তুই যে শুধুই আমার পর্ব ২+৩

#তুই_যে_শুধুই_আমার [❤you are only mine❤]
#Part_2+3
#Writer_Tanzin_Islam_Ishika

ঠাস,,,ঠাস,,,ঠাস,,
রাহেলাঃ তুই পাগল হয়ে গিয়েছিস,, কি যা তা বলছিস,, এক সপ্তাহ পর তোর বিয়ে রুহান এর সাথে,, আর তুই এখন বলছিস এই কথা,,,

সায়রা কিছু না বলে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকে,, তখন ওসমান সাহেব সামনে এসে বলে,,

ওসমান সাহেব (সায়রার বাবা)ঃ মা তুই কি বলছিস এইসব,,

সায়রাঃ সত্যি বলছি বাবা,, আমি আরুশকে ভাইকে অনেক বেশি ভালবাসি,, ওকে ছাড়া আমি থাকতে পারব না,,

রাহেলা বেগমঃ কিসের ভালবাসা,, খালাতো ভাই বোনের মধ্যে কোন ভালবাসার সম্পর্ক হতে পারে না,,

দাদীঃ একদম ঠিক,, আর তোর মধ্যে কি লাজ শরম বলতে কিছু নেই নাকি,, নিজের বাবা মার সামনে নিজের ভাইকে ভালবাসার কথা বলতে তোর একটুও লজ্জা শরম করছে না,,

রাহেলা বেগমঃ রুহানের সাথে তোর কয়দিন পর বিয়ে,, আর এই সময় তোর এইসব বলতে লজ্জা করছে না,,

ওসমান সাহেবঃ আহা চুপ করো তহ,, মা তুই কি সত্যি আরুশকে ভালবাসিস,,

সায়রাঃ হুম,,,মাথা নিচু করে,,

ওসমান সাহেবঃ আরুশ কি তোকে ভালবাসে,, আরুশের দিকে তাকিয়ে,,

আরুশ বুঝতে পেরে বলে,,
আরুশঃ হ্যাঁ খালু,, আমিও সায়রাকে অনেক বেশি ভালবাসি,,

ওসমানঃ কবে থেকে,,

আরুশঃ ৪ বছর থেকে,, মাথা নিচু করে,,

রাহেলা বেগমঃ আমাদের আদরের এমন সুযোগ নিবি আমরা কল্পনাও করতে পারিনি,, আমার গর্ব ছিলি তুই আমার অহংকার ছিলি তুই আজ আমার অহংকার ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল,,,

সায়রাঃ সরি মা,,,

দাদীঃ হাহ সরি,, খুন করার পর সরি বললে সব ঠিক হয়ে যায় নাকি,, বাপরে বাপ কি যুগ আইলো,, ওই তোর নিজের খালাতো ভাই এর সাথে প্রেম করতে শরম লাগে নাই,,

আরুশঃ দেখ দাদী তোমার যা বলার আমাকে বলো,, সায়রাকে না,, ওর এইখানে দোষ নেই,,

দাদীঃ সাহস তহ কম না,, আমার মুখের উপর কথা কোস,, যে নিজের খালাতো বোন এর সাথে নষ্টি ফষ্টি করতে লজ্জা লাগে নাই,,,

ওসমান সাহেবঃ আহা মা চুপ করো তহ,,,

দাদীঃ হো হো আমারেই চুপ করা খালি,,,

রাহেল বেগমঃ তোকে এই দিন দেখার জন্য বড় করসিলাম,,

সায়রা কিছু না বলে চুপচাপ চোখের পানি ফেলতে থাকে,, নিজের মেয়ের চোখে পানি দেখে ওসমান সাহেব এর ভিতর থেকে এক দীর্ঘ শ্বাস বেড়িয়ে আসে,,তারপর বলে

ওসমান সাহেবঃ আগে বলনি কেন,,

সায়রাঃ ভয়ে বাবা,, যদি রাজি না হও,, কিন্তু এখন যদি না বলি তাহলে ওকে সারাজীবনের জন্য হারিয়ে ফেলব,, আর আমি ওকে হারাতে পারব না,,

রাহেলাঃ তাহলে এই বিয়ের জন্য রাজি হলি কেন,,

সায়রাঃ আব,, আমি কিছু বলতে যাব তার আগেই আরুশ ভাইয়া বলে উঠে,,

আরুশঃ রাগের মাথায় রাজি হয় খালা,, তুমি তহ জানোই আমি এক বছরে জন্য বাইরে গিয়েছিলাম ইউরোপে কাজের জন্য,, সেখানে গিয়ে আমি সায়রার সাথে ঠিক মত কথা বলতে পারতাম না,, ওর খোজ খবর নিতে পারতাম না,, আর মাঝে এত ব্যস্ত হয়ে পরি যে টাইম দিতে পারি নি,, এর জন্য সে জিদে আমার সাথে সম্পর্ক চিন্ন করে,, আর বিয়েতে রাজি হয়ে যায়,, ভাগ্যিস আমি ঠিক টাইমে বাংলাদেশে আসি আর এইসব জানি,,, তখন আমি ওকে বুঝাই,, আর ও বুঝতে পারে যে ও কত বড় ভুল করে ফেলেছে,, আর এখনো সময় ছিল তাই এইভাবে আমাদের ব্যাপার তুলে ধরলাম,,, তা না হলে আরও দেরি হয়ে যেত,,

রাহুল সাহেব (আরুশের বাবা)ঃ দেরি তহ করেই ফেলছ,, এইসব যদি আমাদের আগে জানাতে এইসব কিছুই হত না,,

আরুশঃ সরি,, কিন্তু আমরা দুইজন একজন আরেকজনকে ছাড়া থাকতে পারব না,, প্লিজ তুমি তহ বুঝো,, এই বিয়ে হলে কেউ খুশি হবে না,,

রিপা বেগম( আরুশের মা)ঃ আরুশ তুই বাবা আমায় বলতি,, আমি আগে থেকে সব ঠিক করে রাখতাম,, তুই এখন এমন সময় এইসব বলছিস,, যে কিছু করার নেই,,

আরুশঃ সরি মা,, আমি চেয়েছিলাম সেটেল হয়ে তারপর সবাইকে জানাতে,, কিন্তু ও যে রাগে জিদে এমন করবে বুঝি নি,,, কিন্তু এখন যদি তোমরা রাজি না হও,, আমরা অন্য স্টেপ নিতে বাধ্য হবো,, হয়ত তোমাদের এক ভুল ডিসিশনের আমাদের দুইজনকে চিরতরের জন্য হারাতে হবে,, এক নাগারে বলে শ্বাস নেয় আরুশ,,


ঠাস ঠাস,,
রাহেলা বেগম আবার আমার গালে চড় বসিয়ে দিলেন,, আমি গালে হাত দিয়ে নিচে তাকিয়ে আছে,, আর চোখের জল ফেলছি,,

রাহেলা বেগমঃ তোকে এই জন্য বড় করেছিলাম যে আজ এমন একটা দিন দেখাস,, সব জায়গায় কার্ড দেওয়া হয়ে গেছে,, মেহমান সব আসতে শুরু করেছে,, মানুষ বিষয়টা কিভাবে নিবে একবার ভেবেছিস,, তার থেকে বড় কথা রুহানের পরিবারকে কি জবাব দিব,,

রিপা বেগমঃ মাথা শান্ত কর বোন,,এখনো হাত থেকে কিছু ছুটে যায় নি,, তুই শান্ত হো,,

রাহেলা বেগমঃ কিভাবে শান্ত হবো আপা,, ও আজ যা করেছে তাতে আমরা কিভাবে রুহানের পরিবারকে জবাব দিব,,

রাহুল সাহেবঃ কিছু তহ একটা করতে হবে,, কিন্তু যাই হক ওদের দুইজনকে আলাদা করা যাবে না,, তা না হলে হয়ত আমাদের সন্তানদের আমাদের হারাতে হবে,,,

এই কথা শুনে রাহেলার বেগম এর বুক মোচড় দিয়ে উঠে,, কেননা তার এক মাত্র মেয়ে,, যত যাই বলুক,, মারুক বকুক কিন্তু নিজের থেকেও বেশি ভালবাসে ওকে,,

রাহেলা বেগমঃ তুই আমায় এইসব আগে না বলে ভুল করেছিস,, যখন তোকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম তুই কাউকে ভালবাসিস কি না,, তখনই তোকে আমার সত্যিটা বলে দেওয়ার দরকার ছিল,, তাহলে আজ এই দিন৷ দেখতে হত না,,

সায়রাঃ সরি মা,,,

রাহেলা বেগমঃ সরি বলে এখন কি হবে,, কিভাবে এইসব সামলাবো বল তুই,,

ওসমান সাহেবঃ আমি দেখছি বেপারটা,, কি বাই করার যেখানে ওরা দুইজন দুইজনকে ভালবাসে সেখানে তহ আর কিছু করার নেই,, ভাবতে দাও কি করা যায়,, আর তোমরা দুইজন রুমে যাও,, আমার সবার সাথে কিছু কথা আছে,,

আমি কিছু না বলে রুমে চলে আসি,, আর বালিশে মুখ গুজে কান্না করতে থাকি,,, চোখের পানি যেন বাধ এই মানছে না,, মোবাইলে আরুশ ভাই এর ছবি বের করে বুকে জরিয়ে কাদতে থাকি,,

সায়রাঃ নিজের ভালবাসার কাছে যে আমায় এইভাবে নত হতে হবে বুঝি নি আরুশ ভাই,, কিন্তু আরুশ ভাই তুমি এইরকম না করলেও পারতে,,, আমি যা করেছি তা তোমার ভালোর জন্যই করেছি,, তোমাকে আমি নিজ থেকে দূর করতে বাধ্য ছিলাম,, আর এর শাস্তি আমি তিলে তিলে পেয়েছি,,, আর হয়ত সারাজীবনই পেতাম,, কিন্তু তুমি যা করছো তার পরিনাম কি হবে তা আমার জানা নেই,, আদো আমরা এক হয়ে থাকতে পারবো কিনা জানি না,, জানি না পাবো নাকি তোমায়,,
এই বলে আবার কাদতে থাকে,,


এইদিকে,,
আকাশের পানে তাকিয়ে আছে আরুশ,, তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার ভিতর থেকে এক দীর্ঘ শ্বাস বেড়িয়ে আসে,,

আরুশঃ তুই সেদিন এমন না করলেও পারতি,, তাহলে আজ তোর আর আমার লাইফ এমন হতো না,, কি দোষ ছিল আমার বল,, তোর চোখে শুধু টাকা এরই দাম,,আমার ভালবাসার কোন দাম নেই,, টাকার সামনে আমার ভালবাসা পায়ে ঠ্যালে দিলি,, সে যাই হোক,, তুই যা করেছিস তার শাস্তি পাবি,, কিন্তু তা আমার থেকে দুরে গিয়ে নয়,, বরং আমার কাছে থেকে,, আমার হয়ে,, তুই যত যাই কর,, তোকে তহ আমার এই হতে হবে,,কেন না #তুই_যে_শুধুই_আমার,,, তোকে তহ এই আরুশের এই সায়রা হতে হবে,, আর তাও খুব শীঘ্রই,,,



চলবে,,

#তুই_যে_শুধুই_আমার [❤you are only mine❤]
#Part_3
#Writer_Tanzin_Islam_Ishika

সায়রা যখন মুখ লুকিয়ে কান্না করছিল তখন রাহেলা বেগম আর রিপা বেগম সায়রা এর রুমে কিছু জিনিস নিয়ে এসে বলে,,

রাহেলা বেগমঃ যা তারাতারি এইগুলো পড়ে রেডি হয়ে নেয়,,
সায়রা তাদের আসার আভাস পেয়ে আগেই চোখ দুটো মুছে ফেলে আর বলে,,

সায়রাঃ কেনো,,

রাহেলা বেগমঃ একটু পর তোর বিয়ে,,

সায়রাঃ মানেএএএ,,কার সাথে,, অবাক হয়ে

রাহেলা বেগমঃ আরুশ এর সাথে,, তোদের এখনই বিয়ে করে নিতে হবে,,

সায়রা কিছু বলতে যাবে,, তার আগেই রাহেলা বেগম ওকে থামিয়ে বলে,,
রাহেলা বেগমঃ কোন কথা না,, চুপচাপ রেডি হয়ে নে,, একটু পর কাজি চলে আসবে,, হাতে বেশি সময় নেই,, যা তারাতারি রেডি হয়ে নে,,,

এই বলে তিনি আমার হাতে সব জিনিস ধরিয়ে চলে যায়,,, আর রিপা বেগম আমার এর মাথা হাত বুলিয়ে চলে যায়,, আমি বেকুবের মত বসে থাকে,, হঠাৎ ফোনে আলো জ্বলে উঠে,, ফোন হাতে নিয়ে দেখি রুহান ফোন করেছি,, আমি কিছুই বুঝতে পারতাসি না কি করবো,, ফোন বাজতে বাজতে একসময় অফ হয়ে যায়,, আবার ফোনটা বেজে উঠে,,, আমি ফোন রিসিভ করতেই যাব এমন সময় কেউ আমার হাত থেকে ফোন নিয়ে স্বজরে আছাড় মারে,, আমি ভয়ে কুকড়িয়ে উঠি,, সামনে তাকাতেই দেখি আরুশ ভাই রক্তিম চোখের আমার দিকে তাকিয়ে আছে,, আমি ভয়ে ভয়ে কয়েক শুকনো গলায় কয়েকটা ঢোক গিলি,,আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই সে আমাকে উঠিয়ে আমার হাত পিছনে মুচড়ে ধরে,, আর আমাকে তার সাথে পিছনের দিক থেকে নিজের মিশিয়ে নেয়,, আমি ব্যথায় ‘আহহ’ করে উঠি,,, তখন সে আমার কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলে,,

আরুশঃ খুব বেশি অন্যায় করে ফেলেছি তুই সায়রা,, খুব বেশি,, তোর আজ এখন আমার সাথে বিয়ে আর তুই এখনো ওই রুহানের সাথে কথা বলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিস,, এমনটা করা মোটেও উচিত হয়নি তোর,, আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করার শাস্তি তুই অবশ্যই পাবে ।
আমার বিশ্বাস ভাঙ্গার পরিনাম তুই ঠিকই বুঝতে পারবি,,,তোকে নিজের করে ভয়ানক শাস্তি দেবো,,

বলেই আরুশ ভাই আমায় আরো শক্ত করে নিজের সাথে চেপে ধরেন,,সে আমার কমোড় জরিয়ে ধরে বেশ রাগ ক্ষোপ জেদ নিয়ে,,,
আমি ব্যথায় কুকড়িঁয়ে উঠি,, চোখ থেকে অনাবরত পানি পরেই চলেছে,, তা দেখে আরুশ ভাই বলে উঠে,,,

আরুশঃ একদম ন্যাকামি করবি,, তোর এই চোখের পানি এখন আমায় আর গলাতে পারবে না,,,খুব শখ ছিল না রুহান বিয়ে করার,, কিন্তু
তা আর হচ্ছে না,, কেন না আমি তা হতে দিবো না,,তোকে তো আমাকেই বিয়ে করতে হবে,, আর আমারই হতে হবে,, কেন না #তুই_যে_শুধুই_আমার,,, আর আমি ভালো করেই জানি আমার জিনিস আমাকে কি করে আদায় করে নিতে হয়,,, কথায় আছে না,,
“Everything is fair in love and war”
So get ready being my,,,

এই বলে আরুশ ভাই আমায় ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে চলে যায়,, আমি তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকি,, আমার ভিতর থেকে এক দীর্ঘ শ্বাস বেড়িয়ে আসে,,,


🍀কিছুক্ষণ আগে🍀


সবাই গোল হয়ে বসে আছে,, কি করবে না করবে কিছু বুঝতাসে না,,
দাদীঃ আগেই কইসিলাম ছেলে মেয়ে গো এমন অবাধ মেলামেশা ভালা না,, তখন তহ বলসিলা কিছু হয় না,, এখন দেখ বড় গো কথা না শুনলে কি হয়,, পান চিবুতে চিবুতে,,,

ওসমান সাহেবঃ আহা মা,, চুপ করতো,, এখন এইসব না বলে কি করা যায় তা ভাব,,,

রিপা বেগমঃ দেখেন ভাই,, আমার সায়রাকে আগে থেকেই পছন্দ,,তাই ওকে আমার বাড়ির বউ করতে আমার কোন সমস্যা নেই,,

রাহেলা বেগমঃ মেহমানদের না হয় আমরা সামলিয়ে নিব,, কিন্তু রুহানের পরিবারকে কি জবাব দিব,,,

ওসমান সাহেবঃ ওরা যখন একে ওপরকে ভালবাসে সেখানে তহ আমাদের কিছুই করার নেই,, উল্টা এখন যদি আমরা সায়রাকে জোর করব বিয়েটা দেই তাহলে ৩ জনের জীবনই নষ্ট হবে,, এতে কেউ খুশি থাকবে না,,

রাহুল সাহেবঃ একদম ঠিক,, আমার কাছে এক বুদ্ধি আছে,, আমরা ওদের এখন ঘোরোয়া ভাবে বিয়ে করিয়ে দেই,, আর রুহানের পরিবারকে বলবো যে তারা আমাদের না জানিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে আসছে,, এখন আমাদের ওদের আপন করে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই,, তাই তারা যাতে সব ভুলে যায়,, আর এই বিয়ে ভেংগে ফেলে,, হয়তো কিছু কটু কথা শুনাবে কিন্তু পরে সব ঠিক হয়ে যাবে,, আর যথা তারিখে আরুশ আর সায়রার পুনরায় বিয়ে দেওয়া হবে,, এতে লোক সমাজের কথা কিছুটা কম হবে,,,

ওসমান সাহেবঃ আমার কাছেও এইটাই ভালো মনে হয়,,

দাদীঃ দোষ করবো পোলাপাইনরা,, আর এর দায়ভার নিব বড় রা,, যতসব,,

দাদী এর কথা কেউ কানে না নিয়ে সকলে নিজের কথায় ব্যস্ত হয়ে পরে,,, কেন না সময় খুবই অল্প আর কাজ অনেক বেশি,,, তাই সকলেই বিয়ের জন্য ব্যস্ত হয়ে পরে,,,



🍃🍃বর্তমানে🍃🍃

সায়রা বউ সেজে বসে আছে,, পাশেই আরুশ বসা,, আরুশ নীল কালারের পাঞ্জাবি পরেছে,, চুল গুলো স্পাইক করা,, হাতে ঘড়ি,, সাদা আলতো গায়ে নীল পাঞ্জাবিটা একদম ফুটে উঠেছে,, যেন তারই জন্য এই রং টা তৈরি,, বেশ লাগছে তাকে,, সায়রাও কম কিসে,, নীল বেনরসীতে অপরুপ লাগছে তাকে,, চোখে কাজল,, ঠোঁটে হাল্কা লিপস্টিক,, হাতে নীল রেশমী চুড়ি,, গলায় হাড়,, এক পাশে খোপা করা,, আর মাথায় ঘুমটা,, সব মিলিয়ে তাকে আরুশ এর বউই লাগছে,,
বেশ মানিয়েছে দুইজনকে এক সাথে,,সামনে কাজী বসে আছে,, কিছুক্ষণের মধ্যেই বিয়ে পড়ানো শুরু হয়ে যায়,, আরুশকে কবুল বলতে বললে সে বলে দেয়,, যখন সায়রাকে কবুল বলতে বলা তখন সায়রা কিছু না বলে চুপ হয়ে থাকে,, তা দেখে সকলে বলে কবুল বলতে,,, কিন্তু কাজ হয় না,, তখন আরুশ সায়রা এর কানের সামনে এসে বলে,,,

আরুশঃ এত ঢং না করে কবুল বলে দে,, তা না হলে আমি কি করতে পারি তা তোর ধারণার বাইরে নয়,,

অতঃপর আর কি সায়রা বাধ্য হয়ে কবুল বলে দে,, আরুশ আর সায়রা এর বিয়ে সম্পন্ন হয়,,


রাতেরবেলা,,
যে যার রুমে শুয়ে আছে,, চারদিকে নিস্তব্ধতা বিরাজমান,, এর মধ্যে এক চাপা কান্নার কন্ঠ ভেসে আসছে কানে,, আর তা আসছে সায়রা এর রুম থেকে,, সায়রা খাটে বসে নিশব্দে কান্না করেই চলেছে,, তার শ্বাস যেন বন্ধ হয়ে আসছে,, এক তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে তার মধ্যে,,,
কেন না সামনের সোফাতে আরুশ পায়ের উপর পা তুলে একের পর এক সিগারেট খেয়েই চলেছে,, তার সিগারেটের ধোঁয়ায় আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে,,, কিন্তু তাতে আরুশ এর কিছুই যায় আসছে না,, বরং আমার কষ্টা যেন তার ভিতরে জ্বলা আগুনকে শান্ত করছে,, সিগারেটের শেষ টান দিতে দিতে হাতে ওক বোতল পানি নিয়ে আরুশ আমার দিকে এগিয়ে আসে,, আসতে আসতে আমার মুখের একদম কাছে চলে আসে,, তারপর আমার মুখের মধ্যে সিগারেটের ধোঁয়া গুলো ছেড়ে দেয়,, আমি গন্ধটা সহ্য করতে না পেরে কাশতে থাকি,, দম বন্ধ হয়ে আসছিল,, এই বুঝি দম বন্ধ হয়ে মারা যাব,, সিগারেটের গন্ধ আমি বরাবরই সহ্য করতে পারি না,, তার উপর সিগারেটের ধোঁয়াতে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে,, বেশিক্ষন এর মধ্যে থাকলে আমার শ্বাসকষ্ট হয়ে যায়,,,
আর তা আরুশ জানে,, জেনে শুনে সে এমন করেছে তা বুঝতে আমার আর বাকি রইলো না,, আমি অনাবরত কেশেই চলেছি,, কাশি থামার নামই নেই,,,তা দেখে আরুশ বলে উঠে,,

আরুশঃ কিরে কষ্ট হচ্ছে বুঝি,, পানি খাবি,, হাতে থাকা পানির বোতলটা দেখিয়ে,,

আমি সাথে সাথে মাথা নারাই,,আর পানির বোতলটা নিতে নেই,, কিন্তু নেওয়ার আগেই আরুশ তা সরিয়ে ফেলে,,, আরুশের ঠোঁটের কোনে এক চিল্লিৎ হাসি ফুটে উঠে,,, তারপর সে বলে,,

আরুশঃ তোকে পানি দিতে পারি কিন্তু এক শর্তে,,

আমি করুন চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকি,, কি শর্ত দিবে আল্লাহই জানে,,

আরুশঃ আমি তোকে একটু পর যা যা বলবো তোকে ঠিক তা তাই করতে হবে,, আমার কথার উপর কোন কথা বলতে পারবি না,,, কি রাজি তহ তুই,, রাজি না হলে কিন্তু পানি পাবি না,,,

এইদিকে আমার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গিয়েছে,, এখন যদি পানি না পাই তাহলে আমার অবস্থা কাহিল হয়ে যাবে,, তাই আমি মাথা নেড়ে সাই সেই যে আমি রাজি,, আরুশের মুখে বিশ্ব জয়ের হাসি ফুটে উঠে,, আর সে,আমায় পানি এর বোতল এগিয়ে দেয়,, আমি পানি পেয়ে এক ঢোকে পুরো বোতল শেষ করে ফেলি,,, এখন কিছুটা স্বস্তি লাগছে,, তা দেখে আরুশ বলে উঠে,,

আরুশঃ তাহলে শুন তোকে কি করতে হবে,,,,





চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here