তার_শহরের_প্রেম পর্ব ৫+৬

গল্পের নামঃ- #তার_শহরের_প্রেম😍😍

লেখিকাঃ- konika Islam sanju

part:05

সবাই একসাথে বসে নাশতা করছে,,, শুধু আয়ান নেই। একটু পরই ফরমাল লুকে নিচে নেমে আসছে। অসম্ভব রকম হেন্ডসাম লাগছে আয়ানকে। কিন্তু আয়াতের কাছে অসহ্য লাগছে। আয়ান দেখে আয়াত আর আরিয়ান কিছু নিয়ে ফিসফিস করে কথা বলছে। আরিয়ান বলে

— জানো আজ ভাইয়া অফিসে জয়েন করবে। আয়াত বলে

—- তাতে আমার খাতা ছিড়া গেলো,,, আরিয়ান আয়াতের কথা শুনে ফিক করে হেসে দেয়। আয়ানের বাবা বলে

—- কি এমন কথা হচ্ছে তোমাদের আমিও শুনি। আলভিরা বলে

—- সে সব পরে হবে,, আগে ভাইয়া এটা বলো তোমার কেমন লাগছে অফিস জয়েন করছ? আয়ান বলে

—- ভালো,, দোয়া করিস,, তারপর একে একে সবার থেকে দোয়া নেয়। আলভিরা বলে

— আয়াত আপ্পি কে বললে না? আয়াত আপেলের পিস খেতে খেতে বলে

—- আমার দোয়া তার লাগবে না,, তোমরা সবাই দিয়েছ তাতেই তার যথেষ্ট,, আর যদি এতেও না হয় তাহলে অনলাইন থেকে লোক ওর্ডার করে দোয়া করে যেতে বল। এটা বলেই আয়াত খাবারের টেবিল ছেড়ে উঠে যায়। আর আয়ান তো রাগে ফুসছে। আয়ানের চাচি বলে

—- মেয়েটা না খেয়েই চলে গেলো। আয়ান বলে

—- ও না খেয়ে চলেগেলো সেটা দেখছ বড় মা,,, আমাকে যে এত গুলো কথা শুনালো?? আয়ানের মা মুচকি হাসি দিয়ে বলে

— তাতে তোর কি?? আর কিছু দিন পরেতো আলাদা হয়ে যাবি!! আরবি বলে

—- আয়াত ভুল কি বলেছে?? অফিসটা বাবার নিজের আর এখানে তার কোনো ইন্টারভিউ নিবেনা যে ভয় হবে,, চাকরি হবে কি হবে না,,,,, অন্য কোম্পানি হলে কথা ছিল। আয়ান খাবার ছেড়ে উঠে যেতে চাইলে আয়ানের বাবা বলে

—- চুপচাপ খাবার শেষ কর,,,.। আয়ানের চাচা বলে

—- অফিসে গিয়ে এমন এটিটিউড নিয়ে কাজ করলে হবে না,, আয়ান৷ ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে হবে। আয়ান শুধু বলে

—- হুমমমম।

_____________

নতুন কলেজ পাশেই আরিয়ানদের ভার্সিটি,,,, আর একটু দূরেই একটা মেলার আয়োজন করা হয়েছে,, আরিয়ান বলে

—- আলভিরা আর আয়ু,, শুনো ছুটির পর তোমরা চাইলে মেলায় ঘুরতে যাবো, আর ক্লাসটা মন দিয়ে কর,,, যাই। বলেই চলে যায়,, আয়াতের বেশ লাগছে কলেজটা আশেপাশে সবাই অনেক মিশুক।৷ ক্লাস শেষ করে মাঠে এসে দাড়িয়ে আছে আলভিরা আর আয়াত কারণ আরিয়ান এখনো আসেনি। তখনই একটা ছেলে এসে আয়াতকে বলে

—- হেই মিস,,, নাম কি? আয়াত বলে

—- আয়াত,,,, আলভিরা বলে

—- আপনার কি দরকার?? ছেলেটা বলে

—,, কারণ আছে,,সেকেন্ড ইয়ার মানে সিনয়র,, আচ্ছা আয়াত তোমার নাম্বার টা দিবে?? আয়াত বলে

—- দিনদুপুরে নেশা করেছেন? চেনা নাই জানা নাই!! ছেলেটা বলে

— হ্যা তোমার নেশা। প্রথম দেখায় দিল ঘায়েল,, । আয়াত বাঁকা হাসি দিয়ে বলে

—- I am not cigarette that you,, you will smoke and throw way,, I am drug baby,, that will you’ll beg for,,,, এখন সামনে থেকে দূরহ নয়তো জুতা পেটা করব। ছেলেটা বলে

— কুল কুল,, আয়াত নিজের জুতা হাতে নিয়ে বলে

— তোর কুলের মায়রে বাপ। আর ছেলেটা দৌড়ে পালায়। তখনই আসে আরিয়ান,,, ছেলেটাকে যেতে দেখে বলে

—- কি হয়েছে? সব ঠিক আছে?? আলভিরা বলে

—- আরে আপুকে প্রপোজ করতে আসছিল আপু ধুয়ে দিয়েছে৷। আরিয়ান বলে

— বাহ-বাহ,,,, বেশ ভালো। আয়াত বলে

— মেলায় যাবো না?? আরিয়ান বলে

— হুমম যাবো তো,, আয়ান ভাইয়া কল দিয়েছিল সেও আসছে। ড্রাইভার চাচ্চু গাড়ি নিয়ে গিয়েছে। আয়াত বলে

— তাহলে চল বাসায় চলে যাই। তখনই আয়ান আসে আর বলে

—- চলচল,,, তারপর এক রকম না চাওয়া সত্ত্বেও আয়াত যায়। চারদিকে হইচই,,, ইশশশ কি বিচ্ছিরি ব্যাপার,, আয়াত বার বার পিছনে পরে যাচ্ছে। তা দেখে আরিয়ান আয়াতের হাত ধরে নেয়। সেটা আয়ানের চোখের আড়াল হয়নি। একটু আগাতেই,,, আলভিরা বলে

—- ভাইয়া ফুচকা খাবো। আয়ান বলে

— এগুলো খাওয়া ভালো না।।। আয়াত বলে

— আরিয়ান আমি ফুচকা খাবো। আরিয়ান বলে

— আমিও খাবো,, চল। আয়ান বলে

— এইসব খেলে পেট খারাপ হবে। আয়াত একটু খুচা মেরে আয়ানকে উদ্দেশ্য করে বলে,,,

— সবার পেটে সব সয় না,, আরিয়ান আমারটায় ঝাল মেডিয়াম। আয়ান বলে

— আমিও খাবো। আরিয়ান মুচকি হাসি দেয় আর বলে

— মামা,,চার পেলেট ফুচকা দুইটায় ঝাল কম। আর দুইটায় মিডিয়াম। এত ভির হঠাৎ করে কারো সাথে ধাক্কা লাগে আরিয়ানের ফুচকার পেলেট টা পরে যায়। তা দেখে আলভিরা বলে

— আরেক পেলেট দিতে বলি?? তখনই আয়াত ইচ্ছে করে আয়ানকে দেখিয়ে দেখিয়ে আরিয়ানের দিকে ফুচকা ধরে,, আরিয়ানও কিছু সময় ভেবে সেটা খেয়ে নেয়। আয়ান রেগে গিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে

—- অনেক হয়েছে,, বাসায় চল। আয়াত বলে

—- আরিয়ান কারো সমস্যা হলে তাকে চলে যেতে বলো।। আমিতো ঘুরব,,, চুড়ি কিনব,, কুলফি খাব। নাগরদোলায় দোলব। চল। আয়ান তো রাগে ফুসছে এবার আরিয়ান হাত ধরার আগেই আয়ান আয়াতের হাত ধরে ফেলে। সেটা দেখে আয়াত অবাক হয়। কিন্তু একটু পরই আয়ানের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে পাশের চুড়ির দোকানে চলে যায় । দেখে অনেক সুন্দর সুন্দর রেশমি চুড়ি,, আয়াতের চোখ আটকে যায় দুই মোঠ চুড়িতে,, লাল আর নীল। আলভিরাও দুই মোঠ চুড়ি কিনে আরবি আর তার জন্য । আরিয়ান বলে

— আয়াত,,, লাল আর নীল চুড়ি গুলো তুমি নাও তোমার হাতে বেশ মানাবে।। আয়াত বলে

— আমিও তাই ভাবছি। আয়ান বলে

—, আলভিরা তুই ,, পাশে থেকে কালো চুড়িটাও নিয়ে নে। আয়াত ভাবে

—- এই খাচ্চরটা আবার চুড়ি দিয়ে কি করবে যা খুশি করুক আমার কি। তারপর অনেক ঘুরে। কুলফি খেতে খেতে আর গল্প করতে করতে মেলেয়া থেকে বের হচ্ছে আয়াতরা। একটু আগাতেই আরিয়ান বলে

—- ভাইয়া তোমরা এখানে দাড়াও,, আমার একটা ফ্রেন্ড আমাকে ডাকছে,, আসছি। আয়াত তো নিজের মতো দাড়ি আছে। আয়ান দেখে আয়াতের ঠোঁটের পাশে কুলফি লেগে আছে। তা দেখে কি মনে করে,, সে আয়াতের সামনে দাড়িয়ে নিজের বৃদ্ধা আঙুল দিয়ে কুলফিটা পরিষ্কার করে দেয়। আলভিরা তো অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর আয়াত তো অবাক। আয়াতের মনে পরে যায়। তাদের ফার্স্ট নাইটের কথা,, কেমন অদ্ভুত। সে আয়ানের থেকে দূরে সরে যায়। আরিয়ান আসতেই সবাই বাসায় ফিরে যায়। আয়াত ভিষণ ক্লান্ত তাই ফ্রেশ হয়ে সোজা নিচে চলে যায়। তারপর সবাই ঠিক করে ক্রাম খেলবে। আয়াত, আরিয়ান, আলভিরা আর আয়ানের বাবা। তারপরে আরবি,, আরিয়ানের বাবা,,আর যে ফার্স্ট এবং সেকেন্ড হবে সে। আয়াত গুটি আনতে রুমে চলে আসে,, রুম থেকে বের হতেই

কারো সাথে ধাক্কা লাগে আর হাতের গুটি গুলো পরে যায়,,,, আয়াত তাকিয়ে দেখে আয়ান,, সম্পূর্ণ সাদা পরে আছে। পেন্ট গেন্ঞ্জি,, তা দেখে আয়াত বলে

— সাদা মূলা। আর গুটি গুলো তুলে নিয়ে যায়। আয়াত যেতেই আয়ান বলে

— কি বললে!! সাদা মূলা,,, আর হাসিতে ফেটে পরে। আয়ান একটা জিনিস খুব লক্ষ করছে সেটা হলো।। কিছু দিন যাবৎ সে আয়াতের উপর একটু দূর্বল হয়ে পরেছে,, কিন্তু পরে ভাবে,, হয়তো তারই ভুল। আর চলে যায়

চলবে!!গল্পের নামঃ- #তার_শহরের_প্রেম😍😍

লেখিকাঃ- konika Islam sanju

part:06

আয়াত আর আরিয়ান সবাই খেলায় মতে উঠেছে,,আর আয়ান সোফায় বসে বসে,, অফিসের কাজ করছে। আয়াত হঠাৎ করে বলে উঠে

—- আরিয়ান নো চিটিং।। আরিয়ান বলে

—- কোথায় করলাম,,, আয়াত বলে

—- আমি দেখেছি ,, তুমি চিটিং করেছো। আরিয়ান আয়াতকে চোখ মেরে বলে

—- আবার দেখল বইল,,,, আয়াত ঠাস করে আরিয়ানের পিঠে চাপর মেরে বলে

—- হবে ,, ফাইজলামি বাদ দাও । আয়ান এইসব দেখছে,, আর রাগে ফুসছে সে বলে

— এই সবের মানে কি?? এখান থেকে যাও সবাই আমি কাজ করছি। আয়ানের বাবা বলে

— তোমার সমস্যা হলে তুমি রুমে চলে যাও। আয়ান রেগে উঠে রুমে চলে যায়। আয়াত ওরা প্রায় রাত ১২ টা অব্দি খেলে আয়াত ক্লান্ত হয়ে,, যায়। তাই রুমে চলে যায় শুতে। যদিও কালকে ফ্রাইডে। আয়াত রুমে যেতে যাবে ঠিক তখনই কেউ একজন তার হাত ধরে টান দিয়ে তাদের পাশের রুমে নিয়ে আসে। রুমটা আয়াতের চিরচেনা,,,, আয়াত সামনে তাকিয়ে দেখে আয়ান আয়ানকে দেখে কেমন অচেনা অচেনা লাগছে,, আয়াতের,, কেমন চোখ গুলো লাল হয়ে আছে,, চুলগুলো উসক খুসক।৷ আয়াতের দুই বাহু চেপে ধরে বলে

—- কি শুরু করেছিস? আয়াত বলে

— কি করেছি আমি??? আপনাকে কিছু বলেছি??? আয়ান বলে

— জানিস না তুই?? দেখাই তো যাচ্ছে রামনীলা। আয়াত রেগে আয়ানের দুই হাত ঝাড়া দিয়ে বলে

— সমস্যা কি আপনার,, আমাকে নিয়ে আপনার মাথা ব্যাথা কেন এত? কি বুঝাতে চান?? আয়ান বলে

— আমার সমস্যা তুই আরিয়ানের সাথে এমন করিস কেন? এত লেগে থাকিস কেন ওর সাথে?? আয়াত বলে

—- আমার যা ইচ্ছা তাই করব,,, দরকার হলে,, ওর পিঠের সাথে আমার পিঠ এক সাথে করে সুপার গ্লু লাগিয়ে নিব৷ আপনার সমস্যা। আয়ান আয়াতের দুই চুয়াল ধরে বলে

—- তাহলে হাত কেটে নাটক কেন করলি? আয়াত আয়ানকে ধাক্কা দিয়ে বলে

—- ভুল করেছিলাম একটা,, এমন মানুষের জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিত চেয়েছিলাম যার লাইফে আমার থাকা না থাকাতে কিছু যায় আসে না। সব নিজের মন মতো। আর আপনার সাথে যেহেতু আমার ডিভোর্স হয়েই যাবে। তাহলে এত জোর কেন?আর কোন অধিকার খাটাচ্ছেন? আপনিতো আমাকে স্ত্রী হিসেবেই মানেন না।

আয়ান দূরে সরে যেতে লাগপ সত্যি তো কেন এমন করছে আয়ান,,সে জানে না। পাশে থাকা ফুলদানিটা সোজারে মেঝেতে ছুড়ে মারে,, চুল গুলো টেনে ধরে,, আবার আয়াতের কাছে এসে বলে

—তোকে যেন আর আরিয়ানের আশেপাশেও না দেখি। আয়াত নিজেকে ছাড়িয়ে দরজা খুলে যেতে যেতে বলে

— ১০০ বার যাবো,, কি করবেন আপনি? কিছু করার সাধ্য আছে? বলেই আয়াত চলে যায় আর আয়ান বলে

— চেন্ঞ্জ করলি!! আমিও দেখে নিব

_________

আজকে সকাল থেকে ঝুম বৃষ্টি আয়াত মন খারাপ করে বসে আছে ড্রয়িং রুমে,,, দুপুর হয়ে গিয়েছে। আরিয়ান,, আলভিরা আর আরবি এসে বসে পরে আয়াতের অন্য পাশে সাথে। আরিয়ান বলে

—- আয়ু ,,, আম্মুকে বলো খিচুড়ি খাবো সাথে ইলিশ মাছ ভাজা ।।। আয়াত বলে

— মন্দ হয় না,, কিন্তু তুমি আমাকে কেন বলতে বলছ? আরিয়ান একটা বোকা মার্কা হাসি দিয়ে বলে

— আমি বল্লে পিটাবে। কারণ সকাল থেকে আমাকে বোকে চলছে,,, কারণ আমার রুম এলোমেলো হয়ে আছে । আরবি বলে

—- তোর রুম দেখলে মনে হয় কোনো গরু-ছাগল বাস করে। আলভি হাসি দিয়ে বলে

—- ঠিক বলছ,,,, এটাতো গরু -ছাগলই। তখনই আয়ান এসে বসে পরে আয়াতের পাশে। তা দেখে আয়াত সরে গিয়ে একটা সিঙ্গেল সোফায় বসে পরে। আরিয়ান বলে

— ভাইয়া,,, আয়ান এক ভ্রু উচু করে বলে

—কি?? আরিয়ান ফিক করে হেসে দিয়ে বলে

—- তুমি টিশার্ট উল্টো পরেছে,, আয়াতও খেয়াল করে হেসে দেয়। আয়ান ধমক দিয়ে বলে

— চুপ এইটাই ইস্টাইল,,, আলভিরা বলে

—- হ্যা নতুন ইস্টাইল,, আবার হাসির রুল পরে যায়। কিন্তু আয়াত বিরক্ত হয়ে তাকিয়ে আছে,,, আহাম্মক নাকি!? এভাবে কেউ আসে,, যা খুশি করুক আমার কি?? শয়তানের হাড্ডি,,,, তখনই আরিয়ানের মা এসে বলে

—- আরিয়ান তোকে না রুম পরিষ্কার করতে বলেছি? আরিয়ান বলে

—- আম্মু,, আমি এইসব পারি বল? আরিয়ানের মা বলে

—- তুই পারিসনা তো একটা বিয়ে করে নিয়ে আয় না!! তারপর তোর সব কাজ করে দিবে,, আমি আর পারছি না,, বাপু।৷ এই আলভি (আলভিরা)তুই এখানে কি করিস যা গিয়ে আরিয়ানের রুমটা গুছিয়ে দিয়ে আয়৷ আলভিরা বলে

—- আমার ঠ্যাকা পারছে?? তোমার ছেলে পারে না নাকি? তখনই আয়াত বলে

—- বড় মা আমার না খিচুড়ি খেতে ইচ্ছে করছে,, একটু করে দিবা?? আরিয়ানের মা বলে

— আগে বলবিতো,,,এখনই যাচ্ছি। বলে চলে যায়,, আরিয়ান বলে

—- ধন্যবাদ আয়ু,,, তোমার জন্য বেঁচে গেলাম। আয়াত বলে

— এত কথা বাদ দিয়ে যাও রুম পরিষ্কার করে আসো। আরিয়ান বাচ্চাদের মতো ফেস করে বলে

— যেতেই হবে,, আলভিরা বলে

— না ঘুমিয়ে থাকো। আরিয়ান বলে

—- আমাকে যদি কেউ হেল্প করত!! আয়াত কিছু বলতে যাবে তখনই আয়ান বলে

— তুই যা আমি একটা সার্ভেন্টকে বলে দিচ্ছি। আরিয়ান চলে যেতেই আয়াত রান্না ঘরে যায়। আয়ানও পিছু পিছু রান্না ঘরে যায়। আলভিরা বলে

— আপু দেখ,, আয়ান ভাইয়া কেমন জেলাস ফিল করছে আরিয়ান ভাইয়ার থেকে,, আর কেমন কয়দিন ধরে আয়াত আপুর পিছনে পিছনে ঘুরঘুর করে। আরবি বলে

—- তাইতো দেখছি আল্লাহ হয়তো রহমত করেছে। আলভিরা হেসে দেয়। রান্না ঘরে গিয়ে দেখে আয়ানের মা আর চাচাি রান্না করছে,, আর সার্ভেন্ট রা সব এগিয়ে পিছিয়ে দিচ্ছে। আয়াতকে দেখে আয়ানের মা বলে

—- কিরে তুই এখানে,,, তোর কিছু লাগবে? আয়াত বলে

—- বসে থাকতে থাকতে অনেক ক্লান্ত আমি তাই খেতে এসেছি। আয়ানের মা মুচকি হাসি দিয়ে বলে

—- তাই,, তা কি খাবি শুনি? আয়াত বলে

—- আইসক্রিম,,, তখনই আয়ান এসে সোজা ফ্রিজ থেকে আইসক্রিমের বক্সটা নিয়ে চলে যায়। আয়াত বলে

— এটা কি হলো?? আয়ানের চাচি বলে

—- তাইতো,,৷ ছোট এটা কি হলো? আয়াত বলে

— ফুপি তোমার ছেলেকে ভালো হয়ে যেতে বলো। ভালো হইতে টাকা পয়সা লাগে না। আর লাগলে আমাকে বইল ২০ টাকা দিয়ে দিব। তাও জানি ভালো হয়ে যায়। কুদ্দুস আলী একটা। এই বলে কিচেন থেকে বেরিয়ে আসে আয়াত। আয়ানের মা আর চাচি আয়াতের কথায় হেসে দেয়।

আয়াত দেখে আয়ান,, আরবি আর আলভিরা একসাথে আইসক্রিম খাচ্ছে আর,,, মুভি দেখছে,,, আয়াত গিয়ে বসে পরে আলভিরার পাশে। আলভিরা বলে

— আপু আইসক্রিম খাও!! আয়াত বলে

—- নারে আলু (আলভিরা) জানো এই আইসক্রিম খাওয়া ভালো না,,, আমি খাবো না। আয়ান আইসক্রিম খেতে খেতে বলে

—- বিড়াল বলছে সে নাকি মাছ খায় না। আয়াত বলে

— আরবি আপু তোমার ভাইয়ের মুখ বন্ধ করতে বলো,, আমার পিছনে এতো লাগতে আসে কেন? আয়ান আইসক্রিম টা রেখে দাড়িয়ে বলে

—- ১০০ বার লাগবো ১০০০ বার লাগবো। দরকার হলে সুপার গ্লু দিয়ে লাগবো। তোর কি হ্যা৷ আয়াত সোফায় থেকে কুশনটা ছুড়ে মরে বলে

—- আপনার এই সোজা নাকটা আমি থেতলে দিব। শুধু কথায় কথায় নাক গলাতে আসে। আয়ান বলে

—- আমি কারো কথায় নাক গুলাই না।তোর মতো।

অন্য দিকে আরবি আর আলভিরা মুভি ওফ করে ওদের ঝগড়া দেখছে আর আইসক্রিম খাচ্ছে। মানে ফ্রিতে এন্টারটেনমেন্ট ,,,, আরবি বলে

—- ঝগড়ায় দম নাই তোর আয়াত,,, আরেকটু দম বারা। আয়াত বলে

—- ওকে আপু,, ঐ আপনি কি বললেন নাক গলান না,, আপনি তো হাত পা সব গলান তাই আর নাকটা দেখা যায় না,, এত বড় বড় দুইটা পা,, আবার আসছে নাক গলাতে। আয়ান বলে

— কেনরে হিংসা হয়? পনে চার ফিটের একটা বাচ্চা ডোরেমন,,,, আলভিরা বলে

—- ভুল বলছো ভাইয়া পিকাচু,, আজকে হলুদ পরছে আর রাগতো সেই কারেন্টে ঝটকা খাওয়ার মতো। আয়াত বলে

—- তোমার ভাই কি আয়রন ,,,,,, বিশুদ্ধ পানিকেও বিষাক্ত করে তুলবে নিজের বিষ দিয়ে এমন একটা ফাজিল নাগ।।। আয়ান বলে

—- আমি নাগ হলে তুই জেহরেলী নাগীন৷ আরবি বলে

— ওয়াও,,,এবার জমছে। তখনই রান্না ঘর থেকে আসে আয়ানের মা আর চাচি।।। বলে

— কি হয়েছে? আয়াত বলে

—- এই সব দোষ আয়রনের। আয়ান বলে

— সব দোষ এই ডোরেমন এর। আয়ানের মা বলে

— দুইটা যদি আরেকবার এমন বাচ্চাদের মতো ঝগড়া করছিস তো খবর আছে, আর আরবি তুই বসে বসে ওদের ঝগড়া দেখছিস। আরবি বলে

—– তো ফ্রিতে এন্টারটেইনমেন্ট কে মিস করবে,,, মাঝখানে তোমারা ভিলনে হয়ে এসে সব শেষ করে দিলে। আয়ানের চাচি বলে

—- অনেক হয়েছে এখন জানি কোন আওয়াজ না পাই বলে চলে যায় । আয়াত বলে

— I will see you…আয়ান বলে

—- তুই নির্লজ্জ,, বখাটে মেয়ে,, আমার মতো সুন্দর মাসুম ছেলেকে একা পেয়ে টিজ করছিস। আয়াত যেতে যেতে বলে

—- যেই না চেহারা নাম রাখছে পেয়ারা,,, আপনাকে মাসুম বললে,, মাসুম শব্দটাকে অপমান করা হবে।। ওকে বায়,,

আয়ান মনে মনে খুশি হোক না ঝগড়া কিন্তু আজ অনেক দিন পর আয়াত তার সাথে একটু কথা তো বলেছে।

চলবে

সবাই নাইছ নেক্সট না লেখে গঠন মূলক কমেন্ট কর।😑😑 আর আজকের পার্ট কেমন লাগছে অবশ্যই জানাবে। ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে♥️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here