ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড পর্ব ১০

#ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড

#লেখিকা_তামান্না

#পর্ব_১০

ফায়যান এর গাড়ি হঠাৎ থেমে যাওয়ায় সে রাস্তার মাঝখান বরাবর গাড়ি থামিয়ে নে। আশেপাশে কোনো হেল্পার আছে কিনা দেখতে লাগে। কাউকে না পেয়ে সে নিজেই গাড়ির ট্যায়ার চেক দে।
কিন্ত ট্যায়ার এর অবস্থা যা দেখল। এ দেখে সে সিউর হয়ে গেল ঘটনাটা হঠাৎ না এক ধরনের জাল ফেলা হয়ছে! কারণ ট্যায়ার এর ভেতর হুল ফুটানো। এ ভেবেই সে নিচে তাকানোর ভান করে ফোন বের করে।

ফোনে সে রাহুলকে মেসেজ মিক্সড কল দে। আর রাহুল ত অরিতার সাথে পার্টি করাতে ব্যস্ত। সে আর অরিতা মিলে এক সাথে কাপল ডান্স করছে। গানের সাউন্ডে রাহুল মেসেজ মিক্সড কিছুই শুনতে পারছে না।

—“এই পোলা পার্টিতে কয়ে গেছে এরে দিয়ে কাম হবে না। তাহলে কি করা যায়? ফায়যান আড়চোখে উপরে হয়ে তাকায়। তখনি দেখতে পেলো গাড়ির বিপরীত দিকে গাছগাছালির আড়ালে দুই-তিনজন লোক নিজেদের আড়াল করে রেখেছে। ওহহ তাহলে চোর না ডাকাতি চলবে।

ফায়যান ফোনের মধ্যে একজনের কলে রিং দে। রিং পড়তে অপর পাশের জন্যে সাথে সাথে ফোন উঠায়।

—“হ্যালো মাই ডেয়ার ডার্ক প্রিন্স। ওয়াটস আপ ব্রো? এক লোক চেয়ারে বসে টেবিলের উপর পা রেখে মুখে সিগারেট নিয়ে ফুঁক দিচ্ছে।

—“ফাইন ব্রো একটা কাজ এসে পড়ছে।

—“ওয়াই নোট তুই বল একবার কাম হয়ে যাবে শত শতবার।

—“শুন এখনই আমার নাম্বার ডায়লগ কর করেই আমাকে ট্যাগ করে লোকেশন বের কর।

—“হুমম তারপর!

—“লোকেশন ট্রেজ হতেই আমার গার্ডসদের সেই লোকেশনে পাঠাবি। কিছু কুকুরদের ট্রিটমেন্টের জন্যে পাবনায় পাঠাব।
বাঁকা হেসে ফায়যান বলে।

—“ওকে মেরে সের। ফায়যান কল কাটতেই লোকটা কম্পিউটার এর সামনে এসে জোরছে এক হাই মেরে ফায়যানের লোকেশন বের করে ফেলে।

—“Guys get ready and go in this location. গার্ডসদের বলে।
গার্ডস হাতে গার্ন নিয়ে গাড়িতে বসে লোকেশন বরাবর রওনা দে।

ফায়যান ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বিরবির করে বলে।

—“জারার ক্লাস শেষ হতে একঘণ্ঠা বাকি আর আমার গার্ডস ডেজরোডে আসতে লাগবে এিশ মিনিট। সো মোট টাইম ১ ঘণ্ঠা ৩০ মিনিট। এর মধ্যেই ডাকাতদের লগে কিছু চোর-পুলিশ-ডাকাত খেলা যাবে।

ফায়যান শয়তানি হেসে উপড়ে করে তাকাল। সে গাড়ির নিচে হাত দিয়ে কোনো পাথর পাই কিনা খুঁজতে লাগে। সেখানে কোনো পাথর না পেয়ে সে পিছে এক টুকরো পাথর ফেলো। সেগুলো নিয়ে অপজিট সাইডে ছুঁড়ে মারে। আড়ালে থাকা লোকগুলা আশপাশ তাকাতাকি করা শুরু করে। এ দেখে ফায়যান ধীরে ধীরে গাছের আরেক দিকে এক মোটা বুড়া লোক ছুরি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। তাকে দেখে ফায়যান হা করে তাকায়।

—“এই মোটাও দেখি যুদ্ধক্ষেএে লড়াই করতে আসল। বাহ একে তো উওম শাবাশী দেওয়া লাগবে। ভেবেই ফায়যান মোটুর পিছে গিয়ে তার ঘাড়ে দুই আঙুল দিয়ে চেপে টিপান মারে।
তখনই বুড়াটা হেলিয়ে পড়ে যায়। ফায়যান নিজের দুই আঙুলকে গার্ন পয়েন্ট এর মত করে ডিসআওওওওও।
এক শিকারী গেয়া তো দুসরা শিকারী হাত আয়ে বলেই সে সবার সামনে বেরিয়ে আসল।

ফায়যান কে বেরিয়ে আসতে দেখে পাঁচজনের চারজন সামনে আসল।

ফায়যান গাড়ির গ্লাসে হেলান দিয়ে বলে।

—“আচ্ছা তোদের লগে না আমার কাবাডি খেলতে মন চাচ্ছে। খেলি?

—“ঐ আমরা কাবাডি না কাটামি করি যে। যারে একবার হাতের কাছে পাই তাকেই একদম ফিনিশ করে দেই। একজন ছেলে তাদের মধ্যে থেকে বলে।

—“আরে আরে এমন সুন্দর মন্তব্য কেডা দিল? ফায়যান তার দিকে তাকিয়ে বলে। ওহহ তুই মাশাআল্লাহ আজকাল যুগের গুন্ডারাও দেখি বড় বড় হিরোদের মতো ডায়লগ মারে। আচ্ছা তুই ডায়লগটা কার থেকে চুরি করছস? গালে হাত দিয়ে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বলে।

—“ঐ চুরি করি না আমার ফেভারিট এক্টর আমরিস পুরি।

নামটা শুনে কাশতে শুরু করে ফায়যান। সে কাশি থামিয়ে বলে।

—“বাহ্ এতো আদিম যুগের ভিলেন কারেক্টারের ভক্তও এখনো আছে আগে জানতাম নাহ।

—“এই আমরা এখানে গল্প করতে আসি নাই এর ঠিকানা লাগাতে আসছি চল মার।

—“ওহহ হো লাইনে আসল ওকে…..এক….দুই…..তারা চিল্লিয়ে ফায়যানের দিকে আসছে। তাদের মধ্যে একজন খুব কাছে চলে আসে। সে ফায়যানের গলা বরাবর কুড়াল চালান দিতেই……….তিন……..ফায়যানের তিন বলার সাথে সাথেই জট করে এক গাড়ি এসে ছেলেটাকে ধাক্কা মারে। ধাক্কা খাইতেই সে গড়িয়ে মাথা ফেটে রক্তাক্তের মতো হয়ে গেল। বাকি তিনজন থেমে ঢোক গিলতে লাগে।

ফায়যান বাঁকা হেসে সানগ্লাস পড়ে তার গার্ডস এর আনা গাড়ি তে বসে। সে গার্ডস এর দিকে তাকিয়ে বলে

—“এদের এক একটাকে ধরে কুওার পিডান পিডিয়ে বেঁধে রাখবি। কিছু হিসাব-কিতাবও পাক্কা করতে হবে।

গার্ডস নিজেদের মাথা নেড়ে হ্যা জানায়। ফায়যান গাড়ি স্টাট দিয়ে জারাকে নিতে যায়।

________________

জারা ছুটির আগে ক্যান্টিনে প্রিয়ার সাথে বসেছিল। সে আড়চোখে মেহরানের দিকে তাকায়। প্রিয়া জারাকে মেহরানের দিখে শুধু তাকাতে দেখে বলে।

—“কি রে মেহরানের মুখের পূর্জা করতেছিস?

—“না তো কেন?

—“তাহলে কি করতেছিস? তুই তো সেই কখন থেকে মেহরানের দিকে তাকায় আছিস। শাস্তি দিবি বলে এখানে আনছিস। কিন্তু শাস্তির তো কিছুই দিতেছিস না।
প্রিয়া গাল ফুলিয়ে অন্যদিকে তাকায়।

—“কে বলছে আমি কিছু করিনি? মুচকি হেসে জারা বলে। প্রিয়া তার দিকে চোখ সরু করে তাকায়।

—“তার মানে কিছু করছিস! কিন্তু কি সেটা?

—“কি আর পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে দেখবি হাঙ্গামা শুরু হবে। দাঁড়া একপেকেট পপকর্ন অর্ডার করে ফেলি।

—“ওওওও মামা…..ক্যান্টিনের মানুষকে জারা সম্মান করে মামা ডাকে। তার ডাক শুনতেই মামা এসে জারার থেকে অর্ডার নিয়ে পপকর্ন এনে তাদের কাছে দিল।

জারা পপকর্ন চাবিয়ে চাবিয়ে গণনা শুরু করে।

—“এক……দুই….তিন….চার……পাঁচ।

—“আম্মুউউউউউউউউউ। মেহরানের চিৎকারে সাহেল আর আয়শা সাথে বাকি সবাই হকচকিয়ে উঠে শুধু জারা ছাড়া। প্রিয়াও অবাক হয়ে মেহরানের দিকে তাকিয়ে রেগে বলে।

—“ঐ…….ঐ শাকচুন্নী এটা তোর ঘর গাড়ি কোনটাও না যে চিল্লাবি। বাহিরে গিয়ে চিল্লাহ।

—“সেটআপ ভ্যাআআআআ ন্যাকা কান্না করতে করতে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়।

আয়শা আর সাহেল মেহরানের চুল দেখে গালে হাত দিয়ে দে। তার চুলে চুইংগাম লেগে গেঁতে প্যাচ লেগে গেছে। আয়শা মেহরানের চুল থেকে চুইংগাম ছাড়ানোর চেষ্টা করতে গিয়ে আরো প্যাচ লাগিয়ে দে। মেহরান তাকে সরিয়ে ন্যাকা কান্না করতে করতে বেরিয়ে যায়। জারা আর প্রিয়া হাসিতে লুতুপুতু খেতে লাগে।

—“বাহ্ দোস্ত সেই সিন ছিল কিন্তু করলি কিভাবে?

প্রিয়ার কথায় জারা এটিটিউট লুক মেরে বলে।

—“ক্যান্টিনে এসে তাদের উপর নজর ছিল যখন সব কথা বলায় মশগুল ছিল তখনই আমি আমার মুখের চুইংগাম মেহরানের চেয়ারের হ্যান্ডেলে লাগিয়ে দেই। তারপর ব্যসস হাঙ্গামা চিয়াসস। বলে পানির গ্লাস নিয়ে প্রিয়া আর জারা পানি খেতে লাগে।

মেহরান বাসায় এসে তার আম্মুকে সাথে নিয়ে ওয়াশরুমে নিজের চুল টানাচ্ছে। মিসেস রাহেলা বিরক্তিকর ফেস করে বলে।

—“আজকাল যুগের মেয়েরা কি সাদামাটা জিনিস চাবাই! যার কারণে এখন এইরকম অবস্থা করছে?

—“ভ্যাআআআ আম্মু আমার চুলললল! মেহরান ন্যাকা কান্না করে চিল্লাতে থাকে।

—“তোরে ভার্সিটিতে না প্লে তে ভর্তি করানোর দরকার ছিল। কিছুই পারস না। কাঁদা ভীতু এসব ছাড়া তো আর কিছু পারস না। যাহ্ পারব না আর চুল কেটে দিতে হবে।

মিসেস রাহেলা অসহ্য হয়ে মেহরানের চুল থেকে হাত সরিয়ে নে। মেহরান জোরে জোরে ন্যাকা কান্না করতে লাগে।

কিছুক্ষণ পর মিসেস রাহেলা মেহরানকে সুন্দর ভাবে হেয়ার কাটিং করে ওয়াশরুম থেকে বের হলো। মেহরান নিজেকে আয়নার মধ্যে দেখে ক্রাশ খেয়ে যায়। সে অবাক হয়ে তার আম্মুর দিকে তাকিয়ে বলে।

—“আম্মু ইউ আর জিনিয়াস তুমি হেয়ার কাটিং জানো আগে কেনো বলো নি?

—“আগে বললে এই দিনটা আসতো নাকি?
মিসেস রাহেলা মেহরানের থুতনী ধরে টেনে আদর করে বলল।

—“আম্মু আমাকে ফায়যান এভাবে দেখলে ক্রাশ খেয়ে প্রপোজ করব না?
নিজেকে আয়নার মধ্যে চুলগুলো এক সাইডে করে পিঠের সাইড ফুল দেখিয়ে দিল। মিসেস রাহেলা মুচকি হেসে বলে।

—“হ্যা তোকেই তো পছন্দ করবে।

—“ওহহ মাই লাভলী আম্মু উম্মাহহ্। মেহরান আদর সোহাগ দেখাতে জড়িয়ে ধরে মিসেস রাহেলা কে।

—“জারা আজ বাসায় আস একবার। আমার চুলে চুইংগাম লাগানোর শাস্তি তো তোকে পেতেই হবে এর ব্যবস্থা নিচ্ছি। শয়তানি হেসে মেহরান মিসেস রাহেলা কে জড়িয়ে থাকা অবস্থায় নিজের চোখে পানি আনার জন্যে নিজের থুথু কিছু চোখের নিচে মেখে ন্যাকামি কাঁদো সেজে বলে।

—“আম্মু জানো আমার চুলের করুণ অবস্থা কে করছে? নাকে হিচকে উঠিয়ে ন্যাকা কান্না করা শুরু করল মেহরান।

—“কে করছে কার এতো সাহস আমার মেয়ের চুলের বারোটা বাজানোর? তুই শুধু নাম বল বাকিটা আমি দেখছি!

—“আম্মু কে আর হবে তোমার মেয়ের পরম শএু আমাদের ঘরের সুখ-শান্তি নষ্টকারী মেয়ে জারা।

—“কিইই জারার এতো বড় সাহস আমার মেয়ের সাথে এমন করছে ! আজ বাসায় আমি তার জন্যে স্পেশাল জিনিস রেডি করব। ঐ তুই কল দে জারাকে। তাড়াতাড়ি বাসায় আসতে বল। বলবি আমি বলছি এিশ মিনিটের মধ্যে যেনো ঘরের আঙিনায় তাকে পাই।

মেহরান বাচ্চাদের মত করে কান্না থামিয়ে নিজের চোখের পানি মুছে সম্মতি দে। মিসেস রাহেলা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে কিচেনে চলে যায়।

মেহরান শয়তানি হেসে কল করে জারাকে।

জারা কল উঠাতেই অপরপাশ থেকে মেহরান বলে।

—“নিজেকে খুব স্মার্ট মনে করো মিস কুফা?

—“ওয়াট ননসেন্স মেহরান আমি তোর বড় বোনের মত বোনের সাথে এভাবে কথা বলার সাহস তোর নেই।
জারা রাগে দাঁত কটমট করে বলে।

—“ওহ সেটআপ তোর বোনগিরি অন্যজন রে দেখাইস আমাকে নাহ্। আমি তোর কোনো জন্মেরও বোন লাগি নাহ্। মেহরান এটিটিউট লুক মেরে বলে।

—“তুই মান ইয়া না মান এটা তোর ব্যাপার কিন্তু আমি যা মানি তা মানিই। কেউ এতে ব্যাঘাত করতে পারবে না। আর বাই দ্যা ওয়ে টাকলু হয়েছিস ওহ সরি টাকলু ছেলেদের বলে মেয়েদের কে তো টা…কলিই বলে। সো টাকলি হয়ে কেমন লাগছে? টেডি স্মাইল দিয়ে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মারে।

প্রিয়া হাত দেখিয়ে তালি মারার মতো করে আস্তে করে তালি দে।

—“তুই তোকে তো……না এখন কিছু বলব না আম্মুই জারাকে শাস্তি দিবে তুই দেখ জারা তোর সাথে কি হয়? মনে ভেবে মেহরান বাঁকা হেসে বলে। দেখ তোর সাথে এগেইন ঝগড়া লাগার আমার কোনো শখ নেই ফকির নষ্টা মেয়েদের মুখে লাগি না ওকে? হাহ…….নিজেকে আয়নার মধ্যে দেখে চুলগুলো নেড়ে স্টাইল মারতে থাকে।
বাই দ্যা ওয়ে তোকে আমি কল করেছি কারণ আম্মু তোকে এিশ মিনিটের মধ্যে বাসায় দেখতে চাই। সো কাম ফাস্ট না আসলে তো জানিস আম্মুর রাগ কেমন? গুড বায়।

—“হ্যালো হ্যাল…….টুট টুট টুট।

প্রিয়া জারাকে চিন্তিত দেখে বলে।

—“কি হয়ছে ? ডাইনি কুওি তার মা রে দিয়ে এবার কিসের আয়োজন করছে বল !

—“জিগায়তেই ত পারলাম না সেই মুরগীর মত পকপক করে কল কাইটা দিসে। জারা উদাসী ফেস করে বলে।

—“ওহহ আচ্ছা তাহলে চল বাসায় যায়। একসাথে সিএনজিতে উঠব নে।
প্রিয়া জারার সাথে হাত ধরে যাচ্ছিল। তখন

—“ওহ মোর শালিকা যে বউটারে এদিকটায় আনো।

জারা প্রিয়া এমন কথা শুনে ডান দিকে ঘুরে তাকায়। প্রিয়া ছেলেটাকে দেখে ড্যাবড্যাবে তাকায়।

—“ওয়াও😍….মুখ ফুসকে প্রিয়া বলে ফেলে।
জারা প্রিয়ার কথা শুনে তার দিকে তাকায়। প্রিয়াকে এভাবে তাকিয়ে তাকতে দেখে জারা প্রিয়ার পিঠে জোরে বারি মারে। প্রিয়াও সাথে সাথে “আউচ এতো জোরে মারছিস কেন?

ফায়যান জারার করা কান্ডে মুচকি হাসতে থাকে।

—“তো কি করব এভাবে ওই পোলার দিকে তাকায় আছিস কেন? জারা প্রিয়ার কানের কাছে এসে বলে।

—“এরকম ডেশিং বয় এর দিকে কে না তাকায় থাকবে। কিন্তু এই ডেশিং পোলা তোরে কেন বউ ডাকে? তোর জায়গায় আমাকে ডাকলে তো একসেকেন্ড ও এখানে দাঁড়াতাম না।

—“চুপ কর কুওি। জারা আহুম হালকা কেশে ফায়যানের কাছে এসে বলে আপনি এখানে কেন?

—“কেন……এখানে না আসার ভাড়া নিয়ে রাখছো? গম্ভীর কণ্ঠে জারার দিকে তাকিয়ে ফায়যান বলে।

—“না মানে সকালেই তো পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। প্রিয়া তার পাশে ছিল সে শুনে চোখ গোল করে তাকায়। না মানে হ্যাঁ তো এখন আবার কিসের পিরিত দেখাতে আসছেন? রেগে জারা মুখ ফুলিয়ে বলে।

—“হবু বউ কে রিসিভ করতে আসছি। ফায়যান মুচকি হেসে বলে। শালিকা তুমিও চাইলে চলো তোমাকে বাসায় পৌঁছায় দেবো।

—“হেই হেই এক্সকিউজ মি হবু বউ ওয়াট ডু ইউ মিন? আপনি আপনার কোনো জন্মের হবু বর হবো হ্যাঁ ?

—“সোজা কথায় মানবে,,না হলে ত্যাড়ামি আমিও করতে জানি। ফায়যান ঘড়ির দিকে একনজর তাকিয়ে জারাকে বলে

—“উহ কি কি করবেন এই দিন-দুপুরে আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাবেন দেখান সাহস ! আপনি হবেন কোনো বড় বলডোজার ওয়ালা ব্যবসায়ী তাতে আমার কি? জারা চোখ সরু করে কোমরে হাত রেখে রেগে বলে।

প্রিয়া স্বাভাবিক দুইজনের কথাবার্তা দেখছে। সে মনে মনে বলে।

—“এট লাস্ট জারার লাইফে কেউ এন্ট্রি করতে চলেছে। মুচকি হাসল।

—“এখন তুমি যদি আমার সাথে গাড়িতে না যাও মনে রাখিও (জারার কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলে) পাবলিক প্লেসে ডাইরেক্ট চুমু দিব।

জারা ভয়ে লজ্জায় নিজের মাথা নেড়ে হ্যাঁ জানায়।
ফায়যান সানগ্লাস চোখে দিয়ে তাদের কে নিয়ে গাড়িতে বসল।

প্রিয়া জারাকে ফায়যানের সম্পর্কে জিগ্গেস করলে সে শুরু থেকে কি কি হলো সব বলে। প্রিয়া শুনে ফায়যানের দিকে তাকায় বলে।

—“দুলাভাই এতো ভালোবাসেন? প্রিয়ার কথায় জারা জ্বলছে যায়। গায়ে নুন ছিটার মতো অনুভব করে লজ্জায় গাল লাল করে ফেলে। ফায়যান শুনে লুকিং গ্লাস দিয়ে জারার দিকে তাকায়। জারাকে লজ্জা পেতে দেখে সে দুষ্টুমি হেসে বলে।

—“হ্যা নিজের বউকে কেউ কম ভালোবাসে নাকি? আমি আমার বউকে খুব রোমান্টিক ভাবে ভালোবাসি☺।

জারা শুনে মুখখানি নিজের উড়না দিয়ে চেপে ধরে। ফায়যান কিছুক্ষণের মধ্যে প্রিয়াকে তার বাসায় দিয়ে জারাকে বলে সামনে এসে বসতে। জারা প্রথমে না বলতে চেয়ে পারল না ফায়যানের রুড গলার ভয়ে।

জারা কে রাস্তায় কিছু বলছে না দেখে সে খানিকটা অবাক হলো।

—“আজ রুইডা পোলা চুপ কেন? কোনো অঘটন ঘটাবে না তো? আল্লাহ মালুম। এক দীর্ঘ শ্বাস ফেলে ঢোক গিল।

জারাকে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে সে গাড়িতে বসে থাকে যতক্ষণ না জারা ভেতরে যায় ততক্ষণ। জারা একবার পিছে ফিরে ফায়যানের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে আবার সামনে তাকিয়ে হাঁটা দে। ফায়যান এটাই চেয়েছিল যেনো জারা তার দিকে একনজর দেখুক। ঠিক তাই হলো!

জারা আনমনে দরজা খুলে ভেতরে পা রাখতেই……

………..চলবে………

[বিঃদ্র—“সরি লেইট আর আজকে ও গল্পটা ছোট দিলাম তার জন্যে সরি কয়েকদিন ধরে বিজি তাই। বাট প্রতিদিন গল্প পাবেন এটা আপনাদের ভরসা দিলাম ইনশাআল্লাহ। ভুলএুটির জন্যে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। হেপ্পি রিডিং ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here