তুই যে শুধুই আমার পর্ব ৬

#তুই_যে_শুধুই_আমার [❤You are only mine❤]
#Part_6
#Writer_Tanzin_Islam_Ishika

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি ৯ টা বাজে,, চারদিক ঘুরে দেখতে থাকি,, বুঝতে চেষ্টা করি আমি কোথায়,, আর এইটা কার রুম,,, পরক্ষণে আমার মনে পড়ে আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে আরুশ এর সাথে,, আমি এখন আরুশের রুমেই,, আমি চারদিক চোখ বুলিয়ে আরুশকে খুজতে থাকি,, কিন্তু না সে রুমে কোথাও নেই,,
আমি ব্যাগ থেকে একটা পিংক কালারের শাড়ি বের করে নিলাম,, তারপর ওয়াশরুমে চলে গেলাম ফ্রেশ হতে,


এইদিকে।।
আরুশ সকাল বেলায় বাইরে চলে যায়,, তার কিছুটা সময় এখন একা থাকতে ইচ্ছে করছিল,, তাই পার্কে হাটতে চলে যায়,, প্রায় বেশ কিছুক্ষণ পরই সে বাসায় চলে আসে,, বাসায় এসে সোজা রুমে চলে যায়,, রুমে গিয়ে দেখে সায়রা আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের চুল মুচ্ছে,, পড়নে পিংক কালারের শাড়ি,, পিছনে তার মেদহীন পিঠ দেখা যাচ্ছে,, পিঠে মুক্তার মত পানি চিকচিক করছে,, তার মাঝেই এক কালো তিলটা যেন এর সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলেছে,, তিলটা বেশ টানছে আরুশকে,, আরুশ আর কিছু না ভেবে সায়রাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে ওর চুলে মুখ গুজে,,,
হঠাৎ পিছন থেকে কেউ আমার শাড়ির ভাজের মধ্যে দিয়ে আমার কমোড় জরিয়ে ধরতেই ভয়ে আমি লাফিয়ে উঠে,, তারাতারি আয়নাতে তাকিয়ে দেখি আরুশ আমায় জরিয়ে ধরেছে,, এতে আমি স্বস্তির নিশ্বাস নেই,,
আরুশের স্পর্শ আস্তে আস্তে গভীর হতে থাকে,, আরুশ সায়রার কাধেঁ নিজের ঠোঁট ছোয়াতে থাকে,,
নিজের মধ্যে এক অস্থিরতা কাজ করছে,, কেন না আরুশের এভাবে তাকে জরিয়ে ধরাটা আমার মাঝে এক অস্থিরতা তৈরী করছে,, আরুশের স্পর্শগুলো আমার ভিতর এক তোলপাড় শুরু করে দিয়েছে,,আরুশের ঠোঁটের স্পর্শগুলো আস্তে আস্তে গভীর হতে লাগছে আরুশের স্পর্শ যতটা গভীর হচ্ছে আমার অস্থিরতা ঠিক ততটাই বাড়ছে,,,
আমি বড় বড় শ্বাস নিচ্ছে হঠাৎ আরুশ আমায় নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়,,নিজের দিকে ঘুরিয়ে দেখে আমি চোখ বুঝে আছি,, বেশ কিছু সময় সে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে হঠাৎ আমাকে ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে চলে যায়,, আমি হা হয়ে আরুশের এমন ব্যবহারে তাকিয়ে থাকি,,হয়তো আরুশ আমার থেক্স রেগে আমায় দূরে সরিয়ে দিয়েছে,,,
আবার হয়তো বুকে জমে থাকা এত সময়ের অভিমানের কারনেও কাছে টানতে পারেনি,
আরুশ নিজে থেকে আমাকে কাছে টেনে আবার নিজেই আমাকে এভাবে দূরে সরিয়ে দেওয়াতে আমি বেশ অপমানবোধ করি,,, কিন্তু তারপরও আরুশের পরিস্থিতীটা বুঝতে পেরে তা আমি স্বাভাবীক ভাবে নেই,,,কারন দোষ টা আমারই ছিলো সে খুব বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলেছে আরুশকে,,
আরুশের আমার প্রতি এই রাগ অভিমান জিদ করাটা জায়েজ আছে কারন সে খুব বেশি অন্যায় করেছে আরুশের সাথে,,
তাকে সত্যি থেকে আড়াল করেছে কিন্তু তাকে কখনো ঠকাতে চায়নি পরিস্থিতীটা এমন ছিলো আমাকে সব বাদ্ধ হয়ে করতে হয়েছে,, আমি যে সব করতে বাদ্ধ ছিলাম,,,


আমি বাইরে গিয়ে দেখি সকলেই এক সাথে জোরো হয়ে বসে আছে,, কালকে রিশেপশন,, তাই অনেক কাজ পরে আছে,, সকলেই নিজের কাজ বুঝে নিচ্ছে,, আমি সামনে গিয়ে বড়দের সালাম করি,, সকলের সাথে ভাব বিনিময় করি,,একটু আরুশ আসলে সবাই এক সাথে খেতে বসে যাই,,

রিপা বেগমঃ আরুশ কাল কিন্তু রেসেপশন,, তোর যদি কাউকে দাওয়াত দেওয়ার থাকে তাহলে দিয়ে দিস,, আর শুন ডেকরেশনের দিকটা তোকেই দেখতে হবে,,বুঝেছিস,,

আরুশঃ হুম,,

রিপা বেগমঃ আর সায়রা মা,,খাওয়া শেষে তুমি আমার রুমে এসে কালকের জন্য শাড়ি আর গহনা নিয়ে যাস ঠিক আছে,,,

সায়রাঃ ঠিক আছে খালামনি,,

রিপা বেগমঃ এখনো খালামনি ডাকবি,, অভিমানি সুরে,,

সায়রাঃ না মানে,,

রিপা বেগমঃ কোন মানে না,, এখন থেকে মা বলেই ডাকবি,, ঠিক আছে,,

সায়রাঃ হ্যাঁ ঠিক আছে,,

অতঃপর সকলের খাওয়ার শেষে যে যার কাজে চলে যায়,, আরুশ কি কাজে যেন বাইরে চলে যায়,, আমি চলে যাই মার রুমে,, কতক্ষন মার সাথে কথা বলে শাড়ি আর গহনাগুলো নিয়ে রুমে আসি,, রুমে এসে সব গুছিয়ে আবার বাইরে সকলের সাথে বসি,, সকলেই কিছু না কিছু জিজ্ঞেস করছে,, আমিও হাসি মুখে উত্তর দিচ্ছি,,
দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে যায়,, সন্ধ্যার পরই আরুশ বাসায় আসে,, এসে ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষন শুয়ে থাকে,, আমি বাইরেই মার সাথে বসে কথা বলছি,,, আর মার সাথে টুকটাক কাজ করছি,, রাতে সকলের খাবার শেষে যে যার রুমে চলে যাই,,
রুমে এসে দেখি আরুশ মাথায় এক হাত রেখে চোখ বন্ধ করে আধ শোয়া হয়ে শুয়ে আছে,, আরুশকে দেখেই বুঝে যাই তার এখন প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছে,, তাই আমি রান্নাঘরে গিয়ে তার জন্য কফি বানিয়ে নেই,, আরুশ আবার আমার হাতের কফি অনেক পছন্দ করে,, কিন্তু দীর্ঘ এক বছর যে তাকে আমি আমার হাতের কফি খাওয়াতে পারি নি,, তাই আজ অনেক ভালো করে কফি বানিয়ে নিয়ে গেলাম তার জন্য,, রুমে এসে তার সামনে কফি ধরে বলি,,

সায়রাঃ কফিটা খেও না,, মাথা ব্যথা চলে যাবে,,

সে চোখ খুলে একবার আমার দিকে তাকালো অতঃপর আরেকবার কফি এর দিকে তাকালো,, তাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে বেশ অবাক,, আমি যে এখনো তার হাব ভাব বুঝি তা হয়তো আরুশ
মেনে নিতে পারছে না,, আমি তাই বলি,,

সায়রাঃ আমাকে পড়ে দেখ,, সারাজীবনই তোমার পাশেই আছি,, যখন ইচ্ছে তখন দেখ,, আপাতত কফিটা খেয়ে নাও,, ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে,,

তা দেখে আরুশ বাঁকা হেসে বলে,,
আরুশঃ আমায় আবার মারা প্লেন টেন করিস নি তহ রুহানের সাথে মিলে,, তোদের তহ আমার ভরসা নেই,, যখন তখন পিছন দিক দিয়ে আঘাত করতে পারস,,

সায়রাঃ তুমি ভুল বুঝছো,, এমন কিছুই না,,আমাকে বলার সুযোগ তহ দাও,,

আরুশঃ কি বলবি,, হ্যাঁ কি বলবি শুনি,, কিভাবে তুই আর রুহান মিলে আমায় ধোঁকা দিলে,, কিভাবে আমায় ঠকালি,,

সায়রাঃ আহা তুমি আমার কথা তহ শুন,,

আরুশঃ প্লিজ সায়রা,, স্টোপ ইট,, আর কত নাটক করবি তুই,, হ্যাঁ বল,,তোর এই নাটক দেখতে দেখতে আমি বড্ড ক্লান্ত,, আমি আর নিতে পারছি না,, প্লিজ আমায় কিছু সময় একা থাকতে দে,,

আমি আর কিছু না বলে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বারান্দায় চলে যাই,, বারান্দার গ্রিল ধরে দাড়িয়ে আছি,, চোখ দিয়ে অনাবরত পানি পড়ছে,,
সায়রাঃ কি হতো আমার কথাটা শুনলে,, খুব বেশি কি ক্ষতি হয়ে যেত,, একটাবার সুযোগ দিয়েই দেখতে,, শুনতে আমি কি বলতে চাই,, এইভাবে আর কতদিন তুমি আমায় ভুল বুঝে থাকবে,, তোমার এই রাগ অভিমান যে আমি নিতে পারছি না,, কিন্তু যত যাই হোক আমি হাল ছাড়বো না,, তোমায় আমি সত্যিটা জানিয়েই রাখবো,,

এর প্রায় অনেকক্ষণ পর সায়রা রুমে আসে,, এসে দেখে আরুশ সেই আগের মতই চোখ বুজে শুয়ে আসে,, সায়রা কিছু না বলে চুপচাপ ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে,, ফ্রেশ হয়ে এসে আরুশের পাশ থেকে গিয়ে একটা বালিশ নিয়ে সোফার দিকে পা বাড়াই ঘুমানোর জন্য,,

এমন সময় হঠাৎ পিছন থেকে আরুশের গম্ভির কন্ঠে থেমে যাই,, আরুশ আগের মতই একই অবস্থায় থেকে বলতে লাগে,,

আরুশঃ চুপচাপ এখানে আমার পাশে এসে শুয়ে পড়,, এখানে কোন মুভি চলছে না যে হিরোইনদের মত সোফায় গিয়ে ঘুমাবি,, আর আমি এসে তোকে কোলে করে নিয়ে এসে বেডে শুয়াবো,,

আমি আর কোন কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ বেডের এক কোনায় আরুশের থেকে বেশ দূরত্ব বজায় রেখে শুয়ে পড়ি,,একটু আগের বেপারটা নিয়ে এমনিতেই আরুশ হয়তো আমার উপর বেশ রেগে আছে এখন যদি টাচ লাগে তাহলে হয়তো তাকে চিবিয়েই খেয়ে ফেলবে,,
কিন্তু আমায় অবাক করে আরুশ বলে উঠে,,

আরুশঃ আমি বাঘ না ভাল্লুক যে তুই আমার এত দূরে গিয়ে শুয়ে আছিস কেন,, একটু হলেই তহ পড়ে যাবি,, পড়ে কোমড় ভেঙে গেলে তখন আবার আমায় জ্বালাবি,, যতসব,,, ঠিক হয়ে ঘুমা,,

আমি আরুশ এর কথায় মুচকি হেসে ঠিক মতই শুই,, কারন আমি জানি আরুশের মনে এখনো আমার জন্য ভালোবাসা রয়েছে তা হয়তো অভিমান আর রাগের পিছনে চাপা পড়ে আছে যা মাঝে মাঝে আরুশ নিজের অজান্তেই প্রকাশ করে দেয়,,, সে চাওয়ার পর ও নিজের ভালোবাসাটা আড়াল করতে পারে না,,, আজ
শরীরটা কেমন যেন ক্লান্ত লাগছিল,, তাই বেশ কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পরি,,, আমি ঘুমিয়ে যেতেই আরুশ আমার কাছে এসে আমাকে বেশ কিছু সময় দেখতে লাগে তারপর আমাকে নিজের বুকের মাঝে গভীর ভাবে জরিয়ে ধরে,,, আমিও ঘুমের ঘোরে আরুশের সাথে গভীর ভাবে মিশে যাই,, কেন জানি নিজের মধ্যে এক শান্তি লাগছিল,, হয়তো এতো সময় ধরে এমনই একটা আশ্রয় খুজঁছিলাম যা আমি এখন পেয়ে গেছি,,এতো সময় ধরে আরুশ বুকের মধ্যে কেমন যেন অশান্তি লাগছিল চোখে ঘুম আসছিল না কিন্তু এখন মনের মধ্যে এক প্রশান্তি কাজ করছে,,,সে যতই সায়রার উপর রাগ দেখাক অভিমান করুক,, যতই ওর থেকে দূরে পালাক,, খারাপ ব্যবহার করুক,,
দিন শেষে তহ ভালো তো তাকেই বাসে,,আরুশ পরম আয়েশে আমায় তার নিজের বুকের সাথে আমায় গভীর ভাবে জরিয়ে নেয় হয়তো এখন একটু শান্তিতে ঘুম আসবে,,,



আজ সকাল থেকেই সকলের মাঝে তড়ঝড় লেগে আছে,,, কেন না আজ রিসেপশন বলে কথা,, সকলেই এই কাজ ওই কাজ করেই চলেছে,, আরুশও সকাল থেকে কাজে লেগে পরেছে,,আজ আমার তার সাথে সকাল থেকে দেখা মিলে নেই,, আমি অনেক বার উঁকি ঝুঁকি করেছি,, যদি তার দেখা মিলে এই ভেবে,,, কিন্তু আমার ভাগ্য,, তার ছায়া এর ও দেখা মিললো না,,, এইদিকে দুপুরে মেকআপ আর্টিষ্ট চলে আসে,, এসে আমাকে রেডি করতে শুরু করে সন্ধ্যার জন্য,,
বিকাল হতে হতেই আমাকে পুরোপুরি রেডি করে তারা চলে যায়,,
বিকালে আরুশ নিজের রুমে আসে রেডি হতে সকাল থেকে সারাদিন বেশ বেস্ত ছিলো কাজে,, হঠাৎ রুমে ডুকে বেডের কাছে সায়রার দিকে চোখ যেতেই থমকিয়ে যায়,,,
আমি নিজের আচল আর কুচি সামলাতে ব্যস্ত,, কিছুতেই কুচিগুলো ঠিক করতে পারছিলাম,, পড়নে ডার্ক ব্রাউন কালার এর শাড়ি,, তার মধ্যে সাদা পাথরের কাজ,, অসম্ভব সুন্দর শাড়িটা,, সায়রাকে বেশ মানিয়েছে,, তার সাথে হ্যাভি মেকাপ,, আর মেচিং অরনামেন্টস,, চুল গুলো কার্ল করে এক পাশে রাখা,,
আরুশ মুগ্ধ নয়নে সায়রাকে দেখেই চলেছে,, পরে আমার কাছে এসে আমার কুচি গুলো ঠিক করে দিতে থাকে,, আর বলে,,।

আরুশঃ যা সামলাতে পারিস না তা পরিস কেন,,

সায়রাঃ রিসেপশনে শাড়ি পরবো না তহ কি পরবো,,

আরুশঃ মুখের উপর তর্ক করা আমি একদম পছন্দ করি না তা তুই ভালো করেই জানিস,, সে যাই হোক তুই শাড়ি সামলাতে পারবি কি না তা বল,, পরে স্টেজে গিয়ে দেখা যাবে সকলের সামনে শাড়ি খুলে পড়ে গেছে,, তখন তহ আমার মান সম্মান বলতে কিছুই থাকবে না,,

আমি মুখ ছোট করে বলি,,

সায়রাঃ না পারব,,

আরুশ আর কিছু না বলে কুচি ঠিক করে চলে কাবার্ড থেকে সুট বের করে ওয়াশরুমে চলে যায়,, সন্ধ্যায় আমাকে হলে নেওয়া হয় চারদিকে অনেক মানুষে ঘেরা,,সবাই আমার অচেনা আরুশের মা তাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে,, আমি সকলের সাথে কুশল বিনিময় করছি,, আর ফাকে ফাকে আরুশকে দেখছি,,, আজ চোখ দুটো যেন আরুশের উপর থেকে সরতেই চাইছে না,, কেন না আজ ওকে বেশ হ্যান্ডসাম লাগছে,, তার পড়নে ব্ল্যাক সুট এন্ড প্যান্ট,, ভিতরে ডার্ক ব্রাউন কালারের শার্ট,, চুল গুলো স্পাইক করা,, তাও কিছু অবাদ্ধ চুল কপালের সামনে এসেই পড়েছে,, হাতে ব্ল্যাক কালারের ব্র‍্যান্ডেট ওয়াচ,, সব মিলিয়ে ক্রাশ খাওয়ার মত অবস্থা,, আমি যখন তাকে দেখতে ব্যস্ত তখন কেউ আমার নাম ধরে ডাকে,, আমি সামনে তাকিয়ে দেখি আমার বাবা মা দাড়িয়ে আছে,, আমি তাদের দেখে স্টেজ থেকে নেমে গিয়ে তাদের জরিয়ে ধরি,, তাদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর আমার শ্বাশুড়ি মা এসে তাদের নিয়ে যায়,, আমিও ঘুরে যেই স্টেজে যেতে নিব তখন একজনের উর্কর্শ কণ্ঠে থেমে যাই,,, ভয়ে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়,,



#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here