তোমাতে আসক্ত আমি পর্ব -৪৬

#তোমাতে_আসক্ত_আমি
#ইরিন_নাজ
#পর্ব_৪৬

পেরিয়ে গেছে তিনদিন। গত দুইদিন যাবৎ ভীষণ অ*সুস্থ ছিলো আবরার। প্রচন্ড জ্ব*রে*র কারণে অবস্থা কা*হি*ল হয়ে গিয়েছিল বে*চা*রার। আবরারের মতো শ*ক্ত, সামর্থ্য একজন মানুষ কে জ্ব*র এভাবে কা*বু করে ফেলবে ভাবতেও পারে নি আরশি। পরে অবশ্য মিসেস বন্যার কাছে শুনেছে যে আবরার সহজে অ*সুস্থ হয় না। তবে অ*সুস্থ হলে একেবারে কা*হি*ল হয়ে যায়। আর বৃষ্টির পানি সে একেবারে সইতে পারে না, গায়ে লাগলে জ্ব*র আসবেই আসবে। আবরারের এই হঠাৎ জ্ব*রের কারণ যে বৃষ্টি এটা বুঝতে পেরে রা*গ, অ*ভি*মানের শেষ ছিলো না আরশির। লোক টা জানে বৃষ্টি তার জন্য কতোটা ক্ষ*তি*কর তবুও বৃষ্টিতে ভিজেছে। আবরার অবশ্য বেশিক্ষন আরশি কে রে*গে থাকতে দেয় নি। ঠিকই মানিয়ে নিয়েছে। আরশি ও অ*সুস্থ আবরারের উপর বেশিক্ষন রা*গ ধরে রাখতে পারে নি। মিসেস বন্যা এবং আরশির সেবা যত্নে এখন অনেকটাই সুস্থ আবরার। আজ অফিসেও যেতে চেয়েছিল কিন্তু যেতে দেয় নি আরশি। রা*গ দেখিয়ে ধরে বেঁ*ধে রেখে দিয়েছে। এই সবের চ*ক্ক*রে চিরকুটের কথা প্রায় ভু*লতে বসেছিল আরশি। তবে সকালে ব্যাগ থেকে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজ বের করার সময় আবার সেটা সামনে পড়েছে তার। অনেক ভাবনা চি*ন্তা*র পর আরশি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে আগে ওই নাম্বারে কল করে কথা বলে দেখবে। তারপর বিষয় টা আবরার কে জানাবে। যদি কেউ তার সাথে মজা করে থাকে!

প্ল্যান অনুযায়ী রাতে আবরার ঘুমানোর পর ধীরে ধীরে সা*ব*ধা*ন*তার সাথে আবরারের হাত সরিয়ে বেলকনি তে চলে আসলো আরশি। সাথে ফোন আর সেই চিরকুট। দুরুদুরু বুকে সেই নাম্বারে ডায়াল করলো সে। কয়েকবার রিং হওয়ার পর রিসিভ করলো কেউ। আরশি ‘হ্যালো’ বলতেই ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এক পুরুষ কণ্ঠ বলে উঠলো,

— অবশেষে তাহলে ফোন করলে!

অবাক হলো আরশি। অবাকতার সাথেই শুধালো,

— কে আপনি? আর কেনোই বা আমাকে ওই চিরকুট দিয়েছিলেন? সত্যিই কি আপনি আমার বাবার খু*নী*র সম্পর্কে কিছু জানেন?

লোক টা যেনো হালকা হাসলো। বললো,

— আমি তোমার বাবার খুব কাছের কেউ। বন্ধু ও বলতে পারো। পেশায় আমিও একজন রিপোর্টার ছিলাম কিন্তু এখন সেই পেশা ত্যাগ করেছি। আর আমি সত্যিই তোমার বাবার খু*নী সম্পর্কে জানি। তাই তো তোমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি।

আরশি স*ন্দি*হান কণ্ঠে শুধালো,

— তবে এতদিন কোথায় ছিলেন আপনি? এতো বছর পর কেনো আমার বাবার খু*নী*র সন্ধান দিতে চাচ্ছেন? যখন আমার বাবা খু*ন হলো তখন কেনো আসেন নি?

লোক টা নিজের কণ্ঠের গম্ভীরতা বজায় রেখে জবাব দিলো,

— কারণ তখন যদি আমি সামনে আসতাম তাহলে তোমার বাবার মতো আমিও খু*ন হতাম হয়তো। ওরা বাঁচতে দিতো না আমাকে। তাই তো এতো বছরেও সামনে আসি নি। তবে তোমার আর তোমার পরিবারের খোঁজ খবর ঠিকই আমার কাছে ছিলো। তোমার বাবা আমার খুব কাছের একজন মানুষ ছিলেন। খুব ভালোবাসতাম আমি তাকে। আমিও চাই তার খু*নী*র শা*স্তি হোক। কিন্তু আমি নিতান্তই সাধারণ একজন মানুষ। তাই আমার পক্ষে ওই শ*য়*তা*ন কে শা*স্তি দেয়া সম্ভব ছিলো না। উল্টো আমারই ক্ষ*তি হতো। আমার পরিবারের আমি ছাড়া কেউ নেই। আমার কিছু হয়ে গেলে তারা কিভাবে থাকতো? পরিবারের কথা চি*ন্তা করে আর সামনে আগানোর সা*হ*স পাই নি আমি। আর এতো বছর পর তোমাকে এই ব্যাপারে জানানোর ও কারণ আছে। কারণ টা হলো তুমি এই মুহূর্তে তোমার বাবার খু*নী*র খুব কাছাকাছি অবস্থান করছো। তুমি চাইলেই পারো নিজের বাবার খু*নী কে নিজ হাতে শা*স্তি দিতে।

লোকটার কথা যেনো কিছু টা বিশ্বাস হলো আরশির। সে উ*ত্তে*জি*ত কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলো,

— কে আমার বাবার খু*নী? বলুন আমাকে…

লোক টা বলে উঠলো,

— স*হ্য করতে পারবে তো?

থ*ম মে*রে রইলো আরশি। মাথা ঝি*ম*ঝি*ম করছে তার। অজানা ভ*য়ে বুক কাঁ*প*ছে। তবে কি আবার কোনো ক*ঠি*ন সত্যের মুখোমুখি হতে চলেছে সে? এমন কোনো সত্য যা তার জীবনের সুখ শান্তি কে*ড়ে নিয়ে যাবে? অ*প্রিয় কিছু শোনার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নিলো আরশি। কাঁ*পা কাঁ*পা স্বরে বললো,

— পারবো। আপনি বলুন আমার বাবার খু*নী কে?

আরশির প্রশ্নের জবাবে লোক টা এমন কিছু কথা বললো যা শুনে মাথা ঘু*রে উঠলো আরশির। রে*গে গেলো সে। রা*গে*র ব*শে মৃদু চি*ৎ*কা*র করে বললো,

— আপনি মি*থ্যা বলছেন। আমি বিশ্বাস করি না আপনার কথা। নিশ্চয়ই আপনার অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে। তাই এসব উ*ল্টা*পা*ল্টা বুঝাচ্ছেন আমাকে।

লোক টা দীর্ঘ শ্বাস ত্যাগ করলো। ফোনের এপাশ থেকে তা স্পষ্ট টের পেলো আরশি। লোক টা কিছু সময় থেমে থেকে বললো,

— তোমাকে মি*থ্যা বলে আমার কি লাভ মামুনি! তোমার বাবার খু*নী শা*স্তি পাক এটা আমি সবসময়ই চেয়েছি। কিন্তু ওই যে বললাম আমি একজন সাধারণ মানুষ। তুমিও ঠিক তেমনি একজন সাধারণ মেয়ে ছিলে। তাই তোমাকে আগে জানাই নি। নাহলে কিছু করতে গিয়ে তুমি ও বি*প*দে পড়তে। কিন্তু এখন তুমি তোমার বাবার খু*নী*র খুব কাছাকাছি আছো। চাইলেই তুমি তাকে বুদ্ধি করে শা*স্তি দিতে পারো। তাই সব টা তোমাকে জানানো।

চোখ বন্ধ করে নিজেকে শান্ত করলো আরশি। কিছু একটা ভেবে বললো,

— আপনি যা বলছেন তা যে সত্য সেটার প্রমান কি?

লোক টা গম্ভীর স্বরে বললো,

— প্রমান আছে আমার কাছে। এমনকি প্রমান টা তোমার বাবাই জোগাড় করেছিলেন এক সময়।

আরশি জিজ্ঞাসা করলো,

— তাহলে সেই প্রমান প্রকাশ করলেন না কেনো? তাহলে তো অ*প*রা*ধী শা*স্তি পেতো।

লোক টা এবার কিছু টা শব্দ করেই হাসলো। বললো,

— বর্তমান দুনিয়ায় অর্থই শ*ক্তি জানো তো! আমি সেসব প্রকাশ করলেও তার বিশেষ কোনো ক্ষ*তি হতো না। টাকা খাইয়ে সব ধা*মা*চা*পা দিয়ে ফেলতো। বি*প*দে পড়তে হতো কার? আমার। তোমার বাবা বো*কা ছিলো যে এসব বিষয় না ভেবেই তার সকল সত্যি সামনে আনার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলো। তাই তো তাকে হ*ত্যা করে নিজের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলো ওই শ*য়*তা*ন টা।

আরশি শীতল কণ্ঠে বললো,

— আমি সব প্রমান দেখতে চাই। যদি আপনার কথা সত্য হয় তবে আমি তাকে খু*ন করতেও পিছপা হবো না। আমার প্রানপ্রিয় বাবা কে হ*ত্যা*র জন্য নিজের হাতে ক*ঠি*ন শা*স্তি দিবো তাকে।

লোক টা বললো,

— প্রমান দেখতে হলে তোমাকে সামনাসামনি দেখা করতে হবে। আমি সব ডকুমেন্ট তোমাকে দেখাবো। তাহলে হয়তো বুঝতে পারবে আমি মি*থ্যা বলছি না। যা বলছি সত্যি বলছি।

আরশি বললো,

— আমি দেখা করবো আর সেটা কালকেই। যদি আপনার কথা মি*থ্যা হয় তবে আপনিও ছাড় পাবেন না।

লোক টা গম্ভীর স্বরে বললো,

— সে তুমি সব প্রমান দেখলেই বুঝতে পারবে আমি মি*থ্যা বলছি না। তাই তো তোমাকে সামনাসামনি দেখা করতে বললাম। নিজের চোখে দেখলে অবশ্যই তুমি বুঝতে পারবে কোনটা সত্য আর কোনটা মি*থ্যা। তবে তোমাকে সা*ব*ধা*ন*তার সাথে দেখা করতে আসতে হবে। কেউ যেনো কোনোভাবেই টের না পায়। নাহলে তোমার কারণে আমি এবং আমার পরিবার বি*প*দে পড়বো। তো বলো পারবে গা*র্ডদের চোখ ফাঁ*কি দিয়ে আসতে?

আরশি দৃঢ়তার সাথে বললো,

— পারবো।

লোক টা বললো,

— আমি তোমাকে ঠিকানা পাঠিয়ে দিচ্ছি। আগামীকাল ঠিক দুপুর দুইটায় আমার সাথে দেখা করবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবে কেউ যেনো টের না পায়।

বলেই কল কে*টে দিলো লোক টা। দুই মিনিটের মাথায় মেসেজের মাধ্যমে একটা ঠিকানা আসলো আরশির নাম্বারে। ঠিকানা টা দেখে নিয়ে চুপচাপ আবরারের পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লো আরশি। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আবরারের পানে।

——

গা*র্ডদের চোখ ফাঁ*কি দিয়ে ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে এসেছে আরশি। বর্তমানে সে একটা সিএনজি তে আছে। প্রায় চল্লিশ মিনিট পর গন্তব্যে পৌঁছালো আরশি। তবে এক্সাক্ট পয়েন্টে সিএনজি ঢুকতে পারবে না তাই আগেই নামতে হলো আরশি কে। ভাড়া মিটিয়ে সামনে এগোলো সে। কেমন যেনো নীরব এলাকা। তার উপর প্রচুর রোদ। রোদের তা*পে ঘামে ভিজে যাচ্ছে আরশি, মাথা ঝি*ম*ঝি*ম করছে। অবশেষে চি*পা গলি পেরিয়ে একটা রাস্তায় আসলো সে। মেসেজে পাঠানো ঠিকানা অনুযায়ী এটাই সেই জায়গা যেখানে আসতে বলা হয়েছে তাকে। আগের রাস্তার তুলনায় এই রাস্তায় মানুষ আরও কম। বেশ দূরে দুই একজন কে দেখা যাচ্ছে। কেমন যেনো গা ছ*ম*ছ*মে পরিবেশ। দুপুরের সময় হওয়ার কারণে হয়তো রাস্তায় মানুষ একেবারে কম। আশেপাশে তাকিয়ে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে খোঁজার চেষ্টা করলো আরশি। কিন্তু কাউকেই দেখতে পেলো না। বি*র*ক্তি*তে কপাল কুঁ*চ*কে আসলো তার। ফোন বের করে সেই নাম্বারে কল করলো। কিন্তু হুট করেই পিছন থেকে কেউ একজন আরশির মুখে রুমাল চে*পে ধরলো। মুহূর্তেই জ্ঞান হা*রা*লো সে।

——

চোখ খোলার পর নিজেকে একটা অদ্ভুত বাড়িতে আবিষ্কার করলো আরশি। বাড়ি টা দেখে মনে হচ্ছে এটা কোনো প*রি*ত্যা*ক্ত বাড়ি। আরশি নিজের দিকে খেয়াল করতেই দেখলো চেয়ারের সাথে তার হাত পা বাঁ*ধা। আরশি শব্দ করে বললো,

— কেউ আছেন? কোথায় আনা হয়েছে আমাকে? আর আমাকে এভাবে বেঁ*ধে রাখা হয়েছে কেনো?

আরশি থামতেই কেউ একজন হো হো করে হেসে উঠলো। কি বি*শ্রী সেই হাসির শব্দ! আরশি বুঝতে পারলো কেউ একজন তার পিছেই আছে যে এভাবে হাসছে। কিন্তু বাঁ*ধা থাকার কারণে পিছনে দেখতে পারলো না আরশি। সে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বললো,

— কে আপনি? আমাকে এখানে এনে এভাবে বেঁধে রেখেছেন কেনো? আর আপনার ভয়েস এতো চেনা চেনা লাগছে কেনো? তবে কি আপনার সাথেই ফোনে কথা হয়েছিল আমার?

লোক টা হাসি থামিয়ে পেছন থেকেই বললো,

— কি বো*কা তুমি মেয়ে! আমি ভেবেছিলাম এমপির বউ বুঝি একটু হলেও চা*লা*ক হবে। কিন্তু তুমি দেখি একেবারেই বো*কা বের হলে। এতো সহজে যে আমার জালে ধরা পড়বে বুঝতে পারি নি। যাক আমি তবে তোমার ব্রেন ওয়াশ করতে সক্ষম হয়েছি। আর জানতে চাও না আমি কে? আমিই তোমার বাবার খু*নী।

শেষের কথা টা ফিসফিস করে বললো লোক টা। অনেক বড় একটা শ*ক খেলো আরশি লোকটার কথায়। নিজেকে সামলে অবাক কণ্ঠে বললো,

— কিন্তু আপনি তো বলেছিলেন বা…

আরশির মুখের কথা কে*ড়ে নিলো লোক টা। ব্য*ঙ্গ করে বললো,

— হ্যা, আমি বলেছিলাম তোমার শ্বশুর উরফে আব্বাস আহমেদ তোমার বাবার খু*নী। আর আজ তোমাকে সেটার প্রমান ও দেয়ার কথা ছিলো। তাই তো? আমি বললাম আর তুমি বিশ্বাস করে নিলে? হাহাহা। তো এবার আমি বলছি আমি আগের দিন যা যা বলেছিলাম সব মি*থ্যা ছিলো। ওগুলো বলে আমি জাস্ট তোমার ব্রেন ওয়াশ করতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম সফল হবো না। কিন্তু না আমি সফল হয়েছি। দেখো তুমি এখন আমার কাছে ব*ন্দি। হাহাহা… যাই হোক নিজের বাবার খু*নী কে দেখতে চাইবে না? উপস এখন তো তোমাকে আর তোমার প্রানপ্রিয় স্বামী কেও দুনিয়া থেকে বি*দা*য় করবো। তা ম*রা*র আগে নাহয় আমাকে দেখার সুযোগ করে দেই? কি বলো?

কথাগুলো বলতে বলতে লোক টা আরশির সামনে এসে দাঁড়ালো। লোকটার মুখ দেখা মাত্র স্তব্ধ হয়ে গেলো আরশি। সে বিশ্বাস করতে পারছে না নিজের চোখ কে। কয়েকবার পলক ঝা*প*টা*লো আরশি। না সে ভু*ল দেখছে না। যা দেখছে ঠিক দেখছে। নিজের অবাক ভাব কা*টি*য়ে আরশি বলে উঠলো,

— আপনি? তার মানে আপনিই আছেন এই সব কিছুর পেছনে?

লোক টা হাসতে হাসতেই জবাব দিলো,

— হ্যা, কেনো বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি?

আরশি অ*স্থি*র কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলো,

— আপনার উদ্দেশ্য কি? কেনো এসব করছেন?

লোক টা নিজের পকেট থেকে একটা গা*ন বের করলো। আরশির দিকে তা*ক করে বললো,

— আপাতত উদ্দেশ্য একটাই। তোমাকে আর তোমার স্বামী কে দুনিয়া থেকে বি*দা*য় করা। বুঝতে পেরেছিলাম বাবা মায়ের পর আবরারের সবচেয়ে বড় দু*র্ব*লতা তুমি। তাই তো তোমায় টা*র্গে*ট করলাম। খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারলাম এক সময় তোমার বাবা ও আমার পথে এসেছিল। বিনিময়ে তাকে নিজের প্রাণ দিতে হয়েছিল। এখন তোমাকে আর তোমার স্বামীকেও দিতে হবে। এতক্ষনে হয়তো তোমার স্বামী তোমার নি*খোঁ*জ হওয়ার খবর পেয়ে গেছে। আর অ*স্থি*র হয়ে তোমাকে খুঁজছে। এখন আমি ওকে ফোন করে এখানে আসতে বলবো তাও একা। আর তারপর…. তারপর দুইজনকেই পৃথিবী থেকে বি*দা*য় করে দিবো। হাহাহা।

লোকটার হাসির মাঝেই কেউ একজন তার হাত থেকে গা*ন টা কে*ড়ে নিলো। পিছন থেকে বলে উঠলো,

— তোমাকে আর ক*ষ্ট করে ফোন করে আসতে বলতে হবে না। আমি নিজেই চলে এসেছি দেখো। বুঝোই তো একটামাত্র বউ আমার। তাকে তো আর এমনি এমনি ছেড়ে রাখতে পারি না। আমার কতো বড় দু*র্ব*লতা সে এটা তো তোমার চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না। ঠিক না?

চলবে,

(আস্সালামুআলাইকুম। ঈদের পরপরই আমার এডমিশন টেস্ট। অনেকে জানেন হয়তো আবার অনেকে জানেন না। এই নিয়ে একটু ভে*জা*লের মধ্যে আছি। লেখার সুযোগ পাচ্ছি না তেমন। তাই এতো বেশি লে*ট হচ্ছে 🙂। আর বেশি হলে দুটো পর্ব হবে গল্পের। শীঘ্রই শেষ করবো ইনশাআল্লাহ। আপনাদের অপেক্ষা করিয়ে এতো ক*ষ্ট দেয়ার জন্য ক্ষ*মাপ্রার্থী।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here