ধূসর প্রেমের অনুভূতি পর্ব -৪৬

#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৪৬
.
.
(৮২)
রুমের সামনে পায়ের আওয়াজ পেয়ে ভয়ে বিছানার ছাদর খামচে ধরে নুপূর৷ শ্রাবণ দরজার লক খুলে ভেতরে প্রবেশ করেই বেডের উপর বধু সাজে নুপূরের দিকে চোখ পড়লো৷ মিষ্টি রঙের লেহেঙ্গায় নুপূরকে যেন আরো বেশি মিষ্টি দেখতে লাগছে৷ নুপূরকে দেখতে দেখতে সামিরার মুখটা চোখের সামনে ভেষে উঠতেই শ্রাবণ গট গট করে হেটে ওয়াশরুমে চলে গেল৷ নুপূর শ্রাবণকে ওয়াশরুমে যেতে দেখে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো৷ কিছুক্ষণ পর শ্রাবণ ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে নুপূরকে বলে,” এভাবে শং সেজে বসে না থেকে চেন্জ করে ফ্রেস হয়ে নেও৷”

নুপূর কোন কথা না বলে বেড থেকে দ্রুত নেমে ওয়াশরুমে ঢুকতে নিলে নুপূরের মনে পড়ে যায়৷ এখানে আসার সময় সে সাথে করে কোন কাপড় নিয়ে আসে নি৷ নুপূরকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে শ্রাবণ ভ্রুযুগল কুচকে বলে,” আবার দাড়িয়ে পড়লে কেন নুপূর?”

নুপূর ইতস্ত করতে করতে বলে উঠলো,” আসলে আমি তো সাথে করে কোন ড্রেস নিয়ে আসি নি৷ ”

শ্রাবণ নুপূরের সমস্যাটা বুঝতে পেরে কাপবোর্ড থেকে সামিরার জন্য কেনা একটা শাড়ি নিয়ে নুপূরের হাতে দিয়ে বলে,” চেন্জ করে এটা পড়ে নেও৷ আর হ্যাঁ বেশ ঠান্ডা পড়েছে তাই শাওয়ার নিতে হলে গরম পানি দিয়ে শাওয়ার নিও৷”

নুপূর শ্রাবণের এতো কেয়ার দেখে প্রচন্ড রকমের অবাক হয়৷ নিজের ভালোবাসার মানুষকে হাড়িয়ে কিভাবে এতোটা শান্ত স্থির থাকতে পারে? এটাই ভাবতে পারছে না নুপূর ৷ নুপূরকে এভাবে অন্যমনস্ক হয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখে ধমক দিয়ে ওঠে বলে,” এই মেয়ে এভাবে স্টাচু হয়ে দাড়িয়ে আছো কেন? যাও ঝটপট ফ্রেস হয়ে এসো৷”

নুপূর শ্রাবনের ধমক শুনে কেঁপে ওঠে৷ এক মুহূর্ত দেরি না করে রকেটের স্পিডে ওয়াশরুমে দৌড়ে ঢুকে যায়৷ নুপূরের এই ভয়ার্থ মুখটা দেখে শ্রাবণের ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো৷ শ্রাবণ তার ভিজে চুল গুলো তোয়ালে দিয়ে মুছতে মুছতে বলে উঠলো,” আমার ভীতুরানী”

___________

অর্নিল রুমে ঢুকে দেখতে পায় নীল বেনারসী পড়া তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে, যাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে৷ দরজা বন্ধ করার শব্দ শুনে ফারিহার বুকের ভেতর কেমন যেন ধক ধক করে উঠলো৷ অর্নিল যে তার দিকেই এগিয়ে আসছে৷ অর্নিল ফারিহার মাথার ঘোমটা সরিয়ে ফারিহার কপালে আলতো করে ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে বলে,” মাশাআল্লাহ মনে হচ্ছে আজ আকাশ থেকে আসমানের হুরপরী নেমে এসেছে৷ ” অর্ণিলের কথা শুনে ফারিহার গাল দুটো লজ্জায় লাল হয়ে গেছে৷ অর্নিল টুক করে ফারিহার গালে চুমু দিয়ে দুষ্টুমি হাসি দিয়ে বলে,” এই যে মিসেস অর্নিল আজ থেকে আপনি আমার পার্সোনাল প্রোপার্টি৷ আজ থেকে তোমার সাথে আমি যা খুশি তাই করতে পারি ইউ নো না নাও আ’ম ইউর হাসবেন্ট৷”

অর্নিলের কথা শুনে ফারিহা দাঁতে দাঁত চেপে কটমট করে অর্নিলের দিকে তাকিয়ে বলে,” তাই না, আমি তোমার পার্সোনাল প্রপোর্টি? আমার সাথে যা খুশি করতে পারো কারণ তুমি আমার হাসবেন্ট তাই তো?”

ফারিহার অগ্নিরুপ দেখে অর্নিল শুকনো ঢোক গিলে মনে সাহস নিয়ে আবার বলে উঠলো,” হ,,হে তাই তো৷ আমি তোমার হাসবেন্ট ৷ আমি যা কিছু ইচ্ছে তোমার সাথে করতে পারি৷ ”

ফারিহা অর্নিলের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে ধীরে ধীরে বেড থেকে নেমে আশে পাশে কিছু একটা খুজতে লাগলো৷ অর্নিল ভাব গতি সুবিধার না দেখে একা একাই হেসে দিয়ে ফারিহাকে বলতে লাগলো,” হাহাহা দেখলে তো জান তুমিও বোকা বনে গেলে৷ ফারিহা ব্রু নাচিয়ে বলে ,” কেন জান তুমি না বললে আমার সাথে যা ইচ্ছে তাই করতে পারো? আচ্ছা শোন তুমি যেহেতু আমার হাসবেন্ট আমিও তো তোমার ওয়াইফ তাহলে তুমিও আমার পার্সোনাল প্রোপার্টি ৷ তোমার সাথেও আমি যা ইচ্ছে তাই করতে পারি? ” কথা গুলো বলতে বলতে ফারিহা রুমের কোন থেকে ঝাড়ু বের করে অর্নিলে দিকে এগোতে লাগলো৷

অর্নিল ফারিহার হাতে ঝাড়ু দেখে ফট করে বেড থেকে নেমে সটাং হয়ে দাড়িয়ে পড়ে বলে,” জান তুমি এখন ঝাড়ু নিয়ে কি করবে? আজ না আমাদের বাসর ?”

” হুম জান, আজ তোমার আর আমার বাসর হবে তো৷ এই যে দেখছো আমার হাতে ঝাড়ু এটা দিয়ে আগে তোমারকে ঝাড়বো তারপর বাসর করবো৷”

” কি ডেন্জারাস! জান আ,, আমি তো মজা করছিলাম সত্যি করে বলছি৷”

” বাট জান আমি তো তোমার সাথে মজা করছি না৷ এবার আমার ইচ্ছে তোমার সাথে তাই করবো৷”

হুট করে অর্নিল ফারিহার হাত থেকে ঝাড়ুটা কেড়ে নিয়ে দুরে ছুড়ে ফেলে দিয়ে ফারিহার হাত হেচকা টান দিয়ে বুকের সাথে মিশিয়ে কোমর চেপে ধরে বলে,” আজ আর কোন বাহানা চলবে না সুইটহার্ট ৷ একবার যখন ধরা দিয়েছো তখন আর তোমার মুক্তি নেই৷ এই রাতটা না হয় আমাদের ভালোবাসার সাক্ষী হোক৷ নিবৃতে নাহয় দুটো মনের মিলন ঘটুক৷ হাতের ভাজে হাত , ঠোঁটের ভাজে ঠোঁট জোড়া না হয় আজ মিলে যাক৷ ভালোবাসায় সিক্ত হলাম না হয়৷”

অর্নিলের কথা মাঝে এতোটাই নিজেকে হাড়িয়ে ফেলেছে ফারিহা যে তার মুখের ভাষা গুলো যেন হাড়িয়ে চুপটি করে রইল৷

চুপ থাকা যে সম্মতির লক্ষণ সেটা বুঝতে পেরেই অর্ণিল বাঁকা হেসে ফারিহাকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানার দিকে এগিয়ে গেল৷ হোক না আর রাতটা মধুময় ভালোবাসায় সিক্ত হোক দুটো পবিত্র সম্পর্ক৷

_______________

মেঘের মুখে বাঁকা হাসি দেখে ফারহা বিছানা থেকে নেমে এসে মেঘের সামনে দাড়িয়ে বলে,” কি বেপার মিস্টার আপনার ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি কেন? নিশ্চয়ই কিছু একটা হয়েছে আর সেটা তুমি করেছো রাইট?”

মেঘ ফারহাকে কোলে নিলে ব্যালকনিতে গিয়ে ফারহাকে কোলে নিয়ে দোলনায় বসে পড়ে৷

” মেঘরাজ এখন তো বলবে তুমি ঠিক কি করেছো?”

” তেমন কিছু না আদিল রাফি আর রোজাকে একটু জব্দ করলাম৷”

” কি করে?”
মেঘ এবার একে একে সব ঘটনা ফারহাকে বলতে লাগলো৷ মেঘের কান্ড শুনে ফারহা খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে৷

” তুমি এতো দুষ্টু কবে থেকে হলে মেঘরাজ? বাচ্চাগুলোকে এভাবে বোকা বানালে! ”

” কেন কষ্ট হচ্ছে?”

” উহু, আচ্ছা শোন শ্রাবণ ভাইয়া নুপূরকে মেনে নিবে তো? আমার না খুব ভয় হচ্ছে৷ ভাইয়া কোন রুপ বাজে বিহেব না নুপূরের সাথে করে বসে৷”

” ডোন্ট ওয়ারি ফারুপাখি৷ ভাইয়া নুপূর আই মিন ভাবির সাথে বাজে বিহেব করবে না৷ ”

” তুমি এতোটা শিওর কি ভাবে?”

” শিওর হলাম কারণ আমি আমার ভাইকে খুব ভালো করেই চিনি৷ ভাইয়া আর যাই হোক কখনো কোন মেয়েকে অসন্মান করবে না৷ আর সেখানে আনস্পেক্টেড বিয়ে করা বউ নুপূর ভাবি৷ তার সাথে এখন চৌধুরী পরিবারের মান সন্মান জরিত৷ ”

” শুধু সন্মানের কথা ভেবে নিজেকে সামলে নিবে ভাইয়া? ভালোবেসে নয়!”

” ফারুপাখি ভালোবাসার অনুভূতিটা একঝটকায় কখনো হয়না৷ হয়তো প্রথম দেখায় ভালো লেগে যেতে পারে তারপর ধীরে ধীরে ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা৷ আর এখানে সদ্য মন ভাঙা এক প্রেমিক পুরুষ কিভাবে অন্য নারীর প্রেমে মগ্ন হয়ে যাবে ফারুপাখি?”

মেঘ এতো সুন্দর করে কথা গুলো গুছিয়ে বলাতে ফারহা বুঝতে পারলো সে সময়ের আগে একটু বেশি ভেবে ফেলেছিলো যেটা একদমি অনুচিত৷

ফারহাকে এভাবে নিশ্চুপ থাকতে দেখে মেঘ ফারহার গলায় মুখ গুজে বলে,” ভালোবাসি ফারুপাখি ৷”

মেঘের এমন নেশাতুর কণ্ঠস্বর আর স্পর্শ পেতে ফারহা কেঁপে ওঠে৷ খামচে ধরে মেঘের পাঞ্জাবী৷ আস্তে আস্তে মেঘের স্পর্শ গুলো আরো গভীর হতে লাগলো৷ ভারী নিশ্বাস গুলো আচড়ে পড়তে লাগলো একে অন্যের মুখে৷ মেঘ হুট করে ফারহাকে কোলে নিয়ে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজানো বিছানায় শুইয়ে দিলো৷ পুরো রুমে ফুলের ঘ্রানে মৌ মৌ করছে৷ সে সাথে দ্বিতীয়বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া কপোত কপোতী তাদের ভালোবাসায় সিগ্ধ হতে লাগলো৷

(৮৩)

নিস্তব্ধ রাত ব্যালকনিতে দাড়িয়ে একের পর এক সিগারেটের ধোয়া শূন্যে উড়িয়ে দিচ্ছে৷ যে কেউ এই শ্রাবণকে দেখলে বলবে চেইন স্মোকারের মতো লাগছে শ্রাবণকে, কেউ বলবে না শ্রাবণ আজ প্রথমবার তার কোমল ঠোঁট জোড়া সিগারেটের আগুনে ঝলসে দিচ্ছে৷ নুপূর চেন্জ করে রুমে এসে শ্রাবণকে দেখতে না পেয়ে হঠাৎ নাকে সিগারেটের গন্ধ পেতেই বুঝতে পারে শ্রাবণ কোথায়৷ গুটি গুটি পায়ে নুপূর ব্যালকনিতে গিয়ে শ্রাবণের পাশে দাড়ায়৷ শ্রাবণ নুপূরকে খেয়াল না করে সিগারেটের ধোয়া উড়াতে লাগলো তখনি নুপূর এক দুঃসাহসী কাজ করে বসলো৷ শ্রাবণের হাত থেকে আদখাওয়া সিগারেট টা কেড়ে নিয়ে নিজে টানতে লাগলো কিন্তু একটান দেওয়ার পর পরই নুপূর কাশতে লাগলো৷ যেন দম এখুনি বেড়িয়ে যাবে৷ শ্রাবণ তৎক্ষনাৎ নুপূরের হাত থেকে সিগারেট টা নিয়ে ফ্লোরে ফেলে জুতোয় পিশে ফেলে নুপূর কে বলে,” যেটা পারো না সেটা কেন করতে যাও তুমি?”

কাশতে কাশতে শ্রাবণ বলে উঠলো,” কারণ বস্ত আমার স্বামীকে এতোটা শান্তি দিচ্ছে ৷ সেটা আমারও পরখ করার নিশ্চয়ই অধিকার আছে?”

শ্রাবণ বুঝতে পারছে এই সিগারেট তাকে বর্জন করতে হবে নাহলে এই মেয়ে আবারও এমন কিছু করে বসবে৷

” আমি আর সিগারেট খাবো না৷” শান্ত গলায় বলল শ্রাবণ৷ আর শ্রাবণকে এতোটা শান্ত থাকতে দেখে নুপূর যেন আর একটু সাহস পেল৷ যতোই হোক সে এখন শ্রাবণের বিবাহিত স্ত্রী ৷ তার অধিকার আছে৷ হোক সেটা বাধ্যতামূলক বিয়ে তবুও তারা এখন স্বামী স্ত্রী ৷

” ধন্যবাদ , চলুন অনেক রাত হয়েছে এখন ঘুমাবেন৷ ” নুপূর রুমে ঢুকতে নিলে আবার পিছু ফিরে শ্রাবণকে একই জায়গায় দাড়িয়ে থাকতে দেখে বলে ওঠে,” আমি জানি আপনি আমাকে নিজের ইচ্ছেতে বিয়ে করেন নি৷ আর না আমি করেছি৷ আমরা দু’জনে পরিস্থিতির শিকার৷ এখন আপনি যদি চান আমি আপনাকে ডিভোর্স দিতে পারি তারপর না হয় আপনি আপনার ভা….” বাকি টা উচ্চারন করার পূর্বে এক বলিষ্ঠ হাত নুপূর কোমর স্পর্শ করে৷ নুপূর কিছু বুঝে ওঠার পূর্বে নিজেকে শ্রাবণের বাহুদ্বয়ে আবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়৷ শ্রাবণের মুখের দিকে তাকাতে নুপূর ভয়ে সিধিয়ে যায়৷ শ্রাবণের চোখ জোড়া অসম্ভব লাল হয়ে আছে৷ এতোটা লাল হয়তো ভ্যামপ্যায়ারও হয় না ৷ নুপূর কথা গুলো ভাবতে ভাবতে শ্রাবণ বলে ওঠে , ” আমার বিয়েটা তোমার সাথে হয়েছে নুপূর৷ সামিরার সাথে নয়৷ আর সামিরা এখন আমার অতীত তুমি আমার বর্তমান৷ সামিরাকে আমি ঘৃনা করি বুঝতে পেরেছো৷” শেষ বাক্যটা খানিকটা জোড়ে বললো শ্রাবণ৷ তবুও নুপূর ভয় না পেয়ে শ্রাবণকে বলল,” তাহলে আমাকে কি আপনি ভালোবাসেন শ্রাবণ?”

নুপূরের কথা শুনে শ্রাবণ নুপূরকে ছেড়ে দিয়ে রুমে যেতে নিলে হঠাৎ থেমে গিয়ে পেছনে নুপূরের দিকে তাকিয়ে বলে,” ভালোবাসি না তবে চেষ্টা করে তো কোন অসুবিধা নেই ৷ রুমে এসো অনেক রাত হয়েছে৷” বলে রুমে গিয়ে বিছানায় এক পাশে শুয়ে পড়লো৷

শ্রাবণের কথা গুলো শুনে নুপূর সত্যি ভিষণ খুশি হয়৷ কারণ আর যাই হোক তাকে অবহেলা অসন্মান করবে না শ্রাবণ৷ ভালোবাসতে না পারুক চেষ্টা তো করতে পারে! তার মানে শ্রাবণ তাদের সম্পর্ক টাকে একটা সুযোগ দিতে চায়৷ হয়তো তার অতিতকে ভুলে যাওয়ার জন্য এমন একটা সির্দ্ধান্ত নেওয়া৷ নুপূর যে শ্রাবণকে ভালোবেসে এমন টা নয় কিন্তু আল্লাহর কালাম পড়ে পবিত্র বিবাহ সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছে৷ সে থেকে স্বামীর প্রতি একটা টান তো আল্লাহর তরফ থেকে তৈরি হয়৷

নুপূর খুশি মনে শ্রাবণের পাশে শুয়ে পড়ে৷

______________

পানির তৃষ্নায় ছটপট করছে সামিরা৷ সূর্য সামিরাকে পানি না দিয়ে বরং সামিরার সামনে বিরয়ানী রেজালা খেতে লাগলো৷ সামিরা সূর্যের দিকে কটমট করে তাকিয়ে বলতে লাগলো,” সূর্য আমাকে যদি এখন ছেড়ে দেও তাহলে আমি তোমার প্রাণ ভিক্ষা দিবো৷ আর যদি না ছাড়ো তাহলে আরু মারুর সাথে তোমাকেও আমি মেরে ফেলবো৷”

সূর্য রেজালা চিবাতে চিবাতে বলল,” ওহ সামিরা বেইব তুমি আগে নিজে মক্ত করো তারপর না হয় ভাববে আরু মারু আর আমাকে কি ভাবে মারবে৷ সে পর্যন্ত না হয় ইদুরের দলের সাথে গল্প করো ৷ আমি ততোক্ষণ না হয় জেসিকা ওপস নট জেসিকা ইটস জেরি ওকে দেখে আসি বাই বাই৷ সূর্য যাওয়ার সময় একটা বক্সের মুখ খুলে দেয় সাথে সাথে অনেক গুলো ইদুর বেড়িয়ে আসে সে বাক্স থেকে, পুরো বেসমেন্টে ইদুরের কিচিরমিচির তার সাথে কামড় ফ্রি ,,,,, সামিরা না পেরে চিৎকার করতে লাগলো কিন্তু সে চিৎকার বেসমেন্ট পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ৷

এদিকে সূর্য তনুর দরজার লক খুলতেই তনু ………
.
.
.
#চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here