তুমি কোন কাননের ফুল, পর্ব:১৮

#তুমি_কোন_কাননের_ফুল
#পার্ট_১৮
#কাজী_সানজিদা_আফরিন_মারজিয়া

কিছু মানুষ থাকে, ‘এরা কারনে-অকারনে চমকায় না, ঘাবড়ায় না, অবাক হয় না! ভয়ে কুঁকড়ে যাওয়া এদের ধাতেই থাকে না। যা করছে, যা হচ্ছে, যা ঘটছে সব কিছুই তাদের কাছে অস্বাভাবিক ভাবে স্বাভাবিক মনে হয়!’ আরজু ঠিক সেই কিসিমের একজন আজব মানব।
এই যে হুট করে সে এত বছর পর নয়নতারাদের বাসায় চলে আসলো, সামনে দাঁড়ানো বিস্মিত মানব-মানবীদের দেখছে এতে সে একটুও বিচলিত হচ্ছে না। পুরো ব্যাপারটাই তার কাছে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। যেন এমনটাই হওয়ার ছিলো। তিন-চার বছর আগে তাকে নিয়ে যে চিন্তাধারা তৈরি হয়েছিলো সবার মনে, সে ব্যাপারেও সে বিন্দুমাত্র চিন্তিত না। নিরুপমা এবং মোফাজ্জেল করিমকে খুব সুন্দর করে সালাম দিলেন। তারপর একটা অদ্ভুত কাজ করলো। নিরুপমার সামনে এসে জড়িয়ে ধরে বলল,
“কেমন আছো আমার সুন্দরী আন্টিরানী? আই মিস ইউ।”
বিস্ময়ে রেশ কেটে গিয়ে এক ঝাক আবেগ এসে ভর করলো যেন নিরুপমার মনে। চোখ ঝাপসা হয়ে গেলো। ছেলেটাকে সে যতটা না পছন্দ করে তার চাইতে বেশি পছন্দ করে তার অন্যরকম কথাগুলো। প্রায়শই মনে পড়তো ছেলেটার কথা।
আরজু কপাল কুঁচকে অবাক হওয়ার ভান করে বলে,
“আশ্চর্য! এই সুন্দরী? তুমি তো দেখি আগের চাইতেও বেশি সুন্দরী হয়ে গিয়েছো। তোমার সৌন্দর্যের গোপন রহস্য কি, হু?”
নিরুপমা চোখ মুছতে মুছতে হেসে ফেলল। বাহুতে আলতো থাপ্পড় মেরে বলল,
“যাহ, পাজি! সেই আগের মতোই আছিস, না? একটু পাল্টাসনি।”
আরজু ধরা পরে যাওয়া টাইপ হাসলো। কিন্তু তার বদমাইশি তো এত সহজে শেষ হওয়ার নয়! নিরুপমার পর মোফাজ্জেল করিমের কাছে গেলো। অনুমতি নেয়ার মতো করে বলল,
“হেই, মিস্টার নায়ক মশাই? মাই সুপার স্ট্রোং হিরো! আমি কি আপনাকে একটু জড়িয়ে ধরতে পারি?”
আরজুর কথা শেষ হওয়ার আগে মোফাজ্জেল করিম কাছে টেনে নিলেন আরজুকে। জড়িয়ে নিলেন বাহুতে।
দূর থেকে নিহা আর নয়না বিস্ময় নিয়ে সবটা দেখছীলো। এবার তারা একত্রে গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো,
“আমাদেরকে তো কারো চোখেই পড়ছে না! চল আমরা ভেতরে চলে যাই।”
আরজু আসলেই এতক্ষণ বেমালুম ভুলে গিয়েছিলো ওদের কথা। হেসে দিয়ে বলল,
“আরেহ আরেহ! আমার নীহারিকা বুড়ি আর ময়না পাখিটা রাগ করেছে নাকি? ইশ! কত্ত বড় হয়ে গিয়েছে! কাছে আসো পিচ্চি দুইটা। এই দেখো কানে ধরি।”
সবার চোখে মুখে অদ্ভুত খুশি খুশি ভাব। এক মূহুর্তের জন্য আরজুর অতিত ভুলে গেলো সবাই।
সবাইকে এই অল্প সময়ে বদলে ফেলার দারুন ক্ষমতার দেখে নয়নতারা মুগ্ধ হলো। একবার মনে হলো, ছেলেটা কি ম্যাজেশিয়ান? কিভাবে সবটা নিজের আয়ত্তে নিয়ে নিলো?
সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলো নিমিষেই। নয়নতারা একটু দূরে দাঁড়িয়ে দেখে মিষ্টি খুনশুটি গুলো। হঠাৎ মোফাজ্জেল করিম গম্ভীর হয়ে যায়। কি যেন ভাবেন তিনি। সটান হয়ে উঠে দাঁড়ায়। কর্কশ কন্ঠে বলেন,
“অনেক হয়েছে! থামো সবাই।”
সবাই চুপ হয়ে গেলো। নয়নতারা অস্থিরতা নিয়ে ডাকলো,
“আব্বু…”
নয়নতারাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ধমক দিয়ে বললেন,
“তুমি চুপ থাকো। আমার কথার মাঝে কথা বলবে না।”
কঠিন গলায় কথাগুলো বলে আরজুর দিকে তাকালেন। খটখট করে বললেন,
“তুমি কি করে ভাবলে তোমার জঘন্য কর্মকানডের কথা সবাইকে ভুলিয়ে ফেলবে এতো জলদি! এতো বড় জঘন্য অপরাধ করে কি করে এতোটা স্বাভাবিক আছো? তুমি ভুলে যেতে পারো সব, কিংবা নিজের অন্যায় ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করতেই পারো তবে তাতে বিশেষ লাভ করতে পারবে না এখানে। তোমাকে ভালো জানতাম এটা যেমন সত্য, তোমার করায় অন্যায়ের জন্য ঠিক ততটাই অপছন্দ করি এটাও তেমন সত্য। আইন তোমাকে মুক্তি দিতে পারে, কিন্তু আমরা তোমার করা অন্যায় ভুলিনি, ভুলবোও না।”

সবাই চুপ। এতক্ষণে যেন সবাই সজ্ঞানে ফিরে এলো। কিন্তু কোনো এক কারনে মোফাজ্জেল করিম বাদে কেউ কিছু বলতে পারলো না। আরজুর মুখে মৃদু হাসি।
নয়নতারা মোফাজ্জেল করিমকে শান্ত করার চেষ্টা করলো। নরম গলায় বলল,
“আব্বু তুমি একটু শান্ত হয়ে সবটা শুনো, দ্যান রিয়েক্ট করো। সে কোনো অন্যায় করেনি। বসো এখানে। শোনো সব।”
মোফাজ্জেল করিম তবুও হাইপার হয়ে যেতে চায়। অনেক চেষ্টার পর নিজেকে সংযত করতে পারে।
আরজু নমনীয় ভাবে বলে,
“আমাকে একটু কথা বলার সুযোগ দিন আঙ্কেল। পুরো বিষয়টা খুলে বলি?”
মোফাজ্জেল করিম উচ্চস্বরে বলে,
“কী বলবা, কী? কি বলার আছে তোমার আর, হ্যাঁ?”
আরজু আগের মতোই নরম কন্ঠে বলে,
“আগে বলি? তারপর নাহয় বকা দিয়েন?”
নিরুপমা মোফাজ্জেল করিমকে প্রথমে বলেন,
“আহা! ছেলেটা আগে বলতে তো দিন।”
তারপর আরজুর দিকে তাকিয়ে বলে,
“তুমি বলো, বাবা।”

আরজু অনুমতি পেয়ে এক এক করে শুরু থেকে সবটা বলে। কেন, কিভাবে কি ঘটেছিলো সব ডিটেইল’স বলে। গ্যাংটাকে ধরার পর যেই নিউজ বেড়িয়েছিলো সেই নিউজের পেপার কাটিং দিলো পকেট থেকে বের করে। সেই সাথে দিলো নিজের আইডি কার্ড। প্রফেশনাল আইডি কার্ড।

মোফাজ্জেল করিম সব শুনলেন, দেখলেন তারপর নিরব হয়ে রইলো। চুপচাপ বসে সবটা বুঝতে চেষ্টা করলেন। এমন কিছু যে হতে পারে সে কল্পনাই করতে পারেনি। সে কেন? কেউ-ই পারেনি। আগেই এত রিয়েক্ট করে ফেলায় অনুতিপ্ত হলেন।
নিরুপমার মুখ হাসিহাসি। নিহা আর নয়নারও যেন খুশির অন্ত নেই। আরজুর প্রতি তাদের মুগ্ধতা নিমিষেই দ্বিগুণ থেকে দ্বিগুনতর হয়ে গেলো।
মোফাজ্জেল করিম আরজুর বাহুতে চাপড়ে বললেন,
“আ’ম প্রাউড অব ইউ মাই সন। আই রিয়েলি প্রাউড অব ইউ।”
নয়নতারার বোধ হলো সে সবটা স্বপ্ন দেখিছে। বারংবার প্রার্থনা করছে, এটা স্বপ্ন হলে যেন কখনো না ভাঙে। এমন সুন্দর স্বপ্ন সে চিরকাল দেখতে চায়। অনন্তকাল এই স্বপ্ন চলতে থাকলেও ক্লান্ত হবে না একটুও।

হঠাৎ আরজু উদগ্রীব হয়ে জিজ্ঞেস করে,
“এই? আমার দাদি কই? সবাইকে দেখতে পেলাম, দাদিকে যে দেখতে পাচ্ছি না!”
সব ক্ষনিকের জন্য চুপ হয়ে গেলো।
নয়নতারা নিজের রুমে এলো। আলমিরা খুলে তার ভেতর থেকে ছোট্ট একটা বক্স বের করে তা নিয়ে পুনরায় ফেরত এলো।
আরজু ততক্ষণে বাকিদের থেকে জেনে নিয়েছে মানুষটা আর নেই। সে চুপ, একেবারে চুপ। নয়নতারা এসে বক্সটা আরজুর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
“দাদি এটা আপনার জন্য রেখে দিয়েছিলো। চেয়েছিলো নিজে দিবে। তা তো হলো না, তাই আমাকে বলেছে যেন আমি দেই।”
আরজু বক্সট নিলো। জিজ্ঞেস করলো,
“কী এটা?”
“দাদার আংটি। দাদার সাথে আপনার মিল খুঁজে পাওয়ার ফলে আপনি ছিলেন তার অনেক পছন্দের। সবাই যখন আপনাকে ভুল বুঝেছিলো তখন কেবল এই মানুষটাই আপনাকে ভুল বুঝতে পারেনি। সে আপনার অপেক্ষায় ছিলো শেষ দিন অব্দি। আসেন নি। তাই দাদার এই শেষ স্মৃতি আপনার জন্য রেখে গিয়েছে।”
আরজু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বক্সটা নয়নতারার হাতে দিতে দিতে বলল,
“এটা তোমার কাছে রাখো। সময় হলে আমি চেয়ে নিবো। এখনো সময় হয়নি ফুলটুসি।”
নয়নতারা কপাল কুঁচকে তাকায়। আরজু অসম্ভব সুন্দর হাসে।
কিছু সময় মানুষকে কষ্ট দেয়, আবার কিছু সময় সব কষ্ট সুধে-আসলে উসুল করে নেয়। মূল্যবান এই সময় গুলো বারংবার মানব জীবনে আসে। যখন আসে তখন আগলে রাখতে হয়। মনের খাঁচায় বন্দি করে রাখতে হয়।
.

রাত তখন গভিরতায় ভর করছে। জনমানব শুন্য রাস্তা। চারপাশে ভয়ানক নিরবতা। ভিন্ন ভিন্ন স্বপ্ন, ইচ্ছে, প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি, সুখ, দুঃখ, হতাশা নিয়ে কেউ কেউ ঘুমের দেশে পারি জমিয়েছে, কেউ-বা নির্লিপ্ত, নিশ্চুপ, নির্ঘুম রাত পার করছে।
ঠিক এই মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে গেলো স্নিগ্ধার। ঘুম ভাঙার অবশ্য একটা কারন আছে। মেয়েটার জ্বর ছেড়ে দিয়েছে। ঘাম ঝড়ছে কপালের কিনার ঘেষে। স্নিগ্ধা চোখ মেলে ঘুরন্ত ফ্যানটার দিকে চেয়ে রইলো অপলক দৃষ্টিতে। ঘরের চার দেয়ালের মাঝে দম বন্ধ, দম বন্ধ লাগছে। অনেক্ষণ যাবত শুয়ে থাকার ফলে আর শুয়ে থাকতেও ইচ্ছে করছে না। খোলা আকাশের নিচে দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে। মেয়েটা কেমন যেন! যখন যা ইচ্ছে হয় তখন সে তাই করে। তা-না-হলে কেউ মাঝরাতে ক্লান্ত শরীরে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে জোছনা বিলাসে বের হয়?

ছাদের একেবারে কার্নিশ ঘেষে দাঁড়ায় মেয়েটা। কালো আকাশটার ছোট্ট একটা অংশ জুড়ে থাকা সুন্দর চাঁদটার দিকে তাকিয়ে থাকে প্রতিক্রিয়াহীন ভাবে। মৃদু বাতাসে নড়ে উঠে চোখের পাপড়ি। বেনী করা চুলটা ঢিলে হয়ে ছোট চুলগুলো এসে পড়ে চোখে, মুখে।
হঠাৎ অনুভব করলো ওর পেছনে কেউ এসেছে। যে এসেছে তার পদচারণ, তার শরীরের ঘ্রান, তার ঘন নিশ্বাস এবং সয়ং মানুষটা তার খুব আপন, খুব কাছের। চুলগুলো কপাল থেকে সরিয়ে পেছন ফিরতেই দেখলো আদনান দুই হাঁটুতে হাত রেখে হাপাচ্ছে। স্নিগ্ধা পুনরায় উল্টো ঘুরে দাঁড়ালো। আদনান ছুটে এসে স্নিগ্ধার পাশে দাঁড়ালো। জোড়ে দম নিয়ে বলল,
“এই ফাজিল? মাঝরাতে তুই ছাদে কি করিস, হ্যাঁ? জ্বর কমেছে? দেখি..”
এক দমে কথাটা বলে স্নিগ্ধার কপালে হাত রাখে। উত্তাপহীন কপাল পেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। মোহনীয় হেসে বলে,
“উফফ! জ্বর কমেছে। শরীর কেমন লাগছে এখন।”
স্নিগ্ধার ছোট্ট জবাব,
“ভালো।”
“ছাদে কি করিস? এখন কি ছাদে আসার সময়?”
স্নিগ্ধার কাটখোট্টা জবাব,
“আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই এসেছি। তোর কি?”
“আমার আবার কি হবে? আমার কিছুই না।পুরো ঘরে না পেয়ে একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, এ যা।”
স্নিগ্ধা নিরুত্তাপ স্বরে বলল,
“কিসের ভয়? আমি কি বাচ্চা নাকি!”
“না, তা না। তবে একবার মনে হলো ঐ ডাক্তার-ফাক্তারের সাথে ভেগে গিয়েছিস।”
কথাটা বলে নিজেই উচ্চস্বরে হেসে উঠলো। কথাটা সে মজার সুরে বললেও। অল্পক্ষনের জন্যে হলেও চিন্তাটা তার মাথায় এসেছে সত্যি। ডাক্তারকে ও কেন যে সহ্যই করতে পারছে না, তা বুঝতে পারছে না।
স্নিগ্ধা বিরক্তি নিয়ে তাকায়। ঠান্ডা স্বরে প্রশ্ন ছুড়ে,
“কিসের ডাক্তার? ডাক্তার পাইছিস কই?”
“যাহার সঙ্গে আমার মাতা আপনার বিবাহ ঠিক করিয়াছে সেই ডাক্তার।”
খানিক তাচ্ছিল্য করে যেন আদনান বলল কথাটা।
তাকে নিয়ে করতে থাকা সাজেদা খানমের আলাপচারীতা স্নিগ্ধার কানে এসেছে। ও জেনেও না জানার ভান করলো আদনানের কাছে। স্নিগ্ধার মনটা আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। যেনতেন খারাপ না। খারাপ খারাপ মিলে ভয়াবহ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আহামরি কোনো প্রতিক্রিয়া করলো না মেয়েটা। শুধু বলল,
“ও!”
আদনান হুট করে রেগে গেলো। খট করে উঠে বলল,
“ও? কোনো ‘ও’ ‘টো’ চলবে না, ওকে? যাকে ইচ্ছে তাকে বিয়ে কর কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু এই ডাক্তার-ফাক্তারকে বিয়ে করতে পারবি না, বুঝেছিস? আমার ওকে ভালো লাগেনি।”
স্নিগ্ধা আরো দুই ধাপ এগিয়ে। সে খিট ধরে বলল,
“আমি এই ডাক্তারকেই বিয়ে করবো। তোর ইচ্ছে মতো কাউকে বিয়ে করবো না আমি। আমি তোর লাইফে ইন্টারফেয়ার করি? করি না। সুতরাং তুইও করবি না।”
কথাটা বলে হনহনিয়ে হেঁটে চলে এলো নিচে।
আদনান থম মেরে দাঁড়িয়ে রইলো নিজের জায়গায়। স্নিগ্ধার বলা প্রতিটা শব্দ আঘাত হানছে মনে, মস্তিষ্কে। কপালে সূক্ষ্ম ভাঁজ পড়লো ছেলেটার। আত্মসম্মানে আঘাত লাগার ভাঁজ! কিছুক্ষণ চুপ থেকে ভাবলো, আসলেই তো! ও কেন অন্যকারো লাইফে ইন্টারফেয়ার করতে যাচ্ছিলো? এই ব্যাপারে অধিকারত্ব ফলানোর কোনো অধিকার তো ওর আসলেই নেই! আদনানের খুব আত্মসম্মানে লাগলো। কান দুটো ঝাঁ ঝাঁ করছে যেন। জ্বিহ্ব দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে থাকে নির্বিকার ভাবে।…..(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here