এক ঝাঁক জোনাকির আলো পর্ব ৪

#একঝাঁক~জোনাকির~আলো~🍁
#writer~হাফসা~আলম 🍂
.
.
৪.

টিপটিপ করে চোখ খুলতেই নিভ্র নিজের পরিবারকে সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখে।এত মানুষের মাঝে একজনেই তার দৃষ্টি কেড়েছে।সে হল মিসেসস ইফতেখার। স্বামী সাখাওতের একবাহু চেপে সে কেঁদেই চলেছে।তার বিপরিত পাশেই তার বড় মা, আর বড় বাবা দাড়িয়ে।সামনের সোফায় দাদা বসে আছে।নিভ্র এবার চোখ বুলালো তার দুই পাশে। তার দুই পাশে অভ্র আর রাফা দাড়িয়ে আছে।রাফার চোখ মুখ কেঁদে ফুলে গেছে।এই মেয়েটার নিভ্রের প্রতি ভালোবাসাটা প্রখর। ভাইকে যে সে সত্যিই খুব ভালোবাসে এটা নিভ্র এবং অভ্র দুজনেই জানে। অভ্র গম্ভীর মুখে চশমার মাঝ থেকে নিভ্রকে পর্যবেক্ষণ করেই চলেছে।নিভ্র এবার হালকা নড়ে বলে উঠে…..
—জীবিত আছি। এত টেনশনে কিছু নেই।
.
অভ্র তার সব রাগ নিয়ে নিভ্রর জামার কলার ধরে তাকে বসিয়ে দিতে দিতে বলে……
—শালা হারামি তুই কি আমার ভার্সিটিতে মারা মারি করতে গেছিলি নাকি??এমন অবস্থা হল কি করে??যানস একদিন তুই অজ্ঞান ছিলি।
.
নিভ্র ভাবলেশহীন ভাবে বলে উঠে….
—তো ছিলম আর কি।এত হাইপার হওয়ার কি আছে??আর সবাই এত কান্নাজুড়ে দিয়েছে কেনো??আমি কি মারা গেছি নাকি..???ফাইজলামি হচ্ছে এখানে??
.
অভ্র রাগী চোখে তাকিয়ে বলে উঠে….
—ফাইজলামি তো তুই করস।ভাই বলবি তোর আর আমার মাঝে এত মিল কেন??
—মানে??
—মানে খুব স্বাভাবিক।ছোট থেকে দেখছি তুই সব সময় এক ধাপ এগিয়ে।আমি ক্লাসে সেকেন্ড হলে তুই ফার্স্ট। আমি ঢাবিতে চান্স পেয়েছি আর তুই মেডিকেল। আমি অক্সফোর্ডে কোর্স করার সুযোগ পেলে তুই হার্বাডে সুযোগ পাস সার্জারি নিয়ে গবেষণা করার।সারা জীবনে তুই এত এগিয়ে কেন থাকস বলবি??
.
নিভ্র বিরক্ত হলো।কিঞ্চিৎ চোখ কুঁচকে অভ্রর দিকে তাকাল।বেশি কথা বলা বা শুনা তার মোটেও পছন্দ না।কিন্তু এই অভ্রটা সব সময় অতিরিক্ত কথা বলে। তাই মাঝে মাঝে তার এর প্রতিও বিরক্তি আসে।অভ্র নিভ্রকে এভাবে তাকাতে দেখে আবার বলে উঠে……….
—-আরে ভাই এভাবে তাকাচ্ছিস কেনো??আমি সত্যি কথাই বলছি।বিশ্বাস হচ্ছে না??দেখ কাল আমি কোমড়কে আধমরা করে বিছানায় শুয়েছি আর আজ তুই মাথা মরা সরি মাথা ফাটিয়ে হসপিটালের বেডে লেপ্টে গেলি??আজব না??আচ্ছা আমাকে তো মেয়ে ফেলেছে তোকে কে এভাবে মেড়েছে বলবি।মানে দ্যা মোস্ট ফ্যামাস মডেলকে কে এভাবে মারার সাহস পেয়েছে বলবি??তার চাইতে বড় কথা তোর মত ডেঞ্জারাস রাজনীতি বিদ যার কাছে মন্ত্রীরা এপোয়েন্টমেন্ট নিয়ে কথা বলতে হয় যার আগে পিছে ১৬-১৭টা গার্ডস থাকে তাকে কিভাবে কে মেরে গেল বল তো??তবে ভাই সে যেই হক বিশাল কলিজার অধিকারি।
.
অভ্রর কথা শুনেই নিভ্রর সাফার কথা মনে পরে গেছে।সাথে সাথে তার চোয়াল শক্ত হয়ে এল।চোখ লাল হয়ে এল।হাত মুষ্টি বদ্ধ করতেই স্যালাইনের নলে রক্ত উঠে গেল।যা মুহূর্তেই অভ্রর চোখে পড়ে গেল।সাথে সাথে ডাক্তার বলে চেঁচিয়ে উঠল।নিভ্র রেগে আছে এটা বেশ ভালো করে বুঝতে পারছে অভ্র।নিভ্রর দাদা মাহবুবুল এগিয়ে এল।আর বলে উঠে…..
—নিভ্র দাদুভাই এমন করছ কেনো??কে তোমাকে মেরেছে আমাকে বল আমি তাকে প্রচণ্ড শাস্তি দিব দরকার হলে মেরে পুতে দিব।তবুও শান্ত হও।
—কাউ কে কিছু করতে হবে না।এখন সবাই বাইরে যাও আমি একা থাকতে চাই। জাস্ট লিভ মি এলন…
.
নিভ্রর চিৎকারে হসপিটালের সবাই এক বেলা কেঁপে উঠে।মুহূর্তেই রুম ফাকা হয়ে গেছে।নিভ্র চোখ বন্ধ করতেই সাফার উড়না দুলানো হাসির ছবি ভেসে উঠেছে।সাথে সাথে সে ঠাসস করে চোখ খুলে তাকায়।একটা জোড়ে শ্বাস নেয় সে।
.
সাফা সোফার উপরে পা গোল করে বসে আছে।তার এক হাত গালে। ঠোঁট উল্টে সে চিন্তায় মগ্ন। তার মাথায় একটা কথাই ঘুড়ছে সে যাকে মেরে এসেছে সে কেমন আছে??এভাবে মারা কি ঠিক হয়েছে??আচ্ছা লোকটা যদি মারা যায় তবে কি হবে??কথাটা ভাবতেই সাফার মাথা ঘুড়তে শুরু করে।সবাইকে যতটা সাহস দেখায় ততটা সাহসী সাফা না।দরজায় বেল পরে। সাফা মৃদূ হেঁটে দরজা খুলে। দেখে তার বাবা দাড়িয়ে।সারিক ভিতরে ডুকতে ডুকতে বলে উঠে….
—আম্মাজানের কি মন খারাপ???
.
সাফা চকিতেই তাকাল। তার ধারনা ছিলনা বাবা এগুলো বুঝে যাবে।যদিও তার মন খারাপ হলে তিনি চট করে ধরে ফেলে তবুও এটাও ধরে ফেলবে ভাবতে পারেনি।সাফা সহজ হওয়ার ভঙ্গিতে বলে উঠে…..
—না তো বাবা।চলো তোমার এই কালো এ্যাফ্রোনটা খুলে দি??
.
সারিক মেয়ের দিকে কিছুক্ষণ তাকাল। তারপর মেয়ের কাছে দাড়াতেই সাফা বাবার কালো জামাটা খুলে দিল।সাফার পরিবার খুবি ছোট।মা ছিল এখন নেই।এক দূর্ঘটনায় সাফা নিজের প্রান প্রিয় মাকে হারিয়েছে।এখন বাসায় বাবা আর সে থাকে।বুয়া এসে কাজ করে দিয়ে যায়।সাফা রান্নায় একদম ঢেঁড়শ।বাবা মেয়ের ছোট পরিবার তাদের।
.
ডাইনিং টেবিলে সাফা পাগুলো চেয়ারে গুটে বসে আছে।ফ্লেটে খাবার নাড়াচাড়া করছে। তা দেখে সারিক বলে উঠে……
—আম্মার কি হলো বলতো??খাবার নাড়ছ কেনো??মন খারাপ নাকি??
—আচ্ছা বাবা কেউ অন্যায়ভাবে আমাকে মারলে আমার কি করা উচিত???
.
মেয়ের এমন কথায় সারিক অবাক হল।অবাক হয়েই বলে উঠে….
—তোমাকে কেউ মেড়েছে আম্মা??ওই দিনের ব্যাথাটা তুমি পড়ে গিয়ে পাওনি??
.
সাফা মনে মনে নিজেকে একটা বকা দিল।তার বুঝা উচিত ছিল বাবা উকিল আর এই উকিল মানুষগুলো কেডি পাঠাকের মত হয়।সামান্য ক্লু থেকে সম্পূর্ণ্য কেইস সল্ব করে ফেলাই এদের ধর্ম।তবুও সাফা কথা ঘুড়িয়ে বলে উঠে….
—আরে বাবা আমি এমনেই বলছি।তুমি বলবে কিনা বলো??
—বলব। অন্যায় যে করে এবং সহে দু’জনেই সমান অপরাধী। তবে হ্যাঁ অন্যায় কারি যদি অন্যায়টা ইচ্ছে করে করে তবে।এবার খাও।
.
সাফা মনে মনে খুশি হলো।তার ধারনা নিভ্র ইচ্ছে করেই তাকে মেরেছে।
.

🍁
সাফা রিকশা থেকে নেমে একটু ঢুলে ঢুলে হাটঁছে।ভার্সিটির গেটের সামনে আসতেই সে ভার্সিটির সামনের বড় কৃষ্ণচূড়া গাছের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে ফুল গুনছে।অভ্র গাড়ি পার্ক করে এসেই দেখে সাফা উপড়ের দিকে তাকিয়ে আছে।তাই সে একটু এগিয়ে এলো।গলা হালকা কেশে সাফাকে এলার্ট করার চেষ্ট করছে। কিন্তু সাফা তো সাফাই ও এখনো হা করে তাকিয়ে আছে।উল্টো বিরক্তি নিয়ে সে বলে উঠে……
—-এই যেই হন কাশি দেওয়ার হলে দুরে গিয়ে দেন।কানের কাছে খেক খেক করছেন কেন??
.
অভ্র এবার বলে উঠে…
—তা কয়টা ফুল ধরেছে??
.
সাফা আনমনেই বলে উঠে…..
—আরে আর বলিয়েন না এত এত ফুল কি আর গনা যায়??না তো।আমি তো শুধু দেখছি।কি সুন্দর ফুল না??
—হুম
.
সাফা এবার পাশ ফিড়েই একটু অবাক হয়ে তাকায়। অভ্রকে খুটিয়ে দেখে বলে উঠে…..
—-আপনি এখানে??
—কেনো আসা যায় না বুঝি??
—আরে সেটা বড় কথা না। আপনি আমার পাশে দাড়িয়ে আছেন এটা বড় কথা।যাই হোক পেইন কিলারের দাম কত??
.
অভ্র অবাক চোখে তাকালো।এই মেয়ের মনে আছে ওই দিনের কথা??সে নিজেইতো ভুলে গেছে।অভ্র নিজেকে সামলিয়ে বলে উঠে….
—তোমার মনে আছে??
—মনে থাকবে না মানে কি??হুম??আপনি কি আমাকে ওই সব ঠক বাজদের মত মনে করেন নাকি??আল্লাহ মাইরা হালান??শেষে কিনা সাফার কপালে ঠকবাজের থাপ্পা লাগলো।ছি ছি ছি….আল্লাহ বাঁচাও।স্যার আপনি কি করে আমাকে এত খারাপ ভাবতে পারলেন বলেন??কি করে??
.
সাফার এমন কথা শুনে অভ্র পুরাই ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল।অবাক হয়ে বলে উঠে….
—আমি এমন কিছু বলিনি।তুমি শুধুই এত বেশি বলছ।আমি তো ভুলেই গেছিলাম।তাই ভেবেছি তুমিও ভুলে গেছ।তাই এমনটা বলেছি।তুমি কি এতে কষ্ট পেয়েছ??
—অবশ্যই পেয়েছি।এটা তো কষ্ট পাওয়ারই কথা।সব বাদ আপনি দাম বলেন আমি দিচ্ছি।(ব্যাগ থেকে টাকা বের করতে করতে বলে উঠে)
–না না টাকা দিতে হবে না।আমার ভাই ডাক্তার ও ফ্রিতে দিয়েছে ঔষুধ তাই আমার নিজেরও টাকা লাগেনি।
.
সাফা এবার একটা প্রশারিত হাসি দিয়ে বলে উঠে…
—তবে তো ভালোই হয়েছে।তাহলে আমি আসি স্যার।আপনি বরং ফুল গনেন।
.
অভ্র হাবার মত তাকিয়ে আছে।জলপাই রং এর গোল জামাটায় সাফাকে মারাত্মক লাগছে।গলায় বিশাল করে উড়না ঝুলানো। আর চুলগুলো প্রতিবারের মতই কাঠি দিয়ে আটকানো।স্বভাব গুলো বাচ্চাদের মত।এই এখন যেমন বাচ্চাদের মত দুলে দুলে হাটঁছে।অভ্র হাসলো।
.
নিভ্র কাঁচের জানালার পাশে দাড়িয়ে আছে।চোখ তার শূন্যে ভাসছে।সামনে বিস্তর জায়গা জুড়ে মাঠ।তাতে কিছু বাচ্চারা বল নিয়ে খেলছে।নিভ্র এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।বাচ্চাদের প্রতি তার একটা আলাদা অনুভুতি আছে।যা আর কিছুর প্রতি নেই।ভালো লাগে এদের তার।একটা বাচ্চা ছেলে আর একটা বাচ্চা মেয়ের চুল টানছে আর ঝগড়া করছে।নিভ্র হেঁসে উঠে।তাকে হাসতে দেখে নার্স প্রচণ্ড ভাবে অবাক হয়।তার তিন বছরের নার্সিং পেশায় আজ প্রথম সে নিভ্রনীলকে হাসতে দেখেছে।অল্প বয়স হওয়াই সেও এই নিভ্রর প্রেমে পরা একজন।কিন্তু ভয়ে কখনো সামনে আশা হয় না।আসলেই হাত পা কাঁপে এটা শুধু তার না সকলেরই হয়।তবে কাছ থেকে দেখার সুযোগ তার আজই হয়েছে।তাও নিভ্র অসুস্থ হওয়ায়।নার্সকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে নিভ্র ভ্রুকুঁচকে তাকালো।সাথে সাথে নার্স রুম ত্যাগ করলো।ভয়ে তার কলিজা শুকিয়ে গেছে।নিভ্র সোফায় বসে ফোনে কিছু রোগীদের ইনফরমেশন নিচ্ছে। সাত দিন তাকে থাকতে বলা হয়েছে।নিভ্রনীলকে একটা মেয়ে সাতদিন হসপিটালে থাকার ব্যবস্থা করেছে ভাবতেই নিভ্র হতভম্ভ হয়ে কিছুক্ষণ চুপ করে ছিল।মেয়েটা সাধারন না এটা তার বুঝা হয়েগেছে। হয়তো ভীতুও না।প্রচণ্ড সাহস তার তা না হলে নিভ্রনীলের সামনে দাড়াতে পারতো না।
.
লাইব্রেরির টেবিলে বই বিছিয়ে ঘুমাচ্ছে সাফা।আজ সে প্রচণ্ড ক্লান্ত। ইংলিশ পড়তে আসলেই তার ক্লান্তি দুই তিন ডিগ্রী হাই হয়ে যায়।তার ধারনা ইংলিশের মত ভয়ঙ্কর সাবজেক্ট পৃথিবীতে দ্বিতীয়টা আর নেই।এই ইংলিশ যে আবিষ্কার করেছে তাকে পেলে খুন করে জেলের ভাত খেতেও সে রাজি।কিন্তু শালা মনে হয় আরো আগেই মরে ভূত হয়ে গেছে।রেখে গেছে তার ভূতরে অস্তিত্ব ইংলিশ। অভ্র কিছু বই নিতে লাইব্রেরিতে এসেছে।এখন ভার্সিটি ছুটি হয়ে গেছে।লাইব্রেরিতে কেউ নেই ভেবেই সে এসেছে।তা না হলে মেয়েরা তাকে দেখলেই গায়ে পড়ে স্যার স্যার করে।প্রচণ্ড বিরক্তি নিয়ে তখন সে চশমাটা উঠানামা করায়।আর কিছু বলতেও পারেনা সে।লাইব্রেরিতে ডুকে বুই খুঁজতে শুরু করে।খুঁজতে খুঁজতে অভ্র থমকে দাড়ায়।তার চোখ আটকা পড়ে এক ঘুমন্ত পরীর মায়া জালে।অভ্র একদৃষ্টেতে তাকিয়ে আছে।সাফা টেবিলে হাত গুঁজে তার উপড় মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে।সামনের কিছু অগোছালো চুল এসে তার মুখের উপড় আছড়ে পড়ছে।মাঝে মাঝে সে বিরক্তি নিয়ে চোখ কচলাচ্ছে।অভ্র ধীর পায়ে সাফার সামনে দাড়ায়।এক দৃষ্টিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করে।এক চিলতি রোদ এসে সাফাকে নাড়িয়ে দেয়।ঘুমঘুম চোখে বিরক্তি নিয়ে উঠেই সে অভ্রকে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে।সাথে সাথে ভূত দেখার মত চমকে যায় সে।বলে উঠে……
—-আপনি এখানে???
—কেনো লাইব্রেরি কি তোমার একার নাকি??
—তা কেন হবে।কিন্তু আপনি এখানে এখন তাই জিগ্যেস করছিলাম।
.
অভ্র কথা ঘুড়িয়ে সামনের এক গাঁদা বই থেকে একটা বই নিতে নিতে বলে উঠে….
—ইংলিশ নিয়ে রিচার্স করছ নাকি??
—মোটেও না।আমার কি মাথা খারাপ নাকি যে এই ফাউল সাবজেক্ট নিয়ে রিচার্স করতে যাবো।একটা আজাইরা সাবজেক্ট। আপনিই বলেন আমাদেরকে এই সাবজেক্ট দেওয়ার কোন মানে আছে।আমাদের কাজ জামা কাপড়ের ডিজাইন করা।এই ঘাসপুস শিখে কি হবে??
—ইংলিশ ঘাসপুস সাবজেক্ট?? (অবাক হয়ে বলে উঠে)
—তা নয়ত কি।দু’দিন পরে যদি ক্লাস টেস্ট না হতো আমি মরে গেলেও এই সাবজেক্ট ধরতাম না।কিন্তু এখন কি করব??মাথা ঘুড়ায় এই গ্রামার্স গুলো দেখে।এএএএ..(কাঁদোকাঁদো হয়ে বলে উঠে)
.
অভ্র হাসল।এরপর বলে উঠে….
—সমস্যা নেই।পৃথিবীর সবাই সবদিক দিয়ে বেস্ট হয় না।তোমাকে আমি এই বইগুলো থেকে কিছু কিছু দাগিয়ে দি পড়ে নিবে।দেখবে ভালো নাম্বার পাবে টেস্টে।
.
সাফা লাফিয়ে উঠে বলে উঠে……
—-থ্যাংকু স্যার….
.
অভ্র ভ্রুকুঁচকে বলে উঠে….
—থ্যাংকু মানে??
—আরে থ্যাংকস এর স্পেশাল ভার্শন।
.
অভ্র আবার হাসল ,হাসতে হাসতেই সাফাকে দাগিয়ে দিতে লাগল।
.
.
#চলবে……….🍁
ভুলগুলো আল্লাহর দেওয়া মহান গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন…………….. 🍁
নায়ক নিয়ে আর কনফিউজড করবো না নায়ক নিভ্রনীল হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here