তবুও তুমি পর্ব -০৬+৭

#তবুও তুমি
~পর্বঃ০৬~
~লেখায়ঃ ফাহমিদা মুশাররাত~
.
.
.

“আপনি!”
সামনের মানুষটিকে দেখে ইশা হুড়মুড় করে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পড়লো।

“হ্যাঁ, আমি! কেন অন্য কাউকে আশা করেছিলে নাকি?”(সিগ্ধ)

” আপনি এখানে কি করছেন আপনি এখান থেকে চলে যান। তা নাহলে আমি চেঁচাব!”(ইশা)

“চেঁচাও যত খুশি চেঁচাও! তুমি যদি এখন চেঁচাও তাহলে বাহিরের মানুষ কি ভাববে জানো? বলবে……..” (সিগ্ধ চোখে মুখে দুষ্টুমির চাপ এনে বলে)

“এটা আপনি একদমই ঠিক করেন নি! আপনি আমার সাথে চিট করেছেন, আমি এ বিয়ে মানি না!” (ইশা)

“তোমার মানা মানিতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়ো কাল তাড়াতাড়ি উঠতে হবে!” (সিগ্ধ শক্ত গলায় বলে)

“আমি এখানে থাকবো না আর এক মুহূর্তও!” এই বলে ইশা যেই না রুম থেকে বেরোতে যাবে ওমনিই সিগ্ধ ইশার হাত ধরে হেঁচকা টান মারে। ফলে ইশা বেডের উপর পড়ে যায়।

“এতোক্ষণ ধরে তোমার অনেক তামাশা সহ্য করেছি। যদি আর একটা বাজে কথা বল তাহলে দেখবে আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না!” সিগ্ধ রেগে কথাটি বলে এবং অন্যপাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়ে।

ইশা সিগ্ধের এরূপ ব্যবহারে ভয় পেয়ে যায় তাই উপায়ান্তর না পেয়ে সিগ্ধের কথা মতো বেডের অন্য পাশে ঘুমিয়ে পড়ে।

★★

সকাল সকাল ইশা অনুভব করলো তার গায়ে বৃষ্টি পড়ছে।

“সেকি আমার গাঁয়ে বৃষ্টি পড়ছে কোত্থেকে!” (ইশা)

ইশা ঘুমু ঘুমু চোখে তাকালো। সামনে বসে থাকা মানুষটাকে দেখে ইশা আঁতকে উঠল।

“আমি এখানে কি করছি, এটা কার বাসা আর আপনিই বা এখানে কি করছেন?” (ইশা)

“সেকি একদিনেই নিজের স্বামীকে ভুলে গেলে! এখনো তো পুরো জীবন পড়ে আছে! ” (সিগ্ধ)

“পুরো জীবন দিয়ে কি করবেন? আমি আজই বাবা মায়ের সাথে চলে যাবো আর কখনো আসবোই না!” (ইশা)

“দেখা যাবে!” (সিগ্ধ)

ইশা কথাটি বলেই ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ালো।

★★

বিকেলে সিগ্ধ ইশার রিসিপশন। রিসিপশনে ইশার বাবা মা আর অনেক আত্মীয় স্বজনরা এসেছে। সাথে রাফিয়া, রিয়া, রাফি, আবিদ, এরাও এসেছে। রাফিয়া, রিয়া, আবিদ আর রাফির সাথে ইশা কথা বলছে।

তারা চারজন মিলে ইশাকে এটা সেটা বলে খোঁচাচ্ছে। ইশাও নাক মুখ ফুলিয়ে আঙুল নাড়িয়ে নাড়িয়ে কথা বলছে। আর সিগ্ধ দূর থেকে ইশার অঙ্গ ভঙ্গি গুলো লক্ষ্য করে নিরবে সেগুলো উপভোগ করছে এবং মুচকি মুচকি হাসছে।

রিসিপশন শেষ হতে হতে রাত হয়ে যায়। ইশা নিজের বাবা মায়ের সাথে যেত চাইলে সিগ্ধ যেতে দেয় না। ইশার বাবা মাকে বলে দেয় সিগ্ধ ইশাকে নিয়ে পরে যাবে।

রাতে ইশা রাগ করে অন্য পাশ ফিরে শুয়ে থাকে।

“মাঝখানে ফাঁক রেখে এতো দূরে শুলে কেন?” (সিগ্ধ)

নিশ্চুপ………….

ইশাকে এভাবে চুপচাপ থাকতে দেখে সিগ্ধ ইশাকে টেনে নিজের কাছে আনে। তারপর শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।

“কি করছেনটা কি? ছাড়ুন!” (সিগ্ধ)

নিশ্চুপ………

“কি হলো ছাড়ুন বলছি!” (ইশা)

“হুম আমি ছেড়ে দিলে তুমি দূরে গিয়ে ঘুমাতে তাইনা। তুমি জানো না স্বামী স্ত্রীর মাঝখানে ফাঁক থাকলে সেখানে শয়তান শুয়ে থাকে। এত কষ্ট করে তোমায় খুঁজে বের করে বিয়ে করেছি কি শয়তানকে মাঝখানে জায়গা করে দিতে?”(সিগ্ধ)

” ছাড়ুন। কেউ এভাবে জড়িয়ে ধরলে আমি ঘুমোতে পারিনা!”(ইশা)

“বিয়ে কি তুমি আগেও একটা করছিলে নাকি?” (সিগ্ধ ইশার দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করে)

সিগ্ধের এমন কথায় ইশা থতমত খেয়ে যায়।

“মানে?” (ইশা)

“এই যে বললে এভাবে জড়িয়ে ধরলে তুমি ঘুমোতে পারো না। তাই জিজ্ঞেস করলাম। কি করেছিলে নাকি?” (সিগ্ধ)

“অবশ্যই না!” (ইশা)

“তাহলে আস্তে আস্তে অভ্যেস হয়ে যাবো!”(সিগ্ধ)

ইশা সিগ্ধের থেকে নিজেকে ছাড়াতে সক্ষম হয় নি। তাই বাধ্য হয়ে ওভাবেই ঘুমিয়ে পড়ে।

★★

সকাল বেলা ইশা ঘুম থেকে উঠে দেখলো সিগ্ধ কোথাও যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। ইশা কিছু না বলে উঠে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়াতে যাবে এমন সময় পেছন থেকে সিগ্ধ বলে উঠে,

” দশ মিনিট সময় দিচ্ছি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বেরিয়ে এসো।”(সিগ্ধ)

“কেন? আপনার কোথাও যাওয়ার হলে আপনি যান আমাকে কেন তৈরি হতে হবে আজব?” (ইশা)

“কলেজ যেতে হবে সেটা কি ভুলে গেলে নাকি! যাও তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে এসো দেরি হয়ে যাচ্ছে! ” (সিগ্ধ)

“আপনার যাওয়ার হলে যান। আমি যাবো না!” (ইশা)

“কি বললে তুমি! আবার বলতো দেখি! ” (সিগ্ধ রাগী কন্ঠে বলে এবং ইশার দিকে এগিয়ে আসে)

সিগ্ধকে এভাবে রেগে তার দিকে এগিয়ে আসতে দেখে। ইশা দৌড়ে ওয়াশরুমে ডুকে দরজা লক করে দেয়।

★★

কলেজে পৌঁছানোর পর ইশাকে সিগ্ধের সাথে দেখে অনেকেই তার দিকে হিংসের চোখে তাকায়। কারো কারো ছাউনি দেখে মনে হচ্ছিল যেন তাকে হাতের নাগালে ফেলে মেরেও ফেলতে পারে।

অবশ্য সবার এভাবে তাকানোর যথেষ্ট কারণও রয়েছে। সিগ্ধ যেমন হ্যান্ডসাম, ডেসিং লুক, তেমন কথা বলার অঙ্গ ভঙ্গি যে কোনো মেয়েই এমন ছেলেকে নিজের বর হিসেবে চাইবে এটাই স্বাভাবিক।

ক্লাসে যাওয়ার আগে সিগ্ধ ইশাকে বলে দিয়েছে যাতে তাকে না বলে কোথাও না যায়। এমনকি বাসায়ও না।

ইশা ক্লাসে গিয়ে রিয়া আর রাফিয়ার সাথে গিয়ে বসে। ক্লাস শেষ করে ইশা, রাফিয়া, রিয়া, আবিদ আর রাফি আগের ন্যায় বসে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। সেসময় সেখানে…………

চলবে…….!

[ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন]

#তবুও তুমি
~পর্বঃ০৭~
~লেখায়ঃ ফাহমিদা মুশাররাত

সেখানে বসে থাকতে থাকতে হঠাৎই ইশার চোখ যায় সিগ্ধের দিকে। সিগ্ধ একটি মেয়ের সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলছে। এমন দৃশ্য চোখে পড়তেই ইশার মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। সাথে সাথে ইশা রেগেও যায়।

“মেয়েটার সাথে এতো হেঁসে হেঁসে কি কথা বলছেন স্যার! কই আমার সাথে তো কোনোদিনও এভাবে কথা বলেনি! গিয়ে দেখি ব্যাপারটা কি!” (মনে মনে)

ইশা সবাইকে সেখানে থাকতে বলে সিগ্ধের দিকে এগিয়ে যায়। এক পা সামনে বাড়াতেই ইশা দেখলো সিগ্ধ মেয়েটির সাথে অফিস কক্ষের দিকে ডুকে পড়ে। ইশাও তাদের পিছনে পিছনে অফিস কক্ষের দিকে যায়। অফিস কক্ষের সামনে দাঁড়াতেই ইশার চোখ কিছু একটা দেখে থমকে যায়।

মেয়েটি সিগ্ধের হাত ধরে আছে আর সিগ্ধের দিকে তাকিয়ে কি যেন বলছে। ইশা দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আবারো তার সিগ্ধের প্রতি বিশ্বাস ভেঙে যায়। চোখের পানি টলমল করতে থাকে। নিজেকে সামলে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।

★★

কলেজ ছুটির পর সিগ্ধ ইশাকে কলেজে না পেয়ে ভাবে হয়তো ইশা বাসায় চলে গেছে। তাই আর এদিক ওদিক না খুঁজে সেও বাসায় ফিরে আসে। বাসায় এসে সিগ্ধ অনেকক্ষণ ধরে ইশাকে ডাকাডাকি করে কিন্তু তার কোনো সাড়াশব্দ পায় না। সারা বাড়ি তন্নতন্ন করে খোঁজে। কিন্তু একি কান্ড, বাসার কোথাও তার কোনো হদিস মিলল না। সিগ্ধ ইশার বাবার বাসায় কল দেয়। অনেকবার রিং হওয়ার পর ইশার বাবা কল রিসিভ করে।

“হ্যালো, কে বলছেন?” (ইশার বাবা)
“আমি! আমি সিগ্ধ বলছি!” (সিগ্ধ)

“ও বাবা কেমন আছো তোমরা? ইশা কি করছে, ওকে একটু কলটা দেবে বাবা?” (ইশার বাবা)

“আসলে বাবা ও ঘুমচ্ছে আমি আপনাকে পরে কল করছি!” (সিগ্ধ)

“বাবা ওখানে সব ঠিক আছে তো!” (ইশার বাবা)

“হ্যাঁ, সব ঠিক আছে! ” (সিগ্ধ)

সিগ্ধ ইচ্ছে করেই মিথ্যে কথা বলে যাতে করে ইশাকে যে পাওয়া যাচ্ছে না যাতে এমনটা শুনে উনারা চিন্তা না করেন। এরপর সিগ্ধ নিজের বাবা মাকেও কল করে জেনে নেয়। সেখানেও সে নেই।

ইশাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে সিগ্ধ এবার পাগল প্রায়। সিগ্ধ মাথায় হাত দিয়ে মেঝেতে বসে পড়ে।

“কোথায় খুঁজবো তোমায় আমি কোথায়? প্লিজ ফিরে এসো আর কত এভাবে আমাকে দূরে সরিয়ে দেবে আর কত?” (সিগ্ধ)

★★

চারিদিকে সন্ধ্যা নামার মুহূর্ত। মাগরিবের আযানের ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। ইশা নদীর পাড়ে একটি বেঞ্চের উপর বসে এক দৃষ্টিতে সামনে বয়ে যাওয়া নদীর পানিগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে। আর তার চোখ থেকে অজান্তেই পানি গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে।

“কেন এমনটা আমার সাথে বারবার হয় কেন? আমি তো আমার ভাগ্যকে মেনে নিয়েছি। উনার কাছ থেকে তো কবেই চলে এসেছি তারপরও উনি কেন এলো আমার জীবনে? ” এক দৃষ্টিতে সামনে তাকিয়ে কথাগুলো ভাবছে। এমন সময় সেখানে সিগ্ধ এসে সেখানে পৌঁছে যায়।

ইশাকে সিগ্ধ পেয়ে মনে হলো যেন তার দেহে জানটাই ফিরে ফেল। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে সে ইশার দিকে এগিয়ে যায়। সিগ্ধ জানে ইশার নদীর পাড় খুব প্রিয় জায়গা তাই সে এখানে খুঁজতে চলে আসে আর পেয়েও যায়।

ইশার কাছে গিয়ে রাগী দৃষ্টিতে ইশার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে। সিগ্ধ যে ইশার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে সেদিকে তার কোনো হুঁশ নেই।

সিগ্ধ ইশার কাছে এসে ইশাকে কিছু না বলে হাত ধরে টেনে দাঁড় করিয়ে ফেলে।

“কি করছেন আমার হাত ছাড়ুন!”(ইশা)
” নিশ্চুপ……… (সিগ্ধ)
“কি করছেন! আহ্, আমার হাতে লাগছে ছাড়ুন, মানুষ দেখছে!” (ইশা)
“নিশ্চুপ………… (সিগ্ধ)

” কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? আমি আপনার সাথে যাবো না!”(ইশা)
“যাবে না মানে, তোমাকে যেতেই হবে!” (সিগ্ধ রেগে বলে)

“আমি আপনার সাথে যাবো না!” (ইশা হাত ঝেড়ে ছাড়িয়ে ফেলে)

ইশার এমন আচরণের কারণে সিগ্ধের নিজেকে কন্ট্রোল করা অবাধ্য হয়ে পড়ে। এজন্য ইশাকে রাগের মাথায় সিগ্ধ একটি চড় মেরে দেয় আর ইশা তাৎক্ষণিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

সিগ্ধ ইশাকে ধরে ফেলে। এরপর চড় মারা গালে একটা চুমু খায় আর কোলে তুলে নেয়।

★★

জ্ঞান ফিরতেই ইশা নিজেকে বেডে আবিষ্কার করে। অনুভব করে তার মাথাটা খুব ভার হয়ে আছে। ফোনের শব্দ পেতেই তাকিয়ে দেখে রিয়ার কল। কল রিসিভ করতেই রিয়া উত্তেজিত কন্ঠে বলে,

“কিরে কোথায় চলে গিয়েছিলি তুই? জানিস কত টেনশনে ছিলাম আমরা? তোকে খুঁজে না পেয়ে স্যার তো প্রায় পাগল হয়ে যাওয়ার মতো হয়ে গিয়েছিল! ” (রিয়া)

“পরে কল করছি মাথাটা খুব ভার হয়ে আছে! ” (ইশা)

ইশা সিগ্ধকে দেখে কল কেটে দেয়। সিগ্ধ খাবার নিয়ে রুমে এসে দেখে ইশার জ্ঞান ফিরেছে।

সিগ্ধ বেডের একপাশে গা এলিয়ে দিয়ে বলে,

“যার মাথা ধরেছে সে যেন খাবারটা খেয়ে ঔষধ খেয়ে নেয়। দ্বিতীয় বার যেন বলা না লাগে!” (সিগ্ধ)

ইশা কোনো কথা না বলে অন্যপাশে ফিরে বসে থাকে। সিগ্ধ বলা সত্ত্বেও ইশা কোনো কথা শুনে নি। এবার সিগ্ধ উঠে বসে এবং ইশার মুখের সামনে খাবার ধরে হা করতে বলে।

“খাবো না!” (ইশা)
“তোমাকে হা করতে বলেছি, জানতে চাইনি খাবে কি খাবে না!” (সিগ্ধ রাগান্বিত চাহনিতে ইশার দিকে তাকিয়ে বলে)

এদিকে ইশা যতই খাবে না বলে পণ করছে ততই ইশার খিদে যেন তাকে খেতে বলছে। ইশা খিদের চোটে খেয়ে নিল। তারপর আগের ন্যায় শুয়ে পড়লো।

“এগুলো কি আমি নিয়ে যাবো নাকি শুয়ে পড়লে কেন? যাও এগুলো গিয়ে রেখে এসো!” (সিগ্ধ ধমক দিয়ে বলে)

অগত্যা ইশাকে বিছানা ছেড়ে এঁটো খাবার নিয়ে চলে যেতে হলো।

ইশা অনেকক্ষণ হলো গেল কিন্তু এখনো এলো না দেখে সিগ্ধ উঠে যায়। রুমের বাহিরে এসে দেখলো ইশা ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে বসে টিভি দেখছে।

“শোবে চলো!” (সিগ্ধ ইশার হাত ধরে বলে)
“না যাবো না। আমি আপনার সাথে কখনো ঘুমাবো না!” (ইশা হাত ছাড়িয়ে বলে)

“কেন? তাহলে কোথায় ঘুমাবে শুনি?” (সিগ্ধ শান্ত গলায়)

“যেখানে খুশি সেখানে। আপনি সবসময় আমাকে বকা দিন। একটুও ভালো করে হেঁসে কথা বলেন না!” (ইশা মুখ ভেংচি কেটে)

“তুমি আমার কোন কথাটা শোন যে তোমার সাথে আমি হেঁসে কথা বলবো?” (সিগ্ধ)

“আমি আমার সাথে ভালোভাবে কথা বললেই শুনতাম কিন্তু আপনি তো তাই করেন না কখনো! যাবো না! ” (ইশা)

“আচ্ছা চল, এখন তো বলছি এখন চলো!” (সিগ্ধ)

ইশা টিভি অফ করে সিগ্ধের সাথে চলে গেল। আর সিগ্ধও ইশার এমন আচরণে ইশার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিল।

★★

পরের দিন কলেজে এসে গাড়ি থেকে নামতে যাবে এ……………

চলবে……….!

[ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন! ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here