ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড পর্ব ৯

#ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড

#লেখিকা_তামান্না

#পর্ব_০৯

আবরার দরজার বাহিরের মেয়েটাকে দেখে শকড সাথে কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।

—“How dare you come here? আবরার ক্লাসের থেকে বের হয়ে মেয়েটার বাহুডোরা জোরে চেপে ধরে কিছুটা আড়াল হয়ে তার সামনে আসা মেয়েটাকে আস্তে করে বলল।

—“Sir, i’m sorry. মেয়েটা আবরার কে দেখে ভয়ে চুপসে বনীতার কণ্ঠে বলল।

ক্লাসের সবাই বাহিরের মেয়েটির সাথে স্যারের আড়াল ভাবে কি কথা বলছে তা শুনার আর দেখার জন্যে দরজার দিকে তাকাতাকি করছে।

আবরার মেয়েটার গাল জোরে চেপে ধরে বলে।

—“শুন কেউ যেনো আমাদের কথা জানতে না পারে বুঝছিস?

—“.জ…জ্ব…জ্বী স্যার। মেয়েটা কাঁদো ভাব করে বলে।

আবরার বিরক্তিকর ভাব করে বলে।

—“এই মেয়ে একদম কাঁদবি না বলে দিলাম। আমার কলেজে এসে যদি আমার মানহানি করার চেষ্টা করিস তাহলে তোর কের নেই মনে রাখিস। বাঁকা হেসে সে নিজের কলার ঠিক করে ক্লাসে ঢুকে আবার হাজিরা নিতে শুরু করল।

মেয়েটা মাথা নিচু করে ক্লাসে এসে পিছের বেঞ্চে বসে পড়ে। প্রিয়া এক দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে।

—“যাক বাবা তুই স্যার আর সোনিয়ার কথার মাঝে জট করে ক্লাসে ঢুকে পড়লি। নইতো আজ তোর লাস্ট দিন হত।

জারা ব্যাগ থেকে চুইংগাম বের করে মুখে নে। প্রিয়ার মুখেও একটা ঢুকিয়ে বলে।

—“বাঘিনীকে ধরা কোনো পিঞ্জি বিলাইয়ের কাম না বুঝলি! আমাকে ধরা ইস পসিবলই না ইম্পসিবল।
হাহ ইটস মি জারা।

জারা ভাব নিয়ে বলে আরামছে চেয়ারে হেলান দিয়ে চুইংগাম চাবাতে থাকে।

আবরার সবার নামের হাজিরা নিয়ে পড়ানো শুরু করে। কিন্তু এর মাঝে তার হাত কতবার যে কাঁপাকাঁপি করছে। যা শুধু সে না স্টুডেন্টসও অনেকবার খেয়াল করল। মেহরান এর বান্ধবী আয়শা তার পাশেই ছিল।
সে মেহরানকে গুতা দিয়ে বলে।

—“ঐ শুন না একটু?
—“ঐ গুতাচ্ছিস কেন কান আছে ত বল।

—“স্যার কে দেখ!
—“উফফ সো হট।

—“ধুর আমি বলছি স্যারকে দেখ মানে স্যার কাঁপছে। আর রুমে ত এসি, ফ্যান, জানালা অফ। তাহলে কাঁপছে কেন?

—“মেবি কাঁপানি জ্বর উঠছে।

—“কি কাঁপানি জ্বর এটা আবার কেমন জ্বর?
—“ওহ বেবি বুঝিস না তুই । আমার মত হট মেয়ে ছেলের সামনে বসা কাঁপানি জ্বর ত আসবেই।

মেহরান ভাব নিয়ে নিজের চুল গুলো নেড়ে এটিটিউট লুক করে স্যারের দিকে তাকায়।

—“ওহহ তাই ত। বলে আয়শা নিজের চোখ ঘুরিয়ে পড়ায় মনোযোগ দে।

কিন্তু আবরার লিখছে আর সেই সুঘ্রাণটা নিচ্ছে।

—“আমার বেশিক্ষণ থাকা যাবে না যদি বেশিক্ষণ থাকি তাহলে মেয়েটাকে খুঁজার জন্যে পাগল হয়ে যাব। নিজের মান-সম্মান হানি হতে দিতে পারব না। কিছু ত করতে হবে। হাতঘড়ির দিকে এক নজর দেখে নিল। এখনো বিশ মিনিট আছে। তাও শেষ ক্লোজ ত করতেই হবে। মনে মনে আবরার কথাগুলো ভেবে এক হাত দিয়ে পকেট থেকে রুমাল বের করে কপাল মুছে নিল।
পরে রুমাল টা টেবিলে রেখে স্টুডেন্টস এর দিকে তাকায়।

—“সো স্টুডেন্টস আজকের জন্যে একটুই যথেষ্ট। মুচকি হেসে বলে সে সবার দিকে তাকাছিল।

জারা প্রিয়া আবরার এর কথা শুনে আবার একে অপরের সাথে কথা বলতে লাগে। আবরার সবাই কে দেখছে পিছের বেঞ্চের দিকে সোনিয়াকে দেখল। এতেই তার মাথা গরম হয়ে আসে।

—“এই মেয়ে এখানে যে কি করছে? মেনেজারটা আর কাউকে পেল না এক ভার্সিটির মেয়েকেই আমার জন্যে পাঠাল। মেনেজার রে ত আমি আনমেনেজার করার ব্যবস্থা নিবো। কিন্তু এই মেয়েকে কি করব? যত বার ক্লাস নিতে আসব ততবার চোখের সামনে পড়বে। যাক ব্যবস্থা নিতে কি? একসেকেন্ডই সব শেষ হয়ে যেতে পারে। ভেবেই আবরার বাঁকা হাসল।

( আবরার যাকে দেখল সে আর কেউ না আবরার যার সাথে বারে রুমডেট করেছিল সেই মেয়েই ভার্সিটির একজন স্টুডেন্ট। আর জারার ক্লাসমেট। তার নামই হলো সোনিয়া। সে প্রতিদিন বারে নাইট ডিউটি করে। মেনেজার সে দিন এক মেয়েকে আসতে বলেছিল। কিন্তু মেয়েটা মাঝ পথে গাড়ি এক্সিডেন্ট করে মারা যায়। মেনেজার ঐ সময় চিন্তিত হয়ে পড়লে সোনিয়া নিজেই গিয়ে বলে সে রাজি এই কাজে। তখনই মেনেজার তাকে টাকার কথা বলে যা আবরার দিবে বলল। এরপর মেয়েটা রুমে গিয়ে রুমডেট করল আবরার এর সাথে)

সবার থেকে বিদায় নিয়ে আবরার বের হয়ে যেতেই তার পা থেমে যায়। সে মুখটা হালকা ঘুরিয়ে পিছে তাকায়।
সে জানালার কোণে দুই মেয়েকে দেখতে পেল। এক প্রিয়া যাকে আবরার দেখতে পারছে। কিন্তু প্রিয়ার পাশের জন্যকে দেখতে পারছে না তার শুধু ব্যাকসাইড পিঠ দেখা যাচ্ছে।

আবরার এর চোখ যেন বার বার মেয়েটার চেহারা দেখার জন্যে কাঁপছিল। সে এক পা দুই পা করে মেয়েটার দিকে আগাতে থাকে।

সবাই যে যার মত কথা বলছে আর আবরার নিজের মত মেয়েটার দিকে এগিয়ে এসে বলে।

—“এক্সকিউজ মি মিস..

—“আবরার স্যার আপনার সাথে দেখা করতে আপনার মাননীয় পিতা আরমান সাদি এসেছেন কেবিনে উনাকে বসিয়েছি।
এক দপ্তরি ক্লাসের বাহিরে এসে বলল।

আবরার দপ্তরির কথায় তার দিকে ফিরে তার সাথে বের হয়ে যায়। আর বেচারি জারা সুন্দর করে দাঁড়িয়ে ছিল আবরার এর ডাকার কারণে। প্রিয়া হাসতে শুরু করে দে।
জারা বাচ্চাদের মত ফেস করে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে।

—“এতো বড় ইনস্লাট। যদি উনার যাওয়াটাই মেইন ছিল তাহলে সবার সামনে এভাবে ডাকল কেন? চলেই যেত হুদ্দায় ডেকে সবার সামনে দাঁড় করাইছে।
ঠোঁট উল্টিয়ে জারা দুই হাত বুকের উপর গুজে প্রিয়াক বলে। আর প্রিয়া ত জারার অবস্থা দেখে না হেসে পারছে না। তার হাসি দেখে জারা রাগে ফুলতে থাকে।

—“বেকার,চরিএহীন,নষ্টা মেয়েদের সাথে বড়লোকের কথার কোনো মানেই আসে না। তারা আমাদের মত মেয়েদের সাথে কথা বলতে চাই। মেহরান কথাগুলো আয়শার পাশে বসে কানাকানি করে বলছে। কিন্তু এমন ভাবে বলছে যেনো জারা শুনতে পাই।

জারার রাগ এবার চড়কগাছে উঠল। সে দুহাত মুঠো করে ফেলল।

—“তবে রে……জারা মেহরানের কাছে যেতে চাইতে প্রিয়া জারার হাত ধরে ফেলে। আরে হাত ছাড় আজ নষ্টা চরিএহীন কাকে বলে সব বুঝিয়ে দেবো ছাড় আমাকে!

—“আরে আরে শুন তুই কেন এদের সাথে লাগবি হুমম? এদের সাথে আমাদের লাগতে হবে না । আল্লাহ নিজেই এক ফেরেশ্তা পাঠাবে এদের কে শিক্ষা দেওয়ার জন্যে।

জারা হাত খুলে ফেলল। সে এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করল। প্রিয়া তার কাঁধে হাত রেখে বলে।

—“আমার বাসায় চলে আসবি?

জারা চোখজোড়া গোল করে তার দিকে তাকায়।
—“কি বলছিস আমার চাচু কে ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না।

—“ওকে তাহলে তোর চাচুকেও সাথে নিয়ে নেবো।

—“না প্রিয়া চাচু ফ্যামিলি ছাড়া থাকবে না। আমি যেমন চাচুর এক মেয়ে মেহরানও ঠিক এক মেয়ে। দুইজনকে সমান চোখে দেখেন উনি। আমার মত অসহায় মেয়েকে রাস্তা থেকে কুড়ে এনে নিজের আশ্রমে আশ্রয় দেওয়া এমন কাজ কেউই করবে না। যা আমার চাচু করেছে। এই পরিবার যত কিছুই আমার সাথে করুক না কেনো! আমি একেই পরিবার মানি। চাচুকে আব্বু, চাচিকে আম্মু আর মেহরানের মত ডাইনি বেডিকে বোন।
বুঝছিস কথা?

জারা প্রিয়ার বাহুডোরা চেপে ধরে বলে।

প্রিয়া তাও মুখগোমড়া করে থাকে। জারা প্রিয়ার থুতনি উঠিয়ে বলে।

—“কি রে বাবু এভাবে কেন ফেস করে রাখছো হুমম? জানস না তুই এরকম ফেস করলে তোকে কাতুকুতু দিতে চাওয়া আমার মন।
একথা কেন ভুলে যাইস বল তো? কাতুকুতু দিব কি?

—“বালডি আমি ঐ ডাইনি রে শাস্তি দিতে বারণ করছি বলে তুইও কি মেনে নিবি? শালি কিছুই বুঝিস না দুনিয়া দারির। একটু ত শক্ত হো। আমি যেটা বলব সেটাই করতে হবে বলে কথা আছে? তুই মেহরানকে উচিৎ শিক্ষা দিবি বলে দিলাম।

—“কবে বললি? এতোক্ষণ ত ডাইনি রে মাফ করার কথা বলতে ছিলি!

—“ও…..ওইটা ত মুখ ফুসকে বলে ফেলছি তোকে টেস্ট নিচ্ছিলাম।

—“ওহ আচ্ছা তাই ত টেস্টের নামটা কি একটু শুনি?

—“তুই এক নাম্বারের বাল অইল?

—“নোট অইল! তোর কি লাগে আমি আমার বোনকে ছেড়ে দেবো? সে আমার এতো বড় প্রশংসা পাবলিকে মানে ক্লাসের ইউ নোউ তারিফ করল। সো আমারও তারিফের মূল্য দেয়া জরুরি তাই না?

প্রিয়া খুশিতে ড্যাবড্যাবে জারার দিকে তাকিয়ে বলে।

—“সত্যি তুই দিবি?

—“ওপকোজ দেবো। বাঁশের বদলে বাঁশ। সে আমায় জারাকে বাঁশ দিল তো আমিও বোনের কাতিরে বাঁশটা ফিরিয়ে নতুন বাঁশ দিব।

—“ইয়ে হই না মেরি দোস্ত ভালি বাত। চল বাঁশ মিশন স্টাট নাউ। প্রিয়া বলেই জারার কাঁধে হাত রেখে দুই বান্ধবী একসাথে ক্যান্টিনে যায়। যেখানে মেহরান তার দুই ফ্রেন্ড আয়শা আর সাহেল কে নিয়ে অবসর কাটাছে।

__________________

ফায়যান অফিসে পা রাখতেই সব ফাংশন চালু করা হয়। তার পিছে পিছে দুই গার্ডসও একসাথে যাচ্ছে। ফায়যান নিজের কেবিনে আসতে তার পিএ অরিতা কেবিনের দরজা খুলে দে।

—“আজকের ডিটেলস বলো? অরিতা জিগ্গেস করে চেয়ারে বসে লেপটপ অন করল।

—“স্যার আপনার কথা মত গতকাল সব ধরনের ব্লেক কোম্পানিতে রেইট বসানো হয়েছে। যার কারণে এখন সকল ক্রয়-বিক্রেতার সুবিধা হচ্ছে সব জিনিস কিনতে।
কিছুটা থামল।

—“ওহহ দিস ভেরি গুড নিউজ। ব্লেক কোম্পানির মধ্যে তাহলে রেইট পড়েই গেল। বাঁকা হেসে ফায়যান লেপটপে টাইপিং করে গুগলে সেই খবরটা সার্চ দে।

—“খবরটা ছড়িয়ে গিয়েছি কি? ফায়যান ভ্রু কুঁচকে অরিতার দিকে তাকিয়ে বলল।

—“জ…জ্বী স্যার অনেক ঘণ্ঠা আগেই। বলেই অরিতা মাথা নিচু করে রাখল।

—“আমি ত জানিই না কাজটা রাহুল করল কিনা? বিশ্বে ভাইরাল কিভাবে করে আজ জানি না বলে স্যারের বকার মুখোমুখি হতে হবে। মনে মনে ভেবে অরিতা ভয়ে হাত কুঁচলানি দিতে থাকে।

—“ডেমমমম…….জোরে চেয়ারের হ্যান্ডেলে বারি দিল। আমি বলেছিলাম খবরটা যেনো ভাইরাল হয় কিন্তু তুমি শুধু এফবি নিউজ ফিডে ছাড়লা! এতোটা ত এক ধরনের বোকামি কাজ করলে। গম্ভীর কণ্ঠে ফায়যান
রকিং চেয়ারে হেলান দিয়ে রেগে বসে থাকে।

—“আইম…….স….সরি স্যার আমি আসলে নিয়মটা জানতাম না। কাঁদো কাঁদো ভাব করে বলল।

—“ওয়াও গ্রেট অরিতা আইম সরি অরিতা আমার ভুল হয়েছে মনে হয় আমার লেপটপে নেট প্রব্লেম করছিল। খবর ভাইরাল হয়েছে ঠিকিই আছে। সরি মিস ! ফায়যান কথাগুলো স্বাভাবিক ভাব অনুভব করেই অরিতা কে বলে আবারোও সব ফাইল ডুকমেন্টেস চেক করতে লেগে পড়ে।

অরিতা ফায়যান স্যারের কথা শুনে আকাশে পাখি উড়ার মতো খুশিতে লাফাচ্ছে কিন্তু সেটা মনের মধ্যেই সে গেঁতে মুচকি হেসে বলে—“ইটস ওকে স্যার। আমি বুঝতে পারছি। ওকে স্যার আসি।

—“হুম ওকে আর হ্যাঁ মিস অরিতা।
ফায়যান লেপটপে কাজ করে করে বলে। তোমার বাসায় এডভান্স স্বরুপ গিফ্ট পাঠানো হয়েছে। গিয়ে একসেপ্ট করিও। মুচকি হেসে সে আবার কাজে মনোযোগ দিল।

অরিতা থ্যাংকিউ স্যার বলে কেবিনের বাহিরে গিয়ে থ্রি-পিচের উড়না নেড়ে নেড়ে লুঙ্গি ডান্স করতে থাকে। তখনই তার ফোনে এক মেসেজ আসায় সে থেমে ফোনে মেসেজ চেক করে।

মেসেজটা আসলো রাহুল থেকে। সে দেখে মুচকি হেসে মেসেজটা পড়া শুরু করে।

—“ম্যাডাম কাজ ত করে দিলাম এবার ডান্স ফায়যানের কেবিনের সামনে কেনো করছো? বাহিরে আসো রেস্টুরেন্টে গিয়ে তোমাকে পার্টি অফ দ্যা ডে করে দেই। কুইক বেইব আমি নিচে গাড়িতে ওয়েট করছি।

মেসেজটা পড়ে অরিতা লাফাই উঠে সাথে চিৎকার দিতে চেয়েও করল না চুপ মেরে মুচকি হেসে তড়িঘড়ি নিচে যায়।

গাড়িতে রাহুল নিজের কলার সুট মুট সব ঠিক ঠাক করছে মিরর গ্লাসে দেখে।

—“একবার ভাইয়া ভাবিরে পটাই নিক তারপর বিয়ে ঠিক হলেই আমার কথাও বলে দেবো। যে আমিও তোর পিএ অরিতাকে ভালোবাসি। উহহহ ভাবতেও শরম করছে।
হেই রাহুল ইটস ইউ শরম তোর না মেয়েরা করে এইটা। আমি কেন শরম পামু? আমি ত হ্যান্ডসাম লুক মেরে অরিতাকে রেস্টুরেন্টে প্রপোজ করব।

রাহুল গাড়ির মধ্যে বিরবির করছে অরিতাকে আসতে দেখে গাড়ি থেকে নেমে নিজেই অরিতাকে সুন্দর করে আপ্যায়ন করে বসায়। আর রওনা দে রেস্টুরেন্ট এর দিকে।

ফায়যান জানালা দিয়ে রাহুল আর অরিতা কে বাঁকা হেসে বলে।

—“আয় রে আমার নাদান ভাইটা এতোই নাদান যে আমাকেই ভালোবাসার কথাটা বলতে পারে না। আমি শুনলে কি তারে খেয়ে ফেলতাম? যাক বিয়ে ত হবেই কিন্তু আগে আমার কলিজা মিস জারাকে পটাতে হবে।

বলে বলে সে চেয়ারে বসে পড়ে। অরিতা যাওয়ার পরই ফায়যান উঠে জানালার কাছে আসছিল দেখার জন্যে যে অরিতা কার সাথে কথা বলে নিচে যাচ্ছে যখন দেখল সে ব্যক্তি রাহুল তখন ফায়যান কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস নিল।

ফায়যান হেলান দিয়ে টেবিলের উপর বসে রেইট পড়া ফাইলগুলো নিয়ে দেখতে থাকে। ঠোঁট এ তৃপ্তির সাসি ফুটে উঠছে।

—“মিস্টার আরমান সাদি কি মনে করেছিলে? তুই ব্লেক কোম্পানি চালু রেখে দেশের মানুষদের ক্ষতি করবে ! না কখনোই না আমি মিস্টার ফায়যান হাসান বেঁচে থাকতে কোনো ক্ষতি নিজের মানুষদের সাথে হতে দেবো না। তোর সামান্য পাওয়ারে আমি তোকেই ছক্কা মারব।
তুই যদি গেইম খেলতে জানিস আমি সেই গেইমের মেইকার। বাঁকা হেসে ফায়যান ব্লেক রেইট ফাইলস সব যত্ন করে তার লোকারে রেখে দে।

ফায়যান সব ঠিকঠাক করে ঘড়ি দেখে জারার ভার্সিটির টাইম আপ হওয়ার টাইম হয়েছে। সে টেডি স্মাইল দিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নে।

—“আহ নিজের বউ কে নিজের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দেবার জন্যে রেডি হচ্ছি। ভাবতেও অবাক লাগছে মিস্টার ফায়যান। সে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সুট কলার ঠিকঠাক করে করে বলছে। আমারও পরিবার হবে জারার সাথে। হ্যাঁ সেও আমার মত বাবা-মা হীন তাই ভালোবাসা টা কি ঠিক জানে না তবে আমি………..আমি তাকে ভালোবাসাটা সমানভাবে দেবো। যে ভালোবাসার থাকবে না কোনো শেষ। মুচকি হেসে সে নিজের চোখের পানি মুছে নিয়ে
কেবিন লক করে গাড়িতে বসে রওনা দে ভার্সিটির সামনে।

সে একটু তাড়াতাড়ি বের হলো কারণ জারার ভার্সিটি তার অফিস থেকে কিছুটা দূরে।

মাঝপথে এসেই তার গাড়ি………

………….চলবে………..

[বিঃদ্র—হিহিহি কেমন লাগছে যারা যারা পূর্বের পার্টে আবরার যাকে দেখল তাকে জারা ভাবছিলেন😜। সে ত জারা নয় সোনিয়া। তাদের ধারণায় ত আমি পানি ঢেলে দিছি আই থিংক😝। সরি গাইস বাট মজা আর আনন্দ করার জন্যে আমি গল্পটা সাজাছি।সো আজ গল্পটা ছোট হলো তাই ক্ষমা করবেন। গতকাল ইয়া বড় পার্ট দিয়েছিলাম। আজ একটু ছোট হলো নেভার মাইন্ড। পড়েন আর বলেন কেমন হলো। হেপ্পি রিডিং]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here