ধূসর প্রেমের অনুভূতি পর্ব -০৫

#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_০৫
.
.
.
অর্নিলের নাম্বার থেকে ফোন আসতে দেখে ফারিহা একদফা অবাক হয়ে গেল৷ অর্নিলের নাম্বার থেকে কল আশা মানে অর্নিল মুক্ত ৷ কিন্তু এমন ফুলপ্রুফ প্লান থেকে অনির্ল এতো সহজে বের হতে পারে এটা ফারিহার কল্পনা অতিত ৷ দুবার রিং হয়ে কল কেটে যাওয়ার পর আবার অনির্লের নাম্বার থেকে কল আসতে ফারিহা কল রিসিভ করে কানে ধরতে ফোনের অপাশ থেকে অর্নিল বলে ওঠে,” সুইটহার্ট কেমন আছো? আমাকে ছাড়া নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হচ্ছে?”

” কোন প্রতারকের জন্য এই ফারিহা খান কখনো খারাপ থাকতে পারে বলে তোমার মনে হয় অর্নিল?”

” ট্রাস্ট মি বেবি আমি ওই মেয়েটিকে চিনি না ৷”

” বাহ! ওই মেয়েটিকে তুমি চেনো না অথচ তার সাথে বেড শেয়ার করতে তোমার বিন্দুমাত্র বাধে নি? আমেজিন অর্নিল৷ বাই দ্য ওয়ে নেক্সট টাইম থেকে আমাকে কল করে একদম ডিসটার্ব করবে না৷ আমি তোমার মতো লম্পট চরিত্রহীন লোকের সাথে কোন সম্পর্ক রাখতে চাই না৷ ”

ফারিহার কথা শুনে অর্নিল চোয়াল শক্ত করে বলল,” তা তো হবার নয় সুইটহার্ট ৷ ভালো যখন তোমাকে বাসি তখন তোমাকে আমি ছাড়ছি না ৷ তুমি শুধু আমার, আর তোমাকে এই লম্পট চরিত্রহীন লোকের সাথে থাকতে হবে৷ আমি খুব শীগ্রই সে ব্যবস্থা করছি৷ ”

” ভুলেও এমন কিছু করার চিন্তা করো না অর্নিল কারণ তাতে তোমারই ক্ষতি হবে৷ আমি তোমাকে আর ভালোবাসি না৷”

” কিন্তু আমি বাসি সুইটহার্ট ৷ আচ্ছা সুইটহার্ট একটা কথা বলো আমার ফ্লাটের চাবি একটা তোমার কাছে অন্যটা মার কাছে থাকতো , আমি যেহেতু মেয়েটিকে ফ্লাটে নিয়ে আসি নি তাহলে কে এনেছে?”

অর্নিলের কথা শুনে ফারিহা দাঁত কিড়মিড় করে ফারহাকে কিছু বিশ্রি গালি দিলো৷ ফারহাকে ফারিহা আগে বলেছিলো এই ছেলেটাকে শেষ করে দিতে ৷ এতো ডেস্পারেট ছেলে ফারিহার পছন্দ নয় বলে সম্পর্কের দুই দিনে হাপিয়ে উঠে ছিলো৷ কিন্তু ফারহা কথাটা শোনা মাত্রই না বলে দেয় কারণ এখনি পুলিশি ঝামেলা চাচ্ছে না ৷ কিন্তু এখন! ফারিহা রাগে দাঁতে দাঁত চেপে অর্নিলকে বলে ওঠে ,” হাউ ডেয়ার ইউ অর্নিল ৷ তোমার সাহস দেখে আমি সত্যি স্পিচলেস ৷ নিজের করা দোষটা কতো সহজে অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে পারো তাই না? বাট তুমি ভুল মানুষকে বেঁছে নিয়েছো৷ আমি ফারিহা খান আমাকে ফাঁদে ফেলা তোমার মতো বাচ্চা ছেলের পক্ষে কখনো সম্ভব নয়৷ আর একটা কথা আমাকে দ্বিতীয় বার ফোন করলে তোমার কি অবস্তা করবো সেটা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না অর্নিল৷ সো বি কেয়ার ফুল ম্যান৷” ফারিহা কল ডিসকানেক্ট করে বেডে ফোনটা ছুড়ে মেরে নিজের মাথার চুল গুলো রাগে টানতে লাগলো৷

ফারিহা পারে না অর্নিলকে খুন করতে৷ ফারিহার যে অর্নিলকে আর ভালো লাগে না সেটা ক্লিয়ারলি বলতে পারছে না ৷ কারণ টা হলো অর্নিল খুব ডেস্পারেট ফারিহাকে নিয়ে, ফারিহা বলতে অজ্ঞান অর্নিল ৷ আর ফারিহা! তার এক বয়ফ্রেন্ডে কখনো মন ভরে না৷ প্রত্যেক সপ্তাহে তার বয়ফ্রেন্ড চেন্জ করা চাই৷ দেশে আশার পূর্বে ফারিহা মেঘের ছবি সোসাল সাইডে দেখে প্রেমে পড়ে যায় কিন্তু তখন লিওন নামক এক সাদা চামড়ার বয়ফ্রেন্ড ফারিহার ইতোমধ্যে ছিলো তাই ফারিহা আর মেঘের সাথে যোগাযোগ করেনি ৷ কিন্তু দেশে ফিরে ফারিহার সাথে এক্সিডেন্টলি অর্নিলের সাথে দেখা হয়ে যায়৷ সে থেকে অর্নিল ফারিহার পিছু ছাড়ে না৷ লাস্ট উইকে ফারিহা অর্নিলের প্রপোজাল এক্সেপ্ট করে কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অর্নিল ফারিহার বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে৷ ফারিহা অর্নিলকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলো কিন্তু ফারহার জন্য পারেনি৷ আর আজ মেঘের বিহেবিয়ার দেখে ফারিহা ক্ষেপে ছিলো আর অর্নিলের কল পেয়ে রাগটা চরম পর্যায়ে চলে গেছে৷

ফারিহা তার ফোনটা তুলে ফারহার নাম্বারে কয়েকবার ডায়াল করে কিন্তু ফারহা কল না ধরায় ফারিহা রেগে হুংকার দিয়ে ওঠে৷

(১১)

” মেয়েটার সাথে কথা বলে কি বুঝলে অর্নিল?” মিসেস শাহিনুর অর্নিলকে চিন্তিত থাকতে দেখে প্রশ্ন করলো৷

” মম আমার মনে হচ্ছে আমি কিছু একটা মিস করছি৷ কিন্তু কি এটা বুঝতে পারছি না৷”

অর্নিলের বাবা মিস্টার আমান খন্দকার বলে উঠলো,” অর্নিল আমি মেয়েটার পুরো পরিবার সম্পর্কে খবর নিচ্ছি তুমি টেনশন করো না৷ আর একটা কথা তোমার ফ্লাট পুলিশ সিল করে দিয়েছে ৷ কেস ডিসমিস না হওয়া পর্যন্ত ওই ফ্লাটে তুমি যেতে পারবে না৷ তার চেয়ে বরং আমাদের বাড়িতে চলো৷ ওখানে থাকবে তুমি৷”

” বাট ড্যাড এখান থেকে অফিস টা কাছে ছিলো বিধায় এই ফ্লাটে থাকতাম কিন্ত….”

” কোন কিন্তু নয় অর্নিল ৷ তোমাকে এখন কিছুদিন অফিসে যেতে হবে না৷ অফিস আমি সামলে নিবো৷ তুমি শুধু তোমার কেসটায় কনসার্নট্রেট করো৷”

” ওকে ড্যাড ”

মিস্টার আর মিসেস খন্দকার অর্নিলকে নিয়ে তাদের বড় বাড়িতে ফিরে যায়৷ বাড়িতে ফিরে অর্নিল নিজের রুমের বিছানায় শরীর এলিয়ে দিয়ে ভাবতে থাকে , ওই দিনটা তার সাথে ঠিক কি কি ঘটে ছিলো ৷

___________

” ফারুপাখি আমি মটেও অনুতপ্ত নই তোমাকে স্পর্শ করার জন্য, কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি ৷ ইউ নো না মেঘ যখন কাউকে ভালোবাসে তখন সে সবটা উজাড় করে ভালোবাসে ৷ ঠিক আমি তোমাকে তেমনটাই ভালোবাসি৷ ”

ফারহা মেঘের কথার প্রত্ত্যুতরে কিছু বললো না বরং শান্ত স্থির দৃষ্টিতে মেঘের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল,” আমি বাড়ি ফিরবো মেঘ৷ ”

মেঘ ফারহার দিকে তাকিয়ে আর কোন কথা না বলে চুপ করে গাড়ির দিকে যেতে লাগলো৷ এদিকে ফারহার মাথায় চলছে অন্য কিছু, যেটা বিন্দুমাত্র ধারণা মেঘ কখনো চিন্তাও করতে পারবে না৷

গাড়িতে উঠতে উঠতে ফারহা তার ফোন বের করে কাউকে একটা মেসেজ করে ফোনটা আবার পার্সে রেখে গাড়িতে উঠে বসে৷

মেঘ গাড়ি চালাতে চালাতে ফারহার দিকে কয়েকবার তাকিয়ে ছিলো৷ কিন্তু ফারহা ভুলে একবারের জন্য মেঘের দিকে তাকায় নি বরং স্ট্রিট হয়ে বসে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে৷ কেউ হুট করে ফারহাকে এভাবে দেখলে ভাববে কোন রোবট গাড়িতে বসে আছে৷ কিছুদুর যেতে ফারহা হঠাৎ মেঘকে বলে ওঠে,” মেঘ গাড়ি থামাও৷”

হঠাৎ ফারহার মুখে “মেঘ গাড়ি থামাও” কথাটা শুনে মেঘ খুব জোড়ে গাড়ি থামায় ৷ ফারহা তাতে কোন রিয়েক্ট না করে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশে চায়ের দোকানের সামনে এসে দাড়িয়ে দোকানদারকে দু’কাপ চা দিতে বলে৷ মেঘ ফারহার পাশে দাড়িয়ে দেখতে লাগলো ফারহা কি করতে চাইছে৷

একটা ছোট বার তের বছরের বাচ্চা ছেলে দুটো মাটির ভারের কাঁপ ফারহার দিকে এগিয়ে দিতে ফারহা বাচ্চাটির দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসি দিয়ে মাটির ভারের চা টা নিয়ে নিলো৷ মেঘ বিনা বাক্যে মাটির ভারের চা-টা খেতে লাগলো৷

মেঘ ফারহাকে দেখছে আর ভাবছে ফারহা রাস্তায় দাড়িয়ে মাটির ভারে চা খেতে খাচ্ছে এটা যদি ফায়েজ খান একবার জানতে পারে তাহলে খান বাড়িতে তুলকালাম বাধিয়ে দিবে এটা নিয়ে মেঘের কোন সন্ধেহ নেই৷

ফারহা চা খেতে খেতে ছোট্ট দোকানটার পাশে বিশাল বড় বিলটা দেখে সেখানে ফারহার চোখ দুটো আটকে যায়৷ টলটলে পানির মধ্যখানে ভাসমান লাল পদ্মফুল ৷ মাছরাঙা পাখিরা ভীর জমিয়ে আছে তাদের ছোট ছোট ঠোঁট জোড়া দিয়ে মাছ ধরার জন্য, এ যেন এক শিকারি অপেক্ষা করছে তার শিকারকে ধরার জন্য, চারিদিকে সবুজের সমারহ সুন্দর মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখে ফারহা যেন নিজেকে হাড়িয়ে ফেলেছে৷

মেঘ তার চা খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে আড়চোখে তার ফারুপাখিকে দেখে যাচ্ছে৷ বিশৃঙ্খল হাওয়ায় ফারহার লম্বা চুল গুলো বার বার মুখের উপর ঝাপটে পড়ছে৷ এদিকে ফারহা তার ডাগর ডাগর হরিনীর মতো চোখ দুটো প্রকৃতি দেখায় ব্যস্ত ৷ লাল টকটকে ঠোঁট জোড়া যতোবার চায়ের মাটির ভারে চুমুক দিচ্ছে ঠিক ততোবার মেঘের হৃদয়ে যেন কেউ আগুনে পুড়িয়ে ঝলসে দিচ্ছে৷ পশ্চিম দিকে হেলে পরা সূর্যের নরম আলোয় মেঘ তার ফারুপাখিকে আজ অন্য ভাবে আবিষ্কার করলো৷

ফারহার চা শেষ হতেই ফারহা ভারটা ফেলে দিয়ে মেঘের দিকে তাকাতে দেখে মেঘের নেশা ভরা চাহনি৷ মেঘের এই চাহনিতে ফারহার বুঝতে অসুবিধা হয়নি মেঘের অনুভূতি ৷ ফারহা তার তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে মেঘের দিকে তাকিয়ে বলে,” এতোটাও ডুবে যেও না মেঘরাজ যেখান থেকে নিজেকে নিজে তুলে আনতে পারবে না৷ আর এতোটাও উজাড় করে ভালোবেসো না যাতে তুমি নিস্ব হয়ে যাও৷”

ফারহা আর না দাড়িয়ে চায়ের বিল দিয়ে গাড়ির পথে এগোতে হঠাৎ মেঘের গাড়ি ব্লাস্ট হয়ে যায় ৷ আচমকা এমন কিছু হবে এটা মেঘ একদমি আশা করে নি৷ মেঘ ফারহাকে টেনে নিয়ে ফারহার হাত পা চেক করতে লাগলো ৷

” ফারুপাখি তোমার কোথাও লাগেনি তো?”

” শান্ত হও মেঘ আমার কোথাও লাগেনি কিন্তু গাড়িটা ব্লাস্ট হলো কি করে?”

ফারহার কথা শুনে মেঘ পেছনে ফিরে তাকিয়ে ভয়ংকর আগুনে পুড়তে দেখলো তার গাড়িটাকে, মুহূর্তে মেঘের চোয়াল শক্ত হয়ে এলো৷ আশে পাশে লোকজন ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে৷ মেঘ কোন রিক্স না নিয়ে আসলামকে ফোন করার পনেরো মিনিটের মাথায় গাড়ি নিয়ে হাজির হয় ৷ মেঘ ফারহাকে জোর করে গাড়িতে বসিয়ে নিজে ড্রাইভ করে খান মন্জিলে নিয়ে এসে বলে, ” ফারুপাখি আমাকে এখুনি যেতে হবে নাহলে তোমাকে তোমার রুম অব্দি পৌছে দিতাম ৷”

” থ্যাঙ্ক ইউ ৷ এটা করার আর কোন প্রয়োজন নেই৷ তুমি তোমার কাজে যেতে পারো ৷”

মেঘ ফারহার অনুমতি না নিয়ে ফারহাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,” টেক কেয়ার মাই লাভ ” ফারহার কপালে চুমু দিয়ে মেঘ বিদ্যুৎ গতিতে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে গেল৷

ফারহা মেঘের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রহস্যময় হাসি দিয়ে খান মন্জিলে প্রবেশ করে৷

(১২)

ফারহার মা আইরিনের হঠাৎ পেশার ফল করায় তিনি রুমে বিশ্রাম নিচ্ছেন আর ফায়েজ খান তিনি অফিস থেকে এখন অব্দি না ফেরায় এখন বাড়িতে শুধু কয়েকজন সারভেন্ট ফারহা মা ফারহা আর ফারিহা….

ফারহা নিজের রুমে ঢুকতে হঠাৎ ঝড়ের গতিতে কেউ এসে ফারহার গলা চেপে ধরে ৷ আচমকা এমন এট্যাকের জন্য ফারহা মটেও প্রস্তত ছিলো না৷ কিন্তু তার গলায় হাত দেওয়ার মানুষটাকে দেখে ফারহা তার হাটু দিয়ে মালুষটার পেটে আঘাত করতে মানুষটা ফারহার গলা ছেড়ে দিয়ে পেটের ব্যাথায় কুকড়ে গিয়ে পেট ধরে বেডে বসে পড়ে৷

ফারহা তার হাতের পার্স টেবিলের উপর রেখে চুল গুলো খোপা করে তার বেডে বসা মানুষটার উদ্দেশ্য বলে ,” নেশা করেছিস?”

পেটে ব্যাথায় চোখ মুখ কুচকে ছোট করে উওর দেয়” না ”

” তাহলে এই সব এর মানে কি ফারিহা?”

ফারিহা পেটে ব্যাথা নিয়ে উঠে দাড়িয়ে ফারহাকে কয়েকটা জঘন্য গালি দিয়ে বলল, ” বলেছিলাম তোকে ওকে শেষ করে দিতে , কিন্তু তুই সেটা করলি না৷ অর্নিলের জামিন হয়ে গেছে৷ আবার আমার পিছু নিবে ওই কু** বা **”

ফারহা ফারিহাকে বেডে বসিয়ে দিয়ে পানির গ্লাসটা এগিয়ে দিয়ে বলে ,” অর্নিলকে নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না ফারিহা ৷ ওটা আমি হেন্ডেল করে নিবো ৷ ততোদিন তোর সিমটা আমাকে দে তুই অন্য সিম নিয়ে নিস৷”

ফারিহা ফারহার কথা শুনে কিছুটা শান্ত হলেও আবার ফারহার দিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে ,” আই ওয়ান্ট মেঘ ফারহা ৷ ”

” পেয়ে যাবি ৷ খেয়েছিস কিছু?”

” না৷”

ফারহা উঠে নিচে কিচেনে গিয়ে ফারিহার জন্য খাবার প্লেটে সাজিয়ে নিয়ে উপরে ফারিহার হাতে দিয়ে বলে,” ঝটপট খেয়ে নিয়ে ঘুম দে ফারিহা ৷”

” তুই খেয়েছিস?”

” খেতে ইচ্ছে করছে না৷ ”

ফারিহা ফারহাকে পাশে বসিয়ে নিজে খাওয়ার পাশা পাশি ফারহার মুখে খাবার গুজে দেয়৷ অগ্যতা ফারহাকেও খেতে হয়৷ ফারিহার খাওয়া শেষে ফারহার রুমে ঘুমিয়ে পড়ে৷ আর ফারহা তার ল্যাপটপ ফোন নিয়ে ফারিহার রুমে চলে যায়৷

অন্যদিকে শহরে একের পর এক ব্লাস্ট হচ্ছে৷ মেঘ বুঝতে পারছে না একসাথে এতো গুলো জায়গায় কি করে ব্লাস্ট হয়? হয় সে সব জায়গা গুলো টেরোরিস্ট ছড়িয়ে আছে৷ নাহলে টাইমিং বোম সেট করে দিয়েছে৷ পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে ৷ মেঘ আড়াল থেকে সবটা পর্যবেক্ষণ করছে ৷

পাঁচশতের অধিক লোক মারা গেছে এই ব্লাস্টে ৷ চারিদিকে মানুষ পোড়া আর রক্তের গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে৷ মেঘের আর সহ্য হচ্ছে না সাধারণ মানুষের আহাজারি কান্না, মেঘ রেগে দেয়ালে কয়েকটা ঘুশি মেরে বলতে লাগলো,” ছাড়বো না যারা এই নিশ্পাপ সাধারণ মানুষদের পুড়িয়ে মেরেছে৷ কথা দিচ্ছি এর থেকে কঠিন মৃত্যু আমি তোদের দিবো৷ এতো কষ্টকর মৃত্যু হয়তো তোরা নিজেরাও কল্পনা করতে পারবি না৷ ”
.
.
.
#চলবে……………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here