চেনা রোদে বসন্ত পর্ব -০৫

#চেনা_রোদে_বসন্ত
#পর্ব_৫
#নিশাত_জাহান_নিশি

“হোয়াট? তুই এখন বড় আপুর ননদের সাথে দেখা করতে যাবি? রীতিমতো অবিশ্বাস করছিস তুই তরুনকে? এই? গতকাল রাতে না তোকে বলেছিলাম? তরুন মানসিকভাবে হয়তো কোনো কারনে ডিস্টার্বড হয়ে আছে! আর এই কারনেই তোর সাথে এবং ওর বাবা-মায়ের সাথে ইনফেক্ট আঙ্কেল, আন্টির সাথেও বাজে ব্যবহার করছে! তাছাড়া তরুনের আম্মু তো বলেই গেছেন কয়েকদিনের জন্য তোকে তরুনের থেকে দূরে থাকতে! তরুনের মন মর্জি বা মানসিক সমস্যা গুলো ঠিক হয়ে উঠলেই তাঁরা তোকে ঐ বাড়ি নিয়ে যাবেন! কেন নিজে নিজে এতো পাকনামো করতে যাস হ্যাঁ?”

সন্দেহজনক দৃষ্টিতে আমি রাফায়াত ভাইয়ার দিকে তাকালাম! তাৎক্ষণিক ভ্রু যুগল খড়তড়ভাবে কুঁচকে আমি রাফায়াত ভাইয়ার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে বললাম,,

“কী বললে তুমি? শ্বাশুড়ী মা বলে গেছেন তরুনের থেকে আমাকে দূরে থাকতে? আমার হাজবেন্ড থেকে আমাকে দূরে থাকতে বলে গেছেন?”

“হ্যাঁ। কারণ, তরুন এখন অসুস্থ! মানসিকভাবে বিরক্ত সে। তাই এখন তোকে ওর কাছ থেকে যথেষ্ট দূরে থাকতে হবে! এই সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য তাকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।”

“পৃথিবীর কোন আইনে আছে হ্যাঁ? কোন আইনে আছে স্বামী অসুস্থ থাকলে স্ত্রী তার পাশে থাকতে পারবে না? স্ত্রীকে তার থেকে দূরে থাকতে হবে? অসুস্থ অবস্থায় তাকে একা ছেড়ে দিতে হবে? এতো কিছুর পরেও কী তোমার একটু খানিও সন্দেহ হচ্ছে না রাফায়াত ভাই? জানতে ইচ্ছে করছে না? তরুনের আসল সমস্যাটা কী? তরুন কী আসলেই মানসিকভাবে বিরক্ত নাকি অন্য কোনো ভয়ঙ্কর সমস্যা আছে?”

মুহূর্তের মধ্যেই ভড়কে উঠলেন রাফায়াত ভাই! ঘুম জড়ানো চক্ষুজোড়া যেনো মুহূর্তের মধ্যেই উনার প্রকান্ড হয়ে বিস্ময়ে বশীভূত হয়ে উঠল! অস্থির দৃষ্টিতে তিনি আমার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে বললেন,,

“সন্দেহ হবে মানে? মানসিকভাবে বিরক্ত হওয়া ছাড়াও আর কী সমস্যা থাকতে পারে তরুনের? কী বলছিস কী এসব তুই?”

সন্দিহান দৃষ্টি সরিয়ে নিলাম আমি! সরু রাস্তায় দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তব্ধ শ্বাস ছাড়লাম। ভাবুক ভঙ্গিতে বললাম,,

“সেটাই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে রাফায়াত ভাই। আমার মন বলছে তরুনের মধ্যে বিরাট কোনো সমস্যা আছে। যা তরুনের পরিবার রীতিমতো আমাদের থেকে লুকিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে! যদি আমার ধারনা ঠিক হয়ে থাকে তো, শিলা আপুর থেকে হয়তো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা পেতে পারি। তাই মূলত এতো হন্ন হয়ে শিলা আপুর সাথে দেখা করতে যাওয়া!”

রাফায়াত ভাই ভাবনায় ডুবে গেলেন! তাৎক্ষণিক তিনি দু’হাত দ্বারা এলোমেলো চুল গুলো পরিপাটি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। পেছনের দিকে হেলে থাকা শার্টের কলারটি তিনি সোজা করে হঠাৎ অস্থির মুখমন্ডলে আমার দিকে তাকালেন! ঘুম ঘুম ভাব মুহূর্তের মধ্যেই উধাও হয়ে গেছে। চোখে-মুখে বিপুল তৎপরতা উপলব্ধি করা যাচ্ছে। হঠাৎ বিরক্তি মাখা গলায় তিনি নাক সিটকে বললেন,,

“ধ্যাত! তোর এসব সন্দেহের পাল্লায় পড়ে সকালের ঘুমটা মাটি হলো আমার! শুধু তাই নয়, ঠিক ভাবে ফ্রেশও হতে পারলাম না। কেমন ঘিন ঘিন লাগছে আমার! অন্তত ফেসটা তো একটু ওয়াশ করার সময়টা দিতি? কিন্তু না, টেনে হেছড়ে এভাবে নিয়ে এলি! এখন আমাকে এই নোংরা ফেস নিয়ে রেস্টুরেন্টে শত শত মানুষের সামনে বস থাকতে হবে! ইউ নো না? ইট’স সো শেইমফুল ফর মি!”

মুখ টিপে হাসলাম আমি! মজার ছলে বললাম,,

“তুমি তো এমনিতেও অনেক সুদর্শন রাফায়াত ভাই! ফেস ওয়াশ করলেই কী বা না করলেই কী? বেশি কিছু না তুমি যদি জাস্ট একটি মেয়ের দিকে সিম্পল লুকে তাকাও না? আমি সিউর সে এমনিতেই তোমার সৌন্দর্যে ফিদা হয়ে যাবে! আহা! কী অদ্ভুত সুন্দর ডাগর নয়নের চাহনি তোমার! প্রেমে পড়ার জন্য যথেষ্ট!”

কথা সম্পূর্ণ শেষ হতে না হতেই রাফায়াত ভাই তৎপর হয়ে উঠলেন! উৎসুক গলায় আমায় শুধিয়ে বললেন,,

“তুই কখনও আমার প্রেমে পড়েছিলি?”

থমকালাম আমি! শুকনো ঢোক গিলতে বাধ্য হলাম। প্রসঙ্গ পাল্টাতে মরিয়া হয়ে বললাম,,

“ধ্যাত! পথই যেনো ফুরোচ্ছে না! না জানি শিলা আপু কতক্ষণ যাবত আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন! হয়তো খুব বিরক্ত হচ্ছেন আমাদের প্রতি।”

সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আমার থেকে উৎসুক দৃষ্টি সরিয়ে নিলেন! নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আমি প্রসঙ্গ ঘুরানোর চেষ্টা করেছি৷ সরু রাস্তায় ব্যথিত দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন তিনি। মেঘ জমেছে তার মনে! জানি না কী সে কারণ! আমার মুখ থেকে ঠিক কোন কথাটি শোনার জন্য তিনি হঠাৎ এতো তৎপর হয়ে উঠেছিলেন? আমি কখনও তার প্রেমে পড়েছিলাম কিনা তা জানতে? যদি বলি “হ্যাঁ! শত সহস্র বার আমি তোমার প্রেমে পড়েছিলাম, তোমার মুগ্ধ করা চাহনির প্রেমে পড়েছিলাম, তোমার কথার মায়ায় নিগূঢ়ভাবে জড়িয়েছিলাম, তোমার বিরহে অষ্টপ্রহর কেঁদেছিলাম, তোমার একটু খানি ভালোবাসার অভাবে ভেতরে ভেতরে ডুকরে মরেছিলাম, তোমাকে হারানোর বিচ্ছেদে কাঙ্গাল হয়ে ঘুরেছিলাম! তবে কী তুমি ফিরিয়ে দিতে পারবে আমায় সেই হারানো দিন গুলো? তোমাকে ঘিরে আমার বিয়ের আগের সমস্ত অনুভূতি গুলো? পারবে ফিরিয়ে দিতে প্রতীক্ষার সেই বিষাদময় প্রহর গুলো? অতীত জীবনে আবারও ফিরিয়ে নিতে পারবে আমায়? না পারবে না! কখনও পারবে না তুমি! কারণ, এখন আমি বিবাহিতা! স্বামী, সংসার, গর্ভে বেড়ে ওঠা বাচ্চাও আছে আমার! তাই এখন পুরনো অতীত ঘেঁটেও কোনো লাভ নেই! কোনো ভাবেই আমি অতীত ঘেঁটে বর্তমানকে অশুদ্ধ করতে চাই না!

লোকটির ভগ্ন দৃষ্টি থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিলাম আমি! খেয়াল করে দেখলাম কিছুক্ষন পর পর তিনি নাক টানছেন! শুনেছি, মানুষের কান্না যখন চোখে জমে থাকে, চোখ ভাসিয়ে তারা কাঁদতে পারে না তখন নাকি চোখের জল গুলো নাকের জল হয়ে গড়িয়ে পড়ে! অবশ্য শুধু শুনেছি বললে ভুল হবে, নিজের ক্ষেত্রেও অনেক বার তার প্রমাণ পেয়েছি!

রাস্তা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে রাফায়াত ভাই নিছক মৌন দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন। শোকাহত গলায় বললেন,,

“ভাগ্যিস কখনও প্রেমে পড়িস নি! আমার এই ভাগ্যে সুখ কোথায় আছে? প্রেমে পড়লে হয়তো এতোদিনে সুস্থভাবে শ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকতে পারতাম না আমি! তোকে ঠকানোর যন্ত্রণায় ধুঁকে ধুঁকে শেষ হয়ে যেতাম! একপাক্ষিক যন্ত্রণা না হয় এখন সহ্য করতে নিচ্ছি। দ্বিপাক্ষিক যন্ত্রণায় আমি নিঃস্ব হয়ে যেতাম! উপর ওয়ালা যা করেন নির্ঘাত ভালোর জন্যই করেন।”

কোনো রূপ ভাবান্তর হলো না আমার! কেবল দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মাথা নুইয়ে নিলাম। এই মুহূর্তে লোকটির প্রতি দুর্বল হলে চলবে না আমার। নিজেকে শক্ত রেখে তরুনের সাথে জড়িত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে আমার।

———————————————————-

বর্তমানে আমরা মাস্টার সেইফ রেস্টুরেন্টে বসে আছি! দু’তলা বিশিষ্ট রেস্টুরেন্টটি দেখতে কিছুটা বুফের মতো! যদিও সম্পূর্ণ বুফে নয়। দু’তলার ঠিক ডান পাশের সারিটিতে আমাদের তিনজনের অবস্থান। জানালার পাশের দুই সোফা বিশিষ্ট টেবিলটিতে বসেছি আমরা। থাইযুক্ত খোলা জানালা দ্বারা সকালের মিষ্টি রোদের পাশাপাশি দু’এক ছটকা এলোমেলো বাতাসও ভেসে আসছে। আনমনেই গাঁ জুড়িয়ে যাচ্ছে!

আমি এবং রাফায়াত ভাই বসে আছি পাশাপাশি দুটো চেয়ারে। আমাদের সামনেই রাগান্বিত ভঙ্গিতে বসে আছেন শিলা আপু! দৃষ্টিতে অপার তিক্ততা উনার। কেমন যেনো চোখ পাকিয়ে তিনি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন! হয়তো এই মুহূর্তে তিনি আমাদের সহ্য করতে পারছেন না! ভয়ে এই মুহূর্তে গলা শুকিয়ে কাঠে পরিনত হচ্ছে আমার! এর মধ্যেই হঠাৎ রাফায়াত ভাই উনার ডান হাতের কনুই দ্বারা আমার বাঁ হাতের মাংসপেশিতে হালকা খোঁচা মারলেন! ঠোঁটের কাছে বাঁ হাত ঠেকিয়ে তিনি মিনমিনে গলায় আমায় উদ্দেশ্য করে বললেন,,

“যা বলার তাড়াতাড়ি বল। মহিলা যেভাবে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, মনে হচ্ছে এক্ষনি আমাদের আস্ত চিবিয়ে খাবে। সাংঘাতিক জাদরেল টাইপ মহিলা! জেরা করার জন্য আর মানুষ পেলি না?”

গলা খাঁকিয়ে উঠলাম আমি! রাফায়াত ভাইয়ার কাছ থেকে খানিক সরে এসে জোর পূর্বক হাসি টেনে শিলা আপুর দিকে তাকালাম। অতঃপর ইতস্তত গলায় শুধালাম,,

“কেমন আছেন আপু?”

গাঁ ছাড়া ভাব নিলেন তিনি। বুকের মাঝখানে দু’হাত গুজে তিনি গাম্ভীর্যপূর্ণ গলায় পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বললেন,,

“হঠাৎ আমাকে এখানে ডেকে আনার কারন কী? সকাল হতে না হতেই জরুরি তলব?”

কম্পিত দৃষ্টিতে আমি পাশ ফিরে রাফায়াত ভাইয়ার দিকে তাকালাম! ভ্রু যুগল উঁচিয়ে তিনি আমার দিকে তাকালেন। গলা ঝেড়ে মিনমিনে গলায় বললেন,,

“বল কেন ডেকেছিস। আবার আমার দিকে তাকিয়ে কী দেখছিস? বলেছিলাম না? এই জাদরেল মহিলাকে না ডাকতে? এসব ফালতু জেরা থেকে বিরত থাকতে। এখন নিজেই পরিস্থিতি সামলা। আমি এখানে কিছু বলতে টলতে পারব না। তোর জন্য একটু সুপারিশও করতে পারব না!”

শুকনো ঢোক গিললাম আমি! আসলে প্রসঙ্গ ঠিক কোথা থেকে শুরু করব তাই বুঝতে পারছিলাম না। তবুও কাচুমাচু দৃষ্টিতে আপুর দিকে তাকালাম। কম্পিত গলায় বললাম,,

“আআআসলে আপু। তততরুনের বিষয়ে কিছু কথা জানার ছিল!”

তাৎক্ষণিক চটে বসলেন আপু! মুখমন্ডলে রাগী ভাব ফুটিয়ে তিনি তিরিক্ষি পূর্ণ গলায় বললেন,,

“আশ্চর্য! তরুনের বিষয়ে আমি কী বলতে পারি? তরুন অবশ্যই তোমার স্বামী। আমার স্বামী নয় যে আমি তরুনের বিষয় নিয়ে ঘুরব। তার সম্পর্কে সবকিছু জেনে বসে থাকব!”

কোনো দিকে কালক্ষেপণ না করেই আমি স্পষ্ট গলায় বললাম,,

“বিষয়টি আসলে এমন নয় আপু! আসলে আমি অনেস্টলি জানতে চাই তরুনের সাথে আপনার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে কিনা?”

থতমত খেয়ে গেলেন আপু! দৃষ্টি নুইয়ে নিতে বাধ্য হলেন। অতঃপর অস্থির গলায় প্রত্যত্তুরে বললেন,,

“কী যা তা বলছ তুমি? তরুনের সাথে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে মানে?”

“মানেটা আপনি বুঝেছেন আপু! আমি ঠিক কোন সম্পর্কের কথা বলছি। আপনি হয়তো জানেন গতকাল থেকেই তরুনের সাথে আমার নানা রকম অশান্তি চলছে। বিয়ে হবার পর থেকেই লক্ষ্য করছি তরুনের কাছাকাছি থাকতে আপনি পছন্দ করেন! বাসায় এলে তরুনের সাথেই বেশির ভাগ সময় কাটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এর নির্দিষ্ট কারণটি কী আমি জানতে পারি আপু? কোনো ভাবে তরুন আপনাকে পছন্দ করেন না তো? কিংবা আপনিও তরুনকে পছন্দ করেন এমন কিছু নয় তো?”

তাৎক্ষণিক উত্তেজিত হয়ে উঠলেন আপু! তড়িৎ বেগে বসা থেকে উঠে তিনি লোহিত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁতে দাঁত চেপে আমায় শাসিয়ে বললেন,,

“লিমিট ক্রস করছ তুমি! নিজের গন্ডির মধ্যে থাকার চেষ্টা করো। বেশি বাড়াবাড়ি করতে এসো না আমার সাথে। এর ফল কিন্তু ভালো হবে না।”

রাগে ফোঁস ফোঁস করে আপু জায়গা পরিত্যাগ করতেই রাফায়াত ভাই বসা থেকে উঠে দাঁড়ালেন। চোয়াল শক্ত করে তিনি পেছন থেকে আপুকে ডেকে বললেন,,

“আমার তো মনে হচ্ছে আপনিই একটু বেশি বাড়াবাড়ি করছেন! সহজ বিষয়টিকে সহজ ভাবে না দেখে জটিল ভাবে দেখছেন। রিয়াশা এখন তরুনের অনাগত সন্তানের মা হতে চলেছে। সেই জায়গা থেকে রিয়াশার শতভাগ অধিকার আছে তার স্বামীর ব্যক্তিগত এবং বর্হিগত দিক গুলো সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখার। এর মধ্যে কিন্তু আপনার এবং তরুনের সম্পর্কটিও পড়ে। সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনি বাধ্য রিয়াশার সাথে সমঝোতা করতে!”

শিলা আপু তেড়ে এলেন রাফায়াত ভাইয়ার দিকে! তেজী গলায় রাফায়াত ভাইয়াকে শুধালেন,,

“বিয়ে করানোর আগে প্রয়োজন বোধ করেন নি তরুনের অতীত সম্পর্কে জানার? অতীতে তার কোনো দোষ/গুন আছে তা কিনা জানার? আদৌতেই তরুনের চরিত্রে কোনো ভেজাল আছে কিনা জানার? বিয়ের প্রস্তাব পাওয়া মাত্রই নাচতে নাচতে বিয়ে পড়িয়ে দিলেন? কোনো খোঁজ খবর ছাড়াই? যাচাই বাছাই ছাড়াই? এবার ভুগুন আপনারা! কর্মফল ভোগ করুন!”

অন্তর্আত্তা কেঁপে উঠল আমার! তাৎক্ষণিক বসা থেকে উঠে দাঁড়ালাম আমি। কান্নাজড়িত গলায় আপুকে শুধালাম,,

“কী ভেজাল আছে আপু তরুনের মধ্যে? কী দোষ আছে তার অতীতে? প্লিজ আমাকে সব খুলে বলুন প্লিজ।”

“সরাসরি কিছু বলতে পারব না আমি! শুধু এতো টুকুই বলব, রিয়াশা নামের মাঝেই অনেক অজানা সত্য লুকিয়ে আছে! যার অস্তিত্ব তুমি পাঁচ মাস ধরে বহন করে চলছ রিয়াশা! তরুন তোমার মাঝেই অন্য কারো ছায়া খুঁজে পায়। ভাবে তুমিই হয়তো সেই ছায়াধারী ব্যক্তি! যাকে তরুন নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসত! এমনকি যার ভালোবাসায় তরুন এখন পাগল হয়ে উঠেছে!”

#চলবে….?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here