তুই হৃদহরণী পর্ব ২৫

#তুই_হৃদহরণী – ২৫

আহরারের এহেন কথায় সবাই নিস্তেজ হয়ে বসে আছে। কেউ কিছু বলছে না। জনমানব হীন হয়ে পরেছে যেন বাসা টা। সবাই অবাক হয়। তার থেকেও বেশি তুরফা। বুক কেঁপে উঠে তার। শরীর কেমন অসাড় লাগছে। এই বুঝি ঢলে পরবে মাটি তে। হাত পা কাঁপন ধরেছে। ভেতরটা চোরাবালির হাহাকারে ঢেকে গিয়েছে। খাবার গলায় আটকে পরার কারণে হঠাৎ বিষম খেলো। কাশতে লাগল। চোখ দিয়ে টপটপ করে কয়েক ফোটা পানি গড়াল। আড়াল করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ সে। অনবরত কাশছে সে। আহরার চেয়ার থেকে উঠে পানি এগিয়ে দেয় তুরফার দিকে। টলমল করা চোখ নিয়ে একবার তাকায় আহরারের দিকে। আবার চোখ নিচে নামিয়ে আনে। আরেকটা গ্লাস থেকে পানি খেয়ে নেয় তিন ঢোক। হৃদয় টা আগুনে পুড়া মরিচ জ্বলার মতো জ্বলছে। যেন বুকের ভেতর কেউ পাথর দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করে যাচ্ছে। অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা পাখির মতো করছে তুরফা।

ফিরাত বিস্ময় নয়নে বলল,
“কি বলছিস কি আহরার? আরে তোর মাথা ঠি..”

“আজব এক কথা কয়বার বলতে হবে তোদের? আবার বলতে হবে নাকি? তবে শুন আমি লিনা কে বি..”

তুরফা খাবার ছেড়ে হনহন পায়ে উপরে উঠে গেল। পিছন থেকে ফিরাত আর মোনতাহ্-র ডাক মনে হয় না তার কানে গিয়েছে। একটা রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে বিছানায় শুয়ে কাঁদতে লাগল। কেন কাঁদছে জানে না। কেন তার এত কষ্ট হচ্ছে তাও জানে না। বুকটার মাঝে মনে হয় কষ্টের পাহাড় ভর করেছে। কি যে ব্যথা হচ্ছে চেষ্টা করেও কাউকে বলতে পারবে না কিছু। মনে হচ্ছে বুকের ভেতর হয়তো পাহাড় সমান পাথর চাঁপা পরেছে আর নয়তো পাথর দিয়ে কেউ থেঁতলাচ্ছে। না সহ্য করতে পারছে আর না কিছু বলতে পারছে কাউকে। “কিছু কষ্ট এমনি হয় না বলা যায় না সহ্য করার ক্ষমতা থাকে।”

আহরার প্লেটে হাত ধুয়ে চলে গেল। ছাঁদে গিয়ে একটা সিগারেট ধরাল। নিকোটিনের সাথে তুরফা নামক ফাঁপা কষ্ট টা উড়িয়ে দিতে চাইছে। একটানা এক প্যাকেট শেষ করল। এই তিন মাসের মাঝে তুরফার সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে এমন করেনি সে। আজ তার মনে হচ্ছে শুধু নিকোটিনে ডুবিয়ে রাখতে নিজেকে। কাল রাতের সেই স্বপ্নটার কথা মনে পরতেই আহরার চোখ বন্ধ করে নেয়। চেহারা শক্ত করে নিয়ে ফাঁপা এক ঢোক গিলে। চোখ মেলে সঙ্গেসঙ্গে তাকায়। আনমনে বিড়বিড় করতে থাকে।
“না না এভাবে থাকা যায় না। কষ্টের অবসান ঘটাতে হবে। এত কষ্ট নিয়ে একটা মানুষ একজীবন কি ভাবে পার করবে? আমাকে স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে হবে। আহরার তা করবেই। মাফ করে দিও তুর।”
বুক ফাঁটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আহরার।

ফিরাত মোনতাহ্ হতবাক। বিস্ময় যেন তাদের কাটছেই না। ফিরাত সব কিছু নিয়ে যেন ভাবছে। সেই প্রথম থেকে এখন অবধি সব কিছু নিয়ে ভাবছে। কিন্তু তার ভাবনা আর বাস্তব দুটোই যেন একে অপরের উল্টো। মোনতাহ্ তো আবেগি হয়ে কেঁদেই দিল।

মোনতাহ্-র কাছ থেকে চাবি নিয়ে তুরফা বের হয়ে যায়। রাতে অনেক বার আহরার কল করেও পেল না তুরফা কে। মোনতাহ্-র বাসায় একা আছে তুরফা। একবার যেতে চেয়েও আহরার মন ঘুরিয়ে নেয়। মনে মনে আওড়ায় ‘যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ে নিয়েছি। আমায় আর পিছু ফিরলে হবে হা তুর।’
তুরফা একা বাসায় পড়ে আছে। কেন যেন গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে মন চাইছে তার। একা বাসায় চাইলেই তা পারে। কিন্তু এমন কষ্ট কেন হচ্ছে? কেন তার এভাবে বুক ফাটছে? কেন চিৎকার করে কাঁদতো ইচ্ছা হচ্ছে তার? ভেতরে শুধু ফাঁপা কষ্ট লাগছে। ভেতরের জ্বালাটা যেন সরাসরি কলিজায় গিয়ে ধাক্কা দিচ্ছে। কিছুতেই নিজেকে ঠিক করতে পারছে না তুরফা। আহরারের বিয়ের খবরে কেন তার ভেতরে অসহ্যকর যন্ত্রণা তাড়া দিচ্ছে? অগ্যাত অজানা এক কারণে বুকের জ্বলুনি টা কমাতে বিছানায় শুয়ে বালিশে মুখ চেঁপে ঘন্টা দুয়েক কান্না করল। আগের থেকে একটু হলেও হাল্কা লাগছে নিজের কাছে। শরীরটাও কেমন ক্লান্ত লাগছে। তুরফা উঠে গিয়ে ফ্রিজ থেকে শুধু এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খেয়ে নিল। ভেতরটা হীম শীতল হয়ে না আসলেও অনেকটা ভালো লাগছে। শরীরটা এখন যেন আরো নিস্তেজ লাগছে। চোখ মুখ কান্নার কারণে একেবারে ফুলে আছে। হেলে ঢুলে নিজের ঘরে গিয়েই বিছানায় গা এলিয়ে দিল। না একটু হাত মুখ ধোঁয়ে নিল আর না রাতের খাবার খেলো। এতক্ষণ কান্নার কারণে ঘুমটাও চোখের পাতায় এসে বসেছে।

সকাল সকাল মোনতাহ্ ফিরাত কে নিয়ে চলে এসেছে এ বাড়ি। অনেক ডাকার পর তুরফা এসে দরজা খুলে দিল। মোনতাহ্ তুরফার চোখ মুখ দেখে আতকে উঠল। ছুটে এসে তুরফার গালে হাত দিল।
“এ কি করেছিস তুই নিজের? কি হয়েছে তোর তুরি?”

“….

“তুরি বলবি আমায়?”
মোনতাহ্ ধমক সুরে বলল। তুরফা বুজে আসা চোখে মোনতাহ্-র দিকে না তাকিয়ে বলল,
“আ আমার কিছু হয়নি। আমি ঠি..”
সবটা কথা শেষ হওয়ার আগেই দেখতে পেল আহরার অনেকটা দৌড়ে দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। আহরারের উপর চোখ যেতেই তুরফার রাগ উঠে যায়। চোয়াল শক্ত করে কন্ঠ খানিক মোটা স্বরে মোনতাহ্-র দিকে তাকিয়ে বলল,
“উনি এখানে কি করছে মোন?”
মোনতাহ্ পিছনে তাকিয়ে আহরার কে দেখে অবাক হলো না। তুরফার দিকে তাকিয়ে গালে হাত রেখেই স্বাভাবিক হয়ে বলল,
“আসলে তুই দরজা খুলছিলি না তাই আমি উনাকে কল দিয়েছিলাম।”
রেগে যায় তুরফা। চোখ গরম করে মোনের দিকে তাকিয়ে বলল,
“আমি দরজা খুলছিলাম না বলে কি উনাকে কল দিতে হবে তোকে?”

আহরার কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায়। তুরফা আর কিছু না বলে নিজের রুমের দিকে এগিয়ে গেল। অনেকক্ষণ ধরে সকাল সকাল শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে এলো। টাওয়াল দিয়ে চুল মুচতে মুচতে তুরফা বেড়িয়ে এলো। বিছানায় দেখতে পেল আহরার বসে আছে। মাথায় রাগের সাথে কোনো এক অন্যরকম অনুভূতি নাড়া দিয়ে উঠল। দাঁত কিটকিট করছে একটার সাথে আরেকটা।
“আপনি এখানে কেন?”
খানিক চেঁচিয়ে বলল তুরফা। আহরার ঘুরে তার দিকে ফিরে দাঁড়াল। চমকেছে বলল ভুল হবে বিস্মিত হলো। তুরফার লম্বা ঘন চুল দিয়ে টুপটুপ করে পানি পরছে। কপালে মুখে হাল্কা কয়েক পানির দানা। চোখে রাগ। আহরার এক নজরে তাকিয়ে দেখছে নতুন তুরফা কে। একদম এক নতুন তুর।

“আপনি এখানে কেন?”
হঠাৎ চিৎকারে আহরারের হুশ ফিরল।
“আপনি এখানে কেন? আমার ঘর থেকে বের হন।”

“তুরফা।”

“আমি কিছু শুনতে চাই না আপনি বের হয়ে যান।”

“তুরফা প্লিজ শান্ত হোও। আমার কথাটা একটু..”

“লজ্জা করে না আপনার? একটুও লজ্জা নেই? নাকি লজ্জা ঘৃণা কিছুই হয় না আপনার? এতটা বেহায়া কেন আপনি? আগের লুচ্চামি বেহায়াপনা স্বভাব টা আপনার যায় নি? বিয়ে করবেন ঠিক করেছেন তবুও একটা মেয়ের ঘরে চলে এসেছেন? নাকি বউ রেখেও আরেক নারীর বিছানায় চলে যাবেন আপনি? আপনার মতো পুরুষরা..”
কথাটা শেষ করার আগে আহরার হায়নার মতো ছুটে এলো তুরফার কাছে। খাবলে ধরল তুরফার দুই বাহু। চোখ দিয়ে আগুন ঝরছে, দাঁত কিড়িমিড়ি করছে। তুরফার কথা গুলি প্রচন্ড হিংস্র করে তুলেছে তাকে। আহরার লাল অগ্নিচোখ নিয়ে তুরফার দিকে তাকাল। দেওয়ালের সাথে শক্ত করে চেঁপে ধরল তুরফা কে। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বিড়বিড় করে বলল,
“ভুলে যাস না তুই, সবার সাথে খারাপ কিছু করলেও তোর সাথে কিছু হয়নি। সবার সাথে আমি লুচ্চামি করলেও তোর সাথে কিছু করিনি। এটা তোর ভাগ্য ধরে নে। যে আমার কাছে এত দিন থেকেও আমার হাতের নাগালে এত দিন রয়েও তুই এখনো পবিত্র আছিস তা তোর সৌভাগ্য তুরফা। তোকে যে অপবিত্র করে বিছানায়…”
আহরার বলতে গিয়েও থেমে গেল। তুরফার চোখ টলমল করছে। ভয়ে আর আহরারের ওমন হুংকার দেওয়া কথায় বুক কাঁপছে। না পেরে কেঁদেই দিল। আহরার আবার বলল,
“এতটা ইগো দেখাস না এতটা ইগনোর করিস যে যাতে তোর নিজেরই খারাপ হয় ভবিষ্যতে। এমন কিছু করিস না যাতে ভবিষ্যতের জন্যে তোকে না আফসোস করতে হয়। কথাগুলি মনে রাখিস।”
আহরার ঠিক ভাবে শ্বাস নিতে পারছে না। তুরফা কে ছেড়ে দিয়ে এক সেকেন্ডও দাঁড়ায়নি সেখানে। তুরফা কেন জানি কাঁদতে কাঁদতে নিচে বসে পরল। কি হয়েছিল তার? কেন ওমন কথা গুলি বলে ফেলল? জিদের বসে ভেতরের জমানো রাগটা কথায় বেড়িয়ে এলো। আহরারের বলা যাওয়া কথা গুলিও ভাবছে। আসলেই ওই মানুষটা আর যাই করুক তার সাথে কিছু করেনি। কিন্তু কেন করেনি? আর লোকটার জন্যেই বা নিজের ভেতরে কি অনুভূতি রয়েছে?

তুরফা নিচে গেল। মোনতাহ্ রান্নাঘরে আর ফিরাত সোফায় বসে আছে। তুরফা কে নিচে আসতে দেখে মোনতাহ্ দুজনের দিকে এগিয়ে গেল। তুরফা আমতাআমতা না করে ফিরাত কে জিজ্ঞেস করল।
“ফিরাত ভাইয়া আপনি তো উনার বন্ধু। আর উনার বন্ধু তো আপনারও বন্ধু হবে। লিনা উনার কেমন বন্ধু?”

“তুরফা আমি আর আহরার ছোট থেকে এক সাথে বড় হলেও একটা সময় আহরার বিদেশ চলে গিয়েছিল। তখন থেকে ওর সাথে আমার ফোনে কথা হতো শুধু। আর লিনা ওর বন্ধু তবে আমার নয়। আমি চিনিও না ওকে। তবে আহরার আমায় বলেছিল ওর বিদেশে একটা খুব ভালো বন্ধু আছে। লিনাই হবে হয়তো। কিন্তু তুরফা তুমি এসব কেন জিজ্ঞেস করছো আমায়? আহরারের প্রতি দেখছি একটু মনোযোগী হয়ে গেলে।”

তুরফার রাগ উঠল। কেমন বন্ধু কিছুই জানে না। না কিছু বলতে পারে আর না কিছু জানে। ফিরাতের প্রতি বিরক্তি নিয়ে উঠে গেল তুরফা উপরে। মোনতাহ্ আর ফিরাত বোকার মতো একে অপর কে দেখল।

তুরফা ঠিক করে নিয়েছে কি করতে হবে তাকে। চোখের পানি টা মুছে শক্ত করে নিল নিজেকে। এর শেষ দেখবে ও। ওই লোক টা তো তার কিছু হয় না? না রক্তের আর না আত্মার। আবার ভাবল আদৌও কি তাই? সত্যিই কোনো সম্পর্ক টান নেই? ভেবে তুরফা যেন আবার ভেতর থেকে ভেঙ্গে গুড়ো হয়ে গেল।

আজ অফিসে যায় নি তুরফা। আর না ফিরাত গিয়েছে। তুরফা সারাদিন একা নিজের ঘরে ছিলো। মোনতাহ্ ফিরাত ডাকলেও শুনল না। রাতে যখন খাবারের জন্যে নিচে গেল তখন আহরার আর লিনা কে দেখতে পেল। রাগ উঠলেও নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে সিঁড়ি বেয়ে নিচে গেল। বুকের ভেতর কেমন ধড়ফড় ধড়ফড় করছে আহরার আর লিনা কে এক সাথে দেখে। আহরার যেন কিছু একটা অনুভব করছে। খাওয়ার মাঝে আহরার বলল,
“খেয়ে সব কিছু রেডি করে নাও সবাই রাতে আমার বাসায় থাকা হবে কাল দুপুর দিকে ফ্লাইট আছে।”
তুরফা আহরার কে কিছু না বলে মোনতাহ্-র দিকে তাকিয়ে বলে,
“মোনতাহ্ আমি অফিসের কাজের জন্যে বিদেশ যাবো তাতে আমার আপত্তি নেই। যেহেতু কোম্পানির সাথে আমার একটা কন্ট্রাক্ট হয়েছে তাই আমি নাও করতে পারব না। তাই করবও না। তবে তোরা চলে যা ও বাসায় আমি সময় মতো ইয়ারপোর্ট চলে যাবো। আমায় প্লিজ আর বিরক্ত করিস না।”
তুরফা কথা শেষ করে খাওয়ার মাঝপথেই চলে গেল উপরে। আহরার ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ফুসছে রাগে। দাঁত কিড়িমিড়ি করল নিজে মনে। সেও আর খেলো না। না খেয়ে সোফায় গিয়ে বসে ফোন ঘাটছিল।

সবাই যখন সব কিছু রেডি করে নিয়েছে তখন আহরার বলল,
“ফিরাত তুই মোনতাহ্ আর লিনা কে নিয়ে তোর গাড়ি তে নিয়ে যা আমি তুরফা কে নিয়ে আসছি।”
লিনা কিছু বলতে যাবে তার আগেই আহরার তাকে থামিয়ে দিয়ে উপরে উঠে।

তুরফার দরজা বন্ধ শুধু চাঁপ দিয়ে রাখা। আহরার গিয়ে তুরফা কে দেখতে পেল না। ভেতরে গিয়ে দেখল তুরফা ব্যালকুনিতে দাঁড়িয়ে আছে আকাশে মুখ করে। আহরার গিয়ে শান্ত গাম্ভীর্য গলায় বলল,
“চলো রাত হয়েছে বাসায় যেতে হবে।”

“…

“কি বললাম তুরফা?”
তখনো তুরফার থেকে কোনো উত্তর এলো না।

“তুরফা।”
তুরফা নিজের মতো দাঁড়িয়ে থেকে জবাব দেয়।
“আমি যা বলার বলে দিয়েছি নিচে। আমি যাবো না। সময় মতো ইয়ারপোর্টে চলে যাবো।”

“তুরফা মাথা গরম করো না চলো।”

“যাবো না আমি। চলে যান এখান থেকে।”
চেঁচিয়ে বলল তুরফা। রেগে গেল আহরার। কিছু না বলে ব্যালকুনি থেকে বের হয়ে গেল আহরার। আলমারি খুলে বোরকা টা হাতে নিয়ে আবার তুরফার কাছে যায়। হাত শক্ত করে ধরে তার দিকে ফিরায়। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দেয় তুরফার দিকে।
“আরে কি করছেন আপনি?”
আহরার কিছু না বলে তুরফা কে কোলে তুলে নিল। তুরফা খাঁচায় বদ্ধ পাখির মতো ছটফট করছে। হাত পা নাড়াচ্ছে।
“আপনার সাহস তো কম না আপনি আমায় ক..”

“সুহহ একটাও কথা নয়। তবে এখনি ফেলে দিব আছার দিয়ে। চুপ করে থাকো তুর। একেবারে চুপ।”
আহরার বোরকা হাতে তুরফা কে কোলে নিয়ে নিচে নামতে লাগল। একবার শান্ত দৃষ্টি দিল তুরফার দিকে। তুরফাও যেন মোহময় হয়ে তাকিয়ে দেখছে তাকে। দুজনের চোখেই বিস্ময়কর ঘোর।

চলবে….
#সাদিয়া

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here