তোলপাড় পর্ব ১০+১১

#তোলপাড়💓
#পর্বঃ১০(বোনাস পার্ট৩)
#শান্তনা_আক্তার(Writer)

‘আচ্ছা তাহলে স্রুতির অনিক নামের একটা ছেলের সাথে রিলেশন ছিলো।'(সেন্টারফ্রুট চাপাতে চাবাতে বলে জিসান)

-হুম,ছেলেটা খুবই ভালো।সরকারি চাকরি করে।আমি বলেছিলাম পরিবারের সবাইকে জানালে তারা না করবে না কিন্তু,বলে থেমে যায় রিমি।

-কিন্ত কি ভাবি?

-তোমার ভাইয়া আর স্রুতির বিয়ে নাকি আগে থেকেই ঠিক করা।তাই নাকি স্রুতি কিছু বলতে পারেনি।

-That’s true..আচ্ছা ভাইয়ার সাথে কি তোমার আগে থেকে পরিচয় ছিলো!নাকি বিয়ের দিনই দেখা হয়েছে?

-আগেই দেখেছিলাম।স্রুতি বলেছিল তোমার ভাইয়া Australia থেকে আসার পর ওদের ফ্যামিলি ওদের দুজনের বিয়ে দেবে ঠিক করেছে।তারপর স্রুতি তো কান্না শুরু করে দিয়েছিল অনিককে ছাড়া বাঁচবে না,মরে যাবে হ্যান ত্যান।তারপর আমি ওকে আইডিয়া দিলাম আহসানের সাথে দেখা করে ওর আর অনিকের ব্যাপারটা বলে দিতে।

-ওহ,তারপর?

-তারপর স্রুতি আহসানকে ডেট করতে ডাকে।আমার হাতে পায়ে ধরে আমাকেও সেদিন সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলো।আমি বন্ধুত্ব রাখতে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।সময় মতো আমরা গ্রিনলাইন রেস্টুরেন্টে গিয়ে আহসানের জন্য ওয়েট করতে থাকি।তারপর আমি স্রুতিকে বলি।

‘বাবা বকবে অনেকটা সময় ওয়েস্ট হয়ে গেছে। তোর হবু বর আসছে না কেন এখনো?

-মুখ সামলে পেতনীর সতিনী।আমার হবু বর শুধু অনিক আর ওই হবে।আমরা এটা ওটা নিয়ে ঝগড়া করছিলাম তখন তোমার ভাইয়া এসে আমাকে বলে, এক্সকিউজ মি!আর ইউ স্রুতি?আমার চোখ তোমার ভাইয়ার চোখে পড়তেই খুব বড়সড় একটা শক খেয়েছিলাম সেদিন।জীবনে কখনো কেউ আমায় ক্রাশ খাওয়াতে পারবেনা শপথ করেছিলাম।কিন্তু তোমার ভাইয়াকে দেখার পর আমার সব শপথ মাটিতে মিশে গেল।

-হাউ রোমান্টিক ভাবি!তো কি দেখে ক্রাশ খেলে আমার ভাইয়ার উপর?

-রোমান্টিক না ছাই(মনে মনে)।কেন খেয়েছিলাম জানি না।

-স্ট্রেঞ্জ!লাইক সিরিয়াসলি?ক্রাশ খাওয়ার কোনো না কোনো কারণ থাকে।সেটা তোমাকে বলতে হবেই।সো নো চিটিং।

-আসলে আমি ওনার মুখের চাপ দাড়ি আর নীল চোখ দেখে ক্রাশ খেয়েছিলাম।তাছাড়া বরাবরই আমার উজ্জ্বল শ্যামলা ছেলেদের ভালো লাগে।তবে রিয়ালে কাউকে ভালো করে দেখিনি।জাস্ট সিনেমার হিরোদের ছাড়া।এইসব মিলিয়ে ক্রাশ খেয়ে ফেলেছিলাম।(অপরাধী ফেস করে)

-ok then?

-তারপর আমি বললাম আমি স্রুতি নই।আমি স্রুতিকে দেখিয়ে দিয়েছিলাম।

-স্রুতির ফেস আমার স্পষ্ট মনে আছে আর ভাইয়ার নিজের ফুপির মেয়ে ও তাও চিনতে পারলো না?

-এই সেম প্রশ্নটা আমিও করেছিলাম।তারপর তোমার ভাইয়া বলেছিল খুব ছোটবেলায় নাকি উনি স্রুতিকে দেখেছিল।তারপর ফরেন যাওয়ার পর নাকি ওদের মধ্যে কোনো যোগাযোগই হয়নি।

-কথা ঠিক।আমার সাথেও ভাইয়ার তেমন কথা হয়নি।জাস্ট ঈদের দিন ছাড়া।

-তাইতো চিনতে পারেনি।আর উনি যেদিন ফরেন থেকে এসেছিলেন সেদিন আমাদের একটা ফ্রেন্ডের বার্থডে পার্টি ছিলো।তাই স্রুতির বাবা মা আসলেও স্রুতি আসেনি এ বাড়িতে।

-ওহ,লেট ইট পাস্ট।তারপর কি হলো?

-তারপর স্রুতি আর আহসান একে অপরের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলো।স্রুতি যখন আহসানকে অনিকের কথা বলবে ঠিক করলো ঠিক তখনি আহসানের ফোনে একটা কল আসে।আহসান কি জানি কাকে বকাঝকা করছিল।ওর মুড ভালো ছিলোনা তখন।তাই স্রুতি ভয়ে কিছু বলতে পারেনি।ভেবেছে পরে বলবে।আমি স্রুতিকে অনেক বুঝিয়েছিলাম আহসানকে বিয়ে করার জন্য কিন্তু ও অনিককে ছাড়া কাউকে বিয়েই করবে না বলে দিয়েছে।

-স্রুতি তাহলে ভাইয়াকে বলেনি সত্যিটা?

-না বলতে পারেনি ফ্যামিলির ভয়ে।তারপর বিয়ের দিন প্লান বানালো পালাবে।আমাকে ওর শাড়িটা পেচিয়ে দিয়ে বেলকনিতে একটা দড়ি ঝুলিয়ে নিচে নেমে যায় চলে যায় অনিকের সাথে তারপর সবাই এসে দেখে স্রুতি নেই আমি ওর জায়গায় বসে আছি।

-সবাইতো খুব বকেছে তোমায়!তোমাকে ফাঁসিয়ে দিয়ে স্রুতি পালিয়ে গেল।এটা তো ভালো করেনি ও।

-হুম বকা তো খেয়েছি খুব।কি করতাম আমি?বেস্টফ্রেন্ড এর ধর্ম পালন করতে গিয়ে নিজেকে বলি দিতে হলো আমায়।আমি সেই সময় টায় খুবই হেল্পলেস ছিলাম

-তারপর সবাই মিলে তোমার আর ভাইয়ার বিয়ে দিল তাইতো?

-হুম,তোমার ফুফার একটা প্রেস্টিজ আছে।প্রেসের লোকজন ও এসেছিলো।বিয়ে হবে না জেনে একেক জন একেক কথা বলছিলো।তাই মান সম্মান বাঁচাতে আমাদের বিয়ে দিয়ে দেন।আমি আব্বুর এক ধমক খেয়ে বিয়ের পীড়িতে বসে গিয়েছিলাম।তোমার ভাইয়াও মেবি তার বাবার কথা রাখতেই আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলো।

-তার মানে তোমরা একে অপরকে লাইক করোনা।

-ওনার মতো ভ্যাম্পায়ারকে কেই বা লাইক করবে?আমাকে কাঁচা চিবিয়ে খেলে উনি শান্তি পায়।(বিরবির করে বলল রিমি)

-What are you saying vabi?

-না কিছু বলিনি তো।

ওদিকে আহসান কাজে মন দিতে পারছে না।বারবার রিমি আর জিসান কি বলাবলি করছে সেই খেয়ালই আসছে ওর মাথায়।

-এভাবে আর বসে থাকা যাচ্ছে না।আমি বরং রিমিকে একটা কল করি এই বলে ফোন বের করে।পরক্ষণেই ওর মনে পড়ে রিমির নাম্বার তো ওর কাছে নেই।ওহ নো আমার কাছে তো রিমির নাম্বারই নেই।জিসানকে কল দেব?না থাক আমি এখন ফ্রি আছি রিপোর্ট গুলো একটা নার্সকে বুঝিয়ে দিয়ে বাড়িতে যাই।Yeah! That’s a good idea..আহসান একটা নার্সকে ডেকে সব বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
#তোলপাড়💓
#পর্বঃ১১
#শান্তনা_আক্তার(Writer)

-তুমি তো শুধু আমার কথাই জিগ্যেস করে গেলে,এবার তোমার পালা।
রিমির কথায় জিসান লজ্জা পেয়ে বলল,কি বলবো!

-আমি বলতে চাইছি কি করো জব নাকি স্টাডি?তুমি কথাটা কোথায় নিয়ে গেলে?

-ওহ,না এখনো কিছু করিনা।স্টাডি কমপ্লিট করেছি। তোমাদের সাথেই মাস্টার্স এর এক্সাম দিয়েছি।ভাবছি ড্যাডের বিজনেস দেখাশোনা করবো।

-তুমি কি একা!মানে ভাই বোন,

-হুম একা।এই জেনারেশনে আমাদের রিলেটিভদের সবার একটা করেই সন্তান।আমার ড্যাড আর তোমার mother in law দু ভাই বোন।আর তোমার father in law ও স্রুতির আম্মু দুই ভাই বোন।এনাদের একটা একটা পিস যেমন আমি,ভাইয়া,স্রুতি আরও রিলেটিভদের ও সেম একটা করেই।তোমরা?

-ভালো।আমার বড় আপু আছে বিয়ে হয়ে গেছে।

-ওহ,

-হুম,তো তুমি যেটা ভাবলে সেটা শুনি এবার।রিলেশন করো কিনা?না বলতে চাইলে থাক আমি ওতো ইইন্টারেস্টেড নই।

-হুম সে আর বলতে!সময় করে একদিন তোমার সাথে দেখা করাবো তার সাথে।

-দরকার নেই,এই দেখাদেখির চক্করে সবসময় ফেঁসে যাই আমি।আর কখনো কারো বিষয়ে নাক গলাবো না।খুব বড় শিক্ষা পেয়েছি আমি।

-As your wish..

-তা মেয়েটার নাম কি?

-রুশা(লজ্জা পেয়ে)

-ছেলেরাও যে এভাবে লজ্জা পায় জানতাম না।আচ্ছা এখন অনেক গল্প করা হয়েছে আমার আর ভালো লাগছে না।মুখ লেগে এসেছে কথা বলতে বলতে।অন্য সময় আড্ডা দেব এখন মাথা ধরেছে।

-ওকে,একটা রিকুয়েষ্ট রাখবে ভাবি!

-কি?

-আমরা আজ থেকে বেস্ট ফ্রেন্ড ওকে?

-আমি তোমার বড় ভাবি।বেস্ট ফ্রেন্ড কিভাবে সম্ভব!

-চাইলেই সম্ভব।তাছাড়া আমি আর স্রুতি সমবয়সী।তাহলে তুমি আর আমিও সমবয়সী।সো প্রবলেম কি?যদিও একটু আধটু ছোট হই তাতে কি?কোথাও তো লিখা নেই যে বয়সে বড় হলে বেস্টফ্রেন্ড বানানো যায়না।

-বেস্টফ্রেন্ড হতে গেলে খুব প্যারা নিতে হয়।আমি আর পারবো না।

-প্লিজ মেনে নাও।আর আমি স্রুতি নাকি হুম!আমি তোমাকে ডেঞ্জারে ফেলবো না কথা দিলাম।

-মনে থাকবে তো?পরে আবার ভুলে যেওনা যেন!

-ওকে মনে থাকবে।তাহলে আমরা BFF আজ থেকে।

রিমি ভ্রু কুঁচকে জিগ্যেস করে,এটা কি?

-Best Friend Forever..(বলে ডান হাত বাড়িয়ে দিল)

-ওওও,ওকে রিমিও ওর হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করে।এই অবস্থায় আহসান রুমে প্রবেশ করে আর সব দেখে ফেলে।আহসান সাথে সাথে ওর মুখ গোমড়া করে বলে উঠে,কি হচ্ছে এখানে!

-কিছু না ভাইয়া।আমরা তো gossiping করছিলাম।(জিসান)

-আমি প্রায় 3 hours হয়েছে বাহিরে গিয়েছি এতোক্ষণ কেউ gossiping করে!

জিসান এখনো রিমির হাত ধরে আছে।রিমি ওর হাত ছাড়িয়ে বলল,জিসানের কোনো দোষ নেই আমিই বেশি বকবক করছিলাম।

-জিসান তুই এখন তোর রুমে যা আমি রেস্ট করবো।(দাঁত কামড়ে)

-ওকে ব্রো,আমি এখন চলেই যাচ্ছিলাম এই বলে চলে যায় জিসান।

জিসান চলে গেলে আহসান রিমির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।তারপর ব্যঙ করে বলে,আমি জানতাম তুমি মিডিলক্লাসের তবে তুমি যে লোক্লাসের সেটা জানতাম না।

রিমি যেন চরম অবাক হলো আহসানের কথায়।বেশ রেগেও গেল ও।

-আপনি আমাকে লো ক্লাসের কেন বললেন?আমি এমন কি করেছি যার জন্য আপনি আমাকে লোক্লাস বললেন?

-আমি তোমার মতো মেয়ের প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নই এখন আমার সামনে থেকে সরে যাও।তোমার মুখ দেখলে রাগ হয় আমার।এই বলে গলার টাইটা খুলে বিছানায় ছুড়ে মারে।রিমি আর এক মুহুর্তও না দাঁড়িয়ে নিচে চলে যায়।

এভাবে বেশ কয়দিন চলে যায়।আহসান যখনি জিসান আর রিমিকে এক সাথে দেখবে তখনই রিমির সাথে রুডলি বিহেভ করবে।আজ রাতে আহসান হসপিটাল থেকে এসে দেখে রিমি ঘরে নেই।আশে পাশে কোথাও রিমিকে দেখতে না পেয়ে অপার রুমে গেল।গিয়েই বলল,মম রিমি কোথায়?

-রিমি আর সম্পা ছাদে গেছে।জিসান গান গাচ্ছে অপার পুরো কথা শোনার আগেই আহসান চলে যায়।

-চলে গেল ছেলেটা।ভালো মন্দ কিছু যে জিজ্ঞেস করবো তার ও সময় হয়না ওর কাছে।ইশ ওর বাপির কথা জিজ্ঞেস করতে তো ভুলেই গেলাম।শান্তি মতো দাঁড়ালে তো জিগ্যেস করবো!আমার হয়েছে যত জ্বালা এই বাবা ছেলেকে নিয়ে বলে নিজের কাজে মন দিল অপা।

#চলবে?#তোলপাড়💓
#পর্বঃ১১
#শান্তনা_আক্তার(Writer)

-তুমি তো শুধু আমার কথাই জিগ্যেস করে গেলে,এবার তোমার পালা।
রিমির কথায় জিসান লজ্জা পেয়ে বলল,কি বলবো!

-আমি বলতে চাইছি কি করো জব নাকি স্টাডি?তুমি কথাটা কোথায় নিয়ে গেলে?

-ওহ,না এখনো কিছু করিনা।স্টাডি কমপ্লিট করেছি। তোমাদের সাথেই মাস্টার্স এর এক্সাম দিয়েছি।ভাবছি ড্যাডের বিজনেস দেখাশোনা করবো।

-তুমি কি একা!মানে ভাই বোন,

-হুম একা।এই জেনারেশনে আমাদের রিলেটিভদের সবার একটা করেই সন্তান।আমার ড্যাড আর তোমার mother in law দু ভাই বোন।আর তোমার father in law ও স্রুতির আম্মু দুই ভাই বোন।এনাদের একটা একটা পিস যেমন আমি,ভাইয়া,স্রুতি আরও রিলেটিভদের ও সেম একটা করেই।তোমরা?

-ভালো।আমার বড় আপু আছে বিয়ে হয়ে গেছে।

-ওহ,

-হুম,তো তুমি যেটা ভাবলে সেটা শুনি এবার।রিলেশন করো কিনা?না বলতে চাইলে থাক আমি ওতো ইইন্টারেস্টেড নই।

-হুম সে আর বলতে!সময় করে একদিন তোমার সাথে দেখা করাবো তার সাথে।

-দরকার নেই,এই দেখাদেখির চক্করে সবসময় ফেঁসে যাই আমি।আর কখনো কারো বিষয়ে নাক গলাবো না।খুব বড় শিক্ষা পেয়েছি আমি।

-As your wish..

-তা মেয়েটার নাম কি?

-রুশা(লজ্জা পেয়ে)

-ছেলেরাও যে এভাবে লজ্জা পায় জানতাম না।আচ্ছা এখন অনেক গল্প করা হয়েছে আমার আর ভালো লাগছে না।মুখ লেগে এসেছে কথা বলতে বলতে।অন্য সময় আড্ডা দেব এখন মাথা ধরেছে।

-ওকে,একটা রিকুয়েষ্ট রাখবে ভাবি!

-কি?

-আমরা আজ থেকে বেস্ট ফ্রেন্ড ওকে?

-আমি তোমার বড় ভাবি।বেস্ট ফ্রেন্ড কিভাবে সম্ভব!

-চাইলেই সম্ভব।তাছাড়া আমি আর স্রুতি সমবয়সী।তাহলে তুমি আর আমিও সমবয়সী।সো প্রবলেম কি?যদিও একটু আধটু ছোট হই তাতে কি?কোথাও তো লিখা নেই যে বয়সে বড় হলে বেস্টফ্রেন্ড বানানো যায়না।

-বেস্টফ্রেন্ড হতে গেলে খুব প্যারা নিতে হয়।আমি আর পারবো না।

-প্লিজ মেনে নাও।আর আমি স্রুতি নাকি হুম!আমি তোমাকে ডেঞ্জারে ফেলবো না কথা দিলাম।

-মনে থাকবে তো?পরে আবার ভুলে যেওনা যেন!

-ওকে মনে থাকবে।তাহলে আমরা BFF আজ থেকে।

রিমি ভ্রু কুঁচকে জিগ্যেস করে,এটা কি?

-Best Friend Forever..(বলে ডান হাত বাড়িয়ে দিল)

-ওওও,ওকে রিমিও ওর হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করে।এই অবস্থায় আহসান রুমে প্রবেশ করে আর সব দেখে ফেলে।আহসান সাথে সাথে ওর মুখ গোমড়া করে বলে উঠে,কি হচ্ছে এখানে!

-কিছু না ভাইয়া।আমরা তো gossiping করছিলাম।(জিসান)

-আমি প্রায় 3 hours হয়েছে বাহিরে গিয়েছি এতোক্ষণ কেউ gossiping করে!

জিসান এখনো রিমির হাত ধরে আছে।রিমি ওর হাত ছাড়িয়ে বলল,জিসানের কোনো দোষ নেই আমিই বেশি বকবক করছিলাম।

-জিসান তুই এখন তোর রুমে যা আমি রেস্ট করবো।(দাঁত কামড়ে)

-ওকে ব্রো,আমি এখন চলেই যাচ্ছিলাম এই বলে চলে যায় জিসান।

জিসান চলে গেলে আহসান রিমির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।তারপর ব্যঙ করে বলে,আমি জানতাম তুমি মিডিলক্লাসের তবে তুমি যে লোক্লাসের সেটা জানতাম না।

রিমি যেন চরম অবাক হলো আহসানের কথায়।বেশ রেগেও গেল ও।

-আপনি আমাকে লো ক্লাসের কেন বললেন?আমি এমন কি করেছি যার জন্য আপনি আমাকে লোক্লাস বললেন?

-আমি তোমার মতো মেয়ের প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নই এখন আমার সামনে থেকে সরে যাও।তোমার মুখ দেখলে রাগ হয় আমার।এই বলে গলার টাইটা খুলে বিছানায় ছুড়ে মারে।রিমি আর এক মুহুর্তও না দাঁড়িয়ে নিচে চলে যায়।

এভাবে বেশ কয়দিন চলে যায়।আহসান যখনি জিসান আর রিমিকে এক সাথে দেখবে তখনই রিমির সাথে রুডলি বিহেভ করবে।আজ রাতে আহসান হসপিটাল থেকে এসে দেখে রিমি ঘরে নেই।আশে পাশে কোথাও রিমিকে দেখতে না পেয়ে অপার রুমে গেল।গিয়েই বলল,মম রিমি কোথায়?

-রিমি আর সম্পা ছাদে গেছে।জিসান গান গাচ্ছে অপার পুরো কথা শোনার আগেই আহসান চলে যায়।

-চলে গেল ছেলেটা।ভালো মন্দ কিছু যে জিজ্ঞেস করবো তার ও সময় হয়না ওর কাছে।ইশ ওর বাপির কথা জিজ্ঞেস করতে তো ভুলেই গেলাম।শান্তি মতো দাঁড়ালে তো জিগ্যেস করবো!আমার হয়েছে যত জ্বালা এই বাবা ছেলেকে নিয়ে বলে নিজের কাজে মন দিল অপা।

#চলবে?
(সবার কি নেক্সট রোগ যাবে না?)
(সবার কি নেক্সট রোগ যাবে না?)
#চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here