আপনি আমার সন্তানের ভাগ্যে তাঁর বাবার আদর, ভালোবাসা, অধিকারটুকু বরাদ্দ রাখবেন। শুধু এতোটুকুই!”

কান্নার মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে আমার হেচকি তোলার পথে। সঙ্গে সঙ্গেই তরুন বুকের পাঁজর থেকে আমায় উঠিয়ে নিলেন। উদ্বিগ্ন দৃষ্টিতে তিনি আমার দিকে তাকালেন! বাঁ হাতটি আমার থুতনিতে রেখে তিনি ভগ্ন গলায় আমার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে বললেন,,

“কী হয়েছে রিয়াশা? তুমি কাঁদছ কেন? আবার কোনো ভাবে তোমাকে হার্ট করেছি আমি? আমার ব্যবহারে তুমি কষ্ট পেয়েছ? এভাবে হঠাৎ জড়িয়ে ধরাতে তুমি খুশি হও নি?”

কাঁদতে কাঁদতে শ্বাস ক্রমাগত বেড়ে চলছিল আমার! তবুও গলায় খানিক দম সঞ্চার করে আমি জবাবে বললাম,,

“কিকিছু হহয় নি আমার। এএতোদিন পরে আআপনাকে কাছে পেয়েছি তো তাই আবেগ ধরে রাখতে পারছি না!”

ফিক করে হেসে উঠলেন তিনি! মুহূর্তের মধ্যেই বাচ্চাদের মতো তিনি আমায় কোলে তুলে নিলেন! উনার সুঠাম কাঁধে আমার মাথাটিকে ঠেকিয়ে তিনি মৃদু হেসে ভেতর থেকে দরজা আটকাতে নিতেই হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লেন! শান্ত ভাব ভঙ্গি ছেড়ে তিনি ক্ষণিকের মধ্যেই আচমকা অশান্ত হয়ে উঠলেন! চোয়াল শক্ত করে শুধালেন,,

“ছেলেটি কী করছে আমাদের বাড়িতে হ্যাঁ? কী করছে? ছেলেটিকে বলে দাও রিয়াশা তুমি আমার সাথেই থাকবে। আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না।”

#চলবে…?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here