তোমাতেই পূর্ণ আমি পর্ব -০৬

#তোমাতেই পূর্ণ আমি
#পর্ব -৬
#লেখিকাঃআসরিফা সুলতানা জেবা

“মিস শ্রেয়সী গাড়িতে বসুন। “–পাশ কেটে যেতে নিলেই তূর্য ভাইয়ার কথায় থমকে গেলাম আমি। মায়ের কথা এই লোক সিরিয়াসলি নিয়ে নিল নাতো?আমি যাবো না এই লোকের সাথে।বেয়াদব লোক একটা।ভার্সিটিতে আমার স্বস্তিতে নিশ্বাস নেওয়া হারাম করে এখন দরদ দেখানো হচ্ছে!! আমার তো মনে হচ্ছে প্রথম দিনের অপমানের শোধ নেওয়ার জন্য নতুন কোনো ফন্দি আটছে।ভুলে ও ফন্দি তে পা দেওয়া যাবে না।এসব ভেবেই ওনার কথা কে পাত্তা না দিয়ে চলে যেতে নিব আবারো ডেকে উঠলেন ওনি।কান থেকে ফোনটা সরিয়ে এগিয়ে এলেন আমার কাছে।ওনার কাছে আসা টা শিহরণ তুলছে মনের মাঝে।তাই কিছুটা পিছিয়ে গেলাম আমি।রাগান্বিত চোখ নিয়ে আমার চোখে চোখ রাখলেন তূর্য ভাইয়া। নিমিষেই সরিয়ে নিলাম আমি নিজের চোখ দুটো ওনার চোখের দৃষ্টি থেকে।সাথে সাথেই তূর্য ভাইয়া রাগী কন্ঠে বললেন,,,,,

—ইডিয়ট গার্ল।কি বলেছি শুনতে পাও নি?বয়রা তুমি??কানে শুনতে পাও না?নাকি শুনেও না শোনার ভান করছো?(ধমকে)

রাগ উঠে গেল আমার।ওনি কেন আমায় ধমকাবেন? কোনো অধিকার নেই ওনার আমাকে ধমকানোর।তাই উচ্চ স্বরে বললাম,,,

—যাবো না আমি আপনার সাথে?আমার ইচ্ছা আমার যেভাবে মন চায় ওইভাবেই যাবো।তবে আপনার সাথে ভুলেও না।

—-খালা আমাকে তোমাকে ভার্সিটিতে নিয়ে যাওয়ার রেসপন্সিবিলিটি দিয়েছে।সো এই মুহূর্তে তুমি আমার সাথেই যাবে।নো মোর ওয়ার্ডস।গাড়িতে গিয়ে বসো।

—আপনার সাথে যাব না আমি।

সামনের দিকে পা বাড়াতেই হাতে কারো স্পর্শ পেয়ে থমকে গেলাম আমি।হৃদপিণ্ডটা ছলকে উঠল তড়িৎ গতিতে। কেঁপে উঠল সারা শরীর।ধীরে ধীরে মাথা ঘুরিয়ে দেখলাম তূর্য আমার হাত টা টেনে ধরে রেখেছে।চোখে দুটো রাগান্বিত। এতো শক্ত করে ধরে রেখেছে যে টেনে ও ছাড়িয়ে আনতে পারছি না।ওনার শক্তি বেশি নাকি আমার শক্তি কম বুঝতে পারছি না।কারো হাত এতো শক্ত কেমনে হয়।হঠাৎ আমার মনে হলো এই স্পর্শ আমি আগেও অনুভব করেছি।হয়তো বা আমার মনের ভুল।তূর্য ভাইয়া আমার হাত ধরে টেনে গাড়ির কাছে নিয়ে এলো।ডোর খুলে বসতে ইশারা করল আমায়।হাত ছাড়ানোর জন্য মোচড়াতে মোচড়াতে বলে উঠলাম,,,

—আপনি কোন সাহসে আমার হাত ধরেছেন?লিভ মাই হ্যান্ড। ছাড়ুন আমার হাত।

আমার কথায় ওনি আরো শক্ত করে ধরলেন হাতটা।মনে হচ্ছে হাতের কব্জির হাড্ডি ভেঙে গুড়িয়ে যাবে।এ কেমন অসভ্যতামি!!ওনি বড় বলে যা ইচ্ছে তাই করবে নাকি?রাগী স্বরে বলে উঠলাম,,,,

—অসভ্যতামি করছেন আপনি তূর্য ভাইয়া। আমার হাত ছাড়ুন।বিধবা মেয়ের সাথে এমন আচরণ শোভা পায় না আপনার।আর এইটা ভার্সিটি ও না।ভুলে যাবেন না সম্পর্কে আমি আপনার ভাবি হয়।

কথাটা বলতে দেরি কিন্তু গালে থাপ্পড় টা পড়তে দেরি হয় নি।গালে হাত দিয়ে কেঁদে দিলাম।ভীষণ ব্যাথা করছে গাল টা।কিছু বলতে নিব তার আগেই আগুনের গোলকের মতো আমার দিকে তেড়ে এলেন তূর্য ভাইয়া। চোখে মুখে রাগ স্পষ্ট। মুখটা লাল হয়ে গেছে একদম।আমার দিকে তেড়ে আসতেই গাড়ির সাথে একদম সেঁটে দাড়ালাম আমি।ওনার এতো কাছে আসা টা হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে দিচ্ছে দ্বিগুণ। যা একদম ঠিক না আমার জন্য ।রাগী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে উচ্চস্বরে বলতে লাগলেন ,,,,,,

—তোর শরীরে কোথাও লিখা আছে বিধবা?বল কোথায় লিখা আছে?(ধমকে)আর ভাবি মাই ফুট।কোন দিক দিয়ে তুই আমার ভাবি লাগিস?যেখানে ভাই -ই নেই সেখানে কিসের ভাবি!!আর তোদের বিয়ে ও আমি দেখি নি।তুই কারো বউ ও না আমার ভাবি ও না।আর কি বললি তুই আমি অসভ্য? তূর্য চৌধুরী কে অসভ্য বলার সুযোগ কখনও কেউ পায় নি।আরেকবার শুনলে তোর জ্বীভ টেনে ছিঁড়ে ফেলব আমি।(রাগী স্বরে)

ভয়ে চুপসে আছি আমি।যতই ভেজাল থেকে দূরে থাকতে চাই একা একটা নিজস্ব শান্তিনীড় বানাতে চাই ততই বেশি কষ্ট, অপমান,,ভেজাল আঁকড়ে ধরে আমায়।গাড়ির হর্নের শব্দে টলটল পায়ে গাড়িতে গিয়ে বসলাম আমি।শরীর এখনো কাঁপছে থরথর করে।কেন মানুষ এতো অপমান করে আমায়?কেন জবাব দিয়ে ও কষ্ট পেতে হয় আমার?কারণ আমি অবহেলিত,,, প্রভাবশালী নয়!!আমার মাথার উপর কারো হাত নেই তাই!!!নিজেকে এতো স্ট্রং করেও বার বার হেরে যায় আমি।হেরে যায় এই সমাজের মানুষ গুলোর কাছে। ভয় ভীতি ভীষণ পছন্দ করে আমায়।তাই চেপে ধরে বার বার।

তূর্য ভাইয়া আমার দিকে ঝুঁকতেই সিটের সাথে চিপকে রইলাম আমি। কেমন অদ্ভুদ ভাবে চেয়ে রইলেন আমার মুখের দিকে।শরীরের কম্পন বেড়ে গেল দ্বিগুণ। পারফিউমের ঘ্রাণ টা নাকে ভেসে আসতেই খুব পরিচিত মনে হলো আমার।সিট বেল্ট বেঁধে দিয়ে সরে গেলেন তিনি।গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে বললেন,,,,

—নিজেকে এতো হেল্পলেস মনে করতে নেই। কেউ না কেউ নিশ্চয়ই আছে তোমার অসহায় জীবনে সহায় হওয়ার জন্য।

অবাক চোখে তাকালাম আমি ওনার দিকে।ওনার দৃষ্টি সামনের দিকে।কি বললেন ওনি?কেউ না কেউ আছে মানে?ওনার এই কথাটা একদম মাথায় ঢুকল না আমার।আর ওনিও এমন ভান ধরে আছেন যেন কিছুই বলেন নি এখন।দৃষ্টি সরিয়ে জানালা দিয়ে বাহিরের দিকে তাকালাম আমি।বাতাসের দাপটে মাথার গোমটা টা পড়ে যাচ্ছে বার বার।আচ্ছা আজ এতো বাতাস কেন?চারদিকে এতো শীতলতা কেন?এক নজরে তাকিয়ে রইলাম বাহিরের দিকে। ব্যাথায় টনটন করছে গাল টা।শ্রেয়ার চুল গুলো উড়ে এসে বাড়ি খাচ্ছে তূর্যর মুখের উপর।কিন্তু এতে কোনো হেলদোল নেই তূর্যর।হঠাৎ গাড়ি থামাতেই চমকে উঠলাম আমি। তাকিয়ে দেখলাম একটা ফার্মেসীর সামনে গাড়ি থামিয়েছেন তূর্য ভাইয়া।ওনার আবার কি হলো?গাড়ি থেকে বেরিয়ে ফার্মেসীতে ঢুকলেন তিনি।মিনিট পাঁচেক পর ফিরে আসলেন হাতে একটা পানির বোতল নিয়ে।হয়তো ওনার পিপাসা পেয়েছিল।তাহলে ফার্মেসীর দিকে কেন গেল?দূর এতো ভেবে লাভ নেই। গাড়িতে বসে আমার দিকে একটা ট্যাবলেট এগিয়ে দিতেই অবাক হলাম আমি।ওষুধ কিন্তু কেন?আমার কি কোনো রোগ হয়েছে? ওনার দিকে তাকাতেই বললেন,,,,

—পেইন কিলার টা খেয়ে নাও।তূর্যর থাপ্পড় খেয়ে গাল ব্যাথা করবে না তা হতেই পারে না।ইশশশ গালটা তো একদম লাল হয়ে আছে।বেশ জোরেই লেগেছে তাই না?

ওনার কথায় গা জ্বলে উঠল আমার।অযথা কারণে থাপ্পড় মেরে এখন আবার আদিখ্যেতা দেখানো হচ্ছে। মুখ ফিরিয়ে নিলাম আমি।ওষুধ টা হাতে নিয়ে আমার মুখের সামনে ধরলেন ওনি।না নিয়ে বাহিরে তাকিয়ে রইলাম আমি।

–খেয়ে নাও।নয়তো পরে তো আবার খালা মণির কাছে বলবে বেয়াদব তুর্য চৌধুরী আমায় মেরেছে। (হেসে)

ওনার কথায় চোখ দুটো বড় বড় করে তাকালাম। ওনি কিভাবে জানলেন আমি ওনাকে বেয়াদব ডাকি?

—চোখ দুটো এতো বড় করলে তো বের হয়ে আসবে।পরে আমি চোখ কোথা থেকে আনবো বলো?(মুচকি হেসে)

আমার মনে হচ্ছে আমি পাগল হয়ে যাব।ওনার এতো রুপ দেখে যেকোনো মানুষেরই নিজেকে পাগল পাগল মনে হবে।না জানি আরো কত রুপ আছে ওনার।কথা না বাড়িয়ে পেইন কিলার টা খেয়ে নিলাম আমি।সত্যিই গালটা ভীষণ ব্যাথা করছিল। এতো শক্ত হয় কারো হাত!!!

—————

ভার্সিটির কাছে আসতেই ওনাকে বললাম গাড়ি থামাতে।ভ্রু কুঁচকে তাকালো ওনি আমার দিকে।সহজ ভাবে প্রশ্ন করলেন,,,,

—এখানে কেন?

কি জবাব দিব!!ওনাকে কিছুতেই বলা যাবে না যে প্র্যাকটিক্যাল খাতাগুলো হারিয়ে গেছে নয়তো আবার নতুন কোনো শাস্তি দিবেন ।ভার্সিটিতে আসলেই তো ওনি আগের রূপে ফিরে আসবেন শিওর।তাই মিথ্যা বলতে বাধ্য হলাম।আমতা আমতা করে বললাম,,,,

—-আসলে ভাইয়া আমার একটা বই কিনতে হবে তো তাই।

—ঠিক আছে।

গাড়ি থামাতেই নেমে পড়লাম আমি।আর পিছু না তাকিয়ে তাড়াতাড়ি করে হেঁটে চলে আসলাম লাইব্রেরি তে।দোকানদার কে বললাম,,,—চারটা ফিজিক্স প্র্যাকটিক্যাল খাতা দিন।

“তার কোনো প্রয়োজন নেই “—কথাটা শুনে পিলে চমকে উঠল আমার।ঢুক গিলে মাথা উঁচু করে পাশ ফিরেই দেখলাম তূর্য ভাইয়া দাড়িয়ে। আজ শেষ আমি!!আবার কোন নতুন ঝামেলায় পড়ি ভেবেই হাত পা অসার হয়ে আসছে।কিছু বলতে যাবো তার আগেই ওনার ” ফলো মি” বাক্য টা শুনে ওনার পিছু পিছু ছুটলাম ।আজকে আর রক্ষে নেই। আমাকে দেখে প্রিয়ু ছুটে আসল আমার দিকে।ফিসফিস করে বলল,,,

–কি হয়েছে শ্রেয়া? তুই তূর্য ভাইয়ার পিছু পিছু যাচ্ছিস কেন?
—এখন আমার সাথে চল সব পরে বলব তোরে যদি আজ বেঁচে থাকি আরকি!!!

তূর্য ভাইয়ার পিছু পিছু ওনাদের ক্লাসে আসলাম আমরা।সবার দৃষ্টি আমাদের দিকে।এক কোণে দাড়িয়ে রইলাম দুজনে।আমাদের দেখে আয়ুশ ভাইয়া এগিয়ে আসতেই প্রিয়ু ফিসফিস করে বলে উঠল,,,

—আয়ুশ কত্তো সুন্দর তাই না রে শ্রেয়া!(লজ্জিত ভঙ্গিতে)

প্রিয়ুর দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালাম আমি।বলে কি এই মেয়ে?এই মেয়ে আবার আয়ুশ ভাইয়ার উপর ক্রাশড নয় তো?

—ক্রাশ খেয়েছিস?(হেসে)
–নাতো।প্রথম দেখায় ভালোবেসে ফেলেছি। (ভাবলেশহীন ভাবে)

প্রিয়ু আয়ুশ ভাইয়া কে ভালোবাসে?তবে ওই চিরকুট, আমার প্রতি আয়ুশ ভাইয়ার চাহনি!!!না কিছুতেই প্রিয়ু কে কষ্ট পেতে দেওয়া যাবে না।মেয়েটা আমার জন্য অনেক করেছে। পাশে এসে দাড়িয়ে আয়ুশ ভাইয়া কিছু জিজ্ঞেস করবে এমন সময় তূর্যর রাগী কন্ঠে ওনার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করল সবাই।।

—খাতা গুলো বের কর নিশি,,,
—-কিসের খাতা তূর্য,,,? (আমতা আমতা করে)
বাঁকা হাসলেন তূর্য ভাইয়া।

–ওহ্ তুই জানিস না?তাহলে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। শ্রেয়সী কে গতকাল যেই প্র্যাকটিক্যাল খাতাগুলো করতে দেয়া হয়েছিল সেগুলো,,

—মানে?

—মানে টা খুব ইজি নিশি।এত বড় বাড়ির মেয়ে হয়ে ও তুই চুরি করা শুরু করে দিয়েছিস।

—তুই আমায় এমন করে বলতে পারিস না তূর্য। খাতাগুলো আমি নিয়েছি তবে কোনো রিজন আছে তাই না?

নিশি আপুর কথায় বুঝার আর বাকি রইল না কাল খাতাগুলো ওনি নিয়েছেন। শুরু থেকেই ওনি কেমন যেন বিহেভ করতেন আমার সাথে।হয়তো অনেকের মতো তারও আমাকে অপছন্দ।

—কি কারণ শুনি?—প্রশ্ন টা করে পাশের চেয়ার টা তে বসলেন তূর্য ভাইয়া।

খাতাগুলো বের করে তূর্য ভাইয়ার সামনে রাখল নিশি আপু।আমার দিকে অগ্নি চোখে তাকিয়ে বললেন,,,,,

—এই মেয়ে তোকে অপমান করেছে তূর্য। তুই ভালো করেই জানিস তোকে কেউ অপমান করলে সেটা কখনো সহ্য করব না আমি।তাই এই মেয়েকে শিক্ষা দেয়ার জন্য খাতাগুলো সরিয়ে নিয়েছি আমি যেন খাতাগুলো কমপ্লিট করতে না পারে আর সুযোগ হারিয়ে তোর কাছ থেকে কঠিন একটা শাস্তি পায়।আমি ভালো করেই জানি এই মেয়ে খাতা কিনে দু দিনে কমপ্লিট করতে পারবে না।কারণ এই মেয়েতো একটা ফকিন্নির বাচ্চা।

সাথে সাথেই আমার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়তে লাগল।এমন একটা কথায় কলিজা টা ছিঁড়ে যাচ্ছে আমার।এখানে থাকলে আর নিজেকে সামলাতে পারব না। আকস্মিক খাতাগুলো ছুঁড়ে ফেললেন তূর্য ভাইয়া। আমার দিকে একবার তাকিয়ে নিশি আপুর দিকে রক্তিম চোখে তাকালেন।

—-ঐ মেয়েকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার শুধু আমার।ও আমার দোষী তাই ওকে শাস্তি ও আমি দিব।তুই কে দেওয়ার?কেন এসেছিস আমাদের মাঝে?কোনো অধিকার নেই তোর বা অন্য কারো ওকে আঘাত করার।ওকে কষ্ট, আঘাত দেওয়ার অধিকার ও শুধু আমার।আমার পিছন পিছন চাল চালিস।আজ বন্ধু বলে বেঁচে গিয়েছিস নয়তো এখানেই জ্যান্ত পুঁতে ফেলতাম।–উচ্চস্বরে রেগে বললেন তূর্য। পাশের চেয়ার টা কে লাথি দিয়ে ফেলে আমার দিকে চোখ রাঙিয়ে বেরিয়ে গেলেন রুম থেকে।

সবাই থমকালো ওনার কথায়।ওনি কেন এসব বললেন?সামান্য একটা ব্যাপারে এতো রিয়েক্ট!!!!!!

চলবে,,,,,

(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here